আ.লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটের প্রচারণা করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা।
গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের বদ্দারহাট বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রার্থীরা। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নথি অনুযায়ী, আহত হয়েছেন ১৩ জন।
সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষ দুটি হলো আসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী নুরে আলম এবং উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করা আনারস মার্কার প্রার্থী আবুল কাশেমের কর্মী-সমর্থকেরা। সংঘর্ষের জন্য তাঁদের পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন।
আরো পড়ুন:
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে আসলামপুর ইউনিয়নের বদ্দারহাট বাজার এলাকায় স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবুল কাশেম ও নৌকার প্রার্থী নুরে আলম গণসংযোগ করতে বের হন। বাজারের পশ্চিম দিকে কাঁচাবাজার এলাকায় নুরে আলমের নির্বাচনী কার্যালয় এবং সদর রোডে আবুল কাশেমের নির্বাচনী কার্যালয়।
আবুল কাশেম তাঁর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ১৪ থেকে ১৫ জন সমর্থক নিয়ে গণসংযোগে বের হন। এ সময় নৌকার প্রার্থী নুরে আলমের ভাই আব্বাস বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কাশেমকে ধাক্কা দেন। এ নিয়েই উভয় পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। আহত অবস্থায় আবুল কাশেমের ছয়জন এবং নুরে আলমের সাতজন সমর্থককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা
সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরাছবি: সংগৃহীত
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ নভেম্বর আসলামপুর ইউপির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরোধ লেগেই আছে। সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন এটির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
কৃষক লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেমের নির্বাচন পরিচালনার সমন্বয় করেন তাঁর ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নুরে আলমের ভাই আব্বাস আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবুল কাশেমকে ধাক্কা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি।
তাঁরা দলবল নিয়ে এসে আমাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। তাঁরা আমাদের ১৩ থেকে ১৪ জন কর্মীকে পিটিয়ে জখম করেছেন। এর মধ্যে ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’ এ ঘটনায় তাঁরা চরফ্যাশন থানায় ও উপজেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন