Latest Post

 



পীরগঞ্জে কবর থেকে ১৯ মৃতদেহের কঙ্কাল চুরি! 

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে রাতের আধারে কবরস্থানের কবর খুরে ১৯টি মৃতদেহের 
১৯টি লাশের কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে উপজেলার পৌর-শহরের পীরডাঙ্গী গোরস্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। 


 কবরস্থানে মাটি দিতে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি আমার নানী শাশুড়ীর দাফন সম্পন্ন করার জন্য করবস্থানে আসি ৷ মাটি দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম একসাথে অনেকগুলো কাপড় পরে আছে। 
তিনি বলেন, ‘ প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলাম। পরে কয়েকজনকে ডাকলাম। তারা এলে কাছাকাছি গিয়ে দেখি সেখানে তোয়ালে, টাউজারসহ অনেকগুলো পোশাক পড়ে আছে আর কবরগুলোর বেড়া ভাঙা। ভেতরে গিয়ে দেখি ১৯টি কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়ে গেছে। 


স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কঙ্কাল চুরির পর হয়তো পোশাক পরিবর্তন করে এখান থেকে চলে যায়।


বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই খবরটি পাওয়া মাত্রই আমি গোরস্থান পরিদর্শনে করেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত  জানাতে কিছু সময় লাগবে।


আরো পড়ুন:



 



ঝিনাইগাতীতে চাঞ্চল্যকর মিম হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেপ্তার - র‍্যাবের প্রেস ব্রিফিং


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বস্তাবন্দি অবস্থায় পুকুরের পানি থেকে মিম আক্তার নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কামারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 


আজ বুধবার সকালে শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ র‍্যাব-১৪ সিপিসি-১ কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে নিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া এলাকার কালঘোষা নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। 


পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে ভিকটিমের গলায় উড়না পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মিমের লাশ বস্তাবন্দি করে পার্শ্ববর্তী সাঈদ মিয়ার পুকুরে নিয়ে ফেলে রাখে। র‍্যাবের নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি আল আমিনকে দ্রততম সময়ের মধ্যে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।


উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই রোববার বিকেলে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে বাকাকুড়া আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মিম আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা মমিন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‍্যাবে-১৪।


আরো পড়ুন:



 



এই ভোট আমার নিষ্পাপ শিশুটিকে কেড়ে নিল 


চিকিৎসাধীন স্বামীর বেডের পাশে বসে আহাজারি করছেন নিহত শিশুটির মা মিনারা বেগম। পুলিশের গুলিতে নিহত শিশু সুরাইয়া বেগমের মা মিনারা বেগমের কান্না থামছেই না। রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন স্বামীর বিছানার নিচে বসে অনবরত কান্না করছেন তিনি। আত্মীয়স্বজন কাউকে দেখলেই ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। পাগলের প্রলাপের মতো বলছেন, ‘আমার মা তো সকাল হলেই খেলাধুলা করত, ঘুরে বেড়াত। এ নির্বাচন আমার মাকে কেড়ে নিল। এই ভোট আমার নিষ্পাপ শিশুটিকে কেড়ে নিল।’ 



প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে মিনারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘নির্বাচন শেষে আমি ভাংবাড়ি ব্রিজের পাশের বাড়িতে আমার মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ব্রিজের কাছে খুব হট্টগোল শুরু হলে আমি আরেকটু সরে দাঁড়াই। এ সময় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সংঘর্ষে লেগে গেলে আমি একটি বাড়ির দরজায় গিয়ে দাঁড়াই। একপর্যায়ে পুলিশ গোলাগুলি শুরু করে। আচমকা একটি গুলি এসে আমার মেয়ে সুরাইয়া বেগমের মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি চিৎকার দিয়ে মেয়েকে নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। ঘটনাস্থলেই আমার মেয়ে মারা যায়।’ 


মিনারা বেগম আরও বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সুরাইয়া সবার ছোট। বড় মেয়ে সুমাইয়ার বয়স আট বছর। সে মীরডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ছেলে মেরাজুল ইসলাম সবার বড়। সে মীরডাঙ্গী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। আমরা মীরডাঙ্গী ঈদগাহ বস্তি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। মূলত আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। ভোট শেষে ফলাফল শুনে আসার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’ 



শিশুটির বাবা বাদশাহ জানান, ঘটনাস্থলে তিনিও ছিলেন। পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলির ভয়ে তিনি দৌড়ে পালান। একপর্যায়ে তিনি শুনতে পান তাঁর ছোট মেয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। পরে তিনি কাছে এসে দেখেন তাঁর মেয়ের মাথা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে মরদেহ পড়ে আছে। তা দেখে তিনি তাৎক্ষণিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। 


শিশুটির বাবা হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে প্রতিবেদককে বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উঠে সবার প্রথম আপনার সঙ্গেই কথা বলছি। আপনাকে বোঝাতে পারব না আমার ভেতরে কী হচ্ছে। এভাবে পুলিশ আমার শিশুটিকে গুলি করে মেরে দিল, আর তা আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখতে হলো। এ যেন অসহ্য যন্ত্রণা। বারবার মায়ের মুখ আমার চোখের সামনে ভাসছে। তাকে যে আমি ভুলতে পারছি না। কি করে যে আমার মিষ্টি মায়ের মুখখানা ভুলব তা ভাবতে পারছি না। আল্লাহ আমার মাকে যেন পরপারে সুখে রাখেন।’ 


উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে তালা প্রতীকের প্রার্থী বাবুল প্রার্থীকে ইউপি সদস্য হিসেবে জয়ী ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খতিবর রহমান। ফলাফল ঘোষণার পর মোরগ প্রতীকের প্রার্থী খালেদুর রহমান ও ফুটবল প্রার্থী আজাদ পুনরায় ভোটগণনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। এ সময় তাঁরা অনুরোধ রাখার আশ্বাস দিলেও হঠাৎ করেই নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে কেন্দ্র থেকে চলে আসতে চাইলে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁদের গাড়ি আটকে দেন। এ সময় পুলিশ প্রথমে টিয়ারশেল পরে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। সেই গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিশু সুরাইয়া। 


এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় পুলিশের একটি মাইক্রোসহ দুজন পুলিশকে বেধড়ক মারধর করেন উত্তেজিত জনতা। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহার নেতৃত্বে রানীশংকৈল থানার ওসিসহ দুই গাড়ি বিজিবি ও পুলিশ সদস্য গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন।


আরো পড়ুন:






বিষাক্ত বিস্কুট খেয়ে ১ মাদ্রাসা ছাত্র নিহত ৬জন অসুস্থ‍্য


যশোরর শার্শার নারায়নপুর আশরাফুল মাদারীস কওমী মাদ্রাসায় বিষাক্ত বিস্কুট খেয়ে মাহিন (১৩) নামে এক ছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এ মাদ্রাসার আরো ৬জন ছাত্র অসুস্থ‍্য হয়েছে। তাদের মধ্যে মামুনুর রশিদ (১০) নামে এক ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকালে শার্শার নারায়নপুর আশরাফুল মাদারীস কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নারায়নপুর আশরাফুল মাদারীস কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আনারুল ইসলাম জানান, ছাত্ররা দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। তারপর বিকালে এক ছাত্রের বাড়ী থেকে দেওয়া বিস্কুট খাওয়ার পরে ছত্ররা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎক মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষনা করে। আহতদের মধ্যে এক ছাত্রকে যশোরে ভর্তি করা হয়েছে।

ঐ মাদ্রাসার এক ছাত্রের দুলাভাই রাসেল আহমেদ (যিনি বিস্কুট কিনে দিয়ে ছিল) বলেন, বৃহষ্পতিবার বিকালে উপজেলার নাভারন বাজারের ফুটপথ খেকে ৫শ’ গ্রাম ওজনের দুই প্যাকেট বিস্কুট কিনে দিয়ে ছিলাম। শুক্রবার বিকালে সংবাদ পায় সেই বিস্কুট খেয়ে আমার শালাসহ সাতজন বাচ্ছা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তার মধ্যে একজন মারা গেছে। 

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিকালে কওমী মাদ্রাসার ৭জন ছাত্রকে অসুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে। এক ছাত্রের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সবাই ভালো আছে। 

এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত শিশুকে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।


আরো পড়ুন:



 



রাণীশংকৈলে পুলিশের গুলিতে মায়ের কোলে শিশু নিহত ! 


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অসমাপ্ত তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভি এফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থামাতে পুলিশের গুলিতে দেড় বছরের এক শিশু নিহত হয়।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকতা নূর-ই-আলম।



বুধবার (২৭ জুলাই) ভোট গণনা শেষে ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পুলিশের গাড়িতে নিয়ে আসার সময়  ভোট কেন্দ্রের ৩‘শ গজ দুরে কালুগাঁও মহেষপুর বেলবাজার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।


নিহত আশা (১৮ মাস) উপজেলার মিরডাঙ্গী গুচ্ছ গ্রাম বাজার এলাকার বাদশাহ মিয়ার মেয়ে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভি এফ নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ভোটের ফলাফল নিয়ে মেম্বার প্রার্থী জলিল-ফয়জুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। সে সময় শিশুটির মা দূর থেকে বিষয়টি দেখতে এগিয়ে গেলে মায়ের কোলে  থাকা ১৮  মাসের  শিশু আশা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। 


রানীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, পুলিশের গুলিতে একটি শিশু মারা গেছে। স্থানীয়রা ভোটের ফলাফল আনতে বাঁধা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। এ সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।


আরো পড়ুন:




হত্যা মামলায় রাণীশংকৈলের মাফিজুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর দণ্ডাদেশ!


ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মাফিজুল ইসলাম (৩২) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মো. মাফিজুল ইসলাম জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামের মৃত রিয়াজ আলীর ছেলে।


৮৩/২০১৫ নং মামলার একমাত্র আসামি মাফিজুল ইসলাম -এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে দণ্ডবিধি’র ৩০২ ধারায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্যানেল কোডের ৩০২ ধারায় বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তি মুত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং আসামিকে একই সাথে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত করেন জেলা দায়রা জজ।


এছাড়াও সুপ্রীম কোর্টের হাইকোট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে দণ্ডিত আসামি মাফিজুল ইসলামকে যতক্ষণ পর্যন্ত তার মৃত্যু না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করার জন্য নির্দেশ এবং জরিমানার অর্থ ভিকটিমের সন্তানদ্বয়কে প্রদান করার জন্য ও আসামি বরাবরে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ প্রদান করেন।


মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ২০১২ সালের (২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৭টা ৪৫ মিনিটে রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামে মো: দুলাল হোসেনের বাড়ির ভিতর আঙ্গিনায় তার স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগমসহ (২১) তার দুই সন্তানকে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ করে আসামি মাফিজুল ইসলাম বাড়িতে প্রবেশ করে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে জ্যোৎস্নাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এতে জ্যোৎস্না বেগম চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটে পড়লে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি।


এসময় দুলালের ছেলে মেয়ে ও তার চাচা-চাচির চিৎকারে আসামি ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।


ঘটনার দুই বছর আগে মাফিজুল ইসলাম জ্যোৎস্না বেগমের সাথে জোর পূর্বক প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক করার চেষ্টা করলে এলাকায় এই বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গুণিজন ব্যক্তি দ্বারা শালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মাফিজুল ইসলাম ১৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও প্রদান করেন। পরে আবার মাফিজুল ইসলাম দুলাল হোসেনের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগমের সাথে গোপনে গোপনে পুনরায় প্রেম ভালবাসার চেষ্টা করলে তা প্রত্যাখান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ও পরিকল্পিত ভাবে জ্যোৎস্নাকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করে।


এ ঘটনায় বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় দুলাল হোসেন মাফিজুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেন (২ সেপ্টেম্বর) ২০১২ ইং তারিখে। পরে তৎকালীন রাণীশংকৈল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. রেজাউল আলম মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন (৩১ মে) ২০১৩ সালে আদালতে জমা দেন।


রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর প্রতি যেকোন ধরনের সহিংসতা বন্ধে এটি একটি যুগান্তকারী রায়। আদালত ৮৩/২০১৫ নং মামলায় একমাত্র আসামি মাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ও সন্তোষজনকরুপে প্রমাণিত হওয়ায় প্যানাল কোডের ৩০২ ধারার বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত এবং একই সাথে ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেছেন।


আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget