Latest Post

 


নোয়াখালীতে বিয়ে বাড়িতে ধর্ষণের শিকার কিশোরী।

নোয়াখালীর কবিরহাটে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে এক কিশোরী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

অভিযুক্ত যুবকের নাম টিপু (২৫)। তিনি উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজার সংলগ্ন মালি পাড়া এলাকার নুরনবী মেম্বার বাড়ির রফিকের ছেলে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারে পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও ওই কিশোরীর পরিবার জানান, মঙ্গলবার ওই কিশোরী তার পরিবারের সঙ্গে বাড়ির পাশে আরেক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। একপর্যায়ে ওই কিশোরের মা-বাবা সেখান থেকে বাড়িতে চলে যায়। পরে টিপু কৌশলে ওই কিশোরীকে বিয়ে বাড়ির একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। তারপর কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে টিপু পালিয়ে যায়।

কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, রাত ২টার দিকে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।

আরো পড়ুন:


 


৬ দিন ধরে নিখোঁজ, থানায় নিচ্ছেনা জিডি অভিযোগ পরিবারের ! 


মীর মাহবুব হোসেন সুমন পীরগঞ্জ উপজেলার করনা মীরপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র।

বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর ) সকালে সুমনের পরিবার প্রতিবেদককে জানান, গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সুমন বাড়ি থেকে তার মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য মোটরসাইকেলে করে দিনাজপুরে রওনা দেন। 

যাওয়ার পথে পীরগঞ্জ উপজেলার সাগুনী ব্রিজের পার্শ্বে বোচাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ উপজেলার মাঝামাঝি জায়গায় তাদের পথ রোধ করে ৫ জন সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি। তারা মোটরসাইকেলের কাগজ পত্র দেখতে চেয়ে সুমনকে রাস্তার সাইডে নিয়ে গিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। 

এরপর থেকে ৬ দিন হয়ে গেলেও সুমনের কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারটি হতাশ ও দু:শ্চিন্তার মধ্যে দিন পার করছেন। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে পীরগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে বোচাগঞ্জ থানায় দেখিয়ে দেন আর বোচাগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে পীরগঞ্জ থানায় দেখিয়ে দেন। এতে পরিবারটি পড়েছেন বেশ বিপাকে।

সুমনের মা মাহমুদা বেগম বলেন, আমি এবং আমার ছেলে মোটরসাইকেল যোগে দিনাজপুরে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পথে সাগুনী ব্রিজ অতিক্রম করে একটু সামনে গেলেই আমাদের পথরোধ করে ৫ জন লোক। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার ছেলেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যান তারা। আজ থেকে ৬ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ধান মেলেনি আমার ছেলের।

বাবা মীর হাসান আলী বলেন, আমাদের সব আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজসহ অনেক জায়গায় খোঁজা খুঁজি করেও ছেলের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

এবিষয়ে পীরগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে সেখানকার থানা পুলিশ দেখিয়ে দেয় বোচাগঞ্জ থানা আর বোচাগঞ্জ থানায় গেলে তারা দেখিয়ে দেয় পীরগঞ্জ থানা। কিন্তু দুই থানার এক থানায়ও জিডি জমা নিচ্ছেন না। আমরা এখন কোথায় যাবো কি করবো। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাকে যেন আমার সন্তান ফেরতের ব্যবস্থা করে দেন তিনি।

জিডি না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছেলের পরিবার থানায় এসেছিল। যেহেতু ঘটনাটি বোচাগঞ্জ থানা এরিয়ায় ঘটেছে সেহেতু সেই থানায় তাদের জিডি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।, এছাড়াও সুমনের খোঁজ বা সন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে এবিষয়ে তিনি কিছুুই বলতে পারেননি।,

অন্যদিকে সুমন অপহরণের বিষয়ে থানায় তার পরিবারের জিডি না নেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করে বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা থানা পুলিশ জিডি (সাধারণ ডায়েরি) ও মামলা নেওয়ার জন্যই আছি। সুমনের বিষয়ে থানায় এক ভদ্রলোক এসে বলেছিল যে, তার ছেলে নিখোঁজ। তার কথা অনুযায়ি আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। 

কিন্তু ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সে জায়গাটি আমার থানার এরিয়ায় না। সেটি ঠাকুরগাঁও এরিয়ায় ঘটেছে। আমার এরিয়ায় হলে আমরা অবশ্যই জিডি বা মামলা নিবো। তার পরেও আমরা আমাদের থানা এলাকায় ছেলেটির খোঁজ খবর নিচ্ছি খোঁজ পেলে তার পরিবারকে জানানো হবে।,  

এবিষয়ে দিনাজপুরের কাহারোল ও বোচাগঞ্জ সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. রওশন আলী বলেন, যেহেতু তাকে অপহরণ করা হয়েছে তাহলে থানায় জিডি হবে কেন। এক্ষেত্রে থানায় অপহরণ মামলা হবে। আর যেহেতু ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ভিকটিম নিখোঁজ বা অপহরণ হয়েছে সেক্ষেত্রে ভিকটিমের নিজ থানায় অর্থাৎ ভিকটিম যে এলাকার বাসিন্দা সে এলাকার থানায় মিসিং জিডি বা অপহরণ মামলা করতে হবে।,

সুমনের বড় ভাই মামুন বলেন, ‘আমরা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানা ও দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানায় ৬ অক্টোবর বুধবারেও গিয়েছি কোন থানায় আমাদের ডিজি জমা নেননি এবং কি তারা আমাদের কোন ধরণের পরামর্শও দেননি। তারা যদি বলতো এবিষয়ে মামলা দিতে হবে তাহলে আমরা মামলাই দিতাম। কিন্তু তারা তেমন কোন কিছু না বলে পীরগঞ্জ থানায় গেলে তারা বলে বোচাগঞ্জ থানার কথা আর বোচাগঞ্জ থানায় গেলে তারা বলে পীরগঞ্জ থানার কথা।

আরো পড়ুন:


 


মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব |


মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না। চালের মিলে চাল বস্তাজাত করার সময় বস্তার ওপরে জাতের নাম লিখে দিতে হবে। কেউ যদি এর ব্যতিক্রম করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব কামরুন্নাহার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইয়েদুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কিছুদিন আগে এ–সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত প্রুফ হওয়ার পর সার্টিফায়েড হবে এবং জাতগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে তা কীভাবে মাঠপর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গবেষকদের উদ্ভাবিত জাতগুলো যদি বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আরও সুন্দরভাবে কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে দ্রুত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি, তবে আমাদের ফলন আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে দ্বিগুণের কাছাকাছি চলে যাবে।’

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব অন্যান্য সচিবদের নিয়ে ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, হাইব্রিড রাইস বিভাগ, কৌলিসম্পদ ও বীজ বিভাগ, জীবপ্রযুক্তি বিভাগ, শস্যমান ও পুষ্টি বিভাগ, রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগ, খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগ, কৃষি অর্থনীতি বিভাগ, কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ফলিত গবেষণা বিভাগ, কীটতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ এবং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্টল পরিদর্শন করেন।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রির মিলনায়তনে কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠপর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ–সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর এ–সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 


আরো পড়ুন:



 


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে এবার শিশু নিহত |

কক্সবাজারের উখিয়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে তাসফিয়া আক্তার (১১) নামে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দিল কায়েছ (১৮) নামে এক নারী। তাসফিয়া ক্যাম্প ১৮-এর এইচ/৫২ ব্লকের মোহাম্মদ ইয়াছিনের মেয়ে। দিল কায়েছ একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় তিন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

সোমবার মধ্যরাত ও গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

তিনি জানান, সোমবার মধ্যরাতে ক্যাম্প ১৮-এর এইচ/৫২ ব্লকের ইয়াছিনের শেটের সামনে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালালে দুজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালংয়ের এমএসএফ হাসপাতালে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসফিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। দিল কাইয়েছ এখনো চিকিৎসাধীন। 

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই এপিবিএনের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এ সময়  পুলিশকে লক্ষ্য করে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে দিল মোহাম্মদ, সাইফুল্লাহ ও এরফান নামে তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করে।

আরো পড়ুন:


 


ছাগল চুরির ঘটনায় যুবলীগ নেতা বহিস্কার !

ছাগল চুরি করে পালানোর ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌর যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ হাবীবকে দলের সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হাবিবুল্লাহ হাবীবকে বহিস্কার করেন যুবলীগের স্থানীয় নেতারা।

পৌর যুবলীগের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংগঠন বহির্ভুত কাজ করে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করার অভিযোগে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এ সময় উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম মোল্লা, সহ সভাপতি আব্দুল জলিল জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুমন মন্ডল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদ দুলাল সরকার, পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইলিয়াস আলী ছুটু, সাধারণ সম্পাদক 

শাহজালাল বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল রানা, আফজাল হোসেন, যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান দুলাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তানভির মিঠুসহ দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ, যুবলীগ নেতা হাবীব ও অন্য একজন মিলে রাণীশংকৈল উপজেলার মহেশপুরের আম বাগান থেকে একটি খাসি ছাগল তাদের মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া সময় রবিবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে  উপজেলার নেকমরদ বাজারে ধরা পড়ে এবং জনতা তাদের গন ধোলাই দেয়। গন ধোলাই দেওয়ার একটি ভিডিও ক্লিপ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয় এবং এ নিয়ে গনমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

বহির্ভূত কাজ করার জন্য তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা এবং এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। 

আরো পড়ুন:


 


ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধে তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ৩

ঝিনাইদহ শহরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে শহরের চাকলাপাড়া এলাকার দাসপাড়ায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন।

নিহত তরুণের নাম সুবীর কুমার দাস (২২)। তিনি দাসপাড়া এলাকার সত্যপদ দাসের ছেলে। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন—নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী সুনিল কুমার দাস, বিমল দাস ও অন্তর দাস।  

সুবীরের বাবা সত্যপদ দাস বলেন, দাসপাড়ায় একখণ্ড জমি নিয়ে প্রতিবেশী সুনিলের সঙ্গে তাঁদের বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় মামলা চলমান। গতকাল রাতে তাঁরা চাকলাপাড়ার একটি পূজামণ্ডপে গিয়েছিলেন। 

রাত একটার দিকে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মির্জামহলের সামনে পৌঁছালে তাঁর ছেলে সুবীর কুমারের সঙ্গে সুনিলের বাড়ির লোকজনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সুবীরকে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে সুবীরের বাড়ির লোকজন সেখানে ছুটে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদেরকে মারধর করেন।

এ সময় সত্যপদ দাসসহ শিতা রাণী দাস ও খোকন দাস আহত হন। এ ছাড়া দুই পক্ষের হাতাহাতির সময় প্রতিপক্ষের সুনিল দাস আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক সুবীরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সুবীর দাসের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আহত অন্য চারজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে গতকাল রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরো পড়ুন:


 


"বেঁচে আছি যতদিন, মানবসেবায় আছি ততদিন”

বেঁচে আছি যতদিন, মানবসেবায় আছি ততদিন” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে একদল নিরবিচ্ছিন্ন যুবক একই ছালাতলে এসে কল্যাণধর্মী কার্য বাস্তবায়ন ও মানবতার সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগের অভিপ্রায়ে সংঘবদ্ধ হয়। এরই ধারাবাহিকতার প্রয়াস হিসেবে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৫নং সিরতা ইউনিয়নের চর খরিচা গ্রামে ২০২২ সালের শুরুর দিকে "মানবসেবা ডটকম" নামক অরাজনৈতিক সমাজসেবী সংগঠনের আত্বপ্রকাশ ঘটে। 

কিছু সংখ্যক নম্র-ভদ্র, পরোপকারী ও পরিশ্রমী যুবগোষ্ঠী সাংগঠনিক প্রজ্ঞা সমন্বিত করে ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগীতা নিয়ে এ দেশের মাটি ও মানুষের আত্মসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাহিত্য- সংষ্কৃতি লালন, পরিবেশ ও মানবাধিকার সংরক্ষন করার উদ্দেশ্য "মানবসেবা ডটকম" নামের এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

"মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য" এই স্লোগানকে সামনে রেখে তারই অংশ হিসেবে "মানবসেবা ডটকম"র উদ্যোগে প্রতিদিন মুমূর্ষু রোগীদেরকে রক্ত নামক লাল ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে প্রাণ বাচাঁতে সাহায্য করছে, যা ইতিমধ্যেই মানুষের মন ছুঁয়েছে। এছাড়াও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিভিন্ন সময়ে হতদরিদ্র মৌলিক বৈশিষ্ট্য। 

সংগঠনের জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করণ, গরিব, অসহায়, পঙ্গু ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহায়তা প্রদান। শীতকালে দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ। মেধাবী দুস্থ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত গরিব জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান। এছাড়াও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে। 

জেগে উঠুন আপনি,জেগে উঠবে সবাই

আরো পড়ুন:


 


ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ গেল ৮১ জনের |

    

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়ানের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ তে পৌঁছেছে। গতকাল রোববার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রাণহানির এ সংখ্যা জানিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়ানের কারণে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮৫ জনের মধ্যে ৮১ জনই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের। 

উপকূলীয় লি কাউন্টির শেরিফের কার্যালয় বলছে, ওই এলাকায় এ পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আশপাশের চারটি কাউন্টিতে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বুধবার চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ মাইল গতিবেগে (ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার) ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইয়ান। ভারী বৃষ্টিতে নজিরবিহীন বন্যা দেখা দেয় এই অঙ্গরাজ্যে।

ঘরবাড়ির পাশাপাশি প্রাইভেট কারও পানির তোড়ে ভেসে গেছে। ঝড়ের পর বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এসব এলাকায় ইতিমধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হওয়ায় আরও মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফ্লোরিডার পর শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়টি সাউথ ক্যারোলিনা ও নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানে। পরে তা দুর্বল হয়ে যায়। নর্থ ক্যারোলিনা কর্তৃপক্ষ বলছে অঙ্গরাজ্যটিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সাউথ ক্যারোলিনায় এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।


আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget