Latest Post

 ফেনীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার

Two drug dealers were arrested in a raid by DB police in Feni


ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পৃথক ২টি  অভিযানে ওমর ফারুক সাফওয়ান(২০) ও মোঃ আবুল হাছান(২৩) নামে দুই মহান কারবারিকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৩০ বোতল স্কফ সিরাফ ও ১০০ পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।


গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুক সাফওয়ান কুমিল্লা কোতুয়ালী থানার সাহাপুর নোয়াপাড়া'র মোস্তফা কামালের ছেলে ও মোঃ আবুল হাছান নোয়াখালীর সুধারাম থানার শাহাজাদপুরের আবুল কাশেমের ছেলে। 


পুলিশ সূত্র জানা গেছে ফেনী সদরে অবস্থিত স্টার লাইন ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন ইমাম মার্কেটের সামনে সামনে অভিযান চালিয়ে ওমর ফারুক সাফওয়ানকে ৩০ বোতল স্কফ সিরাফ সহ গ্রেফতার করে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এর আগে ফেনীর দাউদপোলস্থ কড়ইগাছ সংলগ্ন জৈনক কাজী তৌহিদুল ইসলামের মুদি দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে মোঃ আবুল হাছানকে ১০০ পিস ইয়াবা টেবলেট সহ গ্রেফতার করা হয়। 


জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এসআই মোঃ কুতুবউদ্দিন, মো: সোহেল কামাল,

এএসআই রুবেল মাহমুদ, এবিএম আশিকুর রহমান, মোঃ ইমাম উদ্দিন রাজু ও সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় পৃথক ২টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩০ বোতল স্কফ সিরাফ ও ১০০ পিস ইয়াবা টেবলেট সহ  দুইজনকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে ফেনী  মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে এই সংক্রান্তে ফেনী সদর মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়।


আরো পড়ুন:



 ভাষা সৈনিক এ্যাড. দবিরুল ইসলামের জন্মশতবার্ষিকী

Language Soldier Ad. Birth centenary of Dabirul Islam



বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ভাষা সৈনিক এ্যাড. দবিরুল ইসলামের জন্মশতবার্ষিকী আজ।


আজ রোববার (১৩ মার্চ) শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।


১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর স্বাধীকার আন্দোলনে পাকিস্তানি শাসকদের রোষানলে পরে ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত দবিরুল ইসলাম। তিনি সর্ব প্রথম ছাত্রনেতা হিসেবে জেলখানায় বন্দি হন।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রামে ঠাকুরগাঁওয়ের দবিরুল ইসলাম বারবার কারারুদ্ধ হয়ে নির্যাতনের শিকারে অকালেই প্রাণ হারিয়েছেন।


বাংলা ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রাখা দবিরুল ইসলাম তখন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহপাঠি।


১৯৪৯ থেকে ৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্বপাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জেলা সুদুর ঠাকুরগাঁওয়ে সেই সময় মাতৃভাষা সংগ্রামের সাথে জড়িত ছিলেন দবিরুল ইসলাম।


১৯৪৯ সালে ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা হলে নিজ জেলায় চলে আসেন দবিরুল ইসলাম। ওই বছরের ১৩ মার্চ পূর্ববঙ্গ বিশেষ ক্ষমতা অর্ডিন্যান্স বলে গ্রেফতার করে দবিরুল ইসলামকে। দিনাজপুর কারাগারে কারারুদ্ধ হন তিনি। কারা কর্তৃপক্ষ সরকারি মুসলিমলীগ কর্তাদের ইঙ্গিতেই দবিরুল ইসলামের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এ সংবাদ শুনে দবিরুল ইসলামকে দেখতে দিনাজপুর ছুটে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু তখন ১৪৪ ধারা জারি থাকায় বঙ্গবন্ধু তাঁর সাথে দেখা করতে পারেনি।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

এর পর ৫২ ভাষা আন্দোলনে এ্যাড. দবিরুল ইসলাম তৎকালীন দিনাজপুর জেলায় আসেন আইন পেশায়। তখন রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবিতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সক্রিয় ভাবে ভুমিকা পালন করায় তৎকালীন সরকার দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করে রাখেন। সেই সময়ও তিনি নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৯৬১ সালের ১৩ জানুয়ারি অকালে ঝরে পড়েন দবিরুল ইসলাম।


১৯৫৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে এ্যাড. দবিরুল ইসলাম যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে এমএলএ নির্বাচিত হন। তিনি বৃহত্তর দিনাজপুরের তৎকালীন ঠাকুরগাঁও মহকুমার বালিয়াাডাঙ্গী থানার পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের ১৯২২ সালে ১৩ মার্চ এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।


 এ্যাড. দবিরুল ইসলামের ছোট ছেলে মো: আহসান উল্ল্যাহ ফিলিপের উদ্যোগে শহরে পোষ্টার ও ফেসটুন টাঙ্গানো হয়। অপরদিকে সোমবার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে সকালে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও এ্যাড. দবিরুল ইসলামের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।


আরো পড়ুন:

 ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে

Rape of a schoolgirl at Ranishankail in Thakurgaon


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারে গড়িমসির অভিযোগ এনে এবার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।


রোববার দুপুরে উপজেলার বন্দর ও শিবদীঘি মোড়ে সম্মিলিত ছাত্রজোট ও সম্মিলিত অভিভাবক মহলের ব্যানারে ঘণ্টাব্যপী আন্দোলন করে তারা।


আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছি আমরা। মামলার এতদিনেও কেন পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি আমরা তার জবাব চাই। তা না হলে আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে না পাঠানো হবে এবং ন্যায়বিচার করা হবে আমাদের আন্দোলন চলবে। এসময় আন্দোলনকারীরা তৌহিদুলের গ্রেফতারের  ৬ ঘন্টা সময় বেধে দেন পুলিশকে। 


পরে ইউএনও কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন তারা। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে এসে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী শাহরিয়ার এসময় তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা খুব শিঘ্রই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু বিচার হবে।

আরো পড়ুন: রাণীশংকৈলে শিক্ষকের বাসায় শিক্ষার্থীর অনশন; অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন! 

ইউএনও জুলকার নাইন কবির স্টিভ থানার ওসি এসএম জাহিদ ইকবালের বরাতে বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করা হবে। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী অয়ন প্রিতম, মাহিদ,বর্ষা, তাবাসসুম ও সুমি আক্তার জানান, আমাদের সহপাঠীর সঙ্গে যে অন্যায় অবিচার হয়েছে তার সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আজ ধরে এক সপ্তাহ হয়ে গেলো এখনো কোন সমাধান হয়নি। আমরা চরিত্রহীন শিক্ষকের কঠিন শাস্তি চাই। যাতে তার শাস্তি দেখে  আর কোন শিক্ষক ভুল করেও শিক্ষার্থীদের দিকে কু-নজরে না তাকায়। লম্পট তৌহিদুল গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থী


জানা যায়, রাণীশংকৈল উপজেলার সহোদর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে পাইলট হাইস্কুলের কম্পিউটার অপারেটর

শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম পৌর শহরের ভান্ডারা মহল্লার ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের প্রলভোনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ঘটনা জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা তৌহিদুলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন।


তৌহিদুল ১৫ লাখ টাকার যৌতুক চেয়ে বিয়ে করতে চান। ওই ছাত্রীর বাবা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন গত ৩ মার্চ ওই শিক্ষার্থীকে তৌহিদুলের বাড়িতে রেখে আসেন। ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নিলে তৌহিদুল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরদিন ৪ মার্চ তড়িঘড়ি করে প্বার্শবর্তী উপজেলা হরিপুরে বিয়ে করেন।


এতে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা গত ৫ মার্চ তৌহিদুলের বিচার চেয়ে পৌরশহরে মানববন্ধন করেন। ওইদিনই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। সেইসঙ্গে ইউএনও এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।


অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয় বলে নিশ্চিত করেন রানীশংকৈল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ সেখ। 


গত শনিবার (৫ মার্চ) ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে রাজপথে নামেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল রাস্তা অবরোধ করেন তারা।


৭ই মার্চ আবারো পৌর শহরের  প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিবদিঘী যাত্রী ছাউনী মোড়ে রাস্তা অবরোধ  করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের নানা শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

অন্যদিকে তৌহিদুলের গ্রেফতারের দাবিতে ফের রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে রাজপথে নামেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা সড়ক অবরোধ করে। 


অভিযুক্ত কম্পিউটার অপারেটর শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। 


এ প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে ঘটনা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সহকারী পুলিশ সুপার (রাণীশংকৈল সার্কেল) মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আমারা ভিকটিম কে আমাদের হেফাজতে নিয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।


এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, এর আগে শিক্ষার্থীরা আমাকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। তৌহিদুলের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশকে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো পড়ুন:


 ইউক্রেনের সাড়ে ৩ হাজার সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়েছে রাশিয়া

Russia demolishes 3,500 Ukrainian military installations


ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির তিন হাজার ৫৯৩টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী।


স্থানীয় সময় শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আনাদোলুর।


এর মধ্যে শনিবার একদিনেই একটি এমআই-২৪ হেলিকপ্টার ও তিনটি অত্যাধুনিক চালকবিহীন অ্যারিয়াল সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়া।

আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)

রুশ এ সামরিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত তিন হাজার ৫৯৩টি সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি রুশ সেনারা ইউক্রেনের এক হাজার ১৫৯টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান, ১১৮টি রকেট নিক্ষেপ ব্যবস্থা, ৪৩৬টি কামান ও মর্টার, ৯৭৩টি বিশেষ সামরিক যান এবং ৬১টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে।


জাতিসংঘের হিসেবে রুশ হামলায় ইউক্রেনে এ পর্যন্ত ৫৬৪ বেসামরিক লোক নিহত এবং ৯৮২ জন আহত হয়েছেন।


রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের ১৩০০ সেনা নিহত

রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের প্রায় ১৩০০ সেনা নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আজ শনিবার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাশিয়ার সেনারা রণে ভঙ্গ দিয়ে আত্মসমর্পণ করছেন। গতকাল শুক্রবারও ৫০০–৬০০ রুশ সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন। খবর বিবিসি ও আল–জাজিরার।


 রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনজুড়ে সামরিক ঘাঁটিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছেন রুশ সেনারা। জবাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে ইউক্রেন বাহিনী।


রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দুই দিনের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাঁদের ভাষ্যমতে, প্রতিরোধসহ নানা কৌশলের মাধ্যমে রুশ সেনাদের অগ্রগতি ধীর করে দিতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন বাহিনী।


রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের সেনা সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানি হচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে অন্তত ১ হাজার ৫৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬৪ জন। হতাহতের এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মনে করে জাতিসংঘ।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বের সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে রাশিয়া। হামলার ১৩ দিনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭৭৮টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর আগে দেশটির বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭৫৪টি নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।


প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের পাশাপাশি রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ব্যবস্থা সুইফট থেকে দেশটির কয়েকটি ব্যাংককে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রসহ ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের আকাশসীমায় রাশিয়ার উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 ইসরাইল নিয়ে ‘দুইরকম’ বক্তব্য দিল ইউক্রেন

Ukraine has two views on Israel


ইসরাইল নিয়ে ইউক্রেন সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট  জেলেনস্কির উপদেষ্টা ‘দুইরকম’ বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বার্তা সংস্থা আল জাজিরা শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 


ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়াকে সন্তুষ্ট রাখতে ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিচ্ছে ইসরাইল।  এমন অভিযোগ করেছেন ইউক্রেন সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা।


তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলাইক।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

টুইটারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের আস্থাভাজন এ উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মতো ইসরাইল ইউক্রেনকে রাশিয়ার প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য কোনো চাপ দেয়নি। সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে এটি অসম্ভব। 


নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউক্রেনের ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা  দাবি করেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ইউক্রেনকে প্রস্তাব দিয়েছে তারা যেন রাশিয়ার প্রস্তাব বা দাবিগুলো মেনে নেয়। 


 

গণমাধ্যম মিডলইস্ট আই তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে খুশি করতে তার দাবি মোতাবেক ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দিচ্ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। 

আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)

ওই কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, আসলে মধ্যস্ততার কথা বলে ইসরাইল ফায়দা তুলে নিতে চাইছে। সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর চাপ থেকে বাঁচতে গোপনে পুতিনের সঙ্গে এ আঁতাত করেছে বলে অভিযোগ করছে ইউক্রেন।


তিনি আরও বলেন, মধ্যস্থতার নামে রাশিয়ার পরামর্শে ইউক্রেনের ক্ষতি করতে চাচ্ছে ইসরাইল। আমাদের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইসরাইলের মতো মধ্যস্ততাকারী চান না।


সূত্র: আল জাজিরা


আরো পড়ুন:


 সারাদেশে নাপা সিরাপ পরীক্ষার নির্দেশ

Napa syrup test instructions across the country


ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে নাপা সিরাপ খেয়ে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সারাদেশ থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এর (প্যারাসিটামল ১২০ মি. গ্রাম/৫ মি. গ্রাম, ব্যাচ নম্বার ৩২১১৩১২১, উৎপাদন তারিখ ১২/২০২১, মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ১১/২০২৩) উৎপাদিত নাপা সিরাপের নমুনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।


বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কর্মরত সব কর্মকর্তাকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে এই নির্দিষ্ট ব্যাচের নাপা সিরাপের নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য কেন্দ্রীয় ঔষধ পরীক্ষারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

শনিবার (১২ মার্চ) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক জরুরি অফিস আদেশে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।


ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে অদিপ্তর। সারাদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনার পাশাপাশি দুজন পরিচালকের নেতৃত্বে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, একটি কমিটি আশুগঞ্জের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। আরেকটি কমিটি গাজীপুরে বেক্সিমকোর ওষুধ কারখানা পরিদর্শন করে নির্দিষ্ট ব্যাচের উৎপাদিত ওষুধ কী অবস্থায় রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।

আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে নাপা সিরাপ খেয়ে ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।


দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্যারাসিটামল ‘নাপা সিরাপ’ বিক্রি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।


আরো পড়ুন:

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget