Latest Post

রাণীশংকৈলের নেকমরদে জাতীয় যুব সংহতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
The biennial conference of the National Youth Solidarity was held at Nekmarad in Ranishankail


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে জাতীয় যুব সংহতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকালে  উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে (২ এপ্রিল শনিবার) ধানহাটি মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন যুব সংহতির সভাপতি আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহমেদ।


বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পীরগঞ্জ জাতীয় পাটির সহ-সভাপতি  দবির ইসলাম, রাণীশংকৈল উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব ও প্যানাল মেয়র(২) ইসহাক আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব সংহতির পীরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জহির আহমেদ, উপজেলার যুব সংহতির সভাপতি গফুর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন, নেকমরদ ইউনিয়নের যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাজু। 


সম্মেলন শেষে আব্দুল ফাত্তাহ কে সভাপতি ও রাজিউর রাজুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের জাতীয় যুব সংহতির কমিটি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় পার্টির সব নেতাকর্মীদের পার্টির পতাকা তলে একতাবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে। 


তিনি আরও বলেন, আগামীতে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে দেশ ও দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে। এ দেশে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ যত উন্নয়ন হয়েছে, তা হয়েছে জাতীয় পার্টির আমলে। জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ দেশের উন্নয়নের রূপকার। 


সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের বলেন, পিকে হালদার ও তার দোসররা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং বর্তমানেও করছে। নিত্যপণ্যের দাম এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ অবস্থায় দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।  


তিনি বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জাতীয় পার্টির কথা বলতে হবে। জাতীয় পার্টির সময়কার উন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।



আরো পড়ুন:





ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায়  স্কুলছাত্র নিহত
Schoolboy killed in road accident in Faridpur


ফরিদপুরে স্কুল থেকে বাইসাইকেলে বাড়ী ফেরার পথে বেপরোয়া গতিতে আসা মাটি টানা ট্রাক্টরের চাপায় নিহত হয়েছে শেখ নাইম (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্র। সে সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের গদাধরডাঙ্গী গ্রামের দিনমজুর সেকেন শেখের ছেলে। নিহত নাইম গেরদা এফ এম মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে গেরদার মান্নানের দোকানের মোড়ে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

সরেজমিনে গেলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল শেষে নাইম নিজের বাই সাইকেলযোগে বাড়ী ফিরছিল।  মান্নানের দোকানের মোড়ে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মাটি টানা ট্রাক্টর তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।


এসময় স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাক্টরের চালককে ট্রাক্টরসহ আটক করেছে। উত্তেজিত জনতা ট্রাক্টরের চালককে মারপিট করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। স্কুল ছাত্র নাইমের মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে চালকসহ ট্রাক্টরটি থানায় নিয়ে আসেন এবং এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।



আরো পড়ুন:




রাণীশংকৈলে ইউএনও'র নামে চাঁদা দাবি, থানায় জিডি
In Ranishankail, extortion demand in the name of UNO, GD at the police station



উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে একাধিক মিষ্টান্ন বিক্রেতার কাছে ৩০/৪০ টাকা করে চাঁদা দাবি করা হয়েছে । ঘটনাটি প্রতারক চক্রের অপকৌশল নিশ্চিত হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম। 


অপরদিকে বিষয়টি জানার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ। ইউএনও'র পরিচয়ে মিষ্টির দোকানে চাঁদা দাবি করার ৪ দিন পর ফের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

 

উপজেলার মীরডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তার জানান, বুধবার (৩০ মার্চ) আমাকে ও প্বার্শবর্তী টেকিয়া মহেষপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষককের মোবাইলে অজ্ঞাত মোবাইল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে বলেন, আমি ইউএনও বলছি। আগামীকাল আপনারা একটি করে ল্যাপটপ পাবেন। সেটি বাসায় ও স্কুলে ব্যবহার করতে পারবেন। আমার ব্যক্তিগত নাম্বারে পাঁচ হাজার টাকা বিকাশ করে দেন।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

একইভাবে সহোদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফোন দেয় প্রতারকরা। কিন্তু চতুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেউ টাকা দেননি।


অপরদিকে, গত ২৬ মার্চ নেকমরদ ইউনিয়নের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। 

থানায় জিডির সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে একাধিক মিষ্টির দোকান রয়েছে। গত ২৬ মার্চ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দবিরুল ইসলাম কয়েকটি মিষ্টির দোকানে গিয়ে ইউএনও কথা বলবেন বলে মুঠোফোন তাঁদের কাছে দেন। এ সময় ইউএনও পরিচয় দিয়ে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর জানাতে বলা হয়।


ইউএনও পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, ‘অভিযানে এলে আপনাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে। আপনি যদি জরিমানা খেতে না চান, তাহলে ৪০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেন।’


ওই ব্যবসায়ী নম্বর দিলে পরবর্তী সময়ে ওই নম্বরে  ইউএনও পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, অভিযানে এলে আপনাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে। আপনি যদি জরিমানা খেতে না চান, তাহলে ৪০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেন।’ এরপর একই নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন দিয়ে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়।


এ ঘটনায় ওই রাতেই ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অপরিচিত মোবাইল নম্বর ০১৯২৩-৮৫১৭০২ উল্লেখ্য করে রাণীশংকৈল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এবিষয়ে থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে জানান, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের কাজ চলছে। সিডিআর হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, মিষ্টির দোকানের বিষয়টি এবং শিক্ষকদের বিষয়ে থানা পুলিশকে ব্যবস্হা নিতে জানানো হয়েছে। ভুয়া ইউএনও সেজে যারা চাঁদা দাবি করেছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে দূষ্কৃতকারীরা সবাই বরিশাল, নেত্রকোনা ও দক্ষিণবঙ্গের লোক। ছেলে মানুুষের নামে সিম তোলা হয়েছে এবং সেই নম্বরে ইমুতে মহিলার ছবি। সবকিছু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।



আরো পড়ুন:




রাণীশংকৈলে পাখড় ও বট গাছের বিয়ে!
Ranishankaile pakhar and bot tree marriage!

প্রাচীন যুগ থেকেই হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী গাছের বিয়ের প্রথা চালু রয়েছে। যদিও এটি প্রাচীন রীতিনীতি। তবে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ফুটানি বাজার মহলবাড়ি গ্রামে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

মহলবাড়ী গ্রামের মহিলা ভেটেলি রাণী নানা প্রতিকূলতায় ভুগছিলেন। তার সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতে নিয়ত করেন গাছের বিয়ে দিবেন। সেই সুবাদে তিনি আনুমানিক ৮ বছর আগে একটি পাখড় ও একটি বট গাছ রোপণ করেন। তার মনষকামনা পূরণের উদ্দেশ্যে একই গ্রামের পাথারু রায়ের সাথে বট গাছটিকে কন্যা সম্বন্ধ তৈরি করে চলতি ফাল্গুন মাসের ১৯ তারিখে হিন্দু ধর্মের যথাযথ রীতি অনুযায়ী আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করে ঢাকঢোল পিটিয়ে গাছ দুটিকে দুই রংয়ের কাপড় পরিয়ে দুটি গাছের বিয়ে সম্পন্ন করেন।


পাখড় পুত্রের মা ভেটেলি রাণী জানান, ‘আমি নানা প্রকার সমস্যায় জর্জরিত ছিলাম। তখন আমি আমার মনষ্কামনা পূর্ণ হওয়ার আশায় দুটি গাছের বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করি। আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে যথাযথ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আমার পরিবার থেকে গাছ দুটির বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।’


বট কন্যার বাবা পাথারু রায় জানান, ‘ভেটেলি রাণী আমাকে কন্যা বটগাছটির বাবা হওয়ার প্রস্তাব দেন। বয়স্ক মানুষদের কাছে শুনেছি কন্যা বটগাছটির বাবা হওয়া নাকি পরজনমের জন্য ভালো। পরজনমের কথা চিন্তা করে আমিও গাছ দুটির বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যাই। সে সুবাদে আমরা দুটি পরিবার সম্বন্ধে ঠিক করে গাছ দুটির বিয়ে দেই।’



আরো পড়ুন:




রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক শাওন 
Anwar, President of Ranishankail Online Journalists Association and Shaon, General Secretary


ঠাকুরগাঁওয়ের "রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট আ্যাসোসিয়েশনের" ২০২২-২৪ সালের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এতে সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকাশ (বিডি২৪লাইভ.কম) ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ শাওন আলম (উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ.কম) নির্বাচিত হয়েছেন।


৩০ মার্চ (বুধবার) সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের  কার্যালয়ে এই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


নির্বাচনের আগে উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনাইদ কবির, অর্থ সম্পাদক নাহিদ রেজা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাজেদুর রহমান, আব্দুলাহ আল সুমনসহ জেলার নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের এই সমাজের দর্পণ বলা হয়। সাংবাদিকের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ত্রুটিগুলো জনসম্মুখে উন্মোচিত হয়। স্বাধীনতার স্বপক্ষে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া গণমাধ্যমের অন্যতম একটি দায়িত্ব। সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে আগাম তথ্য দিয়ে অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সুন্দর সমাজ গঠনে অবদান রাখছেন সাংবাদিকরা। জেলার মধ্যে এই সংগঠনটি মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করেছে এবং সংগঠনটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাবে বলে আমরা আশা করছি।


আলোচনা সভা শেষে রাত ৯ টার দিকে অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রাণীশংকৈল উপজেলা কমিটিতে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ১৩ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কমিটি ঘোষনা করেন জেলা নেতৃবৃন্দ। 


এতে সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন আকাশ, সাধারণ সম্পাদক পদে খুরশিদ আলম শাওন, সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক বিজয় রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ইসমাম, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হোসেন, অর্থ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ক্রীড়া সম্পাদক এ কে আজাদ কালাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জীবন ও নির্বাহী সদস্য পদে মাসুদ রানা পলক , মোবারক আলী, মোঃ বিপ্লব  নির্বাচিত হন।


সাধারণ সদস্যরা হলেন - ফারুক আহম্মেদ  সবুজ ইসলাম ও খালেদ মাহমুদ সুজন। 

সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ শাওন আলম বলেন, বড় একটি সংগঠনের দায়িত্ব প্রদান করেছে। আমরা সাংবাদিকদের অধিকার আদায়, বষ্ঠনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে রাণীশংকৈল উপজেলাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। এতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 


সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকাশ জানান, ইতিপূর্বে  সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দুইবার দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছি। এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সবসময় কাজ করে গেছে সামনেও কাজ করে যাবে। সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে কাজ করবো। সকলেই পুর্বের ন্যায় পাশে থাকবে আশা করছি।


এদিকে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও প্রেস  ক্লাবের সভাপতি মনছুর আলী, রাণীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সাংসদ  অধ্যাপক ইয়াশিন আলী, আ.লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক, সাবেক অধ্যক্ষ ক্রীড়াবিদ তাজুল ইসলাম, রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ঠিকাদার আবু তাহের আ.লীগ, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও  বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ । 



আরো পড়ুন:





কেশবপুরে হনুমানের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বেগুনের আবাদ
Eggplant cultivation in Keshabpur to meet Hanuman's food needs


খাবারের সন্ধানে যশোরের কেশবপুরের হনুমানের দল এখন যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেশবপুরসহ পার্শ্ববর্তী মণিরামপুর, অভয়নগর, চুকনগর, কলারোয়ায় তাদের ঘোরাফেরা বেশি। গত কয়েক বছর ধরে হনুমান দলবেঁধে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থাসহ স্থানীয়রা সাধ্যমত তাদের খাবারের ব্যবস্থা করলেও হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন তারা। হনুমান বাড়িতে বা সবজি খেতে ঢুকে উৎপাত চালাচ্ছে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করছেন। তাদের খাদ্যের চাহিদা মটানোর জন্য কেশবপুরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩ শতক জমিতে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে বেগুনের আবাদ করা হয়েছে।


উপজেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক শ বছর ধরে কেশবপুর সদর এবং পাশের ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় ৪০০ বিরল প্রজাতির  কালোমুখো হনুমান বাস করছে। বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চত্বর, হাসপাতাল, পাইলট স্কুল এলাকা, ভোগতীনরেন্দ্রপুর, মধ্যকুল, রামচন্দ্রপুর, ব্রহ্মকাটিসহ ১২টি এলাকায় তাদের বিচরণ রয়েছে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বনবিভাগ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন হনুমানের জন্য ৫৪ কেজি কলা, ৮ কেজি বাদাম ও ৬ কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়। তবে এতসংখ্যক হনুমানের বিপরীতে ওই খাবার সবার মাঝে পৌঁছায় না। এ জন্য চলতি মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এডিপির অর্থায়নে হনুমানের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বেগুনের আবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই খেত থেকে প্রথমবার ৬ কেজি টাটকা বেগুন তোলা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন নিজ হাতে পরিষদ এলাকায় বিচরণ করা হনুমানদের খেতে দেন। ৩০ থেকে ৩৫টি হনুমানকে টাটকা বেগুন খাওয়ার সময় আনন্দে লাফালাফি করতে দেখা যায়। বেগুন খেতে দেওয়ার সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, চলতি বছর হনুমানের জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে যত্নসহকারে ৩ শতক জমিতে বেগুনের আবাদ করা হয়। মঙ্গলবার প্রথম ওই খেত থেকে ৬ কেজি টাটকা বেগুন তুলে হনুমানদের খেতে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “দুই-তিন দিন পর পর বেগুন উত্তোলন করা যাবে। এ খেতের উৎপাদিত সব বেগুন হনুমানগুলোকে খাওয়ানো হবে।'


কেশবপুরে হনুমানের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩ শতক জমিতে বেগুনের আবাদ করা হয়েছে। ক্ষেত থেকে তোলা বেগুন হনুমানদের খেতে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা।



আরো পড়ুন:




কেশবপুর মঙ্গলকোট  ইউনিয়নের হতদরিদ্র ২৩৮ টি পরিবারের মাঝে চাউল বিতরন
Distribution of rice among 238 extremely poor families of Keshabpur Mangalkot Union


কেশবপুরের মঙ্গলকোট  ইউনিয়নে দুঃস্থ, হতদরিদ্র ২৩৮ টি পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইউনিয়নের দুঃস্থ, হতদরিদ্র ২৩৮ টি পরিবারের মাঝে ২০২১-২০২২ চক্রের ভিজিডি মাসিক প্রতি কার্ডে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণের শুভ উদ্ধোধন করেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, ট্যাগ অফিসার হংসপতি, ইউপি সচিব মোখলেছুর রহমান, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা রেজাউল খা, ইউপি মেম্বর মোসলেম উদ্দীন গোলদার,  জহির রায়হান, অাব্দুল বারি শেখ, কামরুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দীন সরদার, মুতাহিরুল হক, মনিরুজ্জামান বাচ্চু, লিটন, মমতাজ খাতুন নাসরিন বেগম, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিরোজ উদ্দীন মীরসহ পরিষদের সকল সদস্য ও গ্রামপুলিশগণ।



আরো পড়ুন:




ফেনীতে প্রতিদিন ৭ শতাধিক মানুষকে ইফতার করান মেয়র স্বপন মিয়াজী
In Feni, Mayor Swapan Miyaji made Iftar for more than 700 people every day


ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর ব্যক্তিগত ও পৌরসভার উদ্যোগে প্রতিদিন বিনামূল্যে ৭ শতাধিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।  

জানা যায়, মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিদিন ৫ শতাধিক রোজাদারের জন্য তৈরি করা হয় এইসব  ইফতার। এছাড়াও ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা হয় আরও ২০০ মানুষের ইফতার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে মেয়রের ব্যক্তিগত অফিসের সামনে, তার এলাকা ও বিভিন্ন মসজিদে এসব ইফতার বিতরণ করা হয়।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ছয়লেন উড়াল সেতুর এক পাশে রোজাদারদের জন্য অপেক্ষা করেন ফেনী পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর লোক। সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন গাড়িচালক ও যাত্রীদের গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয় ইফতার। প্রতিদিন এখানেই বিতরণ হয় তিন শতাধিক প্যাকেট ইফতার। বাকি ইফতারের প্যাকেটগুলো বিতরণ হয় বিভিন্ন মসজিদ, এতিমখানা, এলাকার অসহায়দের মধ্যে।


মেয়র স্বপন মিয়াজী জানান, প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়ে ইফতারের এ আয়োজন প্রতিবছরের ন্যায় শেষ রোজা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।


ইফতারে পূর্ব মুহূর্তে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল থেকেই মহিপাল ফ্লাইওভারের পূর্ব অংশের সড়কে ইফতারের থলে নিয়ে রোজাদারদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন মেয়রের স্বেচ্ছাসেবক টিম। বিভিন্ন গাড়ির চালক ও পথচারী ও যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নানা পদের ইফতারের প্যাকেট ও পানির বোতল।


এছাড়াও ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা ২০০  প্যাকেট ইফতার। পৌরসভা প্রাঙ্গণ ও ট্রাংক রোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গরিব ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এইসব ইফতার।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, রোজাদারদের ইফতার করানো সাওয়াবের কাজ। সেই চিন্তা থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ক্ষুদ্র আয়োজন।


তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের পাশেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। প্রতিদিন এই পথে অসংখ্য যানবাহন ও পথচারী চলাচল করে থাকে। মহাসড়কে রোজাদার গাড়িচালক ও পথচারীরা ইফতার করতে অসুবিধায় পড়েন। তাদের কথা চিন্তা করে বিগত কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইফতারের আয়োজন করে আসছি। যে কেউ চাইলে আমার কার্যালয়ের সামনে বসে ইফতার করতে পারবেন। যারা নিতে চায় তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে প্যাকেটে।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, সমাজের সব বিত্তবানরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসেন তাহলে কোন রোজাদার ইফতারের সময় অভুক্ত থাকবে না।


স্থানীয়রা জানান, মেয়র হওয়ার আগ থেকেই গত কয়েক বছর ধরে তিনি মহাসড়কে যাতায়াতকারী রোজাদারদের ইফতার করিয়ে থাকেন। এছাড়াও পৌর এলাকার কর্মহীন মানুষদের সাধ্যমত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি। শহরের সবক’টি মসজিদের সামনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য পানির ট্যাঙ্কের ব্যবস্থাও করেছেন মেয়র।


ইফতার বিতরণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মাঈন উদ্দিন সুমন বলেন, মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ভাইয়ের অর্থায়নে প্রতিদিন রোজাদার গাড়িচালক ও পথচারীদের মধ্যে ইফতারী বিতরণ করা হয়। সড়কে যাতায়াতকারীরা মেয়রের এ ইফতার পেয়ে অনেক উপকৃত হচ্ছেন।


মহাসড়কের এক ট্রাকচালক বলেন, মহাসড়কের পাশে বেশিরভাগ মানুষ ব্যবসায় মত্ত থাকে। এক গ্লাস পানিও বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। সেখানে ভিন্ন চিত্র ফেনীর মহিপালের এই জায়গার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখানে রোজাদারদের ইফতার করানো হয়। এমন উদ্যোগের জন্য তিনি মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


যাত্রীবাহী পরিবহনের যাত্রীরা বলেন, এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যাত্রা অবস্থায় থাকা মানুষগুলো ইফতার নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন। ফেনীর মেয়রের এমন উদ্যোগের কারণে সেসব মানুষগুলো উপকৃত হবেন।



আরো পড়ুন:




Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget