Latest Post


রাশিয়ার সেনাবাহিনী দখলে নিয়েছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। বুধবার ভোর ৬টার দিকে পুরো শহর দখলে নেয় তারা।

জানা গেছে, খারকিভ শহরের পতনের পর আকাশ থেকে প্যারাশ্যুট দিয়ে নেমে আসছেন রুশ সেনারা। এ খবর নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তারা বলছেন, বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠার পরপরই আকাশ থেকে হামলা চালানো শুরু হয়।

রুশ সৈন্যরা স্থানীয় সামরিক হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে ইউক্রেন সেনাবাহিনী বিবৃতি দিয়েছে।  

খারকিভে রুশ ভাষাভাষী মানুষের বাস। মঙ্গলবার শহরের কেন্দ্রস্থলে হামলা চালায় রাশিয়া। এছাড়া আবাসিক এলাকায়ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সেখানে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়।  

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেন।


ইউক্রেনের রাজধানীতে গোলাবর্ষণ অব্যাহত আছে রুশ বাহিনীর। আঘাত হানছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। এরমধ্যে মঙ্গলবার রাশিয়ার হামলা বাবি ইয়ার হলোকাস্ট মেমোরিয়ালের স্থানে আঘাত হেনেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া গেছে।


১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সালের মধ্যে বাবি ইয়ারে ৭০ থেকে এক লাখ লোককে হত্যা করে নাৎসি বাহিনী। নিহতদের স্মরণে দেশটিতে নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ। হলোকাস্ট মেমোরিয়াল কেন্দ্রের পাশেই কিয়েভের টিভি টাওয়ার। যেখানে মঙ্গলবার ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্তন হেরাশচেঙ্কো জানান, কিয়েভের প্রধান টেলিভিশন চ্যানেলের টাওয়ারে এই হামলা চালানো হয়েছে। সম্ভব টাওয়ারে সিগন্যাল ঠেকাতে এই হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী।

এ বিষেয়ে জেলেনস্কি টুইটে বলেন, বিশ্বের কাছে ৮০ বছর ধরে ‘আর কখনও নয়’ বলার অর্থ কী? বাবি ইয়ারের একই স্থানে বোমা পড়লে যদি বিশ্ব নীরব থাকে? পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি...

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিয়েভে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং বাবি ইয়ার জেলায় ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। টাওয়ারের বেশ কিছু সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে। কিছু সময় টেলিভিশন চ্যানেলটি সম্প্রচার করতে পারবে না। সম্প্রচার চালু করার জন্য ব্যাকআপ ব্যবস্থা সক্রিয় করা হচ্ছে।


সূত্র: সিএনএন, অ্যাক্সিওস


রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভের সুনির্দিষ্ট কয়েকটি নিশানায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে অধিবাসীদের সতর্ক করেছে এবং এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছে।

মঙ্গলবার বিকালে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, “রুশ বাহিনী কিয়েভে ইউক্রেইনের সিকিউরিটি সার্ভিসের (এসবিইউ) প্রযুক্তি কেন্দ্রগুলো এবং প্রধান সাই-অপস সেন্টারকে (সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড সাইকোলোজিক্যাল অপারেশনস) নিশানা করে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।”


“নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্র” দিয়ে ওইসব নিশানায় হামলা চালানো হবে জানিয়ে কাছাকাছি এলাকাগুলো থেকে অধিবাসীদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কানিতে ইউক্রেইনীয় জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে যেসব নাগরিক জড়িত তাদেরকে এবং কিয়েভের অন্যান্য বাসিন্দা যারা এইসব রিলে-স্টেশনের কাছে বাস করছেন, তাদেরকে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”


যদিও এই লক্ষ্যস্থলগুলো নগরীর কোন জায়গায় অবস্থিত সে সম্পর্কে কোনওকিছু জানানো হয়নি বিবৃতিতে। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারণা বন্ধ করতেই এই হামলা শুরু করছেন তারা।

 ‘রিলে-স্টেশন’ শব্দটির ব্যাখ্যায় সিএনএন-এর সংবাদদাতা ক্ল্যারিসা ওয়ার্ড বলেছেন, এর মানে যোগাযোগ টাওয়ার, বড় বড় অ্যান্টেনা বা এই ধরনের নিশানাই বোঝাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

ওয়ার্ড বলেন, এখন পর্যন্ত কিয়েভের উপকণ্ঠের বিভিন্ন লক্ষ্যে হামলা হয়েছে। কিন্তু এখন হামলা কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে, যেরকমটি অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন।


মঙ্গলবারেই কিয়েভের দিকে এগুতে শুরু করেছে রাশিয়ার প্রায় ৪০ মাইল লম্বা একটি সাঁজোয়া বহর। সেই বহরের ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহচিত্রে। সেনাসদস্যর সঙ্গে ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়িও আছে এই বহরে।

স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, বহরটি উত্তর দিক থেকে কিয়েভে এগুচ্ছে। এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই কিয়েভ-সংলগ্ন এলাকায় বোমা ফেলা শুরু করেছে রাশিয়া।


কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিতসকো মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “শত্রুরা রাজধানীর উপকণ্ঠে আছে। ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী কিয়েভকে সুরক্ষিত রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নগরীর প্রবেশপথগুলোতে ব্যারিকেড এবং চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।”


তিনি নগরবাসীর সবাইকে শান্ত এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। এর আগে এক বার্তায় ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, কিয়েভকে সুরক্ষিত রাখাকে সরকার সবার আগে প্রাধান্য দেবে। ‘শত্রুদের জন্য কিয়েভ গুরুত্বপূর্র্ণ টার্গেট’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা তাদেরকে রাজধানীর প্রতিরোধ ভাঙতে দেব না।”

“কিয়েভ এক বিশেষ স্থান। আমরা কিয়েভকে সুরক্ষিত রাখতে পারলে আমাদের রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখতে পারব। এটি আমাদের দেশের প্রাণকেন্দ্র। এখানে স্পন্দন চলমান রাখতে হবে।”


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে চিলি বনিক (৪২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (০১ মার্চ) সকালে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ গৃহবধুর শয়ন ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 


গৃহবধু চিলি বনিক ওই গ্রামের কামিনী বনিকের স্ত্রী ও রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামের মৃত কুলিন চন্দ্র বনিকের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর স্বামী ও তাঁর ভাইয়েরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। 


গৃহবধুর ভাই বিশ্ব বনিক ও সুজন বণিক জানান, গৃহবধুর স্বামী ও তাঁর ভাইয়েরা মিলে নির্যাতনের পর আমার বোনকে হত্যা করেছে। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এত বড় ঘটনা ঘটলেও আমাদেরকে কোন খবর না দিয়েই পুলিশ ডেকে মরদেহ থানায় নিয়ে এসেছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে আইনের আশ্রয় নিব। 

তবে গৃহবধুর ছেলে হেমন্ত বনিক জানান, গতকাল সোমবার সকালে বাবা ও মায়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তাতির সময় মায়ের চোখে ও মাথায় আঘাত লাগে। রাতে আমি ঔষধ কিনেও দিয়েছি। কিন্ত মা অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়েছে হয়তো বলে জানায় সে। 


বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক খাদেমুল করিম জানান, গৃহবধুর মাথা ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ ও ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রুশ বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানা এড়াতে খারকিভে আটক ভারতীয়দের ট্রেনে করে ইউক্রেনের পড়শি দেশগুলিতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ, গাড়িতে গেলে রুশ বাহিনীর নিশানা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু খারকিভ স্টেশনে আটক বহু ভারতীয় এখনও ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে আটক ওই পড়ুয়ার দাবি।



ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে আরও বিমান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। উদ্ধার প্রক্রিয়ার গতি আনতে সেখানে পাঠানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার বৃহত্তম সামরিক পরিবহণ বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। প্রধানমন্ত্রী মোদী বায়ুসেনাকে মঙ্গলবার থেকেই ‘অপারেশন গঙ্গা’ (ইউক্রেনে আটক ভারতীয়দের উদ্ধার কর্মসূচি)-য় অংশ নিতে বলেছেন। গত বছর আফগানিস্তানে আটক ভারতীয়দের উদ্ধার করতে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমান পাঠানো হয়েছিল।


এরই মধ্যে মঙ্গলবার, যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনার বোমাবর্ষণে এক ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর মিলেছে। খারকিভে আটক অন্য এক ভারতীয় পড়ুয়া বলেন, ‘‘সোমবার সকালে আমাদের দ্রুত শহর ছাড়তে বলা হয় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। তার পর আমরা আর দূতাবাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।’’


বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রুশ বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানা এড়াতে খারকিভে আটক ভারতীয়দের ট্রেনে করে ইউক্রেনের পড়শি দেশগুলিতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ, গাড়িতে গেলে রুশ বাহিনীর নিশানা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু খারকিভ স্টেশনে আটক বহু ভারতীয় এখনও ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে আটক ওই পড়ুয়ার দাবি।

সঞ্জয়লীলা বানশালির ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’তে অভিনয় করে এই মুহূর্তে তুমুল আলোচিত আলিয়া ভাট। ছবির একটি রোমান্টিক দৃশ্য কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। সহ-অভিনেতা শান্তনু মহেশ্বরীর সঙ্গে গাঙ্গুবাঈরূপী আলিয়ার ভালোবাসা উপভোগের একান্ত মুহূর্তের দৃশ্যটি ফেসবুক-টুইটারে শেয়ার করে অনেকেই লিখেছেন, এমন প্রেমের মুহূর্ত যদি তাদের জীবনেও আসত! জীবন ধন্য হতো। দৃশ্যটিতে আলিয়া-শান্তনুর রসায়ন মুগ্ধ করেছে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষদের।


কিন্তু জানেন কি, এই দৃশ্যের শুটিংয়ে আলিয়ার হাতে ২০ বার চড় খেয়েছিলেন শান্তনু! দৃশ্যটিকে প্রাণবন্ত করার জন্য ২০ বার টেক নিয়েছিলেন আলিয়া।  


হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে আলাপচারিতায় শান্তনু মহেশ্বরী বলেন, ‘চড় মারার সময় আলিয়া আমাকে কশিয়ে চড় মারতে পারছিলেন না। প্রায় ২০ বার দৃশ্যটা করেছি আমরা। আলিয়া খুব মিষ্টি স্বভাবের, চড় মারতে যেন সুবিধা হয় এ কারণে আমি আগেই তাকে চিন্তা করতে মানা করেছিলাম। ’

অভিনয় তো ঠিক আছে, কিন্তু ব্যথাটা তো সত্যি সত্যি পেয়েছেন শান্তনু? হেসে এই অভিনেতা বলেন, ‘অভিনেতা হিসেবে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সহশিল্পী ও পরিচালকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা। দৃশ্যটি করার আগেই জানতাম আমাদের কী করতে হবে। প্রস্তুতির সময় ধীরে ধীরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে হবে, মন থেকে সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলতে হবে। এমনকি একটি থাপ্পড়ও অভিনয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চরিত্রের মধ্যে থাকা অবস্থায় যা ঘটে সেগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। ’


শুক্রবার ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’। বক্স অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী ছবিটি প্রথম দিনে মোট ১০ কোটি ৫০ লাখ রুপি আয় করেছে। দ্বিতীয় দিনে ৩০ শতাংশ বেশি ব্যবসা করেছে। শনিবারের আয় ১৩ কোটি। মানে প্রথম দুদিনে মোট ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ব্যবসা করেছে ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’।


‘গ্রিক গড’ খ্যাত অভিনেতা হৃত্বিক রোশন এবং কঙ্গনা রানাওয়াতের ব্যক্তিগত ঝামেলার কথা জানে গোটা বলিউড। জনসমক্ষে হৃত্বিকের বিরুদ্ধে প্রেমে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন কঙ্গনা। যদিও কঙ্গনার এই অভিযোগকে কোনোদিন স্বীকার করেন হৃত্বিক।


বহুদিন বাদে আবারও সেই বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনার নিশানায় ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ তারকা হৃত্বিক। নিজের রিয়্যালিটি শো ‘লক আপ’-এর প্রিমিয়ার নাইটেই সাবেক সহ-অভিনেতা হৃত্বিকের দিকে আঙুল তুললেন কঙ্গনা।


অনুষ্ঠানের শুরুর দিকেই অভিনেত্রী বলেন, বলিউডের তারকারা তার এই শো নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। হয়ত তাদের মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয় আছে। তিনি আরও বলেন, যারা পাঁচ বছর ধরে তাকে এড়িয়ে চলেছে, তারা আমচকাই কথাবার্তা শুরু করেছে।


এর পরই কঙ্গনা এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন যা কারও নজর এড়ায়নি। তিনি বলেন, ‘লোকজন পাঁচটা আঙুল জুড়ে হাত জোড় করছেন, আর ছয় আঙুলওয়ালাদের গলাও শুকিয়ে যাচ্ছে।’


ছয়টা আঙুল শুনেই সবার মনে যে ছবিটা ভেসে উঠে, তা নতুন করে বলে দিতে হবে না। বলিউডে ‘ছয় আঙুলওয়ালা’ তারকা একজনই আছেন, তিনি হৃত্বিক রোশন। এ কথা সবারই জানা। নাম না করেই এদিন কঙ্গনা হৃত্বিককেই আক্রমণ করেন।


২০১০ সালে ‘কাইট’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন হৃত্বিক-কঙ্গনা। এরপর ২০১৩ সালে ‘কৃশ-থ্রি’ ছবিতে অভিনয়ের সময় নাকি ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। ২০১৪ সালে করণ জোহরের পার্টিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় কঙ্গনা-হৃত্বিকের একটি ছবিও ভাইরাল হয়।


কঙ্গনা বারবার হৃত্বিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার কথা দাবি করে এলেও সেটি সবসময় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হৃত্বিক রোশন। হৃত্বিকের কথায়, তাদের মধ্যে শুধুমাত্র প্রফেশনাল সম্পর্ক ছিল।


২০১৬ সালে এক সাক্ষাত্কারে হৃত্বিককে ‘সিলি এক্স’ বলে খোঁচা দেন কঙ্গনা। এর পরই ই-মেইল চালাচালির ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হৃত্বিক। রাকেশ রোশন পুত্রের অভিযোগ, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে ১৪৩৯টি মেইল পাঠানো হয়েছিল।


অভিনেতার কথায়, এই সমস্ত ই-মেইল তার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। আপতত সেই মামলা মহারাষ্ট্রের ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিটের আওতায় বিচারাধীন। তার মধ্যে ফের একবার হৃত্বিককে নিয়ে কটাক্ষ করলেন কঙ্গনা।

 

ভিকির কথায় জানা গেল, অঙ্কিতা সুশান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। তা নিয়ে অনেকে ভিকিকে নানা কথা শোনাতেন। অঙ্কিতার উদ্দেশ্য নিয়ে কুমন্তব্য করা হয়। সে সব প্রসঙ্গ তুলে ভিকি বললেন, ‘‘সেই সময়ে যে রকমের কথাবার্তা শুনতে হয়েছে আমাদের, ভাবা যায় না।’’




২০২০ সালের ১৪ জুন। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু। তার পরে অনেকগুলি জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছিল। সুশান্ত-প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী থেকে শুরু করে তাঁর বন্ধুবান্ধব। সুশান্তের পরিবার থেকে শুরু করে নায়কের প্রাক্তন প্রেমিকার জীবন। তাঁর চলে যাওয়া আজও মেনে নিতে পারেনি দেশ। সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা সে সময়ে কী ভাবে নিজেকে সামলেছিলেন, সে কথা বারবার মানুষের কানে পৌঁছলেও তাঁর প্রেমিক (এখন স্বামী) ভিকি জৈনের কথা কেউ জানে না। তিনিও লড়াই করেছিলেন। সে কথা সদ্য স্টার প্লাসের একটি রিয়েলিটি শো-তে এসে জানালেন অঙ্কিতার স্বামী ভিকি।


ভিকির কথায় জানা গেল, সুশান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন অঙ্কিতা। তাই জন্য অনেকে ভিকিকে খারাপ কথা শোনাতেন। অঙ্কিতার উদ্দেশ্য নিয়ে কুমন্তব্য করা হত। সে সব প্রসঙ্গ তুলে ভিকি বললেন, ‘‘সেই সময়ে যে রকমের কথাবার্তা শুনতে হয়েছে আমাদের, ভাবা যায় না। কিন্তু আমি গর্ব বোধ করি অঙ্কিতার জন্য। খুব সুন্দর করে সব কিছুকে সামলেছিল ও। সুশান্তের প্রতি ও নিজের দায়িত্ব বোধ ভুলে যায়নি। তাই অঙ্কিতার পাশে ছিলাম আমিও।’’ ভিকি জানান, সুশান্তের মৃত্যুর পরে গোটা দেশের পাশাপাশি ওঁদের সম্পর্কও অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।


গত বছর ১৪ ডিসেম্বর মহা সমারোহে বিয়ে সারেন অঙ্কিতা-ভিকি। কিন্তু সুশান্ত-প্রেমীদের এক অংশ তাঁদের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। ‘পবিত্র রিশতা’ নায়িকাকে সমালোচনা শুনতে হয়েছে।

রিয়েলিটি শো-তে এসে অঙ্কিতা বলেন, ‘‘আমি কিন্তু অনেক দিন আগেই আমার অতীতকে পিছনে ফেলে সামনের দিকে হাঁটা শুরু করেছি। কিন্তু এই ঘটনাটি ঘটার পরে (সুশান্তের মৃত্যু) সুশান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোটা দরকার ছিল। ভিকিকে কী ভাবে কী বলব, বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু ও নিজেই সবটা বুঝে যায়। আমাকে একটি শব্দও খরচ করতে হয়নি।’’

 

বলিউড প্রেমগুরু সলমন খানের বয়স প্রায় পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলেও, এখনও অব্দি তিনি বিয়ে করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। যৌবন বয়সে একাধিক প্রেমের সাথে নিজের নাম জড়ালেও বিয়ের মন্ডপে তা কখনোই পৌঁছায়নি। এই বয়সেও যখন বিয়ে তিনি করেননি তখন আর করার সম্ভাবনা তেমন দেখা যায় না বললেই চলে। আর ঠিক এই কারণেই বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলরের তকমা পেয়েছেন ভাইজান। কিন্তু সম্প্রতি সকলকে অবাক করে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাইরাল বিবাহিত সলমনের কিছু ছবি এবং ভিডিও।


আপনি শুনে অবাক হলেও, এটাই সত্যি! সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া ছেড়ে গেছে সলমন খানের বিয়ের ছবিতে। কাকে বিয়ে করছেন তিনি? ভাইরাল ছবিতে দেখা গিয়েছে বিবাহিত দাবাং’-এর পাশে রয়েছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। অভিনেত্রী সিঁথিতে সিঁদুর জ্বলজ্বল করছে। আর সালমান খান অত্যন্ত রোমান্টিকভাবে সোনাক্ষির আঙুলে আংটি পরিয়ে দিচ্ছে। এই ছবিগুলি নিমেষের মধ্যে ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে গেছে।



তবে কি সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে যাওয়া ছবিটি সত্যি? এই প্রশ্নে উত্তাল গোটা নেটদুনিয়া। ভাইজান ফ্যানেরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে তাদের প্রিয় তারকা কোনো ঘোষণা ছাড়াই বিয়ে সেরে নিলেন। তবে ছবিগুলি খুঁটিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে যে সবটাই আসলে ডিজিটাল এডিটের কারসাজি। কেউ একজন দক্ষতার সাথে বিভিন্ন জায়গার ছবি এক জায়গায় এনে ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করে, নিজের হাতে সলমন সোনাক্ষির বিয়ের ছবি তৈরি করেছেন। ইন্টারনেটের দুনিয়াতে ভাইরাল সালমান সোনাক্ষীর বিয়ের খবর সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বলিউড সিনেমা দাবাং সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সালমান সোনাক্ষী জুটি। ওই সিনেমা থেকেই বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী সোনাক্ষি সিনহা। তবে তাঁর বলি টাউনে যাত্রা এত সোজা হয়নি। অতিরিক্ত ওজনের জন্য বারংবার বলিউড থেকে প্রত্যাক্ষিত হতে হয়েছে তাকে। তবে জানা যায়, প্রথম সিনেমাতে অভিনয়ের পর সালমানের উৎসাহতেই মেদ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সোনাক্ষী সিনহা।



ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১৮ মাসের মধ্য ২০টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি ট্রান্সফরমার চুরির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এতে চোরাকারবারী জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।


জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গীতে কৃষি কাজে ব্যবহৃত ৫৩৬টি সেচ রয়েছে। এর মধ্যে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় ১৮৯ টি। বাকি ৩৪৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ব্যক্তি মালিকানাধীন।

সেচের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ফলে বোরো চাষে সেচ প্রদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে চুরি বন্ধ না হলে বোরো চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।

বালিয়াডাঙ্গী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম কামরুল হাসান  জানান, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলার ১৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে আর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৪টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখের পর টানা তিন দিন ৩ টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এই চুরি অব্যাহত থাকলে বোরো চাষি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও সরকারকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

কামরুল আরও বলেন, ‘চুরি হওয়া ৫ কেভি ট্রান্সফরমার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৪৩ হাজার টাকা। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী ট্রান্সফরমার চুরি হলে সেচের মালিককে পুরো টাকা পরিশোধ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছ থেকে পুনরায় ট্রান্সফরমার সংগ্রহ করতে হবে। এদিকে ট্রান্সফরমার পুনরায় স্থাপন কাজে সময় ব্যয় হওয়ার কারণে বোরো খেত শুকিয়ে নষ্ট হতেও পারে।’

এদিকে চুরির ঘটনা নিয়ে বিব্রত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, এক বছরে ৫টি ও চলতি মাসের ফেব্রুয়ারিতে ২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। তবে এসব ট্রান্সফরমার স্থাপনে অর্ধেক খরচ ব্যয় করেছে সরকার। কৃষকেরা চাইলে অর্ধেক খরচ ব্যয় বহনে কিস্তির সুবিধাও নিতে পারবেন।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘সেচকাজে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার চুরি বন্ধ করা না গেলে বোরো চাষিদের উৎপাদন খরচ বাড়বে। পাশাপাশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। আমি আগামী আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করব।’

বালিয়াডাঙ্গী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার আহসান হাবীব বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরি বন্ধে আমরা স্থানীয় হাট-বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণাও করা হয়েছে।’

 




ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের হাটবাজার গুলোতে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ডাল, পেঁয়াজ ও ভোজ্য-তেল সহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। বেশিদরে বিক্রি হচ্ছে সবজি; ঝাল বেশি কাঁচামরিচেরও। দাম বাড়তির কারণে এসব নিত্যপণ্য কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। 


ক্রেতাদের অভিযোগ, মোটা চাল থেকে শুরু করে বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দরই বাড়তির দিকে। আর সবজির বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। 


সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদফা বন্যার কারণে এ বছর মৌসুমি সবজির ফলন ভালো হয়নি। এ কারণে আড়তে সবজি আসছে কম। ফলে দামও বেশি। 

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে চরম সংকটে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। দ্রব্যমূল্যের ক্রম ঊর্ধ্বগতিকে কেউ কেউ দাবানলের সঙ্গে তুলনা করছেন। আগে যেখানে প্রচলিত বাক্য ছিল ‘নিত্যপণ্যের বাজারে আগুণ’। চাল-ডাল-তেল থেকে শুরু করে অতি প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দামের একই অবস্থা। নিত্যপণ্যের দামের এমন ঊর্ধ্বগতিতে  প্রবণতার জন্য করোনা মহামারিতে উৎপাদন কমে যাওয়া, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা, অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতা ও সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। আবার কেউ কেউ অভ্যন্তরীণ বাজারের সুশাসনের অভাবকেও দায়ী করছেন।


সরেজমিনে উপজেলার শিবদীঘি, নেকমরদ, কাতিহারসহ একাধিক সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে আলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, মটরশুঁটি, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, পাতাকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, পালংশাক, লালশাক, পুঁইশাক, লাউয়ের ডগাসহ বিভিন্ন প্রকারের শাক পাওয়া যাচ্ছে।


বাজারে কাঁচামরিচ ৬০-৮০টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, টমেটো ৪৫ টাকা, গোল বেগুন ৪০টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪৫-৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০- ৬৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এক হালি লেবু এবং ৪০ টাকা। দাম বেড়েছে  সয়াবিন তেল, খোলা লবণ,  গোখাদ্য, ও মাছের। 

পাতাকপির দাম স্থিতিশীল থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে ফুলকপি ও ব্রোকলির। পাতাকপি আগের মতোই ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হলেও ফুলকপি ও ব্রোকলি ৫০-৫৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছেন বিক্রেতারা।


ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কোয়েল পাখি পিসপ্রতি ২৫ থেকে ৫০ টাকা, লেয়ার মুগরি পিসপ্রতি ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে মিলছে। অবশ্য দেশি মুরগির ডিম কিনতে প্রতি হালিতে খরচ করতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি।


এদিকে লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাক, পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা আঁটি দরে। মসলার মধ্যে পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা, রসুন ১৩০-১৪০ টাকা, দেশি আদা ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নেকমরদ বাজারে নিত্যপণ্য এবং সবজি কিনতে আসা লুতফর রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি।

এ কারণে বাজারের হিসেবে টান পড়েছে। কোনোরকমে বাজার করে মাস চালাতে হবে। 


শ্রমজীবী নাসিম জানান, তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। এখন কাজ তেমন নেই। তাই আয়ও কম। কিন্তু বাজারে সবকিছুরই দাম বেশি। বিশেষ করে চাল ডাল ও তৈলের দাম বাড়ায় কষ্ট বেশি হচ্ছে তার। কারণ চাল কিনতে পারলে কোনোরকমে ডাল-ভাত খেয়ে দিন কাটানো যায়। দাম বাড়ার কারণে তিনি বিপাকে পড়েছেন। 

রাণীশংকৈল উপজেলার সবকটি  বাজারেও নিত্যপণ্যের দর বেড়েছে। প্রশাসন বলছে, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাৎক্ষণিক দণ্ড দেওয়া হচ্ছে। আর তা অব্যাহত থাকবে 


নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গবাদিপশুর খাদ্যের দামও। খৈল, খড়, ভুসিসহ দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে সবুজ ঘাসও। এতে দিশেহারা হয়ে  কৃষকেরা গমের চারা কেটে তা গোখাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করছেন।


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল শিবদীঘি নেকমরদ বাজারসহ আশপাশের বাজারে এমন দৃশ্য কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে। এতে গমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।


কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় গমের আবাদ এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। এখন খেত থেকে বাড়ন্ত গমের চারা কেটে বিক্রি করা হলে উৎপাদনের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও গমের শিষ সবেমাত্র বের হয়েছে, আবার কোথাও শিষ বের হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। উপজেলার কুমোরগঞ্জ, ভবানন্দপুর,  ধর্মগড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে কৃষক সেই বাড়ন্ত গমের চারা কাস্তে দিয়ে গোড়া থেকে কেটে বাঁধছেন আঁটি। তা  শিবদীঘি ও নেকমরদ বাজারে বিক্রি করছেন ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি করে।


গমচাষিরা বলেন, গম চাষে প্রতি বিঘা জমি তৈরি, চারা রোপণ, সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ খরচ, শ্রমিকের মজুরি, গম কাটা ও মাড়াই পর্যন্ত ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। আর বিঘাপ্রতি গমের ফলন হয় ৯ থেকে ১০ মণ। সেই গম বিক্রি করে বিঘায় ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু তাতে তেমন কোনো লাভ থাকে না। কিন্তু বর্তমানে বাজারে গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে, পাশাপাশি প্রয়োজনের তুলনায় সবুজ ঘাসের সরবরাহও কম। এ সুযোগে গমের চারা ঘাস হিসেবে বিক্রি করে নগদ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। সার্বিক বিচারে এখান থেকে তুলনামূলক লাভ বেশি থাকছে বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া এখন গম তুলে নিলে জমিতে বোরো লাগানো সম্ভব। ধানের ভালো দাম থাকায় এতে করে দুদিক থেকেই লাভবান হওয়া যাবে।

গবাদিপশুর গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় ও চারণভূমির সংকটের কারণে বাজারে কাঁচা গম গাছের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ছাগল ও গরুর জন্য কাঁচা ঘাস হিসেবে কিনে খাওয়াচ্ছেন খামারিরা। বিক্রেতারা বলছেন ১০০ আঁটি বাজারে তুলতেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে নিমেষেই। চাষিদের পাশাপাশি পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতাও দেখা গেছে কাঁচা গমের গাছ বিক্রি করতে।


একটি নছিমনে ১০০ আঁটি কাঁচা গমের গাছ বিক্রি করতে নিয়ে আসেন ধর্মগড় গ্রামের নওশাদ আলী। তিনি বলেন, নেকমরদ এলাকার এক গম চাষির দুই বিঘা কাঁচা গমের খেত তিনি কিনেছেন ২৬ হাজার টাকা দিয়ে। ১ টাকা দরে প্রতি আঁটি মজুরি দিয়ে প্রতিদিন শ্রমিকদের কাছে প্রতিদিন ১ হাজার আঁটি কেটে বাজারে বিক্রি করেন তিনি। দুই বিঘা জমিতে ৪ হাজার ২০০ আঁটি হবে। যার বাজার মূল্য ৪২ হাজার টাকা। শ্রমিকদের মজুরি দিয়েও তাঁর লাভ হবে ৮ হাজার টাকা।

কাঁচা গমের আঁটি কিনতে এসেছিলেন রাতোর গ্রামের শামসুল আলম। তিনি বলেন, বাড়িতে তিনি ছয়টি ছাগল পালন করেন। আগে এলাকায় সেগুলো নিজেরা চড়ে খেত। এখন সব খেতেই ফসল থাকায় ছাগলগুলো চড়ে খেতে পারে না। তাই গমগাছ কিনতে এসেছেন।


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে  গমের আবাদ হয় ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, কিন্তু চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টরে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এমনিতেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ করা হচ্ছে। এর ওপর যদি কাঁচা অবস্থাতেই কেটে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে গম উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে। 

কৃষকেরা কাঁচা গমের গাছ কেটে বিক্রি যেন না করে এই জন্য তাঁদের উৎসাহ দেওয়া হবে।’ মাঠ পর্যায়ে সকলের সঙ্গে এ বিষয় কথা বলবেন বলে জানান তিনি।


নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদরের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নমুনা ঔষুধ (যাহা বিক্রয়ের জন্য নয়) রাখার দায়ে ছয় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলম এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।


ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মনজুরুল আলম জানান, জীবন রক্ষাকারী পণ্য ঔষুধ। অনেক অজানা সাধারণ মানুষ কোন কিছু না দেখে ঔষুধ ক্রয় করেন, এই সুযোগে অসাধু ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করছে পাশাপাশি যে সমস্ত ঔষুধ নমুনা হিসাবে ডাক্তারদের দেন যা বিক্রয়ের জন্য নয় সেই সমস্ত ঔষুধও বিক্রি করছেন। এমন খবরের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের সাদেক মেডিক্যাল স্টোর, মাসুদ ফার্মেসী, জাহানারা ফার্মেসীসহ ৬টি ঔষুধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ঔষুধ নিরাপত্তায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। 0 


সরেজমিন গবেষনা বিভাগ (সগিব), ফরিদপুরের আয়োজনে “তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প” এর আওতায় উচ্চ ফলনশীল ক্ষতিকর ইরোসিক এসিড মুক্ত বারি সুর্যমূখী-২

জাতের চাষাবাদের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার উজান মল্লিকপুরে।
সগিব, ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুরের তৈলবীজ গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি বেগম। 

এসময় বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফিউদ্দিন ও ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. হযরত আলী বক্তব্য রাখেন।


বক্তারা বলেন, রবি ও খরিপ মৌসুমে চাষযোগ্য স্বল্পমেয়াদী ও উচ্চ ফলনশীল এই জাতটি প্রতিকুল আবহাওয়ায় টিকে থাকতে সক্ষম। অন্যান্য ভোজ্য তেলের তুলনার এ তেল নন কোলেস্টরল ও এন্টি অক্সিডেন্ট গুন সমৃদ্ধ হওয়া হৃদ রোগীদের জন্যেও ব্যবহারযোগ্য।


ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় দিনে শনিবার রাজধানী কিয়েভের পাশে একটি জ্বালানি তেলের ডিপোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।


ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ভালসিলকিভে ওই তেলের ডিপোটির অবস্থান। স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে সেখানে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। খবর আনাদোলুর।


ভালসিলকিভ শহরটি রাজধানীর কিয়েভের খুব কাছে অবস্থিত। শনিবার ভোর থেকেই কিয়েভের চারদিক ঘিরে ফেলে রুশ বাহিনী।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভালসিলকিভে মেয়র নাটালিয়া বালাসিনোভিচ তেলের ডিপোতে হামলার পর সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মিসাইল হামলার পর বিকট শব্দে আগুন ধরে যায় তেলের ডিপোতে। এর পর এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।



রাজধানী কিয়েভ থেকে ভালসিলকিভ শহরটির দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার।


এদিকে রুশ সেনাদের এ আগ্রাসন ঠেকাতে এবার ইউক্রেনের নারীরা নিজেদের রক্ষা করতে বিশেষ কৌশল নিয়েছেন।


মরোটভ ককটেল (পেট্রল বোমা) বানাচ্ছেন। শহরটিতে রাশিয়ান সৈন্যদের আগ্রাসন রুখে দিতে এবং রাস্তায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেট্রল বোমা বানাচ্ছেন তারা।


ইউক্রেনের ওই শহরটির নাম ডিনিপ্রো। জড়ো হয়ে ঘাসের ওপর বাড়িতে বসে নারীরা পেট্রল বোমা বানাচ্ছেন। তাদের মধ্যে শিক্ষক, আইনজীবী ও গৃহিণী রয়েছেন। তারা কাচের বোতল, ন্যাকড়া ও জ্বালানি তেল নিয়ে বসেছেন।

তারা বলছিলেন, তারা আসলে কী করছে সে ব্যাপারে খুব গভীরভাবে ভাবছেন না। কারণ এক নারী বলেছেন, এটি খুবই ভয়ঙ্কর।


তারা জানিয়েছেন, তারা যে কোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে চান। এই শহরটিতে এখনো আক্রমণ চালানো হয়নি। কিন্তু এটি ইতোমধ্যে যুদ্ধের মূল্য বুঝতে পারছে। শহরটির ৪০০ শয্যার সামরিক হাসপাতালের সব শয্যাই পুরো উত্তর ইউক্রেন থেকে আসা আহত সৈনিকে পরিপূর্ণ।


রাশিয়ার উপর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন। রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে।

সামরিক অভিযানের চতুর্থ দিনে খারকিভ এবং ইউক্রেনের রাজধানী কিভে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ সেনাকে। এই দুই জায়গায় জোর লড়াই চলছে দু’পক্ষের সেনার মধ্যে। একের পর এক রকেট হামলা চালিয়ে খারকিভে গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। অন্য দিকে, কিভে তেল ভান্ডারেও বিস্ফোরণ ঘটানোর খবর পাওয়া গিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।



ইতিমধ্যেই রাশিয়ার উপর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা জারি করেছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন। রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে। গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিমের দেশগুলি রাশিয়াকে নানা ভাবে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল, সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে তার মাশুল গুনতে হবে। এ বার আর হুঁশিয়ারি নয়, রাশিয়াকে আর্থিক দিক থেকে পঙ্গু করে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিল পশ্চিমের দেশগুলি।


শনিবারই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল মাকরঁ, তুরক্সের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁদের কাছে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে ফোন করে সে দেশ থেকে রুশ সেনা সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর দেশের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে হবে। জার্মানি এবং ফ্রান্সও অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করা শুরু করেছে।


রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকেছে। রাশিয়ার আগ্রাসনী নীতি এবং সামরিক অভিযান নিয়ে সোমবার সদস্য দেশিগুলির মধ্যে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget