মেডিকেল ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুব্রত গাইন ও তার পরিবার
Subrata Gain and his family are worried about medical admission
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে হত দারিদ্র পারিবারের সন্তান সুব্রত গাইন। এতে খুশি হওয়ার কথা থাকলেও তার মুখে হাসি নেই। কারণ তার পড়াশুনার খরচ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারটি। অর্থের অভাবে তার মেডিকেলে ভর্তিও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ছেলের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণে বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার বাবা-মা। সুব্রত গাইন যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বড়-পাথরা গ্রামের হত দরিদ্র মৎস্যজীবি নারায়ন চন্দ্র গাইনের ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ভাইবোনের মধ্যে সুব্রত ছোট। গৃহিণী মা জবা গাইন তাদের কষ্ঠ বুঝতে না দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আরো পড়ুন: যে কারণে ১০ বছর মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন বিজয়
উপজেলার কাঁকবান্ধাল সমিতি বছরে ১২ হাজার করে দুই বছর সুব্রতকে বৃত্তি দিয়েছিল। করোনার দুই বছর আর দেয়নি। সমিতি থেকে এককালীন ৬০ হাজার ও কিস্তিতে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এ পর্যন্ত এসেছি। বাবা নারায়ন চন্দ্র গাইন জানান, নদি-বিল থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে এবং দুই/তিনটি গরু পুষে কোনরকম টিকে আছি। এক বিঘা জমি আছে তাও বন্ধক রেখেছি। ছোটবেলা থেকেই লেখাপাড়ায় খুব আগ্রহী ছিল সুব্রত। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫, এবং এসএসসি ও এইচএসসিতেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেন জিপিএ-৫।
খুলনার বয়রা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বগুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে সুব্রত। এদিকে অর্থের অভাবে ছেলেকে মেডিকেলে ভর্তি করা নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন হত দরিদ্র মৎস্যজীবি নারায়ন চন্দ্র গাইন।
তার একটা ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় মেয়ে কাজলী গাইন খুলনা আজমখান কলেজে মাষ্টার্সে অধ্যায়নরত এবং ছোট মেয়ে রূপা গাইন সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে অনার্সে অধ্যায়নরত।সুব্রত গাইনের মা জবা গাইন বলেন, খুব দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে আমার ছেলে-মেয়েরা বড় হয়েছে। কখনও খাবার জুটেছে, কখনও জোটেনি। ছেলে-মেয়ের মধ্যে সুব্রত ছোট। তার বড় বোন কাজলী গাইন খুলনা আজমখান কলেজে মাষ্টার্সে অধ্যায়নরত এবং ছোট বোন রূপা গাইন সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে অনার্সে অধ্যায়নরত। অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেও সন্তানের পড়ালেখায় উৎসাহ দিয়েছি। আমরা বহু কষ্ট করে তাকে পড়িয়েছি ।
তিনি বলেন, সকলের আশির্বাদে আমার ছেলে মেডিকেলে ভর্তির চান্স পেয়েছে। কিন্তু তাকে ভর্তি করার মতো টাকা-পয়সা আমাদের নেই। আমি চিন্তা করে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না, কীভাবে ছেলেকে ভর্তি করাব? কীভাবে বই কিনে দিব? কীভাবে খরচ চালাব? সাহায্যের জন্য আমি মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বিত্তবানদের কাছে আবেদন করছি। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য সাহায্য করুন। আপনারা যদি সাহায্য করেন তাহলে ছেলেটাকে ডাক্তারি পড়াতে সক্ষম হবো। তা না হলে আমার কোনো ক্ষমতা নেই তাকে পড়াশোনা করানোর। আমি ইউএনও মহোদয়ের কাছে মৌখিক আবেদন করলে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেছেন।
কেশবপুরের পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন ব্রহ্ম বলেন, সুব্রত এই বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এস,এস,সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে বগুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আমরা গর্বিত।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সঙ্কটের মধ্যে মোদী-বাইডেন এর ভার্চুয়াল বৈঠক আজ
পরশুরামে ৫শতাধিক পরিবারের মাঝে "ঢাকাস্থ'' পরশুরাম সমিতি"র ইফতার সামগ্রী বিতরণ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য নিয়ে ২ যুবককে কুপিয়ে হত্যা এবং আহত ১
ফেনীতে ভ্রাম্যমান আদলতের অভিযানে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, ২ ইউপি সদস্য সহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীতে কোটি টাকা মুল্যের ভারতীয় শাড়ি, থান কাপড়, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গাসহ চোরাকারবারী আটক
অনলাইন নিউজ পোর্টাল মুক্তির ৭১ নিউজের সম্পাদকের ৪৩তম জন্মবার্ষিকী
দাগনভূঞায় প্রেমিককে জানাজায় হাজির করার অনুরোধ জানিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা
সোনাগাজীতে নারীদের উত্ত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন