Latest Post

 


রাজশাহীতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিএনপির সমাবেশ শুরু

রাজশাহীতে আজ বেলা দুইটা থেকে বিএনপির গণসমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও বেলা ১১টার দিকে তা শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় নেতারা মঞ্চ থেকে ভাষণ দেওয়া শুরু করেছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়া অন্য সব নেতারাই মঞ্চে আছেন।

স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দেওয়া আট দফা অনুমতিপত্রে লেখা ছিল রাজশাহী নগরের হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি (মাদ্রাসা মাঠ) বিএনপি শুধু শনিবার বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে। তবে আজ সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা ধীরে ধীরে এই সমাবেশস্থলে ঢুকতে শুরু করেন। বেলা ১১টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসহ স্থানীয় নেতারা মঞ্চে বসেন। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরাও ইতিমধ্যে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন।

সমাবেশস্থলে দেখা গেছে, হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি কানায় কানায় ভরে গেছে। এর মধ্যেও মিছিল নিয়ে ভেতরে ঢুকছেন কর্মী-সমর্থকেরা। আবার মাঠের চারপাশের রাস্তায় মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। জেলার বাইরে থেকে আসা নেতা-কর্মীরা এই রাস্তায় মিছিল করছেন। নগরে শাহ মখদুম দরগা পর্যন্ত সমাবেশে আসা মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

আরো পড়ুন:


 


দুই বাংলার সীমান্তে হয়নি মিলনমেলা, অশ্রুজলে ফিরলেন দুই পাড়ের স্বজনরা

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মাকড়হাট ক্যাম্পের ৩৪৬ পিলার সংলগ্ন টেংরিয়া গোবিন্দপুর গ্রামের কুলিক নদীর পারে ঐতিহ্যবাহী পাথরকালি মেলা উপলক্ষে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে যুগ যুগ ধরে দুই বাংলার হাজারো মানুষ স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হয়ে কুশল বিনিময় করে আসছে।

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দুই দেশের মানুষকে আলাদা করে রেখেছে । কিন্তু দুটি ভিন্ন ভৌগোলিক সীমারেখা আলাদা করতে পারেনি মানুষের মনের টান । এ টানেই মানুষ ছুটে যায় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে, সুযোগ পেলেই মিশে যায় একে অন্যের সঙ্গে । পেতে চায় মায়া-মমতা, স্বজনদের সান্নিধ্য।

এখানে কয়েক যুগ ধরেই পাথরকালি মেলার আয়োজন করছে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা । কালীপুজার পরে ওই এলাকায় বসে এই পাথরকালি মেলা । মেলাকে ঘিরে একদিনের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় । দুই বাংলার মানুষ আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করে । তারা মেলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনে ।


জানা যায়, হরিপুর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পাকিস্তান-ভারত বিভক্তির আগে ভারতের দক্ষিন দিনাজপুর জেলার অধীনে ছিলো। দেশ বিভক্তির কারণে আত্মীয় স্বজনেরা দুই দেশে ছড়িয়ে পড়ে । সারা বছর তারা দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারেনা। তাই অপেক্ষায় থাকে কালীপুজার পরের শুক্রবার পাথরকালি মেলার এই দিনের জন্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মুঠোফোনে চলছিলো আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ ।

এ মিলনমেলাতে দুই দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও শত শত মুসলমান দুই বাংলার আত্মীয়-স্বজন একে অপরকে একনজর দেখার জন্য ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার দুই পাশে এবারও ভিড় জমান। এ সময় সেখানে তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার প্রত্যাশায় কাঁটাতারের এপার-ওপারে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।

দেখা গেছে সকালে হাসিমুখে দেখা করতে এসে বিকালে বিদায় বেলায় কাঁদতে হয় তাদের, আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা হওয়ার পরেও এবং দেখা না হওয়ার জন্যেও ।


শুক্রবার (০২ডিসেম্বর) সকালেই জমুরকালী (পাথর কালী) জিউ পূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের মত এবারও পূজার আয়োজন করেছিল পূজা উদযাপন কমিটি। তবে এবার আগেরমত পূঁজা উপলক্ষে দুই বাংলার সীমান্তে লাখো মানুষের সমাগমে তৈরি হয় মিলনমেলা। তবে কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁকে কথা বলা আর দেখা না করার আক্ষেপ অধরা রয়ে গেল একবছর ধরে অপেক্ষারত ওপারে থাকা তাদের আত্মীয়স্বজনদের সাথে।

এবার সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে কোন মানুষজনকে ভীড়  জমাতে দেয়নি ভারতীয়  সীমান্ত রক্ষীবাহিনী।

হরিপুর উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, পাথরকালী জিউ পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর এইদিনে গোবিন্দপুর কুলিক নদীরপাড়ে কাঁটাতারের কাছে দুই সীমান্তে

ইংরেজি মাস ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শুক্রবার দিনে লাখো মানুষের সমাগমে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ-ভারত মিলনমেলা হয়ে থাকে । এবারও মিলনমেলা'র আয়োজন করা হলেও ভারতীয় প্রসাশনিক জটিলতার কারনে দেখা সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এতে কাঁটাতারের ওপারে থাকা আত্মীয়স্বজনরা মিলিত হতে পারনেনি।

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা থেকে আসা নাজমা বেগম বলেন, ভারতে ভাই-ভাবি বসবাস করেন। তাই তাদের সঙ্গে দেখা করতে এই কাঁটাতারের বেড়ার কাছে এসেছি। এখনো দেখা হয়নি, তারা এলে দেখা হবে। করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর দেখা হয়নি। এবার কালীপূজার পরে পাথরকালি মেলায় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে এসেছি তাদের সঙ্গে দেখা করতে।

নীলফামারীর জলঢাকা থেকে ভারতে বসবাস করা ছেলেকে দেখতে এসেছিলেন বৃদ্ধা মধুবালা। তিনি কেঁদে কেঁদে জানালেন, টাকার অভাবে ভারতে যেতে পারি না, তাই খবর পেয়ে এলাম ছেলেকে দেখতে; না দেখেই ফিরে যাচ্ছি। প্রতি বছর যেন আমাদের মতো অভাবী মানুষদের জন্য সীমান্তে মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। 

লালমনিরহাট থেকে আসা শ্রী সুদর্শন বলেন, ভারতে আমার ভাগ্নি থাকেন। তাদের সঙ্গে দুই বছর পর দেখা করতে এসেছে। ভারতে নির্বাচনের অজুহাতে এবার দেখা করতে দেয়া হয়নি। প্রতি বছর যেন দেখা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।

রংপরের পীরগঞ্জ থেকে আসা বাকলী রাণী (৫৭), চন্দ চাঁদ রায় (৬০) আমল (৪৭) সহ বিভিন্ন এলাকার অনেকে বলেন, সকাল থেকে আমরা আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। দুপুর গড়িয়ে বেলা শেষের দিকে তারপরেও দেথা করতে পারছিনা। করোনা ভাইরাসের কারণে সব বন্ধ। আত্মীয়রা ওপারে অপেক্ষায় রয়েছে কাঁটাতারের কাছে আসতে পারছেনা। 

এবার পূজা সম্পন্ন করেই বাড়ি যাব। আগামী বছর দেখা করার অপেক্ষায় রইলাম । 

পূজা কমিটির সভাপতি মধুবাবু বলেন, গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে মিলনমেলা করা সম্ভব হয়নি শুধু পূ্জা পালন করা হয়েছে। এবার মিলনমেলার আয়োজন করা হলেও স্বজনদের দেখা সাক্ষাত করা সম্ভব হয়নি। 

এবিষয়ে ভাতুঁড়িয়া  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ধরে মিলনমেলা হয়নি। দুই বাংলার এই সম্পর্ক যেন যুগ যুগ অটুট থাকে। সেজন্য প্রতিবছর এইদিনে এটি আয়োজন করা হয়। 

হরিপুরের গোবিন্দপুর ও চাপাসার ক্যাম্পে কর্মরত সীমান্ত বাহিনীরা জানান, এবার মিলনমেলায় কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে দেখা করে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কতৃপক্ষ। এবং কাঁটাতারের কাছে কোন বাংলাদেশীরা যেন না যায় সে বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করেছেন তারা।


আরো পড়ুন:


 


বাস ছেড়ে ৩০ কিমি হেঁটে সমাবেশস্থলে নেতা-কর্মীরা

রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এ কারণে বিএনপির নেতা–কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে ধর্মঘট শুরুর আগেই রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তাঁরা পথে পথে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে বাস ছেড়ে দিয়ে ৩০ কিলোমিটার পথ হেঁটে রাজশাহী এসে পৌঁছেছেন।


রাজশাহীতে আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশের উদ্দেশে রাতে বগুড়া থেকে বাসে রওনা দিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ নেতা–কর্মী। তাঁদের রাজশাহীর মোহনুপুর উপজেলার কামারপাড়া এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। তখন রাত দুইটা। এই দলের সঙ্গে ছিলেন বগুড়া শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মর্শেদুল মিঠন। তিনি বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে বগুড়া থেকে আসছিলেন। 

কামারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের গাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় একটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়। তাঁদের এক নেতার মাথা ফেটে যায়। তারপর তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এই নেতা বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনো দিন দেখিনি যে, সরকারি দল দেশে হরতাল ডাকে। অবশ্য এ জন্য তারা গর্বিত। 

বিরোধী দলকে কথা বলতে না দেওয়ার জন্য একটি সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য তাঁরা এই কাজ করেছে।’ তবে তাঁরা নিজেরা গর্বিত। কারণ, সেখান থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার হেঁটে সকাল সাড়ে ছয়টার তাঁরা রাজশাহীর পাঠানপাড়া ঈদগাহ মাঠে এসে পৌঁছেছেন বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।

সিরাজগঞ্জ থেকে একইভাবে বাস নিয়ে আসছিলেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকায় এলে পুলিশ তাঁদের বাস ঘুরিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে তাঁরা সেখান থেকেই হাঁটা শুরু করেন। তাঁরা রাত একটার দিকে রাজশাহীর ঈদগাহ মাঠে এসেছেন পৌঁছেন। সেই দলে ছিলেন সিরাগঞ্জের বিএনপি সমর্থক সিরাজুল ইসলাম। তিনি দেখালেন, হাঁটতে হাঁটতে তাঁর পা ফুলে গেছে।

বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, কিছু গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই। এমন গাড়িতে লোক আসছিল। রাতে তাঁদের সার্জেন্ট ছিল না। এ কারণে মামলা দেওয়া যাচ্ছিল না। আবার মামলা দিতে হলে গাড়ির প্রকৃত মালিক ও চালক দরকার। তাঁদেরও পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ধরনের গাড়ি গিয়ে নাশকতা ঘটাতে পারে। এ জন্য বাধ্য হয়ে এ ধরনের গাড়িকে তাঁরা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর রাজশাহী মহানগর ও মোহনপুর থানার সীমানায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছিল। যান এড়াতে তাঁরা চার–পাঁচটা গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আরো পড়ুন:


 


জনপ্রিয় পপ তারকা ক্রিস্টিন ম্যাকভির মৃত্যু

ফ্লিটউড ম্যাক ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য গায়িকা, গীতিকার ক্রিস্টিন ম্যাকভি মারা গেছেন। গতকাল বুধবার ৭৯ বছর বয়সী এ গায়িকার মৃত্যু হয় বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বলা হয়, গতকাল সকালে হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ সময় পরিবারের সদস্যরা পাশেই ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যান্ডের পক্ষ থেকেও ম্যাকভির মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ প্রকাশ করা হয়নি।

১৯৭০ সালে ফ্লিটউড ম্যাকে যোগ দেওয়ার পর দ্রুতই ব্যান্ডটির প্রাণভোমরা হয়ে ওঠেন ম্যাকভি। ‘লিটল লাইস’, ‘এভরিহয়ার’, ‘ডোন্ট স্টপ’, ‘সে ইউ লাভ মি’, ‘সংবার্ড’-এর মতো বিখ্যাত গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম।


সত্তর ও আশির দশকে ফ্লিটউড ম্যাক ছিল সারা দুনিয়ার অন্যতম সেরা রক ব্যান্ড। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পায় ব্যান্ডের অ্যালবাম ‘রিউমারস’, যা তৈরি হয় ম্যাকভিসহ ব্যান্ডের আরও দুই যুগলের বিচ্ছেদের প্রেরণায়। চার কোটির বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবামটিকে সর্বকালের ব্যবসাসফল অ্যালবামগুলোর একটি বলে মনে করা হয়। ম্যাকভি ১৯৬৯ সালে ব্যান্ড সহকর্মী জন ম্যাকভিকে বিয়ে করার পর ব্যান্ডে যোগ দেন। তবে সাত বছর পর তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিচ্ছেদ হলেও তাঁদের মধ্যে পেশাদারি সম্পর্ক বজায় ছিল। ১৯৯৮ সালে ব্যান্ডটি ‘রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমে’ জায়গা পায়।

ব্যান্ডের সঙ্গে নিজের একক অ্যালবামও প্রকাশ করেছেনে ম্যাকভি। ১৯৭০ ও ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত তাঁর দুই অ্যালবাম ‘ক্রিস্টিন পারফেক্ট’ ও ‘ক্রিস্টিন ম্যাকভি’ সাড়া জাগায়। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে ব্যান্ড থেকে আলাদা হয়ে যান ম্যাকভি। তবে সাময়িক এ অবসর ভেঙে প্রায় ১৫ বছর পর ২০১৪ সালে আবারও ফিরে আসেন।

ব্যান্ড থেকে বিরতি নেওয়া প্রসঙ্গে চলতি বছর দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাকভি বলেছিলেন, ‘সঙ্গীসাথি ছাড়া চেয়েছিলাম গ্রামের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। তখন আমি কেন্টে চলে যাই। একা একা রাস্তায় হাঁটতে খুব ভালো লাগত, কেউই আমাকে চিনতে পারত না। তবে একটা সময় আমি সবাইকে মিস করতে থাকি। এরপর মিককে ফোন করে বললাম, যদি আবার ফিরে আসি কেমন হয়?’


জনপ্রিয় পপ তারকা ক্রিস্টিন ম্যাকভির মৃত্যু
ম্যাকভি ছিলেন সত্তর ও আশির দশকের পপ সংগীতের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। যেমন গাইতেন, তেমনি দুর্দান্ত লেখার হাত ছিল। তাঁর লেখায় প্রেম ও সম্পর্কের গল্প উঠে আসত।

ম্যাকভির মৃত্যুতে বিশ্বসংগীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ইগলস, হ্যারি স্টাইলসসহ শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

১৯৪৩ সালের ১২ জুলাই ল্যাঙ্কাশায়ারে জন্ম ক্রিস্টিন ম্যাকভির। মাত্র ৪ বছর বয়সে পিয়ানো শেখা শুরু, ১১ বছর বয়সে গানকে সিরিয়াসলি নেন। তবে গায়িকা হবেনই এমনটা ভাবেননি। আর্ট স্কুলে পড়তেন, ঠিক করে রেখেছিলেন শিক্ষকতা করবেন। 

তবে সংগীতপ্রেমী একদল বন্ধু পেয়ে ভাবনার বদল হতে সময় লাগেনি। প্রথমে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যান্ড শুরু করেন। পরে যুক্ত হন ফ্লিটউড ম্যাকের সঙ্গে। এর পরের বাকিটা ইতিহাস। সময়ের অন্যতম সেরা এ পপ গায়িকার পথচলা থেম গেল গতকাল।

আরো পড়ুন:


 


কিভাবে একটি প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লিখতে হয়?

প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল একটা আমাজন সাইটের অন্যতম প্রধান অংশ। মূলত এই রিভিউ আর্টিকেলগুলার মাধ্যমেই একজন আর্ন করে থাকে। তাই আপনার প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল ভালো না হলে সেটা থেকে আর্ন করার পসিবিলিটি অনেক কমে যাবে।

এই আর্টিকেলে আমি ভালো প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লেখার কয়েকটি টিপ্‌স বলবো। আমি এই গাইডলাইনগুলো নিজে ফলো করে ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। শুরু করার আগে বলে নেই, প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লেখার অনেক ওয়ে আছে, আমি এখানে যেভাবে বলবো সেটাই একমাত্র ওয়ে না। তাই, আপনি চাইলে আরো রিসার্চ করে দেখতে পারেন কোন পদ্ধটি আপনার ভালো লাগে এবং আপনি ফলো করতে চান।


প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল আসলে কি ?

প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল বলতে আসলে বোঝায়, একটা আর্টিকেল যেখানে আপনি একটা প্রডাক্ট সম্পর্কে আপনার ভালো লাগা বা খারাপ লাগা গুলা লিখবেন। মূলত, বলবেন প্রডাক্টটা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি, এটা থেকে আপনি কিরকম ফলফাল পেয়েছেন, কেন এটা ব্যবহার করা লাভজনক ইত্যাদি। সবশষে ওই প্রডাক্টটা কেনার লিঙ্ক (স্পেশাল এফিলিয়েট লিংক) আর্টিকেলে শেয়ার করবেন। ওই লিঙ্ক থেকে কেউ প্রডাক্টটা কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।


কিভাবে প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লিখবেন ?

প্রডাক্ট রিভিউ আর্টকেল লেখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যদি প্রডাক্টটা আসলেই আপনি কিনে থাকেন এবং আপনার সাথে থাকে। এতে আপনার রিভিউটা অনেক বিশ্বাসযোগ্য হবে এবং আপনার কনভার্শন রেট বেড়ে যাবে। এছাড়াও, আপনি একচুয়েলি প্রডাক্টটা ব্যবহার করলে রিভিউ লেখা আপনার জন্য অনেক ইজি হয়ে যাবে। প্রডাক্টটা নিয়ে আপনার মতামত, অভিজ্ঞতা সুন্দর করে লেখলেই ভালো মানের একটা রিভিউ আর্টিকেল পেয়ে যাবেন।


কিন্তু, প্রডাক্টটা একচুয়েলি কিনে রিভিউ লেখার উপায় আমাদের অনেকেরই নেই। আমরা যারা আমাজিন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকি, তারা জানি যে আমাজন এর বেশিরভাগ প্রডাক্ট বাংলাদেশে পাঠানো যায়না। তাই, প্রডাক্ট কিনে দেখার সুযোগ খুব একটা থাকে না।


এখানে কিছু গাইডলাইন দেওয়া আছে যেগুলা আমি ফলো করি একটা রিভিউ আর্টিকেল লেখার সময়।


রিসার্চঃ লেখা শুরু করার আগে, প্রথমেই আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো রিসার্চ। প্রপার রিচার্চ একটা ভালো আর্টিকেলের প্রধান শর্ত। রিসার্চ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রডাক্টটা সম্পর্কে ইনফরমেশন নেওয়া যেগুলা ইউজ করে আপনি আর্টিকেল লিখবেন। 

ফার্স্টে আপনাকে আমাজন থেকে যতদূর সম্ভব ইনফরমেশন নিতে হবে। দেখুন আমাজনে প্রডাক্টটা সম্পর্কে কি কি বলা আছে, এর ফিচার্স কি, জেনারেল ডেস্ক্রিপশনে কি লেখা আছে, কাস্টমার রিভিউ কেমন, অন্যান্য কাস্টমাররা প্রডাক্টটা নিয়ে কি কি বলেছে ইত্যাদি। 

এসব থেকে আপনাকে প্রডাক্টটা সম্পর্কে ইনফর্মেশন নিয়ে আর্টিকেলটা লিখতে হবে। এছাড়াও, গুগুলে আপনার প্রডাক্টটা লিখে সার্চ দিন। দেখুন প্রথম ১০টা সার্চ রেজাল্টে কি কি আছে। প্রত্যেকটা সাইটে গিয়ে দেখুন প্রডাক্টটা সম্পর্কে কি লেখা আছে। এখান থেকে আইডিয়া পাবেন কিভাবে আর্টিকেলটা লেখা লাগবে, কি কি ইনফর্মেশন থাকা লাগবে আর্টিকেলে।

আউটলাইনঃ রিসার্চ শেষে যখন আপনার কাছে পর্যাপ্ত ইনফর্মেশন থাকবে প্রডাক্টটা নিয়ে লেখার জন্য, তখন লেখা শুরু করুন। আমার প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেলে আমি এমন আউটলাইন ফলো করি। প্রথমেই, প্রডাক্টটা যদি কোনো ব্র্যান্ড এর হয়, তখনা আমি ওই ব্র্যান্ডটা সম্পর্কে কিছু কথাবার্তা লিখি। এখানে বলার চেষ্টা করি ব্র্যান্ডটা কেনো ভালো, সবাই কেনো এটার প্রডাক্ট ব্যবহার করে এসব। এছাড়াও ব্র্যান্ডটা নিয়ে আরো জেনারেল কথাবার্তা চাইলে লিখতে পারেন।

এরপর, আমি প্রডাক্টটা নিয়ে লেখা শুরু করি। ফার্স্টেই প্রডাক্টটা সম্পর্কে কিছু জেনারেল কথাবার্তা লিখি। এই প্যারা থেকে আপনার ভিজিটররা একটা আইডিয়া পাবে প্রডাক্টটা সম্পর্কে। এরপর আমি প্রডাক্টটার ফিচার্স, স্পেসিফিকাশন্স, সুবিধা, অসুবিধা, কেন আমি প্রডাক্টটা পছন্দ করি এসব লিখি। প্রত্যেকটা ক্ষত্রেই আমি আলাদা আলাদা সাব হেডিং ইউজ করি, বুলেট পয়েন্ট ইউজ করি যেখানে করা লাগে।

বলে রাখা ভালো, এটা শুধু একটা জেনারেল আউটলাইন। প্রডাক্টের উপর নির্ভর করে অনেক কিছু যোগ হতে পারে, অথবা বাদ দেওয়া যেতে পারে। যেমন, যদি আমি কোনো টেকনিক্যাল প্রডাক্ট নিয়ে লিখি, তাহলে সেটা কিভাবে ইউজ করতে হয়, সেট আপ করতে হয় এসব অবশ্যই লিখবো। আবার যদি কোনো হেলথ রিলেটেড প্রডাক্ট হয়, তাহলে সেটার কোনো সাইড এফেক্ট থাকলে সেগুলা লেখার ট্রাই করবো।


মাল্টিমিডিয়াঃ আমি আর্টিকেলে যেখানে যেখানে প্রয়োজন মনে হয় ইমেজ ব্যবহার করার ট্রাই করি। ইমেজ একটা ভালো আর্টিকেলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ইমেজ না থাকলে আপনার আর্টিকেলটা একদম বোরিং হবে এবং ভিজিটররা পড়ে মজা পাবে ন। 

তাই বেশি বেশি ইমেজ ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। তবে, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ইমেজটা যেন প্রাসংগিক হয় এবং আর্টিকেলটার সাথে যায়। যদি মনে করেন ইমেজটা থেকে আপনার ভিজিটরকে এক্সট্রা ভ্যালু দিবে, তবেই সেটা আর্টিকেলে এড করবেন। 

এছাড়াও, মনে রাখবেন, আমাজন থেকে আপনি ডাইরেক্ট ইমেজ সেভ করে সেটা সাইটে ব্যবহার করতে পারবেন না, এতে আমাজনের গাইডলাইন ভাংবেন আপনি। আমাজন থেকে প্রডাক্ট এর ছবি নিতে হলে আপনাকে এফিলিয়েট টুলবার (Amazon Associate SiteStripe) থেকে ইমেজ এর কোড নিয়ে সেটা সাইটে বসিয়ে ইমেজ ইউজ করতে হবে।


শেষ কথাঃ 

তো বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো প্রোডাক্ট কন্টেন্ট সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের দেওয়া আর্টিকেল পুরোপুরি ভাবে অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে আপনি উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারছেন। ভালো লাগলে অব্যশই কমেন্ট করবেন । আল্লাহ হাফেজ ।

আরো পড়ুন:


 


খালেদা জিয়া সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নেবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নেবে। বিএনপি সমাবেশের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করলে ভুল করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

বুধবার  দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত নারী পুলিশের গৌরবময় যাত্রা ও অর্জন ১৯৭৪-২০২২ শীর্ষক বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দর পরিবেশের জন্যই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপি দুটি জায়গার কথা বলেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও মানিক মিয়া এভিনিউ। তাদের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদি সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া যোগদান করেন, তাহলে তার জামিন বাতিল হবে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালত ব্যবস্থা নেবেন।

আরো পড়ুন:


 


রাঙামাটিতে শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড

রাঙামাটির কাউখালীতে শিশুকে ধর্ষণ মামলায় এক বৃদ্ধকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আর ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামির নাম মো. গোপাল কৃষ নাথ (৬০)। 

বুধবার দুপুর দেড়টায় রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ ই এম মো. ইসমাইল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকার পক্ষের আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটার) মো. সাইফুল ইসলাম অভি জানান, ২০১৯ সালে ২১ এপ্রিল রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার মুসলিশ পাড়ার বাসিন্দা গোপাল কৃষ নাথ ওই এলাকার পোয়াপাড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

এ ঘটনার পর কন্যা শিশুটির বাবা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করার পর দীর্ঘ ৩ বছর এ মামলা তদন্ত চলে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৪) (খ) ধারায় আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে ৫ লাখ টাকা ৯০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রদানের জন্য আসামিকে নির্দেশ দেন। অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে বলে গোষণা দেন। 

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget