Latest Post

সর্বশেষ মৌসুমে বাংলাদেশে চা উৎপাদনের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে। চায়ের মৌসুমে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ কেজি। তবে এ মৌসুমে চা উৎপাদিত হয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ কেজি যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন ৯৭ লাখ কেজি বেশি। চা-শিল্পের এত উন্নতি হলেও বদলায় না চা-শ্রমিকদের জীবন।
সারাদিন কাজের পর একজন চা-শ্রমিকের আয় হয় ১০২ টাকা। নেই নৃতাত্ত্বিক ও জাতিগত পরিচয়। লেখাপড়ার সুযোগ নেই, নেই স্যানিটেশনও। চিকিৎসার অভাবে মারা যান অনেকে। শিক্ষিত হলেও ১০২ টাকা রোজের নির্দিষ্ট কাজ করতে হয়। নয়তো হারাতে হয় মাথা গোঁজার জায়গা। কাজ করতে গিয়ে আহত হলে কোনো সাহায্য নেই। নিজের অধিকার নিয়ে যেন সোচ্চার হতে না পারে সেজন্য মালিকপক্ষের সহযোগিতার নেশার ঘোরে রাখা হয় শ্রমিকদের। পরিকল্পিতভাবে প্রতিটি চা-বাগানে আছে মদের দোকান।

এমনি এক হতভাগা জনগোষ্ঠী চা-শ্রমিকরা। ব্রিটিশ শাসনামলে সুন্দর জীবনযাত্রার লোভ দেখিয়ে বঙ্গভূমিসহ বিভিন্ন স্থানে আনা হলেও শুরু থেকেই চা-শ্রমিকদের কপালে জুটেছে শুধু অবহেলা-নির্যাতন। তারা যেন ডিজিটাল যুগের আধুনিক ক্রীতদাস।
স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও চা-বাগানের শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি তাদের জীবনযাত্রায়। এমনকি মৌলিক অধিকারও তারা ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। দেশে মোট চা-বাগান ১৬৪টি। চা-বাগানের প্রায় ১০ লাখ জনগোষ্ঠী এখনো ব্রিটিশ সামন্তবাদ আর স্থানীয় বাবু-সাহেবদের বেড়াজাল ছিন্ন করতে পারেননি।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সূত্রমতে, দেশে চা-জনগোষ্ঠী প্রায় ১০ লাখ। এর মধ্যে নিবন্ধিত শ্রমিক প্রায় ৯৪ হাজার। অনিয়মিত শ্রমিক প্রায় ৪০ হাজার। একজন চা-শ্রমিকের সাপ্তাহিক বেতন ৫৯৫ টাকা। সপ্তাহে দেয়া হয় ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম চাল বা আটা (বাজার দর হিসেবে যে পণ্যের দাম কম)।

৫-৬ সদস্যের অনেক পরিবার আছে যেখানে একজন কাজ পাচ্ছেন বাকিরা ১০২ টাকার ওপর নির্ভর করেই দিন চালাচ্ছেন। ছোট একটি ভাঙা ঘরে থাকতে হয় গবাদি পশুসহ সন্তানদের নিয়ে। বাগান কর্তৃপক্ষের ঘর মেরামত করে দেয়ার কথা থাকলেও তা হয় না বছরের পর বছর। তাদের নেই নিজস্ব কোনো জায়গা। বাগানে কাজ না করলে থাকার জায়গাও হারান কেউ কেউ।
২০১৬ সালের চুক্তি অনুসারে একজন শ্রমিককে অবসর ভাতা হিসেবে যত বছর কাজ করেছে তার মোট বছরের গড়ে দেড় মাসের বেতন হিসেবে পেনশন দেয়ার কথা। কিন্তু সেটা শুধু কাগজে কলমে। বৃদ্ধ বয়সে পরিবারের বোঝা হয়ে অর্ধাহার-অনাহারে বিনাচিকিৎসায় মরতে হয় তাদের। মাত্র কয়েকটি বাগানে নামমাত্র চিকিৎসাসেবা দেয়া হলেও বেশিরভাগ বাগানে সেটিও নেই।
চা-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এত কষ্টের মাঝেও তাদেরকে সব থেকে বেশি কষ্ট দেয় যখন সমাজের বিরাট অংশ বলে তারা ভারতীয়। যখন তারা বঙ্গে আসেন তখন ভারতবর্ষ ভাগ হয়নি। তারা শুধু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেছেন। সুতরাং তারা এই দেশের নাগরিক। সবারই নিজস্ব জাতি পরিচয় থাকলেও চা-শ্রমিকের সেটি নেই। তাদের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি থাকলেও কোনো স্বীকৃতি এখনো আদায় করতে পারেননি।
একজন শ্রমিককে বাগান ভেদে ১৬ থেকে ২৫ কেজি চা-পাতা তোলার দৈনিক টার্গেট দেয়া হয়। তা তুলতে না পারলে সারাদিন বৃথা। কিন্তু টার্গেটের থেকে যদি কেউ বেশি তোলেন তার জন্য আলাদা কোনো টাকা দেয়া হয় না।
এত বঞ্চনার পরও তারা কেন প্রতিবাদী হতে পারেন না এমন প্রশ্নের জবাবে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাম ভোজন কৈরী বলেন, আমাদের কষ্টের কথা বলে শেষ করা যাবে না। নিজেদের ভালোমন্দ বুঝে শ্রমিকরা যেন ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে সেজন্য মালিকপক্ষের পরোক্ষ সহযোগিতায় মদের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করে তাদের মাতাল করে রাখা হচ্ছে। একজন চা-শ্রমিক বাগানে কাজ না করলে তাকে বাগানে থাকতে দেয়া হয় না। অথচ প্রায় প্রতিটি বাগানে নিম্নমানের মদের দোকান আছে, যাদেরকে কোনো কাজ ছাড়াই থাকার জন্য জায়গাসহ সব ধরনের সুযোগ করে দিচ্ছে বাগানের মালিকপক্ষ।
বাংলাদেশ চা-সংসদ সিলেট ভ্যালির সভাপতি জিএম শিবলী বলেন, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ চলছে। প্রতিটি বাগানে প্রাথমিক স্কুল স্থাপন করা হচ্ছে।
চা-বাগানে মদের দোকান প্রসঙ্গে জিএম শিবলী বলেন, এগুলো সরকার থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। এতে কোনো সমস্যা নেই।
(jagonews24)

দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন, শিল্পায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় শিল্পকারখানা মালিকদের পাশাপাশি শ্রমিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি উন্নয়নের শপথ করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মলেন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, শিল্পকারখানা যাতে ভালভাবে চলতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে। শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। একই সঙ্গে শিল্প কারখানার মালিক পক্ষকেও মনে রাখতে হবে, শ্রমিকরা হচ্ছেন শিল্পায়ন, উন্নয়ন, সমৃদ্ধির প্রাণশক্তি। তাদের কারণে দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই শ্রমিকরা যাতে অধিকার বঞ্চিত না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম না কি বলেছেন- দেশের মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে। যারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, আরেকবার আফ্রিকার একটি দেশের সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। এ ব্যাপারে তো তাদের কথা বলারই অধিকার নাই। ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি নেতাদের বলব, এই ধরনের কথাবার্তা বন্ধ করে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করুন। দেশকে পিছিয়ে নেবার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে আসুন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দিচ্ছে তখন তাদের গাত্রদাহ হবে এটাই তো স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, এই বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে কমপক্ষে ১০০ পরিবহন চালককে, শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বাসে-ট্রাকে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে, মিল-করখানায় আগুন দিয়েছে। তাদের মে দিবস নিয়ে, দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার অধিকার নাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রম বিধিমালা ২০১৫ তৈরি করা হয়েছে, বাস্তবায়ন করা হয়েছে উন্নত মজুরি কাঠামো। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন ১৬০০ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন কুঁড়েঘর শুধু কবিতায় আছে, বাস্তবে নেই। আকাশ থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার দেখে মনে হয় এটা বাংলাদেশ নয়, অন্যকোনো দেশ। এটাই উন্নয়নের বাংলাদেশ, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক, মন্ত্রণালয়ের সচিব উম্মুল হাসনা, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি রুবানা হক, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুতিয়াইনেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ১০ জন শ্রমিক পরিবারকে সহায়তা ও সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৩ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
(jagonews24)

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উপকূলে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে তা আগামী ৪ মে (শনিবার) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তাই এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
বুধবার (১ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, রংপুর হয়ে দিনাজপুরের দিকে যেতে পারে। সেই সঙ্গে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে। আগামী ৪ মে সকাল নাগাদ এ ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ঘূর্ণিঝড়টি যে ডিরেকশনে আছে সেই ডিরেকশনে যদি এগোতে থাকে তাহলে এটা প্রথমে ভারতের ওড়িশায় আঘাত করবে, এরপর পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করবে। এরপর দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চল হয়ে সাতক্ষীরা অঞ্চলে আঘাত করবে। আর যদি দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে আসে তাহলে খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, চট্রগ্র্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।’
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এনডিআরসি (জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান কেন্দ্র) প্রতিনিয়ত সংবাদ দিয়ে যাচ্ছে। সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) হেডকোয়ার্টার এবং উপকূলীয় ১৯টি জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব জেলার উপজেলা পর্যায়েও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। রেডক্রিসেন্টের কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। উপকূলীয় আর্মি স্টেশনগুলোতেও ঢাকা থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা প্রস্তুতি রেখেছেন। সিপিপির ৫৬ হাজার ভলান্টিয়ারকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুত আছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ইতোমধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এসব জেলার প্রশাসকদের কাছে ২০০ টন চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে ৫ লাখ করে টাকাও দেয়া আছে। একইসঙ্গে ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্যালাইনের জন্য সুপেয় পানির ট্রাক পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ লন্ডনে যাওয়ার আগে মুখ্য সচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আশা করি মানুষের হতাহতের ঘটনা আমরা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারব। তবে ফসলের ক্ষতিটা রক্ষা করা যাবে না। প্রাণিসম্পদকেও যেন আশ্রয় কেন্দ্রে আনা যায় সেজন্য আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দিয়েছি।’
ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য ছুটি বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে সবাইকে সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, আমরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছি।
বৈঠকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানলে তা হবে ভয়াবহ। এটি বর্তমানে গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এর গতিপথ যেভাবে রয়েছে তাতে প্রথমে এটি ভারতের ওড়িশায় আঘাত করবে, এরপর পশ্চিম বাংলায় আঘাত করবে। কিন্তু এর গতিপথ যদি পরিবর্তন হয়ে সমুদ্রের কোল ঘেঁষে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হাতে তাহলে এটি খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, চট্রগ্র্রাম হয়ে ভয়াবহ আকারে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়া অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের এক অফিস আদেশে বলা হযেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সব শাখা অব্যাহতভাবে ১ মে থেকে খোলা থাকবে।
একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয় ও জরুরি সাড়াদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১ মে থেকে অব্যাহতভাবে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
(jagonews24)

ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ফেসবুকের বিরুদ্ধে নতুন নয়। তবে নতুন খবর হলো ফেসবুকে ঘুরতে থাকা অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকে ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের যে লিঙ্কগুলো আসে, এবার সেগুলোকে একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এই ধরনের একটি অ্যাপ থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

জানা গেছে, ওই অ্যাপগুলোতে যে লিঙ্ক দেওয়া হতো সেখানে ক্লিক করলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সব তথ্য চাওয়া হতো। না হলে ওই লিঙ্ক কাজ শুরু করত না। ফলে অনেকেই ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের জন্য ওই অ্যাপে ফেসবুকে থাকা সব তথ্য দিয়ে দিতেন।
এভাবেই তথ্য চুরি হয়ে যেত ব্যক্তিগত তথ্য। এ জন্য ফেসবুককেই দায়ী করেছেন অনেকে। তাদের বক্তব্য, ফেসবুক ওই সময় তথ্য চুরি ঠেকাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ওই তথ্যগুলো কোথায় ব্যবহার হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকলে আর সমস্যা হত না।
যদিও বছরখানেক আগেই ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী ফেসবুককে আরও সুরক্ষিত করা হচ্ছে।
(jagonews24)


আন্তঃনগর সব ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট এখন থেকে অ্যাপ, মোবাইল ও অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। রোববার ‘রেল সেবা’ নামে মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
জেনে নিন রেল সেবা অ্যাপ দিয়ে যেভাবে ট্রেনের টিকিট কাটবেন-

প্রথম ধাপ
এই ঠিকানা https://play.google.com থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ১৭ মেগাবাইট সাইজের এই অ্যাপটি এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপ
অ্যাপটি খুলে নাম, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, ঠিকানা, পোস্ট কোড, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মতারিখ ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ‌'সাইন আপ' করুন। যদি ওয়েবসাইটে আগেই অ্যাকাউন্ট খোলা থাকে তাহলে সেই মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন।
তৃতীয় ধাপ
Purchase ট্যাবে ক্লিক করুন। এবার From Station ট্যাব থেকে যে স্টেশন থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান তা নির্বাচন করুন। To Station ট্যাব থেকে যে স্টেশনে যেতে চান তা নির্বাচন করুন। Journey Date থেকে ভ্রমণের তারিখ নির্বাচন করুন। এরপর Search Train এ ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপ
এখানে আপনার গন্তব্যের সবগুলো ট্রেনের তালিকা দেখতে পাবেন। তালিকা থেকে পছন্দের ট্রেনের আসন, টিকিট সংখ্যা, পছন্দের সিট (যদি থাকে) নির্বাচন করুন।
পঞ্চম ধাপ
সবকিছু দেখে Pay Now ট্যাবে ক্লিক করুন। বাংলাদেশের যে কোন ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, এমেক্স কার্ড বা বিকাশ দিয়ে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে টিকিট বুঝে নিন।
ই-মেইল থেকে টিকিটের প্রিন্ট নিয়ে নিন। এই প্রিন্ট কপি দিয়েই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। চাইলে নির্ধারিত স্টেশন থেকে প্রিন্ট কপি দিয়ে ট্রেনের প্রিন্টেট টিকিটও সংগ্রহ করে ভ্রমণ করতে পারবেন।
একজন যাত্রী অ্যাপের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট নিতে পারবেন। রেলসেবা অ্যাপটি বর্তমানে সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই আইফোন ভার্সন চালু করা হবে।
(jagonews24)

বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়ালের ইন্টেলিজেন্স) ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষায় এই দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব বলেন। ব্যবসা মধ্যাহ্নভোজন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করার জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে এবং জনগণ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং চেইন নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকছে। আমাদের সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ককে গ্রহণ এবং মডেল করা দরকার।’
আগামীতে বিশ্বে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জগুলো অত্যন্ত কঠিন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষায় এ ধরনের দক্ষতার শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আমির ফরিদ আবু হাসান বলেন, ‘আগামীতে আমাদের প্রথম কাজ হবে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা।’
তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশে শিল্প অটোমেশনয়ের কারণে, বর্তমানে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, পাশাপাশি ঐতিহ্যগত পেশাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।’ ইতোমধ্যে, আসিয়ান দেশগুলোতে অটোমেশনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে; ফলস্বরূপ, বিপুল সংখ্যক লোক বেকার হয়েছে। তিনি সমস্ত গবেষক, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক এবং নাগরিকদের সুস্পষ্টভাবে জ্ঞান অর্জন করার পরামর্শ দেন, যাতে আমরা একটি ভালো ভবিষ্যত তৈরি করতে পারি এবং তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষিত হতে পারি।’
বিএমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নতির যুগ চলছে। যা দ্রুত বিশ্বের ক্রম পরিবর্তন করবে। এগুলো সময় সংবেদনশীল এবং দ্রুতগতিতে বিকশিত হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাই বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে হলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দ্রুত কার্যকর করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন বেসিস-এর সভাপতি ও বিএমসি-এর সহ-সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। প্রতিবেদনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মানসিক দক্ষতা ও উন্নয়নের সময় এসেছে। চাকরিগুলো অটোমেশন ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৫ শতাংশ কাজের মূল দক্ষতা পরবর্তী ৫ বছরে পরিবর্তিত হবে।’ অনুষ্ঠানে বিএমসিসিআই সদস্য, দেশের বিভিন্ন চেম্বারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ব্যাংকারা অংশ নেন।
(jagonews24)

পুঁজিবাজার খারাপ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই- এমন ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, বিনিয়োগকারীরা কেন কোন বিবেচনায় শেয়ার বিক্রি করছে তা আমার মাথায় ঢোকে না।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতি ভালো হবে না। উন্নয়নকে ধরে রাখতে হলে পুঁজিবাজারকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। পুঁজিবাজার খারাপ হবে কীভাবে? আমার মাথায় ঢোকে না।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি কিছুদিন পর একটি বাজেট আসবে। প্রত্যেক দেশেই যখন বাজেট হয় সেই বাজেটে কিছু প্রাধিকার থাকে। পুঁজিবাজারের সঙ্গে লাখ লাখ পরিবার জড়িত। এই লাখ লাখ পরিবারকে বাদ দিয়ে সরকার কখনও এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে না। আপনারা সত্যিকারের যদি বিনিয়োগকারী হন তাহলে কিছু না কিছু ক্ষেত্র থাকবে যেখান থেকে আপনারা লাভবান হবেন।
‘কীভাবে কোন বিবেচনায় আপনারা এখন শেয়ার বিক্রি করছেন তা আমার মাথায় ঢোকে না। যখন শেয়ারের দাম বাড়বে তখন আপনাদের কাছে শেয়ার থাকবে না’ বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকারের যে অগ্রাধিকার জায়গাগুলো রয়েছে তার মধ্যে পুঁজিবাজার অবশ্যই রয়েছে। বাজেট থেকে পুঁজিবাজার অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবে। কিন্তু শেয়ার তো বিক্রি করে ফেলেছেন। আমি আপনার ভালো চাই, শেয়ারবাজারের ভালো চাই। আমি ফেল করার মানুষ না।

দেশের পুঁজিবাজার আরও শক্তিশালী অবস্থায় যাওয়ার দরকার ছিল- এমন মন্তব্য করে তিনি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের পুঁজিবাজার ফলো করেন। ভারতকে ফলো করেন। আমরা মালয়েশিয়াকে ফলো করি, সিঙ্গাপুরকে ফলো করি, তাহলে বিপর্যয় আসার সম্ভাবনা থাকবে না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী অবস্থায় আছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। ডিএসই চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এতে সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বক্তব্য রাখেন।
খায়রুল হোসেন বলেন, স্মল ক্যাপ মার্কেট শেয়ারবাজারের গভীরতা বাড়াতে সহায়তা করবে। আর শেয়ারবাজারে লেনদেন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এই মার্কেটের মাধ্যমে কোম্পানির আয় ও কর্মসংস্থান বাড়বে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে কাজ করবে এবং জিডিপিতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, যারা স্মল ক্যাপের আওতায় শেয়ারবাজারে আসতে চান, তারা এমন উদাহরণ নিয়ে আসবেন-যা পরবর্তীতে এই মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
খায়রুল বলেন, শেয়ারবাজারে কিছু সমস্যা আছে। যেগুলো নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। যিনি শেয়ারবাজার শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজার এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, শেয়ারবাজারের অব্যাহত পতনে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। কিন্তু কেন তাদেরকে রাস্তায় নামতে হলো। এর জন্য কারা দায়ী। তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এটা কোনো ছেলেখেলা না।
তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার আন্তর্জাতিক মানের হবে বলে সাবেক অর্থমন্ত্রী বলতেন। কিন্তু তার কতটা হয়েছে। আর সেই ডিমিউচ্যুয়ারাইজেশনের মাধ্যমে আমাদেরকে ২৫ শতাংশ শেয়ার বেচতে বাধ্য করা হলো। প্রতিটি ২২ টাকা করে বিক্রিতেও বাধ্য করা হলো। পৃথিবীর কোন দেশে এভাবে শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করা করা হয়। এছাড়া শেয়ার বিক্রির সেই টাকাও এখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করা হচ্ছে। বাজারের বর্তমানে অবস্থায় বিনিয়োগ করলে, সেটা আবার হারিয়ে যাবে। এমনিতেই ব্রোকারেজ হাউজ বন্ধ করার উপায়।
তিনি বলেন, গত ৭ বছরে দুর্বল ও পচা কোম্পানি আনা হয়েছে। সেগুলো আবার বিনিয়োগকারীদের খাওয়ানো হয়েছে। সেসব কোম্পানিতে পুঁজি হারিয়ে গেছে। কিন্তু কারা এইসব পচা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে এনেছে। কারা দায়ী। এদেরকে খুঁজে বের করার জন্য আপনি (অর্থমন্ত্রী) একটি কমিশন গঠন করুন। আর ভবিষ্যতে কোনো পচা কোম্পানি যাতে শেয়ারবাজারে না আসে, সেদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নজর দিন।
(jagonews24)

প্রাতিষ্ঠানিক চাপ আর প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থার কবলে পড়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার খবর রোজ আমাদের চোখে পড়ে। কিন্তু ভারতে গত এক সপ্তাহে একই প্রদেশের ২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে সামান্য প্রাযুক্তিক ভুলের কারণে পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আত্মহত্যাকারী সেই ২১ শিক্ষার্থী দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা প্রদেশের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন তরুণ চলন্ত ট্রেনের সামনে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অপর এক তরুণী নিজের শরীরে আগুন দিয়েছিলেন।
দেশটির মন্ত্রীরা স্বীকার করেছেন, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে তাদের কিছু বড় ভুল ছিল। সম্প্রতি প্রণীত নতুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিক্ষার খাতাগুলো মূল্যায়ন করা হয়। তাছাড়া এর পেছনে মানব সৃষ্ট কিছু ভুলও ছিল বলে জানান তারা।
যারা আত্মহত্যা করেছেন তারা সবাই ছিলেন ভালো ফল করা শিক্ষার্থী। কিন্তু এবারের পরীক্ষার পর তাদের প্রাপ্ত নাম্বার এত কমে যায় যে তারা পাস করতে ব্যর্থ হন। আর এমন হতাশা থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেন তারা।

এক সপ্তাহের মধ্যে ২১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার কারণ সবার সামনে উন্মোচিত হওয়ায় শত শত অভিভাবক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। রাজনৈতিক নেতারা অবশ্য সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যদি কারো মনে হয় তার পরীক্ষার খাতায় কোনো সমস্যা আছে তাহলে অভিযোগ জানাতে হবে।
বিক্ষোভরত এক অভিভাবক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম বছরের পরীক্ষায় আমার ছেলে প্রথম হয়েছিল কিন্তু এখন সে এত কম নাম্বার পেয়েছে যে পাস করতে পারেনি। আমি জানি না আমি এখন কি করবো।’
তেলেঙ্গানার সেই পাবলিক পরীক্ষায় আনুমানিক ১০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো যান্ত্রিক ত্রুটিতে ভুলভাবে খাতা মূল্যায়নের কারণে সেই ১০ লাখ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি পাস করতে পারেনি।
তেলেঙ্গানা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘পরীক্ষায় ফেল করা মানে জীবন থেকে সবকিছু হারিয়ে যাওয়া নয়। জীবন খুব সুন্দর। এমনকি যদি কেউ ফেলও করে তারও অনেক সুযোগ আসবে জীবনে।’
(jagonews24)

শীলঙ্কায় অবস্থানরত সৌদি নাগরিকদের দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলম্বোতে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস। শ্রীলঙ্কার চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার তার নাগরিকদের শ্রীলঙ্কা ছাড়ার এমন নির্দেশ দিল।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানলে আল আখবারিয়াকে উদ্ধৃত করে এবংকলম্বোয় সৌদি দূতাবাসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সৌদি দূতাবাস এই নির্দেশ দেন।
সৌদি দূতাবাসের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ‘শ্রীলঙ্কার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাই দূতাবাস থেকে নাগরিকদের দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আট স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ২৫৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪২ জন বিদেশি নাগরিক। হামলার পর থেকে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে বেশ কয়েকটি দেশ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) তিনদিন পর ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। স্থানীয় মুসলিম জঙ্গি দল ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত (এনটিজে) নেতা জাহরান হাশিম হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল বলে ধারণা তদন্ত কর্মকর্তাদের।
ইস্টার সানডের সেই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা দেশে প্রায় ১০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
(jagonews24)

কৃষক সেজে কৃষকদের সঙ্গে মাঠে নেমে ধান কেটেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটেন উপমন্ত্রী। এ সময় উপমন্ত্রীকে ধান কাটতে দেখে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। সেই সঙ্গে কৃষকদের মধ্যে উদ্দীপনা দেখা যায়।
পরে কৃষকদের উদ্দেশ্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, কৃষকের মুখে হাসি দেখলে হাসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কৃষকের চোখে কান্না দেখলে কান্না করেন শেখ হাসিনা। একদিন তিনি কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও স্লোগান দিয়ে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেটি আজ সফলতা পেয়েছে। তার হাত ধরে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক পরিশ্রম ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে হাওরের সুরক্ষিত বাঁধ নির্মাণ করে কৃষকের ফসল রক্ষা করে আসছেন। আপনারা নিশ্চিন্তে হাসিমুখে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেবেন।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিত ৫৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব এলাকায় ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং হাওরের কৃষকরা।
(jagonews24)

আইপিএল মানেই টাকার ঝনঝনানি। এই টুর্নামেন্টে এক একটা ম্যাচে কি পরিমাণ আয় হয়, শুনলে অনেকেরই বিশ্বাস হবে না। প্লে-অফের তিনটি ম্যাচের কথাই ধরুন না। এই তিন ম্যাচে শুধু গেট থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) আয় হবে প্রায় সাড়ে ২৪ কোটি টাকা!

আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপপর্বের ম্যাচে গেট থেকে যে আয় হয় সেটা চলে যায় বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজিতে। কিন্তু শেষ চারটি ম্যাচের (প্লে-অফের তিনটি ও ফাইনালের একটি) গেটের মূল্য পাবে বিসিসিআই।গত মৌসুমে এখান থেকে বিসিসিআইয়ের রোজগার হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ কোটি রুপি, বাংলাদেশের হিসেবে ২১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এবার সেটা হচ্ছে আরও দুই কোটি বেশি, ২০ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
এবারের আইপিএলের ফাইনাল হবে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১২ মে। প্রথমে চেন্নাইয়ে হওয়ার কথা থাকলেও তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের আই, জে ও কে ব্লক ব্যবহারের অনুমতি জোগাড় করতে পারেনি। এ কারণে ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চেন্নাই থেকে।
তবে চেন্নাই সুপার কিংসকে দেয়া হয়েছে প্রথম কোয়ালিফায়ার আয়োজনের দায়িত্ব। ৭ মে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর হবে বিশাখাপত্তমে।
(jagonews24)

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিমানের সার্বিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার বিমানের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে নতুন এমডি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ও সিনিয়র ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল। তিনি এর আগে কয়েক দফা ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ৩১ মে মোসাদ্দিক আহমেদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। টানা তিন বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী পদে চুক্তিভিত্তিক ছিলেন তিনি। এ সময় বিমানের টিকিট বিক্রি ও কার্গোর অনিয়ম বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং কার্গোর ৪১২ কোটি টাকা লুটপাট করা তৎকালীন পরিচালক আলী আহসান বাবু ও কার্গোর বর্তমান জিএম আরিফ উল্লাহর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে গড়িমসি করেন। গত দুইদিন বিমান অ্যাডমিন শাখা থেকে ফাইল পাঠানো হলেও মোসাদ্দিক আহমেদ চার্জ গঠনে অনুমতি দেননি।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী পরিচালক আলী আহসান বাবুর কার্গো জালিয়াতি তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। সদ্য ওই কমিটির প্রধান ডেপুটি সেক্রেটারি লন্ডন স্টেশন থেকে আসা কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ তদন্ত করতে লন্ডনে যান। অভিযোগগুলোর সত্যতাও মিলেছে। এসর অনিয়ম মোসাদ্দিক আহমেদের সময়ে হওয়ার তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে গেল বিমান পরিচালনা পর্ষদ।
১৯৮৩ সালে বিমানের সহকারী ম্যানেজার পদে কাজ শুরু করেন মোসাদ্দিক আহমেদ। ২০১৫ সালে বিমানের পরিচালক পদ থেকে অবসরে যান তিনি। পরিচালক পদে দায়িত্বপালনকালীন বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি ও প্রধান নির্বাহী পদের দায়িত্বে পাওয়া যায় তাকে। আগেও অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, বিমানের সার্বিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার বিমানের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
(jagonews24)

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চাকরিতে ঢোকার বয়স বাড়ানোর দাবি করা হচ্ছে। ৩৫ বছরে যদি কেউ পিএসসিতে পরীক্ষা দেয়; ওই পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট হয়ে চাকরিতে ঢুকতে ঢুকতে ৩৮ বছর হবে। ৩৮ বছর বয়সে একজন চাকরিতে ঢুকবে আবার কেউ কেউ ২২ বছর বয়সে একই চাকরিতে ঢুকবে। কত বছর ডিফারেন্সে দুইজন একসঙ্গে চাকরিতে ঢুকবে? এটা কি তারা চিন্তা করছে।’

মঙ্গলবার সংসদে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অন্তত ৩২ করার সুপারিশ করলে এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেখা যায় কেউ হয়তো ২৪-২৫ বছরেই চাকরিতে ঢুকছে। তারা অবসরে চলে যাচ্ছে। আমরাতো ইতোমধ্যে অবসরে যাওয়ার বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করেছি। যে ৩৮ বছরে চাকরিতে ঢুকবে সে ২২ অথবা ২৩ বছর চাকরি করতে পারবে। সে কিন্তু পূর্ণ পেনশন পাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জন্ম থেকে মেধা বা উদ্যম বা তারুণ্য বা সৃজনশীলতাটা সবথেকে বেশি থাকে ২৪ কিংবা ২৫ বছর বয়সে। ২১ বছরেই একজন মানুষ পূর্ণ মানুষ বলা হয়। ২১ বছর থেকেই একজনের পূর্ণতা পায়। ২১ থেকে ২৫ বছরই সবচেয়ে কর্মদক্ষতা থাকে। এই সময়টা কোথায় যাবে। একটা মানুষের সবচেয়ে মূল্যবাদ সময়টা ওরা কী করবে?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের তো ৩০ বছর পর্যন্ত চাকরির বয়স। ৩৮ বছর হলে আরও ৮ বছর চলে যাবে। এটা বৃদ্ধ না হলেও পৌঢ়তে চলে যাচ্ছে। এ সময় চাকরিতে ঢুকে তারা কী কাজ করতে পারবে? তারপর আবার বলা হবে অবসরের বয়স বাড়ানো হোক। অবসরের বয়সসীমা বড়ানো হলে নতুন চাকরি দেয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন কেউ আর অবসরে যাবে না, পদখালি হবে না, আর চাকরিও দেয়া যাবে না। তাহলে আমরা যাবটা কোনদিকে? চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করলে অবসরের বয়স ৬২ বা ৬৫ করতে হবে। তখন নতুন চাকরিই দেয়া যাবে না। সুতরাং শুধু একটা দাবি তুললেই হয় না, সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাকরির বয়স বাড়ানো নিয়ে যারা আন্দোলন করে তাদেরকে এগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। হ্যাঁ, আমাদের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খুব কম খরচে পড়ানো হয়। সুতরাং ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া যায় সেটাই ভালো। সেটার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আমরা সরকার গঠন করার পর কোনোবারই পিএসসির পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়নি। নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে এবং সবাই চাকরিতে ঢুকতে পারছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সেশনজট অনেকটাই কমিয়ে এনেছি। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সেশনজট রয়েছে; সেটাও যাতে না হয় সে ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি।’
(jagonews24)

ভুরিভুরি গোল মিস করেও ৩-০ গোলের জয়ে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে মৌসুমীরা সহজেই হারিয়েছে মঙ্গোলিয়াকে। গোল করেছেন মনিকা, মার্জিয়া ও তহুরা।

অর্ধডজন সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ গোলের দেখা পায় প্রথমার্ধের বাড়িয়ে দেয়া সময়ে। মনিকা চাকমা বাঁ পায়ের ভলিতে মঙ্গোলিয়ার জাল কাঁপালে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
৬৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। মনিকার বাড়িয়ে দেয়া বল ধরে মার্জিয়া অফসাইড ট্র্যাপ ভেঙ্গে বক্সে ঢুকলে সামনে এগিয়ে আসেন মঙ্গোলিয়ার গোলরক্ষক। কিন্তু মার্জিয়া নিখুঁত প্লেসিংয়ে বল চলে যায় জালে।
৮৫ মিনিটে বাংলাদেশের তৃতীয় গোল করেন বদলি স্ট্রাইকার তহুরা খাতুন। মনিকার পাস থেকে বল পেয়ে তহুরা যে শট নেন, তা মঙ্গোলিয়ার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে চলে যায় জালে।
৩ মে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে লাওসের বিরুদ্ধে।
(jagonews24)

সেমিস্টার পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনট ভবনে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে সিন্ডিকেট বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের চার শিক্ষকের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।সিন্ডিকেট সদস্য ও আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পরীক্ষায় নকলের দায়ে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও সংবাদপত্রে নিবন্ধ লিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের বিষয়ে চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সে বিষয়ে সুপারিশ আকারে আগামী সিন্ডিকেটে উপস্থাপনের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সিন্ডিকেট। এর আগে সিন্ডিকেট অধ্যাপক মোর্শেদকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছিল।
সিন্ডিকেট আগামী ৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনের দিনক্ষণও চূড়ান্ত করে। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী জাপানের তাকাকি কাজিটা।
জানা গেছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সেমিস্টারে পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে হল ইনভিজিলেটরের হাতে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিলিনারি বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত করে সিন্ডিকেট।
এদিকে পরীক্ষার টেবুলেশন শিটে নম্বর টেম্পারিংয়ের দায়ে বাংলাদেশ মেডিকেলের চার শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
(jagonews24)

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নিয়ম অনুযায়ী আজই ছিল শপথ নেয়ার শেষ দিন। এর আগে গতকাল বিএনপির চারজন শপথ নিলেও শপথ নেয়া থেকে বিরত ছিলেন মির্জা ফখরুল।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ৯০ দিনের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শপথ নেয়ার কথা। কিন্তু তিনি অসমর্থ হওয়ায় তার আসনটি শূন্য হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণের অসমর্থ হওয়ায় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮ (৩) অনুযায়ী বিষয়টি সংসদকে অবহিত করার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী বিষয়টি সংসদকে অবহিত করা হলো।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন।
নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন তারা। নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।
এসবের মধ্যেই শপথ নিলেন গণফোরামের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান।
এরপর ২৫ এপ্রিল শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়া জাহিদুর রহমান। এর জেরে ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জাহিদুরকে ২৭ এপ্রিল বহিষ্কার করা হলেও ২৯ এপ্রিল শপথ নেন বিএনপির আরও চারজন। তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।
এরপর আজ সকালে শপথ নেওয়ার সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে মির্জা ফখরুল স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়লেও সন্ধ্যায় অধিবেশন শুরুর আগে স্পিকার জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিবের এ-সংক্রান্ত কোনো অফিসিয়ালি চিঠি স্পিকারের দফতরে পৌঁছায়নি।
বগুড়ার এই আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। ফখরুল ইসলাম আলমগীর পেয়েছিলেন ২ লাখ ৫ হাজার ৯৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম ওমর পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৯৬১ ভোট।
(jagonews24)

আজ মহান মে দিবস। সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। আজকের এই দিন শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস এই দিন। মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা আর শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটার স্বপ্ন দেখারও দিন এটি।

১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন দিনটি পালন করতে শোভাযাত্রা, সমাবেশ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকদের কলকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বাণী দিয়েছেন। এ বছর মে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘শ্রমিক মালিক ঐক্য গড়ি, উন্নয়নের শপথ করি।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেমন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ পোশাকশিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দুই অংশ, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় শ্রমিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়সংলগ্ন শ্রমভবন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে। র‌্যালিটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে এসে শেষ হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন। বিকেল ৩টায় মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় নয়াপল্টন থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদপত্র বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেরসকারি রেডিও ও টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের কর্মসূচি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
তিনি বলেন, ‘মে দিবস উদযাপনে বুধবার বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপসমূহ সজ্জিতকরণ করা হবে।’
‘২ মে বিকেল ৩টায় প্রেসক্লাবে ‘কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা প্রতিষ্ঠায় মালিক শ্রমিক ও সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত শ্রম অধিদফতর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মাঠপর্যায়ের দফতরের যৌথ সমন্বয়ে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্বাবধানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে ২০১৮ সাল থেকে গত মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৫২টি ট্রেড ইউনিয়নকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। শ্রমিক ভাই-বোনদের যেকোনো সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে সার্বক্ষণিক টোল ফ্রি হেল্প লাইন (১৬৩৫৭) চালু করেছি। কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনয়ন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করতে লেবার ইন্সপেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন (লিমা) চালু করেছি। শ্রম পরিদর্শকদের দেয়া ট্যাবে এই এ্যাপসটি ইনস্টলের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিদর্শন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
(jagonews24)

প্রিয়.কম) রাজধানীর গুলিস্তানে পুলিশের ওপর বিষ্ফোরণ ঘটানো ককটেলটি মোটেই সাধারণ ছিল না, এটি বেশ শক্তিশালী ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া
৩০ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
২৯ এপ্রিল, সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের ডন প্লাজার সামনে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে একটি ককটেল ছোড়া হয়। এতে ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৩৭) ও লিটন (৪২) এবং কমিউনিটি পুলিশ মো. আশিক (২৮) আহত হন।
হামলাটি সত্যিই আইএস চালিয়েছে কি না সে সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
‘আইএস যে ক্লেইম করেছে তা তাদেরই কি না বা অন্য কেউ প্রতারণামূলক এ ধরনের পোস্ট দিয়েছে কি না, তা আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অ্যান্টি-টেরোরিজম বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, তারা পরীক্ষা করে দেখছেন।’ তবে বিস্ফোরণ ঘটানো ককটেলটি সাধারণ ককটেল থেকে ভিন্ন ধরনের ছিল বলেই উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার।
এদিকে সাইট ইন্টেলিজেন্স নামের একটি আন্তর্জাতিক মাধ্যম বলেছে, ওই হামলা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) থেকে চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আইএস বলেছে, দুই বছরে এই প্রথম ঢাকায় কোনো হামলা চালাল তারা।
(priyo)

ডেস্ক রিপোর্ট : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি (এটিটি) থেকে বেরিয়ে যাবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না। ইন্ডিয়ানায় ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনে দেয়া বক্তব্যে স্থানীয় সময় শুক্রবার তিনি এ ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পরপরই হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে এ চুক্তি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ রাশিয়া-চীনের মতো শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র রফতানিকারক দেশই এ চুক্তির আওতায় নেই।২০১৩ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে অস্ত্রের কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩০টি দেশ অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তিতে সাক্ষর করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাম অস্ত্র রফতানির তালিকায় বিশ্বে প্রথমে রয়েছে।
(amadershomoy)

পুরো মৌসুমেই তিনি বার্সেলোনার ত্রাতা। শিরোপাক্ষণে এসেও ব্যতিক্রম হল না। লেভান্তের বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত গোলটা যখন আসছিল না, তখন বদলি হিসেবে নেমে লিওনেল মেসি জাল খুঁজে নিয়ে বার্সাকে লা লিগার শিরোপা উৎসবে মাতালেন।

শনিবার রাতে ঘরের মাঠে লেভান্তেকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সা। তাতে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই টানা দ্বিতীয় মৌসুমে, সবশেষ ১১ মৌসুমের মধ্যে অষ্টমবার, আর ২৬তম বার লিগ টাইটেল ঘরে তুলল কাতালান জায়ান্টরা।


ন্যু ক্যাম্পে আর্নেস্টো ভালভার্দে মেসিকে বাইরে রেখে শুরুর একাদশ সাজিয়েছিলেন। প্রথমার্ধ কাটে গোলশূন্য। আধা ডজন সুযোগ হাতছাড়া আর বিরতির আগে আগে কৌতিনহোর ফ্রি-কিক ক্রসবারে ধাক্কা দেয়া ছাড়া বিশেষ কিছু ঘটেনি।মধ্যবিরতির পর কৌতিনহোর বদলি হিসেবে মেসিকে মাঠে পাঠান কোচ। সাফল্য আসে চকিতেই। ম্যাচের ৬২ মিনিটে গোল আনেন অধিনায়ক। ভিদালের পাস ধরে সেটি জালে ঠেলে দেন।
চলতি লিগে মেসির যেটি ৩৪তম গোল, যা সর্বোচ্চ। সেই সঙ্গে এই গোলে দারুণ আরেকটি রেকর্ড গড়েছে মেসি। লা লিগায় বদলি হিসেবে নেমে ২৪তম বার জাল খুঁজে নিলেন, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। একুশ শতকেই আর কেউ এমন কীর্তি গড়তে পারেননি।উল্লাসের রাতে ৩৫ ম্যাচে ২৫ জয়, ৮ ড্র আর ২ হার সঙ্গী থাকল বার্সেলোনার লিগ টাইটেল ধরে রাখার পথে, পয়েন্ট দাঁড়াল ৮৩তে। দুইয়ে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৭৪।
(channelionline)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget