Latest Post

এস এম নূর মোহাম্মদ: রাজধানীর ১৬ এলাকার পানি বেশি দূষিত বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। সোমবার (১৩ মে) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চকে এ তথ্য জানান তিনি।
এলকাগুলো হচ্ছে রাজধানীর জুরাইন, দনিয়া, শ্যামপুর, উত্তরা- ৪ নম্বর সেক্টর, লালবাগ, রাজার দেউরি, মালিবাগ, মাদারটেক, বনশ্রী, গোড়ান, রায়সাহেব বাজার, মোহাম্মদপুর বসিলা, মিরপুরের পল্লবী, কাজীপাড়া ও সদরঘাট।

এদিকে নির্দেশ অনুসারে ঢাকা ওয়াসার কোন কোন এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা নির্ধারন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আগামী বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আজ ঢাকা ওয়াসার অনিরাপদ পানি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ ছিলো। কিন্তু ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।
তখন আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা ওয়াসার ১১টি পানির জোন রয়েছে। প্রত্যেকটি থেকে ২ বোতল পানি নিয়েই তো করা যায়। কিন্তু কোন কথাই শুনছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
শুনানিকালে আদালত রিটকারী আইনজীবীর কাছে অনিরাপদ পানি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বেশ কিছু প্রতিবেদন আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়। ওসব প্রতিবেদনে ঢাকার ১৬ এলাকার ওয়াসার পানি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী বলে তথ্য উঠে আসে।
এরপর পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন ওয়াসার পক্ষ থেকে খরচ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে ৭ দিন সময় চাওয়া হয়।
(amadershomoy)

আল-আমিন : কোনো ধরনের বেতন-ভাতা ও পারিশ্রমিক ছাড়াই তারাবির নামাজ পড়াচ্ছেন ফেনীর এত্যিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামেয়া রশিদিয়া মাদ্রাসার ১৩’শ হাফেজ। তারা সবাই এ মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, রমজান মাস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও ফেনীর ও আশপাশের জেলার ৬ শতাধিক মসজিদে কোনো রকম বেতন-ভাতা ছাড়া, বিনামূল্যে খতমে তারাবির নামাজ পড়াচ্ছেন ফেনীর জামেয়া রশীদিয়া মাদ্রাসার ১৩’শ হাফেজ শিক্ষার্থী।

মুফতি শহীদুল্লাহ আরো বলেন, ছাত্ররা তাদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে খতম তারাবির নামাজ পড়ায়। ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীও চাঁদপুরে অবস্থিত প্রায় ৬ শতাধিক মসজিদে (প্রতি মসজিদে ২ জন করে) প্রায় ১৩’শ জন হাফেজ নির্ভুলভাবে নামাজ পড়ান। (সূত্র : বাংলানিউজ)
মাদ্রাসাটির শিক্ষক মাওলানা আবদুল হাই জানান, ফেনী সদর উপজেলার লস্করহাট জামেয়া রশিদীয়া মাদ্রাসা ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৭ একর এলাকায় অবস্থিত এ মাদ্রাসাটির মোট ছাত্র ৪ হাজার ৮’শ ১৫ জন, এর মধ্যে আবাসিক ছাত্র ৩ হাজার ৯’শ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১’শ ১৫ জন, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১৬ জন, বাবুর্চি ২১ জন। কেউ অর্থের বিনিময়ে খতম তারাবির নামাজ পড়ালে তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নামাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে এ সেবা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
(amadershomoy)

লিউনা হক: জীবনে প্রথম বেতন পাওয়ার খুশিতে তিনটি ১০০ রুপীর নোট উড়িয়ে দুরন্ত বেগে ছুটে চলছে ১৬ বছর বয়সী নিশা। তীব্র তাপদাহের কারণে ভারতের নির্বাচনে এই প্রথমবারের মতো অসমর্থ ও বয়স্ক ভোটারদের ভোটদানে সহযোগিতা করার কাজে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘন্টা কাজ করে ৩০০ রুপী আয় করছে ভারতের স্কুল শিক্ষার্থীরা। হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি

নতুন দিল্লির নির্বাচনকেন্দ্রের নির্মান ভবনের দুইটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জন্য অপেক্ষার সময় নিশা বলেন, ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে শুরু করে গাড়িতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত কিছু দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহযোগিতার কাজে নিয়োজিত আমি। অনেক বয়স্ক নাগরিক এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে আমাকে আশীর্বাদ করেন।এই প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন দিল্লীর সকল সরকারি স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ভলান্টিয়ার হিসেবে সহযোগিতা করার তালিকা করেছে।
গত ২ মে আমাদেরকে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমরা কিভাবে দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করব, চলাচলে অক্ষম ভোটারদের কিভাবে হুইল চেয়ার থেকে তুলে ভোট দেওয়াব সবকিছুই খুব সুন্দর করে আমাদের বলা হয়েছে, বলে জানায় নিঘাত নামের আরেক শিক্ষার্থী।
পাওয়ান সিং নামে নেহেরু যুব কেন্দ্রের ভোটকেন্দ্রে এক ক্ষুদে ভলান্টিয়ার নির্বাচন কমিশনের তালিকাবদ্ধ অসমর্থ ও চলাচলে অক্ষম ভোটারদের ফোন দিয়ে জানতে চায় ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য তাদের কোন সহযোগিতা দরকার কিনা। সে আরো বলে, আমরা প্রায় ৫৭ জন ভোটারকে ফোন দিয়ে এই সুবিধার কথা বলেছি। আমরা তাদের বাড়িতে ভলান্টিয়ার পাঠাই। যাদের হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসতে হয় তাদের যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করি। প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটারকে আমরা ফোন দিয়েছি ভোট দিতে আসার জন্য।
(amadershomoy)

রমজান আলী : ফলন ভাল হলেও রোদের উত্তাপে ফেটে যাচ্ছে লিচু। এত লোকসানের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ফরিদপুরের চাষিরা। যার কারণে ভাল ফলন হলেও হাসি নেই চাষিদের মনে।
মধুখালী উপজেলার জাহাপুর, বোয়ালমারীর কাদিরদী ও সদর উপজেলার চানপুর এলাকার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, বহু লিচু ফেটে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে। তাছাড়া লিচুর গায়ে কালো দাগ দেখা দিয়েছে।
জাহাপুর গ্রামের চাষি মো. রাশেদুল ইসলাম বাবু বলেন, বাগানে কীটনাশক, সার ও ওষুধ ব্যবহার করেও লিচু রক্ষা করা যাচ্ছে না। এছাড়া দুশ্চিন্তার কথা জানালেন একই এলাকার কলেজশিক্ষক লিচু চাষি সেলিম ভূঁইয়া।

বোয়ালমারীর কাদিরদী গ্রামের মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে লিচু চাষে বেশি লাভ হওয়ায় বেশি করে বাগান করেছি। তাছাড়া এ অঞ্চলে কৃষকের আয়ের অন্যতম উৎস লিচু। বেশ কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখলেও এবারে পুঁজি তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
সদর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু জানান, পাঁচ-ছয় বছর ধরে তার এলাকায় অনেক লিচুবাগান গড়ে উঠেছে।চলতি মৌসুমের শুরুতে বেশ ভাল ফলন ছিল। শেষ সময়ে এসে প্রচন্ড তাপদাহে লিচু ঝরে যাচ্ছে।বিষয়টি তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগকে অবহিত করেছেন বলে জানান।ফরিদপুরের কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কান্তি চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “প্রচন্ড তাপদাহের কারণে লিচুর গায়ে কালো দাগ দেখা দিচ্ছে, ফেটে যাচ্ছে, ঝরে পড়ছে।
এ অবস্থায় ডায়বেন এন৪৫ অথবা টিল্ট পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে কমপক্ষে তিনবার। এছাড়া খরা বাড়লে গাছে সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে। তাপদাহের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই হয়। গাছে যত্ন নিতে হবে।
ফরিদপুরে এ বছর ৩০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় ফরিদপুরে প্রতি হেক্টরে আট মেট্রিকটন লিচু উৎপাদিত হয়। এগুলো রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা কিনে নিয়ে যান । তবে ফরিদপুরে স্থানীয় জাতের লিচু আগে পাকে বলে এখানকার চাষিরা ভাল দাম পান বলে তিনি জানান।
(amadershomoy)

আল-আমিন : মালয়েশিয়ার কেলান্তানে অবস্থিত মাহমুদী মসজিদের সিনিয়র ইমামের দায়িত্ব পালন করেন বাহরিন ইউসুফ। সম্প্রতি মসজিদে শিশুরা নিয়মিত নামাজ পড়লে সাইকেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। নিউ স্ট্রাইট টাইমস রিপোর্ট এর বরাত দিয়ে ইসলামভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন এবাউট ইসলাম এ খবর দিয়েছে।

বাহরিন ইউসুফ বলেন, শিশুদের নামাজের প্রতি উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেকে অনেককিছু করি। শিশুদের শিশুবয়স (০৭ বছর) থেকেই নামাজের শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রিয় নবী সা. নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুলের বাণীকে বাস্তবায়নের জন্য আমি এমন উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, ‘যারা ফজর, মাগরিব ও এশার নামাযের জন্য পূর্ণ উপস্থিতি প্রদর্শন করবে তারা সাইকেল পাবে। প্রাথমিকভাবে তারা সাইকেল পাওয়ার জন্য মসজিদে আসবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নামাজের প্রতিও তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
গত বছর শতাধিক শিশু এই ইভেন্টে অংশ নিয়ে পুরস্কার নিয়েছিল। চলতি বছর যারা শর্ত পূরণ করবে তারা প্রত্যেকেই একটি সাইকেল জিতবে। ২৮ তম তারাবির দিন সবাইকে পুরস্কার বিতরণ করা হবে বলে জানান বাহরিন ইউসুফ। গত বছর ইভেন্টে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ হাকি বলেন, আমি গতবছর এ ইভেন্টে অংশ নিয়ে পুরস্কার পেয়েছি। বর্তমানে সাইকেলটি আমার কাছে আছে। এই ঘোষণার পর মসজিদে শিশুদের উপস্থিতি অনেক বেড়ে গেছে বলে নিউ স্ট্রাইট টাইমস জানিয়েছে। মুহাম্মদ নামে এক মুসুল্লি বলেন, আমি আমার বন্ধুদের বিনামূল্যে সাইকেল উপহার সম্পর্কে বলেছি, যেন তারাও মসজিদে আসতে পারে। সম্মিলিত নামাজ আদায় আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি।
ম্যাগাজিনটি জানায়, নামাজ পড়ে সাইকেল লাভ মালয়েশিয়াই প্রথম নয়। তবে সেখানে ভিন্ন রকমের সাড়া পড়েছে। এরকম ঘোষণার মাঝে রয়েছে, ২০১৮ সালে মিশরের আল-বেহিরার একটি মসজিদ। সেখানে এমন প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হলে নামাজে শিশুদের আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়। সর্বপ্রথম প্রতিযোগিতার এ ধারণাটি ইস্তাম্বুলের ফাতিহ মসজিদ চালু করেছিলো। তারাই প্রথম বাচ্চাদের জন্য উপহার বাইসাইকেল সরবরাহ করে।
(amadershomoy)

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে যুবকদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘সাহসী যুবকরা আন্দোলনে নামলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।’
রাজনীতিতে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়ার তিন যুগপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম। ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।


দলীয় প্রধানসহ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এত নির্যাতনের পরও বিএনপি বড় দল হিসেবে টিকে আছে, এটা শুধু সম্ভব হয়েছে বেগম জিয়ার নেতৃত্বের কারণে। তিনি কিন্তু একটা ফরমায়েশি রায়ে আজ অন্ধকার কারাগারে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘সাহসী যুবকেরা আন্দোলনে নামলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন।’
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ঠাঁই পাওয়া একটি ছবির দিকে ইঙ্গিত করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার দুর্লভ ছবি প্রমাণ করে, তিনি ছিলেন আপসহীন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন লড়াইয়ের ময়দানে পেছনে, আমাদের বয়স হয়েছে, আমরা লড়াইয়ে সৈনিকদের সঙ্গে আছি। বেগম জিয়া তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত দল সামলেছেন। আপসহীন নেতৃত্ব দিয়ে দলকে মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন। ৯১ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি পুনরায় খুব দ্রুত ক্ষমতায় আসে।’
ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জয়যাত্রার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ ।
(jagonews24)

রমজানের চতুর্থ দিন আজ, শুক্রবার। রোজার এক সপ্তাহও এখনও পার হয়নি, ফলে ঈদের কেনাকাটা এখনও সেভাবে জমে না উঠলেও শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দিনটাকে নষ্ট করতে চাননি অনেকেই।
শপিংমলগুলোর তুলনায় ফুটপাত ও সাধারণ মার্কেটে কেনাকাটার তোরজোড় আজ একটু বেশি ছিল। দোকানিরা বলছেন, ছুটির দিন শুক্রবার থেকেই যেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের বেচাকেনা শুরু হলো। ১৫ রোজার পর থেকে পুরোদমে শুরু হবে ঈদের বিক্রি।

তবে দোকানিরা ইতোমধ্যে ঈদকে সামনে রেখে তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছেন। তারা বলছেন, শবেবরাতের পর থেকে দোকান মালিকরা মালামাল আনতে শুরু করেন, পয়লা রোজার আগেই তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানই ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে। দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙের-ঢঙের পণ্য।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ফুটপাত দিয়ে হাঁটার উপায় নেই। ঈদের ব্যবসা শুরু হয়েছে কি-না জানতে চাইলে নূর ম্যানশন শপিং সেন্টারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঈদের বেচাকেনা এহন শুরু না অইলে কহন অইব।’
ফুটপাতের জুতা বিক্রেতা আলমগীর জানান, ঈদকে সামনে রেখে তাদের বেচাবিক্রি শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের ভিড় একটু বেশি। তবে গত বৃহস্পতিবারও ভিড় ছিল, সেটা শুক্রবারের তুলনায় একটু কম।
বাড্ডা থেকে নিউ মার্কেট এলাকায় পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন হুমায়ূন কবীর, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। কবীর বলেন, ‘ঈদের আগ মুহূর্তে কেনাকাটা করা ঝামেলার। তাই এখনই কেনাকাটা করতে এসেছি।’
সকালে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সকালেই ক্রেতাদের মোটামুটি উপস্থিতি। দোকানিদের দাবি, শুক্রবার ক্রেতার উপস্থিতি একটু বাড়তিই থাকে। সেই সঙ্গে সামনের ঈদ বাড়তি মাত্রা যোগ করলেও বেচাবিক্রি প্রত্যাশিত না।
ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেনের দাবি, ‘ঈদের কেনাকাটা এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। অন্যবার যাও কম-বেশি বেচাকেনা হয়, এবার সেটাও হচ্ছে না। গরম বেশি থাকার কারণেও সেটা হতে পারে। আশা করছি, আজ (শুক্রবার) থেকেই ঈদের বেচাকেনা শুরু হবে।’
ওয়েস্টিনের ম্যানেজার মো. মামুন বলেন, ‘ঈদের প্রভাব পড়েছে হালকায়। তবে পুরোদমে ঈদের কেনাকাটা শুরু হবে ১৫ রোজার পর থেকে।’ ফুটপাত ও সাধারণ মার্কেটের তুলনায় শপিং মলে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
রাজধানীর ওয়ারি থেকে ছেলে নাবিলকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন লতা নামে এক নারী। লতা বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করতেই এসেছি। এই সময়টাতে দোকানগুলো হালকা ফাঁকা থাকে। সময় নিয়ে ঘুরেফিরে পছন্দের জিনিসটা কেনা যায়। পছন্দ হলে আজকেই অনেক কিছু কিনে নিয়ে যাব। আর না হলে আগামী সপ্তাহে আবার আসব।’
(jagonews24)

কয়দিনের টানা গরমে সারাদেশে বেড়েছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। সব চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। সারাদেশ থেকে প্রতিদিন শত শত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি)। ফলে ৩৫০ আসনের হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী। রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে হচ্ছে না স্থান সংকুলান।
আইসিডিডিআরবিতে ছুটে আসা অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে টাঙানো তাঁবুতে।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েকদিনের গরমে রোগীর চাপ বেড়েই চলছে। প্রতিদিন গড়ে সাতশ’র মতো নতুন রোগী ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হচ্ছে আইসিডিডিআরবিতে। হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ জন। ফলে পার্কিং এলাকায় তাঁবু টাঙিয়ে রোগী ভর্তি করেও সব রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৮৪ জন। সারাদিনে এ সংখ্যা সাতশ’র কোটায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘কিছুতেই সুস্থ না হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ডায়রিয়া রোগীরা। এখানে আসার পর সবাই সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।’
আইসিডিডিআরবির তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন এখানে আসা অর্ধেকের মতো শিশু। বাকিরা বিভিন্ন বয়সের।
হাসপাতালে ভর্তি রাজধানীর অদূরের কাঁচপুর এলাকা থেকে এসেছেন সোহাগ আলমগীর। তিনি সিনহা টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তিনি বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে বিছানা থেকে মাথা উঠাতে না পেরে এক প্রতিবেশীর সহায়তায় আইসিডিডিআরবিতে এসে ভর্তি হন। এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্যালাইন দেয়া হয়। মাত্র দুই ঘণ্টায় তার অবস্থার অনেকটা উন্নতিও হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় আইসিডিডিআরবির তাঁবুর নিচে চিকিৎসাধীন সোহাগ আলমগীর জাগো নিউজকে জানান, এতক্ষণ বাসায় থাকলে মারাই যেতাম।
লক্ষ্মীপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রুবেল ১৪ দিন আগে একবার আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হন। তখন টানা তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে যান। বৃহস্পতিবার তিনি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ আবারও আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে আসার পরপরই তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলেও জানান রুবেল।
(jagonews24)

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত কাজ শুরু হচ্ছে আগামী রোববার (১২ মে)। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ও তদন্ত কমিটির প্রধান সিনিয়র ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রোববার থেকে আমরা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করব।’
তদন্ত কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন-কোয়ালিটি এসিউরেন্স- সিএসও ম্যানেজার নিরঞ্জন রায়, ড্যাস-৮ এর ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাইয়েদ এম মুনিম, লাইন মেইনটেইন্যান্সের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হানিফ, ম্যানেজার ফ্লাইট সেফটি মো. মজিবুর রহমান ও বাপার মনোনীত একজন প্রতিনিধি।

ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বিশেষ ফ্লাইট নিয়ে আমরা প্রাথমিক অবস্থা দেখে এসেছি। যেভাবে এয়ারক্রাপ্টটির বডি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটিকে বহরে আর আনা যাবে না।’ তবে তদন্ত শেষ না করে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেননি ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণ করতে গিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় অল্পের জন্য যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা হলেও পাইলটসহ ১৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সবাই শঙ্কামুক্ত। এতে ফ্লাইটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এদিকে ইয়াঙ্গুন থেকে ১৭ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট ড্যাশ-৮ কিউট-৪০০। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আর রানওয়েতে ছিটকে পড়া বিমানে আহত ১৪ যাত্রী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি আহত চার যাত্রী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে দুর্ঘটনাকবলিত কোনো যাত্রীকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
(jagonews24)

পুরান ঢাকার মতো নতুন ঢাকা অর্থাৎ গুলশানেও ইফতারির নানা বাহারি আয়োজন রয়েছে। হালিম, চপ, গরুর কালা ভুনা, খাসির লেগ রোস্ট থেকে শুরু করে বটি কাবাব, শিক কাবাব, স্পেশাল জিলাপি, সাসলিক, নাগেটস, তন্দুরি কী নেই এখানে? সবই পাওয়া যায়। তবে এখানকার আয়োজনটা একটু ভিন্ন রকমের। নেই বিক্রেতার হাঁকডাক। আছে সুন্দর করে সাজানো গোছানো এবং খাবারের উপস্থাপনায় একটু ভিন্নতা। সব মিলিয়ে আয়োজনে আছে অভিজাত্য আর নতুনত্বের ছোঁয়া।

গুলশান এলাকায় ইফতার বিক্রির ধরণটা একটু ভিন্ন। এ এলাকায় পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট ও হোটেল। এসব রেস্টুরেন্টে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ইফতারি পরিবেশন করা হয়। যে কোনো রেস্টুরেন্টে গেলেই এগিয়ে দেয়া হচ্ছে ম্যানু, প্যাকেজ লিস্ট। এছাড়াও শুধু ইফতার আয়োজনের জন্যই অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে একাধিক রেস্টুরেন্ট। পাশাপাশি অলিগলি, রাস্তাতেও রয়েছে ইফতারির নানা আয়োজন নিয়ে অস্থায়ী সব দোকান।
গুলশানে ফখরুদ্দিন, ফ্রাইডে ইফতার বাজারসহ বেশ কয়টি ইফতার আয়োজন নিয়ে গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা গেছে এই এলাকায় খাসির হালিম ২০০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির চাপ, কোর্মা প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, গরুর চাপ ৮০০ টাকা, গরুর কালাভুনা ১ হাজার টাকা কেজি, কাচ্ছি বিরিয়ানি ৩০০ টাকা, আস্ত মুরগির রোস্ট ৪৮০ টাকা, খাসির লেগ রোস্ট ৫০০ টাকা পিস, চিকেন রোস্ট ১২০ টাকা, চিকেন বটি কাবাব ১৪০ টাকা, শিক কাবাব গরু ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি, জালি কাবাব-শামি কাবাব, মুঠিয়া কাবাব ৪০ টাকা পিস, ঘুমনি কেজি ২০০ টাকা, আলুর দমের বক্স ১০০ টাকা, ফিরনি ২০০ টাকা, রেশমি জিলাপি ৪০০ টাকা কেজি, বাসমতি জর্দা ২০০ টাকা বক্স, আলু বোখারার চাটনক ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা।
ফ্রাইডে ইফতার বাজারের ব্যবস্থাপক খালিদ আহমেদ ইফতারির আয়োজন সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের ইফতারিতে বিভিন্ন আইটেমের পাশাপাশি সেট ম্যানু বা প্যাকেজও পাওয়া যায়। প্রতিদিন নানা জায়গা থেকে মানুষ এখানে ভিন্ন স্বাদের সব ইফতারি সংগ্রহ করতে আসেন।
সেখানে ঘুরে দেখা গেছে, শাহী হালিম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, বম্বে জিলাপি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, চিকেন সাসলিক ১২০ ফ্রাইড চিকেন ১২০ টাকা। এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে তন্দুরি উইংচ, থাই ফ্রাইড চিকেন, চিকেন টোস্ট, চিকেন সরমা, ফিশ ফিঙ্গার, পাকুরা ফিন্নিসহ নানা পণ্য।
এদিকে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন প্যাকেজে ইফতারি পাওয়া যাচ্ছে। এসব প্যাকেজের মূল্য রেস্টুরেন্ট ভেদে বিভিন্ন রকমের। এর মধ্যে ফখরুদ্দিনে পাওয়া যাচ্ছে ইফতার এবং ডিনার মিলে ৪৫০ টাকার একটি বিশেষ প্যাকেজ। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের অস্থায়ী ইফতার প্যাকেজের মধ্যে ৪০০ থেকে ৭০০ বা তার চেয়েও বেশি টাকা দামের বক্স আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর মহাখালী থেকে গুলশানে ইফতারি কিনতে এসেছেন হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সবাই মিলে বাসায় ইফতার করব। যে কারণে বিভিন্ন স্বাদের ইফতার কিনতে গুলশান এসেছি। এখানে নানা পদের নানা আয়োজনের ইফতার পাওয়া যায়, সে কারণেই এখানে আসা। তবে অন্য জায়গার তুলনায় এখানে ইফতার সামগ্রীর দাম কিছুটা বেশি। তবুও সবাই এখানে ইফতার কিনতে আসেন, কারণ এখানে নানা ধরনের, বাহারি স্বাদের ইফতার পাওয়া যায়।
(jagonews24)

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেয়ায় বগুড়া-৬ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ওই আসনে উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত থাকলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দলটির নেতাকর্মীরা।
দলের একটি সূত্রের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে মির্জা ফখরুল ফের ওই আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন। অন্য একটি সূত্রের দাবি, বিএনপি উপ-নির্বাচনে অংশ নেবে না। উপ-নির্বাচনেই যদি অংশ নেয় তাহলে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার কোনো দরকার ছিল না ফখরুলের।


সূত্র মতে, আগামীকাল শনিবার দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে বৈঠকে যুক্ত হবেন। এই বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
এ বিষয়ে বিএনপির বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মোশারফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্থানীয় নেতাকর্মীরা তো নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু সেটা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নয়। দল এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন নেতা বলেন, ‘উপ-নির্বাচনেও অংশ নেয়া উচিত। কারণ এ আসনটি বেগম খালেদা জিয়ার। তিনি এমন একজন নেত্রী যিনি কখনও নির্বাচন করে পরাজিত হননি। সে কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসনটি ছাড়া উচিত হবে না। জয়লাভ করে প্রয়োজনে শপথ নেয়া থেকে বিরত থেকে প্রতিবাদ জানানো যাবে। তাই নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত এবং স্থানীয়ভাবে যারা জনপ্রিয় তাদের মধ্যে থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা উচিত।’
রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘বগুড়া- ৬ আসন নিয়ে এখনও দলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা থাকতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে নির্বাচনের বিপক্ষে। আমি শপথেরও বিপক্ষে। কেননা হাসিনার অধীনে আবার কিসের নির্বাচন?’
যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারও উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে।
তিনি বলেন, আমরা তো উপজেলা নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করি নাই। এই উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত হবে না ।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য বলেন, ‘দলের ক্রান্তিকালে এসব নিয়ে দলীয় ফোরামের বাইরে কথা বলা উচিত হবে না। সুযোগ পেলে দলীয় ফোরামে বলতে চাই।’
ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এটা নিয়ে দলে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
ব্যক্তিগত মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে সেখানে আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করবো।
স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে চারজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। উপ-নির্বাচনে দল যাবে কি-না সে বিষয়েও তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ বিষয়ে তাকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধিনে কী নির্বাচন হবে, তা জাতি ৩০ ডিসেম্বর দেখেছে। সেই নির্বাচন নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা এখন চিন্তিত এ দেশ নিয়ে। দেশ এখন গণতন্ত্রবিহীন দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। কোথাও গণতন্ত্রের চিহ্ন নেই।
তিনি বলেন, আমি দলে একা কেনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমাদের স্থায়ী কমিটি আছে, সেখানে বিষয়টি তুলবো, তারপর দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব এই নির্বাচন সম্পর্কে। আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি নির্বাচনে অংশ নেব কি-না।
উল্লেখ্য, বগুড়া-৬ আসনে ২৪ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৭ মে, প্রত্যাহার ৩ জুন ও প্রতীক বরাদ্দ ৪ জুন।
(jagonews24)

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজধানীতে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু নির্ধারিত সেই দাম মানছেন না মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা ২৫ থেকে ৭৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন গরুর মাংস। এছাড়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা নেই।
এসব অভিযোগে শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর মিরপুর বড়বাগ কাঁচাবাজারের পাঁচ মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।


এর মধ্যে মা গোস্ত বিতানকে পাঁচ হাজার টাকা, রানা গোস্ত বিতানকে তিন হাজার টাকা, নাসিরের মাংসের দোকানকে পাঁচ হাজার এবং পীরেরবাগ অলি মিয়ার কাঁচা বাজারের ছাত্তারের মাংস বিতানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বাজারে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে আজ (শুক্রবার) মিরপুরে অভিযান চালানো হয়। এখানে বেশিরভাগ দোকানে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত দাম ৫২৫ টাকার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়া অনেক দোকানে আইন অনুযায়ী মূল্য তালিকা টাঙানো হয়নি। এসব অভিযোগে ৫টি মাংস বিক্রির প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে রোজায় মাংসের দাম নির্ধারণ করে। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২৫ টাকা এবং বিদেশি বা বোল্ডার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ও মহিষের মাংস কেজি প্রতি ৪৮০ টাকায় বিক্রয়ের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগীর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রির জন্য এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত মাংসের এ দাম নির্ধারণ করা হয়।
(jagonews24)

রোজার শুরুতে বাজারে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, সবজি, মাছ, মাংসের দাম নতুন করে না বাড়লেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।


রামপুরা ও খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা আগের সপ্তাহের মতো বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০-১৫৫ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির ১৮০-১৯০ এবং পাকিস্তানি কক প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।
মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী খায়রুল হোসেন বলেন, রোজার আগে মুরগির দাম কিছুটা কমেছিল। আমাদের ধারণা ছিল রোজা শুরু হলে মুরগির দাম আরও কমবে। তবে রোজার শুরুতে মুরগির দাম নতুন করে কমেনি। সামনে হয়তো মুরগির দাম কিছুটা কমতে পারে।
রামপুরার গরুর মাংস ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে আমরা গরুর মাংস ৫৩০-৫৫০ টাকায় কেজি বিক্রি করেছি। এখন সিটি কর্পোরেশন থেকে বেঁধে দেয়া দামে অর্থাৎ ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এর থেকে বেশি দাম নিচ্ছি না, আবার কম নিচ্ছি না।
মাংসের মতো সপ্তাহের ব্যবধানে দাম স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের। শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ৮০- ৮৫ টাকায়। মুদি দোকান ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ৭-৮ টাকায়।
হাজীপাড়ার ডিম ব্যবসায়ী সাবু মিয়া বলেন, রোজার আগে টানা দুই সপ্তাহে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা কমে। গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম নতুন করে কমেনি, আবার বাড়েওনি। তবে আমাদের ধারণা সামনে হয়তো ডিমের দাম কিছুটা কমতে পারে।
ডিমের পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের। কারওয়ানবাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করছেন ১২৫-১৩০ টাকা। আর খুচরা বাজারে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। আর কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। তবে বেড়েছে রসুনের দাম। গত সপ্তাহে রসুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, রোজার আগে দাম কিছুটা বাড়লেও গত এক সপ্তাহে নতুন করে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। এবার রোজায় পেঁয়াজের দাম বাড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তবে ঈদের পর হয়তো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কেজি। শসা ৫০-৬০, বেগুন ৬০-৭০, পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকা অন্য সবজির মধ্যে পটল ৪০-৫০, বরবটি ৬০-৭০, কচুর লতি ৭০-৮০, করলা ৬০-৭০, ধুন্দুল ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
চড়া দামের বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর মুখি। বাজার ভেদে কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা। এছাড়া কাকরোল ৬০-৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০-৭০, উসি ৪০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, প্রতিবছরই এপ্রিল-মে মাসে সবজির দাম বেশি থাকে। গত বছরের তথ্য ঘেঁটে দেখেন এ সময় কোনো সবজি দাম ৫০ টাকার নিচে ছিল না। সুতরাং রোজার কারণে এবার সবজির দাম বেশি, কেউ যদি এমন অভিযোগ করে তা সঠিক নয়। সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। বাজারে নতুন সবজি আসলে আবার দাম কমে যাবে।
সবজির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দামও। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। রুই ২৮০-৬০০, পাবদা ৬০০-৭০০, টেংরা ৫০০-৮০০, শিং ৫০০-৬০০ এবং চিতল বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি।
মাছের দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী সুবল বলেন, কয়েক মাস ধরেই মাছের দাম চড়া। এবার মাছের দাম সহসা কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। কারণ এবার বৃষ্টি খুব একটা হয়নি। যদি বৃষ্টি অথবা বন্যা হয় তাহলে হয়তো মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে
(jagonews24)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় ২শ বছরের পুরনো গাছের ডাল ভেঙেপড়ে নানা ও নাতনির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন।
শনিবার বিকেলে উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভানুডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ভানুডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৫৫) ও তার নাতনি একই গ্রামের বকুল মিয়ার মেয়ে বীথি (৮)।

কাজিপুর দমকল বাহিনীর স্টেশন অফিসার ফরিদ উদ্দিন ও কাজিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কাজিপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়।
ঝড়ের কারণে ভানুডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত প্রায় ২শ বছরের পুরাতন একটি বটগাছ ভেঙে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া হাসপাতালে নেয়ার পথে দু'জন মারা যায়। এসময় গাছ ভেঙে পড়ার কারণে আশপাশের ৫টি দোকান ভেঙে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
(jagonews24)

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে আগাম তথ্য পেয়েছিলাম বিধায় আমাদের সরকার ও দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে দলীয় মনিটরিং সেলের কর্মকাণ্ড ও পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

হানিফ বলেন, আমরা দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। গত ১০ বছর তার শাসনামলে সবদিক থেকে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নের একটি বড় অংশ হচ্ছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের দুই হাজার কিলোমিটার দূরে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের খবর আমাদের দেশের আবহাওয়া অধিদফতর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে আগাম তথ্য পেয়েছিলাম বিধায় আমাদের সরকার ও দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে’ বলে দাবি করেন হানিফ। 

‘ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করছে’ বলেও যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বসে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। সরকার এবং দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে।’
ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আমি গতকালও বলেছিলাম, যারা এ ধরনের কথাবার্তা বলছেন, তাদের নোংরা ভাষায় কিছু বলা যায় না। তাই তাদের বক্তব্য অনেকেই পাগলের প্রলাপের সঙ্গে তুলনা করছেন।’
‘বিএনপি আসলে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ছিটকে পড়েছে। বিএনপি আজ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত। তারা নিজেদের সমস্যা ধামাচাপা দেয়ার জন্যই সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তারা নানা কথাবার্তা বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজেদের ব্যর্থতা চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মিডিয়া সেলে ১০০টি কল এসেছে। তারা তাদের এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা মনে করেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আমরা বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য-উপাত্ত নিচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় ফণী শেষ হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের টিম যাবে এবং সরকার ও দলের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত নন্দী রায়, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
(jagonews24)

শ্রীলঙ্কায় গত মাসে ইস্টার সানডের সকালে গীর্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা প্রশিক্ষণের জন্য ভারত সফর করেছিল। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহেশ সেনানায়েক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সেনাপ্রধান মাহেশ সেনানায়েকে বলেছেন, ‘হামলাকারীরা ভারতের কাশ্মীর, বেঙ্গালুরু ও কেরালা রাজ্যে গিয়েছিল। আমরা এখন পর্যন্ত এ তথ্য পেয়েছি। তবে তাদের ভারত সফরে যাওয়ার সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি।’

লঙ্কান এই সেনাপ্রধান বলেন, ‘সম্ভবত কিছু প্রশিক্ষণ অথবা দেশের বাইরের কিছু সংগঠনের সঙ্গে আরো বেশি সংযোগ স্থাপনের জন্য তারা এই সফর করেছিল।’
গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডের সকালে শ্রীলঙ্কার তিনটি গীর্জা, তিনটি বিলাসবহুল হোটেল ও আরো একাধিক স্থানে বোমা হামলা চালায় কমপক্ষে ৯ আত্মঘাতী হামলাকারী। এই হামলার ব্যাপারে আগাম তথ্য পাওয়ার পরও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর টানাপড়েনকে দায়ী করা হচ্ছে।
প্রথম বোমা হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেও চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। ভারতীয় গোয়েন্দাবাহিনী ও অন্যান্য দেশের দেয়া আগাম সতর্কবার্তার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে মাহেশ সেনানায়েকে বলেন, তারা গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করেছিলেন।
লঙ্কান এই সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আসা সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ও পরিস্থিতি সেই সময় ভিন্ন ধরনের ছিল। সেখানে এক ধরনের শূন্যতা ছিল; যা আজ প্রত্যেকেই দেখতে পাচ্ছেন।’
কলম্বোতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫৩ জনের প্রাণহানির পর ভারতের তামিলনাড়ু ও কেরালায় ব্শে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। ওই হামলার সঙ্গে ভারতীয়দের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তা জানতেই তদন্ত পরিচালনা কেরে এনআইএ।
রিয়াস আবু বকর নামের এক ভারতীয়কে থেকে গ্রেফতারের পর এনআইএ জানায়, কেরালায় রাজ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্লিপার সেল রয়েছে। গ্রেফতারকৃত এই তরুণ শ্রীলঙ্কান বোমা হামলাকারী জাহরান হাশিম ও বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েককে অনুস্মরণ করতো।
(jagonews24)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ চলে যাওয়ার পর রোববার (৫ মে) থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল শুরু হচ্ছে।
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাটের) যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির শনিবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগামীকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করতে পারব বলে মনে করছি। তবে এর আগে আমরা আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। আজকে যে পরিস্থিতি আশা করি আগামীকাল আবহাওয়া পরিস্থিতি নৌযান চলাচলের অনুকূলেই থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ধেয়ে আসায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদফতর।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল অবস্থায় বাংলাদেশ অতিক্রম করে। শনিবার দুপুর থেকে বিপদ সংকেত নামিয়ে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
(jagonews24)

আগামীকাল রোববার থেকে সারাদেশে আবহাওয়া স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে তাপমাত্রাও। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সন্ধ্যা ৬টার পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অর্থাৎ রোববার দিনের বেলা তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা বা আগামী ২ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের কার্যকারিতা কমতে পারে। আগামী ৫ দিনের পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।
শনিবার সারাদিনই বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার গত ২৪ ঘণ্টার রেকর্ড অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১২১ মিলিমিটার। এরপর খেপুপাড়ায় ১০৭, চাঁদপুরে ১০১, নেত্রকোনায় ৮৭, ময়মনসিংহে ৮৬ ও কুমিল্লায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
টেকনাফে কোনো বৃষ্টিপাতই হয়নি এবং এখানে সর্বোচ্চ তাপামাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কক্সবাজারে ৫, কুতুবদিয়ায় ৮, তেঁতুলিয়ায় ৯ ও রাঙামাটিতে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকায় ৪৫, টাঙ্গাইলে ৬২, ফরিদপুরে ৪২, মাদারীপুরে ৪১, গোপালগঞ্জে ৩৪, নিকলিতে ৭০, চট্টগ্রামে ১৭, সন্দ্বীপে ৩৯, ফেনীতে ৬০, হাতিয়ায় ৭৯, সিলেটে ৬৬, শ্রীমঙ্গলে ৫৩, রাজশাহীতে ৫৫, ঈশ্বরদীতে ৪৩, বগুড়ায় ৮১, বদগাছীতে ৭৫, তাড়াশে ৫৬, রংপুরে ৩৩, দিনাজপুরে ৩৯, সৈয়দপুরে ২৭, ডিমলায় ২৩, রাজারহাটে ৩৩, খুলনায় ২০, মোংলায় ১৫, সাতক্ষীরায় ২৫, যশোরে ৩৩, চুয়াডাঙ্গায় ৬১, কুমারখালীতে ৬৮, পটুয়াখালীতে ৭৪ ও ভোলায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
দেশে সবচেয়ে তাপমাত্রা কম ছিল রংপুরে ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget