Latest Post

কমলনগরে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ীর মৃত্যু
Hazirhat Bazar trader killed in motorcycle accident in Kamalnagar


লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সড়ক দূর্ঘটনায় কাউছার আহমেদ মিশাদ (২১) নামে হাজিরহাট বাজারের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিশাদ কমলনগরের উপকূল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও হাজিরহাট প্রতিবেশী কম্পিউটার এন্ড টেলিকমের মালিক ছিলেন।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) বিকালে কমলনগরের মুন্সিরহাট বাজারের আধা কিলোমিটার উত্তরে এক মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।


স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (আনুমানিক) সন্ধ্যা ৫.৪০ মিনিটের দিকে কমলনগরের মুন্সিরহাট বাজারের আধা কিলোমিটার উত্তরে মোটর সাইকেলে করে ৩জন লক্ষ্মীপুর বা চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ সামনে একটি বাই-সাইকেল এসে পড়লে হাইড্রেলিক ব্রেক করায় মোটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় এবং তিনজন গুরুতর আহত হন। আশংকাজনক অবস্থায় মিশাদ সহ তাদের তিন জনকেই লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে করা হয়। 


কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায়  তিনজন গুরতর আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় মিশাদসহ তিনজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিশাদকে মৃত ঘোষণা করে।



আরো পড়ুন:




ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার
Rare species of vulture rescued in Thakurgaon


ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ভূল্লী থেকে একটি বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(০৭ এপ্রিল) রাতে ভূল্লী বাজার থেকে ওই শকুনটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) তানভিরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

জানা যায়, রাতে ভুল্লী বাজারের একটি বটগাছে পাখিটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। এসময় পাখিটি অসুস্থ হয়ে নিচে পড়ে গেলে স্থানীয়রা পাখিটি ধরে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে শকুনটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।


ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন,ধারণা করা হচ্ছে শকুনটি পার্শ্ববর্তী ভারত সীমান্ত পার হয়ে অভুক্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় ভুল্লী বটগাছের উপরে এসে বসে পড়ে। পরে সেখান থেকে নিচে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেই সাথে তাদের মাধ্যমে শকুনটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাদ্য দেয়া হয়েছে।



আরো পড়ুন:




রাণীশংকৈলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা
Ranishankaile mobile court fined 3 institutions


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩টি দোকানে অর্থ জরিমানা করেন। সেগুলো হলো- পৌর এলাকার ভান্ডারা গ্রামে সিয়াম মুড়ি তৈরির কারখানা, পৌর শহরের বন্দরে মুদি দোকান দুলাল ষ্টোর ও সনজিত ষ্টোর। 


বৃহস্পতিবার (৭এপ্রিল) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ সাদী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সহোযোগী স্যাানিটারি ইন্সপেক্টর সারোয়ার হোসেন। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

পৌর এলাকার ভান্ডারা গ্রামে সিয়াম মুড়ি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে খোলা লবন ব্যবহার এবং অসাস্থকর পরিবেশে মুড়ি তৈরির দায়ে ৪৩ ধারা লঙ্ঘন করায় কারখানা মালিক আলেফ উদ্দীনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


একইদিনে পৌরশহরে মুূদি দোকান দুলাল ষ্টোরের মালিক সুশান্ত সাহাকে ১০ হাজার টাকা ও সনজিত ষ্টোরের মালিক সনজিত  মন্ডলকে ৫ হাজার টাকা মেয়াদবিহীন খাদ্যপণ্য রাখা,খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধে বিভিন্ন  ধারায় এ জরিমানা করা হয়।


এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী, সাংবাদিক, পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ সাদী।



আরো পড়ুন:




অতিরিক্ত সচিব হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের সাবিনা আলম
Additional Secretary is Sabina Alam of Thakurgaon


অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মেধাবী কৃতি সন্তান সাবিনা আলম। তিনি ১৫তম বিসিএস ক্যাডারের সদস্য। গত বুধবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পদোন্নতির আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ।


আদেশে জানা যায়, ৯১ জন যুগ্ম-সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করেছে সরকার। এই তালিকায় রয়েছেন সাবিনা আলম। সাবিনা আলম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি যুগ্নসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

কর্মজীবনে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ছাড়াও চার বছর সরকারি কর্ম কমিশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি সৈয়দপুর ও জয়পুরহাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


এছাড়া তিনি বিভিন্ন জেলায় সহকারী কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।


ব্যক্তিজীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের মা। তার স্বামী বদরে মুনীর ফেরদৌস বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে কর্মরত।




আরো পড়ুন:


ফরিদপুরে কৃষি মন্ত্রী 
Minister of Agriculture in Faridpur


ফরিদপুরের সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় কৃষি উদ্যোক্তা সাহিদা বেগমের পেয়াজ বীজ উৎপাদন খামারে বৃহস্পতিবার  পরিদর্শনে যান কৃষি মন্ত্রী ডঃ আব্দুর রাজ্জাক । 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

পেয়াজ বীজের মাঠ পরিদর্শন কালে  কৃষি মন্ত্রীর সাথে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো সায়েদুল ইসলাম , ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার , ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো আলিমুজ্জামান , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সহ ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের  কর্মকর্তারা । 


কৃষি মন্ত্রী   ডঃ আব্দুর রাজ্জাক আদর্শ কৃষি খামারীর পেয়াজ বীজের মাঠগুলো ক্ষেতে গিয়ে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন । 

এর পূর্বে কৃষি মন্ত্রী ফরিদপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে তাকে গার্ড অফ অনার দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসন  ও ফরিদপুর পুলিশ প্রশাসন।  এছাড়া  খামারীরা মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান । 



আরো পড়ুন:





ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার আবেদন
Extortion case against OC-SI of Boalmari police station in Faridpur


ফরিদপুরে  বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম (৫৫) ও উপপরিদর্শক(এসআই) উত্তম কুমার সেনের (৫০) বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলার আবেদন করেছেন এক ব্যবসায়ী।  

বুধবার (৬ এপ্রিল) ফরিদপুরের ৭ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ওই ব্যাবসায়ী আতিয়ার রহমান নান্টু। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার দাঁদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বোয়ালমারী পৌর সদরের ওয়াপদা মোড়ের একজন হার্ডওয়্যারের ব্যবসায়ী। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

 আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড় মামলার অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।


দন্ডবিধির ৩২৩/৩৮৫/৫০৬(বি)/১১৪ ধারায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়। আগামী ২৬ মে মামলার আবেদনের ওপর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। 


মামলার আবেদন সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ও ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান নান্টু ২০০০ সালের ২৩ মে বোয়ালমারীর পৌরসভার ওয়াপদার পাশে মৃত রশিদ মোল্লার স্ত্রী ও চার মেয়ের কাছ থেকে দুটি দলিলে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ২ শতাংশ জমির ওপর দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা করে আসছিলেন।


বোয়ালমারীর সোতাশী এলাকার বাসিন্দা, দুই ভাই মোঃ ইয়াকুব হোসেন ও মোঃ বেলায়েত হোসেন রশিদ মোল্লার স্বজনদের কাছ থেকে একই জায়গায় জমি ক্রয় করেছিলেন। উক্ত দুই ভাইয়ের দাবি ও অভিযোগ, তাঁদের ক্রয়কৃত দাগের জমি ভোগদখল করছেন আতিয়ার রহমান নান্টু। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।


আতিয়ার রহমান নান্টু মামলার আবেদনে বলেন, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর ওই দুই ভাই ইয়াকুব হোসেন ও বেলায়েত হোসেন গুদাম দখলের চেষ্টা করেন। তখন তিনি বোয়ালমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন। সাধারণ ডায়েরি( জিডি) করার পর তিনি থানার ওসির কক্ষে গেলে ওসি তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তিনি ওসিকে ৫০ হাজার টাকা দেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ওই দুই ভাই আবার তাঁর গুদাম ঘরের তালা ভেঙে সিমেন্টের বস্তা ওঠানোর চেষ্টা করেন। তখন আতিয়ার রহমান বিষয়টি তাৎক্ষনিক ওসিকে জানান। ওই সময় ওসি তাঁর কাছে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এবার তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। ওসি তখন হুমকি দিয়ে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে (আতিয়ার রহমানকে) মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করবেন। পরে আতিয়ার রহমান থানার উপপরিদর্শক(এসআই) উত্তম কুমার সেন চড়, কিল ও ঘুষি মেরে থানা থেকে বের করে দেন।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

এ ঘটনার পরে আতিয়ার রহমান নান্টু ফরিদপুরের পুলিশ সুপার, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়ার্টারে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন স্থানীয়ভাবে ও বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় তিনি আদালতে মামলার জন্য এ অভিযোগ করেন।


এ বিষয়ে  বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান,যে অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে সে অভিযোগ সত্য নয়।


এ বিষয়ে মামলার আবেদনকারী আতিয়ার রহমানের আইনজীবী লুৎফর রহমান জানান, আতিয়ার রহমান নান্টু আদালতে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্য মিথ্যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অভিযোগটি যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব  দিয়েছেন। পিবিআইয়ের তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযোগটি মামলায় পরিণত হবে। সত্য প্রমাণিত না হলে অভিযোগটি খারিজ হয়ে যাবে।


এদিকে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ও উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার আবেদনের বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার(৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান। সংবাদ সন্মেলনে তিনি বলেন, আতিয়ার রহমান নান্টু গত ৬ মার্চ তাঁর বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পরদিন ৭ এপ্রিল এক তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নিয়োগ প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত কাজ শুরু করেন। এ পর্যন্ত ওই তদন্ত কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানসহ ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। 


পুলিশ সুপার আরও বলেন, আতিয়ার রহমান পুলিশের নির্ধারিত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট একটি কাগজও পৌঁছে দেন। অথচ একই দিন তিনি আদালতে গিয়ে মামলার অভিযোগ করেন। তাতে আগের অভিযোগ ও পরের অভিযোগে অনেক অমিল রয়েছে। আগের অভিযোগের চেয়ে নতুন অভিযোগে অনেক কথা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগকারী বলেছেন, স্থানীয়ভাবে ও বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা তিনি পাননি। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তদন্তসংশ্লিষ্ট কাগজ জমা দেওয়ার দিনই আদালতে একই বিষয়ে মামলার আবদেন করার বিষয়টি বোধগম্য নয়।



আরো পড়ুন:



মধুখালীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ রুপ ধারন
Outbreak of diarrhea in Madhukhali


ফরিদপুরের মধুখালীতে  সারাদেশের ন্যায় মৌসুমি  রোগ ডায়রিয়ার  প্রকোপ রুপ ধারন  করেছে। সারা দেশের ন্যায় মধুখালীসহ আশপাশের  উপজেলা গুলিতে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পরছে। তার বেশীর ভাগ চাপ পড়ছে  মধুখালী হাসপাতালে। মধুখালী সদর হাসপাতালের দেয়া তথ্যনুযায়ী মার্চ মাসে ১৬২জন এবং  ৬ এপ্রিলের দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৪ জন ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬জন ডায়রিয়ার রোগি ভর্তি হচ্ছেন। দিন দিন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। কোন ভাবেই থামছে  না । সব বয়সী মানুষই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এ বিষয়ে মধুখালী সদর  হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ কবির সরদার জানান ডারিয়ার চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।এ সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ  বাড়ে আমরা  সতর্ক আছি । জনসাধারণকে  বলি খোলা খাবার না খাওয়া এবং খাদ্য গ্রহনে সতর্কতা গ্রহন করা । এ পর্যন্ত  ডায়রিয়ায় কোন প্রাণ হানির ঘটনা ঘটে নাই । সবাই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে ফিড়ে গেছেন। 



আরো পড়ুন:





মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ মেয়ের, খরচের চিন্তায় পড়েছেন ভ্যান চালক বাবা! 
Opportunity for medical admission of the daughter, the father of the van driver is worried about the cost!


নিজস্ব জমি জমা না থাকলেও একমাত্র রিক্সা ভ্যান চালিয়ে ৩ সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্নে এগিয়ে চলেছেন জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামের একজন ভ্যান চালক।


একমাত্র ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পাশাপাশি এবার আল্পনা আকতার নামে এক মেয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজের ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হলে তার এই সুযোগের কথা প্রকাশ পায়।


আফতাবর রহমানের বাড়ী ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামে। ভিটেমাটি আর ভ্যান গাড়ী ছাড়া তার আর কোন সহায় সম্পদ নেই।


একমাত্র ছেলে মুন্না আলী বাংলা বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন কয়েক বছর যাবত। সে এখন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। এদিকে মঙ্গলবার মেয়ে আলপনা আক্তারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি ফলাফল প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ হয়েছে তার। এছাড়াও বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে পাত্রস্থ করেছেন আর ছোট মেয়ে পড়ছে উচ্চ মাধ্যমিকে।


একমাত্র ছেলেকে এতদিন পড়ালেখার খরচ নিয়মিত নিয়ে আসছেন রিক্সা ভ্যান চালিয়ে। এবার মেয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগের খবরে খরচের চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি সংসারের খরচ যোগাতে প্রতিদিন রিক্সা ভ্যান চালানো ছাড়া আর কোন পথ নেই।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

কথার ফাকে আফতাবর রহমান জানান, ভ্যান চালিয়ে ছেলেকে ঢাবিতে, মেয়ে দু'টোকে পড়াচ্ছি। ছেলে মুন্না আলীর ঢাবিতে ভর্তির সময় ২৫ শতক আবাদী জমির মধ্যে ৫ শতক জমি বিক্রি করে ভর্তির খরচ বহন করি। পরবর্তীতে তার পড়ালেখা খরচ যোগাতে গিয়ে অবশিষ্ট ২০ শতক জমিও বিক্রি করতে হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমাসে পড়ালেখা ৩-৪ হাজার টাকা ঢাকায় ছেলেকে পাঠানো, অন্য দুই মেয়ের পড়ালেখা খরচ এবং সাংসারিক ব্যয় বহনের একমাত্র মাধ্যম আমার ভ্যান গাড়ীটি। একদিন ভ্যানগাড়ী নিয়ে বের না হলে সংসারে চুলায় তার হাড়ি উঠেনা।


তিনি আরও জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দুই সন্তান পড়াশোনার সময় শিক্ষাবৃত্তি পায় ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে।

এ শিক্ষাবৃত্তির টাকা তার পরিবারের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করেছে। মেয়েকে ভর্তি করানোর টাকা যোগাড় করতে ইতোমধ্যে তিনি তাঁর নিকট আত্মীয়দের সাথে কথা বলছেন।


তারা ভর্তির টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তিনি অনেকটা দুশ্চিন্তামুক্ত। কিন্তু চিন্তা হলো পরবর্তীতে মাসে মাসে যে খরচ ব্যয় করতে হবে তা আসবে কোথা থেকে। কারণ রিক্সা ভ্যানের আজকাল দুর্দিন চলছে। আগে ভ্যান চালিয়ে আয় বেশি হলেও থ্রি-হুইলার ও অটোচার্জারের ভিড়ে ভ্যান গাড়ীতে যাত্রী পাওয়া দুস্কর হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বাজারে নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে।


ভ্যান চালকের স্ত্রী মাজেদা খাতুন জানান, আমাদের রক্তের শেষ বিন্দু থাকা পর্যন্ত সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যাবো। মানবিক কারণে যদি কেউ সহযোগিতার হাত বাড়াতে চান, তাহলে আমরা আপত্তি করব না।


সদ্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী আলপনা আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কুশডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে।


আলপনা আক্তার বলেন, বাবা অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। চিকিৎসক হয়ে বাবা, মাসহ অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। বাবার স্বপ্ন পুরণে সকলের নিকট দোয়া চান তিনি।


বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভ্যানচালক বাবার মেয়ে আলপনা মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ পেয়েছে এটা অবশ্যই গর্বের। তবে মেয়েটির ভর্তির জন্য আর্থিক সাহায়্যের আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।



আরো পড়ুন:





Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget