Articles by "জাতীয়"

 লালমোহনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত 
Lalmohan celebrated great independence and national day


ভোলার লালমোহনে যথাযথ মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শনিবার (২৬মার্চ) প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনি, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা জ্ঞাপন এবং পুরস্কার বিতরণ, বাদ যোহর মসজিদ ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থণা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, আলোচনা সভা ও সাংস্কুতিক অনুষ্ঠান।

আরো পড়ুন: রাণীশংকৈলে শিক্ষকের বাসায় শিক্ষার্থীর অনশন; অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন!

সকালে উপজেলা প্রশাসন ও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে লালমোহন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরার সভাপতিত্বে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উদ্বোধন করেন এমপি শাওন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ‚মি মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমন, মাছুমা বেগম, পৌরসভা আওয়ামীলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাদল, লালমোহন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান মুরাদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিসসহ অনান্যরা। 

বীরমুক্তিযোদ্বাদের সংবর্ধণা, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শণী ও আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন এমপি শাওন।



আরো পড়ুন:

 বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন
The colorful career of Justice Sahabuddin Ahmed


১৯৯০-এর সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর এরশাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের দাবি অনুসারে নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন বিচারপতি সাহাবদ্দীন আহমদ। স্বৈরাচার এরশাদের দীর্ঘ একনায়কতান্ত্রিক শাসনের নাগপাশ থেকে জাতিকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তার এ ভূমিকা ছিল দেশের ইতিহাসে মাইল ফলক। এই বিচক্ষণ নির্মোহ আইনজ্ঞের কর্মজীবন ছিল অত্যন্ত বর্ণাঢ্য।


সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান তিনি।

সাহাবুদ্দীন আহমদ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তালুকদার রেসাত আহমদ ভূঁইয়া ছিলেন একজন খ্যাতনামা সমাজসেবক ও জনহিতৈষী ব্যক্তি।


সাহাবুদ্দীন আহমদ তার কর্মজীবনে প্রথমে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ সালের জুন মাসে তাকে বিচার বিভাগে বদলি করা হয়। তিনি ঢাকা ও বরিশালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি তাকে বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারক পদে উন্নীত করা হয়।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

১৯৮০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সাহাবুদ্দীন আহমদকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করা হয়। বিচারপতি হিসেবে তার প্রদত্ত বহুসংখ্যক রায় প্রশংসিত। বাংলাদেশ সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর ওপর তার প্রদত্ত রায় দেশের শাসনতান্ত্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে এক অনন্য ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত। এ রায়ে তিনি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে নিজস্ব ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা, গোষ্ঠী শাসন প্রতিষ্ঠা, মৌলিক মানবাধিকার খর্ব করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জনগণের সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অস্বীকৃতি এবং আইনের শাসনের পরিবর্তে আদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান রহিত করার প্রবণতার জন্য তৃতীয় বিশ্বের একনায়ক শাসকদের সমালোচনা করেন। বিচার বিভাগে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও ছুটির ক্ষেত্রে হাইকোর্টের চিরাচরিত ক্ষমতা খর্ব করা এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক নিম্ন আদালতগুলো নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।


১৯৮৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তৎকালীন সরকার তার সেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ১৯৭৮ সালের আগস্ট থেকে ১৯৮২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

১৯৯০ সালের ১৪ জানুয়ারি তাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ পদত্যাগ করেন এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে উপরাষ্ট্রপতি নিয়োগ করা হয়। ওই দিনই রাষ্ট্রপতি এরশাদ পদত্যাগ করে উপরাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর ফলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন এবং নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করেন। ওই সময় সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বেশ কিছু আইন সংশোধন করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন।

সাহাবুদ্দীন আহমদের চাহিদা অনুসারে দেশের সংবিধানের এগারোতম সংশোধনীটি আনা হয়। এর ফলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের পরও তিনি ১৯৯১ সালের ১০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে সুপ্রিম কোর্টে ফিরে যান এবং ১৯৯৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।


সাহাবুদ্দীন আহমদ আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন ১৯৯৬ সালে। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ওই বছর ক্ষমতায় এসে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। ১৯৯৬ সালের ৯ অক্টোবর তিনি নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।


আরো পড়ুন:

 শনি-রবিবার দেশে পৌঁছাতে পারে ইউক্রেনে নিহত নাবিকের লাশ

The body of a sailor killed in Ukraine may reach the country on Saturday-Sunday


ইউক্রেইনে যুদ্ধের মধ্যে রকেট হামলায় প্রাণ হারানো বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ শুক্রবার রাতেই রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশের কূটনীতিকরা।

পোল্যান্ডের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোরে ইউক্রেইন থেকে রোমানিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় হাদিসুরের মরদেহবাহী গাড়ি। মলদোভা হয়ে সেটি রোমানিয়ায় পৌঁছাবে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা


মরদেহ বুখারেস্টে পৌঁছালে তারপর দেশে পাঠানোর বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন রোমানিয়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী।


ইউক্রেইনে যুদ্ধের মধ্যে ওলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা অবস্থায় ২ মার্চ রকেট হামলার মুখে পড়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। তাতে নিহত হন ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর।

আতঙ্ক ও ক্ষোভের মধ্যে পরদিন ৩ মার্চ জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নাবিকদের বাংলার সমৃদ্ধি থেকে নামিয়ে আনা হয়। সেখান থেকে একটি শেল্টার হাউজের বাংকারে ঠাঁই নেন নাবিকরা। হাদিসুরের মরদেহও রাখা হয়েছিল বাংকারের ফ্রিজারে।


উদ্ধার পাওয়ার তিন দিন পর মলদোভা হয়ে ২৮ নাবিক রোমানিয়ায় পৌঁছান। সেখান থেকে বুধবার বিমানে দেশে ফেরেন এই জাহাজিরা।


তাদের দেশে ফেরার খবরে ওইদিন বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন হাদিসুরের পরিবারের সদস্যরা। তারা আকুতি জানান দ্রুত তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউক্রেইনের ওলভিয়া এলাকা থেকে রওনা করে হাদিসুরের মরদেহবাহী গাড়ি। মলদোভা হয়ে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে মরদেহ বুখারেস্টে পৌঁছাতে পারে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তা মরদেহ রোমানিয়ায় নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রোমানিয়ায় দূতাবাসের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে দেশে আসতে দুই-তিন দিন লাগতে পারে।”

আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)

বরগুনার বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুর রাজ্জাকের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে হাদিসুর ছিলেন মেজ। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে পড়ালেখা শেষ করে ২০১৮ সালে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে ওঠেন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।


জাহাজের চাকরিতে বছরের একটি বড় সময় থাকতে হয় বাইরে। সবশেষ বাড়ি এসেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে কথা হত নিয়মিত। যেদিন জাহাজে রকেট পড়ল, সেদিনও ফোনে মা আমেনা বেগম আর ছোট ভাই গোলাম রহমান তারেকের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল।


তার মৃত্যুর খবর আসার পর তারেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, দেশে ফিরলেই বাড়ির কাজে হাত দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হাদিসুরের, স্বপ্ন ছিল পরিবারের জন্য আরও অনেক কিছু করার; সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন তিনি।


আরো পড়ুন:



অবশেষে ইউক্রেন থেকে রওনা দিলেন আটকে পড়া বাংলাদেশি নাবিকরা

The stranded Bangladeshi sailors finally left Ukraine


তিনবার চেষ্টার পর অবশেষে আজ শনিবার ইউক্রেন থেকে রওনা দিয়েছেন ২৮ বাংলাদেশি নাবিক। তাদের সঙ্গে আছে যুদ্ধের গোলায় নিহত এক নাবিকের মরদেহ। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় তারা রওনা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গন্তব্য ইউক্রেনের পাশের মলদোভা।

গতকাল শুক্রবার থেকে তিন দফা গাড়িতে উঠলেও রওনা দিতে পারেননি যুদ্ধে আতঙ্কগ্রস্ত নাবিকরা। এর মূল কারণ শুক্রবার থেকে স্থলভাগে বোমা হামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযাগের পর আজ সকালে বোমা হামলা একটু কমলে যাত্রা শুরু করেন নাবিকরা। আজ সকাল পর্যন্ত তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন।


বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি দুপুর ১টায় কথা বলে কনফার্ম হয়েছি, তারা ইউক্রেনের বাংকার থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। গতকাল শুক্রবার থেকে ব্যাপক বোমা হামলা শুরু হয় স্থলভাগে। এর ফলে যাত্রা শুরুর ঝুঁকি নিতে পারেনি নাবিক এবং তাদের উদ্ধারকারী টিম।


তিনি বলেন, তিনটি গন্তব্য সামনে রেখে তারা রওনা দেন। প্রথমটি পাশের দেশ মলদোভা, দ্বিতীয়টি পোল্যান্ড, তৃতীয় রোমানিয়া। যেখানে নিরাপদে যাওয়া যাবে সেখানেই নাবিকরা যাবেন। তবে কোথায় যাবেন নিরাপত্তার খাতিরে সেটি প্রকাশ করা হচ্ছে না। আল্লাহর রহমতে আশা করছি, নিরাপদেই পৌঁছবেন তারা।


জানা গেছে, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর থেকে মলদোভার সড়কপথের দূরত্ব ৮১২ কিলোমিটার। আর অলভিয়া থেকে পোল্যান্ডের সড়কপথের দূরত্ব ১৪০০ কিলোমিটার। আর পোল্যান্ড যেতে হলে ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দিয়েই যেতে হবে। সে জন্য প্রথমে মলদোভায় গিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।


উল্লেখ্য, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বোমা হামলায় অচল 'বাংলার সমৃদ্ধি' জাহাজ থেকে ২৮ জীবিত নাবিক এবং একজন নিহতকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই ইউক্রেন বন্দরের কাছাকাছি কোনো এক স্থানে বিশেষ বাংকারে রাখা হয়। সেখানে তারা রাত পার করেন। শুক্রবার থেকে তাদের স্থানান্তর করার কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।


শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেনি।


ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে নিরাপদে রাখার পর এখন তাদের রোমানিয়ায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে হামলার ঘটনায় নিহত জাহাজটির থার্ড প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমানের লাশও নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।


জানা গেছে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাহাজ থেকে ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরের কাছেই একটি বাঙ্কারে নিয়ে রাখা হয়। তার আগে জাহাজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।


মাসুদ বিন মোমেন জানান, বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ওপর কারা হামলা করেছে- সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে জানানোর আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়া।


গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। কিছুদিন পরই সিরামিকের কাঁচামাল ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে জাহাজটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এতে বন্দরেই আটকে যায় জাহাজটি।

তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।ওই জাহাজে ২৯ জন নাবিক ছিলেন। ২ মার্চ রাতে জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। পরে আটকেপড়া এই জাহাজের ২৮ জন নাবিককে উদ্ধার করে সেফ জোনে নিয়ে যাওয়া হয়।


গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে (বাংলাদেশ সময়) জাহাজটি থেকে নাবিকদের ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের কাছে নিরাপদ একটি স্থানে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ইউক্রেনের পাশের দেশ পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে সবাইকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন তাদের মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।


আরো পড়ুন:


ইউক্রেনে রকেট হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ বন্দরের চ্যানেলে আটকে থাকায় নাজুক অবস্থায় পড়তে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। জাহাজটি বাণিজ্যিক, বন্দরের চ্যানেলে আটকা পড়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা তাদেরকে সাহস যুগিয়েছি।

জাহাজটিতে আটকা পড়া নাবিক ও প্রকৌশলীরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। 

ওই জাহাজের এক প্রকৌশলী নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। কিছুদিন পরই সিরামিকের কাঁচামাল ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে জাহাজটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এতে বন্দরেই আটকে যায় জাহাজটি।

তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।ওই জাহাজে থাকা বাকি ২৮ জন ক্রু সদস্য অক্ষত আছেন।




খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারা যখন আটকে পড়ে, তখনও নিরাপদে ছিল। গতকালের (বুধবার) হামলা মনে হচ্ছে এটা টার্গেট করে হামলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে আটকে পড়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ চলছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।’

জাহাজে আটকা পড়াদের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জাহাজে খাবার মজুদ আছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সবকিছু। রাশিয়া ও ইউক্রেন, আইওএম, রেডক্রসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় একটি রকেট হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। এতে জাহাজের এক ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। তার নাম হাদিসুর রহমান। তিনি ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। 


ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর জলসীমায় আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ থেকে উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে দুটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন নাবিকেরা।


তারা জানিয়েছেন, তারা সবাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জাহাজে পাওয়ার সাপ্লাই নেই। জরুরি পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে তারা চলছেন। সেটা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের জাহাজে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এক নাবিককে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের বাঁচান। আমাদের কোনো জায়গা থেকে সাহায্য আসেনি।’
 
এর আগে বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। তার বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামে।

উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা দেওয়া এক বাংলাদেশি নাবিক নিজেকে জাহাজের দ্বিতীয় প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমি বাংলার সমৃদ্ধির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার। আমাদের জাহাজে একটু আগে রকেট হামলা হয়েছে। একজন অলরেডি ডেড।’

২৭ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‌‘আমাদের পাওয়ার সাপ্লাই নেই। ইমার্জেন্সি জেনারেটরে পাওয়ার সাপ্লাই চলছে। আমরা মৃত্যুর মুখে সম্মুখীন। আমাদের এখনো উদ্ধার করা হয়নি। দয়া করে আপনারা আমাদের বাঁচান। আমরা সবাই আছি এখানে। দেখেন।...আমাদের কোনো জায়গা থেকে সাহায্য আসেনি। আমাদের বাঁচান।’



 
ভিডিওটি জাহাজের একটি কক্ষ থেকে করা হয়েছে। সেখানে আরও ১২ নাবিককে দেখা যায়।
আসিফুল ইসলাম নামে জাহাজটির অপর এক নাবিক আরেকটি ভিডিওতে বলেন, ‘আমি আসিফুল ইসলাম আসিফ।...আমরা নাকি পোল্যান্ডে চলে গেছি নিরাপদভাবে। এটা ভুল নিউজ। আমাদের প্লিজ এখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।’

ফেসবুকে পোস্ট করা ৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে আসিফুল ইসলাম নিজেকে জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত সরকার থেকে যেভাবে আসবে, সেভাবেই অবস্থা বুঝে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো ধরনের সুযোগ এলে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এখন রাত তাই আর কথা হয়নি। হামলায় জাহাজের নেভিগেশন গেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




এই মুহূর্তে তাদের জাহাজ থেকে বের করে আনা যাবে কি-না এই প্রশ্নের জবাবে শিপিং কর্পোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, এ মুহূর্তে বাইরে কোনো নিরাপত্তা নেই। কেউ নিরাপত্তা দিচ্ছে না। এখনো সবাই জাহাজে আছেন। বাইরের চেয়ে জাহাজের ভেতরেই নাবিকরা বেশি নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে। জাহাজে তো পাওয়ার, জ্বালানি তেল, খাবার সবকিছুই ঠিক আছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত সরকার থেকে যেভাবে আসবে, সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে অবস্থা বুঝে। কোনো ধরনের সুযোগ এলে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, জাহাজে যে খাবার আছে তা দিয়ে নাবিকরা এক মাস চলতে পারবেন। জরুরি অবস্থায় তা আরও বেশি দিন থাকা যাবে। 

জাহাজে হামলা হলো এরপরও জাহাজ কতটুকু নিরাপদ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ অবস্থায় নিরাপদ। অন্য কোনো সমস্যা নেই। 



 

হামলার পরে আর কোনো ধরনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি বলে জাহাজে থাকা নাবিকদের বরাতে জানিয়েছেন তিনি।


 
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়ে যাওয়ায় ২৯ নাবিকসহ সেখানেই আটকা পড়ে জাহাজটি। এখন সেখানে ২৮ নাবিক রয়েছেন। ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে তাদের ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।

অন্যদিকে হামলায় নিহত নাবিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা। বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা বাজারসংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ির বাসিন্দা মো. আবদুর রাজ্জাক (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) ও আমেনা বেগম দম্পতির বড় ছেলে হাদিসুর।




তিন ভাই এক বোনের মধ্যে বোন সবার বড়। এরপর হাদিসুর রহমান। তার ছোট দুই ভাই লেখাপড়া করেন বরগুনায়। হাদিসুর রহমানই শুধু উপর্জন করতেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা। ছেলের লাশ দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন তারা।
তবে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আপাতত মরদেহ আনার বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান।

একই কথা জানান বরগুনা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ।


ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ভোট প্রস্তাবনা তোলা হয়। এতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে ভারত, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।


প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহ আগে প্রতিবেশী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর প্রতিবাদ হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ একটি জরুরি অধিবেশন ডাকে। সেখানে আলোচনা শেষে বুধবার (২ মার্চ) রাতে সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সমর্থনে রুশ হামলা বন্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। বাংলাদেশ, ভারত, চীন  পাকিস্তানসহ ৩৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, মালদ্বীপ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মস্কোর মিত্র হিসেবে পরিচিত চার দেশ বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া।


চীনের সঙ্গে ভোটদানে বিরত ছিল মস্কোর দীর্ঘদিনের মিত্র কিউবা ও নিকারাগুয়া। আর ভেনেজুয়েলা জাতিসংঘের চাঁদার অর্থ না দেওয়ায় ভোট দিতে পারেনি। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলো মাদুরো কয়েক দিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ। আর ইউক্রেন ইস্যুতে দেশটি সব সময় রাশিয়ার পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাধারণ পরিষদের আজকের প্রস্তাবে একটি সত্যের প্রতিফলন ঘটেছে। যা হলো, বিশ্ব ইউক্রেনের ভয়ংকর মানবিক যন্ত্রণার অবসান চায়। অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করতে এবং শান্তির জন্য জরুরি আলোচনায় অবদান রাখার জন্য আমি আমার ক্ষমতার সবকিছুই করে যাব।



পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আরও জানান, র‌্যাব ইস্যুতে তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতা চায় না সরকার। এ বিষয়ে আমরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। মামলা লড়তে প্রতিনিধি নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আমরা তিনটি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছি। সেখান থেকে আমরা সর্বোত্তম পরামর্শ নেব। এ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসব। তিনি আরও বলেন, আইনি ও কূটনৈতিক দুই প্রক্রিয়াই চলমান এপ্রিল ও মে মাসে সচিব ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আছে। এসব বৈঠকে ওই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।

র‌্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠাতে কূটনৈতিক চেষ্টার পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়া আবশ্যক বলে মনে করে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে লবিস্ট, আইনজীবী নিয়োগের পাশাপাশি মার্কিন আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোতে র‌্যাব এবং বাংলাদেশ নিয়ে যাতে নেতিবাচক ধারণা তৈরি না হয় সেজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ঢাকা। চলতি সপ্তাহে ভারত সফরে দেশটির থিংকট্যাংকের কাছে র‌্যাবের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ব্রিফ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলোচনায় বিষয়গুলো ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে ভারত বা অন্য কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। এটা মোকাবিলা করার যথেষ্ট সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। আইনগত অথবা কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। এখানে আমরা তৃতীয় কোনো দেশকে জড়াতে চাই না।


অমর একুশে বইমেলার সপ্তম দিন ছিল গতকাল। মেলা চলে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বইমেলায় গতকাল নতুন বই আসে ২২৪টি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।

বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে বক্তৃতা ২০২২। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ফিরে দেখা : আমাদের ভাষা আন্দোলন শীর্ষক অমর একুশে বক্তৃতা ২০২২ প্রদান করেন কবি আসাদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।


কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, অমর একুশের সত্তর বছর পূর্ণ হলো। তবে বাঙালির ভাষা আন্দোলন কেবল সত্তর বছরের বিষয় নয়; হাজার বছর ধরে বাঙালি আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকারের জন্য লড়াই করে এসেছে। এ লড়াই কেবল সাংস্কৃতিক লড়াই ছিল না, এ লড়াই ছিল অর্থনৈতিক-সামাজিক এবং অবশ্যই রাজনৈতিক।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, অমর একুশের সত্তর বছর পূর্তি বাঙালি জাতির জন্য পরম গৌরবের বিষয়। ভাষাসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।


গতকাল লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন, ইমদাদুল হক মিলন ও আনিসুল হক। কবিতা পাঠ করেন কবি মাকিদ হায়দার, বিমল গুহ ও আবদুস সামাদ ফারুক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেওয়ান সাইদুল হাসান, জয়ন্ত রায় ও শাহাদৎ হোসেন নিপু।

গতকাল সকাল ৮টায় শুরু হয় কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ। স্বরচিত কবিতাপাঠে অংশ নেন অর্ধশতাধিক কবি। সভাপতিত্ব করেন কবি অসীম সাহা।


আজ মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলার অষ্টম দিন। মেলা চলবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ : লেখক বঙ্গবন্ধু শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মোহাম্মদ সেলিম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ঝর্না রহমান ও তানভীর আহমেদ সিডনী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।



একুশে বইমেলার সপ্তম দিন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় বইমেলা শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে লোক সমাগম। বিকাল হতেই ‘জনসমুদ্রের’ ঢল নামে। এ সময় টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ এলাকায় ছিল তীব্র যানজট।


মেলার প্রবেশপথ ও বের হওয়ার পথেও ছিল লোকজনের উপচে পড়া ভিড়। মেলার ভেতরের প্রাঙ্গণেও ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। আজ  সব স্টলেই ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছিলেন বিক্রয়কর্মী ও প্রকাশকরা। একইসঙ্গে বিক্রি বাড়ায় তাদের চোখমুখে ছিল খুশির আমেজ।

প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা জানান, ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটি সব বছরই বইমেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এদিন ভিড় যেমন বেশি হয়, তেমনই বই বিক্রিও বেশি হয়।  তবে এই জনসমুদ্রে অনেকেই সাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না। মাস্ক ছাড়াই  দিব্যি ঘোরাফেরা করছেন অনেক পাঠক ও দর্শনার্থী।

তবে সরেজমিনে অনেক স্টলের বিক্রয়কর্মীকেও মাস্ক ছাড়া কেনাবেচা করতে দেখা গেছে।



সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলার একুশে ফেব্রুয়ারি সবসময়ই বিশেষ একটি দিন। এই দিনে লোকসমাগম বেশি হয়, বই বিক্রিও বেশি হয়। এবারের একুশে ফেব্রুয়ারিও লোকজন উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এসেছে এবং বই কিনেছে। এবারের মেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন আজ।  গতবছর মেলাটা পুরোপুরি করোনাক্রান্ত ছিল। সেই হিসাবে এবারের মেলাও ব্যতিক্রম নয়। লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আরও দুই-একবছর লাগতে পারে।’

আবিষ্কার প্রকাশের মালিক দেলোয়ার হাসান বলেন, ‘ভিড়ের তুলনায় বিক্রি বেশি না হলেও,বলা যায় বিক্রি বেশ ভালো। লোকসমাগম যেভাবে দেখা যাচ্ছে, আশা করি, প্রকাশকরা  গত দুবছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।’


নবযুগ প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী জাহিদ তানজিম বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মতো বিক্রয়কর্মী ও প্রকাশকদের জন্য বিশেষ দিন। এদিন সবসময় আমাদের ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। বিক্রি বেশি হওয়ায় বেশ ভালোই লাগছে।’



মুক্তচিন্তা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী নাহিদ হোসেন সৌরভ বলেন,‘এবারের বইমেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন আজ।  সকাল থেকেই লোকজন বাড়তে শুরু করে। বিকাল থেকেই স্টলে লোকজনের ভিড়। ক্রেতাদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছি।’

পুরান ঢাকা থেকে আগত  সামিয়া তাসনিম  বলেন, ‘একুশের বিশেষ দিনটিতে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রভাত ফেরিতে এসেছি। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরেছি। বিকালে বইমেলায় আসলাম।  তিনি বলেন,  ‘এত লোক যে, তিল ধারণের জায়গা নেই। বইয়ের দোকানগুলোতেও ভীষণ ভিড়। আধা ঘণ্টা সিরিয়ালে দাঁড়ানোর পর বই কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। '



মেলায় ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না অনেকে। মেলায় প্রবেশের সময় সবার মুখে মাস্ক থাকলেও প্রবেশের পর অধিকাংশ মাস্ক খুলে ফেলছেন। মাস্ক খুলে বসে, দাঁড়িয়ে যত্রতত্র আড্ডা দিচ্ছেন।  জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে একজন বলেন, ‘দেখেন, এত লোক যে এমনিতেই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারপর মাস্ক পরলে আরও দম বন্ধ হয়ে আসে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকাশক বলেন, ‘আসলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি আইনের চেয়ে নৈতিকতার সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত। সবারই উচিত নীতি নৈতিকতার জায়গা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। যারা  মাস্ক না পরে ঘোরাঘুরি করছেন, তাদের বেশির ভাগই আসেন সময় কাটাতে, বই কিনতে নয়। তাই আমার মনে হয়, মেলায় প্রবেশ মূল্য করা উচিত।’



বইমেলার আলোচনা সভা


বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘ফিরে দেখা: আমাদের ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক অমর একুশে বক্তৃতা-২০২২। এতে  মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি আসাদ চৌধুরী। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।


এদিন মেলায় নতুন বই এসেছে ২২৪টি।


সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চূড়ান্তভাবে ১০ জনের নামের তালিকা জমা দেবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে সার্চ কমিটির প্রধান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমরা চাইলে দেখা করতে পারি না। এর জন্য দুটি কারণ আছে।

একটি হচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ মুক্ত হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত হচ্ছে, উনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন। 


সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, নতুন আইনের আওতায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠনের পর এ পর্যন্ত আমরা নিজেদের মধ্যে ৬টি মিটিং করেছি। আরেকটি মিটিং বাকি আছে। ২২ ফেব্রুয়ারি সপ্তম মিটিং করার মধ্য দিয়ে আপাতত আমাদের কাজ শেষ করতে পারব। এছাড়া চারটি মিটিং করেছি সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ৩২২ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই নাম প্রকাশের পর চারজন বিশিষ্ট সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদের আমরা ডেকেছি। তারাও কিছু নাম দিয়ে গিয়েছেন। আমরা নাম জমা দেওয়ার সময় একদিন বাড়িয়েছিলাম। এরপরও বলেছিলাম, কেউ যদি বিশেষ করে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নাম দেয়, তাহলে সেই নামগুলোও বিবেচনায় নেব। সময় বাড়ানোর পর কিছু রাজনৈতিক সংগঠন নাম পাঠিয়েছে। সব নাম বিবেচনায় নিয়ে গত পঞ্চম সভায় ২০ জনের নাম বাছাই করা হয়। সেখান থেকে ১২-১৩ জনের তালিকা করেছি। 


প্রসঙ্গত, বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget