Latest Post

 শনি-রবিবার দেশে পৌঁছাতে পারে ইউক্রেনে নিহত নাবিকের লাশ

The body of a sailor killed in Ukraine may reach the country on Saturday-Sunday


ইউক্রেইনে যুদ্ধের মধ্যে রকেট হামলায় প্রাণ হারানো বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ শুক্রবার রাতেই রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশের কূটনীতিকরা।

পোল্যান্ডের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোরে ইউক্রেইন থেকে রোমানিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় হাদিসুরের মরদেহবাহী গাড়ি। মলদোভা হয়ে সেটি রোমানিয়ায় পৌঁছাবে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা


মরদেহ বুখারেস্টে পৌঁছালে তারপর দেশে পাঠানোর বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন রোমানিয়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী।


ইউক্রেইনে যুদ্ধের মধ্যে ওলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা অবস্থায় ২ মার্চ রকেট হামলার মুখে পড়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। তাতে নিহত হন ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর।

আতঙ্ক ও ক্ষোভের মধ্যে পরদিন ৩ মার্চ জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নাবিকদের বাংলার সমৃদ্ধি থেকে নামিয়ে আনা হয়। সেখান থেকে একটি শেল্টার হাউজের বাংকারে ঠাঁই নেন নাবিকরা। হাদিসুরের মরদেহও রাখা হয়েছিল বাংকারের ফ্রিজারে।


উদ্ধার পাওয়ার তিন দিন পর মলদোভা হয়ে ২৮ নাবিক রোমানিয়ায় পৌঁছান। সেখান থেকে বুধবার বিমানে দেশে ফেরেন এই জাহাজিরা।


তাদের দেশে ফেরার খবরে ওইদিন বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন হাদিসুরের পরিবারের সদস্যরা। তারা আকুতি জানান দ্রুত তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউক্রেইনের ওলভিয়া এলাকা থেকে রওনা করে হাদিসুরের মরদেহবাহী গাড়ি। মলদোভা হয়ে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে মরদেহ বুখারেস্টে পৌঁছাতে পারে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তা মরদেহ রোমানিয়ায় নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রোমানিয়ায় দূতাবাসের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে দেশে আসতে দুই-তিন দিন লাগতে পারে।”

আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)

বরগুনার বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুর রাজ্জাকের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে হাদিসুর ছিলেন মেজ। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে পড়ালেখা শেষ করে ২০১৮ সালে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে ওঠেন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।


জাহাজের চাকরিতে বছরের একটি বড় সময় থাকতে হয় বাইরে। সবশেষ বাড়ি এসেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে কথা হত নিয়মিত। যেদিন জাহাজে রকেট পড়ল, সেদিনও ফোনে মা আমেনা বেগম আর ছোট ভাই গোলাম রহমান তারেকের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল।


তার মৃত্যুর খবর আসার পর তারেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, দেশে ফিরলেই বাড়ির কাজে হাত দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হাদিসুরের, স্বপ্ন ছিল পরিবারের জন্য আরও অনেক কিছু করার; সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন তিনি।


আরো পড়ুন:



 করোনায় তিনজনের মৃত্যু শনাক্ত ৩২৭

327 deaths were identified in Corona


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে।


একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩২৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৮ জনে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।


বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) একজনের মৃত্যু এবং ৩২৩ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৭৮টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১৭ হাজার ১০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ।


এদিকে, একদিনে আলোচ্য সময়ে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন দুই হাজার ৪৭৯ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ২৪৯ জন।

আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত তিনজনই পুরুষ। তাদের দুজন ঢাকা বিভাগের ও একজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। তিনজনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।


২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


আরো পড়ুন:


মরিচের ফলন ও দামে খুশি কৃষকরা

Farmers are happy with the yield and price of pepper


নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলতি মৌসুমে মরিচের দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় খুশিতে মরিচ চাষীরা। উপজেলা অন্যান্য ফসলের মতো বেশি জমিতে মরিচ চাষ না হলেও যেগুলো জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। এবার সেগুলো জমিতে মরিচের ভালো ফলন ও বাজারে বেশি দামে কাঁচা ও লাল মরিচ বিক্রি হচ্ছে।


নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর ২৪ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর দরগাপাড়া গ্রামের কৃষক শাহিন আলম জানান, আমি প্রতিবছর মরিচের আবাদ করি। গত বছর দেশি মরিচ চাষ করে ফলন ও দামে লোকসান হয়েছিল। এ বছর এক বিঘা জমিত মরিচ করছি। এবার আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় মরিচ গাছে পাতা ঝলসানোর মতো কোন রোগ বালাই না থাকায় কম কীটনাশক জমিতে স্প্রে করতে হয়েছে। তাতে এবার মরিচ চাষে খরচ একটু কম হয়েছে। ফলন ও দামও মোটামুটি ভালোই পাইছি। কৃষক আলমগীর মন্ডল জানান, গত বছরের চেয়ে এবার মরিচে ফলন ও বাজারে দামও বেশি রয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় আশা করছি লাভবান হব। পাকা মরিচ জমি থেকে তুলে বাড়ির উঠানে শুকাতে দিয়েছেন।


নিয়ামতপুরে মরিচ ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা কাঁচা মরিচ কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। লাল মরিচ প্রতিমনে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং কাঁচা মরিচ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। শুরুর দিকে কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে একটু দাম কম ছিল। এখন আবার দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলায় মরিচ চাষে সাবলম্বী হচ্ছেন চাষীরা।


আরো পড়ুন:

 পার্কভিউ হসপিটালকে সনদ প্রদান 

Certification to Parkview Hospital


মেডিকেল বর্জ্য পৃথকীকরণ ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত প্রশিক্ষন কার্যক্রমে দীর্ঘ চার মাস ধরে পরিচালিত 'পাইলট প্রকল্পে' অসাধারণ কৃতিত্ব রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ চট্টগ্রাম পার্কভিউ হসপিটালকে সনদ ও ক্রেস্ট করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও জাপানি উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)।


গতকাল দুপুরে নগরীর পাচলাইশস্থ পার্কভিউ হসপিটালের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ এ টি এম রেজাউল করিমের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরী ও জাইকা প্রজেক্ট টিম লিডার মাসাহিরো সাইতো।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ এ টি এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরী। 


প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি পরিবেশ সংরক্ষণে সুশৃঙ্খল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্বারোপ করেন এবং এ লক্ষ্যে পার্কভিউ হসপিটালের অসাধারণ কর্মতৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। 


এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাইকার প্রজেক্ট টিম লিডার মাসাহিরো সাইতো, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও ৭ং ওয়ার্ড মোবারক আলী, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু, হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ, মার্কেটিং ম্যানেজার জাহেদুল ইসলামসহ পার্কভিউ হসপিটালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা- কর্মচারী।

আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)

পরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও জাপানি উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)র যৌথ উদ্যোগে পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ এ টি এম রেজাউল করিমের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।


এ সময় ডাঃ এ টি এম রেজাউল করিম প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জ্ঞান অর্জন ও কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদান করায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাদ্বয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


আরো পড়ুন:

 ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার 

150 bottles of Phensidyl and 4 kg of cannabis recovered



পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি: ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পৃথক ২টি  অভিযানে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।


পুলিশ সূত্র জানা গেছে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম রাকিবের বাড়িতে বুধবার ৯ মার্চ বিকেলে অভিযান চালিয়ে বসত ঘর থেকে তিন কেজি গাঁজা ও ১৫০ বোতল সহ একজনকে গ্রেফতার করে।


এর আগে ফেনী শহরে অবস্থিত স্টার লাইন ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন ইমাম মার্কেটের সামনে থেকে ৮ মার্চ মোঃ সাব্বির হোসেন(২৯) নামে একজনকে ১কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

গ্রেফতারকৃত মোঃ সাব্বির হোসেন কক্সবাজার টেকনাফ থানার কে,কে পাড়া'র মৃত ছবি উল্লাহ ও রাজু বেগমের ছেলে।


জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এসআই মোতাব্বির হোসেন, এসআই মো: ওসমান গনি, এএসআই আবুল কালাম ও এএসআই সামছুদ্দোহা রাসেল ও সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় পৃথক ২টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৪ কেজি গাঁজা দুইজনকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে ফেনী  মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।


আরো পড়ুন:

 হাসপাতালের বাথরুমে দেবদাসের আত্নহত্যা

Devdas commits suicide in the hospital bathroom


ঠাকুরগাঁওয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেবদাস (১৫ ) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বাথরুম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 


নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে তার বন্ধু অনির্বানকে দেখতে হাসপাতালে যায় সে। রাতে হাসপাতালের একটি বাথরুমে প্রবেশ করে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগায় সে ।

বৃহস্পতিবার ওই বাথরুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

নিহত দেবদাস পৌর শহরের ঘোষপাড়া মহল্লার উৎপল দাসের ছেলে। 


সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) তানভীরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দেবদাসের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে । এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তার মৃত্যুর কোন কারণ জানা যায়নি ।


আরো পড়ুন:

 জ্বিনের বাদশার খপ্পরে দিশেহারা মজিবর

Mojibar lost in the grip of the king of the jinn


ঠাকুরগাঁওয়ের জ্বিনের বাদশা নামক প্রতারকের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দিনমজুর মজিবর ও তার পরিবার। স্বর্ণ মূর্তির লোভে হারিয়েছেন টাকা, হয়েছেন আসামি।


জানা যায়, লোভনীয় প্রস্তাবে কোটিপতি হবার সুযোগ পায় ঠাকুরগাঁও সদরের মন্দিরপাড়া এলাকার মজিবর ও তার দরিদ্র পরিবার। প্রস্তাব পেয়ে অনেকটা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় পরিবারটি।


প্রস্তাব অনুযায়ী লাল কাপড়ে মোড়ানো সোনালী রঙ এর একটি দেবী মূর্তিও পেয়ে যায় পরিবারের কর্তা মজিবর রহমান (৫৬)। এবার শর্তে থাকা তিনটি দুম্বা কুরবানি করার পালা। কারণ শর্ত পূরণের আগে লাল কাপড়ে মোড়ানো মূর্তিটি খোলা যাবেনা। এমনকি এই ঘটনা কাউকে বলাও যাবেনা। নিয়মের বিপরীত হলেই ক্ষতি হতে পারে।


শর্তের তিনটি দুম্বার মূল্য ও যাবতীয় খরচসহ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয় আসমানি জ্বিন নিজেই। কিন্তু দিনমজুর সন্তান ও চা দোকানদার পিতার সারা জীবনের সঞ্চয় মিলেও নির্ধারিত পরিমাণ মিলছেনা। তাই বাকি টাকা লোন নিয়ে শর্ত পূরণ করে পরিবারটি।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এখন তাহলে কাপড় খুলে মূর্তিটি খোলার পালা। কিন্তু তার আগেই ফোন করে বসেন আসমানি জ্বিন। দিয়ে দেন আরও একটি শর্ত। নতুন শর্ত অনুযায়ী পরিবারের চার সদস্যের নামে বিভিন্ন টেলিকমের একটি করে মোবাইল সিম কিনে দিতে হবে। সেই অনুযায়ী নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সিম কিনে রংপুর গিয়ে সিমগুলো পৌঁছেদেন পরিবারের কর্তা।


ঘটনাটি ২০২০ সালের দিকের ঠাকুরগাঁও শহরের মন্দির পাড়া এলাকার চায়ের দোকানদার মজিবরের। লোভের বশবর্তী হয়ে নিজের জীবনে এত বড় ভুলের কথা প্রায় দুই বছর পর প্রকাশ করেন তিনি।


মজিবর রহমান বলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। তবে এই ঘটনায় আমার বড় ছেলে বাদে বাকি চারজনই জড়িয়ে পড়েছিলাম। প্রথমে আমার ছেলের বউ রুমা আক্তারকে ফোন দেয় এক বৃদ্ধ কন্ঠের লোক। নিজেকে দাবি করেন আসমানি জ্বিন হিসেবে। পরে আস্তে আস্তে এই চক্রে আমরা পরিবারের বাকি চারজন জড়িয়ে পরি। আমাদের শপথ করানো হয় বিষয়টি যেন কারো সাথে শেয়ার না করি।


মজিবর বলন, পরিবার নিয়ে আমি একটি ভাড়া বাসায় থাকি। কিছু কিছু করে একলাখ টাকা জমিয়েছিলাম নিজস্ব একটি বাড়ির জায়গা কিনার আশায়। জমানো টাকার সাথে লোন করে আরও ৮৫ হাজার টাকাসহ আমি প্রতারকের হাতে তুলে দেই। কিন্তু পরে জানতে পারি আমাকে দেয়া দেবী মূর্তিটি সোনার নয়, পিতলের ছিলো। আমি সর্বশান্ত হয়ে গেলাম।


এখানেই নিস্তার হয়নি ভুক্তভোগী মজিবরের। তার থেকে নেয়া চারটি সিম ব্যবহার করে অন্যত্র প্রতারণার কাজ চালিয়ে যায় সেই প্রতারক। পরে সেই সিমের নামে মামলা হলে, মজিবরের দরজায় আবার বিপদ এসে কড়া নাড়ে।

আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)

সবশেষে সোমবার ঢাকার সিআইডি ইউনিট থেকে জিঙ্গাসাবাদের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে তলব করা হয় মজিবরসহ বাকি তিনজনকে।


মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিআইডি কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক সিরাজ উদ্দিন জানান, এই ঘটনার সাথে পরিবারটি জড়িত। মামলার তদন্ত স্বার্থে তাদের থেকে পাওয়া তথ্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে মজিবরের পরিবারকে ডাকা হয়েছে।



আরো পড়ুন:




Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget