Latest Post

 



'রাখি বন্ধন উৎসব' উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার পাঠিয়েছে ভারত


আগামীকাল রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার পাঠিয়েছে ভারত। এ সময় উভয় দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে দু'টি প্যাকেটে উক্ত উপহার প্রদান করা হয়।


উক্ত উপহার প্রদানের সময় ভারতের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পে উপস্থিত হন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বনগাঁ পৌরসভার মেয়র গোপাল শেঠ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারটি বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহন করেন  ৮৫ যশোর-১, শার্শা আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন। এ সময় ভারত থেকে আসা প্রতিনিধি দলের প্রত্যেকের উপহার প্রদান করা হয়।


উপহার গ্রহন কালে এমপি শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, রাখি বন্ধন উৎসবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারত সরকার। পাশাপাশি আমরাও ভারত থেকে আসা ভারতীয় প্রতিনিধিদেরকে উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।


তিনি আরও জানান, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ সুসংহত রাখতে দু'দেশের মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে একে অপরকে মিষ্টি ও বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকি। এমন কর্মকাণ্ডের ফলে দুই দেশের মাঝে বিরাজমান সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি মনে করেন। 


আরো পড়ুন:



 



ঠাকুরগাঁওয়ে ফেনসিডিল ও গাজাঁসহ দুই মাদক কারবারি আটক 


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় একশ (১০০) বোতল ফেনসিডিল ও একশ (১০০) গ্রাম গাঁজা সহ দুই জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে রুহিয়া থানা পুলিশ। 


বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের নামাজপড়া নামক এলাকা থেকে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার হামিদুল ইসলামের ছেলে দুলাল ইসলাম (২৮) কে ১০০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করে পুলিশ।


অন্যদিকে একই দিনে রুহিয়া থানার ঘনিবিষ্টপুর গ্রামের নয়ন ইসলামের স্ত্রী মেরিনা বেগম (২২) কে ১০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করেছে পুলিশ। 


বিষয়টি নিশ্চিত করে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, রুহিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০০ বোতল ফেনসিডিল সহ দুলাল ইসলাম এবং রুহিয়া ট্যাংলড়ি এলাকা থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা সহ মেরিনা বেগমকে আটক করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 


তাদের দুই জনকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। 


আরো পড়ুন:






হঠাৎ করেই বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে৷ কেন বিদ্যুতের এত ঘাটতি দেখা দিলো? বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কেন চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না?


সরকার থেকে জ্বালানি সংকট, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে৷ তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর অধিক নির্ভরতা, লোডশেডিংয়ে রেশনিংয়ে সমন্বয়হীনতার কারণে পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি এম এ হাতেম ডয়চে ভেলেকে বলেন, 'গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে৷ এর ফলে আমরা সঠিক সময়ে শিপমেন্ট করতে পারছি না৷ যার প্রভাব পড়ছে ব্যাংকের টাকাও দেওয়া যাচ্ছে না সঠিক সময়ে৷ শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনেও এর প্রভাব পড়ছে৷ সবকিছু মিলিয়ে শিল্প উদ্যোক্তারা খুবই কঠিন সময় পার করছেন৷'


বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বলানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু৷ সোমবার দেয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, 'গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে৷ এতে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে৷ গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে৷ যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্য সব দেশের মতো আমাদেরও সমস্যায় ফেলেছে৷ এ পরিস্থিতিতে আপনাদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি৷'

সব শেষে এক নজরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অবস্থার একটি চিত্র তুলে ধরা হল। (তথ্য সুত্র- পাওয়ার সেল)

বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (মেঃওঃ): ১৩,১৭৯*

সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন (মেঃওঃ): ৯,২১২ 

গ্রাহক সংখ্যা: ২ কোটি ৪২ লক্ষ (

মোট সঞ্চালন লাইন (সা.কি.মি.): ১০,৩৭৭ 

বিতরণ লাইন (কি.মি.): ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার

সিস্টেম লস: ১৩.১০%

বিতরণ লস: ১০.৬৯%

 বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী: ৮০%

*ক্যাপটিভ ও সোলার হোম সিস্টেম ব্যতীত


বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক খোলাবাজার বা স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে না।

সেজন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

"গ্যাসের দাম প্রচুর বেড়ে গেছে। সরকার যে পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে, সেটা দিয়েও কাভার করা যাচ্ছে না" বলেন নসরুল হামিদ।

তিনি জ্বালানির বিশ্ববাজার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, "গ্যাসের দাম এখন আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে প্রতি ঘনফুট ৩৬ ডলার হয়েছে।

"যেহেতু এই পরিমাণ টাকা দিয়ে আমি গ্যাস আনতে পারছি না, সেজন্য আমাকে এই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে" বলেন প্রতিমন্ত্রী মি: হামিদ।গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ১০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে এখন অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।


আরো পড়ুন:



 



জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বেনাপোল বন্দরে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা


জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। পাশাপাশি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সংকটও দেখা দিয়েছে। হঠাৎ পণ্য পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে গিয়ে আমদানিকারক, পরিবহন এজেন্ট ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।


বিভিন্ন আমদানিকারকরা জানান, তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ট্রাক মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আগে বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের ভাড়া ছিল ১৮ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা। এখন থেকে সেই ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে ট্রাক সংকটে অনেকে আমদানি পণ্যের শুল্ক পরিশোধ করেও বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারছেন না।


ঢাকার কেরানীগঞ্জের রোজ ট্রেডিং নামের আমদানিকারক ফায়জুর রহমান বলেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্টিং কালি ভারত থেকে আসে। তার কয়েকটি পণ্যের চালান গত সপ্তাহে বেনাপোল বন্দরে এসেছে। ট্রাক ভাড়া করতে গেলে ভাড়া এক লাফে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি চাওয়া হয়। অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়ার কারণে তিনি পণ্য বেনাপোল বন্দর থেকে ফ্যাক্টরিতে নিতে পারছেন না।


একই কথা জানালেন ঢাকার মগবাজারের মাইশা ট্রেডিং নামের আমদানিকারক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়ায় আমদানি করা কেমিকেল ফ্যাক্টরিতে নিলে লাভ তো দূরে থাক, আসলও উঠবে না।

যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ উদ্দিন টিপু বলেন, গত মাসেও আমরা বেনাপোল থেকে যশোর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় ট্রাকে করে পণ্য এনেছি। কিন্তু এখন সেই ট্রাক ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১২ হাজার টাকা। এতে করে লোকসানের শিকার হতে হবে। কেননা প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্যের দাম বাড়ানো যায় না।

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, তেলের দাম বাড়লেতো ট্রাক ভাড়া বাড়বে। সেটি গত শনিবার থেকেই নেয়া হচ্ছে। বর্তমান বাড়তি তেলে কমপক্ষে একটি ট্রাকে ১০ হাজার টাকা তেল বেশি লাগবে। সে কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে।


বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুজ্জামান সনি বলেন, আগে বেনাপোল থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহনে প্রতি ট্রাকের ভাড়া ছিল সর্বনিম্ম ১৮ হাজার ও সর্বোচ্চ ২৩ হাজার টাকা। একই ট্রাকের ভাড়া এখন বেড়ে হয়েছে ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা। একইভাবে কাভার্ডভ্যানের ভাড়া ২৫ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এত বেশি ভাড়া দেওয়া সত্তেও ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মিলছে না। ফলে পণ্য পরিবহন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, পরিবহন সংকটের জন্য ট্রাক ভাড়া এখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। কাঁচাপণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। 


বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন স্বাভাবিক সময়ে সাড়ে ৩শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি ও আড়াইশ’ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। গেল ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এসব পণ্য ট্রাক বা কার্ভাডভ্যানে পরিবহন করা হয়। তেলের দাম বাড়ায় বেনাপোল থেকে ট্রাক ভাড়া ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বেড়েছে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের।


যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, জ্বালানি তেলের সাথে পরিবহনের সম্পর্ক। তেলের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে ট্রাকের ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শিল্পের উপর চাপ পড়বে। খরচ বেড়ে যাবে। যা ভোক্তার উপর গিয়ে পড়বে। ট্রাক ভাড়া বৃদ্ধির ফলে চিন্তিত হয়ে পড়েছে আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মালিক কর্তৃপক্ষ।


আরো পড়ুন:







ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু


ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক যুবক (৩০) মারা গেছেন।  


বুধবার সকালে (১০ আগষ্ট) পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান ট্টেনটি

ঠাকুরগাঁওয়ের রোড রেলস্টেশনে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 


তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।


রোড এলাকার স্টেশন মাস্টার আখতার হোসেন জানান,এখনো মৃত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।  



প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি আরও বলেন, দ্রুতযান এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন ওই যুবক। স্টেশনের প্লাটফর্মে ট্রেন থামার আগেই নামতে গেলে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই যুবক।


পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশকে দিয়েছেন। মরদেহ স্টেশনেই রয়েছে। আমরা রেলওয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছি। সদর থানা পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।


আরো পড়ুন:






কবে কমবে তেলের দাম,যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী 


আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছিল। গত এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমলেও এখন আর দাম কমাতে চাচ্ছেন না দেশের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। বলছেন, আজ দাম কমালে কাল যদি আবার বাড়ে?


ব্যবসায়ীরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন, ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করার পরই দাম সমন্বয় করা উচিৎ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের নেতৃত্বে গঠিত এ সংক্রান্ত কমিটি ভোজ্যতেলের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে কাজ করছে। 


বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভোজ্যতেল নিয়ে সারাদেশে একটা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দেশে এ পণ্যের বাজারের ৯০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে। ছয় মাস আগে প্রতিটন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ৭০০ ডলারে বিক্রি হলেও কিছুদিন আগে তা ১১৫০ ডলারে দাঁড়ায়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আবার কমতে শুরু করে।

ব্যবসায়ীদের দাবি রাখতে গিয়ে এ পণ্যের দাম কিভাবে সমন্বয় করা যায় সে বিষয়ে ভাবছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাম নির্ধারণের কমিটিকে বলা হয়েছে তারা যেন চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি মানসম্মত দামের তালিকা করে। অবশ্য কবে নাগাদ তালিকা দেবে তার সময়সীমা বেঁধে দেয়নি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, আজ একটা দাম নির্ধারণ করলে দুদিন পর আবার যদি দাম কমে তখন সমালোচনা হবে। সেজন্য প্রতিমাসে একটি সভা করে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবছে মন্ত্রণালয়।


এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সাতদিন পরেই কমেছে। এর জন্য প্রতিনিয়ত ফলোআপ রাখতে হয়। আজ যে পণ্যটা আমদানির জন্য বুক করা হয়, সেটা দেখা যায় আমাদের দেশে আসতে অনেক সময় তিন মাসও লেগে যায়। এসব বিষয়ে নজর রাখতে আমাদের কমিটি, ট্যারিফ কমিশন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটা পথ বের করবো।’


বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ‘বেড়েছিল শুধু তেলের দাম। আমদানির অন্যান্য খরচ বাড়েনি। সেইসব বিশ্লেষণের জন্যই কমিটি করা হয়েছে। কাজটা এক ঘণ্টায় করা সম্ভব নয়।’ 


উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে ভোজ্যতেল আমিদানিকারকরা দেশে সকল ব্রান্ডের ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতিলিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৪ টাকায়। কমিটি করার মধ্য দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মূলত ব্যবসায়ীদের আরও কিছুদিন বেশি দামে তেল বিক্রির সুযোগ করে দিলেন বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। 


রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ও মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা জানিয়েছেন, ‘চার হাজার ৬০০ টাকা মণ দরের সয়াবিন তেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে চার হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা তো মণপ্রতি ৫০০ টাকা লোকসান দিচ্ছি। এর কী হবে?’


অপরদিকে কারওরানবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আমরা যে দামে কিনি, সে অনুযায়ী বিক্রি করি। প্রতিলিটারে লাভ হয় দুই থেকে চার টাকা। এর বেশি নয়।’


জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারের রাজস্ব না কমিয়ে চার স্থানের শুল্কের পরিবর্তে একস্থানে নেওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। ভোজ্যতেলে তিন বা চার স্তরে যে শুল্ক, ভ্যাট, ট্যাক্স নেওয়া হয় সেটা এক জায়গা থেকে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এতে ব্যবসায়ীদের সময় বাঁচবে, হয়রানি কমবে।


তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করে এ শুল্ক এক জায়গায় হওয়া উচিত। সেটার জন্য আরও তৎপর হবো।


মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানোর বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পণ্যের হাত বদলের কারণে যেন বাজারে প্রভাব না পড়ে সেটা দেখতে হবে। বিশেষ করে, খোলা তেলের বিষয়ে। ৭০ থেকে ৭২ শতাংশ খোলা তেল, বাকিটা বোতলজাত। আরও বেশি বোতলজাত করা গেলে দামের হেরফের কম হবে। উৎপাদন পর্যায়ে ২ শতাংশ, তারপরের ধাপে ৩ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৭ শতাংশ লভ্যাংশের কথা আগে থেকেই ঠিক করা আছে।



আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget