Latest Post

 

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু



কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ শুরু

কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদের সভাপতিত্বে ওই সভা শুরু হয়। গণসমাবেশে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টায় কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এরপর মোনাজাত হয়। মোনাজাতে বিএনপির নিপীড়িত নেতা-কর্মী, গুম ও হত্যার শিকার নেতা-কর্মীদের জন্য দোয়া করা হয়। পরে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এরপর তিন জেলা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

দুপুর একটার পর মঞ্চে আসেন কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে টাউন হল মাঠ ছাপিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নগরের জিলা স্কুল সড়ক, ভিক্টোরিয়া কলেজ সড়ক, নজরুল অ্যাভিনিউ, পুলিশ লাইনস সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। কুমিল্লা টাউন হল মাঠের সামনের সড়কে, পূবালী চত্বর ঘিরে আছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। তাঁদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলের পাঁচ নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে এ গণসমাবেশ করছে। এর আগে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ হয়। পরে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে সমাবেশ হয়। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ হবে।

আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
  8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
  9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
  10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 








  


ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর ডাকাতি 

ব্যাংকের নথিপত্রে নাবিল গ্রেইন ক্রপস লিমিটেডের অফিসের ঠিকানা বনানীর বি ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ভবন। ঋণ পাওয়া মার্টস বিজনেস লিমিটেডের ঠিকানা বনানীর ডি ব্লকের ১৭ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়ি। সেখানে গিয়ে মিলল রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের অফিস। তবে মার্টস বিজনেস লাইন নামে তাদের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এভাবেই ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে দুই কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে একটি অসাধু চক্র।

সব মিলিয়ে নানা উপায়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে চলতি বছরেই এ অর্থ নেওয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ তুলে নেওয়া হয় চলতি মাসের ১ থেকে ১৭ নভেম্বর। যার পরিমাণ ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এ জন্যই ব্যাংকটির কর্মকর্তারা চলতি মাসকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ বলে অভিহিত করছেন।

একইভাবে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকেও ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এ কোম্পানিগুলো। ফলে এ তিন ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদসহ দেনা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এমন সময়ে এসব অর্থ তুলে নেওয়া হয়, যখন ব্যাংক খাতে ডলার–সংকটের পর টাকার সংকট বড় আলোচনার বিষয়। ব্যাংক তিনটির নথিপত্র পর্যালোচনা করে এ সব তথ্য মিলেছে।

এভাবে ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। যে ব্যবসায় ঋণ দিয়েছে, তা যথাযথ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। অর্থনীতি সংকটের সময় এমন বড় অনিয়ম হলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংককে উদ্যোগী হয়ে এসব বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। ওপরের নির্দেশের জন্য বসে থাকলে চলবে না।
এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ঋণের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে ব্যাংকগুলোতে পরিদর্শন চলছে। মূলত ভোগ্যপণ্য আমদানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ঋণ নেওয়া এসব কোম্পানি। ফলে দ্রুত সময়ে এসব অর্থায়নের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।

নেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড (ঋণ পরিশোধে বিরতি) দেওয়া হয়েছে এক বছর। ফলে এক বছরের মধ্যে কোনো অর্থ শোধ দিতে হবে না। এসব ঋণের ভবিষ্যৎ বুঝতে কমপক্ষে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। সূত্রগুলো জানায়, এসব ঋণের সুবিধাভোগী ব্যাংক তিনটির মালিকপক্ষই। যেসব কোম্পানির নামে টাকা তোলা হয়, তার মধ্যে একটির মালিকের ঠিকানা চট্টগ্রামে। আর বাকিগুলো রাজশাহীতে। বেশির ভাগ কোম্পানির নথিপত্রে রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের সম্পর্ক পাওয়া যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:


 


ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮, এখনো অনেকে নিখোঁজ

ইন্দোনেশিয়ায় জাভা দ্বীপে সোমবারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮তে উঠেছে, তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা এজেন্সি তাদের সবশেষ ঘোষণায় বলছে - এখনো আরো ১৫১ জন নিখোঁজ রয়েছে।

রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি জাভার পার্বত্য এলাকায় আঘাত হানে সোমবার। এর ফলে যে ভূমি ধস হয় তাতে কোথাও কোথাও পুরো গ্রাম মাটি চাপা পড়েছে।

কমপক্ষে ২২,০০০ বাড়ি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে এবং ৫৮,০০০-এরও বেশি লোক বাড়িঘর হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

উদ্ধারকারীরা ধংসস্তুপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন ।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এজেন্সি বলছে, নিহতদের অনেকেই শিশু - যারা দুপুর একটায় ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় স্কুলে ছিল। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি লোক।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া দেশটি অবস্থিত - যাকে বলা হয় রিং অব ফায়ার। এ দেশটিতে আগেও বহুবার মারাত্মক কিছু ভূমিকম্পও সুনামি হয়েছে । সবশেষ ২০১৮ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি ভূমিকম্পে ২,০০০এরও বেশি লোক নিহত হয়।


সোমবারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ৬ মাইল নিচে, এবং প্রথম দফার পর অনেকগুলো ছোট ছোট ভূকম্পন হয় - যাতে দুর্বল কাঠামোর ওপর তৈরি করা বাড়িঘরগুলো ভেঙে পড়ে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আরো পড়ুন:


 


সৌদির কাছে হারলেই শেষ হয়ে যায় না আর্জেন্টিনা

সময়ের হিসাব মেলায় মহাকাল, ঘটনার ঘনঘটার এ বিশ্বে দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। আর চাকতির মতো ঘোরা বিশ্বে অঘটনও অস্বাভাবিক কিছু নয়। 

নিশ্চয়তা যেখানে বেশি, অনিশ্চয়তা সেখানে অনিবার্য পরিণতি নয় কি? আর সেই সময় স্রোতে আটকে গিয়ে আর কী বা করতে পারতেন ফুটবল গ্রহের কেন্দ্রবিন্দু লিওনেল মেসি।

টানা ৩৬ ম্যাচ জয়ের নিশ্চয়তা ছিল বলেও হয়তো এমন অনিশ্চয়তার রাহুগ্রাস। দিনেরও যেমন সন্ধ্যা হয়, নতুন শুরুর অপেক্ষায় নিতে হয় খানিক আঁধারে বিশ্রাম। মেসির আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও হয়তো ঘটেছে তাই। বিশ্রামের পরই হয়তো নতুন সূর্যের আলোভরা আকাশ নিয়ে মেসি পায়ের জাদুতে আঁকবেন নতুন ছবি, কাব্যসুধায় হৃদয় ভরাবেন ফুটবলের মহাকবি।
হারকে জয় করে কেমন করে বিজয়ের ধারায় ফিরতে হয়, লিওনেল মেসির চেয়ে সেটা আর কে বেশি জানে। ওই পায়ের স্রোতেই তো রোজ ফুটবল সুরধারা পুলকিত হয় নতুন গানে। তাই একটা হার দিয়েই কি মেসি কিংবা আর্জেন্টিনাকে এভাবে বিচার করা যায়? মোটেও নয়।

ফুটবলে কাননে মেসি, ম্যারাডোনা কিংবা আর্জেন্টিনা যে ফুল ফুটিয়েছেন যুগের পর যুগ, কালের পর কাল ধরে সে সৌরভ পাবেই মহাকাল। ততোদিন ম্যারাডোনা, মেসি থাকবেন; যতদিন থাকবে ফুটবল।

স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে আসর শুরুর আগেই বলেছেন, মেসি যদি বিশ্বকাপ না জিতে অবসরে যান সে হবে বড্ড অন্যায়, ভীষণ অবিচার। তার মানে মেসি ফুটবলে এমন জায়গা জুড়ে আছেন, তার প্রতিপক্ষও বিনা শর্তে মানেন, তারা জানেন; মেসির কাছে নস্যি ওই সাড়ে ৩৬ ইঞ্চি ধাতুর ট্রফি বরং ট্রফির জীবনটাই বৃথা যাবে যদি তাকে না ছোঁয় সময়ের সেরা জাদুকর।

তাই ট্রল যারা করেন, মেসিকে হেয় করতে চান কথায় কথায়- তাদের ঠুনকো একটা খেলা নয়, মোহান্ধ সময় নয়, ফুটবলটাকে বোঝা বড্ড জরুরি। মেসির হালের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছে, সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। এমন তিনি এটাও বলেছে, আমাকে বাদ দিলে মেসি সময়ের সেরা নিশ্চয়ই।

আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি হয়তো সে বিচারেই বলেছে, বিশ্বকাপ জেতাই শেষ কথা নয়। বিশ্বকাপ জয় করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই; নেই কোনো নিয়মও। আর যারা ম্যারাডোনার হাতের গোল মানে হ্যান্ড অব গড নিয়ে সমালোচনা করেন, ট্রলে মজেন, তারা একই ম্যাচের গোল অব দ্য সেঞ্চুরির কথাও জানেন নিশ্চয়ই। আট জনকে পাশ কাটিয়ে দেওয়া ম্যারাডোনার সেই গোল এখনও ইতিহাসের অন্যতম সেরা।

তাই সৌদির কাছে একটা হারেই যারা আর্জেন্টিনা কিংবা মেসির শেষ দেখছেন, তাদের জানা জরুরি- খেলা এখনও শেষ হয়ে যায়নি, আসল চ্যাম্পিয়নরা জানেন কীভাবে ফিরে আসতে হয়, ঘুরে দাঁড়াতে হয় কেমন করে। মাঠের খেলায় আর্জেন্টিনা সৌদির বিপক্ষে কিন্তু দারুণ দাপটেই ছিল, মুহূর্ত কেবল তাদের দেয়নি সমথর্ন! মনে রাখা জরুরি, নস্যি মেঘের নিচে কখনো কখনো দস্যি-শক্তিমান সূর্য্যও ঢাকা পড়ে। সুতরাং এখনও শেষ হয়নি খেলা, বেলা আরও বাকি আছে....

আরো পড়ুন:


 


কথা কাটাকাটির পর আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৫

গোপালগঞ্জে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ৫ ব্রাজিল সমর্থক। গতকাল মঙ্গলবার আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের খেলা শেষে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আর্জেন্টিনা-সৌদি আরবের খেলা শেষে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ মার্কাস মহল্লায় সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের হামলায় ব্রাজিলের ৫ সমর্থক আহত হয়। আহতদের মধ্যে মার্কাস মহল্লার বিপ্লব জমাদারের ছেলে সুব্রত জমাদার এবং অরুন জমাদারের ছেলে আশিক জমাদারকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত বাকি তিনজনকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:


 


শেরপুরে বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষ আহত অর্ধশত আটক- ২০

শেরপুর প্রতিনিধিঃ 

শেরপুরে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হয়েছে। ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নিহত ছাত্রদল কর্মী নয়ন মিয়া হত্যার প্রতিবাদে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসা থেকে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। 

পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ


শহরে নাশকতা ঠেকাতে ওই মিছিলে বাঁধা দেয় পুলিশ। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এসময় বিক্ষোব্ধ নেতা কর্মীদের থামাতে পুলিশ লাঠি চার্জ করেন। 

লাঠিচার্জে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়ে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে পুলিশও পাল্টা টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেন। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সহ প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হয়। এদিকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে শহরের রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং  বিভিন্ন দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল জানান, অতি উৎসাহিত হয়ে পুলিশ অহেতুক লাঠি চার্জ ও গুলি চালিয়েছে। এদিকে এএসপি সার্কেল (সদর সার্কেল) আ. হান্নান মিয়া এ বিষয়ে বলেন, বিক্ষোভ মিছিলের নামে শহরে নাশকতার চেষ্টা করছিল বিএনপি। তারা পুলিশের উপর হাজার হাজার ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়েছেন। এঘটনায় দায়ীদের অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরো পড়ুন:

 


যে একাদশ নিয়ে নামছে আর্জেন্টিনা-সৌদি

বিশ্বকাপে আজ মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় সৌদি আরবের মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির দল। লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ বলেই কাতার বিশ্বকাপে আগ্রহের কেন্দ্রে আর্জেন্টিনা। তাই গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচ জিতেই নকআউটের মহড়াটা ভালোভাবে সেরে রাখতে চাইবে লিওনেল স্কালোনির দল।

আর্জেন্টিনার কোচ নিজ দলকে সৌদির বিপক্ষে খেলাবে ৪-২-৩-১ ফরম্যাশনে। স্কালোনির দলে মূল গোলরক্ষক হিসেবে গোলপোস্টের দায়িত্ব সামলাবেন বাজপাখি খ্যাত এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

এই তারকা গোলরক্ষকের সামনে ডিফেন্সের দায়িত্ব সামলাবেন ওটামেন্ডি ও রোমেরো। লেফটব্যাকে থাকবেন তাগলিয়াফিকো, রাইটব্যাক হিসেবে আছেন নাহুয়েল মোলিনা। 

মিডফিল্ডকে শক্তিশালী করে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। যেখানে স্কালোনি খেলাবেন রদ্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে। আক্রমণভাগ সামলানোর জন্য আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি বড় ভরসা রাখবেন মেসির উপরই। তাকে শুরুর একাদশে সঙ্গ দেবেন লাউতারো মার্টিনেজ এবং অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ইনজুরির জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া জিওভান্নি লো সেলসোর বদলে দলে এসেছেন আলেহান্দ্রো গোমেজ। 

এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের বিপক্ষে চার ম্যাচ খেলেছে দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তারা দুটিতে জিতেছে, ড্র হয়েছে দুটি ম্যাচ। সৌদি আরব কখনও আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি।

এই ম্যাচে স্পষ্টভাবেই এগিয়ে থেকে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। ফিফা র‍্যাংকিংয়ে তারা আছে তৃতীয় স্থানে, বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিটও তারা। অন্যদিকে ৫৪তম স্থানে আছে সৌদি আরব। 

আর্জেন্টিনার একাদশ: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, নাহুয়েল মোলিনা, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, রদ্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারদেস, আলেহান্দ্রো গোমেজ, লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্টিনেজ ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।

সৌদি আরবের একাদশ: আল-ওয়াইস, আব্দুল হামিদ, আল-তামবাক্তি, আল-বুলাইহি, আল-শাহরানী, কান্নো, আল-মালকি, আল-শেহরি, আল-ফারাজ, আল বুরাইকান, আল-দাওসারী।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget