ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন | Inauguration of 16 new primary school buildings in Thakurgaon
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, জনগণের উন্নয়ন করার জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই সরকার জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়ন কাজগুলো দৃশ্যমান এবং জনগণ তার সুফল পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সদর উপজেলার ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ১৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সদরের বেংরোল সফিরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আখানগর ধনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বগুলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেগুনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেটি পাহাড়ভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালিগাঁও কাশিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুহিয়া-৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আখানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরাজি পাহাড়ভাঙা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর হরিহরপুর পশ্চিম হাজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোকিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জায়গীর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সির্ন্দুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করা হয়।
সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বেহাল অবস্থায় ছিল। আমরা সেসব বিদ্যালয়গুলো খুঁজে বের করে সেগুলোতে নতুন ভবন দিয়েছি। যাতে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদান করতে পারে। এখন শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো শিক্ষার মান ঠিক রাখা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণকে চাইতে হয়না। জনগণ চাওয়ার আগেই বর্তমান সরকারের জনগণের দ্বারপ্রান্তে উন্নয়ন পৌঁছে দেয়। যেমন দেখুন আমাদের সদর উপজেলার অবস্থায়। একটা সময় ঠাকুরগাঁও সদরের গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলোর খুবি খারাপ অবস্থা ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সদরের প্রত্যেকটি রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, বিদ্যুৎ, শিক্ষাব্যবস্থাসহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
রমেশ সেন বলেন, প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং দেশের উন্নয়ন ও দেশ পরিচালনায় আজকের শিক্ষার্থীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা ও পড়ালেখায় মনোযোগী করতে অভিভাকদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও ভুমিকা রাখতে হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারুল আলম মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রুবায়েত প্রমুখ।