Latest Post

কয়দিনের টানা গরমে সারাদেশে বেড়েছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। সব চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। সারাদেশ থেকে প্রতিদিন শত শত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি)। ফলে ৩৫০ আসনের হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী। রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে হচ্ছে না স্থান সংকুলান।
আইসিডিডিআরবিতে ছুটে আসা অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে টাঙানো তাঁবুতে।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েকদিনের গরমে রোগীর চাপ বেড়েই চলছে। প্রতিদিন গড়ে সাতশ’র মতো নতুন রোগী ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হচ্ছে আইসিডিডিআরবিতে। হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ জন। ফলে পার্কিং এলাকায় তাঁবু টাঙিয়ে রোগী ভর্তি করেও সব রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৮৪ জন। সারাদিনে এ সংখ্যা সাতশ’র কোটায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘কিছুতেই সুস্থ না হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ডায়রিয়া রোগীরা। এখানে আসার পর সবাই সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।’
আইসিডিডিআরবির তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন এখানে আসা অর্ধেকের মতো শিশু। বাকিরা বিভিন্ন বয়সের।
হাসপাতালে ভর্তি রাজধানীর অদূরের কাঁচপুর এলাকা থেকে এসেছেন সোহাগ আলমগীর। তিনি সিনহা টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তিনি বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে বিছানা থেকে মাথা উঠাতে না পেরে এক প্রতিবেশীর সহায়তায় আইসিডিডিআরবিতে এসে ভর্তি হন। এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্যালাইন দেয়া হয়। মাত্র দুই ঘণ্টায় তার অবস্থার অনেকটা উন্নতিও হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় আইসিডিডিআরবির তাঁবুর নিচে চিকিৎসাধীন সোহাগ আলমগীর জাগো নিউজকে জানান, এতক্ষণ বাসায় থাকলে মারাই যেতাম।
লক্ষ্মীপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রুবেল ১৪ দিন আগে একবার আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হন। তখন টানা তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে যান। বৃহস্পতিবার তিনি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ আবারও আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে আসার পরপরই তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলেও জানান রুবেল।
(jagonews24)

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত কাজ শুরু হচ্ছে আগামী রোববার (১২ মে)। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ও তদন্ত কমিটির প্রধান সিনিয়র ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রোববার থেকে আমরা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করব।’
তদন্ত কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন-কোয়ালিটি এসিউরেন্স- সিএসও ম্যানেজার নিরঞ্জন রায়, ড্যাস-৮ এর ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাইয়েদ এম মুনিম, লাইন মেইনটেইন্যান্সের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হানিফ, ম্যানেজার ফ্লাইট সেফটি মো. মজিবুর রহমান ও বাপার মনোনীত একজন প্রতিনিধি।

ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বিশেষ ফ্লাইট নিয়ে আমরা প্রাথমিক অবস্থা দেখে এসেছি। যেভাবে এয়ারক্রাপ্টটির বডি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটিকে বহরে আর আনা যাবে না।’ তবে তদন্ত শেষ না করে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেননি ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণ করতে গিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় অল্পের জন্য যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা হলেও পাইলটসহ ১৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সবাই শঙ্কামুক্ত। এতে ফ্লাইটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এদিকে ইয়াঙ্গুন থেকে ১৭ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট ড্যাশ-৮ কিউট-৪০০। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আর রানওয়েতে ছিটকে পড়া বিমানে আহত ১৪ যাত্রী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি আহত চার যাত্রী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে দুর্ঘটনাকবলিত কোনো যাত্রীকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
(jagonews24)

পুরান ঢাকার মতো নতুন ঢাকা অর্থাৎ গুলশানেও ইফতারির নানা বাহারি আয়োজন রয়েছে। হালিম, চপ, গরুর কালা ভুনা, খাসির লেগ রোস্ট থেকে শুরু করে বটি কাবাব, শিক কাবাব, স্পেশাল জিলাপি, সাসলিক, নাগেটস, তন্দুরি কী নেই এখানে? সবই পাওয়া যায়। তবে এখানকার আয়োজনটা একটু ভিন্ন রকমের। নেই বিক্রেতার হাঁকডাক। আছে সুন্দর করে সাজানো গোছানো এবং খাবারের উপস্থাপনায় একটু ভিন্নতা। সব মিলিয়ে আয়োজনে আছে অভিজাত্য আর নতুনত্বের ছোঁয়া।

গুলশান এলাকায় ইফতার বিক্রির ধরণটা একটু ভিন্ন। এ এলাকায় পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট ও হোটেল। এসব রেস্টুরেন্টে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ইফতারি পরিবেশন করা হয়। যে কোনো রেস্টুরেন্টে গেলেই এগিয়ে দেয়া হচ্ছে ম্যানু, প্যাকেজ লিস্ট। এছাড়াও শুধু ইফতার আয়োজনের জন্যই অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে একাধিক রেস্টুরেন্ট। পাশাপাশি অলিগলি, রাস্তাতেও রয়েছে ইফতারির নানা আয়োজন নিয়ে অস্থায়ী সব দোকান।
গুলশানে ফখরুদ্দিন, ফ্রাইডে ইফতার বাজারসহ বেশ কয়টি ইফতার আয়োজন নিয়ে গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা গেছে এই এলাকায় খাসির হালিম ২০০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির চাপ, কোর্মা প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, গরুর চাপ ৮০০ টাকা, গরুর কালাভুনা ১ হাজার টাকা কেজি, কাচ্ছি বিরিয়ানি ৩০০ টাকা, আস্ত মুরগির রোস্ট ৪৮০ টাকা, খাসির লেগ রোস্ট ৫০০ টাকা পিস, চিকেন রোস্ট ১২০ টাকা, চিকেন বটি কাবাব ১৪০ টাকা, শিক কাবাব গরু ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি, জালি কাবাব-শামি কাবাব, মুঠিয়া কাবাব ৪০ টাকা পিস, ঘুমনি কেজি ২০০ টাকা, আলুর দমের বক্স ১০০ টাকা, ফিরনি ২০০ টাকা, রেশমি জিলাপি ৪০০ টাকা কেজি, বাসমতি জর্দা ২০০ টাকা বক্স, আলু বোখারার চাটনক ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা।
ফ্রাইডে ইফতার বাজারের ব্যবস্থাপক খালিদ আহমেদ ইফতারির আয়োজন সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের ইফতারিতে বিভিন্ন আইটেমের পাশাপাশি সেট ম্যানু বা প্যাকেজও পাওয়া যায়। প্রতিদিন নানা জায়গা থেকে মানুষ এখানে ভিন্ন স্বাদের সব ইফতারি সংগ্রহ করতে আসেন।
সেখানে ঘুরে দেখা গেছে, শাহী হালিম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, বম্বে জিলাপি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, চিকেন সাসলিক ১২০ ফ্রাইড চিকেন ১২০ টাকা। এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে তন্দুরি উইংচ, থাই ফ্রাইড চিকেন, চিকেন টোস্ট, চিকেন সরমা, ফিশ ফিঙ্গার, পাকুরা ফিন্নিসহ নানা পণ্য।
এদিকে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন প্যাকেজে ইফতারি পাওয়া যাচ্ছে। এসব প্যাকেজের মূল্য রেস্টুরেন্ট ভেদে বিভিন্ন রকমের। এর মধ্যে ফখরুদ্দিনে পাওয়া যাচ্ছে ইফতার এবং ডিনার মিলে ৪৫০ টাকার একটি বিশেষ প্যাকেজ। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের অস্থায়ী ইফতার প্যাকেজের মধ্যে ৪০০ থেকে ৭০০ বা তার চেয়েও বেশি টাকা দামের বক্স আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর মহাখালী থেকে গুলশানে ইফতারি কিনতে এসেছেন হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সবাই মিলে বাসায় ইফতার করব। যে কারণে বিভিন্ন স্বাদের ইফতার কিনতে গুলশান এসেছি। এখানে নানা পদের নানা আয়োজনের ইফতার পাওয়া যায়, সে কারণেই এখানে আসা। তবে অন্য জায়গার তুলনায় এখানে ইফতার সামগ্রীর দাম কিছুটা বেশি। তবুও সবাই এখানে ইফতার কিনতে আসেন, কারণ এখানে নানা ধরনের, বাহারি স্বাদের ইফতার পাওয়া যায়।
(jagonews24)

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেয়ায় বগুড়া-৬ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ওই আসনে উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত থাকলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দলটির নেতাকর্মীরা।
দলের একটি সূত্রের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে মির্জা ফখরুল ফের ওই আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন। অন্য একটি সূত্রের দাবি, বিএনপি উপ-নির্বাচনে অংশ নেবে না। উপ-নির্বাচনেই যদি অংশ নেয় তাহলে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার কোনো দরকার ছিল না ফখরুলের।


সূত্র মতে, আগামীকাল শনিবার দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে বৈঠকে যুক্ত হবেন। এই বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
এ বিষয়ে বিএনপির বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মোশারফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্থানীয় নেতাকর্মীরা তো নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু সেটা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নয়। দল এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন নেতা বলেন, ‘উপ-নির্বাচনেও অংশ নেয়া উচিত। কারণ এ আসনটি বেগম খালেদা জিয়ার। তিনি এমন একজন নেত্রী যিনি কখনও নির্বাচন করে পরাজিত হননি। সে কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসনটি ছাড়া উচিত হবে না। জয়লাভ করে প্রয়োজনে শপথ নেয়া থেকে বিরত থেকে প্রতিবাদ জানানো যাবে। তাই নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত এবং স্থানীয়ভাবে যারা জনপ্রিয় তাদের মধ্যে থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা উচিত।’
রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘বগুড়া- ৬ আসন নিয়ে এখনও দলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা থাকতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে নির্বাচনের বিপক্ষে। আমি শপথেরও বিপক্ষে। কেননা হাসিনার অধীনে আবার কিসের নির্বাচন?’
যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারও উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে।
তিনি বলেন, আমরা তো উপজেলা নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করি নাই। এই উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত হবে না ।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য বলেন, ‘দলের ক্রান্তিকালে এসব নিয়ে দলীয় ফোরামের বাইরে কথা বলা উচিত হবে না। সুযোগ পেলে দলীয় ফোরামে বলতে চাই।’
ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এটা নিয়ে দলে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
ব্যক্তিগত মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে সেখানে আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করবো।
স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে চারজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। উপ-নির্বাচনে দল যাবে কি-না সে বিষয়েও তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ বিষয়ে তাকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধিনে কী নির্বাচন হবে, তা জাতি ৩০ ডিসেম্বর দেখেছে। সেই নির্বাচন নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা এখন চিন্তিত এ দেশ নিয়ে। দেশ এখন গণতন্ত্রবিহীন দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। কোথাও গণতন্ত্রের চিহ্ন নেই।
তিনি বলেন, আমি দলে একা কেনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমাদের স্থায়ী কমিটি আছে, সেখানে বিষয়টি তুলবো, তারপর দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব এই নির্বাচন সম্পর্কে। আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি নির্বাচনে অংশ নেব কি-না।
উল্লেখ্য, বগুড়া-৬ আসনে ২৪ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৭ মে, প্রত্যাহার ৩ জুন ও প্রতীক বরাদ্দ ৪ জুন।
(jagonews24)

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজধানীতে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু নির্ধারিত সেই দাম মানছেন না মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা ২৫ থেকে ৭৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন গরুর মাংস। এছাড়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা নেই।
এসব অভিযোগে শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর মিরপুর বড়বাগ কাঁচাবাজারের পাঁচ মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।


এর মধ্যে মা গোস্ত বিতানকে পাঁচ হাজার টাকা, রানা গোস্ত বিতানকে তিন হাজার টাকা, নাসিরের মাংসের দোকানকে পাঁচ হাজার এবং পীরেরবাগ অলি মিয়ার কাঁচা বাজারের ছাত্তারের মাংস বিতানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বাজারে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে আজ (শুক্রবার) মিরপুরে অভিযান চালানো হয়। এখানে বেশিরভাগ দোকানে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত দাম ৫২৫ টাকার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়া অনেক দোকানে আইন অনুযায়ী মূল্য তালিকা টাঙানো হয়নি। এসব অভিযোগে ৫টি মাংস বিক্রির প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে রোজায় মাংসের দাম নির্ধারণ করে। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২৫ টাকা এবং বিদেশি বা বোল্ডার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ও মহিষের মাংস কেজি প্রতি ৪৮০ টাকায় বিক্রয়ের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগীর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রির জন্য এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত মাংসের এ দাম নির্ধারণ করা হয়।
(jagonews24)

রোজার শুরুতে বাজারে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, সবজি, মাছ, মাংসের দাম নতুন করে না বাড়লেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।


রামপুরা ও খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা আগের সপ্তাহের মতো বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০-১৫৫ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির ১৮০-১৯০ এবং পাকিস্তানি কক প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।
মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী খায়রুল হোসেন বলেন, রোজার আগে মুরগির দাম কিছুটা কমেছিল। আমাদের ধারণা ছিল রোজা শুরু হলে মুরগির দাম আরও কমবে। তবে রোজার শুরুতে মুরগির দাম নতুন করে কমেনি। সামনে হয়তো মুরগির দাম কিছুটা কমতে পারে।
রামপুরার গরুর মাংস ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে আমরা গরুর মাংস ৫৩০-৫৫০ টাকায় কেজি বিক্রি করেছি। এখন সিটি কর্পোরেশন থেকে বেঁধে দেয়া দামে অর্থাৎ ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এর থেকে বেশি দাম নিচ্ছি না, আবার কম নিচ্ছি না।
মাংসের মতো সপ্তাহের ব্যবধানে দাম স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের। শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ৮০- ৮৫ টাকায়। মুদি দোকান ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ৭-৮ টাকায়।
হাজীপাড়ার ডিম ব্যবসায়ী সাবু মিয়া বলেন, রোজার আগে টানা দুই সপ্তাহে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা কমে। গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম নতুন করে কমেনি, আবার বাড়েওনি। তবে আমাদের ধারণা সামনে হয়তো ডিমের দাম কিছুটা কমতে পারে।
ডিমের পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের। কারওয়ানবাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করছেন ১২৫-১৩০ টাকা। আর খুচরা বাজারে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। আর কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। তবে বেড়েছে রসুনের দাম। গত সপ্তাহে রসুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, রোজার আগে দাম কিছুটা বাড়লেও গত এক সপ্তাহে নতুন করে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। এবার রোজায় পেঁয়াজের দাম বাড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তবে ঈদের পর হয়তো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কেজি। শসা ৫০-৬০, বেগুন ৬০-৭০, পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকা অন্য সবজির মধ্যে পটল ৪০-৫০, বরবটি ৬০-৭০, কচুর লতি ৭০-৮০, করলা ৬০-৭০, ধুন্দুল ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
চড়া দামের বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর মুখি। বাজার ভেদে কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা। এছাড়া কাকরোল ৬০-৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০-৭০, উসি ৪০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, প্রতিবছরই এপ্রিল-মে মাসে সবজির দাম বেশি থাকে। গত বছরের তথ্য ঘেঁটে দেখেন এ সময় কোনো সবজি দাম ৫০ টাকার নিচে ছিল না। সুতরাং রোজার কারণে এবার সবজির দাম বেশি, কেউ যদি এমন অভিযোগ করে তা সঠিক নয়। সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। বাজারে নতুন সবজি আসলে আবার দাম কমে যাবে।
সবজির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দামও। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। রুই ২৮০-৬০০, পাবদা ৬০০-৭০০, টেংরা ৫০০-৮০০, শিং ৫০০-৬০০ এবং চিতল বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি।
মাছের দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী সুবল বলেন, কয়েক মাস ধরেই মাছের দাম চড়া। এবার মাছের দাম সহসা কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। কারণ এবার বৃষ্টি খুব একটা হয়নি। যদি বৃষ্টি অথবা বন্যা হয় তাহলে হয়তো মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে
(jagonews24)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় ২শ বছরের পুরনো গাছের ডাল ভেঙেপড়ে নানা ও নাতনির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন।
শনিবার বিকেলে উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভানুডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ভানুডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৫৫) ও তার নাতনি একই গ্রামের বকুল মিয়ার মেয়ে বীথি (৮)।

কাজিপুর দমকল বাহিনীর স্টেশন অফিসার ফরিদ উদ্দিন ও কাজিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কাজিপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়।
ঝড়ের কারণে ভানুডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত প্রায় ২শ বছরের পুরাতন একটি বটগাছ ভেঙে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া হাসপাতালে নেয়ার পথে দু'জন মারা যায়। এসময় গাছ ভেঙে পড়ার কারণে আশপাশের ৫টি দোকান ভেঙে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
(jagonews24)

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে আগাম তথ্য পেয়েছিলাম বিধায় আমাদের সরকার ও দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে দলীয় মনিটরিং সেলের কর্মকাণ্ড ও পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

হানিফ বলেন, আমরা দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। গত ১০ বছর তার শাসনামলে সবদিক থেকে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নের একটি বড় অংশ হচ্ছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের দুই হাজার কিলোমিটার দূরে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের খবর আমাদের দেশের আবহাওয়া অধিদফতর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে আগাম তথ্য পেয়েছিলাম বিধায় আমাদের সরকার ও দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে’ বলে দাবি করেন হানিফ। 

‘ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করছে’ বলেও যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বসে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। সরকার এবং দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে।’
ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আমি গতকালও বলেছিলাম, যারা এ ধরনের কথাবার্তা বলছেন, তাদের নোংরা ভাষায় কিছু বলা যায় না। তাই তাদের বক্তব্য অনেকেই পাগলের প্রলাপের সঙ্গে তুলনা করছেন।’
‘বিএনপি আসলে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ছিটকে পড়েছে। বিএনপি আজ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত। তারা নিজেদের সমস্যা ধামাচাপা দেয়ার জন্যই সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তারা নানা কথাবার্তা বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজেদের ব্যর্থতা চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মিডিয়া সেলে ১০০টি কল এসেছে। তারা তাদের এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা মনে করেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আমরা বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য-উপাত্ত নিচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় ফণী শেষ হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের টিম যাবে এবং সরকার ও দলের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত নন্দী রায়, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
(jagonews24)

শ্রীলঙ্কায় গত মাসে ইস্টার সানডের সকালে গীর্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা প্রশিক্ষণের জন্য ভারত সফর করেছিল। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহেশ সেনানায়েক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সেনাপ্রধান মাহেশ সেনানায়েকে বলেছেন, ‘হামলাকারীরা ভারতের কাশ্মীর, বেঙ্গালুরু ও কেরালা রাজ্যে গিয়েছিল। আমরা এখন পর্যন্ত এ তথ্য পেয়েছি। তবে তাদের ভারত সফরে যাওয়ার সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি।’

লঙ্কান এই সেনাপ্রধান বলেন, ‘সম্ভবত কিছু প্রশিক্ষণ অথবা দেশের বাইরের কিছু সংগঠনের সঙ্গে আরো বেশি সংযোগ স্থাপনের জন্য তারা এই সফর করেছিল।’
গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডের সকালে শ্রীলঙ্কার তিনটি গীর্জা, তিনটি বিলাসবহুল হোটেল ও আরো একাধিক স্থানে বোমা হামলা চালায় কমপক্ষে ৯ আত্মঘাতী হামলাকারী। এই হামলার ব্যাপারে আগাম তথ্য পাওয়ার পরও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর টানাপড়েনকে দায়ী করা হচ্ছে।
প্রথম বোমা হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেও চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। ভারতীয় গোয়েন্দাবাহিনী ও অন্যান্য দেশের দেয়া আগাম সতর্কবার্তার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে মাহেশ সেনানায়েকে বলেন, তারা গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করেছিলেন।
লঙ্কান এই সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আসা সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ও পরিস্থিতি সেই সময় ভিন্ন ধরনের ছিল। সেখানে এক ধরনের শূন্যতা ছিল; যা আজ প্রত্যেকেই দেখতে পাচ্ছেন।’
কলম্বোতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫৩ জনের প্রাণহানির পর ভারতের তামিলনাড়ু ও কেরালায় ব্শে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। ওই হামলার সঙ্গে ভারতীয়দের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তা জানতেই তদন্ত পরিচালনা কেরে এনআইএ।
রিয়াস আবু বকর নামের এক ভারতীয়কে থেকে গ্রেফতারের পর এনআইএ জানায়, কেরালায় রাজ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্লিপার সেল রয়েছে। গ্রেফতারকৃত এই তরুণ শ্রীলঙ্কান বোমা হামলাকারী জাহরান হাশিম ও বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েককে অনুস্মরণ করতো।
(jagonews24)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ চলে যাওয়ার পর রোববার (৫ মে) থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল শুরু হচ্ছে।
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাটের) যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির শনিবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগামীকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করতে পারব বলে মনে করছি। তবে এর আগে আমরা আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। আজকে যে পরিস্থিতি আশা করি আগামীকাল আবহাওয়া পরিস্থিতি নৌযান চলাচলের অনুকূলেই থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ধেয়ে আসায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদফতর।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল অবস্থায় বাংলাদেশ অতিক্রম করে। শনিবার দুপুর থেকে বিপদ সংকেত নামিয়ে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
(jagonews24)

আগামীকাল রোববার থেকে সারাদেশে আবহাওয়া স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে তাপমাত্রাও। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সন্ধ্যা ৬টার পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অর্থাৎ রোববার দিনের বেলা তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা বা আগামী ২ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের কার্যকারিতা কমতে পারে। আগামী ৫ দিনের পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।
শনিবার সারাদিনই বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার গত ২৪ ঘণ্টার রেকর্ড অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১২১ মিলিমিটার। এরপর খেপুপাড়ায় ১০৭, চাঁদপুরে ১০১, নেত্রকোনায় ৮৭, ময়মনসিংহে ৮৬ ও কুমিল্লায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
টেকনাফে কোনো বৃষ্টিপাতই হয়নি এবং এখানে সর্বোচ্চ তাপামাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কক্সবাজারে ৫, কুতুবদিয়ায় ৮, তেঁতুলিয়ায় ৯ ও রাঙামাটিতে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকায় ৪৫, টাঙ্গাইলে ৬২, ফরিদপুরে ৪২, মাদারীপুরে ৪১, গোপালগঞ্জে ৩৪, নিকলিতে ৭০, চট্টগ্রামে ১৭, সন্দ্বীপে ৩৯, ফেনীতে ৬০, হাতিয়ায় ৭৯, সিলেটে ৬৬, শ্রীমঙ্গলে ৫৩, রাজশাহীতে ৫৫, ঈশ্বরদীতে ৪৩, বগুড়ায় ৮১, বদগাছীতে ৭৫, তাড়াশে ৫৬, রংপুরে ৩৩, দিনাজপুরে ৩৯, সৈয়দপুরে ২৭, ডিমলায় ২৩, রাজারহাটে ৩৩, খুলনায় ২০, মোংলায় ১৫, সাতক্ষীরায় ২৫, যশোরে ৩৩, চুয়াডাঙ্গায় ৬১, কুমারখালীতে ৬৮, পটুয়াখালীতে ৭৪ ও ভোলায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
দেশে সবচেয়ে তাপমাত্রা কম ছিল রংপুরে ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
(jagonews24)

পাবনা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ অঞ্চল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত স্থল গভীর নিম্নচাপটি (ফণী) আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরিবর্তীতে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা অঞ্চলে অবস্থান করছে। এটি পরবর্তীতে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।


শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাঠানো বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ৪৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সিরিজে আবহাওয়ার আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হবে না।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্থল নিম্নচাপটির প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের কিছু কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।’
তাতে আরও বলা হয়, ‘উত্তর বঙ্গোপসাধরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য রয়েছে এবং এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর উত্তাল রয়েছে।’
‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
‘অমাবশ্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’
‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।’
(jagonews24)

ছোট ভাই জি এম কাদেরকে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
শনিবার (৪ মে) রাত ১১টার এরশাদ তার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে এক সাংগঠনিক নির্দেশে এ ঘোষণা দেন। এ সময় জি এম কাদেরও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


সাংগঠনিক নির্দেশনায় এরশাদ বলেন, আমি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, আমার অবর্তমানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আমার ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বর্তমান কো-চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি, পালন করবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ও নির্দেশ প্রদান করছি।
ওই সাংগঠনিক নির্দেশনায় তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে চেয়ারম্যানের নিয়মিত কার্যাবলী পালনে বিঘ্ন ঘটছে সে কারণে আমি এ দায়িত্বসমূহ পালনের জন্য এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করিলাম।
নির্দেশে বলা হয়, গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এ নিয়োগ প্রদান করা হলো। অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
এ সময় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয়সহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৩ মার্চ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকে জি এম কাদেরকে বাদ দেন তার ভাই ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার স্থলে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে রওশনকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য স্পিকারের কাছে চিঠিও দেন তিনি।
পরে ২৫ মার্চ রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় সংসদ।
এরও আগে ২২ মার্চ রাতে এক সাংগঠনিক নির্দেশে জি এম কাদেরকে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। ওই নির্দেশে তাকে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ‘কাদের পার্টি পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন, পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে এবং তিনি পার্টির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। পার্টির সিনিয়র নেতারাও তার নেতৃত্বে সংগঠন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এমনতাবস্থায় সংগঠনের স্বার্থে পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং কো-চেয়াম্যানের পদ থেকে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হলো। তবে তিনি পার্টির প্রেসিডিয়াম পদে বহাল থাকবেন।’
(jagonews24)

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ সহযোগিতা নিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শনিবার (৪ মে) রা‌তে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানককে ফোন করে এ নির্দেশনা দেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।


আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবা‌দিক‌দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফোনে প্রধানমন্ত্রী নেতাদের কাছ থেকে সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং উপকূলীয় এলাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গত এলাকায় কেউ যেন অনাহারে না থাকে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে নেতাকর্মীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ত্রাণ নিয়ে দুর্গত এলাকায় যেতে হবে।

নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা মনিটরিং করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও সহযোগিতা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী যখন ফোন করেন তখন কার্যালয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
(jagonews24)

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে দেশের সব জেলায় মেডিকেল টিম গঠন করছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ)।
রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় এই টিম গঠনের জন্য নিজ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিএমএ'র মহাসচিব ডাক্তার মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী।

আজ শুক্রবার তার স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের দেশব্যাপী সব শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্য নেতৃবৃন্দের জানানো যাচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগের সময় জনসাধারণের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে নিজ নিজ জেলায় মেডিকেল টিম গঠন করুন। সিভিল সার্জন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করার বিশেষ অনুরোধ করা হচ্ছে।
তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন জেলার নেতারা মেডিকেল টিম গঠন করে স্থানীয় সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
(jagonews24)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল শক্তি সঞ্চয়কারী ঘূর্ণিঝড় ফণীর আতঙ্ক এখন চারদিকে। শুক্রবার সকালের দিকে ভারতের ওড়িশা প্রদেশে আঘাত হানে এই ঝড়। ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর নারকীয় তাণ্ডবে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে যখন ফণীর আগ্রাসী ছোবলের আতঙ্ক তুঙ্গে, ঠিক তার আগে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছে হিমাচল প্রদেশ।

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, আতঙ্কে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছিলেন ওড়িশার লাখ লাখ মানুষ। তখনও ফণী ওড়িশায় আছড়ে পড়েনি। বঙ্গোপসাগর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ফণী। আর ঠিক তখনই নিশ্চিন্ত নিদ্রা থেকে চমকে উঠে পড়েন ভারতের অন্য প্রান্তের মানুষজন।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলা-সহ আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৪টা ৩২ মিনিট। ওই সময় কম্পনে অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএস বলছে, হিমাচলে শুক্রবার ভোরে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ২। শুক্রবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মান্ডি অঞ্চল। তবে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
এর আগে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ে অতি-প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ফণী। ওড়িশায় ফণীর নারকীয় তাণ্ডবে বাড়ি-ঘর ধসে পড়ার পাশাপাশি রাস্তায় উপড়ে পড়েছে শত শত গাছ। ওড়িশার অন্তত চারটি জেলা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
জিনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে দুপুরের পর থেকে তীব্র বাতাস ও বৃষ্টি বইছে। এর মাঝে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহাম্মদ নগর গ্রামে কয়েকটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সকালের দিকে ওড়িশার স্থলভাগে ফণী আছড়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর রায়দিঘিতে শুরু হয় ঝড়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফনি ভারতের ওড়িশা উপকূল পুরীর নিকট দিয়ে অতিক্রমরত। এটি বর্তমানে ওড়িশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করছে।
(jagonews24)

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত থেকে নিরাপদে থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
শুক্রবার সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
জীবন ও নিরাপত্তার প্রশ্নে সবাইকে সচেতন থাকারও আহ্বান জানান বিবৃতিতে।

বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিকটস্থ সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা ও সচেতনতায় কাজ করার আহ্বান জানান এরশাদ।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দুর্যোগকালে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান।
বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এবং পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
(jagonews24)

গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস। ফলে সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্যে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে।
শেয়ার মূল্যের উত্থানের পাশাপাশি কোম্পানিটির মোটা অঙ্কের শেয়ার লেনদেন হেয়ছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা।
জেনেক্স ইনফোসিসর পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জিবিবি পাওয়ার। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে কাট্টালি টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা- অ্যাডভেন্ট ফার্মার ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ, ইমাম বাটনের ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, ন্যাশনাল পলিমারের ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালের ১৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, লিগাসি ফুটওয়্যারের ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কের ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ দাম বেড়েছে।
(jagonews24)

গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে।
এদিকে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না থাকায় সপ্তাহজুড়ে শেয়ার লেনদেন হযেছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

অপরদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪০ পয়সায়, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৩১ টাকা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি ৩৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের পরেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল বাটা সু। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে মালেক স্পিনিং। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা- এবি ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, সাভার রিফ্যাক্টরিজের ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ, এসিআই লিমিটেডের ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বার্জার পেইন্টের ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বাংলাদেশ ল্যাম্পের ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ দাম কমেছে।
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget