Latest Post



করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরতদের আন্দোলন দমনে জরুরি আইন ব্যবহারের নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

এই আইনের অধীনে আদালতের আদেশ ছাড়াই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত যে কারও ব্যক্তিগত হিসাব ব্যাংকগুলো জব্দ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


তবে জরুরি আইন স্বল্পকালীন সময়ের জন্য কার্যকর থাকবে এবং আইনটি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট উপায়ে ব্যবহৃত হবে আর এটি কার্যকরে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা লাগবে না, এমনটি বলেছেন তিনি।

তিনি জানান, আইনটি প্রয়োগ করতে পুলিশকে ‘আরও উপকরণ’ দেওয়া হবে যেন তারা বিক্ষোভকারীদের আটক ও জরিমানা করতে পারে, সংবেদনশীল স্থাপনাগুলো সুরক্ষিত রাখতে পারে।


“এটা করা হচ্ছে কানাডাকে নিরাপদ রাখতে, লোকজনের কাজ সুরক্ষিত রাখতে,” সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জরুরি আইন জারির প্রসঙ্গে বলেন ট্রুডো।


সম্মেলনে কানাডার উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, “আদালতের আদেশ ছাড়াই এখন ব্যাংকগুলো বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কারও ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে পারবে।”

বিক্ষোভে জড়িত যে কারও যানবাহনের বীমাও স্থগিত করা যাবে, বলেছেন তিনি।


কানাডার এ উপপ্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মগুলোকে হিসাবের মধ্যে আনতে কানাডার ‘সন্ত্রাসী অর্থায়ন’ আইনের আওতা বাড়াতে যাচ্ছেন।

ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম গিভসেন্টগো-র মাধ্যমে আন্দোলনরত ট্রাকচালকদের দেওয়া ৯৩ হাজার ডলার চাঁদার তথ্য হ্যাকাররা প্রকাশ করে দেওয়ার পর ফ্রিল্যান্ড এসব বললেন।

কানাডার রাজধানীতে এখনও কোভিড বিধি ও টিকা বাধ্যতামূলক বিরোধী কয়েকশ বিক্ষোভকারী অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।


রোববার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ উইন্ডসরের অ্যাম্বাসেডর সেতু থেকে টিকা বাধ্যতামূলক বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়; ওই বিক্ষোভকারীরা প্রায় এক সপ্তাহ ওই সেতুটি অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।


যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে পণ্য আনানেওয়া করা সব ট্রাকচালককে হয় টিকা নিতে হবে না হলে দেশে ফেরার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, এই নিয়মের বিরুদ্ধে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হওয়া প্রতিবাদ পরে কানাডার সব কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনে রূপ নেয়।

এ আন্দোলন তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশের পর ট্রুডো জরুরি আইন জারির পথে হাঁটলেন।


কিন্তু সমালোচকরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভারত সরকারের করা কয়েকটি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা বছরখানেক ধরে রাজধানী নয়াদিল্লির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার সময় ওই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ট্রুডো।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার রক্ষায় কানাডা তাদের (ভারতের কৃষকদের) পাশে থাকবে।”


কানাডার জরুরি আইন জারির ক্ষেত্রে বড় ধরনের আইনি বাধাও রয়েছে। ১৯৮৮ সালে পাস হওয়া এ আইন কেবল ‘জরুরি ও সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতেই’ ব্যবহার করা যাবে, যখন ‘কানাডীয়দের জীবন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ভয়াবহ বিপন্ন’ বলে মনে হবে।

এসব শর্ত পূরণ হওয়াতেই জরুরি আইন জারি হয়েছে বলে সোমবার যুক্তি দিয়েছেন কানাডার বিচারমন্ত্রী ডেভিড লামেত্তি। তবে কানাডার সিভিল লিবার্র্টিজ অ্যাসোসিয়েশন মন্ত্রীর ব্যাখ্যার সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েছে।

সরকারের জরুরি আইন জারির এ পদক্ষেপ ‘কানাডার গণতন্ত্র ও নাগরিক স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে’ বলেও সতর্ক করেছে তারা।


অটোয়ার বিক্ষোভের নেতা তামারা লিচ প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপকে অগ্রাহ্য করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, “কোনো হুমকিই আমাদের ভয় দেখাতে পারবে না।”


তবে অন্টারিওর রক্ষণশীল মুখ্যমন্ত্রী ডগ ফোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তে তার সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন।


অন্যদিকে ক্যেবেক, মানিটোবা, অ্যালবার্ডা ও সাসকাচোয়ানের মুখ্যমন্ত্রীরা বলেছেন, তাদের অঞ্চলে জরুরি আইন বলবৎ করার প্রয়োজন নেই। ট্রুডোর ঘোষণার আগেই ক্যেবেকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, জরুরি আইন ‘আগুনে ঘি ঢালতে’ পারে।

কানাডার বিভিন্ন অংশে এখনও কোভিড বিধি ও টিকা বাধ্যতামূলক বিরোধী বিক্ষোভ চলছে।


রাজধানী অটোয়ার কেন্দ্রস্থলে টানা ১৮ দিন ধরে চলা অবরোধস্থলে চার থেকে পাঁচশ ট্রাক অবস্থান নিয়ে আছে। বিক্ষোভকারীরা কুটস, অ্যালবার্টা, এমারসন ও মানিটোবার সীমান্ত ক্রসিংগুলোও আটকে রেখেছে।


সোমবার অ্যালবার্টার পুলিশ ১১জনকে আটক করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বন্দুক ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছে। কোভিড বিধি ও টিকা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে টরন্টো ও উইনিপেগের মতো শহরগুলোতেও সপ্তাহান্তে বিক্ষোভ হয়েছে।



কলেজ কর্তৃপক্ষের যুক্তি, তাঁরা কেবল আদালতের অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ পালন করছেন। ছাত্রীদের দাবি, পোশাক তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।

হিজাব-বিতর্ক নিয়ে আদালতে চলছে মামলা। আপাতত কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব-সহ ‘ধর্মীয়’ পোশাক পরে যাওয়া যাবে না বলে অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বুধবার তার মধ্যেই কর্নাটকের আর এক সরকারি কলেজে শুরু হল ‘হিজাব আন্দোলন’। সকালে হিজাব ও বোরখা পরে উত্তর কর্নাটকের বিজয়পুরার পিইউ কলেজে উপস্থিত হন কয়েক জন ছাত্রী। যদিও তাঁদের ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি। এর পরেই শিক্ষক ও ছাত্রীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাদানুবাদের একাধিক ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে।


কলেজ কর্তৃপক্ষের যুক্তি, তাঁরা কেবল আদালতের অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ পালন করছেন। অন্য দিকে, ওই ছাত্রীদের দাবি, তাঁরা কী পোশাক পরবেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দ ও অধিকারের বিষয়। তা ছাড়া তাঁরা আগেও হিজাব ও বোরখা পরেই ক্লাস করেছেন। এই পোশাক যে পরে আসা যাবে না, এ নিয়ে কলেজ কোনও নির্দেশিকা দেয়নি।

এ নিয়েই কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রীরা। পরে শ্রেণিকক্ষের পাশে একটি জায়গায় তাঁদের বোরখা ও হিজাব খুলে আসার জন্য বলা হয়। ছাত্রীরা তাতে রাজি হননি। তার আগে কলেজের প্রবেশপথেই হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের আটকান অধ্যক্ষ। তবে তাঁরা জোর করেই কলেজে ঢোকেন। ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় তাঁদের। তার পরেই ঘোরালো হয় পরিস্থিতি। ছাত্রীরা স্লোগান তোলেন, ‘আমরা বিচার চাই’। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই প্রতিবাদ।



ইউক্রেইন ঘিরে রাশিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে উত্তেজনা এবং আগ্রাসনের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ার পর ইউক্রেইন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।

মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেইন সংলগ্ন কয়েকটি এলাকা থেকে কিছু সেনা মহড়া শেষ করে ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে।


রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, দেশজুড়ে ব্যাপক-মাত্রার সামরিক মহড়া এখনও চলছে। তবে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের সামরিক এলাকার কয়েকটি সেনা ইউনিটের মহড়া শেষ হয়েছে। এসব ইউনিটের সেনারাই ঘাঁটিতে ফিরে যেতে শুরু করেছে।


তবে এই সেনাদের সংখ্যা কত তা মন্ত্রণালয় জানায়নি। আর এতে উত্তেজনা প্রশমন হবে কিনা তাও এখনও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।


ইউক্রেইন সীমান্তে রাশিয়া একলাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালাবে। তবে রাশিয়া ইউক্রেইনে হামলা চালানোর কোনও পরিকল্পনা থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকোভ বলেছেন, “সামরিক মহড়াসহ পরিকল্পনামাফিক বেশ কয়েকটি যুদ্ধের প্রশিক্ষণ মহড়াও চালানো হয়েছে।”

কিছু মহড়া এখনও চলছে, যেমন: রাশিয়া- বেলারুশ সামরিক মহড়া। এ মহড়া ২০ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের দেওয়া ভিডিও ফুটেজে ইউক্রেইন সীমান্তের কাছ থেকে কিছু ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যান সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।


মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা কিছু লোহালক্কড় ট্রাকে করে সরিয়ে নেবে আর সেনারা পদযাত্রা করে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যাবে। তবে রাশিয়ার এই কিছু সেনা সরে যাওয়াই ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমাদের শঙ্কা কাটাতে যথেষ্ট হবে কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।


ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই- একথা বিশ্বাস করতে হলে ইউক্রেইন সীমান্ত থেকে পুরোমাত্রায়ই রুশ সেনাদের সরে যেতে দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, কতসংখ্যক সেনা প্রত্যাহার করা হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছেন তারা। 


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ৩ হাজার ৯২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ।


এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হলো এবং এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৮ হাজার ৮৮৭ জন।


আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু হয় এবং নতুন করে ৪ হাজার ৭৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।


বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৩২ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৯২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৫ জন ঢাকার, ৪ জন চট্টগ্রামের, ১ জন রাজশাহী, ২ জন খুলনার, ১ জন বরিশালের, ১ জন সিলেটের ও ১ জন রংপুরের।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, `ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ‘এখনও ব্যাপক আশঙ্কা’ রয়েছে। তবে হামলা হলে মানবিক ক্ষয়ক্ষতি হবে ব্যাপক।' টেলিভিশনে দেশজুড়ে প্রচারিত এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।


রাশিয়া হামলা চালালে সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত ছিল বলে জানান বাইডেন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাশিয়া দেড় লাখের মতো সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।’


এদিকে, কিছু সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কিন্তু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। বাইডেনের ভাষায়, ‘যদি (প্রত্যাহার) হয়ে থাকে, তাহলে ভালো। কিন্তু, রাশিয়ার সেনাদল নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে—এমন তথ্য আমরা কিন্তু এখনও যাচাই করতে পারিনি।’

বাইডেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখনও তারা (রুশ সেনারা) হুমকিমূলক অবস্থানে রয়েছে। আমেরিকার জনগণ জানে যে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার কাজ কখনও বিনামূল্যে হয়নি। এটা বেদনাবিহীন হবে আমি তা ভাবছি না।’


রাশিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশে জো বাইডেন বলেন, ‘আপনারা রাশিয়ার নাগরিকেরা আমাদের শত্রু নন এবং আমি বিশ্বাস করি না যে, আপনারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ধংসাত্মক যুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চান।




অন্যদিকে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর মঙ্গলবার ‘সতর্ক আশাব্যাঞ্জক’ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ন্যাটো।


মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভকে ফোনালাপে চলমান উত্তেজনার ‘যাচাইযোগ্য, নির্ভরশীল ও অর্থপূর্ণ প্রশমনের’ আহ্বান জানান।


এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটে বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ‘মিশ্র সংকেত’ আসছে। কারণ, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা দেখিয়েছেন ইউক্রেন সীমান্তে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করছে রাশিয়া, যেটি কি না শুধু আগ্রাসনের প্রস্তুতি হিসেবেই করার কথা।


 গত শতকের আশি আর নব্বইয়ের দশকে ভারতে ডিস্কো মিউজিককে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে দেওয়া গায়ক, সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী আর নেই।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুম্বইয়ের জুহুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই সংগীত পরিচালকের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।


সংগীত জগতে একের পর এক নক্ষত্র পতনে শোকে স্তব্ধ ভারত। ৬ ফেব্রুয়ারি লতা মঙ্গেশকরের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান ঘটে। সেই শোক কাটতে না কাটতেই সুরকার, গীতিকার বাপ্পি লাহিড়ীও পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।


এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালে থাকার পর গত সোমাবারেই বাড়ি ফিরেছিলেন বাপ্পি। কিন্তু আবারও স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসককে খবর দেন। পরে তাকে মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসাপাতালে নেওয়া হয়।


হাসপাতালের পরিচালক ডা. দীপক নামজোশী পিটিআইকে বলেন, “তার অনেকগুলো শারীরিক জটিলতা ছিল। তিনি ওএসএ বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে মারা গেছেন।”


আনন্দবাজার লিখেছে, গত বছর এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। ওই সময় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন।



চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে বাপ্পি লাহিড়ীর আবির্ভাব মাত্র ১৯ বছর বয়সে। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নান্নাহ শিকারি’ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেন তিনি। ১৯৭০ এর দশকের শেষভাগে তখনকার বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার ক্যারিয়ার তুঙ্গে পৌঁছায় এবং ১৯৮০ এবং ৯০ এর দশকেও তা সমান তালে এগিয়ে যায়।


সেই সময়টায় হিন্দি ও বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল সংগীত পরিচালক ছিলেন তিনি। সিনেমা পাড়ায় সবাই তাকে ভালোবেসে ডাকতেন ‘বাপিদা’।


একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় সংগীতের ডিস্কো কিং। হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কমান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’ সিনেমায় তিনি সংগীত পরিচালনা করেছেন।


কলকাতার ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’ সিনেমার গানেও সুর দিয়েছেন; গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে ‘বাগি-৩’ সিনেমার জন্য গাওয়া ‘ভানকাস’ তার শেষ গান।


বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আব্দুল জব্বারের গাওয়া ‘হাজার বছর পরে আবার এসেছি ফিরে’ গানটির সুরকার ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। গানটি লিখেছেন গীতিকার শ্যামল গুপ্ত, যিনি সদ্য প্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী।

১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে বাপ্পি লাহিড়ীর জন্ম। আসল নাম অলোকেশ লাহিড়ী। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ও মা বাঁশরী লাহিড়ী দুজনই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। ভারতীয় চলচ্চিত্রের আরেক প্রবাদ প্রতীম গায়ক, অভিনেতা কিশোর কুমার ছিলেন তার তুতো মামা।




বাপ্পি লাহিড়ী তার পোশাকের সঙ্গে নানা সোনার গয়না পরতে ভালবাসতেন; বলতেন, ‘আমার ভগবানের নাম সোনা!’


গানের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও নেমেছিলেন। কিন্তু খুব একটা স্বস্তিকর ছিলো না সে অভিজ্ঞতা। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরে লোকসভা আসনে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান।


বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাপ্পি লাহিড়ীর গান মনে রাখবে। প্রাণবন্ত এই শিল্পীর না থাকা অনুভব করবে সবাই।   


ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের শিল্পী ও কলাকুশলীরাও জনপ্রিয় এই সুর স্রষ্টার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের তারকারাও তাদের প্রিয় ‘বাপিদা’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।





 সদ্যঃসমাপ্ত পঞ্চদশ আইপিএলের মেগা নিলামের পরই চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে 'বয়কট চেন্নাই সুপার কিংস' ট্রেন্ড। শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ায় চেন্নাইকে বয়কটের ডাক দিয়েছে সমর্থকদের একাংশ। কেউ কেউ আবার সুরেশ রায়নাকে না নেওয়ার জন্য হলুদ ব্রিগেডকে বয়কটের ডাক দেয়।

শ্রীলঙ্কার স্পিনার মাহিশ ঠিকশানাকে নিলামে দলে নিয়েছে চেন্নাই। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে তামিলদের একাংশ। একজন যেমন লিখেছেন, 'তামিলদের গণহত্যা করেছে শ্রীলঙ্কা। নারী এবং শিশুসহ প্রায় তিন মানুষকে হত্যা করেছে। প্রতিদিন আমাদের তামিল মৎস্যজীবীদের হত্যা করেছে শ্রীলঙ্কার নৌ সেনা। নৌকা বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করছে। সেই শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়কে কেনার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের লজ্জা হওয়া উচিত। '

অপর একজন লিখেছেন, 'সিংহলের সন্ত্রাসের কারণে প্রায় ২০ লাখ তামিলকে শরণার্থী হতে হয়েছে। এখনো তারা বিচার পায়নি। অথচ চেন্নাই সুপার কিংসের এক সিংহলি খেলোয়াড়ের জন্য গলা ফাটাবেন তামিলরা! অপর একজন লেখেন, 'তামিল গণহত্যাকে সাধারণ বানিয়ে দেবেন না। চেন্নাই থেকে এই সিংহলি খেলোয়াড়কে বাদ দিতে হবে। চেন্নাই সুপার কিংসে কোনো সিংহলি খেলোয়াড়কে খেলতে দেওয়া যাবে না। '


টেস্ট ক্রিকেটে ছাপ রেখে বিপিএলে আলো ছড়িয়ে এবার ওয়ানডে ক্রিকেটও রাঙানোর অপেক্ষায় মাহমুদুল হাসান জয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য ইবাদত হোসেন চৌধুরিও প্রথমবার ডাক পেলেন ওয়ানডেতে।

বাংলাদেশ সবশেষ ওয়ানডে খেলেছে গত বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে। সেই দল থেকে এবারের দলে পরিবর্তন আছে অনেক।


জিম্বাবুয়ের সফরের স্কোয়াড ছিল ১৭ জনের। সেই দল থেকে এবার ১৫ জনের স্কোয়াডে জায়গা পাননি ৭ জন। দুই নতুন মুখের সঙ্গে ফিরেছেন ৩ জন।

বাদ পড়াদের তালিকায় আছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, নুরুল হাসান সোহান, তাইজুল ইসলাম ও রুবেল হোসেন। চোটের কারণে নেই মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।


দলে ফিরেছেন ইয়াসির আলি চৌধুরি, নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাসুম আহমেদ। আগে দলে ডাক পেলেও ইয়াসির ও নাসুমের এখনও ওয়ানডে অভিষেক হয়নি।

মাহমুদুল গত মাসে নিউ জিল্যান্ড সফরে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ৭৮ রানের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের ভিত গড়ে দেন মাহমুদুল। এরপর দেশে ফিরে চলতি বিপিএলে দেখান নিজের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্যের ঝলক।

গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০ ওভারের সংস্করণে হওয়ায় ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাকে অনেক দিন দেখা যায়নি। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন মোটে ১৩টি। তবে সবশেষ যে সিরিজে খেলেছেন, সেখানে পারফর্ম করেন ঠিকই। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ৫ ম্যাচের সিরিজে ম্যান অব দা সিরিজ হয়েছিলেন ২৮৫ রান করে।

ইবাদতের ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া সেদিক থেকে খানিকটা চমকই বলতে হবে। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন তিনি মোটে ১১টি, ওভারপ্রতি ছয়ের কাছাকাছি রান দিয়ে উইকেট নিতে পেরেছেন স্রেফ ১০টি। সবশেষ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন তিনি সেই ২০২০ সালের মার্চে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।


বাদ পড়া মিঠুন সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ইনিংসে করেছিলেন ৫১ রান। দুই ইনিংসে ব্যাট করে মোসাদ্দেকের রান ছিল ৫ ও ৫, বল হাতে ছিলেন উইকেটশূন্য। ওই সিরিজেই ওয়ানডেতে ফিরে একটি মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান। সেই ম্যাচে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৫ করে দলের জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন তিনি।

রুবেল, নাঈম ও তাইজুল দলে জায়গা হারালেন সবশেষ সিরিজে কোনো ম্যাচ না খেলেই।


দলে ফেরা ইয়াসির সম্প্রতি টেস্টে ভালো করার পর দারুণ পারফর্ম করেছেন চলতি বিপিএলেও। নাসুমও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আছেন দারুণ ফর্মে। নাজমুল হোসেন শান্তর দলে ফেরাটা খানিকটা বিস্ময়ের। ৮টি ওয়ানডে খেলে এখনও তার মোট রান ১০০ হয়নি। এবার বিপিএলেও খুব ভালো করেননি।


তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি হবে চট্টগ্রামে, আগামী ২৩, ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ এই সিরিজ।

বাংলাদেশ ওয়ানডে স্কোয়াড: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহমুদুল হাসান জয়। 


বিয়ের ঠিক এক বছর নয় মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার। হারুন অর রশীদ অপুকে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ডিভোর্স দেন তিনি।

এর পর এ নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে রীতিমতো যুদ্ধ চলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের ওপর বিষোদাগারে লিপ্ত হন দম্পতি।


সেই ঘটনার দুই মাস না যেতেই নতুন করে প্রেমে পড়লেন শবনম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়ে দিলেন সে কথা।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকের সঙ্গে একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করলেন এ অভিনেত্রী। যদিও সে ছবিতে সেই যুবককে চেনার উপার নেই।


এছাড়া একই দিনে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ফারিয়া। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রসৈকতে পা ভিজিয়ে এক যুবকের কোমরে হাত রেখেছেন ফারিয়া। যুবকও কাছে টেনে নিয়েছেন শবনমকে। বিশাল সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে দুজন দুজনের দিকে ভালোবাসার দৃষ্টি বিনিময় করছেন।

সেই ভিডিওতে ফারিয়াকে ঠিক চেনা গেলেও যুবকের মুখ অস্পষ্ট।


ভিডিও ক্যাপশনে ফারিয়া লিখেছেন ‘ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে। সেখানেই যাও যেখানে তোমার আত্মার খোরাক পাবে। এখন ভালোবাসার মৌসুম, তোমরাও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করো। ’


ফারিয়ার দুটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মজেছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। কে এই যুবক সেই কৌতূহল সবার মনে। যদিও বিষয়টি রহস্যের মাঝেই রেখে দিয়েছেন ফারিয়া। নতুন প্রেমিকের পরিচয় প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না আপাতত।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন শবনম ফারিয়া। এর আগে ২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব এবং প্রেম। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল হয় তাদের।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২২’-এর উদ্বোধন করেছেন।


‘বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বইমেলা শুধু বইমেলা নয়, সকলের মিলনমেলা।’


সারাদেশে সংস্কৃতিচর্চা আরো বাড়ানোর পাশাপাশি সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।


গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণে সংযুক্ত হয়ে ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।


মেলা উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ প্রদান করেন। ১৫ জনকে বিশিষ্ট লেখক-কবি-সহিত্যিক এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।



এবারের অমর একুশে বইমেলা-২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।


বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি সচিব মো: আবুল মনসুর। আরো বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন।


সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার -২০২১’ তুলে দেন।


ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে বইমেলা শুরু হওয়ার রীতি থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার কাঙ্ক্ষিত অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে মাসের মাঝামাঝিতে।

সোমবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ৩৮তম এই বইমেলা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে মেলার মেয়াদ বাড়ানোর আভাস দিয়েছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার মেলা উদ্বোধনকালের ভাষণে সকলের সাথে আলোচনাসাপেক্ষ একে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলার ইঙ্গিত দেন।


ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই বইমেলা খোলা থাকবে। রাত ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় মোট ৩৫টি প্যাভিলিয়নসহ একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিটসহ মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বইমেলায় প্রবেশ ও বাহির পথে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলার এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। প্রবেশ ও বাহির পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ।

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে চারটি প্রবেশপথ ও তিনটি বাহির পথ জনসাধারণের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য থাকছে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো ও রাষ্ট্রীয় সম্মানপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।


বরাবরের মতো বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভেলিয়ন, শিশুকিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য একটি এবং সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকার এর জন্য একটি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবার শিশুচত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে রাখা হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রথমদিকে ‘শিশু প্রহর’ থাকছে না।


অন্যদিকে, লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়ে উদ্যানের এম্ফিথিয়েটারের পূর্বদিকে মেলার মূল প্রাঙ্গণে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মোট ১২৭টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।


বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটি একটি প্যাভিলিয়ন নিয়েছে। এই প্যাভেলিয়নটি ইতোমধ্যে অনন্যরূপে সাজানো হয়েছে।


বইমেলা আরো প্রাণবন্ত ও জমজমাট করতে এবং লেখকদের উৎসাহ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। অমর একুশে বইমেলা-২০২২-এর প্রচার কার্যক্রমের জন্য একাডেমিতে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুটি তথ্যকেন্দ্র রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে বইমেলায় মিডিয়া সেন্টার রয়েছে তথ্যকেন্দ্রের উত্তরপাশে।

বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এটুআই’ কর্তৃপক্ষ বইমেলায় তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, তথ্য কেন্দ্রের সর্বশেষ খবরাখবর এবং মেলার মূল মঞ্চের সেমিনার প্রচারের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া থাকছে সার্বক্ষণিক ওয়াই-ফাই সুবিধা।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার

পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছেন- আসাদ মান্নান, বিমল গুহ (কবিতা); ঝর্ণা রহমান, বিশ্বজিৎ চৌধুরী (কথা সাহিত্য); হোসেন উদ্দিন হোসেন (প্রবন্ধ/গবেষণা); আমিনুর রহমান, রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী (অনুবাদ); সাধনা আহমেদ (নাটক); রফিকুর রশীদ (শিশু সাহিত্য); পান্না কায়সার (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা); হারুন-উর-রশিদ (বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণা); শুভাগত চৌধুরী (সায়েন্স ফিকশন/এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স), সুফিয়া খাতুন, হায়দার আকবর খান রনো (আত্মজীবনী/ভ্রমণকাহিনী) এবং আমিনুর রহমান সুলতান (লোককাহিনী)।


নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ জমা দেওয়ার আগেও যদি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নাম প্রস্তাব করে তাহলে সেটি বিবেচনায় নেবে সার্চ কমিটি। 

মঙ্গলবার বিকালে চারজন সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকে সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের এই অভিমত জানান।


আজকের সভায় যোগ দিতে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকে অংশ নেওয়া সাংবাদিকেরা হলেন- চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ। 


বৈঠক শেষে বেরিয়ে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও নঈম নিজাম বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ জমা দিতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সার্চ কমিটির সময় রয়েছে। তারা তাড়াহুড়া করবেন না। সময়মতো সুপারিশ জমা দেবেন। এর মধ্যে এখনো নাম প্রস্তাব না করা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেউ প্রস্তাব জমা দিলে- তা বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির সদস্যরা আমাদের বলেছেন।

এর আগে গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দফায় বেলা সোয়া ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিশিষ্টজনদের মতামত নেয় সার্চ কমিটি। বিশিষ্টজনদের মতামত নিতে পরের দিন রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালেও বৈঠক হয়। 


দু’দিনের সভায় অধ্যাপক, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি, সরকারি সাবেক কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।


‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠন হয়। ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণভাবে নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানানো হয়।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৮৭২ জনের।

একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৭৪৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১০২ জন।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৪১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ তিন হাজার ৩০৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ১৭৫টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৫৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৫টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন ২১ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। মৃত ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের দুইজন রয়েছেন। মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ২৮ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ছয়জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৮১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৩১১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৮ হাজার ৬৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।


ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের চলমান উত্তেজনার মধ্যে ক্রেমলিনকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখার জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হুমকি-ধমকি দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থামাতে চাইছেন জো বাইডেন। ইউক্রেনে হামলা হলে রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের এত মরিয়া প্রচেষ্টার কারণ কী, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা হলে রাজনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বাইডেন। তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে তাঁর শক্তিমত্তা ও সাহস নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর সর্বোপরি দেশটির মধ্যবর্তী নির্বাচনের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান গত রোববার আশঙ্কা জানিয়েছেন, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপক জ্যাক ট্যাপারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুলিভান বলেন, যেভাবে রাশিয়া তাদের বাহিনী মোতায়েন করেছে, মহড়া চালিয়েছে, তাতে বলা যায়, শিগগিরই বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে তারা।


সুলিভান জানান, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা ছোড়ার মধ্য দিয়ে হামলা শুরু হতে পারে। আর তাতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

সুলিভান বলেন, ‘রাশিয়া যদি অগ্রসর হয়, তবে আমরা ন্যাটোভুক্ত অঞ্চলগুলোকে সুরক্ষা দেব। এর জন্য রাশিয়াকে মূল্য চুকাতে হবে। আমরা নিশ্চিতভাবেই তা করে দেখাব। কারণ, ৩০ বছর আগের তুলনায় পশ্চিমা বিশ্ব এখন অনেক শক্তিশালী, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং অনেক বেশি ফলপ্রসূ। সামরিক পদক্ষেপের জন্য রাশিয়াকে শেষ পর্যন্ত উল্লেখজনকভাবে কৌশলগত মূল্য চুকাতে হবে।’


ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য দেশটিতে সরাসরি সেনা পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশ নয়। সুতরাং রাশিয়া ও মার্কিন সেনাদের মধ্যে সরাসরি সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া ও পোল্যান্ডে সেনা মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। একসময় আয়রন কারটেনের (লোহার পর্দা) মধ্যে থাকা পোল্যান্ড ও রোমানিয়া এখন ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্র। আয়রন কারটেন হলো ইউরোপকে দুটি আলাদা অঞ্চলে বিভক্তকারী রাজনৈতিক সীমারেখার নাম। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি থেকে ১৯৯১ সালে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এ আয়রন কারটেন ছিল।

পররাষ্ট্রনীতির ওপর প্রভাব

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নীতিমালার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। জনগণ নিজেরাই নিজেদের নেতাকে বেছে নেবে, এমন নীতির ওপর ভিত্তি করেই দশকের পর দশক ধরে পররাষ্ট্র নীতিমালা পরিচালনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সিএনএনের প্রতিবেদনে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ঘটনা চীনকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুপ্রাণিত করবে। আর চীন এমনটা করলে বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা হবে ইউক্রেনে রুশ অভিযানের চেয়ে বড় যুদ্ধ। তবে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে দেশের অভ্যন্তরীণ ধাক্কা সামলাতে হবে সবার আগে। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে। আর তাতে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাইডেন ও তাঁর ডেমোক্রেটিক পার্টির ওপর এর প্রভাব পড়বে।


গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ রাশিয়াকে ‘দ্রুত ও সন্দেহাতীতভাবে’ সাজা দেবে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে পাল্টে দিতে পারে। আর তা বাইডেনের জন্য আরেকটি সংকট তৈরি করবে।

৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো দুই বড় পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি এ ক্ষেত্রে রুশদের শাস্তি কিংবা হত্যার মতো পদক্ষেপ নেয়, তবে উত্তেজনা আরও বাড়বে। কংগ্রেসে কেউ কেউ আহ্বান জানিয়েছেন, ১৯৮০–এর দশকে আফগানিস্তান থেকে মস্কোকে তাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে অর্থায়ন করেছিল, সেই একই কায়দায় ইউক্রেনের বিদ্রোহীদেরও অর্থায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে। বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিতে ব্যাঘাত ঘটানোর সক্ষমতাও রয়েছে দেশটির।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা হলে তেলের মূল্য বেড়ে যেতে পারে। আর তা যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িচালকদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক হবে। গ্যাসের উচ্চ মূল্যের কারণে ইতিমধ্যে বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমতে দেখা গেছে। আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গ্যাসের গড় মূল্য ৩ দশমিক ৪৮ ডলার। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮২ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতির হার এটি।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের ওপর প্রভাব

রিপাবলিকানরা ইতিমধ্যে বাইডেনকে দুর্বল ব্যক্তি হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। প্রমাণ করতে চাইছে, ইউক্রেনে রুশ হামলা ঠেকাতে পুতিনকে রাজি করাতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, আফগানিস্তান থেকে তাড়াহুড়ো করে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘটনা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানানোর অনুপ্রেরণা পেয়েছেন পুতিন। ট্রাম্পের দাবি, তিনি হলে এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে পুতিনকে বিরত রাখতে পারতেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভালো করে চিনি। তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি।’


ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর ক্ষমতাকালীন প্রশাসনের মতো করে অন্য কোনো মার্কিন প্রশাসনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এতটা কঠোর হতে পারেনি।

ট্রাম্পের এসব বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযান চালালে বাইডেনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানরা কেমন প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে বাইডেনকে দুর্বল ও অযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করে নিজেদের পক্ষে প্রচার চালানোর সুযোগ পাবে রিপাবলিকান শিবির। তারা বোঝাতে চাইবে, ট্রাম্পের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে ফেলেছে বিশ্ব।

শনিবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের সময় তাঁকে সতর্ক করেছেন বাইডেন। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করে, তাহলে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে সিএনএনের প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, বারবার দেওয়া এসব সতর্কতার কারণে বাইডেনের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ, পুতিন যদি এসব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে দেন, তখন বিতর্কের মুখে পড়তে পারেন বাইডেন। কিছু করতে না পারার অভিযোগ উঠতে পারে তাঁর বিরুদ্ধে।

করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাস ও মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিস্থিতিকে বাইডেনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চায় রিপাবলিকানরা। এমন অবস্থায় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা হলে বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রচারণার সুযোগ পাবে তারা।

বাইডেনের জনপ্রিয়তার ওপর প্রভাব

গত সপ্তাহে প্রকাশিত সিএনএন/এসএসআরএস প্রকাশিত এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমে ৪১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনে রুশ হামলা হলে সংকট আরও বাড়তে পারে। মার্কিন ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যেসব প্রেসিডেন্ট এ ধরনের সংকটে পড়েছেন, তাঁরা প্রথম মেয়াদের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সিএনএন পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৪৫ শতাংশ ডেমোক্রেটিকপন্থী ও ডেমোক্রেটিক–সমর্থক ভোটার ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনকে আবারও দেখতে চান। ৫১ শতাংশ চান, অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

ট্রাম্পের জন্য এর চেয়ে ভালো খবর আর হতে পারে না। ৫০ শতাংশ রিপাবলিকানপন্থী ও রিপাবলিকান–সমর্থক ভোটার চান, ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দল থেকে মনোনয়ন পান। রিপাবলিকানদের মধ্যে বিকল্প প্রার্থী চান ৪৯ শতাংশ মানুষ।

এমন অবস্থায় এখন বাইডেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ করতে সফল প্রচেষ্টাও চালান এবং ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়াকে কঠোর শাস্তিও দেন, তারপরও তিনি ভোটারদের খুব একটা আকর্ষণ করতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। বরং পুতিন যদি শেষ মুহূর্তে এসে হামলা না করেন এবং ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনাদের সরিয়ে নেন, তাহলে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাইডেন প্রচার করতে পারবেন যে শক্তিমত্তার কারণে রাশিয়া পিছু হটেছে। তবে পুরোদমে হামলা না করলেও ইউক্রেনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে চাইবেন পুতিন। আর তাঁর এমন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র ও বাইডেনের মাথাব্যথার কারণ হয়েই থাকবে।


শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে নারীদের অংশগ্রহণে সমতা অর্জন হয়ে গেছে বা হচ্ছে, এ খবর পুরোনো। কিন্তু শুধু শিক্ষায় অংশগ্রহণেই নয়, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলেও এখন ছাত্রীরা এগিয়ে থাকছেন। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলেও ছাত্রদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন ছাত্রীরা। শুধু পাসের হারেই নয়, ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এবার মেয়েরা এগিয়ে আছেন।

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল আজ রোববার প্রকাশ করা হয়েছে। বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তরের পর তিনি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। পরে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন শুধু এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭।

ছাত্রছাত্রীদের ফলাফলের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় ছাত্রীদের পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা গড় পাসের হারের চেয়েও বেশি। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা গড় পাসের হারের চেয়ে কম।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট ১১ লাখ ১৫ হাজার ৭০৫ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণের দিক দিয়েও ছাত্রীরা এগিয়ে ছিলেন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ছিলেন ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৪, বাকিরা ছাত্র। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৪২ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৯, আর ছাত্র ৫ লাখ ২০ হাজার ৭১৩।

অন্যদিকে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন, যাঁদের গড় নম্বর প্রতিটি বিষয়ে ৮০ থেকে ১০০–এর মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ৯৮ হাজার ৪০৩, আর ছাত্র ৮০ হাজার ১১৯।

শুধু এবারই ছাত্রীরা ভালো করেছেন তা নয়। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, পাসের হারে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকছেন। ছাত্রীদের ভালো করার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞেরা বলে আসছেন, এখন পরিবারগুলোর মধ্যে আগের চেয়ে সচেতনতা বেড়েছে। এখন আগের মতো মেয়েদের আলাদা চোখে দেখা হয় না। আবার বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারের উদ্যোগ যেমন আছে, তেমনি উপবৃত্তিসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার চেষ্টাও আছে। তুলনামূলকভাবে পড়াশোনায় ছাত্রীরা যত্নবান বেশি। সবকিছুর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পরীক্ষার ফলে।


২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের সাধারণ ৯ টি শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে যশোর শিক্ষাবোর্ড প্রথম এবং কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে।


যশোর শিক্ষাবোর্ডে সবচেয়ে বেশি ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ এবং কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।

এবারের পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৫শ’ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৩ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং ৩ হাজার ৩৩৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে। অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।

পাসের হারের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড। পাশের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

আরো পড়ুনঃ শুধু পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে মোট ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে ছাত্র ৫৩ হাজার ৩১ জন এবং ছাত্রী ৬৪ হাজার ৪৩৫ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী। এই বোর্ডের অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২ হাজার ৯০৭ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৮০ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।


এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৬২১ টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

স্বাভাবিক সময়ে গত বছরের এপ্রিলে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়।


সূত্র : বাসস


 এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নয় হাজার ১১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু পাঁচটি এমন রয়েছে—যেখানে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। আর, এক হাজার ৯৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে।

চট্টগ্রাম বোর্ডের দুটি, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের দুটি ও ময়মনসিংহ বোর্ডের একটি—মোট পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেনি বলে জানা গেছে।


এবার সারা দেশে দুই হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে শতভাগ পাস এসেছে—ঢাকা বোর্ডের এক হাজার সাতটির মধ্যে ১৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, রাজশাহী বোর্ডের ৭৫৯টির মধ্যে ১৬২টিতে, কুমিল্লা বোর্ডে ৪০৭টির মধ্যে ৭৫টিতে, যশোর বোর্ডে ৫৭৪টির মধ্যে ১১৬টিতে, চট্টগ্রাম বোর্ডে ২৬৭টির মধ্যে ১৬টিতে, বরিশাল বোর্ডে ৩৩০টির মধ্যে ৫৬টিতে, সিলেট বোর্ডে ২৯৯টির মধ্যে ৫৩টিতে, দিনাজপুর বোর্ডে ৬৬৭টির মধ্যে ৫৩টিতে, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২৭৫টির মধ্যে ২৯টিতে, মাদরাসা বোর্ডে দুই হাজার ৬৯১টির মধ্যে এক হাজার তিনটিতে এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এক হাজার ৮৩৫টির মধ্যে ১৯৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সেকেন্ড টাইম’ ভর্তির পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী

আজ রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন।


উচ্চ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীকে ভর্তি করার সুযোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  


এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে রোববার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধে ভর্তিচ্ছুদের দাবির মধ্যেই ইতিবাচক মত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।


দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমরা যদি একেবারে বৈশ্বিক পরিস্থিতি, বিশ্বমানের কথা চিন্তা করি তাহলে আসলে কোনো ‘বার’ থাকার কথা না। কিন্তু আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক করেছে একবারের বেশি না, আগে দুবার দেওয়া যেতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একবার দেওয়ার পর আরও সুযোগ ছিল। এখন সেই সুযোগ রাখা হচ্ছে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তারা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। 

আরো পড়ুনঃ শাহজালালে ভিসির পদত্যাগ আন্দোলন প্রত্যাহার

আমরা বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি ও ইউজিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ‘আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের সুযোগ যদি বাড়াই তাতে তো অসুবিধা নেই। আপনি যে মেধার শিক্ষার্থী নেবেন আপনি তো সেই মেধার শিক্ষার্থী নিচ্ছেন। আপনি তো তার থেকে মেধার মান কমিয়ে নিচ্ছেন না। আপনি যদি একাধিক সুযোগ দিয়ে একই মেধার শিক্ষার্থীকে নেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি থাকা উচিত না। আমরা যেমন কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের যে বাধা ছিল সেটাও তুলে দিয়েছি। ’


তিনি বলেন, আমরা যারা বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় পড়ার সুযোগ পেয়েছি, বিভিন্ন বয়সে পড়েছি। সেখানে কোথাও কখনও বয়স, কতদিন মাঝখানে ব্রেক অব স্ট্যাডি আছে- এগুলোর কোনোটাই কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াইনি। আমাদেরও এক সময় হয়তো সেই জায়গায় যেতে হবে। এখন সেটা কি এখনই যেতে পারবো নাকি আরও কিছু সময় লাগবে সেটা হয়তো আমাদের বিবেচনার বিষয়। শিক্ষাকে সবার জন্য যেন আমরা যে কোনো পর্যায় থেকে যে কেউ একটা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায় সেই সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে।   


এর আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন।


নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটিতে (সার্চ কমিটি) নাম  দেবে না বিএনপি। সোমবার রাতে সমকালকে এ কথা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


তিনি বলেন, ইসি গঠনে অনুসন্ধান কমিটিতে নাম দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এমন ইসি গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা একমত নই। নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে রয়েছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই ইসি গঠন প্রক্রিয়া জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। ২০১৮ সালের মতো আরেকটি কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। 


এর আগে রোববার বিকেলে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারের প্রস্তাবিত নামের তালিকা জমা দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আরও একদিন সময় বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিএনপির কাছেও নাম চেয়েছেন। 

আরো পড়ুনঃ বড় দল’ বিএনপির কাছেও নাম চায় সার্চ কমিটি

সার্চ কমিটির সভাপতির এ আহ্বানে বিএনপি নাম দেবে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির এ অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন দলটির মহাসচিব। বিশিষ্টজনদের সঙ্গে রোববারের বৈঠকের শুরুতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সার্চ কমিটিতে নাম জমা না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও একদিন সময় দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। 

সার্চ কমিটি প্রধানের ঘোষণা অনুযায়ী, এখন ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে বাকি ১৫টি সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত নাম প্রস্তাবের সুযোগ পাবে। 


গত শুক্রবার প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ৩০৯ ব্যক্তির নাম জমা পড়ে সার্চ কমিটিতে। নিবন্ধিত দুই ডজন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছয় পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে এসব নাম প্রস্তাব করা হয়। এসব নামসহ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত যেসব নাম প্রস্তাব করা হবে, সেসব নামের তালিকা সার্চ কমিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। 


এদিকে মঙ্গলবার সাড়ে ৪টায় সার্চ কমিটির পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 


সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারের প্রস্তাবিত নামের তালিকা জমা দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আরও একদিন সময় বাড়িয়ে সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিএনপির কাছেও নাম চেয়েছেন।

রোববার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি নাম জমা না দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও একদিন সময় দেওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।


সার্চ কমিটির বেঁধে দেওয়া সময় ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নামের সুপারিশ করেছে।


সার্চ কমিটি প্রধানের ঘোষণা অনুযায়ী, এখন ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে বাকি ১৫টি সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত নাম প্রস্তাবের সুযোগ পাবে। এতে করে বিএনপি চাইলে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাদের নাম প্রস্তাব করতে পারবে।

এর আগে বিএনপি সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব করবে না বলে জানিয়েছিল। দলটির নেতারা বলেছিলেন, এ সার্চ কমিটিতে নাম দেওয়া ‘অর্থহীন’, কারণ তাদের বিশ্বাস, সার্চ কমিটি সরকারের ‘মর্জি মতই’ নাম প্রস্তাব করবে।


রোববার বৈঠকের শুরুতে সার্চ কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপিত ওবায়দুল হাসান বলেন, যেসব দল নাম জমা দেয়নি তারা চাইলে সোমবার বিকাল ৫টার মধ্যে দিতে পারবে।

বিএনপিকে দেশের একটি বড় দল হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “বিএনপি, সিপিবি, বাসদ- তারা এখনও নাম জমা দেয়নি, তারা যদি দিতে চান আগামীকাল ৫টার মধ্যে তাদের জন্য সময়টা বর্ধিত করলাম। আশা করি, তারা পজেটিভ রেসপন্স করবে।”

আরো পড়ুনঃ সরকারের সুবিধাভোগীরা নির্বাচন কমিশনে নয়

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করতে সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের নামের তালিকা সংগ্রহ করছে।    


গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন’ এর আলোকে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।আইন অনুযায়ী, ইসি গঠনে নামের সুপারিশ চূড়ান্তের জন্য সার্চ কমিটির জন্য সময় ১৫ দিন।


গত শুক্রবার প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ৩০৯ ব্যক্তির নাম জমা পড়ে সার্চ কমিটিতে। নিবন্ধিত দুই ডজন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছয় পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে এসব নাম প্রস্তাব করা হয়।

সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আইন অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিতদের মধ্যে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি। তাদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বেছে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশন।


সেই ইসির ওপরই থাকবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার।


আইন প্রণয়ন ও সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে এবারও শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছে বিএনপি। এবার আমন্ত্রণ পেয়েও দলটি রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি, সার্চ কমিটিতে নাম জমা দেয়নি।

নতুন ইসি নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশ জনগণ ‘ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


ইসি গঠনে সার্চ কমিটির নামে সরকার ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠন করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


দলটির আরেক নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্তব্য করেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই সার্চ কমিটি গঠনের নামে সরকার ‘নাটক’ করছে।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget