Latest Post

 পানি বিক্রি করে সংসার চালায় ঝিনাইগাতীর আসমা ও আসিয়া
Asma and Asiya of Jhenaigati run their family by selling water


শেরপুরের ঝিনাইগাতী বাজারের মাটির নিচে পাথরের স্তর। তাই সব জায়গায় নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। কিছু স্থানে নলকূপ বসানো গেলেও পানিতে থাকে আয়রন। তাই এ বাজারে সারা বছরই থাকে পানির সংকট। বিশেষ করে, বাজারের বিভিন্ন দোকানে এই সংকট আরও তীব্র। নিজেদের অসহায়ত্ব ঘোচাতে এই সংকটকেই অবলম্বন করলেন আসমা ও তার সহযোগী আসিয়া। দূর-দূরান্ত থেকে ভ্যানগাড়িতে করে পানি এনে ঝিনাইগাতী বাজারে সকাল-বিকেল বিক্রি করেন তারা। এতে সারাদিনে যে আয় হয়, দুজনে ভাগ করে নিয়ে নিজেদের সংসার চালান।

৪০ বছর বয়সী আসিয়া বেগম ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্দভাটপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী। আছিয়া জানান, তার স্বামী একসময় নাপিত ছিলেন। পরে তিনি অন্ধ হয়ে যান। এতে সংসারের উপার্জনও বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় অন্যের কাছে হাত না পেতে ঝিনাইগাতী বাজারে পানি বিক্রি শুরু করেন তিনি। পানি বিক্রির আয় দিয়েই চালাচ্ছিলেন তিন সন্তান আর অন্ধ স্বামীসহ ৫ জনের সংসার। তবে তিন বছর আগে তার স্বামীও মারা যান। আসিয়া বলেন, ‘আমার সঙ্গে পানি টানে আরেক দুঃখিনী আসমা। দুজনে মিলে প্রায় ২০ বছর ধরে পানি টানছি আর বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। একজন ভ্যান টানি আরেকজন ধাক্কা দেই। এভাবেই দোকানে দোকানে পানি দেই আমরা। আসিয়া জানান, পানি বিক্রি করে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয় তাদের। এই টাকা দুজনে সমান ভাগে ভাগ করে নেন তারা। আসিয়ার সঙ্গী আসমা বেগম জানান, শেরপুরের তাতালপুরে থাকতেন তিনি। সেখানেই কিশোরগঞ্জ জেলার নূর ইসলাম নামের এক শ্রমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। কিন্তু তিন সন্তান জন্মের পর তাকে ফেলেই নিজের এলাকায় চলে যান স্বামী।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

আসমা বলেন, ‘সেই থেকে আমিও বিধবা। প্রথমে ধানের খলায়, পরে কৃষিজমিতেও শ্রমিকের কাজ করেছি। এক সময় বাবা-মা সহ ঝিনাইগাতী চইলা আসি। অল্প টাকায় একটা ঘর ভাড়া নিয়া থাকি। ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে ঝিনাইগাতী থাকলেও এখানে আমাগো কোনো জায়গা-জমি নাই। আসিয়ার সঙ্গে পানি বেইচা অনেক কষ্টে সংসার চালাই।’ এ সময় তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘কত মানুষ ঘর পাইল। কিন্তু আমরা পাইলাম না। কত জনে ছবি তুলল, কোনো কামে আইল না।’

দুই নারীর জীবনযুদ্ধের বিষয়ে ঝিনাইগাতীর প্রবীণ সাংবাদিক এসকে সাত্তার বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই দেখছি, এই দুজন অনেক কষ্ট করে বাজারে পানি দিয়ে আসছে। ভূমিহীন হলেও এদের কেউ সহায়তা করছে না। আশা করছি, প্রশাসন এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’

বাজারের ব্যবসায়ী আজহার আলী বলেন, আমাদের পানি দিয়ে খুব উপকার করছে এই মহিলারা। সরকারি সাহায্য পাওয়ার যোগ্য হলেও এরা তা পাইতাছে না।’

শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, ‘ভিক্ষাবৃত্তি না করে পানি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে তারা নিশ্চয়ই ভালো কাজ করছেন। আমি তাদের কথা মনে রাখব এবং সরকারি ভাবে বরাদ্দ এলেই তাদের জন্য সরকারি ঘর ও জমি দেয়ার ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। দেশে কেউ আশ্রয়হীন থাকবে না।


আরো পড়ুন:




 লালমোহনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে বদরপুর ইউনিয়নের ভোট 
Voting of Badarpur Union is going on in a peaceful atmosphere in Lalmohan






মামলা জটিলতায় বন্ধ হওয়ার পর সকল নাটকীয়তা শেষে অবশেষে আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে লালমোহন উপজেলার ১নং বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু  হয়েছে ।  সকাল থেকে পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। 


নির্বাচনে ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ৬২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪ টি কেন্দ্রে ভোট সুস্থভাবে সম্পন্ন করতে র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ ৩ স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমির খসরু গাজি। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

সকাল ৯ টায় ৬নং ওয়ার্ড কেন্দ্র হাজির হাট পশ্চিম চরটিটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এখানে মোট ভোটার ১৪৬১। দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার এইচ এম সুমন বলেল, ৯টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছে ২০৩ জন। বয়োবৃদ্ব রহিমা নিজের ভোট দিতে পেরে খুবই  খুশি। হাজির হাট টিএ মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয় কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারেরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থী কে কোন রকম সমস‍্যা ছাড়া ই ভোট দিচ্ছে। ভোটার সাহে আলম জানান অত‍্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে এই কেন্দ্রেে।


আরো পড়ুন:




 কমলনগরে অভিযানে ব্যর্থ মৎস কর্মকর্তা!  নিয়ন্ত্রণহীন বরফ কল।
Fisheries officer failed in Kamalnagar campaign


কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) লক্ষ্মীপুর কমলনগরে গত ১মার্চ থেকে মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধে অভিযান কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে রুপ তার ভিন্ন। 


প্রতিনিয়ত মাছ শিকারসহ গ্রামগঞ্জে ও হাট বাজারে ওপেন মাছ বিক্রি এবং স্থানীয় সকল বরফ কল চালু রয়েছে। 


স্থানীয়জেলে ও সচেতনমহলের দাবি মৎস্য ও কোস্ট গার্ড এবং  স্থানীয় মাছের আৎড়দাদের সমন্বয়ে আর্থিক বিনিময়ে চলছে মাছ আহরণ, বিক্রি ও পরিবহন।


সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাছঘাট ও মেঘনার পাড় ঘুরে দেখা যায় বিকাল থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত চলে মাছ ধরা ও বিক্রি। এসময় স্থানীয় প্রশাসন, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য কর্মকতাদের জানানো হলেও ২/১ টি অভিযান পরিচালনা করা  বিশাল একটা সিন্ডিকেট থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

কোস্ট গার্ডদের অস্থায়ী কেম্পে পাশেই লুধুয়া ও  পাটারির হাট মাছ ঘাটসহ উপজেলার মাতাব্বর হাট,নাছিরগঞ্জ,বটতলি,নবীগঞ্জ,মতিরহাট ঘাটে মাছ বিক্রি হচ্ছে ও ভোর রাতে এসব মাছ পরিবহনে করে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় এবং বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামে। শুধু বিক্রি নয় এসব মাছ সংরক্ষণের যে বরফ ব্যবহার করা সেই বরফ কল চালু থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি স্থানীয় প্রশাসন কে।


লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের পক্ষ থেকে অভিযান শতভাগ বাস্তবায়নের নির্দেশনা রয়েছে। বরফ কলের বন্ধ থাকার কথা, নদীতে মাছ ধরার বিষয়ে আমার জানা নাই।


মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মাছ শিকার বন্ধ তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে তিনি কোস্টাগার্ড বা নৌপুলিশকে দায়ী করেন। তিনি সরাসরি দ্বায়-সারা বক্তব্য দিয়ে কেঁটে পড়েন।


কমলনগর উপজেলা কোস্ট গার্ড কমান্ডার মোকলেছুর রহমান কাছে মাছ ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমরা দিনের বেলা টহল দিয়ে থাকি কিন্তু রাতে আমাদের নির্বাহী ছাড়া নদীতে যাওয়ার আদেশ নাই।


আরো পড়ুন:




 শ্রীপুর গজারি গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণ
Sreepur Gajari tree cutting and road construction


গাজীপুরের শ্রীপুরে বন বিভাগের গজারী গাছ কেটে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রীপুরের রেঞ্জ ও বিট অফিসের অধীনে গাজিয়ারন গ্রামে রোববার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে গজারি গাছ কাটার আলামত দেখতে পাওয়া যায়।


এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের গাজিয়াড়ন গ্রামে রয়েছে এক গজারির বন। একটি কুচক্রী মহল গজারি গাছ কেটে সেখানে রাস্তা নির্মাণ করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়,বনবিভাগের লোকজনের যোগসাজশে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি। এভাবে গজারী গাছ কাটা হলে শিগগিরিই শ্রীপুরের গজারি বনগুলো উজার হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এ ব্যপারে শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মির ফজলুর রহমান দৈনিক সময়ের কাগজকে বলেন, গাছ কাটার খবরটি জানতে পারে কাটা গাছগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরো পড়ুন:




 আগে মানুষ পুলিশ দেখলে ভয় পেতঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Earlier, people were scared when they saw the police - Home Minister


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গর্ব করে বলছি, বাংলাদেশ পুলিশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগে মানুষ পুলিশ দেখলে ভয় পেত, এখন তা হয় না। তবে কেউ কেউ আছেন যারা পুলিশে থেকে অপকর্ম করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।


রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে চাটখিলের অধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহাব ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বিজয়ী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের সোনামণিরা আগামীর ভবিষ্যৎ। এই সোনামণিরাই ভিশন ২০৩১ ও ২০৪০ বাস্তবায়ন করবে। দেশ দিন দিন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে বেশি বেশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী পড়ার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সম্ভাবনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রায়ই আমাকে বলেন, উনি যা কিছু বাস্তবায়ন করছেন সব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা। শেখ হাসিনা নারী জাগরণের অন্যতম ব্যক্তি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, চাটখিল উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীর, চাটখিল পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দীন ভিপি, সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র ভিপি নুরুল হক, চাটখিল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম মোসা, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


আরো পড়ুন:






 নিবেদিতপ্রাণ ইউএনও কামরুজ্জামান 
Dedicated to UNO Kamruzzaman




লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান  বিগত ২০২০ সালে যোগদান করার পরপরই অল্পসময়ের ব্যবধানে তিনি কমলনগরবাসীর মন জয় করেন খুব সহজেই । একজন মানবিক ও নিবেদিতপ্রাণ অফিসার হিসাবে কমলনগর  উপজেলার সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেছেন।


আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ অনেক সময় প্রশাসনের সেবা থেকে বঞ্চিত হন, কারণ তারা ডিঙাতে পারেন না কর্মকর্তাদের অফিসের দরজা। সরকারি সেবা পাওয়া আর সোনার হরিণ মনে হয় সমান। দিনের পর দিন ঘুরে কাজ করাতে না পেরে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে সরকারি অফিস ও অফিসারদের উপর। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছেন। তেমনই একজন ব্যাতিক্রম বর্তমানে কমলনগর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন মোঃ কামরুজ্জামান। 


উপকূলীয় অঞ্চলে গঠিত নদী ভাংগনের শিকার  কমলনগর উপজেলা।  কিন্তু ভালো কাজ, ভালো ব্যবহার আর ভালোবাসা দিয়ে ইতোমধ্যেই মোঃ কামরুজ্জামান জয় করে নিয়েছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মন। ক্ষমতাবান মানুষ থেকে শুরু করে সাধারন দিনমজুর সবার কথা তিনি শোনের মনোযোগ সহকারে। সাধারণের জন্য নিজের অফিসের দ্বার অবারিত করতে তিনি নিয়েছেন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ। 


সাধারণত যেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসের দরজা ডিঙাতে না পারায় দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ প্রশাসনের সেবা থেকে বঞ্চিত হন। উপজেলা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই দূরত্ব কমাতে মোঃ কামরুজ্জামান  নিজেই সাধারণত মানুষের সাথে কথা বলে তাদের নিজেদের কষ্টের কথা শুনেন। এবং সমাধানের করেন।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

তাঁর কর্মকৌশল, ন্যায় নিষ্ঠা, সময়োপযোগী কর্মকাণ্ডের জন্য কমলনগরবাসীর মনের মণিকোঠায় স্থান লাভ করে চলেছেন। সরকারী সকল দিকনির্দেশনা বাস্তবায়নে সফলতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। বলতে গেলে অনেকটা করোনা ঝুঁকিকে মাথায় নিয়েই তাঁর কমলনগরে পদার্পণ। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা মসজিদ মন্দির গীতা শিক্ষার স্কুলসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি পদার্পণ করে থাকেন, মানুষ যে কোন কাজে যান তিনি কাজ করার চেষ্টা করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন। গতবছর (২০২০ সনে) যখন বৈশ্বিক করোনা প্রতিরোধে দেশব্যাপী আতংক চলমান এবং করোনার মোকাবেলায় প্রস্তুতি চলছে এমনি সময়ে মোঃ কামরুজ্জামান কমলনগরে করোনা প্রতিরোধে করোনা যোদ্ধা হিসাবে আবির্ভূত হন


করোনা প্রতিরোধে সরকারি সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। অদ্যাবধি করোনা প্রতিরোধে ও কমলনগর  কে করোনা থেকে রক্ষায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।করোনা প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করে তুলতে ও মাক্স পরিধান নিশ্চিতে এবং স্বাস্থবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে।


সাংবাদিক বান্ধব এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা করোনা প্রতিরোধে সম্মুখসারির যোদ্ধা পুলিশ প্রসাশন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সাংবাদিকদের সমভিব্যাহারে সমন্বিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে অদ্যাবধি করোনা সংক্রমনে অনেকটা নিরাপদ অবস্থানে আছে কমলনগর। 


করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ও করোনা মোকাবেলায় তিনি কখনো কঠোর আবার কখনও কৌশলে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে অসহায়, দুস্থ ও গৃহবন্দীদের জন্য মানবিক আচরন করে চলেছেন। একদিকে যেমন সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনি কঠোর অন্যদিকে দরিদ্র, অসহায়ের সহায়। তিনি অসহায়, দুস্থদের মাঝে নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

এছাড়াও মোঃ কামরুজ্জামান দায়িত্ব পালন কালে অবকাঠামো উন্নয়ন সহ সরকারি সকল উন্নয়নমূলক কাজের শতভাগ বাস্তবায়ন। উপজেলার ভূমিহীন নদীভাঙ্গা গূহহীন পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা রাস্তাঘাটে স্কুল-কলেজ নির্মাণে দারুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। 


মুজিববর্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় 750 টি ঘর নির্মাণেও তদারকিসহ স্বচ্ছ ভাবে  সুফলভোগী যাচাই-বাছাই করেন তিনি নিজেই।


সরকারি মানবিক সহায়তা বয়স্ক, বিধবা, মুক্তিযুদ্ধা, প্রতিবন্ধী,যুব, নারী কল্যাণে উপজেলা বিভিন্ন কমর্কতাদের সাথে সমন্বয় করে উন্নয়ন করে যাছেন ইউ এন ও মোঃ কামরুজ্জামান ।


এছাড়াও উপজেলা শিশু পার্ক,প্রশাসনিক ভবনের অফিস রুম আধুনিকায়ন,মসজিদের সুদৃশ্য  অযুখানা,অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণে ভূমিকা রেখে চলেছেন কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান। 


উপজেলার কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায়, কমলনগর উপজেলার ইতিহাসে এমন জনবান্ধব ইউএনও তারা দেখিনি। উনি অল্প কয়েকদিনে যেভাবে সকলের ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছেন, এই দেশ একদিন উনার মতো ভালো লোকের কারণেই উন্নতির শিখরে আরোহন করবে। উনি আছেন আমাদের উপজেলার সকল মানুষের হৃদয়ে। 



নিজের এমন মানবিক কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, উপকূলীয় নদী ভাংগনের শিকার মানুষগুলোসহ সকলের মান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উদ্বেগ বাস্তবায়নে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সেই সাথে সরকারি অফিসগুলো তৈরি করা হয় জনসাধারণের কাজের জন্য। আমি যদি আমার অফিসে প্রবেশের জন্য কাউকে বাধা দিই, অফিসের ও সাধারণ মানুষের মাঝে পর্দা দিই, দেয়াল তুলি, তাহলে তারা কীভাবে সেবা নেবে। আমরা চাই জনসাধারণের সঙ্গে প্রশাসনের কোনো দূরত্ব থাকবে না। জনসেবার জন্যই আমাদের প্রশাসন। আমার এখানে সেবা নিতে আসা সকলের সাথে আমি নিজেই কথা বলি তাদের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করি। 


তিনি আরো বলেন, আমি সাধারণ মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করি তাই  এখন সবাই নির্ভয়ে তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অফিসে কথা বলতে আসে। কেউ আসেন সামাজিক সমস্যা কিংবা অভিযোগ নিয়ে। দরিদ্র মানুষরা বয়স্কভাতা, বিধবাভাতার জন্য আসেন।


মোঃ কামরুজ্জামান জন্ম কিশোরগন্জ  জেলার কটিয়াদি  উপজেলায়। রাঙ্গামাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।  । ২০২০ সালের ৮ ই অক্টোবর  থেকে লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলায় নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরো পড়ুন:






Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget