জুন 2019

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম রওশন আরা মান্নানের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের জনগণের কল্যাণে এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তাছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত সংস্থা। কমিশন নিরপেক্ষভাবে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে। বর্তমানে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দফতরে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করছে। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা কমে আসছে। দুদক প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির স্বরূপ এবং কারণ উদ্ঘাটন করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরে সুপারিশ প্রেরণ করে। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দফতরসমূহ তাদের প্রতিষ্ঠানে সংগঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে। দুদকের এরূপ কার্যক্রমের ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরে দুর্নীতির মাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকৌশল প্রণয়ন করেছে। এ কর্মকৌশলের আওতায় দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণশুনানি আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি; ‘স্কুল-কলেজের সততা সংঘ’ গঠন এবং ‘সততা স্টোর’ স্থাপন করা হয়েছে । এসব ইতিবাচক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আমলে দুর্নীতি প্রতিরোধে গ্রহণ করা যাবতীয় ব্যবস্থার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
(jagonews24)

এম. নজরুল ইসলাম : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। এই দিনে আবির্ভাব ঘটেছিল কথিত ওয়ান ইলেভেন-এর। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একতরফা সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনা নিয়ন্ত্রিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’।

‘ওয়ান ইলেভেন’ এর এই পটপরিবর্তন নানা অস্বস্তির জন্ম দেয় শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেই দুই বছরে দল ভাঙা-দল গড়ার ‘খেলা’ও ওই সময়ে দেখে জনগণ। সে সময় দুর্নীতির মামলায় বহু রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে মুক্তি দিয়েই নির্বাচনের দিকে এগোতে হয় ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’কে। আজ ১১ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ শেষে ২০০৮ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
আমরা যদি একটু পেছন ফিরে দেখি তাহলে দেখতে পাই, ২০০৭ সালে একটি চেপে বসা অপশক্তি কী প্রতাপে দেশ শাসন করে গেছে! চেপে বসা শাসকদের চাপে পিষ্ট তখন গণতন্ত্র। রাজনীতি যেন গর্হিত অপরাধের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। রাজনীতিক পরিচয় দিতেও অনেকে কুণ্ঠিত ছিলেন তখন। পাঁচ বছরের জোট অপশাসনের পর চেপে বসা শাসককূল তখন রীতমতো ত্রাস। রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলার আভাস দিয়ে রাজনীতি থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করার কথা তখন এমন করে বলা হতো, যেন রাজনীতি এক গভীর পঙ্কে নিমজ্জিত। অবশ্য জোট অপশাসন রাজনীতিকে অনেকটাই সে পর্যায়ে নিয়ে যায়। আর সেই সুযোগেই চেপে বসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মোড়কে ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’ নামের নতুন এক শাসনব্যবস্থা। ওয়ান-ইলেভেন নামের পট পরিবর্তনের পর সরকার পরিচালনায় আসা এই সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার পর সাহসী রাজনীতির পারিবারিক ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাসকে মুছে ফেলার কী কুৎসিত-নির্মম ও ভয়াবহ চক্রান্তই না করেছিল প্রতিক্রিয়াশীল চক্র! চেষ্টা করেছে সংকীর্ণ রাজনীতির হীনম্মন্যতার ছদ্মাবরণে তাঁর ভাবমূর্তি নস্যাৎ করতে। রাজনৈতিক নিষ্ঠুর প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও চক্রান্তের জাল বিছিয়েছে গোপনে!
আমরা যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের দিকে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখতে পাই জীবনের সিংহভাগ তাঁকে থাকতে হয়েছে কারা অভ্যন্তরে। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের এই মহান নেতাকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি পশ্চিম পাকিস্তানের চেপে বসা শাসকগোষ্ঠী। বঙ্গবন্ধুর মতোই যেন ভাগ্যবরণ করতে হয়েছে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকে। দেশের মানুষ যখন অধিকারবঞ্চিত, ১৯৮১ সালে তিনি চেপে বসা শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে দাঁড়িয়েছেন অধিকারবঞ্চিত মানুষের পাশে। যেমন দাঁড়িয়েছিলেন জাতির পিতা। শেখ হাসিনার চলার পথটা সহজ ছিল না কোনোদিনই।
এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে জেল জুলুম নতুন কোন ঘটনা নয়। মহৎ রাজনীতিকরা কারাগারে বসেই তাঁদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা করেছেন, এমন অনেক নজির আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনাও নির্জন কারাবাসকালে অলস সময় কাটাননি। কারাগারের নির্জনতাকে তিনি তাঁর সৃজনশীল রাজনৈতিক চিন্তায় সময় পার করেছেন। তাঁর চরিত্রের যে বিষয়টি সবারই নজর কাড়ে তা হচ্ছে তাঁর গভীর প্রত্যয়। দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ জননেত্রী গভীর সঙ্কটেও জনগণের কল্যাণ চিন্তা করেন। সেই চিন্তার প্রতিফলন এরই মধ্যে ঘটেছে। এক স্মৃতিচারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার যে পরিকল্পনা, তা সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাগারে নিঃসঙ্গ দিনগুলোতেই তৈরি করেছিলেন তিনি।
আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক উত্থান-পতন লক্ষ করা যায়। রাজনীতির ইতিহাসে কিছু কিছু ঘটনা ঘুরে ঘুরে আসে। যদি বলা হয় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, খুব একটা বাড়িয়ে বলা হবে না। আমাদের দেশের রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুকে কোনোদিন মুছে ফেলা যাবে না। যদিও তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার অনেক চেষ্টাই হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে অভিষেক যেমন তাঁর জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না, তেমনি মসৃণ নয় তাঁর রাজনৈতিক চলার পথটিও। পায়ে পায়ে পাথর ঠেলে, শেখ হাসিনাকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু জনগণকে আস্থায় নিয়ে রাজনৈতিক কল্যাণের যে পথযাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর, তা থেকে তাঁকে বিচ্যূত করা যায়নি। ১৯৮১ থেকে এই দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাটি একেবারেই কুসুমাস্তীর্ণ বলা যাবে না। বরং কণ্টকাকীর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বাবার মতই অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন। দীর্ঘদিন কাটাতে হয়েছে নিঃসঙ্গ পরবাস। স্বামী-সন্তান নিয়েও গভীর বেদনার দিন পার করতে হয়েছে তাঁকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্য সদস্যদের হারিয়েও স্বদেশে ফিরতে পারেননি তিনি। দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পরও ছায়ার মতো তাঁকে অনুসরণ করেছে ঘাতক। একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন। বসেন বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসনে। জনস্বার্থে ১৯৮৮ সালে পদত্যাগ করলেন। তারপর যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রাম। তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে কয়েকবার চট্টগ্রামে, কোটালিপাড়ায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। বাংলার মানুষের ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছে শত্রু। তারপরও ষড়যন্ত্র কম হয়নি তাঁকে নিয়ে। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করাটাও ছিল গভীর এক ষড়যন্ত্র । ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়ে দেশে ফিরে আসার পর থেকে ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৯০ ও ২০০৭ সালেও গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
আজকের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে অনেক কালো অধ্যায় পার হয়ে আসতে হয়েছে। এখনও বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে চলতে হচ্ছে। কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, শেখ হাসিনার পায়ে পায়ে পাথর। সেই পাথর সরিয়ে শেখ হাসিনা গত দশ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে এক সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গভীর এক ষড়যন্ত্রের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে দেশ। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তারই রেশ। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করতে হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। বঙ্গবন্ধুকন্যাই পারেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে উন্নয়নের নতুন পথে শনৈ শনৈ এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর এখন অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
‘মানুষের দায় মহামানবের দায়, কোথাও সীমা নেই। অন্তহীন সাধনার ক্ষেত্রে তার বাস। … দেশ কেবল ভৌমিক নয়, দেশ মানসিক। মানুষে মানুষে মিলিয়ে এই দেশ জ্ঞানে জ্ঞানে, কর্মে কর্মে।…আমরাও দেশের ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি। সেই ভবিষ্যৎকে ব্যক্তিগতরূপে আমরা ভোগ করব না। …ভবিষ্যতে যাঁদের আনন্দ, যাঁদের আশা, যাঁদের গৌরব, মানুষের সভ্যতা তাঁদেরই রচনা। তাঁদেরই স্মরণ করে মানুষ জেনেছে অমৃেেতর সন্তান, বুঝেছে যে, তার সৃষ্টি, তার চরিত্র, মৃত্যুকে পেরিয়ে।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কথাগুলো শেখ হাসিনার জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য। তিনি দেশের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজের বর্তমান। ব্যক্তিগতভাবে বর্তমানকে ভোগ করেন না তিনি। আর সে কারণেই বাঙালির সঙ্গে তাঁর জন্মান্তরের নিবিড় যোগসূত্র। দেশের মানুষের আস্থা ও অস্তিত্বে তাঁর স্থায়ী আসন। মানুষের পাশে থাকেন সবসময়।
অমৃতের সন্তান শেখ হাসিনা চেপে বসা তত্ত্বাবধায়কদের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ২০০৮ সালের ১১ জুন। তাঁর মুক্তিতে সেদিন যেন মুক্তি পেয়েছিল গণতন্ত্র। ১১ জুন তাই গণতন্ত্রের মুক্তির দিন। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার দিন ১১ জুন। আবার এটাও তো সত্য যে, দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র তৎপর। ঘাপটি মেরে আছে রাজনৈতিক অপশক্তিও। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। গণতন্ত্রের মুক্তির এই দিনে সেই মন্ত্রে নতুন করে উজ্জীবিত হতে হবে। দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে। জনকল্যাণে তিনি নিজেকে সমর্পন করেছেন। তাঁর ভাবনার জগৎ জুড়ে কেবলই দেশের জনগণ। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে ৯ জুন রবিবার সংবাদ সম্মেলনেও তাঁর দার্ঢ্য উচ্চারণ, ‘আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমি যা কাজ করি দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করি।’
লেখক : সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। সব মিলে গত মার্চ পর্যন্ত এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। ফলে ব্যাংকিং খাতে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলো। যুগান্তর


বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছেন। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৪ হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ রাইটঅফ বা অবলোপন করা হয়েছে। সব মিলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, ঋণখেলাপিদের ছাড় দেয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার পর অনেকেই ঋণ পরিশোধ কমিয়ে দেন। তারা ওই সুবিধা নিতে ঋণখেলাপি হন। এছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণগুলো এখন খেলাপি হয়ে গেছে। বিশেষ ছাড় দিয়ে যেসব বড় অঙ্কের ঋণ আগে পুনর্গঠন করা হয়েছিল সেগুলোর একটি অংশও এখন খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। মূলত বড় অঙ্কের ঋণগুলো খেলাপি হচ্ছে বলে সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর বাইরেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোটা অঙ্কের খেলাপি ঋণ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত মে মাসের শেষদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণখেলাপিদের ছাড় দিয়ে নীতিমালা জারি করলে পরে আদালত তা আবার স্থগিত করে দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাতে যেসব দুর্নীতি হয়েছে তার একটিরও বিচার হয়নি। বরং খেলাপিদের রক্ষায় আরও নীতি সহায়তা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে খেলাপি ঋণ কমাতে যেসব নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে- সবই ভুল। এতে ভুল বার্তা (রং সিগন্যাল) দেয়া হয়েছে। যে কারণে কেউ টাকা দিচ্ছে না। ধীরে ধীরে এটি আরও খারাপ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। সুশাসনের ঘাটতি, পরিচালকদের ঋণ ভাগাভাগি এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় সমস্যা- এসব কারণে খেলাপি ঋণ না কমে বাড়ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনো উদ্যোগ নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ঋণ পুনঃতফসিল, ঋণ পুনর্গঠন, ঋণ অবলোপন ও অন্যান্যভাবে প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ আরও বেশি হবে। খেলাপি ঋণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন সময় দুর্নীতির মাধ্যমে দেয়া ঋণ এখন খেলাপি হচ্ছে। এছাড়া পুনর্গঠিত ঋণের একটি অংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। ফলে ধীরে ধীরে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে সবার আগে সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। তা না হলে এটি বন্ধ হবে না।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সরকার যে প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ কমাতে চায়, তাতে কমবে না বরং আরও বাড়বে। চাপিয়ে দেয়া কোনো নীতিতে খেলাপি ঋণ কমবে না। ব্যাংকিং খাতের নিজস্ব নিয়মনীতি কঠোরভাবে পরিপালনের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, গত ৭-৮ বছর ধরে সরকারি ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতির মাধ্যমে খারাপ ঋণ দেয়া হয়েছে। এতদিন এসব ঋণকে বারবার রিনিডিউল করে গোপন রাখা হয়েছে। এখন আর পারছে না, তাই খেলাপি হিসেবে প্রকাশ করছে। শুধু সরকারি ব্যাংক নয়, বেসরকারি কিছু কিছু ব্যাংকেও একইভাবে ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। মূলত সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া এসব দুর্নীতি বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নীরব। কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং খাতকে উল্টাপাল্টা করা হয়েছে। খেলাপিদের রং সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের কঠোর হাতে দমন করতে না পারলে ব্যাংকিং খাত আরও বিপদে পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতের ঋণ বিতরণ ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশই খেলাপি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চ শেষে সরকারি খাতের ৬টি ব্যাংকের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকাই খেলাপি। গড়ে ব্যাংকগুলোর ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ ঋণই খেলাপি হয়ে গেছে। মোট খেলাপি ঋণের প্রায় অর্ধেকই সরকারি খাতের ৬ ব্যাংকের।
বেসরকারি খাতের ৪০টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকাই খেলাপি, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ।
বিদেশি ৯টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৩৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ ঋণই খেলাপি।
(amadershomoy)

তানজিনা তানিন : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ু দুয়ারে কড়া নেড়েছে। রূপসী তরু নীপবনে ফুল ফুটেছে। ছায়াবীথি তলে আষাঢ়ের সুর। বাংলার ষড়ঋতুর পরিচিতিতে বর্ষা শুরুর প্রতীকী ফুল কদম। এখন জ্যৈষ্ঠের প্রান্তসীমা। আষাঢ়ের প্রবেশ। কদমের সঙ্গে পিছু নিয়েছে বৃষ্টি। সেই আভাস দিয়েছে প্রকৃতি। মেঘ বাদলের আকাশ উঁকি দিয়েছে। এবার আষাঢ়ের উদ্বোধনী বৃষ্টি ঈদের দিন রাজধানী ঢাকা থেকেই শুরু। সে কি বৃষ্টি। মুষলধারে। এবারের বর্ষা বোধকরি রাজার ভাব নিয়েই আসছে। প্রস্তুতি শুরু করেছে কিছুটা আগেই, চৈত্রে কদম ফুটিয়ে, যা সাধারণত হয় না। গত ক’বছর বর্ষা তেমন তেজী ছিল না। টানা বৃষ্টি,ভারি বৃষ্টি ছিল। তবে গ্রাম, নদীতীর ও চরগ্রাম ভাসিয়ে দেয়নি। এবারের আষাঢ় যে কি বারতা নিয়ে আসে! জনকণ্ঠ

আবহাওয়া বিভাগের আভাস বর্ষার অনুকূলে। তারা বলছে, আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহেই (জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ) সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ু বড় ঝাপটা দিতে পারে। বঙ্গোপসাগরে মৌসুমের একাধিক নিম্নচাপ বেশ জোরদার হওয়ার আশঙ্কা। দেশজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের শঙ্কা উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। সেই আভাস একটু করে কার্যকর করছে প্রকৃতি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝে মধ্যেই হচ্ছে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত। হঠাৎই বিদ্যুতের আগুনেরেখা আকাশকে ক্ষণিকের খ-িত করে তুলছে মেঘের গর্জনে।
পথচারী তাকিয়ে থাকে উর্ধপানে রূপসী তরুর দিকে। যেথায় শাখা-প্রশাখায় ফুটেছে কদম। পাতাগুলোও সজীব। বলাবলি করে, এই তো আষাঢ়। কদম তো ফুটবেই। উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়া উষ্ণ। ঝড়-বৃষ্টি আর বলে-কয়ে আসে না। হঠাৎ শুরু হয়। দিনাকয়েক আগে বগুড়ায় হঠাৎ মধ্যরাতের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলো। তারপর শুরু হলো বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাতের গগনবিদারী ভীতিকর শব্দ। এখন আকাশে কখনও তাপপ্রবাহ, কখনও কালো মেঘ। কখনও বৃষ্টি। নীপবনে ফুটছে বর্ষার ফুল কদম (কদমের আরকে নাম নীপ)। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন “এসো নীপ বনে ছায়াবীথি তলে, এসো করো স্নান নব ধারা জলে…”।
ঋতুবৈচিত্রে প্রকৃতির নিয়মে কদম ফোটে আষাঢ়ে। শীতে পাতা ঝরে। বসন্তে কচিপাতা (কিশলয়) গজায়। সেই কদম এখন ফুটেছে। বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানালেন, তার স্কুলের ভেতরের কদম গাছে মাঝে মধ্যেই কদম ফুটছে। বৃক্ষটি অনেক পুরনো। ছাল-বাকল পুরু ও ফাটল। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের এক অধ্যাপক জানান, প্রকৃতি, ভূগঠন, আবহাওয়াগত ও জলবায়ুর পরিবর্তন ও অন্য কোন কারণে বছরের যে কোন সময় কদম ফুটতে পারে।
কদমের বিজ্ঞান নাম এ্যানথোসিফালাস ইন্ডিকাস। ইংরেজী নাম লারান লিচহার্ডন্টপাইন। বাংলা নাম অনেক। যেমন নীপ, বৃত্তপুষ্প, মেঘামপ্রিয়, কর্ণপূরক, ভৃঙ্গবল্লভ, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, প্রকৃষ্য, ললনপ্রিয়, সিন্ধুপুষ্প। কদম বাংলাদেশের ফুল। তবে ভারত, চীন, মালয়ে কদম ফোটে। প্রাচীনকাল থেকেই উপমহাদেশে বর্ষার প্রতীকী ফুল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কদম সমান্তরাল বহু শাখাবিশিষ্ট বিশাল বৃক্ষ। পাতা বড়, ডিম্বাকৃতির। পরিণত পাতার চেয়ে কচিপাতা বড়। এর ফুল গোলাকৃতি ও এক পূর্ণ মঞ্জুরির। পুষ্পাধারে সরু বিকীর্ণ। হলুদ ও সাদার আধিক্য বেশি।
কদম ফুলের পুষ্পাধারে ফুলের বিকীর্ণ বিন্যাসে হলুদের আধিক্য বেশি অংশ পেকে গেলে পাখিরা খায়। কদম বেশি প্রিয় বাদুরের। পাখি ও বাদুর ফল খেয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ছোট্ট বীজ মাটিতে ফেলে। সেখানই প্রকৃতির পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে নীপবৃক্ষ। কদমের মিষ্টি ঘ্রাণ পেলেই লেজ নাড়িয়ে নীপবনের শাখা- প্রশাখায় কাঠবেড়ালি লাফিয়ে বেড়ায়। ফুলের মঞ্জরির স্বাদ কাঠবেড়ালির প্রিয়। যেমনটি তারা পেয়ারায় পায়। পাখিকুল আর প্রাণিকুলের এমন ভোজন দেখে কদমের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা চলছে। বর্তমানে এই ফুল কৌতূহলী করে তুলেছে। প্রকৃতির সঙ্গে বৃক্ষ ও প্রাণিকুলের অসাধারণ যোগাযোগ এনে দিয়েছে এই কদম ফুল।
(amadershomoy)

খালিদ আহমেদ : সোমবার রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অ্যামন গিলমোর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বাসস
আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ রোধের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার কারাদন্ড প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বিশেষ প্রতিনিধিকে বলেন, আইনের শাসনের কারণে এবং বিচারিক ও উচ্চ আদালত কর্তৃক সাজা দেওয়ার কারণেই তিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে আছেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, এতিমের টাকা চুরির অভিযোগে এবং আদালতের কাছে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণেই খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে আছেন। সেখানে তাকে ছাড়ার বা না ছাড়ার ব্যাপারে সরকারের কোন ভূমিকা নেই।
আনিসুল হক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তার নিকট এ মামলার হালনাগাত অগ্রগতি তুলে ধরে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। এছাড়া এ মামলা যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত শেষ করার সরকারের ইচ্ছার কথাও তাকে জানানো হয়।
বৈঠকে বেপজা আইন, শিশু অধিকারআইন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও বিচার বহির্ভুত হত্যা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান আইনমন্ত্রী।
(amadershomoy)

রাশিদ রিয়াজ : ব্রিটেনের রানির সঙ্গে থাকছেন না তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার একাকি থাকার কথা ডেইলি স্টার অনলাইনকে জানিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিশেষজ্ঞরা। বার্থডে বয় হিসেবে পরিচিত এবং ‘দি ডিউক অব এডিনবার্গ’ খেতাবে ভূষিত রানির স্বামী সদ্যই ৯৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। আগামী দুই বছর পর রাজকীয় দায়িত্ব থেকেও তিনি অবসর নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু রানির সঙ্গে তার কয়েক সপ্তাহ ধরে না দেখাদেখির বিষয়টি এই প্রথম ব্রিটিশ মিডিয়ায় এসেছে। এবং এ বয়সে একাকী থাকার বিষয়টি নিয়ে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে।

নরফকে একটি ‘উড ফার্ম কটেজ’এ ‘দি ডিউক অব এডিনবার্গ’ অবসর জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে তিনি বই পড়ে, ছবি এঁকে ও চিঠি লিখে এবং অতিথিদের সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্যে দিয়ে দিন পার করে দেবেন। তার সঙ্গে বাবুর্চি, হাঁটার সঙ্গী, ঘরবাড়ি দেখাশোনার জন্যে লোকবল, নিরাপত্তার জন্যে পুলিশ ও সাজভৃত্য থাকবে। মাঝে মধ্যে তিনি রানির অন্যান্য বাড়িতে বেড়াতে যাবেন। বিশেষ করে উইন্ডসর ক্যাসেলে যেখানে তিনি ঘোড়ার গাড়িতে চড়তে ভালবাসেন। এর আগে রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল রানি ও প্রিন্স ফিলিপ তাদের বিবাহিত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হিসেবেই পৃথক থাকতে যাচ্ছেন।
এদিকে ডেইলি মেইল বলছে রানি অনুভব করছেন যে ডিউকের অবসর নেয়ার সঠিক সময় এসে গেছে এবং তিনি তাকে যথেষ্ট জানেন ও বোঝেন। এ কারণে তিনি যদি এখনো রাজকীয় জীবনে ব্যস্ত থাকেন তাহলে তাকে অনেক ধরনের কাজে জড়িত থাকতে হবে। তবে পৃথক থাকলেও রানির সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই টেলিফোনে কথা বলছেন ডিউক
(amadershomoy)

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বকাপের ১৫তম ম্যাচে সাউদাম্পটনের হ্যাম্পাশায়ারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দু’দলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ম্যাচটির পরিসমাপ্তি ঘটায়।


টস জিতে ব্যাট করতে নামেন কুইন্টন ডি কক এবং হাশিম আমলা। নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসে কুইন্টন ডি কককে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন কেমার রোচ। তবে ডিআরএসের সাহায্য নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান ডি কক। প্রথম অবস্থায় রিভিউ নিয়ে ডি কক বেঁচে গেলেও পরের ওভারে শেল্ডন কটরেলের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিস গেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাশিম আমলা। নামের পাশে মাত্র ৬ রান যোগ করতে পেরেছিলেন আমলা। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে কটরেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এইডেন মার্করাম। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৫ রান করেছিলেন তিনি।
৭.৩ ওভারে ২৯ রান করার পর বৃষ্টি নামলে মাঠে আর বল গড়ায়নি। অপরাজিত ছিলেন ডি কক (১৭) আর দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস (০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ইমরান তাহির, আন্দেইল ফেলুকাওয়ো, কাগিসো রাবাডা, ক্রিস মরিস, ভ্যান ডার সেন ও বুরান হেন্ড্রিকস।
উইন্ডিজ একাদশ: জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), ক্রিস গেইল (সহ-অধিনায়ক), ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, নিকোলাস পুরান, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, ওশান থমাস ও শেল্ডন কটরেল।
(amadershomoy)

স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্যই মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তবে এরিমধ্যে পুরাদস্তুর নায়িকা বনে গেছেন পূজা চেরি রয়। বেশ কয়েকটি হিট ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছেন দারুণ জনপ্রিয়তা।ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন পূজা চেরি।
তাও টাইগারদের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকারকে জড়িয়ে। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পূজা চেরি সৌম্যর প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন।জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারের প্রেমে পড়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথম পূজা বলেন, আমি সবার প্রেমে পড়ি।

তারপরে বলেন, ‘আমি মাঝখানে একজন ক্রিকেটারের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তিনি হচ্ছেন সৌম্য সরকার। তাকে দেখেই ভালো লেগেছিল।এর পরপরই নিজের প্রেমে পড়ার ধরণ পরিস্কার করেন পূজা।তিনি বলেন, তবে ওই রকম প্রেমে পড়া না যে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা। নরমালি তাকে দেখে ভালো লেগেছিল।
বলতে গেলে হ্যাঁ, একটু ক্রাশ খেয়েছিলাম।সৌম্য সরকার যদি ফোন করে প্রপোজ করে তাহলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পূজা চেরি বলেন, (হাসি) প্রপোজ সে অবশ্যই করবে না। সে তার খেলায় কনসেন্ট্রেট করবে। তো প্রপোজের কথা এখানে আসছে না। আর যদি সে আমাকে ফোন করে তাহলে আমি অবশ্যই কথা বলবো।
তবে সৌম্য সরকার যদি রিলেশনে যেতে চাইলে পূজা চেরি কি করবেন সেটা ভেবে দেখেননি বলেও জানান তিনি।সৌম্য সরকারের প্রেমে পড়লেও জাতীয় দলে মাশরাফি বিন মুর্তজাই পূজার সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটার বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে টাইগারদের জন্য শুভকামনা জানান এ ঢালিউড তারকা।
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট  : শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপযাত্রা করে বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়ে হেরে যায় টাইগাররা। আর সবশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয় তারা। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের লক্ষ্যের পথে বড় ধাক্কা খায় মাশরাফি-সাকিবরা। যে কারণে জয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আন্ডারডগ শ্রীলংকা। এ ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছু ভাবছে না টাইগাররা। জয় পেতে ক্ষুধার্ত তারা। কারণ, সেমিফাইনালে খেলার রেসে টিকে থাকতে হলে ম্যাচটি জিততেই হবে তাদের। বিস্ট্রলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে দুই দলের লড়াই।


এবার সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ। শুরুটা সেরকমই ছিল। লন্ডনের বিখ্যাত ভেন্যু কেনিংটন ওভালে শক্তিশলী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করে টাইগাররা। পরের ম্যাচে একই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় তারা। দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরে যায় মাশরাফি-সাকিবরা। ২ উইকেটের হারে টুর্নামেন্টে প্রথম ধাক্কা খায় তারা।
এরপর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফের পয়মন্ত ভেন্যুতে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ইংলিশদের মুখোমুখি হওয়ার আগে সেখানে দুটি ম্যাচ খেলে শতভাগ জয় পায় টাইগাররা। এছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুবার খেলে দুটিতেই জয়ের রেকর্ড ছিল তাদের। তাই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীই ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা।
ফলে তিন ম্যাচে ১ জয় ও ২ হারে বাংলাদেশের সংগ্রহে রয়েছে ২ পয়েন্ট। এতে সেমিফাইনালে খেলার পথ ঝাপসা হতে শুরু করে। সেমিতে খেলতে হলে পরের ৬ ম্যাচের অন্তত ৪টিতেই জিততে হবে টাইগারদের। তাই শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না তারা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে বাংলাদেশ অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে আমাদের জিততেই হবে। এ নিয়ে ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা করছে-কিভাবে আরো ভালো করা যায়।
ব্রিস্টলে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি রয়েছে। এ ভেন্যুতে একটি ম্যাচ খেলে সেটিই জিতেছে টাইগাররা। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাশরাফির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের ৫ রানে হারায় তারা। ওই জয়ে সিরিজের সমতা আনে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ হারে সফরকারীরা। তবুও ওই জয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। ৪৫ দেখায় মাত্র ৭টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। অবশ্য সবশেষ মুখোমুখিতে জয় আছে তাদের। গেল বছর এশিয়া কাপে শ্রীলংকাকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। ১৩৭ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনী। তাই এ ভেন্যুতে এক জয়ের স্মৃতি ও লংকানদের বিপক্ষে সবশেষ দেখায় বড় জয় এ ম্যাচে সাফল্য পেতে এগিয়েই রাখবে তাদের।
বাংলাদেশের মতো এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৩টি ম্যাচ খেলেছে শ্রীলংকা। তবে টাইগারদের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি সংগ্রহে রয়েছে তাদের। কারণ, লংকানরা ১টি করে ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে ও পরিত্যক্ত হয়েছে। তাই ৩ পয়েন্ট সংগ্রহে রয়েছে তাদের।
নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হার দিয়ে এবারের আসরে যাত্রা শুরু করে শ্রীলংকা। এরপর বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানকে ৩৪ রানে হারায় লংকানরা। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহঅধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলংকা দল : দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, আবিস্কা ফার্নান্দো, সুরঙ্গা লাকমল, লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, কুশল মেন্ডিস, জীবন মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, লাহিরু থিরিমান্নে, ইসরু উদানা ও জেফরি বান্দারসে।
(amadershomoy)

বরিশাল প্রতিনিধি : নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত করতে দেশের আটটি বিভাগ ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ করবে বরিশালের নাট্য সংগঠন শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটার।


মুক্তিযুদ্ধের এক বিরঙ্গনার গল্প গাঁথা নিয়ে নির্মিত শব্দাবলীর ৬৬তম প্রযোজনার নতুন নাটক “বৈশাখিনী” মঞ্চস্থ করার হবে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ জুন বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বৈশাখিনী নাটক মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে শুরু হবে এই নাটকের দেশ ভ্রমনের কর্যক্রম। এর পর একই বিভাগের পটুয়াখালী ও বড়গুনা জেলায় নাটকটি মঞ্চস্থ করা হবে। বরিশাল বিভাগ শেষে বৈশাখিনী মঞ্চস্থ হবে সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে। নাটকটির মূল গল্প লিখেছেন ভারতের প্রখ্যাত নাট্যকার চন্দন সেন। নবনাট্য রূপ দিয়েছেন ড. মাহফুজা হিলালী, নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যজন ব্যক্তিত্ব সৈয়দ দুলাল। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি
(amadershomoy)

ঢাকাই ছবির নতুন ক্রেজ পূজা চেরি। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়ালেখাও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) ৩.৩৩ পেয়ে পাস করেছেন এই চিত্রনায়িকা। ঢাকার মগবাজার গার্লস হাইস্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
নতুন খবর হচ্ছে পূজা কলেজে ভর্তি হতে যাচ্ছেন। পছন্দের তালিকা থেকে পূজা সিদ্ধেশ্বরী কলেজে চান্স পেয়েছেন।

দেশ রূপান্তরকে পূজার মা বলেন, ‘চয়েজ লিস্টে অনেকগুলো কলেজই পূজা সিলেক্ট করেছিল। কিন্তু ও চান্স পেয়েছে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে। শিগগিরই ও কলেজে ভর্তি হবে।’
এদিকে পূজা বর্তমানে এম এ রহিম পরিচালিত ‘শান’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আজ ছবিটির দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন পূজা। নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্কে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ছবিটির শুটিং।
পূজার মা বলেন, ‘আমরা আজ ১২টার দিকে শুটিং স্পটে এসে পৌঁছেছি। পূজা এখন শট-এ আছে।’
শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখা পূজা চেরি ‘নূর জাহান ছবিতে অভিনয় করে চিত্রনায়িকা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’ ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।
(amadershomoy)

আবু সুফিয়ান রতন : আড়াই মাস ধরে এ অভিনেতা গ্যাংরিনে (পচন রোগ) ভুগছেন। রোববার পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী লতিফা বাবর। ডা. খালেকুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল তার পায়ের তিনটি আঙুল কেটে ফেলা হয়। অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার কিছুদিনের মধ্যে রোগের প্রকোপ আরও বাড়তে থাকে। ঈদের আগে দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা তার পা কেটে ফেলার পরামর্শ দেন বলে জানান তার স্ত্রী।
চিকিৎসকের বরাতে তিনি বলেন, আপাতত তার ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকাটা জরুরি। অন্যথায় বিপদ ঘটতে পারে।
চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে অর্থাভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন। তিনি জানান, রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিল্পী সমিতি। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগের চিকিৎসা চালিয়ে নিতে হবে।কিন্তু অর্থাভাবে সেটা সম্ভব হয়ে উঠছে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সহায়তা পেলে হয়তো আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারব।
আমজাদ হোসেনের ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে বড়পর্দায় আবির্ভূত হলেও জহিরুল হকের ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে খলনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় তার। তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ৬৮ বছর বয়সী এ অভিনয়শিল্পী। অভিনয়ের পাশাপাশি ‘দয়াবান’, ‘দাগী’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন তিনি।
(amadershomoy)

মো. তৌহিদ এলাহী : শনিবারের সংঘর্ষে পাঁচজনের নয়, মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। বিজিপির পাঁচজনের দাবি ঠিক নয়। সোমবার একথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন বিধানসভা নিয়ে এত আগে থেকে জল্পনা করার জন্য। এনডি টিভি বাংলা
তৃণমূলনেত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, গেরুয়া শিবির থেকে ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বিজেপি।


গত শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বসিরহাট হাসপাতালে তিনটি মৃতদেহর সন্ধান মেলে। বিজেপির নেতারা দাবি করেন, তার মধ্যে দু’জন তাঁদের কর্মী। তৃণমূল জানায় তৃতীয় ব্যক্তি তাঁদের দ‌লীয় কর্মী। দুই বিবদমান দলের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয় তাদের একাধিক কর্মীদের ওই দিনের সংঘর্ষের পরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবারের ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও জেলা প্রসাসন মুখে কুলুপ এঁটেছে। কতজন মারা গিয়েছেন, সে ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ওরা (বিজেপি) বলছে পাঁচজন মারা গিয়েছে। ওরা মিথ্যে বলছে। আমি দেখেছি এক বিজেপি নেতা টিভিতে বলছে, তিনজন নিখোঁজ। যদি তাই হয়, তাহলে তাঁদের নাম, ঠিকানা তোমরা বলছ না কেন?”
বিজেপির পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেশখালিতে কতজন মারা গিয়েছেন, এব্যাপারে বিজেপি তাদের মিথ্যে দাবি ছড়ানোর জন্য সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সামনে এব্যাপারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা যা বলছে আপনারা তাই লিখছেন। আপনার কী করে লিখলেন চার-পাঁচজন মারা গিয়েছে? আপনারা বিজেপি নেতাদের দাবিকে খতিয়ে দেখছেন না। আমি জানি বিজেপি আপনাদের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আমি জানি রামদেবের কাছ থেকে কত লোক টাকাপয়সা পাচ্ছে। আমি সব জানি।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনের পরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এবং সেটাও ঘটেছে বিজেপির জন্যই। ওরা নিজেদের ভগবান ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু মনে রাখবেন, আমরা সবটা নিয়ন্ত্রণ করেছি।”
মমতা দাবি করেন, ‘‘আমাদের রাজ্য ভারতের সব রাজ্যের থেকে সেরা। জাতীয় পর্যায়ে আমাদের পারফরম্যান্স সেরা। এবং আমি শিউরে উঠি যখন দেখি কোনও কোনও জাতীয় চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে বাংলার মানুষ পাইপ গান ও স্টেন গান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসবই করা হচ্ছে বাংলার বদনাম করতে।”
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পরে যেভাবে এখন থেকে  বিধানসভা ভোট নিয়ে জল্পনা চলছে তার জন্য সংবাদমাধ্যমকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ভোট এখনও দু’বছর দূরে। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। আপনারা ভুল খবর ছড়াচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গকে অপমান করবেন না। অন্যদেরও করতে দেবেন না। অন্য রাজ্যে এমনটা হয় না। তামিলনাডু, ওড়িশা, বিহার বা অন্য রাজ্যের সংবাদমাধ্যম এমন করে না।”
২০০৯ লোকসভায় বাম আমলে তৃণমূলের উত্থানের সঙ্গে অনেক এবারের লোকসভায় বিজেপির জয়কে তুলনা করছেন, এতে অসন্তুষ্ট মমতা বলেন, ‘‘তখনকার (২০০৯) আর এখনকার সময়ে অনেক ফারাক। ২০০৯ সালে নেতাই, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছিল। কৃষক আন্দোলন হয়েছিল।”
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : কেউ খাল ভরাট করে তৈরি করেছেন দোকান, কেউ আবার নির্মাণ করেছেন বহুতল ভবন। ফলে প্রতি বর্ষায় ব্যাহত হচ্ছে পানি চলাচল। অল্প বৃষ্টিতেই জমে যাচ্ছে কোমরসমান পানি। দুর্ভোগে পড়ছে নগরবাসী। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়ে আটটি খালের দখলদারদের চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চলতি মাসেই খালগুলো থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সমকাল


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, ‘খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে বাস্তবায়নাধীন জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সুফল মিলবে না। খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। খালের যে প্রশস্ততা থাকার কথা তা এখন নেই। এতে পানি নিস্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হবে।’
সিডিএ সূত্র অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের পানি নিস্কাশনের প্রধান মাধ্যম চাক্তাই খালের অবৈধ দখলে আছে ১ দশমিক ৫ একর জায়গা, মহেশখালের ১১ দশমিক ৪৪ একর, ফিরিঙ্গীবাজার খালের শূন্য দশমিক ৬৩ একর, গয়নাছড়া খালের ৪ দশমিক ৮৮ একর, খন্দকিয়া খালের ৭ দশমিক ৭০ একর, মহেশখাল সংযোগ খালের ১ দশমিক ২১ একর, টেকপাড়া খালের শূন্য দশমিক ১৭ একর ও রাজাখালী-২ খালের ৩ দশমিক ৬০ একর জায়গা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তৈরি করা দখলদারদের তালিকা অনুযায়ী, চাক্তাই খালের ডানতীরে বাকলিয়া এলাকায় ৩৭২ বর্গফুট জায়গা দখল করে দোকান গড়ে তুলেছেন আমির হোসেন, আবদুল বারেক, জসিম উদ্দিন, হাজি আমিনুল হক,  হাজি রেজোয়ান ইসলাম, আহম্মদ হোসেন ও বাহাদুর। দুই হাজার বর্গফুট জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল আলম, মো. ইউছুফ, মো. রফিক, শামসুল হক, বশির আহম্মদ, মো. ইউসুফ, আবদুছ ছালাম, নুরুল আমিন, জামাল আহাম্মদ, মাহবুব হোসেন, মো. নাছের ও মনির আহম্মদ।
আবাসন প্রতিষ্ঠান সিপিডিএল দখল করেছে ৮০ বর্গফুট। খাল ভরাট করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গড়ে তুলেছে চারতলা ভবন। বর্তমানে রাজস্ব সার্কেল-২ এর কার্যালয় রয়েছে এখানে। চাক্তাই খালের ১৩ হাজার ১২৫ বর্গফুট জায়গা ভরাট করে গড়ে উঠেছে বহদ্দারহাট বাজার। বাজারটির পরিচালনায়ও রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
চাক্তাই খালের এক হাজার ৫৩০ বর্গফুট জায়গার ওপর রয়েছে এনামুল হকের পাঁচতারা বাণিজ্যালয়, মোহাম্মদ আলমগীরের মাওলা স্টোর, জয়নাল আবেদীন আজাদের জেবি ট্রেডার্স, বাদল দেবের এএম ট্রেডিং, দেব প্রসাদ চৌধুরীর মেসার্স সুভাষ স্টোর, আবদুল করিমের মামুন ব্রাদার্স, স্বপন বিশ্বাসের হাজি ছালাম অ্যান্ড সন্স, মঈনুল আলমের টিনের দোকান, মো. শাহজাহানের এস কে ট্রেডিং। আবু বক্কর চৌধুরী ও নীলকৃষ্ণ দাশ মজুমদারও গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া কাঠ ও টিনের বেড়া দিয়ে খালের জায়গা দখলে রেখেছেন পাঁচ ব্যক্তি। মো. ইউছুফের দখলে ৮৫ বর্গফুট, ছালেহ আহম্মদ অ্যান্ড সন্স ৮৫ বর্গফুট, আবু মিয়া চৌধুরী ১০০ বর্গফুট, মো. মনির ১০০ বর্গফুট ও আবু ছুফিয়ান ১২০ ফুট জায়গা।
চাক্তাই খালের বামতীরে দখলে রয়েছে প্রায় এক হাজার ২৭৬ বর্গফুট জায়গা। এখানে অবৈধ দখলদাররা হলেন- মাজহার আলী ইসলাম, মো. ইয়াকুব খান, স্বপন চৌধুরী, সিরাজ মিয়া, আবুল কালাম, নুর মোহাম্মদ, আলমগীর হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। এর মধ্যে ২৮৬ বর্গফুট জায়গা দখল করে একতলা ভবন গড়ে তুলেছেন নুর মোহাম্মদ, ৫৮০ বর্গফুট জায়গার ওপর আলমগীর হোসেনের একতলা ভবন ও ৫০ বর্গফুট জায়গার ওপর আনোয়ার হোসেনের টিনশেড ঘর।
এদিকে ৫৪ জনের দখলে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরের আরেকটি প্রধান খাল রাজাখালী খালের এক দশমিক ৩২ একর জায়গা। রাজাখালী খালের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ের ২৫ হাজার ৮৮৫ বর্গফুট জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর ও তেলের গোডাউন গড়ে তুলেছেন ফরিদ চেয়ারম্যান, ফরিদ সওদাগর, আক্তার সওদাগর, শফিউল আজম, বাবুল হাজি, মো. নাছের ও আবুল কালাম। রাজাখালী খালের উত্তর-পশ্চিম পাড়ে ১৮ হাজার ৭৩৫ বর্গফুট জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর, গোডাউন, রাইস মিল, ভবন, খাদ্যের মিল ও মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন হাজি সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাজি আবদুল ছোবহান, হাজি নবী হোসেন সওদাগর, বাদশা মিয়া চৌধুরী, সালাউদ্দিন, টাইগার ফরিদ, জামাল সওদাগর, পিউরিটি ময়দার মিল, ওসমান সওদাগর, আশু বাবু, কালাম সওদাগর, মো. এমরান, শাহীন স্টোর, গফুর ভিউ, জাফর, সিরাজ, আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক ও নুরুল ইসলাম সওদাগর।
রাজাখালী খালের দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ে ১৩ হাজার ১৯২ বর্গফুট খালের জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন মো. কালাম, মো. জাহাঙ্গীর, মো. নেজাম, নুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর, জাগীর হোসেন, সেকান্দার, ভোলা মাঝি, জানে আলম, মরিয়ম বেগম, হালিমা বেগম, আবুল কাসেম, মো. আলী সাহেব, মো. ইসমাইল ও তার লোকজন, রবি আলী, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মসজিদ, কামাল মাঝি, মোজাহার কোম্পানি, হাজি আবুল কামাল ও জয়নাল আবেদীন আজাদ।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্পটির পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল খনন করা হবে। তিন পর্যায়ে নগরের খালগুলো খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। প্রথম দফায় গুরুত্ব অনুযায়ী ১৩টি খালের খননকাজ চলছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০টি এবং শেষ পর্যায়ে বাকি খালগুলো থেকে মাটি উত্তোলন করা হবে। গত বছর খালগুলো থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ঘনফুট এবং চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ৪২ লাখ ঘনফুট মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। খালের দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ ও সড়কের কাজ শুরু হলেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।’
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে আগামী অর্থবছরে কৃষি, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই ভর্তুকির ফলে কৃষি উৎপাদন বাড়বে, শক্তিশালী হবে কৃষি অর্থনীতি। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কৃষিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করার বিষয়টিও আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখ করা হবে। জনকণ্ঠ

সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতের জন্য ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হবে ৯ হাজার কোটি টাকা। ৯ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার ভর্তুকি থাকছে বিদ্যুত খাতের জন্য। এছাড়া এলএনজি আমদানিতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেয়া হবে। কৃষি ও বিদ্যুত খাতে চলতি অর্থবছরের ন্যায় ভর্তুকি বরাদ্দ থাকলেও প্রায় তিনগুণ ভর্তুকি বেড়েছে এলএনজির মতো জ্বালানি আমদানিতে। দেশের বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে গ্যাসের সঙ্কট দূর করা হবে। এজন্য বেশি দামে এলএনজি আমদানি করে কমদামে তা উদ্যোক্তাদের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যদিও আগামী অর্থবছরে ভর্তুকি কমানোর কথা বলেছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় এখনই ভর্তুকি কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে। এজন্য এই তিন খাতের বাইরেও প্রণোদনা, নগদ ঋণ সহায়তা খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হবে। সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের চূড়ান্ত ঘোষণায় ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। রফতানি ও রেমিটেন্স বাড়াতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বৈধপথে রেমিটেন্স আনা হলে শতকরা ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে। এছাড়া এবারই সকল পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাজেট সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ সহায়তা বাজেটে প্রতিবছরই রাখা হয়। এবারও কোন কোন খাতে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ সহায়তা বাড়বে। রফতানি ও রেমিটেন্স বাড়াতে সরকার কাজ করছে। এ কারণে সকল পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স আনার প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু করা হয়েছে। প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে তাদেরও একটি প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী বাজেটে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
একটি সূত্র জানায়, আসন্ন অর্থবছরে ভর্তুকিতেই বেশি বরাদ্দের প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ খাতে প্রাক্কলিত বরাদ্দ ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেয়া হবে বিদ্যুত খাতে। বিদ্যুতে ভর্তুকি বাবদ প্রাথমিক প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। খাদ্যে ভর্তুকি ধরা হচ্ছে ৪ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। এছাড়া অন্য খাতের জন্য ৯ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রাক্কলন করা হয়েছে।
এছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রণোদনার জন্য ১৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে। রফতানি নগদ প্রণোদনাও রাখা হচ্ছে ৪ হাজার কোটি টাকা। আর পাট খাতের জন্য ৫০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। রেমিটেন্সের আহরণে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে। এ খাতের জন্য ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে, আসছে বাজেটে নগদ ঋণ খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী বাজেটে কৃষিপণ্যের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করার কৌশল গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি ধানের দাম কমে যাওয়ায় সরকার চাল আমদানিতে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে। একইভাবে কৃষি যন্ত্রপাতিসহ অন্য পণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দিয়ে রেখেছে সরকার। কৃষক যাতে উৎপাদিত ফসল ও পণ্যের ন্যায্যদাম পায় বিষয়টি আগামী বাজেটে নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ধানসহ কৃষকের উৎপাদিত সব ধরনের ফসল ও পণ্যের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি, বাজেট ঘোষণায় বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
এদিকে, গ্যাস সঙ্কটের কারণে গত কয়েক বছর বাসাবাড়ির পাশাপাশি শিল্পেও নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এখন এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের সঙ্কট দূর করা হচ্ছে। চড়া দামে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহে বাড়তি ভর্তুকি রাখতে হচ্ছে আগামী বাজেটে। সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এর ফলে বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে, বাড়বে শিল্পের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান।
(amadershomoy)

রাশিদ রিয়াজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে সঠিক কে সঠিক না বা কে মুসলমান, কে মুসলমান না সে বিচারের দায়িত্ব আল্লাহর। কুরআন ও হাদীস অনুয়ায়ী সে বিচারের দায়িত্ব মানুষের নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন মানুষ আল্লাহর ক্ষমতা কেড়ে নেবে? মানুষের ভালমন্দ বিচারের দায়িত্ব ও অধিকার একমাত্র আল্লাহর। মুসলমানই মুসলমানদের হত্যা করছে, এতে একমাত্র লাভ হচ্ছে অস্ত্র বিক্রেতা ও যারা অস্ত্র বানায় তাদের। মুসলমানের রক্ত আরেক মুসলমান নিচ্ছে, নিজেরা হানাহানি করছে তা ওআইসি’কে বন্ধ করতে হবে। আমি আগেও এদাবি জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, ফিনল্যান্ড ও সৌদি আরব সফর শেষে দেশে ফিরে রোববার বিকেলে গণভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষ মেরে কখনো বেহেশতে যাওয়া যাবে না। গেলে বেহেশত থেকে তো কেউ ম্যাসেজ পাঠাননি যে তিনি এখন বহাল তবিয়তে সেখানে আছেন। আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে মাদ্রাসায় শিক্ষিত অনেক তরুণ বিভ্রান্ত হয়ে জঙ্গি হয়ে যেত কিন্ত্র এখন দেখা যাচ্ছে ইংরেজি বা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও কেউ কেউ বিভ্রান্ত হচ্ছে। তারা আসলে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে পারে না।
(amadershomoy)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget