Latest Post

সাময়িক সংস্কার টেংরা থেকে বিশ্বনাথ সড়কের নদী ভাঙ্গন
Temporary repair river erosion on Tengra to Bishwanath road

টেংরা থেকে বিশ্বনাথ সড়কের নদী ভাঙ্গন স্হানটি দীর্ঘ দিন থেকে ছিল বিপদজনক! যে কোন সময় দুর্ঘটনার প্রচুর সম্ভাবনা ছিল। স্হানটি পারাপারে ভয়ে কম্পিত হতেন যাত্রীমহল! অনেকে অল্পের জন্য অনেক দিন রক্ষাও পেয়েছেন বলে টেংরা বার্তাকে জানিয়েছেন। সরকারি ভাবে ভাঙ্গন স্হানটি সংস্কার  হওয়ার কথা ছিল 

কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, সরকারি ভাবে হতে দীর্ঘ সময় লাগবে। কত দিন লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা যাবেনা!

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

তাই সাময়িক ভাবে বিপদজনক ভাঙ্গন স্হানটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে টেংরার দেশে-বিদেশী অধিবাসীরা।  উদ্যোগ গ্রহণ করলেন টেংরার যুবকগণ। দেশী - বিদেশী টেংরার অধিবাসীরা দান করলেন টাকা পয়সা। 

শুরু হলো তিন দিন থেকে সড়কের ভাঙ্গন স্হানটি সংস্কারের কাজ। গতকাল ২৮ মার্চ সোমবার বিকেলে  স্বরজমিনে, গিয়ে দেখাগেল সংস্কারের দুই তৃতীয়াংশ কাজ শেষ প্রায়। 

রাস্হার তদারকির অন্যতম একজন দায়িত্বশীল যুবক আজাদ জানান, কাজটি আমরা করছি কিন্তু কত দিন ঠিকবে  এটা আল্লাহতালা জানেন।



আরো পড়ুন:




ঝিনাইগাতীতে মহারশি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির ৭ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
7th Annual General Meeting of Maharashi Water Management Cooperative Society held at Jhenaigati


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহারশি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির ৭ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ঘটিকার সময় উপজেলার নলকুড়ায় স্থাপিত রাবার ড্যামের নিজস্ব কার্যালয়ের সন্মুখে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান আলী (সালাম) এর উপস্থাপনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী আলহাজ একেএম ফজলুল হক। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)ফারুক আল মাসুদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রুকুনুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান প্রমূখ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম পলাশ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সমিতির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন, কোরআন তেলাওয়াত ও অতিথিদের বরণের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভার পর দ্বিতীয় অধিবেশনে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের আয়-ব্যয় উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়। 



আরো পড়ুন:




ঝিনাইগাতী  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিলো উপজেলা পরিষদ 
Upazila Parishad provided oxygen concentrator at Jhenaigati Health Complex


শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১'টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর  দিলেন উপজেলা পরিষদ। আজ বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে কন্সেন্ট্রেটর হস্তান্তরের শুভ উদ্বোধন  করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। এসময়  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আল মাসুদ, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ লাইলী বেগমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

 উপজেলা  পরিষদের  পক্ষথেকে  ২০২০-২১ অর্থ বছরে  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাইকা'র  অর্থায়নে এসব  কন্সেন্ট্রেটর হস্তান্তর করা হয। এসময়  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের অওতায়  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর হস্তান্তরিত করা হল।প্রাক্কলিত বাজেট:১২,৬৪,৯৪৯/- চুক্তি মূল্য: ৯,৬০,৩০০/-,উপজেলা পরিষদের ২০২০-২১ অর্থ বছর। কারিগরী তত্ববধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটির শাহিনা আক্তার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ লাইলী বেগম,উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ সুরুজ্জামান আকন্দ,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান প্রমুখ। তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান উপ-প্রকল্প, উপজেলার চেঙ্গুরীয়া কালিবাড়ি হইতে ঝিনাইগাতী  বাজার,হইতে রাংটিয়া বাজার পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোলার ষ্ট্রীট লাইট স্থাপন এবং উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উঁচু নিচু বেন্স সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি। 



আরো পড়ুন:





রাঙ্গুনিয়ায় প্রকাশ্যে কলায় মেশানো হচ্ছে বিষ
In Rangunia, poison is being mixed in bananas in public


চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকান গুলোতে ব্যবসায়ীরা কাঁচা কলা পাকাতে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে মিশানো হচ্ছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ক্যামিকেল। 


এতে মাত্র ১২ ঘন্টায় কাঁচা কলা সবুজ থেকে হলুদ রঙে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রকাশ্যে কার্বাইড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর এমন একটি গোপন ভিডিও ধারণ করেছেন প্রতিনিধি নিজেই। মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও চিত্রের অনুসন্ধানে নেমে চাঞ্চল্যকর ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যায়।


অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ২০-২৫টি পাইকারী কলার আড়তসহ ছোট-বড় ভাসমান প্রায় ২ শতাধিক দোকানে এমন বিষক্রিয়া যুক্ত ভেজাল কলা বিক্রি হচ্ছে। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এরমধ্যে রাজানগরের রানীরহাট, ইসলামপুরের মঘাছড়ি, ধামাইরহাট, রাজারহাট, মোগলেরহাট, শান্তিনিকেন, মরিয়মনগর চৌমুহনী, পারুয়ার হাজারীহাট, বিয়ানবাজার, সরফভাটার বহুচক্র হাট, পোমরার শান্তিরহাট, বেতাগীর লাম্বুরহাট, ইছাখালী, রোয়াজারহাট, শিলক, কোদলা, পদুয়ার রাজারহাট ও সোমবাজ্জ্যাহাটসহ উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের প্রায় ২শতাধিক স্থানে এমন ভেজাল বিষক্রিয়া কলা বিক্রি হয়। এসব কলা পাইকারী কিনে নিয়ে স্থানীয় হাট-বাজার ছাড়াও জেলা শহর হয়ে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কলাগুলো দেখতে আকর্ষনীয় ও লোভনীয় রঙের হলেও প্রতিটি কলা বিষে ভরা। ব্যবসায়ীরা কলার বাগানে প্রথমে একটি কেমিক্যাল পানিতে মিশিয়ে কলার কাঁদিতে স্প্রে করেন। এরপর সেই কলার কাঁদি বাগান থেকে কেটে এনে সংরক্ষণ করেন আড়তে। পরে এসব কলা শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে কার্বাইড জাতীয় রাসানিক পদার্থ মেশানো পানিতে চোবান। অপুক্ত কলা সবুজ রঙ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই হলুদ ও আকর্ষণীয় হয়ে যায়। আর কেমিক্যালে পাকানো এসব কলা যাতে পঁচে না যায় সেজন্য ব্যবহার করা হয় ফরমালিন। বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানো এসব কলা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও স্বাচ্ছন্দ্যে মেশিয়ে বাজারজাত করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। 


সরেজমিনে উপজেলার অন্তত ১০টি পাইকারী কলার মোকাম ঘুরে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেলও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের রানীরহাট বাজারে গিয়ে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে খোরশেদ আলম নামের এক দোকানদার কলায় রাসায়নিক বিষ মিশানোর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করা হয়।


সেই ভিডিও চিত্রের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালালে জানা যায়, কলার কাদিকাটা থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে দেওয়া হয় কার্বাইড জাতীয় রাসায়নিক বিষ। বাগানে থাকা অবস্থায় হরমন স্প্রে করা হয়। অপরিণত কলা কেরোসিনের স্টোভে রাইপেন ও কার্বাইড জাতীয় রাসানিক পদার্থ দিয়ে ধোঁয়া দেওয়া হয়। দেখতে সুন্দর এবং হলুদ রঙ ধারণ করানোর জন্য বিভিন্ন নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা। স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে প্রফিট, মার্শাল, হিলডন, রাইজার, বাসুডিন, ইথিলিন, রাইপেনসহ অনেক ধরনের ঔষধ ছিটানো হচ্ছে অপুক্ত কাঁচা কলায়। যা গ্রাম থেকে সহজে পৌঁছে যাচ্ছে চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তেরে। আর এসব ভেজাল পণ্য প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও নির্বাক স্থানীয় প্রশাসন। যা সুস্থ ও সবল মানুষকে চিরতরে অসুস্থ করে রাখে। বিষাক্ত কলা খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। মূলত কার্বাইড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ শরীরে গেলে লিভার ক্যান্সার, কিডনি জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস ও গর্ভবতী নারীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। এমনকি গর্ভেও শিশু বিলঙ্গ হতে পারে। তাই দ্রুত ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি সচেতন মহলের।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

কলায় কেমিক্যাল বিষ প্রয়োগের বিষয়ে ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমের কাছে জানতে চাইলে গণমাধ্যকর্মী জানতে পেরে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


বিষক্রিয়াযুক্ত এসব কলার স্বাস্থ্যঝূকি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. সামিউল করিম বলেন, 'কেমিক্যাল মিশ্রিত এসব কলা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব কলা খাওয়ার সাথে সাথে বমিবমি ভাব ও ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। আর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের পর তা দাহ্যে পরিণত হয়ে নি:সারণ ঘটে লিভার ও কিডনির মাধ্যমে।' 


তিনি আরও বলেন, 'মূলত কার্বাইড জাতীয় কেমিক্যালের প্রভাবে গর্ভবতী নারীদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমনকি গর্ভজাত শিশু বিকলঙ্গ হতে পারে। তাই এসব খাবার পরিহার করার পরামর্শ এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার।'


এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস বলেন, 'কলার মকলার মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো গুরুতর অপরাধ। আমি এসব কলার আড়দে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'



আরো পড়ুন:






সবাই নৌকায় উঠতে চায়, বেশী উঠলে নৌকা ডুবার সম্ভাবনা আছে- তথ্যমন্ত্রী 
Everybody Wants To Get On A Boat, There Is A Possibility Of Sinking Boat If It Gets Too High - Information Minister


তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারাই আওয়ামী লীগকে যুগে যুগে ঠিকিয়ে রেখেছে। অনেক নেতা বিভিন্ন সময় ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীনদের সাথে হাত মিলিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হননি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কখনো মূল নেতৃত্বকে ছেড়ে যাননি।


মঙ্গলবার (২৯মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর এখন সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চাই। নৌকায় সবসময় বেশি মানুষ নিতে নেই। নৌকায় বেশি মানুষ নিলে নৌকা বিপদাপন্ন হয়। আওয়ামী লীগ একটি গণসংগঠন কোন বদ্ধ জলাশয় নয়। আমাদের দলে যে কেউ যোগ দিতে পারে, তবে যে কাউকে আমরা নিতে পারিনা।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

তিনি আরও বলেন, যারা পিঠ বাঁচানোর জন্য, অর্থবিত্ত অর্জনের জন্য, অবৈধ সম্পদ রক্ষা করার জন্য আওয়ামী লীগে আসতে চান তাদের দরকার নাই। যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বাস করে তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগে আসতে পারে। কিন্তু যারা জায়গা দখল ও মাদক কারবারেযুক্ত তাদেরকে আমাদের দলে প্রয়োজন নাই।


রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আসলাম খাঁনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর চেয়ারম্যান, ইফতেখার হোসেন বাবুল, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, নিলুফা আকতার, আয়ুব রানা,  মোর্শেদ তালুকদার, নাছির উদ্দিন রিয়াজ, মো. রাসু প্রমুখ।


এদিকে সন্ধ্যার পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ বেতারের আয়োজনে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামুলক বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

এতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নারী উন্নয়ন ও নারী প্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে সেটি সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটি অনন্য উদাহারণ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, নারী উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন নিহীত। কারণ দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। তাদের উন্নয়ন ব্যতিরেকে মানব উন্নয়ন, সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্রের সম্ভব হয়। রাষ্ট্রের উন্নতি অগ্রগতি প্রগতি সম্ভব নয়।


তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশু উন্নয়নের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। গত ১৩ বছরে নারীর যেভাবে ক্ষমতায়ন হয়েছে, মাতৃ মৃত্যুর হার শিশু মৃত্যুর হার যেভাবে কমেছে বাংলাদেশে এটি সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি উদাহারণ। আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার এবং প্রসুতি মৃত্যুর হার ভারত পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম।


ড. হাছান বলেন, সমস্ত মানব উন্নয়ন সূচকে আমরা ভারত পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়েছি। এটির অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমাদের সরকার নারী ও শিশু উন্নয়নের উপর অনেক গুরুত্বারোপ করেছে বিধায় এটি সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুগ্ন সচিব মো. আনছার আলী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও ইফতেখার ইউনুস প্রমুখ।



আরো পড়ুন:






দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির প্রতিবাদে ফেনীতে বিএনপির প্রতীকী অনশন 
BNP's symbolic hunger strike in Feni to protest rising commodity prices

দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধগতি ও সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে ফেনী জেলা বিএনপির আয়োজনে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালিত হয়। বুধবার ৩০ মার্চ সকালে ফেনী জেলা বিএনপি কার্যলয়ে প্রতীকী অনশন শুরু হয়ে দুপুর পযন্ত চলে এই কর্মসুচি। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এতে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির চট্রগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহবায়ক এম এ খালেক, এয়াকুব নবী, আলাউদ্দিন গঠন, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুর রহমান বকুল, পৌর বিএনপির আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন চৌধুরী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মৎসজীবি দলের আহবায়ক জহির চৌধুরী,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ এস এম কায়সার এলিন, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম,সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ সবুজ, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আল ইমরান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল, রশিদ আহমদ মজুমদার, পৌর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইউম সহ জেলা বিএনপি এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৃন্দ।



আরো পড়ুন:




ফেনীর পরশুরামে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু  
Two children drowned after taking a bath in a pond at Parashuram in Feni


ফেনীর পরশুরামে পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৯ মার্চ বেলা তিনটার দিকে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর চন্দনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 


পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশু হলো উত্তর চন্দনা গ্রামের মানিক চৌধুরীর বাড়ির সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফয়েজ আহম্মেদের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৭) ও একই বাড়ির দুবাই প্রবাসী মো: শাহ আলমের ছেলে সাব্বির হোসেন (৭)।

তারা সম্পর্কে দু'জন চাচাতো ভাই। দুজনেই স্হানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই শিশু ফরহাদ ও সাব্বির দুপুরে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরে বাড়ির পেছনের পুকুরে গোসল করতে যায়। পুকুরের ঘাটের পাশেই একটি গর্ত ছিল। গোসলের একপর্যায়ে তারা ওই গর্তে পড়ে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পরে দুজনকে পানিতে ভেসে থাকতে দেখেন বাড়ির লোকজন। 

এ সময় তাঁরা দ্রুত দুই শিশুকে উদ্ধার করে স্হানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। 


পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। লাশের সুরতহাল তৈরি করে।  ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দুটি দাফনের জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছে দুই পরিবার।



আরো পড়ুন:




ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ টাকা কেজি দরে চাল কার্ডধারীদের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ
In Thakurgaon, rice card holders are accused of changing their names at the rate of Tk 10 per kg


ঠাকুরগাঁওয়ে  হতদরিদ্রের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের কার্ডধারীদের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।


বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যান রোমান বাদশার বিরুদ্ধে এমনি অভিযোগ করেন। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলা আখানগর ইউনিয়নে প্রায় ৩শ অসহায় মানুষের ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড পরিবর্তন করায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন ভুক্তভোগীরা।  এসব চাল বিতরণ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয় ভুক্তভোগীরা।  এসময় তাদের ন্যায্য অধিকার পেতে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেয়। এতো ঘন্টাব্যাপী বন্ধ হয়ে যায় চাল বিতরণ কার্যক্রম।


জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নে ৯ টি ওয়ার্ডে হতদরিদ্রের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি দরে চাল এক হাজার ৭৫ জনের মাঝে অসহায় মানুষের মাঝে কার্ড দেয়া হয়। এরমধ্যে প্রায় ৩শ অসহায়দের কার্ড বাতিল করেন চেয়ারম্যান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ চেয়ারম্যান তাদের কার্ড নিয়ে আর ফেরত না দিয়ে তাদের নামের পরিবর্তে নিজের খুশি মতো স্বচ্ছল মানুষদের নামে কার্ড করে দিয়েছে। যদিও চেয়ারম্যান অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, যারা অসহায় শুধু তাদের মাঝেই বিতরণ করা হচ্ছে এই চাল।


ভুক্তোভোগী দিনমজুর  মানিক বলেন, আমি অসহায় মানুষ। দিনে আনে দিনে খাই। চেয়ারম্যান কিছুদিন আগে আমার কার্ড নিয়েছে বলে কি বলে প্রয়োজন। এখন আর কার্ড দেয়না। আমি একজন দিনমজুর হয়ে যদি সরকারের এই সুযোগ না পাই তাহলে কারা পাবে???


আরেক ভুক্তভোগী আইযুব আলী  বলেন, আমরা অসহায়,গরীব কিন্তু আমাদের সাথে এমন অন্যায় কেন হলো?. আমি মিলে কাজজ করি।  চেয়ারম্যানকে বলি আমার কার্ড বাতিল কেন করলেন তিনি বলে তুমি পাবেনা। আমার মতো দিনমজুর পাবেনা কিন্তু স্বচ্ছল মানুষেরা পাইছে। চেয়ারম্যান তার নিজের খুশি মতো কার্ড দিছে।


তবে অভিযুক্ত আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান রোমান বাদশা বলেন, আমাদের ইউনিয়নে সকল অসহায় মানুষেরাই এই কার্ড পেয়েছে। কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদে  মিটিং হয়েছে যারা দীর্ঘদিন এই কার্ডের সুবিধা নিয়েছে তাদের নাম পরিবর্তনের। সেই সিদ্ধান্ত মতে আমরা কিছু কার্ড  পরিবর্তন করেছি। তবে উপজেলা পরিষদের এই সিদ্ধান্তের কোন লিখিত নেই বলেও জানান তিনি। 


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো.সামসুজ্জামান বলেন, যারা আগে থেকে এই কার্ডের সুবিধে নিচ্ছে তারাই নিবে। কার্ড পরিবর্তন করা হবে এই ধরনের কোন সিদ্ধন্ত নেয়া হয়নি। তবে আখানগরের বিষয়ে এমন অভিযোগ শুনেছি,  খোঁজ খবর নিয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



আরো পড়ুন:




Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget