Latest Post

 


ভারতের বোলিং তোপ সামলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাকিস্তানের

ভারতীয় বোলাররা শুরু থেকেই পাকিস্তানি ব্যাটারদের চাপে রাখলেন। ব্যাটিংয়ে নেমে কখনই তেমন স্বস্তিতে ছিল না বাবর আজমের দল। তবে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জোড়া হাফসেঞ্চুরি উপহার দিলেন ইফতিখার আহমেদ আর শান মাসুদ।

ইফতিখার ঝড় তুলে ফিরলেন। শান মাসুদ দায়িত্ব নিয়ে খেললেন একদম শেষ ওভার পর্যন্ত। ফলে বিপদ কাটিয়ে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ১৬০।


মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শুরু থেকেই তাদের চেপে ধরেন ভুবনেশ্বর-অর্শদীপরা। একের পর এক বল মিস হতে থাকে। বারকয়েক হয় আবেদন।

প্রথম ওভারে পাকিস্তান তুলতে পারে মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তারা হারিয়ে বসে অধিনায়ককে। গোল্ডেন ডাক (১ বলে ০) নিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাবর।

অর্শদীপ সিংয়ের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি বাবরের প্যাডে লাগলে আবেদন হয়, আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। পাকিস্তান দলপতি অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার লেগ স্টাম্পে আঘাত করতো।

দলীয় ১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেটেরও পতন ঘটে পাকিস্তানের। এবারও সেই অর্শদীপ সিং। ভারতীয় পেসারকে হুক খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে ভুবনেশ্বরকে ক্যাচ দেন রিজওয়ান (১২ বলে ৪)। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩২ রান নিতে পারে পাকিস্তান।


উইকেট টিকিয়ে রেখে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন শান মাসুদ আর ইফতিখার আহমেদ। ১০ ওভারে পাকিস্তানের বোর্ডে উঠে বল সমান ৬০ রান।

১৫ রানেই সাজঘরে ফিরেছিলেন দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। স্বাভাবিকভাবেই খাদের কিনারায় ছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে উইকেট টেকানোর চেষ্টা করেন ইফতিখার আহমেদ আর শান মাসুদ।

তাড়াহুড়ো করেননি তারা। দলকে এগিয়ে নিয়েছেন একটু একটু করে। তবে ১২তম ওভারে এসে হঠাৎ যেন খেপে যান ইফতিখার। অক্ষর প্যাটেল বল হাতে নিয়েই পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটারের রুদ্ররূপের সামনে।

অক্ষরের প্রথম চার বলের মধ্যে তিনটি ছক্কা হাঁকান ইফতিখার। ২১ রান তোলা ওই ওভারেই তিনি তুলে নেন ৩২ বলে ফিফটি। তবে তার ঠিক পরের ওভারেই ভয়ংকর এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শামি।

মাসুদ আর ইফতিখারের ৫০ বলে ৭৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মোহাম্মদ শামি এলবিডব্লিউয়ে। ফিফটি করেই আউট হয়ে যান ইফতিখার। ৩৪ বলে গড়া তার ৫১ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা।

ইফতিখার ফেরার পর দ্রুত আরও কয়েকটি হারিয়ে বসে পাকিস্তান। শাদাব খান (৫), হায়দার আলি (২), মোহাম্মদ নওয়াজ (৯) আর আসিফ আলি (২) ফেরেন তাড়াহুড়ো করে। ২৯ রান তুলতেই ৫টি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে পাকিস্তান।

শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৬ আর হারিস রউফ ৪ বলে ১ ছক্কায় করেন ৬। শান মাসুদ ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন।

আরো পড়ুন:








 


ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় আবারো রাশিয়ার বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সেদেশের বিদ্যুতের স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।

তিনি বলেছেন, এবার সারা দেশজুড়ে বিশাল আকারে হামলা শুরু করা হয়েছে। ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় এলাকা, পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্বের অঞ্চলগুলোতে রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে।এর ফলে সেদেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে কিয়েভ জানিয়েছে।

তবে মি. জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া যেসব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ছুড়েছে, তার বেশিরভাগই তারা ভূপাতিত করেছেন। রাশিয়ার এরকম ব্যাপক হামলা সত্ত্বেও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে না তিনি দাবি করেছেন।

''এখনো আমাদের কাছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন শতভাগ ঠেকানোর মতো প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নেই। আমি নিশ্চিত, মিত্রদের সহযোগিতায় আস্তে আস্তে সেই ক্ষমতা আমাদের হবে,'' শনিবার একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন ইউক্রেনের এই নেতা।

ইউক্রেনের জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, আগের মাসে রাশিয়ার বোমা হামলায় বিদ্যুৎ অবকাঠামোর যতটা ক্ষতি হয়েছিল, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, শনিবার ৩৬টির বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া, যদিও তার বেশিরভাগই ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভের ডেপুটি মেয়র সের্হাই কিরাল বিবিসিকে বলেছেন, রাশিয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে শীতকালের আগেই ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করে দেয়া এবং যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়া।

''ইউক্রেনের সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে যত বেশি সাফল্য পাচ্ছে, ঘরবাড়িতে থাকা সাধারণ মানুষজনের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছে, কারণ বেসামরিক মানুষজনকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য রাশিয়া সবকিছুই করছে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে হামলা করছে,'' নিউজআওয়ার রেডিওকে তিনি বলেছেন।

শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, সেদেশের খেরসন অঞ্চলের হাইড্রোইলেকট্রিক একটি বাঁধে মাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। ওই বাঁধ এখন মস্কোর সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মি. জেলেনস্কি বলেছেন, কাখোভকা নামের ওই বাঁধটি ধ্বংস করা হলে লাখ লাখ মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে।

আরো পড়ুন:


 


খুলনা রেলস্টেশনে ভাঙচুর বিএনপির ১৭০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা

খুলনা রেলস্টেশনে ভাঙচুর এবং পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে খুলনা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে খুলনা রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন। এতে ১৫০ থেকে ১৭০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ বলেন, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে গতকাল শনিবার দুপুরে বিএনপির সমাবেশে আসা অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ১৭০ জন ব্যক্তি খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা করেন। 

ওই সময় স্টেশনের ২৫টি গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। রেলস্টেশন ভাঙচুর, স্টেশনের নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভাঙচুর ও হামলা করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা, তাই মামলায় অজ্ঞাত বলা হলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

খুলনা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীরা রেলস্টেশনে নিজেরাই সংঘর্ষে জড়ান। পরে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।’

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের সময় রেলস্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। বিএনপির সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রেলস্টেশন চত্বরে ভিড় করেছিলেন বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং স্টেশনের বিভিন্ন জানালা-দরজার কাচ ভেঙে ফেলেন। প্রায় আধঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

Content by prothomalo

আরো পড়ুন:


 


খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্রকরে খুলনা রেলস্টেশনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং স্টেশনের দরজার গ্লাস ভাঙচুর করে। শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্টেশনে অবস্থান নিয়েছে। বিপরীত দিকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে তর্কে জড়ায় আগতরা। এক পর্যায়ে তারা স্টেশনের গ্লাস ভাঙচুর করে। পুলিশকে খবর দিলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘একটা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার এবং পুলিশের এমন তাণ্ডব খুলনাবাসী কখনো দেখেনি। পথে পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাদের আটক করা হচ্ছে। ট্রেনে যারা সমাবেশে এসেছেন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে সমাবেশ ঠেকানো যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশের এক দিন আগেই নেতাকর্মীরা খুলনায় প্রবেশ করেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আজও আসছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সব নেতা খুলনায় পৌঁছে গেছেন।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বলেন, কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:


 


অ্যালেন-কনওয়ে ঝড়, অজিদের ২০১ রানের টার্গেট দিল কিউইরা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২০১ রানের টার্গেট দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

টস জিতে শুরুতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিংয়ে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলেন ফিন অ্যালেন। তিনি ১৬ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন ডেভন কনওয়ে।

৫৮ বলে ৯২ রানে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন কনওয়ে। মাঝখানে খানিকটা ছন্দ পতনের পর শেষ দিকে ঝড় তোলেন জিমি নিশাম।
নিশাম ১৩ বলে ২৬ রানে সাইক্লোন মার্কা ইনিংস খেলেছেন। সবমিলিয়ে ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।

অজিদের হয়ে যশ হ্যাজলউড নিয়েছেন ২টি উইকেট। তবে চার ওভারে তিনি দিয়েছে ৪১ রান। বাকি অজি বোলারদের কেউ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের সামনে ঘরের মাঠে ‍সুবিধা করতে পারেনি।

আরো পড়ুন:


 


ধূসর তালিকা থেকে বাদ পাকিস্তান, কালো   তালিকায় মিয়ানমার

ধূসর বা ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েছে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ)। অন্যদিকে মিয়ানমারকে ‘কালো তালিকা’ তথা উচ্চঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খবর ডন ও এএনআইয়ের।

ফ্রান্সের প্যারিসে এফএটিএফের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়ে এফএটিএফের সভাপতি রাজা কুমার বলেন, দেশটি ২০১৮ সাল থেকে ধূসর তালিকায় ছিল।

তিনি বলেন, দেশটির দুটি যুগপৎ কর্মপরিকল্পনা ছিল। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের ব্যাপক কর্মতৎপরতার পর তারা ওই কর্মপরিকল্পনার অধিকাংশই বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।

এফএটিএফের সভাপতি বলেন, আগস্টের শেষ দিকে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছিল সংস্থাটির টাস্কফোর্স। পরিদর্শক দলটি পাকিস্তানি নেতৃত্বের কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি, টেকসই সংস্কার এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করার অঙ্গীকারের বিষয়টি যাচাই করে দেখেছেন।

সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবিলায় পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এ জন্য পাকিস্তানকে বাড়তি নজরদারি (ধূসর) তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এএনআই জানিয়েছে, মিয়ানমারকে কালো তালিকা তথা উচ্চঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রেখেছে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাটি। মিয়ানমারে সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও লেনদেনে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এফএটিএফ।

সাধারণত অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে উচ্চঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে কালো তালিকায় রাখে এফএটিএফ। মিয়ানমার ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কৌশলগত ঘাটতিগুলো মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দেশটির কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হয়।

চলতি বছরের জুনে এফএটিএফ অক্টোবরের মধ্যে মিয়ানমারকে দ্রুত দেশটির কর্মপরিকল্পনা সম্পন্ন করার আহ্বান জানায়। অন্যথায় মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও লেনদেনে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হবে বলে সতর্ক করেছিল সংস্থাটি।

আরো পড়ুন:


 


হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণ-অনশন চলছে 

গত নির্বাচনের আগে দেওয়া সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা গণ–অনশন করছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ভোর ৬টায় শুরু হওয়া এই অনশন চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

 কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার শাহবাগ চত্বরে গণ–অনশন চলছে ভোর ৬টা থেকে। জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঐক্য পরিষদের কয়েক শ নেতা–কর্মী উপস্থিত হয়েছেন এ কর্মসূচিতে।


২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা। কিন্তু বর্তমান সরকার এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি বলে জানাচ্ছেন ঐক্য পরিষদের নেতারা।

ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, সরকার আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তা বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশে কর্মসূচি চলছে। আর ঢাকায় আমরা ভোর ৬টা থেকে গন–অনশন করছি। বেলা সাড়ে ৩টায় পরবর্তী কর্মসূচি কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগ থেকে ঘোষণা করা হবে।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ প্রমুখ।








 


ঝিনাইগাতীতে খ্রীষ্টিয়ান এন্ডেভার  সোসাইটির ৩৮তম যুব সম্মেলন উদযাপন 

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠির খ্রীষ্টান এন্ডেভার  সুসাইটির ৩৮তম যুব সম্মেলন উদযাপিত হয়েছে। ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার  উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খ্রীষ্ঠান এন্ডেভার  সোসাইটি জিবিসি বাংলাদেশ এ সম্মেলনের আয়োজন করে। '' ফলবান হও '' এ প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে এ যুব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের প্রতি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ি সার্কেল আফরোজা নাজনীন,   ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, ঝিনাইগাতী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত  নির্বাহী কর্মকর্তা,সহকারি কমিশনার (ভুমি) আশরাফুল কবীর।

 খ্রীষ্ঠিয়ান এন্ডেভার সোসাইটির সভাপতি মি,জেমস যিদিয়েল রেমার সভাপতিত্বে ও সুরঞ্জ দিবরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জিবিসির সভাপতি পঙ্কজ মারাক, জিবিসির জেনারেল সেক্রেটারি অভয় চিসিম,কেন্দ্রীয় ট্রাইভাল  ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা,  ঝিনাইগাতী উপজেলা ট্রাইবাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি, নবেশ খকশী প্রমুখ।

 এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া, ওসি তদন্ত আবুল কাশেমসহ জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যুবক ও যুবতীরা।  শুরুতেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশের মাধ্যমে ফুলেল শুভেচছা জানিয়ে  অতিথিদের বরন করে নেয়া হয়। পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীদের সমন্বয়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 
এম শাহজাহান ঝিনাইগাতী শেরপুর

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget