Latest Post

 


নোয়াখালী থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উজেলা থেকে ১ টি ওয়ান শুটারগানসহ এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে RAB -১১।  

গ্রেফতারকৃত মো. হারুনুর রশিদ (৪৪)। সে উপজেলার  ছয়ানী ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের মৃত আলী হায়দার চৌধুরীর ছেলে

শুক্রবার রাতে উপজেলার আমানউল্ল্যাহপুরের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  

র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা মারামারিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরো পড়ুন:


 


জেলা নেতাদের বক্তব্যে রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু

রংপুর শহরের কালেক্টরে ঈদগাহ মাঠে আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।  প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এখনো মঞ্চে আসেননি।

  কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পাশে বানানো হয়েছে মঞ্চ। বিএনপির নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে কলেজ রোড হয়ে পূর্বপারের গেট গিয়ে সমাবেশস্থলে ঢুকছেন। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে পূর্বপাড়ার সামনে চলমান বাণিজ্যমেলা আজ  স্থগিত করা হয়েছে।



৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামিউল ইসলাম বলেন, নেতা কর্মীদের ভ্যানে, অটোরিকশায় আসতে কষ্ট হয়েছে।

দিনাজপুর সদর থেকে মোটরসাইকেলে করে গতকাল রাতে নেতা কর্মীরা  এসেছিল। সঙ্গে দুটি পিকআপ ভ্যানেও বিএনপি কর্মী ও সমর্থকেরা ছিল। দিনাজপুর জেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, সেখানে ১৩ উপজেলায় বিএনপির ২২টি সাংগঠনিক কমিটি আছে। 

বিএনপি কর্মী মনোয়ার বলেন, তাঁরা দিনাজপুর থেকে মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপ ভ্যানে গতকাল রাতে রংপুর এসেছেন। চিরিরবন্দরে ভ্যান দুটিতে পুলিশ বাধা দেয়। পরে অবশ্য তাঁরা আসতে পেরেছেন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও দিনাজপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম থেকে নেতা কর্মীরা ট্রেনে সমাবেশস্থলে এসেছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদের নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল সকালে সমাবেশ স্থলে প্রবেশ করে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কুড়িগ্রামের বেশির ভাগ নেতা কর্মী গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার রংপুরে এসেছেন। গতকাল নেতা কর্মীরা রবার্টসন স্কুল মাঠে রাত কাটিয়েছেন। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের চিলমারী, রাজারহাট,যাত্রাপুর, উলিপুরের নেতা কর্মীরা নদীপথে তিস্তা পর্যন্ত এসে পরে মিছিল নিয়ে রংপুর শহরে এসেছেন।

সমাবেশস্থলের সামনেই সকাল ৯টার দিকে শুয়ে ছিলেন বেশ কিছু নেতা কর্মী। তাঁদের একজন গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম। রবিউল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ২৫০-৩০০ নেতা কর্মী আজ ভোরে তিনটি ট্রাক ও একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছেন। রংপুরে প্রবেশপথে পুলিশ তাঁদের বাধা দিলেও পরে ছেড়ে দিয়েছেন।

রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন,  মাঠে নেতা কর্মীদের উপস্থিতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।  কালেক্টরেট মাঠ এবং এর আশপাশের এলাকা ছাপিয়ে আজ রংপুর সমাবেশের শহরে পরিণত হবে।
prothomalo.com








 


ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদসহ এক  যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৮৫ বোতল ভারতীয় মদসহ রতন আলী (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১৪ জামালপুর। ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপজেলা সদর ইউনিয়নের আহাম্মদ নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রতন আলী পার্শবতী  নালিতাবাড়ী উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।  জানা গেছে, বৃহস্পতিবার  জামালপুর ভোররাতে র‍্যাব ১৪ কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র সহকারী এম.এম. সবুজ রানা এর নেতৃত্বে, এবং সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ এর উপস্থিতিতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল  ঝিনাইগাতী উপজেলার আহম্মদ নগর মামুন তালুকদারের মৎস প্রজেক্টের  সামনে পাকাঁ রাস্তার উপর 

অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার 
করা হয়।এসময় তার কাছ থেকে
 ৮৫বোতল  বিদেশী মদ,

নগদ-৫শ টাকা এবং ১টি মোবাইল সেট সীমসহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিদেশী মদের
আনুমানিক মূল্য ৪৩ হাজার ৫শত টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায়,সে দীর্ঘদিন যাবৎ শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী এম,এম সবুজ রানা।

আরো পড়ুন:


 


মিয়ানমার রাশিয়ার দেওয়া অস্ত্রে মানুষ মারছে

রাশিয়া ইউক্রেনে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করছে, সেই ধরনের অস্ত্র দিয়েই মানুষ হত্যা চলছে মিয়ানমারে, জাতিসংঘের মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ের বিশেষজ্ঞ এসব কথা বলেন। তিনি জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে একজোট হয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। খবর আল–জাজিরার।

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ের বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার (বিশেষজ্ঞ) টম এন্ড্রুস আজ বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এন্ড্রুস মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তাদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও আহ্বান জানান সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতি।

টম এন্ড্রুস বলেন, ‘ইউক্রেনে মানুষ হত্যায় যেসব অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে, একই ধরনের কিছু অস্ত্র মিয়ানমারের মানুষ হত্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অস্ত্র একই উৎস থেকে আসছে, এসব আসছে রাশিয়া থেকে।’

জাতিসংঘের র‌্যাপোটিয়ার এন্ড্রুস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়া। একজোট হয়ে তাদের কাজ হবে নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা কিন্তু এসব করা হচ্ছে না। এটা করা হচ্ছে না, কারণ, এটা কীভাবে করতে হবে, তা আমরা জানি না। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হবে, আপনার যদি উদাহরণের দরকার হয়, তবে ইউক্রেনের দিকে তাকান।’

মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহকারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রাশিয়া একটি। ২০২১ সালে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পর যেসব দেশ মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়েছে, তার মধ্যে রাশিয়া একটি।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের পর দেশজুড়ে তৈরি হওয়া বিক্ষোভ দমনে ২ হাজার ৩০০ মানুষকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত সপ্তাহে দেশটির কাচিন রাজ্যে একটি সমাবেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়।

মিয়ানমারের ভেতরে চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এন্ড্রুস বলেন, দেশটির ভয়ানক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ব মিয়ানমারের মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে। এখানে নেতৃত্বের সংকট আছে, এই জাতিসংঘে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে।

এন্ড্রুসের এই বক্তব্যের বিষয়ে জাতিসংঘে রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত জেনাদি কুজমিন বলেন, বাস্তব পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ, বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও শিশু মারা যাচ্ছে। কিন্তু তারা কার অস্ত্রে মানুষ মারা যাচ্ছে, এটা বলা যাবে না। তাকে মিয়ানমারের বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার করা হয়েছে, ইউক্রেনের নয়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে। তাঁকেসহ তাঁর দলের অনেক নেতা–কর্মীকে বন্দী করা হয়। দেশজুড়ে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়। কিন্তু সামরিক সরকার কঠোর হাতে এসব বিক্ষোভ দমন করে। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়।

আরো পড়ুন:


 


রেকর্ড পরাজয় থেকে সাকিব যা শিখলেন

হারটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথম ইনিংসেই। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ২০৫ রান তাড়া করে জেতা সহজ হওয়ার কথা নয়, হয়ওনি। বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১০১ রানেই। ১০৪ রানের বিশাল হার, যেটা রানের হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়।

এমন ধাক্কার পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেদের বোলিংয়ের দিকেই আঙুল তুলবেন স্বাভাবিক। তা তুলেছেনও।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে সঞ্চালক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘প্রথম ওভারের পর আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। উইকেটটা ভালো ছিল। রাইলি রুশো দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। কুইন্টনও ভালো খেলেছে। ওদের দুজনের জুটিটাই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে।’

প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু এরপর আর বাংলাদেশের বোলাররা পাত্তা পায়নি। পরে আর উইকেট নিতে না পারাটাকেই সর্বনাশের মূল বলে মনে করছেন সাকিব, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করিনি। 

বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে, প্রথম ছয় ওভারে। যেহেতু উইকেট ভালো ছিল, আগের দিন এই মাঠে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যা করেছে, আজ দক্ষিণ আফ্রিকাও তা–ই করেছে। আমাদের উইকেট নিতে হতো। এখানে উইকেট না নিতে পারলে আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকব। ওদের হাতে উইকেট ছিল। আর ওরা দুজন যেভাবে খেলেছে, তাতেই ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে গেছে।’

এ তো গেল বোলিংয়ের কথা। আজকের ম্যাচের পর বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সাকিবের কথায়ও এসেছে ব্যাটিং–দুর্বলতার বিষয়টি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে গতি ও বাউন্সের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। আমাদের বাউন্স ও পেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের শুধু ব্যাটিং করে যেতে হবে।’

আরো পড়ুন:


 

রাণীশংকৈলে আলুখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭অক্টোবর) সকালবেলা
উপজেলার ভরনিয়া বামনদিঘির পাশে এক আলুখেত হাতে ও শরীরে আঘাতযুক্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

উদ্ধার হওয়া লাশটি উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া সম্পদবাড়ী দক্ষিনপাড়ার নুরুল ইসলাম ও হোসনেআরা দম্পতির পুত্র হোসেন আলী (২৮)। সে একই এলাকার ভরনিয়াহাট আদর্শ কোচিং সেন্টারের শিক্ষকতা করতেন।

ধর্মগড়  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম প্রতিনিধিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
এসএম জাহিদ ইকবালসহ সিআইডি ও ডিবি'র একটি দল। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বামনদিঘি এলাকার ধানের ফসলি মাঠের এক আলুখেতে ওই যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

নিহত যুবকের মা হোসনেআরা তার ছেলেকে হত্যাকরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে দাবী করে পুলিশের কাছে এর সঠিক তদন্তসহ বিচার চান।

মা হোসনে আরা ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলে কাল রাতে ভরনিয়া স্কুল মাঠে নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলা দেখতে গিয়ে রাতে আর ফিরে আসেনি। তাকে অনেক খোজাখুজি করেছি। কোথাও পায়নি। আজ সকালে আলু খেতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্হানীয় মহিলারা চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে হাজির হয় তাদের সাথে আমিও হাজির হয়।  লাশের মুখ থেকে শনাক্ত করি এটা হোসেন আলীর মরদেহ।

আলেফা পারভীন দাবী করেন তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে কে হত্যা করেছে এবং কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের খুজে বের করার জন্য উপস্থিত পুলিশদের তিনি অনুরোধ করেন। 

থানা পরির্দশক এস এম জাহিদ ইকবাল (ওসি) বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানানো হবে। এটি খুন কি-না সেটিরও তদন্ত চলছে। 




আরো পড়ুন:











 


টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

ক্রিকেটের বিখ্যাত স্টেডিয়াম সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে, বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টায় দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

দুদলের জন্যই ম্যাচটা সমান গুরুত্বপূর্ণ, একদল চাইবে সেমিফাইনালে থাকার আশা টিকিয়ে রাখতে, আরেক দল চাইবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখতে।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এক ম্যাচ জিতে নেট রান রেটের কারণে বাংলাদেশ আছে সুপার টুয়েলভ পর্বের গ্রুপ- ২ এর পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে।

ওদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল, যে কারণে একটি জয় এখন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য খুবই প্রয়োজন সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে।

বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বুধবার বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর থাকবে সব চাপ।

দক্ষিণ আফ্রিকা চাপে ভঙ্গুর দল এটা সাকিব আল হাসান তো জানেনই এবং এটা ক্রিকেটেরই একটা প্রবাদের মতোন হয়ে গেছে।

সাকিব বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "সুপার টুয়েলভ পর্বের ম্যাচ। দুই দলের জন্যই গুরুত্ব থাকবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ম্যাচেই ফুল পয়েন্টের আশা নিয়ে খেলেও বৃষ্টির কারণে পারেনি, তাদের জন্য এটা ডু-অর-ডাই ম্যাচ।"

বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক সৈয়দ আবিদ হুসেইন সামি বলেছেন, "এটা নিশ্চিতভাবেই মাইন্ড গেম।"মি. হুসেইনের মতে, 'সাকিব এবার অন্যরকম একটা টোনে আছে'।

পরিস্থিতি যাই হোক বাংলাদেশ এবার আগের চেয়ে ভালো করবে এই বিশ্বাসটা সাকিবের আছে বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।

"প্রেস কনফারেন্সে বাঁকা প্রশ্নের যেভাবে আউটপুট দিয়েছেন। প্রথম দিন একটা কথা বলেছিলেন এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ভালো খেলবে।"গত ম্যাচেই বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের নায়ক ছিলেন তাসকিন আহমেদ।

মজার তথ্য হলো, ২০১৭ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশ কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ইভেন্টের ম্যাচে সাকিব আল হাসানের বাইরে কোনও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পেল।

সাকিবও আজ তাসকিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

তাসকিন আহমেদকে এই ফাস্ট বোলিং আক্রমণের নেতা বলছেন তিনি।কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে মাঠে খেলা এই মাঠ ফাস্ট বোলারদের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

সৈয়দ আবিদ হুসেইন সামির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে - "সিডনির মাঠে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ১৪৫ বা তার বেশি গতির বলে ইকোনমি রেট ছিল ১৭, ১৩০ থেকে ১৪৫ গতির বলে ইকোনমি রেট ছিল ১০ কিন্তু ১২০ এর নিচের বলে ইকোনমি রেট ছিল পাঁচ এর মতো।"এক্ষেত্রে তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন এই ধরনের উইকেটে।

"মুস্তাফিজ এই উইকেটে ভালো করতে পারেন তিনি সম্প্রতি তার অ্যাকশনে পরিবর্তন এনেছেন যেটা ছিল নজরে আসার মতো। মাঠে হয়তো এখনও ফল পাওয়া যায়নি তবে দ্রুতই সেটা আশা করছি।"

আরো পড়ুন:


 


বাইডেনকে লেখা সেই চিঠি প্রত্যাহার করলেন ৩০ মার্কিন আইনপ্রণেতা

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ‘জোরালো’ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা চিঠি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। কড়া সমালোচনা এবং মস্কোকে তুষ্ট করতে এ চিঠি লেখা হয়েছে—এমন অভিযোগের মুখে কংগ্রেসের বাম ভাবধারার আইনপ্রণেতারা তাঁদের চিঠিটি প্রত্যাহার করেন নেন। খবর আল-জাজিরার

কংগ্রেসের প্রগ্রেসিভ ককাসের চেয়ারপারসন ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা প্রমীলা জয়পাল গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, কয়েক মাস আগে এ চিঠির খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ‘ভালোভাবে যাচাই করা ছাড়াই’ দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা সেটি প্রকাশ করেন।

জয়পাল বলেন, ‘কূটনীতির মধ্য দিয়ে সব যুদ্ধেরই অবসান হয়। ইউক্রেনের বিজয়ের পর এ ক্ষেত্রেও সেটিই হবে।’

প্রমীলা জয়পাল বলেন, ‘সোমবার পাঠানো চিঠিটি ইউক্রেনীয়দের নিজেদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের ন্যায়সংগত প্রতিরক্ষার প্রতি সমর্থনে রিপাবলিকানদের যে বিরোধিতা, তার সঙ্গে মিলে যায়। ফলে এই সময়ে এটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আমরা চিঠিটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’

গত সোমবার পাঠানো ওই চিঠির নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেসের এই ডেমোক্র্যাট নারী আইনপ্রণেতা। এতে সই করেন প্রগতিশীল ৩০ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে ‘ক্ষয়ক্ষতি কমাতে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনাসহ সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান অর্জনে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়’।

কিন্তু তাৎক্ষণিক ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টি—দুই দলের পক্ষ থেকেই চিঠির সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচকদের যুক্তি, এতে কিয়েভকে সমর্থনে ওয়াশিংটনে যে ঐকমত্য আছে, তা দুর্বল হয়েছে। একই সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি ইউক্রেনীয়দের নিজেদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার হোয়াইট হাউসের যে অবস্থান, তা থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের সুপরিচিত প্রগতিশীল আইনপ্রণেতা আয়না প্রেসলে, ইলহান ওমর, রাশিদা তালিব, আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ, রো খান্না ও বারবারা লি।

তবে এ চিঠির তিরস্কার করেছেন অনেক পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক, ডেমোক্রেটিক পার্টি-সংশ্লিষ্ট অনেক অ্যাকটিভিস্ট ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। পাশাপাশি কয়েকজন প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট সহকর্মীও তাঁদের সমালোচনা করেছেন।

চিঠির প্রতিক্রিয়ায় ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রুবেন গ্যালেগো টুইটে লেখেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার উপায় কী? দ্রুত জয়ী হওয়া। কীভাবে দ্রুত জেতা যাবে? রাশিয়াকে হারাতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে।’

ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান সেথ মাল্টনও চিঠির নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কিয়েভের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হলে তা কেবলই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শক্তিশালী করবে।

সার্বভৌম দেশ হিসেবে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার শর্ত কেবল ইউক্রেনই ঠিক করবে, এ মন্তব্য করেন ডেমোক্র্যাট নারী আইনপ্রণেতা ইলেইন লুরিয়া। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সর্বশেষ আগ্রাসী সেনাটিকে বিতাড়নে লড়ছে ইউক্রেন। দেশটির জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার ও সহযোগিতার প্রতি আমার সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে সামরিক ও মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে ইউক্রেনের জন্য শত শত কোটি ডলার অনুমোদন দেয় মার্কিন কংগ্রেস। এসব বিল পাসে আইনপ্রণেতাদের বিপুল সমর্থন ছিল।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget