Latest Post

 


হরিপুরে টাকার বিনিময়ে মুজিববর্ষের ঘর পেলেন বিত্তবানরা !


মনতাজ বেগমের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার গোয়ালদিঘী গ্রামে। স্বামী জাকির হোসেন। মাছ ব্যবসায়ী। মনতাজ-জাকির দম্পতি অবস্থাসম্পন্ন। নিজেদের বাড়ি-জমি সবই আছে। ভূমিহীন বা গৃহহীন বলতে যা বুঝায় তার মধ্যে তিনি কোনভাবেই পড়েন না। কিন্তু মুজিব জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে সরকারের দেওয়া পাকা ঘর পেতে তিনি ভূমিহীন এবং গৃহহীন হয়েছেন। নিজের পাঁচ ছেলের জন্য ছয়টি ঘরে পেতে সাত লাখ টাকা দিয়েছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে। ঘরও পেয়েছেন।


শুধু তিনি নয়, হরিপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পে মনতাজ বেগমের মতই আরও অন্তত ২০ জন অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তি যাদের বাড়ি, জমি আছে তাদেরকে টাকার বিনিময়ে ঘর পাইয়ে দিয়েছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।অন্যদিকে যারা একেবারেই হতদরিদ্র, জমিজমা ও ঘরবাড়ি নেই প্রকৃত ভূমিহীন তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেননি ইউপির চেয়ারম্যান।


উপজেলার বকুয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মুজিব জন্মশতবর্ষর ঘর বরাদ্দ নিয়ে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তিনি সেটি অস্বীকার করেছেন।


তবে চেয়ারম্যান যে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে অবস্থাসম্পন্নদের ঘর পাইয়ে দিয়েছেন, আবার ভূমিহীনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঘর দেননি, এরকম ভূক্তভোগীর সঙ্গে চেয়ারম্যান তাহেরের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।


সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় দরিদ্র, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ঘর বিতরণ করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে হরিপুর উপজেলার ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া সরকারের ৩২টি ঘরের মধ্যে ২৬টি ঘরেই তালা ঝুলছে।


 ঘর যারা বরাদ্দ পেয়েছেন তারা কেউই ঘরগুলোতে থাকেন না। কারণ যাদের ঘর দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই বিত্তবান। নিজস্ব জায়গায় জমি, বাড়ি আছে। এমনকি তাদের কারো কারো মোটরসাইকেল আছে। কারো বা জমি চাষাবাদের ট্রাক্টর আছে। আর যারা প্রকৃত দরিদ্র, ভূমিহীন তাদের কেউই ঘর বরাদ্দ পাননি।


সরজমিনে দেখা গেছে, হরিপুর উপজেলার ৩ নং বকুয়া ইউনিয়নে গোয়ালদিঘী গ্রামে ভূমিহীনদের জন্য মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম ধাপে গত মে মাসে ২৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই ২৬টি ঘরই টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল ও বিত্তবান ব্যক্তিদেরকে দেওয়া গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর দ্বিতীয় ধাপে ছয়টি ঘর বরাদ্দ স্থগিত করা হয়।


অন্যদিকে প্রকৃত ভূমিহীনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূমিহীন যারা ঘর পাওয়ার আশায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছিলেন তারা ঘর না পেয়ে প্রতিদিন চেয়ারম্যানের বাড়ি, ভুমি অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ধর্ণা দিচ্ছেন।


সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবস্থাসম্পন্ন বিত্তবান যাদেরকে টাকার বিনিময়ে ঘর দেওয়া হয়েছে বা যারা ঘর পেয়েছেন তারা হলেন- গোয়ালদিঘী গ্রামের আনোয়ার, ইসমাইল(১), মন্টু, আলতাফ, আব্বাস উদ্দীন, আমির উদ্দিন, মহিরুল, মিজান, মনতাজ, বজির, মাসিদুল, জালাল, বাকির উদ্দীন, কুশিম উদ্দীন, সাঈদ আলী, শাহাজান, আজাদ, নুরুল, আসমা খাতুন। এদের সবাই বিত্তবান ও চাষাবাদের জমি আছে। নিজের জায়গায় পাকা বাড়ি আছে। কারো কারো মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর আছে।


অবস্থাসম্পন্নরা কিভাবে ঘর পেয়েছেন জানতে চাইলে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই বলেন, প্রতিটি ঘরের জন্য চেয়ারম্যানকে ৯০ হাজার থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। তারা কেউই বিনা পয়সায় ঘর নেননি।


মনতাজ বেগম বলেন, ‘আমার পাঁচটা ছেলে সন্তান। ছয়’টা ঘরের জন্য চেয়ারম্যানকে সাত লাখ টাকা দিয়েছি। তার পর ঘর পেয়েছি ‘


অপরদিকে যারা প্রকৃত ভূমিহীন তাদের কেউই আবেদন করে ঘর পাননি। আবার আবেদনের পাশাপাশি কয়েকজন ঘর পাওয়ার আশায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারাও ঘর পাননি। এমন ভূক্তভোগীদের মধ্যে আছেন গোয়ালদিঘী গ্রামের প্রকৃত ভুমিহীন ইসলাম, দুরুল, রুবেল, খালেদ, সাদ্দাম। তারা আবেদন করলেও তাদের ভাগ্যে মুজিব শতবর্ষর ঘর পাননি।


ভূমিহীনদের মধ্যে ঘর পাওয়ার জন্য নিজের শেষ সম্বল গরু ও ছাগল বিক্রি করে এবং ধার দেনা করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছিলেন, মানিক হোসেন, ইসমাইল হক, এরফান আলী, সবুরা বেগম। কিন্তু তাদের কেউই ঘর পাননি। এখন তারা চেয়ারম্যানের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে ধর্ণা দিচ্ছেন। কিন্তু টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না।


আনোয়ার, মানিক সহ আরো অনেকেই অভিযোগ করে  জানান, 'মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান আবু তাহের ও তার লোক আমাদের কাছে প্রতি ঘরের জন্য ৭০ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেন। কিন্তু আজও আমরা ঘর বুঝে পেলাম না। আমরা ঋণ করে, হালের গরু ও ছাগল বিক্রি করে টাকা দিয়েছি। এখন আমরা নিঃস্ব। আমাদের হয় ঘর দেন না হলে আমাদের টাকা ফেরত দেন'।


অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘যা হয়েছে হরিপুর উপজেলার আগের ইউএনও মহোদয় আর ভূমি কর্মকর্তা (এসিলেন্ট) জানেন। তিনাদের মাধ্যমে সব হয়েছে।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।


হরিপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাকিবুজ্জামান  বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহেরের বিরুদ্ধে অনেক আগ থেকেই ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ লেনদেনের কথা শুনেছি। বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।


ঘর বরাদ্দে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বহ্নি শিখা আশা কথা বলতে রাজী হননি।


এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুবর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’


আরো পড়ুন:


 



৬২ বছর বয়সে মাস্টার্স পাস,মা ছেলের একসাথে পিএইচডি'র আশা ! 


মাত্র ৪ বছর বয়সে মাকে হারান আরেফা হোসেন। চার বছর পর বয়স যখন আট তখন হারান বাবাকে। পাঁচ বোনের মধ্যে আরেফা ছিল তৃতীয়। অভিভাবক হিসেবে একমাত্র বড় বোন। কিন্তু এতেও ভাগ্যে আসে বিয়োগের বেদনা। অল্প বয়সে বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। পরে তার বাকী তিন বোনসহ আশ্রয় হয় একটি অনাথ আশ্রমে।


অনাথ আশ্রম থেকে ভর্তি হন মিশনারি স্কুলে। মাধ্যমিকে পড়াশোনা করার সময় বাংলা একটি সিনেমা দেখেন তিনি। যে সিনেমায় এক এতিম মেয়ে স্বেচ্ছায় মানুষকে সেবা দিচ্ছেন। সে সিনেমা থেকেই স্বপ্ন বুনতেন তিনিও একদিন সেবিকা হবেন। ১৯৭৬ সালে মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে ভর্তি হোন। সেখান থেকে ১৯৮১ সালে শেষ করে ১৯৮২ সালের ৬ জুন ঠাকুরগাঁও মহকুমা হাসপাতালে (বর্তমানে আধুনিক সদর হাসপাতালে) নার্স হিসেবে যোগদান করেন।


চাকরির দুই বছর পরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন তিনি। বছর না যেতেই কোলজুড়ে আসে সন্তান। যেন বেড়ে গেলো আরো দায়িত্ব কমে গেল সময়। একদিকে সংসারের ব্যস্ততা অন্যদিকে কর্মময় জীবন। এগুলো বাদ দিয়ে আলাদা কোন বিষয়ে মনোনিবেশ হওয়ার সুযোগ ছিলনা তার।


তবে মনে তার সুপ্ত বাসনা তাড়া করতো

উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আবার শুরু হয় পড়াশোনা। বিএসসি করার জন্য ভর্তি হোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মহাখালী সেবা মহাবিদ্যালয়ে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করে ক্ষান্ত হননি তিনি, বরং চাহিদা বেড়েছে মাস্টার্স করার। চলতি বছরের ১৭ জুন অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। ৬২ বছর বয়সে শিক্ষাগত সনদ অর্জনে যেন উচ্চ শিক্ষার স্বাদ শেষ বয়সে আশ্বাদন করলেন তিনি। এত বয়সে উচ্চ শিক্ষায় সাড়া পরেছে জেলার অন্যান্য  শিক্ষার্থীদের মাঝে।


ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ইসলামবাগের বাসিন্দা আরেফা হোসেন। তিন বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে বর্তমানে দুই ছেলে সন্তান নিয়ে পরিবার তার। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ৩৮ বছরের চাকরিজীবন শেষ করে ঠাকুরগাঁও নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।


একদিকে বয়সের ভার, অন্যদিকে পরিবার ও কর্মস্থলের ব্যস্তময় সময়। এ বয়সে পড়াশোনা যেন আকাশকুসুম বিষয়। তবুও সব বাধা ডিঙিয়ে উচ্চ শিক্ষার সনদ পেয়ে আত্মতৃপ্তি পেয়েছেন আরেফা হোসেন।


আরেফা হোসেন বলেন, আমার জন্ম

নওগাঁ জেলায়। সেখানেই আমাদের বাড়ি ছিল। আমরা পাচঁ বোন ছিলাম। ছোট বেলায় মা-বাবা মারা যায়। বড় বোন আমাদের দেখাশুনা করতেন। কিছুদিন পরে বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। তখন আমাদের দেখাশোনা করার মত কেউ ছিলনা। আমি সহ আমরা তিনবোন সেখানে এক অনাথ আশ্রমে থাকা শুরু করি। সেই অনাথ আশ্রমেই সময়টা কেটেছে। এক বদ্ধপরিকর জীবন কেটেছে আমাদের। আর যেহেতু এতিম সেহেতু এর বাইরে আলাদা ভাবে জীবন কাটানোর কোন সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ছোটবেলা থেকে সবার মনে বড় হয়ে কিছু হওয়ার ইচ্ছে থাকে। তবে আমার স্বপ্ন বা ইচ্ছেটা ছিল একটু অন্যরকম।


যেহেতু মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা করেছি সেখানেই থেকেছি। আমি একটি বাংলা সিনেমা দেখেছিলাম। সিনেমায় এক বাবা-মা হারানো মেয়ে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন। সেই সিনেমার সেই চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও মনে মনে ভেবেছিলাম যে আমিও মানুষের সেবা করব। সেবিকা হিসেবে আমিও মানুষের পাশে থাকব। তারপরে নার্সিং কলেজে ভর্তি হয় সেখানে পড়াশোনা শেষ করি।


‘যখন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন খুব অসহায় হয়ে পরে। সে মানুষ যে পরিবারের হোক বা যতই ধনবান হোক। কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ বা স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এ পেশায় থাকাকালীন বিভিন্ন রোগী ও তাদের পাশে দাড়ানোর সুযোগ হয়েছে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থেকে একজন সেবিকা পেশাটা মহৎ পেশা বলে আমি মনে করছি। যে পেশায় মানুষের খুব কাছ থেকে সহযোগিতা করা যায়।’


তিনি আরো বলেন, আমার ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার। কিন্তু চাকরির পরে বিয়ে তারপর সন্তান হয়ে যায়। মনে হয়েছিল হয়তো আর উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবনা। তবে আমার স্বামী আমার শক্তি জোগান দিয়েছেন। তার অনুপ্রেরণায় আমি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। তিনি আমাকে বলেছিলেন উচ্চ শিক্ষার যেহেতু সুযোগ আছে তুমি ভর্তি হয়ে যাও। আমি এ বয়সে মাস্টার্স করেছি আমার স্বামীর অনুপ্রেরণায়। যদিও তিনি জানেন আমি মাস্টার্স করছি কিন্তু আমার সফলতা তিনি দেখে যেতে পারেননি। ২০১৯ সালে তিনি মারা গেছেন। আর আমি এ বছরে মাস্টার্স শেষ করে সনদ পেলাম। আসলে জীবন মানে সংগ্রাম। কথায় আছে যে রাধে, সে চুলও বাধে। আমার বড় ছেলে বলে আম্মু তুমি আর আমি একসাথে পিএইচডি করব। তারা অনেক খুশি হয়েছে।


নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী রোমানা আক্তার বলেন, আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ম্যাম চাকরি করছেন। অনেক সুন্দর করে তিনি আমাদের ক্লাসে পাঠদান করান। উনার ক্লাসে মনোযোগ থাকলে আলাদাভাবে বাড়তি পড়াশোনার প্রয়োজন হয়না। আর উনি আমাদের অনুপ্রেরণা। এত বছর বয়সে যদি ম্যাম উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। তাহলে আমরাও পারব। আমরা সকলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ম্যামের সফলতা দেখে।


আরেফা হোসেনের ছোট ছেলে আদিব হোসেন বলেন, আম্মুর সফলতায় আমরা অনেক খুশি। আমরা সন্তান হিসেবে আম্মুকে নিয়ে গর্ববোধ করেছি। আমরা মা ছেলে একসাথে পিএইচডি করব।


ঠাকুরগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। যদি স্বপ্ন দেখা যায় আর পরিশ্রম করা হয় তবে সফল হওয়া সম্ভব। আমি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি যাতে তার অর্জিত শিক্ষা নতুন প্রজন্মের কাছে বিলিয়ে দিতে পারেন।


আরো পড়ুন:


 



বেনাপোল চেকপোস্টে ৮শ’ গ্রাম সোনাসহ পাসপার্ট যাত্রী আটক


বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকা থেকে সাড়ে ৮শ’ গ্রাম সোনাসহ উম্মে সালমা (২৬) নামে এক পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল। আটক উম্মে সালমার বাড়ী ঢাকার ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকায়। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। 

বেনাপোল কাস্টমস গোয়েন্দা সহকারী উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বুধবার সকালে এক জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান স্বর্ণ নিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমরা সকাল থেকে চেকপোস্টে অবস্থান করি এবং উম্মে সালমা নামে এক যাত্রীকে নজরদারীতে রাখি। 

যাত্রীর কাস্টমস ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্নের পর ভারতে প্রবেশের পূর্বে তার গতিরোধ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। প্রথমে স্বিকার না হলেও পরবর্তিতে তিনি তার ব্যাগের ভিতর থেকে পাকা সোনার তৈরী ১০টি চুড়ি ও একটি মোটা চেইন বের করে দেন। আটককৃত সোনার মোট ওজন ৮৪৩ গ্রাম। মোট মুল্য ৫৫ লাখ টাকা। আটক সোনা বেনাপোল কাস্টমস হাউসে জমা দিয়ে যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 


আরো পড়ুন:


 



ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থী উদ্ধার ! 


ঠাকুরগাঁওয়ে আজ সকালে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজা খাতুন (১৫) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।


বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার সময় পৌরশহরের টাঙন নদীর পাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


উদ্ধার হওয়া মাহফুজা খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ক্বারী মৃত মোস্তফা কামালের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমী মহিলা মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করত।



টাঙন নদী সংলগ্ন খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জয় মহন্ত অলক বলেন, নদীর ব্রিজের  নিচে একটি বস্তার ভিতরে একটি মেয়েসহ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে একজন মোবাইলে ফোন করে জানান । আমরা প্রথম দেখায় মনে করেছিলাম, মারা গেছে। পরে ছবি তোলার জন্য একটু কাছে গিয়ে দেখি বস্তাটি নড়ে উঠল। তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের বস্তাটি খুলতে বললাম। বস্তা খোলার পর দেখা গেল বেঁচে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।


মাহফুজা খাতুনের বড় বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার বোন টাঙন নদীর পাশে এক মাদরাসায় পড়াশোনা করত। ঘটনা কি ঘটেছে জানি না। আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে যাচ্ছি।



খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমী মহিলা মাদরাসার মুহতামিম হযরত আলী বলেন, স্বাভাবিক নিয়মের মতো রাত ১১টায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের সময় তাকে রুমে দেখতে না পেয়ে সহপাঠীরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। তারপর পাশেই টাঙন নদীর নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় তাকে পাওয়া গেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।



ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, মাহফুজা শহরের একটি মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করে। মেয়েটির সাবেক স্বামী তার দলবল নিয়ে রাত আনুমানিক ২-৩টার দিকে কৌশলে মাদরাসা থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে নির্যাতন করে তাকে বস্তাবন্দি করে টাঙন নদীতে ফেলে রাখে। সকালে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো পড়ুন:


 


বেনাপোলে ৩০ হাজার ইউএস ডলারসহ নারী আটক


বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেন্ঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে ৩০ হাজার আমেরিকান (ইউ এস) ডলারসহ জেরিন সুলতানা (৩৮) নামে এক নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বেনাপোল বন্দরের প্যাসেন্ঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক জেরিন সুলতানা সাভার থানার আশুলিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিন এর মেয়ে।


যশোর-৪৯ বিজিবি ব‍্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি এক নারী বিপুল পরিমাণ আমেরিকান ডলার নিয়ে পাসপোর্ট যোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। ভারতের হন্ডি ব্যবসায়ী শ্রী গোপাল মারকুইজ ইসস্ট্রইচ কোলকাতা এর বহনকারী হিসেবে জেরিন সুলতানা কাজ করে। হন্ডি ব্যবসায়ী শ্রী গোপাল অভিনব কায়দায় ল্যাগেজ এবং শরীরের ফিটেড অবস্থায় পাচার করে থাকে। 

এমন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক এর নির্দেশে বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সদস্যরা একটি টহলদল প্যাসেন্ঞ্জার টার্মিনালের সামনে অভিযানে বসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঐ নারী বাংলাদেশে প্রবেশ করে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কার্যক্রম শেষ করে টার্মিনালের সামনে আসলে তাকে ক্যাম্পে নিয়ে তল্লাশি করলে ৩০ হাজার আমেরিকান ডলার পাওয়া যায়। যার বাংলাদেশী মুল্য ২৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 



গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না রাশিয়া


দিকে রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইউরোপের গ্রাহকদের জানিয়েছে, 'অস্বাভাবিক' পরিস্থিতির কারণে তারা আর গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।


একটি চিঠিতে তারা জানিয়েছে, গত ১৪ই জুন থেকে তারা সরবরাহ কমাতে বাধ্য হয়েছে।

অন্যদিকে জাপান জানিয়েছে, তেল ও জ্বালানি সরবরাহের সাখালিন-২ প্রজেক্ট পরিচালনার জন্য নতুন যে কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা এখনো কোন যোগাযোগ করেনি।


গত জুন মাসে একটি ডিক্রি জারি করে জাপানে গ্যাসের সরবরাহের দায়িত্ব নতুন একটি কোম্পানিকে দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর ফলে জাপানে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।


নতুন বোমা হামলায় ছয়জন নিহত

রাশিয়ার সৈন্যরা নতুন করে তাদের বোমা বর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের শহর তোরেস্ক শহরে বোমা হামলায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।


ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার সৈন্যরা স্লোভিয়ানস্কে হামলা চালানোর জন্য পুনরায় সংঘবদ্ধ হতে চলেছে।


ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনবাস অঞ্চল দখলের যে পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া, এটা সেই পরিকল্পনারই অংশ। দেশের অন্য এলাকায় রাশিয়ার হামলা ঠেকিয়ে দেয়ার পর তারা এখন পূর্বাঞ্চল দখলে জোর দিয়েছে।


গুগলকে আবারো জরিমানা করলো মস্কো, রাশিয়া ছাড়ছে এইচএন্ডএম

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই নাগরিকদের জন্য তথ্য পাওয়ার সুবিধা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে রাশিয়া।

মস্কো যেসব জিনিস অবৈধ বলে মনে করে, এমন তথ্য সরিয়ে না নেয়ার কারণে গুগলকে ৩৭ কোটি ডলার জরিমানা করেছে মস্কোর একটি আদালত।


রাশিয়া থেকে গুগল যতো অর্থ আয় করে, এটি তার প্রায় ১০ শতাংশ।গত বছরেও গুগলকে একবার জরিমানা করেছিল রাশিয়া।

অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম বড় পোশাক সামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচএন্ডএম ঘোষণা দিয়েছে, তারা রাশিয়া থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তবে দোকানে থাকা কাপড় বা অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি শেষ করার জন্য দোকানগুলো আপাতত খোলা রাখা হবে।


ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর গত মার্চ মাসে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।


আরো পড়ুন:


 শিক্ষার্থী না থাকলেও রাণীশংকৈলে এমপিওভুক্তি কয়েকটি স্কুল ! 



বিদ্যালয়ের অবকাঠামো বলতে কয়েকটি আধাপাকা ঘর। শ্রেণিকক্ষের নেই দরজা-জানালা, নেই বেঞ্চ-চেয়ার। শিক্ষার্থী বাস্তবে না থাকলেও আছে কাগজে কলমে। কয়েক বছর ধরে ক্লাস হয় না। এমনকি সাইনবোর্ডও নেই। অথচ ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে এমন কয়েকটি বিদ্যালয়ের নাম এমপিওভুক্তির তালিকায় উঠেছে


জানা গেছে, ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এমপিওভুক্তির তালিকায় রাণীশংকৈল উপজেলার চারটি নিম্নমাধ্যমিক ও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এতে হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কলিগাঁও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলিগাঁও নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বাচোঁর ইউনিয়নে ভি এইচ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাতোর ইউনিয়নে প্রয়াগপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম রয়েছে।


এছাড়া স্তর পরিবর্তন হয়েছে কাশিপুর ইউনিয়নের মহারাজাহাট উচ্চবিদ্যালয়, আলশিয়া ভোকরগাঁও ও জগদল উচ্চবিদ্যালয়ের। এর মধ্যে কয়েকটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হয় না। শিক্ষার্থী আসে না। এ ছাড়া অবকাঠামোর দশা হযবরল।


ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদনের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী উপস্থিতির খাতা, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল, অবকাঠামো ঠিকঠাক দেখানোর কথা রয়েছে। তবে কাগজে কলমে ঠিকঠাক লেখা হলেও বাস্তবে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে, এমপিওভুক্ত হওয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।


হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কলিগাঁও বালিকা উচ্চবিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির সামনে কোনো সাইনবোর্ড নেই, দূর থেকে দেখে বোঝা যাবে না এটি কোনো বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে, তবে সেগুলো অর্ধনির্মিত, নেই দরজা-জানালা, মেঝে মাটিতে ভরা। শ্রেণিকক্ষে একটিও চেয়ার কিংবা বেঞ্চ নেই।


স্থানীয় লোকজন জানান, কলিগাঁও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে ক্লাস হয় না। কোনো শিক্ষার্থীও আসে না। ইতিমধ্যে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি বিদ্যালয়ে।


কলিগাঁও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমিরউদ্দীন বলেন, তিনটি ক্লাসরুম রয়েছে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩৫ জন, শিক্ষক-কর্মচারী মিলে ১১ জন। বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হতো, বর্তমানে বিদ্যালয় ছুটি তাই চেয়ার-বেঞ্চ নেই। বিদ্যালয় খুললে আবার চেয়ার-বেঞ্চ নিয়ে আসা হবে।


একইভাবে বাচোঁর ইউনিয়নের ভিএফ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় এলাকায় কোনো সাইনবোর্ড নেই। অবকাঠামো বলতে তিনটি ঘর তাতে কিছু চেয়ার-বেঞ্চ রয়েছে। তবে তা ময়লা-আবর্জনায় ভরা। বিদ্যালয়ের আশপাশের বাড়ির কয়েকজন তরুণী জানায়, তারা এই বিদ্যালয়ে পড়ে না, কারণ এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আসে না। তারা তিন কিলোমিটার দূরে মীরডাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।


ভিএফ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, ‘বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হয়। তবে ছুটির কারণে একটু ময়লা-আবর্জনা হয়েছে। আমরা সব ঠিক করে ফেলব।’


জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী বলেন, শর্ত ভাঙার সুযোগ নেই। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। বিদ্যালয় খুললেই সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজ


আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget