Articles by "COVID-19"


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯১ জনে।

একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮২৬ জনে।   


শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


আগের দিন (শুক্রবার) ২৭ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ২৬৮ নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 


দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। 


ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। 


এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।


২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ। 


ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। 


রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৪৪ জনে।


একই সময় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ২৬৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৫ জনে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খান স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯টিতে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এ সময়ে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১১ হাজার ৪৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৮ জন।


গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২ জনের, চট্টগ্রামে ৬, রাজশাহীতে ৫, খুলনা ও রংপুরে ৩ জন করে এবং সিলেটে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


দেশে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিস্তারের মধ্যে গত এক দিনে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২১ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, সেদিন ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে গতকাল পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২৮ হাজার ৬৭০ জন।


এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মোট মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৬৯ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ হাজার ৭৯১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ হাজার ১০৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ৬৭৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৬৩ জন, সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৩০১ জন, রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৩৯২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ৮৭৩ জন।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৩৫৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১০ হাজার ৮০০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৭২৮ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। আগের দিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার ২১৭ জন। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে সক্রিয় রোগী কমতে শুরু করেছে।


ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার গত ২৮ জানুয়ারি ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছিল। তা কমতে কমতে মঙ্গলবার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ০৩ শতাংশে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। 

আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬২১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৭ শতাংশের বেশি। 

গত এক দিনে যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুই জন, খুলনা বিভাগের ১৩ জন, রংপুর বিভাগের এক জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন এক জন।


দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬৭০ জনে। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আট হাজার ৩৫৪ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জনে।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বরও করোনায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনাক্তের হার ২০.০৩ শতাংশ।  

এর আগে গতকাল সোমবার করোনায় ৩৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিন করোনা শনাক্ত হয় ৯ হাজার ৩৬৯ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৬৯৮টি। শনাক্তের হার ২০.০৩ শতাংশ। এদিন সুস্থ হয়েছে আরো ১০ হাজার ৮০০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন।

এতে আরো বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছে সর্বোচ্চ ১৫ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১১, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ১৩, রংপুরে ১ ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।


দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিস্তারের মধ্যে একদিনে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২০ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ গতবছরের ১৯ সেপ্টেম্বর, সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে নয় হাজার ৩৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৯০১ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন নয় হাজার ৫০৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ২১৭ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা আক্রান্তরা এই হিসাবেই আসেনি।

গত বছরের অগাস্টের পর গত সোমবার প্রথমবারের মত দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়ায়। ১৫ জানুয়ারি এই সংখ্যা ছিল ৩১ হাজারের ঘরে।

ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে এবার মৃত্যুর সংখ্যা গতবছরের ডেল্টার প্রাদুর্ভাবের সময়ের তুলনায় কম হলেও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছায় গত ২৮ জানুয়ারি।

সোমবার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার নেমে এসেছে ২১ দশমিক ০৭ শতাংশে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শ‌নাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ছয় হাজার ৭২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশের বেশি।

যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ, ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়জন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন দুইজন।

তাদের ২৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি তা ১৮ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৭ লাখ ৪১ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ।



গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময়ে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে ৯ হাজারের নিচে এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৫৬০ জন মারা গেলেন।+

ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৫৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ জন।

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ১৭ জন। তাদের নিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৬৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ দুই হাজার ২৬১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।


শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক চার শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ জন আর নারী ১৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ২৩৫ জন আর নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ৩২৫ জন।

মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে বয়সীদের। এ বয়সের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। এরপর আটজনের মৃত্যু হয়েছে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছিলেন সাতজন, ছয়জন ছিলেন ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

৩১ থেকে ৪০ বছর আর ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিলেন দুইজন করে আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন একজন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই রয়েছেন ২৫ জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন দুইজন করে, খুলনা বিভাগের তিনজন আর রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের আছেন একজন করে।

মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৭ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৯ জন।


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৬০ জনে।

একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৫৯ জনে। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৩। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ জনে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

করোনায় নতুন করে মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী। এছাড়া ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২৫ জন। চট্টগ্রামে ২, রাজশাহীতে ১, খুলনায় ৩, সিলেটে ১, রংপুরে ২ এবং ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ১৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জন।

এছাড়া একই সময়ে সারাদেশে ৩৪ হাজার ৭৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩৫ হাজার ৭৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর একই বছরের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ৯ হাজার ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ জনের করোনা শনাক্ত হলো এবং এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৮ হাজার ৫২৪ জন।

আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৩৯ হাজার ৪৪৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ হাজার ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী।

তাদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকার, ৫ জন চট্টগ্রামের, ৩ জন সিলেটের, ২ জন রাজশাহীর, ২ জন খুলনার ও ১ জন বরিশালের বাসিন্দা।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১১ হাজার ৫৯৬ জনের। শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।


দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এ নিয়ে টানা পাঁচ দিন করোনায় মৃত্যু হচ্ছে ৩০-এর ওপরে। আজকের ৩৩ জন নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ৪৯৪ জন হলো।

এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৯৬ জন।

এ নিয়ে দেশে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৬ জনে।

এর আগে রবিবার করোনায় ৩৪ জন, সোমবার ৩১ জন, মঙ্গলবার ৩১, বুধবার ৩৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

এদিকে গতকাল বুধবার দেশে করোনায় ৩৬ জনের মৃত্যু ও নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১২ হাজার ১৯৩ জন। শনাক্তের হার ছিল ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪৪ হাজার ৮৫৮টি। পরীক্ষা করা হয় ৪৪ হাজার ৮৪৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এতে আরো বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৮ জন। চট্টগ্রামে ২, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৬, সিলেটে ২ ও রংপুরে ১ জন মারা গেছেন।


দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে। সর্বশেষ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ১২ হাজার ১৯৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। 
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। আর ১৩ হাজার ১৫৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ১৩ হাজার ৫০১ জন নতুন রোগী শনাক্ত ও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। আর ১২ হাজার ১৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। 

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জনে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৪৬১ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। আর প্রথম মৃত্যু হয় একই বছরের ১৮ মার্চ।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ৬ ফেব্রুয়ারির পর আরও দুই সপ্তাহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পর আংশিকভাবে পুনরায় শিক্ষাকার্যক্রম শুরুর আভাস পাওয়া গিয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষাসংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের কারণে ৬ ফেব্রুয়ারির পর আংশিকভাবে পুনরায় শিক্ষাকার্যক্রম শুরুর আভাস মেলে।

এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু স্থগিত পরীক্ষা ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অধিক প্রতিযোগিতাপূর্ণ ভর্তি পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম মেডিক্যাল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষারও তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, জানুয়ারি মাসের পুরো সময়টাই মূলত শিক্ষার্থী ভর্তি ও বই বিতরণের কাজে চলে যায়। কিন্তু এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় অনেক কাজেই বিলম্বিত হচ্ছে।

তবে ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখের পর অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম পুনরায় শুরুর অনুমতি চান প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। একই সঙ্গে আসন্ন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের স্বল্পপরিসরে ক্লাস শুরুরও দাবি জানান অভিভাবকদের অনেকে।




করোনাভাইরাসে  আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৯৪ জনে।

একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫০১ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৩ জনে।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪৫ হাজার ২৮৪টি। পরীক্ষা করা হয় ৪৫ হাজার ৩৫৮টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ২১৩ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ২, রাজশাহীতে ১, খুলনায় ৫, সিলেটে ১, রংপুর ৩ ও ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।


ওমিক্রনের প্রভাবে টানা চারদিন ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হবার পর পঞ্চম দিনে রোগী সংখ্যা কমে এসেছে। কমেছে নমুনা পরীক্ষাও। শনাক্ত রোগী সংখ্যা কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়েও বেশি মৃত্যু হয়েছে।  ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হারও ৩১ শতাংশের ওপরে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (২৮ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা ) করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭৮ জন। শুক্রবার ১৫ হাজার ৪৪০ জন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর। এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি ১৫ হাজার ৮০৭ জন, ২৬ জানুয়ারি ১৫ হাজার ৫২৭ জন আর ২৫ জানুয়ারি ১৬ হাজার ৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

নতুন শনাক্ত হওয়া ১০ হাজার ২৩০ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত করোনাতে মোট শনাক্ত হলেন ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ২০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩২৯ জন মারা গেলেন।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ১০৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন বলে জানাচ্ছে অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৩ হাজার ২৩০টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৭৩টি। যেখানে শুক্রবার ৪৬ হাজার ২৯২টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৬ হাজার ২৬৮টি  নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩১৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৩৬১টি। দেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী সাত জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ১০২ জন,  নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ২২৭ জন।

গত ২৪  ঘণ্টায় মতদের মধ্যে  ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ছয় জন।  ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী পাঁচ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী চার জন আর ৫১ থেকে ৬০ ও ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী তিন জন করে। ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ মানুষের মৃত্যু হয়েছে; ১২ জনের। এরপর চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের দুজন করে আর রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন একজন করে। মৃতদের মধ্যে ১৮ জনেরই মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আর বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।


করোনা মহামারিকালে দেশে রোগী শনাক্তের হারে নতুন রেকর্ড হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ভয়ংকর ডেল্টার তাণ্ডব সময়ের শনাক্তের হারের রেকর্ডকে পেছনে ফেলে অতি সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কবলে পড়ে দেশে শনাক্তের হারের এ রেকর্ড হলো।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর আগে গত বছরে ডেল্টার সময়ে ২৪ জুলাই শনাক্তের সর্বোচ্চ হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৪০ জন। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো নতুন শনাক্ত ১৫ হাজারের বেশি।

গতকাল (২৭ জানুয়ারি) ১৫ হাজার ৮০৭ জন, তার আগের দিন বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ১৫ হাজার ৫২৭ জন ও মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ১৬ হাজার ৩৩ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অধিদফতর।

নতুন শনাক্ত হওয়া ১৫ হাজার ৪৪০ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৩০৮ জনের মৃত্যু হলো বলেও জানাচ্ছে অধিদফতর।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৩২৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলেও জানাচ্ছে অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৬ হাজার ২৯২টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ হাজার ২৬৮টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৫টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৪ লাখ ১১ হাজার ৮১২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৩টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে পুরুষ আট জন আর নারী ১২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৮৮ জন অর নারী ১০ হাজার ২২০ জন।

তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের। এ বয়সের মারা গেছেন সাত জন। এরপর ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ জন, ১১ থেকে ২০ আর ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন দুই জন করে আর শূন্য থেকে ১০ বছর, ২১ থেকে ৩০ বছর, ৬১ থেকে ৭০ বছর আর ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন একজন করে।

২০ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ৯ জন। এরপর ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন পাঁচ জন, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে মারা গেছেন দুই জন করে আর বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন একজন করে। তাদের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। বাকি তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি রোগী। এ নিয়ে টানা তিন দিন ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ শতাংশের বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮০৭ জন। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ১৫ হাজার ৫২৭ জন ও মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ১৬ হাজার ৩৩ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অধিদফতর।

সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হলেন ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ২৮ হাজার ২৮৮ জন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৯ হাজার ৫৭৯টি, পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪২৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৬৭৭টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৯০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।


স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, ১০ জন নারী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৮০ জন আর নারী ১০ হাজার ২০৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী চার জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ আর ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী দুজন, ১১ থেকে ২০, ২১ থেকে ৩০, ৩১ থেকে ৪০ এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী একজন করে। 

অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগের। এ বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আট জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জন, রাজশাহী বিভাগের দুজন আর বরিশাল ও রংপুর বিভাগের মারা গেছেন একজন করে।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। বাকি সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।


দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে এক ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। 

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি ও বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ডেলটা ধরনের পাশাপাশি অধিকতর সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হচ্ছে।’

রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে অমিক্রনের ধরন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘ওমিক্রনের অন্য উপসর্গ কী আছে, তা বের করতে কাজ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এর জন্য একটি ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে।’


নতুন বছরের প্রথম দিন আগের ২৪ ঘণ্টায় (১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৩৭০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেদিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তে হার ছিল দুই দশমিক ৪৩ শতাংশ। 

একই সময়ে চার জনের মৃত্যুর কথাও জানানো হয়। আর তিন সপ্তাহ শেষে গতকাল রবিবার (২৩ জানুয়ারি) অধিদফতর জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় (২৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯০৬ জনের। এ সময়ে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর এ সময়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ১ জানুয়ারিতে দেশের ৪৪ জেলায় নতুন রোগী শনাক্ত ছিল না। বাকি জেলাগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র ঢাকা জেলা ছাড়া বাকিগুলোতে রোগী ছিল এক অংকের সংখ্যায়। আর ২৩ জানুয়ারিতে অধিদফতর জানাচ্ছে, ৬৪ জেলার মধ্যে মাত্র পাঁচ জেলায় এক অংকের ঘরে রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

বাকি জেলাগুলোর মধ্যে চার অংকের সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে দুই জেলায় আর তিন অংকের সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে আট জেলায়। বাকি জেলাগুলোতে রোগী সংখ্যা দুই অংকের ঘরে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরের বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জন ভাইরাসটিতে শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এর ঠিক ১০ দিন পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথাও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। 

এরপর প্রায় দুই বছর ধরে চলা এ মহামারির সংক্রমণচিত্রে বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা চিত্র দেখেছে দেশ। তবে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা দেখা গিয়েছে বছরের জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে। 

করোনার ধরন ডেল্টার তাণ্ডবে সেসময়ে দেশ একদিনে সর্বোচ্চ রোগী আর সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে। তবে আগস্টের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শনাক্তের হার কমে আসে ১ শতাংশের কাছাকাছি। তবে বছর শেষে নতুন ত্রাসের জন্ম দেয় করোনার অতিসংক্রমণশীল ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। 

ডেল্টার তুলনায় পাঁচ থেকে ছয়গুণ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে ওমিক্রন ছড়াতে থাকে বাতাসের গতিতে। আর চলতি বছরের মধ্য জানুয়ারি থেকে সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

দেশে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ভয়ংকর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবের সময়। সে বছরের ২৪ জুলাই অধিদফতর জানায়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা কিনা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় (২৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত) শনাক্তের হার হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গা একটু একটু করে নিচ্ছে ওমিক্রন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম (২৩ জানুয়ারি) অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে জানিয়েছেন, ‘দেশে এখনও করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য বেশি, তবে একটু একটু করে সে জায়গাটা ওমিক্রন দখল করে নিচ্ছে।’

দেশে ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন আগের সব রেকর্ড ভাঙ্গবে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার এখনই চলে এসেছে ডেল্টার চূড়ার কাছাকাছি।

সেইসঙ্গে প্রতিদিন স্বাস্থ্য অধিদফতর যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা জানাচ্ছেন সেটাও প্রকৃত সংখ্যা নয়, বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ‘ওমিক্রনে ডেল্টার মতো জটিলতা নেই বলা হলেও সামনে আরও মৃত্যু বাড়বে।’

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও আনুপাতিক হারে বাড়বে। 

বর্তমানে যে মৃত্যুগুলো হচ্ছে সেগুলো আগের প্রভাব, নিদেনপক্ষে তিন সপ্তাহ আগে যারা আক্রান্ত হয়ে জটিল অবস্থায় গিয়েছে, সেসব রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে। আর বর্তমান সময়ে যেসব রোগীদের অবস্থা জটিল অবস্থায় গিয়েছে তাদের মৃত্যুর অবস্থা দেখা যাবে আগামী তিন সপ্তাহ পর।

আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে যদি এভাবে মৃত্যু বাড়তে থাকে, তাহলে সেসব মৃত্যু ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েই হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে জানিয়ে মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘যদি দেখা যায় শনাক্তের হারের তুলনায় মৃত্যু কম হচ্ছে তাহলেই কেবল বলা যাবে ওমিক্রনে মৃত্যু। আর আগ পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব হবে না। 

তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, শনাক্ত যদি অনেক বেড়ে যায় তাহলে আনুপাতিক হারে মৃত্যু বাড়বে।’

এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি রয়েছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি ১১ দফা নির্দেশনা ঠিক আছে, কারণ সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নয়, সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া একদম শেষ ব্যবস্থা।’

তবে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি মানুষকে সম্পৃক্ত করার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ডেল্টার প্রাদুর্ভাবের সময় কিন্তু করোনা প্রতিরোধের জন্য একেবারে ওয়ার্ড পর্যায়েও কমিটি করার প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল ক্যাবিনেট। যেখানে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সবাই ছিল। যেখানে করোনাকে প্রতিরোধ করার কাজ করার পাশাপাশি টিকার জন্যও কাজ করা হতো।

সেই নির্দেশনা গ্রামে কিছুটা হলেও শহরে একদমই বাস্তবায়ন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শহরে এটা বাস্তবায়ন করার জন্য সিটি মেয়রদের কাজ করতে হবে, তারা যেন উদাহরণ তৈরি করেন। ২০২০ সালে যখন জোনাল লকডাউন হয়েছিল, তখন তারা বেশ সক্রিয় ছিলেন। সেভাবেই এখন আবার কাজ করতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ও জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, এখনও হাসপাতালে বেড ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহ পরে হাসপাতালগুলোতে শয্যা কতোটা ফাঁকা থাকবে- সেটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।

সংক্রমণের এই ঊধর্ধ্বগতিতে বাণিজ্যমেলা, শপিংমল খোলা রাখার বিষয়টিকে ‘বিক্ষিপ্ত এবং এলোপাতাড়ি পরিকল্পনা’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখানে সমন্বিত এবং চিন্তা করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও
বেসরকারি অফিসগুলোর মতো ব্যাংকেও অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। 

এ সিদ্ধান্ত আজ সোমাবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়ে চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংকগুলোকে বলেছি। তবে যেসব ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লোকবলের সমস্যা আছে, তারা তাদের মতো করে অফিস করবেন।’ এ বিষয়ে আজকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে অর্ধেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তবে আবশ্যকীয় ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনে স্বীয় বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাফতরিক কার্যক্রম ভার্চ্যুয়ালি সম্পন্ন করবেন।

ব্যাংকে আগত সেবাগ্রহীতাদের আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে।


গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাফে করোনায় প্রায় চার হাজার নতুন রোগী বেড়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় বেড়েছে শনাক্তের হার ও মৃত্যু। 

গত ২৪ ঘণ্টায় (২৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২৪ জানুয়ারি সকাল ৮টা) করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮২৮ জন। গতকাল (২৩ জানুয়ারি) ১০ হাজার ৯০৬ জন শনাক্তের কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। অর্থাৎ, একদিনের ব্যবধানে নতুন শনাক্ত রোগী বেড়েছে তিন হাজার ৯২২ জন।

প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর শনাক্ত আজ ১৫ হাজারের কাছাকাছি। এর আগে গত ৩ আগস্ট ১৫ হাজার ৭৭৬ জন রোগী শনাক্ত হন। 

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ১৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ।

আজকের এই শনাক্তের হার গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৪ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ৩২.৫৫ শতাংশ।


অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ১৪ হাজার ৮২৮ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জন এবং ১৫ জনকে নিয়ে মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ২৩৮ জন।  

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৯৮ জন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

দেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৫ হাজার ৯৯৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৮০৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ২১ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৩ লাখ সাত হাজার ৭৪৫টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪২টি।

মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৯ জন আর নারী ছয় জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৫০ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৮৮ জন।

১৫ জনের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আছেন পাঁচ জন, ৬১ থেকে ৭০ ও ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন তিন জন করে, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আছেন দুই জন এবং ৩১ থেকে ৪০ ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে আছেন একজন করে। 

অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ছয় জনই ঢাকা বিভাগের। ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন তিন জন, সিলেট বিভাগের দুই জন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আছেন একজন করে। 

এদের মধ্যে ১২ জন সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন তিন জন।


দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ২৮ হাজার ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৬১৪ জন। ফলে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ জনে।


আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনাক্তের হার ২৮.০২ শতাংশ।

এর আগে গতকাল শুক্রবার করোনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয় ১১ হাজার ৪৩৪ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২৮.৪৯ শতাংশে।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯ জন। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৫৭টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ২০৭টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৩১১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ২৬টি।


এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।


বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। মৃত ১৭ জনের মধ্যে রয়েছেন ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের দুইজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। 

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget