Articles by "স্বাস্থ্য"

 প্রতারণা করেছেন জায়েদ খান: ইলিয়াস কাঞ্চন


Cheated by Zayed Khan: Ilyas Kanchan


সেক্রেটারি পদে জায়েদ খানের শপথ গ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। পাশাপাশি গত শুক্রবারের শিল্পী সমিতির প্রথম মিটিংও বাতিল ঘোষণা করেছেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তাঁর দাবি, জায়েদ খান আদালতের অন্য রায়ের ‘পুরোনো কাগজ’ দেখিয়ে শপথ গ্রহণ করেছেন। সেটি রীতিমতো প্রতারণার শামিল।


সোমবার সন্ধ্যায় এফডিসির বাগানে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। জায়েদ খানের শপথ গ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেন সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘৯ ফেব্রুয়ারির অন্য রায়ের কোর্টের একটি কাগজ দেখিয়ে শপথ নেন জায়েদ খান। নতুন কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি৷ তড়িঘড়ি করে শুক্রবার শপথ নিয়েছেন। তিনি শিল্পী সমিতির সঙ্গে, সভাপতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একই সঙ্গে মিডিয়ার সঙ্গেও ছলনা করেছেন। তাঁর শপথ গ্রহণ আমি অবৈধ ঘোষণা করলাম।’

তিনি বলেন, যেহেতু শপথ অবৈধ, তাই গত মিটিংয়ে জায়েদ খানের উপস্থিতিও অবৈধ। এ কারণে মিটিংয়ের কোরামও পূর্ণ না হওয়াতে শুক্রবারের মিটিংও বাতিল করা হলো।


এদিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেক্রেটারি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন সহসেক্রেটারি। যেহেতু শিল্পী সমিতিতে আপাতত সেক্রেটারি কেউ নন, তাই আপাতত সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন সহসাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী নায়ক সাইমন। 


ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, পরে মিটিং ডেকে বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সাইমনের সেক্রেটারি হওয়ার বিষয়টি পাস করা হবে। যত দিন জায়েদ-নিপুণের সেক্রেটারি পদ আদালত থেকে প্রক্রিয়াধীন থাকবে, আগামী মিটিংয়ের পর থেকে তত দিন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাইমন সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন।

এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই প্রতারণার আশ্রয় নিইনি। নিয়ম অনুযায়ী রায় পাওয়ার পরে যে কেউ তাঁর আইনজীবীর কাছ থেকে ল ইয়ার সার্টিফিকেট নিতে পারেন। আদালতের রায় হয়ে গেছে সবাই জানেন। আমি ল ইয়ার সার্টিফিকেটও জোগাড় করেছি। এটা বৈধ।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমি যদি ভুয়া কাগজ জোগাড় করে শপথ নিই, তাহলে নিপুণ কি ভুয়া কাগজ দেখিয়ে আপিল করলেন? রায় হয়েছে বলেই তো সেটার প্রমাণ দেখিয়ে আপিল করেছেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতে আমাদের শিল্পী সমিতির জন্য শপথ জরুরি না; বরং সেদিন আমাদের সভা বৈধ। সেখানে কোরাম পূর্ণ হয়েছিল।’


এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোরশেদ আলম, সাইমন সাদিক প্রমুখ।


আরো পড়ুন:


শনাক্তের হার কমে দুইয়ের কাছে, মৃত্যু ৪

The detection rate decreased to two, death 4



দেশে গত এক দিনে মহামারি করোনাভাইসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৬ জন। এতে শনাক্তের হার নেমেছে এসেছে দুইয়ের কাছাকাছি। গত এক দিনে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২.১৮ শতাংশ। রবিবার ছিল ২.৬৩ শতাংশ ও শনিবার ছিল ২.৯১ শতাংশ।

এ দিকে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৬ জন।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে ২০ হাজার ১৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০২ জন। মোট শনাক্তের হার ১৪.৩৮ শতাংশ।

গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ১ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৯ জনে গিয়ে দাঁড়ালো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, নতুন সুস্থ হওয়া ৩ হাজার ৫৪৬ জনকে নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৪ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গত বছরের ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো এবং ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। এছাড়া বাকি সব দিনই মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ।

 করোনায় মৃত্যু বেড়ে দ্বিগুণ, শনাক্ত কমে ৩৬৮


Deaths in Corona doubled, detection decreased to 368


রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন ও নারী ৬ জন। মৃত ১৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১ জন মারা যান।


এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭৭ জনে। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

আজ শনিবার (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।


একই সময়ে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৩৬৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ।


 সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৭৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৪১৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৭ হাজার ৪৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৭ জনে। আর মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৮০৯টি।


২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। ৫ মার্চ পর্যন্ত মোট মৃত ২৯ হাজার ৭৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৫৬০ জন ও নারী ১০ হাজার ৫১৭ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৫ মার্চ পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ৪১ শতাংশ।


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ৪ হাজার ১৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ জনে। রোগী সুুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।


২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, পঞ্চাশোর্ধ ৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২ জন এবং আশি বছরের বেশি বয়সী ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।


বিভাগীয় হিসেবে করোনায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, বরিশালে ২ জন, রংপুর এবং ময়মনসিংহে ১ জন করে মারা গেছেন।


চলমান গণটিকায় গত ১৩ দিনে দুই কোটি ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। একই সময়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি সাত লাখ মানুষকে। এ ছাড়া ১০ লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছে।

সেই হিসাবে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানানও হয়।


বুলেটিনে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এ সব তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এসব টিকা দেওয়া হয়। ক্যাম্পেইনের সময় বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার বিষয়টি নজর দেওয়া হয়। ’

তিনি জানান, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় এসেছে ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ।


দেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৫ জনের। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৩২ জন। ফলে মোট করোনায় আক্রান্তের হয়েছে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৩০৯ জন।

আজ বুধবার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


এর আগে গতকাল মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে ৮ জনের মৃত্যু হয়। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৭৯৯ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৮২৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৪৯ জন। এ সময়ে ২২ হাজার ৭২৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২২ হাজার ৭১৬টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।


গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৩, রাজশাহীতে ১, বরিশালে ২ ও রংপুরে ২ জন মারা গেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


যারা এখনো করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেননি, তারা দেশের স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (২ মার্চ) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ ইউনিটের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক এ কথা জানান। 


তিনি বলেন, যারা এখনও টিকার প্রথম ডোজ নেননি, তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল বা এনজিও পরিচালিত হাসপাতাল, যেখানে টিকাদান কার্যক্রম চলছে, সেখানে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনে টিকাদান কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে বলে জানান ডা. মো. শামসুল হক। 

তিনি বলেন, এছাড়া, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ কর্মসূচি যথারীতি চলবে।


দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৯৫ জনে। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২৯৮ জনের। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ জনে।

আজ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শনাক্তের হার ৫.৫৮ শতাংশ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


এর আগে গতকাল মঙ্গলবার করোনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়। করোনা শনাক্ত হয় এক হাজার ৫৯৫ জনের। শনাক্তের হার ছিল ৬.৭৭ শতাংশ।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে আট হাজার ৭২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৩ হাজার ২৭৪টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫.৫৮ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪.৫৯ শতাংশ।



করোনা মহামারির কারণে মানুষের চলাচলের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রায় দেড় মাস পর মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে তুলে নিচ্ছে সরকার। এ দিন থেকেই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে।

তবে যে শিক্ষার্থীরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে তারাই কেবল শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে পারবে।


বিধিনিষেধ তুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও করোনা সংক্রমণ রোধে ঘরের বাইরে গেলে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরতে গুরুত্বারোপ করা হবে।


চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ দফা দিয়ে ১৩ জানুয়ারি থেকে সরকারি বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেই বিধিনিষেধ বাড়ানো হয় ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বিধিনিষেধগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-হোটেল-রেস্তোরাঁয় টিকা সনদ নিয়ে খাবার গ্রহণ, গণপরিবহনের চালক-সহকারীদের টিকা সনদ প্রদর্শন, সভা-সমাবেশ বন্ধ ইত্যাদি।


আর সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ২১ জানুয়ারি থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।


টানা এক মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খুলছে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে ২ মার্চ। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এখনই খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুয়ার।

চলমান বিধিনিষেধ তোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস্ক সর্বাবস্থায় পরতে নির্দেশনা দেন।


বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, স্কুল (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়) খোলা হবে। সবাই যেন মাস্ক পরে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে যাবে, যে অনুষ্ঠানে যাবে সবাই যেন মাস্ক পরে, এটা বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সবাইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমরা যেন আয়েসী না হই।


এদিকে, মধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-কলেজ খোলার আগে ২০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।



নির্দেশনাসমূহ:

১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে সকল শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে সে সকল শিক্ষার্থী সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোন উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সকল শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।

৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফরমে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

৫. শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণকৃত অ্যাসাইনমেন্টসমূহের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

৬. শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ইতোপূর্বে পাঠানো নির্দেশনা মোতাবেক প্রণয়ন করতে হবে।

৭. শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশ/প্রস্থান মুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি কেবল একটি প্রবেশ/প্রস্থান মুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ/প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা।

৮. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা।

৯. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া আসা করবে সেই বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং প্রদান করার ব্যবস্থা করা।

১০. প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখা।

১১. প্রতিষ্ঠানের সকল ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙ্গিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা।

১২. প্রতিষ্ঠানের সকল ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা।

১৩. প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্য কেউ প্রবেশ/অবস্থান/প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা।

১৪. প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্য কেউ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

১৫. প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা।

১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে পারস্পরিক তিন ফুট শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।

১৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।

১৮. প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরুপণ করা।

১৯. প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করা।

২০. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে সভা করে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বিতরণ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, বন্ধের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে সংক্ষিপ্ত ক্লাল চলছিল, সেভাবেই শুরু হবে।

টানা এক মাস পর শুরু হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান। করোনা পরিস্থিতি নিম্নমুখী হওয়ায় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও সন্তোষজনক। গড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।


তবে কেবল করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে। টানা একমাস বন্ধ থাকায় প্রথমদিনের ক্লাসে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরেন শিক্ষকরা।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শাখা প্রধান মুসতারি আহমেদ মঙ্গলবার সকালে জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। কোনো ছাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদের শুধু ক্লাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান শুরু করা হয়েছে। ক্লাসে ছাত্রীদের উপস্থিতি প্রায় ৯০ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রীদের মধ্যে যারা করোনার দুটি ডোজ নিয়েছে শুধু তারা যেন ক্লাসে উপস্থিত হয় এ ধরনের নির্দেশনা নোটিশ বোর্ডসহ অভিভাবকদের এসএমএসে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের অনলাইনে জুম ক্লাসে যুক্ত হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে পাঠদান শুরু হয়েছে।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে মঙ্গলবার সকাল থেকে পাঠদান শুরু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রায় ৮০ শতাংশ। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ক্লাস কার্যক্রম চলছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক যেসব শিক্ষার্থীর করোনার দুটি ডোজ নেওয়া হয়েছে শুধু তাদের স্কুলে আসতে নোটিশ দেওয়া হয়। যাদের দুটি টিকা নেওয়া হয়নি তাদের জুম ক্লাসে যুক্ত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ায় সরকারের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে সারাদেশে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে।

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠগ্রহণের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ রয়েছে। যে শিক্ষার্থীরা করোনা প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে শুধুমাত্র তারাই শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থেকে ক্লাস করতে পারবে। এক্ষেত্রে অন্য শিক্ষার্থীদের বাসায় থেকে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত থাকতে হবে।

সারাদেশে ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের মুখে গত ২১ জানুয়ারি দেশের সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। আজ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলবে আগামী ২ মার্চ। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কবে ক্লাসে ফিরতে পারবে, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

এদিকে করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর তা কীভাবে চলবে, এ বিষয়ে ২০ দফার গাইডলাইন দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এসব নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের গাইডলাইনও অনুসরণ করতে হবে। এর ওপর নতুন করে আরও ২০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।


করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রার্দুভাব মোকাবিলায় গত ১০ জানুয়ারি সারাদেশে বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। নতুন বছরের প্রথম ওই বিধিনিষেধে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।



দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৯৮৭ জনের। আজ রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৬৫ জনে।

মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জনে। শনাক্তের হার ৭.৮২ শতাংশ।

এর আগে গতকাল শনিবার ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং শনাক্ত হয়েছিল দুই হাজার ১৫০ জন। শনাক্তের হার ছিল ৮.৭১ শতাংশ।  



আজ (রোববার) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ৯ হাজার ২৫২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮৪ জন।


২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৪১১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৫ হাজার ৪০৫টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭.৮২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪.৬৪ শতাংশ।



গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, সাতজন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছে ১২ জন। চট্টগ্রামে চারজন, রংপুরে দুজন এবং বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীতে একজন করে মারা গেছে।


২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম  তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যায়। 


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৩১ জনে।


একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৮৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১৫৪ জনে।


শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় মারা যান ২০ জন। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হন তিন হাজার ৫৩৯ জন। ফলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু- দুটোই কমেছে।



শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৭৬৫টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৪টি নমুনা। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।


এ সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন নয় হাজার ৯৮৮ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৪ জনে।


২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে তিন, রাজশাহীতে দুই, খুলনায় এক, সিলেটে তিন ও রংপুর বিভাগে একজন মারা গেছেন। বাকি ১৪ জন মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে।


২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে যাচ্ছে। প্রথমে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুল খুলবে আরও প্রায় দুই সপ্তাহ পরে। বুধবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।


এর আগে গত রাত ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।



পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রথম আলোকে বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকার চাইলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।



করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল স্বল্প পরিসরে। সব শ্রেণির ক্লাস সব দিন হচ্ছিল না। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরে তা আবার বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে গত রোববার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘এখন একটু খারাপ সময় গেলেও আমরা আশা করি, এ মাসের শেষের দিকে অবস্থার একটু পরিবর্তন হবে এবং সেই সময় আমরা স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে দিতে পারব।’




দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯০৭ জনে। এ সময়ে নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৫৩৯ জনের। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৭০ জনে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শনাক্তের হার ১০.২৪ শতাংশ বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।


বুধবার জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং শনাক্ত হয়েছিল তিন হাজার ৯২৯ জন। শনাক্তের হার ছিল ১২.২০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৮০০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৬৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৭৯১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৫৪৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০.২৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪.৬৭ শতাংশ।


এতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, চারজন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছে সাতজন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২, রাজশাহীতে ৫, খুলনায় ৪, সিলেটে ১ ও রংপুরে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৮৭২ জনের।

একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৭৪৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১০২ জন।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৪১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ তিন হাজার ৩০৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ১৭৫টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৫৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৫টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন ২১ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। মৃত ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের দুইজন রয়েছেন। মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ২৮ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ছয়জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৮১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৩১১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৮ হাজার ৬৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯১ জনে।

একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮২৬ জনে।   


শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


আগের দিন (শুক্রবার) ২৭ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ২৬৮ নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 


দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। 


ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। 


এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।


২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ। 


ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। 


রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৪৪ জনে।


একই সময় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ২৬৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৫ জনে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খান স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯টিতে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এ সময়ে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১১ হাজার ৪৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৮ জন।


গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২ জনের, চট্টগ্রামে ৬, রাজশাহীতে ৫, খুলনা ও রংপুরে ৩ জন করে এবং সিলেটে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


দেশে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিস্তারের মধ্যে গত এক দিনে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২১ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, সেদিন ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে গতকাল পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২৮ হাজার ৬৭০ জন।


এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মোট মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৬৯ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ হাজার ৭৯১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ হাজার ১০৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ৬৭৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৬৩ জন, সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৩০১ জন, রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৩৯২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ৮৭৩ জন।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৩৫৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১০ হাজার ৮০০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৭২৮ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। আগের দিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার ২১৭ জন। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে সক্রিয় রোগী কমতে শুরু করেছে।


ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার গত ২৮ জানুয়ারি ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছিল। তা কমতে কমতে মঙ্গলবার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ০৩ শতাংশে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। 

আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬২১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৭ শতাংশের বেশি। 

গত এক দিনে যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুই জন, খুলনা বিভাগের ১৩ জন, রংপুর বিভাগের এক জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন এক জন।


দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬৭০ জনে। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আট হাজার ৩৫৪ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জনে।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বরও করোনায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনাক্তের হার ২০.০৩ শতাংশ।  

এর আগে গতকাল সোমবার করোনায় ৩৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিন করোনা শনাক্ত হয় ৯ হাজার ৩৬৯ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৬৯৮টি। শনাক্তের হার ২০.০৩ শতাংশ। এদিন সুস্থ হয়েছে আরো ১০ হাজার ৮০০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন।

এতে আরো বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছে সর্বোচ্চ ১৫ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১১, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ১৩, রংপুরে ১ ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।


দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিস্তারের মধ্যে একদিনে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২০ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ গতবছরের ১৯ সেপ্টেম্বর, সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে নয় হাজার ৩৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৯০১ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন নয় হাজার ৫০৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ২১৭ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা আক্রান্তরা এই হিসাবেই আসেনি।

গত বছরের অগাস্টের পর গত সোমবার প্রথমবারের মত দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়ায়। ১৫ জানুয়ারি এই সংখ্যা ছিল ৩১ হাজারের ঘরে।

ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে এবার মৃত্যুর সংখ্যা গতবছরের ডেল্টার প্রাদুর্ভাবের সময়ের তুলনায় কম হলেও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছায় গত ২৮ জানুয়ারি।

সোমবার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার নেমে এসেছে ২১ দশমিক ০৭ শতাংশে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শ‌নাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ছয় হাজার ৭২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশের বেশি।

যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ, ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়জন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন দুইজন।

তাদের ২৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি তা ১৮ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫৭ লাখ ৪১ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ।



গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময়ে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে ৯ হাজারের নিচে এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৫৬০ জন মারা গেলেন।+

ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৫৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ জন।

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ১৭ জন। তাদের নিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৬৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ দুই হাজার ২৬১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।


শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক চার শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ জন আর নারী ১৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ২৩৫ জন আর নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ৩২৫ জন।

মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে বয়সীদের। এ বয়সের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। এরপর আটজনের মৃত্যু হয়েছে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছিলেন সাতজন, ছয়জন ছিলেন ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

৩১ থেকে ৪০ বছর আর ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিলেন দুইজন করে আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন একজন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই রয়েছেন ২৫ জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন দুইজন করে, খুলনা বিভাগের তিনজন আর রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের আছেন একজন করে।

মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৭ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৯ জন।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget