Latest Post

ফরিদপুরে কৃষি মন্ত্রী 
Minister of Agriculture in Faridpur


ফরিদপুরের সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় কৃষি উদ্যোক্তা সাহিদা বেগমের পেয়াজ বীজ উৎপাদন খামারে বৃহস্পতিবার  পরিদর্শনে যান কৃষি মন্ত্রী ডঃ আব্দুর রাজ্জাক । 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

পেয়াজ বীজের মাঠ পরিদর্শন কালে  কৃষি মন্ত্রীর সাথে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো সায়েদুল ইসলাম , ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার , ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো আলিমুজ্জামান , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সহ ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের  কর্মকর্তারা । 


কৃষি মন্ত্রী   ডঃ আব্দুর রাজ্জাক আদর্শ কৃষি খামারীর পেয়াজ বীজের মাঠগুলো ক্ষেতে গিয়ে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন । 

এর পূর্বে কৃষি মন্ত্রী ফরিদপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে তাকে গার্ড অফ অনার দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসন  ও ফরিদপুর পুলিশ প্রশাসন।  এছাড়া  খামারীরা মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান । 



আরো পড়ুন:





ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার আবেদন
Extortion case against OC-SI of Boalmari police station in Faridpur


ফরিদপুরে  বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম (৫৫) ও উপপরিদর্শক(এসআই) উত্তম কুমার সেনের (৫০) বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলার আবেদন করেছেন এক ব্যবসায়ী।  

বুধবার (৬ এপ্রিল) ফরিদপুরের ৭ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ওই ব্যাবসায়ী আতিয়ার রহমান নান্টু। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার দাঁদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বোয়ালমারী পৌর সদরের ওয়াপদা মোড়ের একজন হার্ডওয়্যারের ব্যবসায়ী। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

 আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড় মামলার অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।


দন্ডবিধির ৩২৩/৩৮৫/৫০৬(বি)/১১৪ ধারায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়। আগামী ২৬ মে মামলার আবেদনের ওপর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। 


মামলার আবেদন সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ও ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান নান্টু ২০০০ সালের ২৩ মে বোয়ালমারীর পৌরসভার ওয়াপদার পাশে মৃত রশিদ মোল্লার স্ত্রী ও চার মেয়ের কাছ থেকে দুটি দলিলে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ২ শতাংশ জমির ওপর দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা করে আসছিলেন।


বোয়ালমারীর সোতাশী এলাকার বাসিন্দা, দুই ভাই মোঃ ইয়াকুব হোসেন ও মোঃ বেলায়েত হোসেন রশিদ মোল্লার স্বজনদের কাছ থেকে একই জায়গায় জমি ক্রয় করেছিলেন। উক্ত দুই ভাইয়ের দাবি ও অভিযোগ, তাঁদের ক্রয়কৃত দাগের জমি ভোগদখল করছেন আতিয়ার রহমান নান্টু। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।


আতিয়ার রহমান নান্টু মামলার আবেদনে বলেন, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর ওই দুই ভাই ইয়াকুব হোসেন ও বেলায়েত হোসেন গুদাম দখলের চেষ্টা করেন। তখন তিনি বোয়ালমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন। সাধারণ ডায়েরি( জিডি) করার পর তিনি থানার ওসির কক্ষে গেলে ওসি তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তিনি ওসিকে ৫০ হাজার টাকা দেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ওই দুই ভাই আবার তাঁর গুদাম ঘরের তালা ভেঙে সিমেন্টের বস্তা ওঠানোর চেষ্টা করেন। তখন আতিয়ার রহমান বিষয়টি তাৎক্ষনিক ওসিকে জানান। ওই সময় ওসি তাঁর কাছে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এবার তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। ওসি তখন হুমকি দিয়ে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে (আতিয়ার রহমানকে) মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করবেন। পরে আতিয়ার রহমান থানার উপপরিদর্শক(এসআই) উত্তম কুমার সেন চড়, কিল ও ঘুষি মেরে থানা থেকে বের করে দেন।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

এ ঘটনার পরে আতিয়ার রহমান নান্টু ফরিদপুরের পুলিশ সুপার, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়ার্টারে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন স্থানীয়ভাবে ও বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় তিনি আদালতে মামলার জন্য এ অভিযোগ করেন।


এ বিষয়ে  বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান,যে অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে সে অভিযোগ সত্য নয়।


এ বিষয়ে মামলার আবেদনকারী আতিয়ার রহমানের আইনজীবী লুৎফর রহমান জানান, আতিয়ার রহমান নান্টু আদালতে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্য মিথ্যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অভিযোগটি যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব  দিয়েছেন। পিবিআইয়ের তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযোগটি মামলায় পরিণত হবে। সত্য প্রমাণিত না হলে অভিযোগটি খারিজ হয়ে যাবে।


এদিকে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ও উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার আবেদনের বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার(৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান। সংবাদ সন্মেলনে তিনি বলেন, আতিয়ার রহমান নান্টু গত ৬ মার্চ তাঁর বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পরদিন ৭ এপ্রিল এক তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নিয়োগ প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত কাজ শুরু করেন। এ পর্যন্ত ওই তদন্ত কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানসহ ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। 


পুলিশ সুপার আরও বলেন, আতিয়ার রহমান পুলিশের নির্ধারিত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট একটি কাগজও পৌঁছে দেন। অথচ একই দিন তিনি আদালতে গিয়ে মামলার অভিযোগ করেন। তাতে আগের অভিযোগ ও পরের অভিযোগে অনেক অমিল রয়েছে। আগের অভিযোগের চেয়ে নতুন অভিযোগে অনেক কথা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগকারী বলেছেন, স্থানীয়ভাবে ও বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা তিনি পাননি। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তদন্তসংশ্লিষ্ট কাগজ জমা দেওয়ার দিনই আদালতে একই বিষয়ে মামলার আবদেন করার বিষয়টি বোধগম্য নয়।



আরো পড়ুন:



মধুখালীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ রুপ ধারন
Outbreak of diarrhea in Madhukhali


ফরিদপুরের মধুখালীতে  সারাদেশের ন্যায় মৌসুমি  রোগ ডায়রিয়ার  প্রকোপ রুপ ধারন  করেছে। সারা দেশের ন্যায় মধুখালীসহ আশপাশের  উপজেলা গুলিতে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পরছে। তার বেশীর ভাগ চাপ পড়ছে  মধুখালী হাসপাতালে। মধুখালী সদর হাসপাতালের দেয়া তথ্যনুযায়ী মার্চ মাসে ১৬২জন এবং  ৬ এপ্রিলের দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৪ জন ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬জন ডায়রিয়ার রোগি ভর্তি হচ্ছেন। দিন দিন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। কোন ভাবেই থামছে  না । সব বয়সী মানুষই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এ বিষয়ে মধুখালী সদর  হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ কবির সরদার জানান ডারিয়ার চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।এ সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ  বাড়ে আমরা  সতর্ক আছি । জনসাধারণকে  বলি খোলা খাবার না খাওয়া এবং খাদ্য গ্রহনে সতর্কতা গ্রহন করা । এ পর্যন্ত  ডায়রিয়ায় কোন প্রাণ হানির ঘটনা ঘটে নাই । সবাই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে ফিড়ে গেছেন। 



আরো পড়ুন:





মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ মেয়ের, খরচের চিন্তায় পড়েছেন ভ্যান চালক বাবা! 
Opportunity for medical admission of the daughter, the father of the van driver is worried about the cost!


নিজস্ব জমি জমা না থাকলেও একমাত্র রিক্সা ভ্যান চালিয়ে ৩ সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্নে এগিয়ে চলেছেন জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামের একজন ভ্যান চালক।


একমাত্র ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পাশাপাশি এবার আল্পনা আকতার নামে এক মেয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজের ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হলে তার এই সুযোগের কথা প্রকাশ পায়।


আফতাবর রহমানের বাড়ী ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামে। ভিটেমাটি আর ভ্যান গাড়ী ছাড়া তার আর কোন সহায় সম্পদ নেই।


একমাত্র ছেলে মুন্না আলী বাংলা বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন কয়েক বছর যাবত। সে এখন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। এদিকে মঙ্গলবার মেয়ে আলপনা আক্তারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি ফলাফল প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ হয়েছে তার। এছাড়াও বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে পাত্রস্থ করেছেন আর ছোট মেয়ে পড়ছে উচ্চ মাধ্যমিকে।


একমাত্র ছেলেকে এতদিন পড়ালেখার খরচ নিয়মিত নিয়ে আসছেন রিক্সা ভ্যান চালিয়ে। এবার মেয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগের খবরে খরচের চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি সংসারের খরচ যোগাতে প্রতিদিন রিক্সা ভ্যান চালানো ছাড়া আর কোন পথ নেই।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

কথার ফাকে আফতাবর রহমান জানান, ভ্যান চালিয়ে ছেলেকে ঢাবিতে, মেয়ে দু'টোকে পড়াচ্ছি। ছেলে মুন্না আলীর ঢাবিতে ভর্তির সময় ২৫ শতক আবাদী জমির মধ্যে ৫ শতক জমি বিক্রি করে ভর্তির খরচ বহন করি। পরবর্তীতে তার পড়ালেখা খরচ যোগাতে গিয়ে অবশিষ্ট ২০ শতক জমিও বিক্রি করতে হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমাসে পড়ালেখা ৩-৪ হাজার টাকা ঢাকায় ছেলেকে পাঠানো, অন্য দুই মেয়ের পড়ালেখা খরচ এবং সাংসারিক ব্যয় বহনের একমাত্র মাধ্যম আমার ভ্যান গাড়ীটি। একদিন ভ্যানগাড়ী নিয়ে বের না হলে সংসারে চুলায় তার হাড়ি উঠেনা।


তিনি আরও জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দুই সন্তান পড়াশোনার সময় শিক্ষাবৃত্তি পায় ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে।

এ শিক্ষাবৃত্তির টাকা তার পরিবারের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করেছে। মেয়েকে ভর্তি করানোর টাকা যোগাড় করতে ইতোমধ্যে তিনি তাঁর নিকট আত্মীয়দের সাথে কথা বলছেন।


তারা ভর্তির টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তিনি অনেকটা দুশ্চিন্তামুক্ত। কিন্তু চিন্তা হলো পরবর্তীতে মাসে মাসে যে খরচ ব্যয় করতে হবে তা আসবে কোথা থেকে। কারণ রিক্সা ভ্যানের আজকাল দুর্দিন চলছে। আগে ভ্যান চালিয়ে আয় বেশি হলেও থ্রি-হুইলার ও অটোচার্জারের ভিড়ে ভ্যান গাড়ীতে যাত্রী পাওয়া দুস্কর হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বাজারে নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে।


ভ্যান চালকের স্ত্রী মাজেদা খাতুন জানান, আমাদের রক্তের শেষ বিন্দু থাকা পর্যন্ত সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যাবো। মানবিক কারণে যদি কেউ সহযোগিতার হাত বাড়াতে চান, তাহলে আমরা আপত্তি করব না।


সদ্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী আলপনা আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কুশডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে।


আলপনা আক্তার বলেন, বাবা অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। চিকিৎসক হয়ে বাবা, মাসহ অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। বাবার স্বপ্ন পুরণে সকলের নিকট দোয়া চান তিনি।


বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভ্যানচালক বাবার মেয়ে আলপনা মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ পেয়েছে এটা অবশ্যই গর্বের। তবে মেয়েটির ভর্তির জন্য আর্থিক সাহায়্যের আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।



আরো পড়ুন:





রাণীশংকৈলের নেকমরদে জাতীয় যুব সংহতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
The biennial conference of the National Youth Solidarity was held at Nekmarad in Ranishankail


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে জাতীয় যুব সংহতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকালে  উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে (২ এপ্রিল শনিবার) ধানহাটি মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন যুব সংহতির সভাপতি আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহমেদ।


বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পীরগঞ্জ জাতীয় পাটির সহ-সভাপতি  দবির ইসলাম, রাণীশংকৈল উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব ও প্যানাল মেয়র(২) ইসহাক আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব সংহতির পীরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জহির আহমেদ, উপজেলার যুব সংহতির সভাপতি গফুর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন, নেকমরদ ইউনিয়নের যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাজু। 


সম্মেলন শেষে আব্দুল ফাত্তাহ কে সভাপতি ও রাজিউর রাজুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের জাতীয় যুব সংহতির কমিটি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় পার্টির সব নেতাকর্মীদের পার্টির পতাকা তলে একতাবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে। 


তিনি আরও বলেন, আগামীতে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে দেশ ও দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে। এ দেশে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ যত উন্নয়ন হয়েছে, তা হয়েছে জাতীয় পার্টির আমলে। জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ দেশের উন্নয়নের রূপকার। 


সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের বলেন, পিকে হালদার ও তার দোসররা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং বর্তমানেও করছে। নিত্যপণ্যের দাম এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ অবস্থায় দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।  


তিনি বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জাতীয় পার্টির কথা বলতে হবে। জাতীয় পার্টির সময়কার উন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।



আরো পড়ুন:





ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায়  স্কুলছাত্র নিহত
Schoolboy killed in road accident in Faridpur


ফরিদপুরে স্কুল থেকে বাইসাইকেলে বাড়ী ফেরার পথে বেপরোয়া গতিতে আসা মাটি টানা ট্রাক্টরের চাপায় নিহত হয়েছে শেখ নাইম (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্র। সে সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের গদাধরডাঙ্গী গ্রামের দিনমজুর সেকেন শেখের ছেলে। নিহত নাইম গেরদা এফ এম মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে গেরদার মান্নানের দোকানের মোড়ে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

সরেজমিনে গেলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল শেষে নাইম নিজের বাই সাইকেলযোগে বাড়ী ফিরছিল।  মান্নানের দোকানের মোড়ে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মাটি টানা ট্রাক্টর তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।


এসময় স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাক্টরের চালককে ট্রাক্টরসহ আটক করেছে। উত্তেজিত জনতা ট্রাক্টরের চালককে মারপিট করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। স্কুল ছাত্র নাইমের মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে চালকসহ ট্রাক্টরটি থানায় নিয়ে আসেন এবং এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।



আরো পড়ুন:




রাণীশংকৈলে ইউএনও'র নামে চাঁদা দাবি, থানায় জিডি
In Ranishankail, extortion demand in the name of UNO, GD at the police station



উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে একাধিক মিষ্টান্ন বিক্রেতার কাছে ৩০/৪০ টাকা করে চাঁদা দাবি করা হয়েছে । ঘটনাটি প্রতারক চক্রের অপকৌশল নিশ্চিত হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম। 


অপরদিকে বিষয়টি জানার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ। ইউএনও'র পরিচয়ে মিষ্টির দোকানে চাঁদা দাবি করার ৪ দিন পর ফের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

 

উপজেলার মীরডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তার জানান, বুধবার (৩০ মার্চ) আমাকে ও প্বার্শবর্তী টেকিয়া মহেষপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষককের মোবাইলে অজ্ঞাত মোবাইল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে বলেন, আমি ইউএনও বলছি। আগামীকাল আপনারা একটি করে ল্যাপটপ পাবেন। সেটি বাসায় ও স্কুলে ব্যবহার করতে পারবেন। আমার ব্যক্তিগত নাম্বারে পাঁচ হাজার টাকা বিকাশ করে দেন।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

একইভাবে সহোদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফোন দেয় প্রতারকরা। কিন্তু চতুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেউ টাকা দেননি।


অপরদিকে, গত ২৬ মার্চ নেকমরদ ইউনিয়নের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। 

থানায় জিডির সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে একাধিক মিষ্টির দোকান রয়েছে। গত ২৬ মার্চ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দবিরুল ইসলাম কয়েকটি মিষ্টির দোকানে গিয়ে ইউএনও কথা বলবেন বলে মুঠোফোন তাঁদের কাছে দেন। এ সময় ইউএনও পরিচয় দিয়ে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর জানাতে বলা হয়।


ইউএনও পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, ‘অভিযানে এলে আপনাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে। আপনি যদি জরিমানা খেতে না চান, তাহলে ৪০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেন।’


ওই ব্যবসায়ী নম্বর দিলে পরবর্তী সময়ে ওই নম্বরে  ইউএনও পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, অভিযানে এলে আপনাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে। আপনি যদি জরিমানা খেতে না চান, তাহলে ৪০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেন।’ এরপর একই নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন দিয়ে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়।


এ ঘটনায় ওই রাতেই ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অপরিচিত মোবাইল নম্বর ০১৯২৩-৮৫১৭০২ উল্লেখ্য করে রাণীশংকৈল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এবিষয়ে থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে জানান, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের কাজ চলছে। সিডিআর হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, মিষ্টির দোকানের বিষয়টি এবং শিক্ষকদের বিষয়ে থানা পুলিশকে ব্যবস্হা নিতে জানানো হয়েছে। ভুয়া ইউএনও সেজে যারা চাঁদা দাবি করেছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে দূষ্কৃতকারীরা সবাই বরিশাল, নেত্রকোনা ও দক্ষিণবঙ্গের লোক। ছেলে মানুুষের নামে সিম তোলা হয়েছে এবং সেই নম্বরে ইমুতে মহিলার ছবি। সবকিছু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।



আরো পড়ুন:




রাণীশংকৈলে পাখড় ও বট গাছের বিয়ে!
Ranishankaile pakhar and bot tree marriage!

প্রাচীন যুগ থেকেই হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী গাছের বিয়ের প্রথা চালু রয়েছে। যদিও এটি প্রাচীন রীতিনীতি। তবে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ফুটানি বাজার মহলবাড়ি গ্রামে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

মহলবাড়ী গ্রামের মহিলা ভেটেলি রাণী নানা প্রতিকূলতায় ভুগছিলেন। তার সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতে নিয়ত করেন গাছের বিয়ে দিবেন। সেই সুবাদে তিনি আনুমানিক ৮ বছর আগে একটি পাখড় ও একটি বট গাছ রোপণ করেন। তার মনষকামনা পূরণের উদ্দেশ্যে একই গ্রামের পাথারু রায়ের সাথে বট গাছটিকে কন্যা সম্বন্ধ তৈরি করে চলতি ফাল্গুন মাসের ১৯ তারিখে হিন্দু ধর্মের যথাযথ রীতি অনুযায়ী আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করে ঢাকঢোল পিটিয়ে গাছ দুটিকে দুই রংয়ের কাপড় পরিয়ে দুটি গাছের বিয়ে সম্পন্ন করেন।


পাখড় পুত্রের মা ভেটেলি রাণী জানান, ‘আমি নানা প্রকার সমস্যায় জর্জরিত ছিলাম। তখন আমি আমার মনষ্কামনা পূর্ণ হওয়ার আশায় দুটি গাছের বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করি। আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে যথাযথ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আমার পরিবার থেকে গাছ দুটির বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।’


বট কন্যার বাবা পাথারু রায় জানান, ‘ভেটেলি রাণী আমাকে কন্যা বটগাছটির বাবা হওয়ার প্রস্তাব দেন। বয়স্ক মানুষদের কাছে শুনেছি কন্যা বটগাছটির বাবা হওয়া নাকি পরজনমের জন্য ভালো। পরজনমের কথা চিন্তা করে আমিও গাছ দুটির বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যাই। সে সুবাদে আমরা দুটি পরিবার সম্বন্ধে ঠিক করে গাছ দুটির বিয়ে দেই।’



আরো পড়ুন:




Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget