রাণীশংকৈল রামরাই দিঘী বিনোদন পার্কের উদ্ধোধন
Inauguration of Ranishankail Ramrai Dighi Amusement Park
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের ঐতিহ্যবাহী রামরাই দিঘীতে নতুনভাবে গড়ে তোলা বিনোদন পার্কের উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ'র সভাপতিত্বে বিনোদন পার্ক উদ্ধোধনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রভাষক প্রশান্ত বসাকের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পার্কের শুভ উদ্বোধন করেন রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার সম্পাদক মহাদেব বসাক উপজেলা বরেন্দ্র সহকারী প্রকৌশলী তিতুমীর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন, জমিরুল ইসলাম ঠিকাদার আব্দুল্লাহ আল তারেক লিপু ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মী প্রমূখ।
বক্তব্য প্রদানকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, রামরাই দিঘীকে নতুন ভাবে সৌন্দর্য বর্ধন করে এটি বিনোদন পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা দুইটি ঘর নির্মাণ করেছি এখানে পিকনিকে আসা অতিথিরা এটি অগ্রিম বরাদ্দের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এখানে আরাম আয়েশ বিশ্রাম করতে পারবেন। যা এর আগে অথিতিদের জন্য কোনরকম এসবের ব্যবস্থা ছিল না।
অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না বলেন রামরাই দিঘীকে বিনোদন পার্ক হিসেবে এটিকে আমরা নতুন ভাবে সাজাতে চাই। এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে আসা সকল অতিথিরা নতুন ভাবে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
উল্লেখ্য..
উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের উত্তরগাঁও মৌজায় রামরাই দিঘী অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে ৩ কি:মি: দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। পুকুরটি ১৮.৩৪ একর সু-উচ্চ পাড় ও ২৩.৮২ একর জলভাগ সহ মোট ৪২.২০ একর বিশিষ্ট।
রামরাই দিঘি বরেন্দ্র ভূমিতে প্রাচীন জলাশয়গুলির মধ্যে আয়তন ২য় বৃহত্তম।পুকুটির দৈর্ঘ্য উত্তর -দক্ষিণে ৯০০মিটার ও প্রস্থ পূর্ব- পশ্চিমে ৪০০মিটার।
পুকুরটিকে কেন্দ্র করে ২০০৩ সালে রাণীসাগর ফাউন্ডেশন নামে একটি সেচ্ছসেবী প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। উক্ত ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেগে পুকুরটির পাড়ে ১২০০এর অধিক লিচু গাছ সহ অন্যান্য ফলবান বৃক্ষ ও বিভিন্ন ভেষজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়েছে।
চারিদিকে সবুজের বিশাল সমারোহ ও দিঘীর টলটলে জলরাশি দেখলে যেকোন প্রকৃতি প্রেমী মুগ্ধ না হয়ে পারে না। পাড়ের লিচু গাছে ও দিঘীর পানিতে বিভিন্ন বর্ণালী পাখির কুজন রামরায়-এর সৌন্দর্যকে আরো অধিক আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
রাণীশংকৈল রামরাই দিঘী ঠাকুরগাঁও জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ দিঘী।
আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার
দিঘীটি পাঁচশ থেকে হাজার বছরের পুরাতন হতে পারে। এর সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি।
তাছাড়া এবৃহৎ জলাশয়টিকে বিনোদন পার্ক এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য উপজেলা প্রসাশন হতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবং শোভা বর্ধনের কাজগুলি সমাপ্ত শেষে আজ এটি বিনোদন পার্ক হিসেবে উদ্ধোধন করা হয়েছে।
কেউ চাইলে দেশের যেকোন জেলা থেকে এখানে আসতে পারবেন। রাণীশংকৈল
উপজেলা শহর থেকে ৩ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। শহর থেকে যে কোন যানবাহনে ১০ থেকে ১৫ টাকা ভাড়া নেয়। যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা।
আরো পড়ুন: