Latest Post

 



পদ্মা সেতু হওয়াতে বিএনপি খুশি হননি- তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী 

আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধের পর মানুষের মধ্যে যে আনন্দ-উল্লাস ছিল, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের পথচলায় বাঙালি যেন আজ আবার সেই একইরকম আনন্দ-উল্লাস করছে।'

আজ শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ছোট বেলায় ঈদের চাঁদ দেখে আনন্দটা যেমন অনুভব করতাম, আজ ঠিক সেই চাঁদ দেখার চেয়েও বেশি আনন্দ লাগছে। সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

'বাঙালি হার না মানা জাতি' উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যে হার মানি না, সমস্ত ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা দেখিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাও দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তার নেতৃত্বে বাঙালি মাথা নত করে না, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে বাঙালি মাথা উঁচু করেই চলতে পারে, সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।'

বিএনপি প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দন জানালেও বিএনপি অভিনন্দন জানাতে পারেনি, যা দুঃখজনক। সারাদেশের মানুষ পদ্মা সেতু হওয়াতে খুশি হলেও বিএনপি খুশি হয়নি।

আরো পড়ুন:


 



মৃত্যু উপত্যকা রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে ২০ হাজার মানুষ


বিগত ২০১৭ সালে সংঘটিত রাঙ্গুনিয়ার পাহাড় ধস ট্রাজেডি আজও কাঁদায় সেই ইসলামপুর ও দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মানুষকে। ১ বছরেই পাহাড় ধসে মাটিচাপায় মারা গিয়েছে নারী, শিশুসহ ১২৫ জন মানুষ। কিন্তু আজও কমেনি পাহাড়ের পাদদেশে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। কেবল দুর্ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসন কিছুটা তৎপর হয়ে পাহাড়-টিলার পাশে বসবাস না করার জন্য এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেও পরে চুপসে যায়। নেওয়া হয় না ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্র সরানোর কোন উদ্যোগ।

চলতি মৌসুমের গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। 'মৃত্যুর ফাঁদ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের জন্য। কিন্তু পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা নেই। এ যেন আরেকটি 'পাহাড় ধস' ট্রাজেডির অপেক্ষা করছে সবাই।


তবে গত শনিবার (১৮ জুন) উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের  পক্ষ থেকে কিছু কিছু পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসতে মাইকিং করা হলেও প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের টনক নড়েনি এখনো।  


জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৯ হাজার একর ও উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ১৫ হাজার একরবনভূমি (পাহাড়) রয়েছে। এসব পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ। সবাই সেখানে পাহাড় কেটে বসতি গড়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বসবাস করছে, পৌরসভার ইছাখালীর গুচ্ছগ্রাম, জাকিরাবাদ, কাদের নগর, নোয়াগাঁও সহ উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কমিউনিটি সেন্টার, জঙ্গল বেতাগী, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ১নং রাজানগরের সুগারমিল এলাকার রিজার্ভ পাড়া, একাই ইউনিয়নের বগাবিলি এলাকার ১নং ওয়ার্ড ও ৩নং ওয়ার্ড, ১৪নং দক্ষিণ রাজানগরের মোহাম্মদপুর, বাইশ্যাের ডেবা, লেলিঙার টিলা, ১৩নং ইসলামপুরের মঘাইছড়ি, রইস্যাবিল, ১৫ নং লালানগরের চাঁদের টিলা, ছনখোলা বিল, পেইট্ট্যাঘোনা, আগুনিয়া চা বাগান, ২নং হোসনাবাদের নিশ্চিন্তাপুর, ফকিরারটিলা, ফুইট্ট্যােগোদা, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বনগ্রাম, পোমরা, কোদালা, পারুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পারুয়া, সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নের একাধিক পাহাড়সহ ৩০-৩৫টি এলাকায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এসব পাহাড়ি এলাকার অধিকাংশই বন বিভাগের রক্ষিত ও সংরক্ষিত বনভূমি। 


তবে স্থানীয়দের ভাষ্য, বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধভাবে অসংখ্য বসতঘর গড়ে উঠেছে। যার অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করেছে পাহাড় কেটে। আর এসব ঘরে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। 

আর বর্ষা মৌসুমে এলেই প্রশাসন অনেকটা মাইকিং করে দায়সারাগোছের প্রচার চালায়। কিন্তু ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরানোর কার্যকরী পদক্ষেপ ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়না। একই সাথে ২০১৭ সালের মতো আরেকটি পাহাড়ধস ট্রাজেডি ঘটার আগেই শুধুমাত্র মাইকিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কঠোর অভিযান চালিয়ে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান সচেতন মহল। 


এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতী রেঞ্জ কর্মকর্তা খশরুল আমিন বলেন, ‘বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু বসবাসকারীরা তাতে কর্ণপাত করছে না। উচ্ছেদ করার পরও আবার বসতি গড়ছে। তবে লোকবলের অভাবে রেঞ্জের একার পক্ষে এ কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।’


রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী বলেন, 'পাহাড়ে ঝুঁকিতে বাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌর মেয়রসহ উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে স্ব-স্ব ইউনিয়নে মাইকিং করে সতর্ক করতে বলা হয়েছে। চলতি সাপ্তাহে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় কাটাসহ ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে অভিযান চালানো হবে।'


উল্লেখ্য, রাঙ্গুনিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ১৩ জুন। ওই দিন ভোরে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মগাইছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় অকালে ঝরে পড়েছিল দুই পরিবারের ২২ জনের প্রাণ। 

একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে এক শিশু সহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২ শতাধিক বসতঘর মাটি চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পাহাড় ধসে মৃত্যুর এ মিছিল দীর্ঘ হলেও পাহাড় থেকে সরানো যাচ্ছে না বসবাসকারিদের।


আরো পড়ুন:


 



পদ্মা সেতু উদ্বোধন: জনসভায় মানুষের স্রোত

পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে মানুষ। জনসভায় এরই মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ। আজ শনিবার (২৫শে জুন) ভোর পৌনে ৬টায় থেকেই জনসভাস্থল মানুষের পদচারণায় মুখরিত হতে শুরু করে।


জনসভায় বিভিন্ন ধরণের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রবেশ করছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। নানা স্লোগানে মুখরিত জনসভাস্থল। পদ্মার কূল ঘেঁষে আয়োজিত এই জনসভায় এরই মধ্যে লাখো মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।


পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদারীপুরের শিবচরে কাঠালবাড়িতে আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন। জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিবেন তিনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সাক্ষী হতে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের মানুষ।


খুলনার দাকোপ থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় রওনা হয়েছিলেন মোস্তফা মোল্লা। আজ শনিবার ভোরে তিনি পৌঁছেছেন মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িতে। সেখানে আজ দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে হবে সমাবেশ। সেই সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ জড়ো হওয়ার কথা আছে। কিন্তু ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে নেমেছে মানুষের ঢল। দক্ষিণের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ আসছেন সমাবেশস্থলে। সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়ল এ দৃশ্য। নানা রঙের টি–শার্ট তাঁদের গায়ে। ঢোল-ঢাক-বাঁশি বাজিয়ে আসছেন তাঁরা। নাচতে নাচতে আসছেন, মিছিল করতে করতে আসছেন তাঁরা। অনেকের হাতে ব্যানার, ফেস্টুন।


এমন আরেকজন খুলনার পাইকগাছার বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক। গতকাল বিকেলে রওনা হয়েছিলেন বাড়ি থেকে। আজ ভোরে এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আসতে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ কষ্ট আনন্দের।’

আজ ২৫ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে ভাষণ শেষে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। অমনি খুলে যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের জন্য সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার।


৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু। মাওয়া থেকে জাজিরা। পদ্মা সেতু সড়ক, রেল, গ্যাস, বিদ্যুতের সংযোগ ঘটাবে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের। নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে আছে সংযোগ সড়ক, রেল সংযোগ, নদীশাসন, পুনর্বাসন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা—নানা প্রকল্প ও কর্মকাণ্ড।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ জুনের সংবাদ সম্মেলনে জানান, পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২১ জুন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৭৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা।


আরো পড়ুন:


 


শুশুর-শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ জামাইর বিরুদ্ধে ! 

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে স্ত্রীকে  মারধরের  পরে শশুর-শাশুড়িকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামাই'র পরিবারের বিরুদ্ধে। জানা গেছে গত শনিবার (১৮ জুন) রাতে এন্তাজুল হক তার স্ত্রী আরজিনাকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেধরক মারধর করেন।

রবিবার সকালে  স্ত্রী আরজিনা বাবা ও মাকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে জামাই এন্তাজুল।শুশুর শ্বাশুড়ি জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে তার কাছে  ডেকে আনার ঘটনা জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাদেরকে আটকে রেখে জামাইসহ তার ভাই ভাতিজারা  তাদের মারধর করে।

বর্তমানে এন্তাজুলের স্ত্রী আরজিনা বেগম, শশুর আজহারুল ইসমাল, শ্বাশুড়ি লাকী বেগম গুরুতর আহত অবস্থায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

শশুর আজহারুল ইসলাম জানান তার পকেট থেকে চৌদ্দ হাজার পাঁচশত টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তার জামাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।অভিযুক্ত জামাই এন্তাজুল হক পীরগঞ্জউপজেলার ১০নং জাবরহাট ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের মুনিরদ্দিনের ছেলে। 

জামাই এন্তাজুলের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে একাধিকার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পীরগঞ্জথানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। 


আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


পদ্মা সেতু উদ্বোধনের টাকা ক্ষতিগ্রস্থদেরকে দিন : মোমিন মেহেদী

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বিচক্ষণ নেত্রী, দয়া করে আড়ম্বরপূর্ণ উৎসব না করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের টাকা ক্ষতিগ্রস্থদেরকে দিন; সাধারণভাবে উৎসব আর অসাধারণভাবে বন্যাক্রান্তদেরকে সহায়তা করলেই ইতিহাসে স্মরণিয় হয়ে থাকবেন আপনি, বলেছেন নতুনধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড়ে ‘বন্যাক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান’ শীর্ষক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, বন্যাক্রান্ত ১৪টি জেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ সহায়তার আশায় পথ চেয়ে আছে, তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে যদি কোটি কোটি টাকা খরচ করে আড়ম্বরপূর্ণ উৎসব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার করে, তাহলে বুঝে নিতে হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের রাজনীতি তারা করছে না। তাদের রাজনীতি দুর্নীতির রাজনীতি, তাদের রাজনীতি কেবল লোভ মোহের রাজনীতি।

অতীতের সকল সরকারের মতো করে এই সরকারও যদি দুর্নীতি করে আবার সেই দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গায় তাহলে বুঝে নিতে হবে বাংলাদেশের রাজনীতি-অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়া করে হলেও মন্ত্রী-এমপি-জনপ্রতিনিধিরা তাদের আখের গোছানোর রাস্তাতেই হাঁটছে। যা শুধুমাত্র রাজনীতি পরিপন্থিই না; ধর্ম-মানবতা-সমাজ-সভ্যতারও পরিপন্থি।

তিনি আরো বলেন, এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নতুনধারার রাজনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশের রিমোট এরিয়া থেকে শুরু করে সকল স্তরে রাজনৈতিক ঐক্যবদ্ধতায় অগ্রসর হতে হবে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির রাজনীতিকদের।

এসময় প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষকবন্ধু আবদুল মান্নান আজাদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, সদস্য শেখ লিজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:


 চট্রগ্রাম-কলকাতা গ্রীন লাইন পরিবহন থেকে ১০ পিস সোনারবার উদ্ধার 




চট্রগ্রাম-কলকাতা কাটা সার্ভিস গ্রীন লাইন পরিবহনের সিটের নীচে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০ পিস সোনারবার উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা।

এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি তারা। স্বর্ন জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে বাসটি বেনাপোল চেকপোস্ট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসলে বিজিবি সদস্যরা তল্লাশি করে সোনার বারগুলো উদ্ধার করে।



যশোর-৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি চট্রগ্রাম থেকে গ্রীন লাইনের একটি পরিবহন বেনাপোলের উদ্দেশ্য আসছে। এই বাসে করে সোনার একটি চালান ভারতে পাচার করার জন্য আনা হচ্ছে। 

এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে বাসটি বেনাপোল চেকপোস্ট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসলে তল্লাশি করে সিটের নীচ থেকে ১০ টি সোনার বার পাওয়া যায়। এ সময় স্বর্নের কোন মালিক সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।


আরো পড়ুন:


 


সিলেট, সুনামগঞ্জে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ, 

বাংলাদেশের উত্তর পূর্বে সিলেট সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।এই দুই জেলায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসনের হিসাবে বলা হচ্ছে।বন্যার পানিতে তলিয়ে সুনামগঞ্জ শহর পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে সিলেট এবং সুনামগঞ্জের আটটি উপজেলায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।


দেশটির আরও কয়েকটি জলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সারা দেশে ১৯শে জুন থেকে শুরু হওয়া স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।ঘরবাড়ি পানির নিচে। চারপাশে অথৈই পানিতে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও উপায় নেই বলছেন স্থানীয় মানুষজন।সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার একটি ইউনিয়নের সাবেক একজন চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন বন্যার পানির কারণে পরিবারসহ তার বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, পানি নেই এমন এক ইঞ্চি জায়গা এখন মিলবে না সুনামগঞ্জ জেলায়।

"আমাদের এলাকায় প্রতিটা ঘরবাড়ি পানির নিচে। কোন কোন ঘরবাড়ির চালের ওপর দিয়ে পানি যাচ্ছে।"মানুষের একটু আশ্রয় নেয়ার জায়গাও নাই। মানুষকে দ্রুত উদ্ধার করা না হলে লাশের মিছিল দেখা যাবে," মন্তব্য মুরাদ হোসেনের।তিনি পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, গবাদিপশু, হাঁস মুরগি সব পানিতে ভেসে যাচ্ছে।সুনামগঞ্জে দু'টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করছে না।


অন্যদিকে সুনামগঞ্জ শহর পানিতে ডুবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো দেশ থেকে।

সেখানকার জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের বিষয়কে এখন তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।তিনি আরও জানিয়েছেন, "ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১২ ঘন্টাতেই সুনামগঞ্জে চার ফুট পানি বেড়ে যায়।"জেলা শহরের সব রাস্তায় পানি। কোথাও বুক সমান পানি এবং কোথাও তার চেয়েও বেশি পানি। সুনামগঞ্জের সাথে যোগাযোগের হাইওয়েগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে," বলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন।


বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেছেন, উদ্ধার করে আনা মানুষের জন্য তার কার্যালয় সহ সরকারি সব অফিস এবং বেসরকারি অনেক ভবনে দোতলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।সিলেটেও বন্যার পানি হু হু করে বাড়ছেজেলা শহরটিতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে পানি চলে আসায় ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।

সিলেট শহর থেকে একজন সমাজকর্মী শাহ শাহেদা বেলা বলেছেন, আকস্মিক বন্যা এবং তার ভয়াবহতায় তাদের জীবনযাত্রা থমকে গেছে।সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে পাঁচ সন্তান এবং দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে বন্যার পানিতে আটকে পড়েছেন সালমা বেগম।


কয়েকদিন ধরে খাবার না থাকলেও তিনি এখন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারবেন কিনা-সেটাই তার কাছে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, "বর্তমানে পানির মধ্যে ভাসতেছি। একেবারে ঘরের চাল পর্যন্ত পানি। এখান থেকে বাঁচতে চাই।"কোম্পানিগঞ্জ থেকে একজন সাংবাদিক মোহাম্মদ কবির জানিয়েছেন, বন্যায় যত মানুষ আটকা পড়েছে, তাদের উদ্ধারে পর্যাপ্ত নৌকা নেই। 

সেজন্য বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না।"রাস্তাঘাট সব জায়গায় এতটাই পানি যে নৌকা ছাড়া অন্য কোন উপায়ে চলাচল করা সম্ভব নয়। ফলে নিরাপদ জায়গায় যেতে না পেরে অনেক মানুষ ঘরের চালের ওপরও আশ্রয় নিয়েছে," বলেন মোহাম্মদ কবির।সুনামগঞ্জের পাঁচটি এবং সিলেটের তিনটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ছয়শো সদস্য মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন।


আরো পড়ুন:

Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget