Latest Post


একের পর এক জেব্রা মারা যাচ্ছে। কিন্তু হত্যার কারণ নিয়ে এখনও কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক তথ্য নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একে একে ১১টি জেব্রার মৃত্যুতে প্রাণিবিজ্ঞানীরা হকচকিত। 
বিতর্কের মুখে পার্কের কর্মকর্তারাও। 

শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছে

জেব্রার মৃত্যুর পেছনে কি খাদ্যে বিষক্রিয়া, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ? সেই রহস্যের আগুনে ঘি ঢাললেন সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ। কর্মীদের কোন্দলের জেরে নিরীহ ওই প্রাণীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে পার্কে থাকা একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। সে তথ্যও গোপন রাখার অভিযোগে এমপি অভিযুক্ত করলেন কর্তৃপক্ষকে।

শ্রীপুরের ইন্দ্রবপুর এলাকায় জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত সাফারি পার্ক পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ। প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা পার্কে হঠাৎ করেই ১১ জেব্রার মৃত্যু ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখার জন্যই তার সেখানে যাওয়া। 

পার্কের অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বে অবহেলা ও কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা দেখে ক্ষুব্ধ হন তিনি। ঐরাবতী বিশ্রামাগারে বসে এমপি সবুজ বলেন, 'পার্কের ১১টি জেব্রা মারা যায়নি, হত্যা করা হয়েছে। কর্মীরা কোন্দলে জড়িয়ে একে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য এই প্রাণীগুলোকে হত্যা করে। 

শুধু তাই নয়

জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় পার্কের একটি বাঘও মারা যায়। অথচ বাঘ মৃত্যুর খবরটি দিব্যি কর্তৃপক্ষ গোপন রেখেছে।' এ সময় পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল করিম উপস্থিত সংসদ সদস্যকে বাঘ মারা যাওয়ার খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ১২ জানুয়ারি একটি পুরুষ বাঘ মারা যায়। প্রায় দেড় মাস অসুস্থ থাকার পর বাঘটির মৃত্যু হয়। কিন্তু এ তথ্য কেন গোপন রাখা হয়েছিল, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক ছাড়াও কমিটির সদস্য উপসচিব (পরিবেশ-২) মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান ও প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল করিম সেখানে ছিলেন। 

তদন্ত কমিটির প্রধান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক জানান, কমিটি গঠন করার পর প্রথমবারের মতো তারা পার্ক পরিদর্শনে আসেন এদিন দুপুরে। কাকতালীয়ভাবে সংসদ সদস্যকে পেয়ে যান তারা। কমিটির উপস্থিতিতে এমপি সবুজ বলেন, 'প্রাণীগুলো হত্যা করা যেহেতু একটি ক্রিমিনাল অফেন্স (ফৌজদারি অপরাধ), সেহেতু আমি নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করব। 

চোরের কাছ থেকে চুরির ঘটনা শুনে কখনও সঠিক তদন্ত করা যায় না। পার্কে যারা দায়িত্বে আছে, তাদের স্বপদে রেখে কখনও সঠিক তদন্ত হতে পারে না। এ জন্য প্রথমে তাদের এখান থেকে সরিয়ে দিতে হবে।'

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, সংসদ সদস্যের প্রতিটি অভিযোগ মাথায় নিয়েই আমরা তদন্তকাজ সম্পন্ন করব। কী কারণে জেব্রার মৃত্যু হয়েছে, কারা এই মৃত্যুর পেছনে দায়ী- এ কারণ উদ্ঘাটন ছাড়াও ভবিষ্যতে প্রাণীগুলোকে নিরাপদে রাখতে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, সে বিষয়ে একটি সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করে এমপি সবুজ আরও বলেন, হাতির জন্য সরবরাহ করা খাবার সীমানাপ্রাচীর দিয়ে বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। মৃত জেব্রাগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল, অথচ একটি ল্যাবে পরীক্ষা করা প্রতিবেদনে মৃত জেব্রার পয়জনিং পাওয়া গেছে। 

ওই ল্যাবের রিপোর্টটিও গোপন রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, মৃত একটি জেব্রার পেটে একটি ছিদ্র ছিল। যেহেতু জেব্রার শিং নেই, তাহলে ছিদ্র হলো কীভাবে। এসব বিষয় আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়ে এমপি সবুজ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এ পার্কের নামকরণ করা হয়েছে। এ

টা কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়ার বিষয় নয় কিংবা ছোট করে দেখার নয়। প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল করিম বলেন, 'আমাকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক- তাতে কোনো আপত্তি নেই। তবে জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।'

গত এক মাসে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রার 'রহস্যজনক' মৃত্যু হয়। ৯টি জেব্রা মৃত্যুর ২২ দিন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সে তথ্য গোপন করে রাখে। পরে শনিবার সকালে একটি ও সন্ধ্যায় আরও একটি জেব্রার মৃত্যু হয়।


গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা ও একটি বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় চলছে। একসঙ্গে এতগুলো প্রাণীর মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও।

এখনও বের হয়নি মৃত্যু রহস্য। এ নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বৈঠক করছে। মাঠে কাজ করছে তদন্ত কমিটি। এরমধ্যেই সাফারি পার্কের সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, সাফারি পার্কে জেব্রা ও মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার বিকেলে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।  গতকাল রোববারও তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কয়েকদফা টেলিফোনে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তদন্ত কমিটি পার্কের বর্তমান কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছিল মন্ত্রীর কাছে।

সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এ বিষয়ে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। যেকোনো ভাবেই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে। জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাদের প্রত্যাহার করা হবে। দ্রুত এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ইস্যু হবে।

জেব্রার মৃত্যুর বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্যরা হলেন - একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা এ বি এম শহীদুল্লাহ, বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান।

রোববার স্থানীয় এমপি ইকবাল হোসেন সাফারি পার্ক পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি বলেন, ‘সাফারি পার্কের বর্তমান কর্মকর্তাদের স্বপদে বহাল রেখে তদন্ত করলে তদন্ত কমিটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে পারবে না।’ এ সময় তিনি কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জেব্রাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন।



গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সম্প্রতি মারা যাওয়া ১১টি জেব্রার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।

রোববার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের জেব্রা বেষ্ঠনী পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, জেব্রাগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।

এমপি সবুজ বলেন, সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে একে অপরকে ফাঁসানোর জন্য এই জেব্রাগুলো হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানান।

এ ছাড়া চলতি মাসে সাফারি পার্কে একটি বাঘও মারা গেছে দাবি করে তিনি বলেন, এই বাঘের মৃত্যুর সংবাদও সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ গোপন রেখেছে।


গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা ও একটি বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় চলছে। একসঙ্গে এত প্রাণীর মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন সংশ্নিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও। 

এ নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বৈঠক করছে। মাঠে কাজ করছে তদন্ত কমিটি। এমন উৎকণ্ঠার মাঝে জেব্রার খাবারের একটি নমুনায় মিলেছে বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রমাণ। ফলে কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, সাফারি পার্কে আরও জেব্রার পাশাপাশি অন্য প্রাণীও মারা যেতে পারে।

১১টি জেব্রা মারা যাওয়ার পর আরও একটি খুঁড়িয়ে হাঁটছে। ক্রমশ নির্জীব হয়ে পড়ছে। তবে বাকি প্রাণীগুলোকে সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞ দল তৎপর। 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনাস্থলে যেতে পারছেন না। তবে তিনি বাসায় বসে সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন। গতকাল সোমবার সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

খাবারের নমুনায় বিষাক্ত উপাদানের প্রমাণ: 

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রকল্প কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, জেব্রার পাশাপাশি আরও প্রাণী মারা যেতে পারে। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং চিন্তিত। একটি নমুনা পরীক্ষায় ইনফ্লুয়েঞ্জা পাওয়া গেছে; বাকিগুলোর সবটাতেই আছে ব্যাকটেরিয়া।

এদিকে বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি পার্ক কর্তৃপক্ষ। বাঘটি অ্যানথ্রাক্স রোগে মারা গেছে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ, যা ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে। কর্মকর্তারা বলছেন, বাঘটির নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যদি অ্যানথ্রাক্সেই বাঘটি মারা যায়, তাহলে আরও অনেক প্রাণী এ রোগে সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

জাহিদুল কবির বলেন, জেব্রার খাবারের একটি নমুনায় বিষাক্ত উপাদানের প্রমাণও মিলেছে। নমুনার মধ্যে একটিতে নাইট্রেট পাওয়া গেছে। এটি বিশেষ করে ঘাস জাতীয় খাবারের মধ্যে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন

মাঠ থেকে সংগ্রহ করার সময় বিষাক্ত কিছু ঘাসও চলে আসতে পারে। এ ঘাস পরীক্ষা না করে খাওয়ানোর ফলে জেব্রার শরীরে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। ঘাস সংগ্রহের পর বিষাক্ত উদ্ভিদ কিংবা ঘাস আলাদা করা উচিত। এ ছাড়া অনেকেই গবাদি পশুকে খাওয়ানোর জন্য উন্নত জাতের ঘাসের চাষ করে থাকে এবং বিভিন্ন সময়ে ঘাসের ফলন বৃদ্ধি ও ঘাসের পাতাকে পিঁপড়া, পোকা-মাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করে। এ থেকেও প্রাণীর শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। খরার পর বৃষ্টিতে বেড়ে ওঠা তরতাজা ঘাসে মারাত্মক নাইট্রেট বিষ উৎপন্ন হয়, যা খাওয়ার ৩-৪ ঘণ্টা পর ক্রিয়া করে। ফলে প্রাণী মারা যায়। এসব ঘাস ভেজা অবস্থায় খাওয়ানোর কারণে জেব্রা মারা যেতে পারে। ভেজা ঘাস শুকানো ছাড়া খাওয়ানো উচিত নয়।

তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক সমকালকে বলেন, মারা যাওয়া প্রাণীগুলোর নমুনা ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে প্রাণীগুলো মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ।

৯টি জেব্রারই মৃত্যু হয়েছে গত ২ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে। সর্বশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে মারা যায় আরও দুটি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সব জেব্রার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা ঢাকার মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার ও ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়ও। তবে বিশেষজ্ঞ দল আগেই বলেছিল, নিজেদের মধ্যে মারামারি করে চারটি জেব্রা মারা গেছে। আর বাকিগুলোর মৃত্যু হয়েছে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে।

বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর আবু হাদী নুর আলম খান বলেন, একই ঘাস সব ধরনের তৃণভোজী প্রাণী খাচ্ছে। অন্য কোনো প্রাণীর সমস্যা হচ্ছে না, শুধু জেব্রারই হচ্ছে। এ জন্য আপাতত অবজারভেশনের জন্য এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ঘাস পরিবর্তন করে অন্য জায়গার ঘাস দেওয়া হবে। সব প্রাণীর পাকস্থলীর ক্ষমতা বা হজম ক্রিয়া এক রকম না।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ২ জন প্রত্যাহার :

 গতকাল সোমবার সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান এবং ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইনকে প্রত্যাহার করে বন অধিদপ্তর, ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদুল কবিরকে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে দায়িত্বরতদের প্রত্যাহার ও বদলির পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাদের স্থলে যথাক্রমে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ফরিদপুর সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম এবং কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধে সংশ্নিষ্ট সবাইকে প্রত্যাহার করা, দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

৩ হাজার দর্শনার্থীর জায়গায় ২৭৬ জন :

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, সাফারি পার্কের টিকিট কাউন্টারে ভিড় নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে আতঙ্কের ছাপ। বিষণ্ণতায় যেন ছেয়ে আছে পুরো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। গতকাল সোমবার দুপুরের দৃশ্য এটি। 

মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে চেনা দৃশ্যপট। ইজারাদার শাওন এন্টারপ্রাইজের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মাসুদ রানা জানান, সারাদিনে ২৭৬ জন দর্শনার্থী কোর সাফারিতে প্রবেশ করেছেন। অথচ গত শুক্রবার টিকিট বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার।


করোনাভাইরাসে  আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৯৪ জনে।

একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫০১ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৩ জনে।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪৫ হাজার ২৮৪টি। পরীক্ষা করা হয় ৪৫ হাজার ৩৫৮টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ২১৩ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ২, রাজশাহীতে ১, খুলনায় ৫, সিলেটে ১, রংপুর ৩ ও ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।


অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।

কনডেম সেলে প্রদীপ-লিয়াকত

সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারে নেয়ার পর লিয়াকত এবং প্রদীপকে আলাদা করা হয়। এরপর তাদের কনডেম সেলে পাঠানো হয়।

এদিকে কক্সবাজার কারাগারে আলাদা করে কোনো কনডেম সেল না থাকায় লিয়াকত এবং প্রদীপকে যে কক্ষে রাখা হয়েছে, সেটিকেই কনডেম সেল ঘোষণা করা হয়েছে।

সিনহা হত্যায় কার কী দায়, কী সাজা

এর আগে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল সিনহা হত্যা মামলার রায়ে বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও বরখাস্ত ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ।

এছাড়া আরো ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। মামলার বাকি সাত আসামি খালাস পেয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।



ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য, প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরো সাতজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আত্মসমর্পণ করলে এ মামলার ১৫ আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়।


উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ। উত্তর কোরিয়ার দাবি, ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা এটি।  

মহাকাশ থেকে তোলা ছবিগুলোতে উত্তর কোরিয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা ধারণ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝারি পাল্লার হোয়াসং-১২ ছিল।

গতকাল রবিবার ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা চালানো হয়।

দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান গতকাল জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে অবতরণের আগে অন্তত ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল। উভয় দেশই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা করেছে। অথচ, উত্তর কোরিয়া এ মাসেই সাতবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

কেসিএনএ বলছে, হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি ঠিক মতো কাজ করছে কি না, সেটা নিশ্চিত হতেই এর সামনের দিকে একটি ক্যামেরা লাগানো হয়। ফলে এটি মহাকাশে থাকা অবস্থায় ছবি তুলতে পেরেছে।

প্রকাশ হওয়া ছবিগুলোর মধ্যে দুটি ধারণ করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মূহুর্তে। অন্যগুলো ধারণ করা হয়েছে যাত্রাপথের মাঝামাঝি অবস্থায়।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা মনে করছেন, উৎক্ষেপণের পর ক্ষেপণাস্ত্রটি অন্তত ৩০ মিনিট ধরে উড়েছে। এটি অন্তত ৮০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে জাতিসংঘ। এমনকী দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

তবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে কিম জং উনের দেশ।




৯:৩৪ AM

বলিউডের দুই জনপ্রিয় নায়িকা কারিনা কাপুর ও আমিশা প্যাটেল। দুজনেরই সফল ছবি আছে বলিউডে। তবে তাদের সম্পর্কের রসায়ন খুব ভালো বলা যায় না।

এক সময়ে আমিশা প্যাটেলকে ‘বাজে অভিনেত্রী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন কারিনা কাপুর। যদিও দুই দশক আগের সেই কথা নতুন করে তুলতে চান না আমিশা। এক্ষেত্রে আমিশা বুদ্ধিদীপ্তের পরিচয় দিয়েছেন। সমালোচনার পরিবর্তে উল্টো প্রশংসা করেছেন কারিনার।

আনন্দবাজার ডিজিটাল জানায়, রণধীর কাপুর এবং ববিতা কাপুরের মেয়ে কারিনা কাপুর। আবার ৯০ দশকের প্রথম সারির নায়িকা করিশমা কপুরের বোন। তাই প্রথম থেকেই করিনা কাপুরকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। বছরের সবচেয়ে সফল ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষমেশ যে ছবিতে হাতেখড়ি হয়, তা বক্স অফিসে ডুবে যায়! বলিউডে নবাগতা তারকা-সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন।

অনেকে বলেন, কারিনা নিজেই কুড়াল মারেন নিজের পায়ে। অজান্তেই নাকি বলিউডে জায়গা করে দেন অন্য এক নায়িকাকে।

ঠিক কী ঘটেছিল আজ থেকে দুই দশক আগে?

জানা গেছে, রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করছিলেন কারিনা। বিপরীতে পরিচালকের পুত্র হৃতিক রোশন।

নতুন নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে কাজ এগোচ্ছিল দিব্যি। কিন্তু নির্মাতাদের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে আচমকাই ছবি থেকে সরে আসেন কারিনা। মাঝপথে শুটিং বন্ধ করতে নারাজ রাকেশ খুঁজে নেন নতুন মুখ।

এভাবেই কারিনার ছেড়ে দেওয়া ছবি আমিশা প্যাটেলের কাছে বলিউডের দরজা খুলে দেয়। ২০০০ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পেয়েছিল ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’। বক্স অফিসে রেকর্ড ব্যবসা করে দুই নবাগতকে নিয়ে তৈরি এই প্রেমের ছবি। ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছিলেন হৃতিক এবং আমিশাও।

অন্যদিকে, সেই বছরের জুন মাসে মুক্তি পায় কারিনার প্রথম ছবি ‘রিফিউজি’। বিপরীতে ছিলেন অভিষেক বচ্চন। দুই তারকা-সন্তানের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু ব্যবসার নিরিখে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’র ধারেও ঘেঁষতে পারেনি এই ছবি।

শোনা যায়, ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সাফল্যের পর থেকেই তিক্ততা আসে দুই নায়িকার সম্পর্কে। এমনকি আমিশার অভিনয় দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন কারিনা। সাত-পাঁচ না ভেবেই আমিশার গায়ে সেঁটে দিয়েছিলেন ‘বাজে অভিনেত্রী’র তকমা।

আমিশা যা বললেন

আমিশা যদিও আগাগোড়াই নিশ্চুপ ছিলেন। তবে সম্প্রতি জানিয়েছেন, কারিনার প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই তার। এক সাক্ষাৎকারে সেই কথাই বলেন ‘গদর’ অভিনেত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমার কোনো শত্রু নেই। কারিনাকে কিছু গান এবং ছবিতে খুব ভালো লেগেছে। অসাধারণ অভিনয় করেন। এমনকি আমি আমার বন্ধুদের কাছেও ওর প্রশংসা করি। বলি, কী দারুণ কাজ করে ও!’

দুই দশক আগের তিক্ততা মনে রাখতে চান না অমিশা। বলেন, ‘আমি কারিনাকে নিয়ে শুধু ভালো কথাই বলবো। ব্যক্তিগতভাবে ওকে আমি চিনি না। তাই ওকে নিয়ে খারাপ কথা বলবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওর কাজ দেখেছি। সেটা আমার ভালো লেগেছে। ও আমাকে নিয়ে মন্তব্য করেছে? আমাকে নিয়ে ওর মতামত থাকতেই পারে।’

৯:২০ AM


মুক্তির পরই ঝড় তুলেছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ’। এই মুহূর্তে ইন্ডাস্ট্রির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পুষ্পা। এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা, বড় বাজেটের বলিউড-হলিউড সিনেমাকেও টপকে গেছে সিনেমাটি।

সুকুমার পরিচালিত এই সিনেমার নাম ভূমিকায় আছেন ‘আইকন স্টার’ খ্যাত তেলেগু সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তার সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন রাশমিকা মান্দানা। এ ছাড়াও আছেন মালায়লাম তারকা ফাহাদ ফাসিল। সিনেমার আইটেম গানে আবেদনময়ী রূপে নেচেছেন সামান্থা রুথ প্রভু।

জানা গেলো, ব্লকবাস্টার এই ‘পুষ্পা’ সিনেমার অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন টলি অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। এই সিনেমায় মালায়ালাম সুপারস্টার ফাহাদ ফাসিলের চরিত্রটির জন্য প্রথমে যিশু সেনগুপ্তকে বেছে নিয়েছিলেন নির্মাতা সুকুমার। কিন্তু করোনার পরিস্থিতির কারণে ‘পুষ্পা’-তে অভিনয় করতে পারেননি যিশু। অবশ্য এতে খুব একটা আক্ষেপ নেই অভিনেতার। কেননা, তিনি চিরঞ্জিবীর সঙ্গে ‘আচার্য’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন।

বক্স অফিসে ঝড় তোলা এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শুরুতে অনেক তারকাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুম্বাই এবং দক্ষিণী সেসব তারকারা ‘পুষ্পা’র প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

পুষ্পায় আল্লু অর্জুনের জায়গায় প্রথমে মহেশ বাবুকে চেয়েছিলেন পরিচালক সুকুমার। সিনেমা নিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা কথা হলেও শেষ পর্যন্ত সরে যান অভিনেতা। কেননা, ধূসর চরিত্রে অভিনয়ে রাজি ছিলেন না তিনি।

এ ছাড়া সিনেমায় চোরাকারবারির প্রেমিকা ‘শ্রীবল্লী’র চরিত্রে রাশমিকা মান্দানাকে চাননি নির্মাতা। নায়িকার চরিত্রে তার প্রথম পছন্দ ছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সামান্থা ‘শ্রীবল্লী’ হয়ে উঠতে পারেননি। তবে সিনেমার একটি আইটেম গানে তাক লাগিয়ে দেন তিনি।

এদিকে সেই আইটেম গানটির জন্য প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানিকে। তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় নির্মাতারা দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলিউডের ‘আইটেম গার্ল’ নোরা ফাতেহির কাছে। কিন্তু নোরা তিন মিনিটের একটি গানের জন্য আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক চাওয়ায় তাকে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর আইটেম গানটিতে সামান্থাকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নির্মাতা। সেই গানে পুরো বাজিমাত করে দেন এই তারকা।

প্রসঙ্গত, মূল্যবান লাল চন্দন কাঠের অবৈধ বাণিজ্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘পুষ্পা’ সিনেমার গল্প। তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড় ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। মুক্তির তৃতীয় দিনেই বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে নতুন রেকর্ড গড়েছে ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ’। দুই পর্বে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। এবার অপেক্ষা দ্বিতীয় পর্বের।

৯:০৪ AM


করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও প্রায় ৪০০ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে আল্লু অজুর্নের ‘পুষ্পা দ্য রাইজ’। বক্স অফিসে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তামিল সিনেমাটি।

দক্ষিণী সিনেমা হলের এ চলচ্চিত্র বিদেশের দর্শকদেরও হৃদয় কাঁপিয়ে দিয়েছে। ছবির প্রধান অভিনেতা আল্লু অজুর্ন ও নায়িকা রাশমিকার সংলাপ, গান সিনেমাপ্রেমীদের মুখে মুখে এখন। নাচের স্টেপ নকল করে সোশ্যাল মিডিয়া আপলোড করছেন অনেকেই।  

এদিকে পুষ্পার শুটিং ও এর প্রমোশনে ১৬ দিন বাড়ি ফেরেননি আল্লু। আর বাড়ি ফিরতেই তাকে চমকে দিয়েছে মেয়ে আরহা।

এতদিন বাবাকে কাছে না পেয়ে মন বেজার ছিল আরহার। তাই বাবা ফিরতেই আল্লু অর্জুনকে ভালোবাসায় স্বাগত জানায় আরহা।

মেয়ের ভালোবাসায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এ অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করলেন আদরের মেয়ের সেই আবেগমাখা অভিনন্দন।

দুবাইতে বাড়ি ফিরতেই আল্লু দেখেন, মেয়ে আরহা ফুলের পাপড়ি সাজিয়ে সে লিখেছে— ‘ওয়েলকাম নানা’।  



ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি আপলোড করে আল্লু ক্যাপশনে লিখেছেন— ‘১৬ দিন বাইরে থাকার পর যখন ফিরে এলাম, তখন আমাকে এই বিশেষভাবে স্বাগত জানানো হয়েছিল।’

৮:৫৮ AM


দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং বলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল। রণবীর যতটা খোলামেলা দীপিকা একেবারেই তাঁর বিপরীত। কিন্তু এবার নিজের বেডরুম সিক্রেট ফাঁস করলেন দীপিকা নিজেই।

রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন বলিউডের ফ্যাব কাপলদের অন্যতম। দীপবীর-এর (DeepVeer) পিডএ মোমেন্ট থেকে শুরু করে ক্যমেরায় তাঁদরে খুনসুটি সম্পর্কের সমীকরণ দেখতে হা-পিত্যেশ করে বসে থাকেন তাঁদের ভক্তকুল। রণবীর যতটাই ক্যামেরার সামনে খোলামেলা। দীপিকা একেবারেই তাঁর বিপরীত। বলিউডের মস্তানি আসলে ভীষণ রকম প্রাইভেট পার্সন।

২০১৯ সালে দীপিকা একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর ও রণবীরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এমন কিছু তথ্য বলেন যা শুনে হেসে কুটোপাটি হল ভর্তি দর্শক। আসলে দীপিকা তাঁর ওই সাক্ষাৎকারে নিজেদের বেডরুম সিক্রেটই ফাঁস করেন সকলের সামনে। ২০১৯ সালে Nykaa Femina Beauty Awards-এ দীপিকাকে জিজ্ঞেস করা হয় রণবীর সমন্ধে অজানা এমন কয়েকটা অভ্যেস জানাতে।

সেই সময় দীপিকা রণবীর সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য সকলের সামনে রাখেন যা শুনে হাসি চাপতে পারলেন না দর্শকরা। দীপিকা বলেন, “রণবীর স্নান করতে অনেকটা সময় নেয়, ঠিক ততটাই সময় নেয় রেডি হতে এমনকী বাথরুমে অনেকটা সময় ব্যায় করে। তেমনই বিছানায়ও বেশ দেরি করে রণবীর।”

 

ব্যাস যেই না দীপিকা এই কথা বলেছেন ওমনি অ্যাওয়ার্ড শো উপস্থিত দর্শকরা ইশারা করতে শুরু করে দেন। তক্ষুণি দীপিকা নিজেকে শুধরে নিয়ে ফের বলেন, “আমি বললাম রণবীর বিছানায় শুতে যেতে দেরি করে।”

৮:৫৪ AM


সুপারস্টার হৃতিক রোশন জীবনের ৪৮তম বছর পার করছেন। আশির দশকে শিশুশিল্পী হিসেবে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছিলেন তিনি। তবে নায়ক হিসেবে হৃতিকের অভিষেক হয় ২০০০ সালে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’সিনেমার মাধ্যমে। 

ফ্যাশন ডিজাইনার সুজান খানের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন হৃতিক। সংসার আলো করে আসে দুই সন্তান। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছর পর বিবাহবিচ্ছেদ করেন হৃতিক-সুজান। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

বিচ্ছেদের পর কারো সঙ্গে হৃতিকের সম্পর্কে জড়ানোর কথা শোনা যায়নি। অবশেষে এক তরুণী তার মন জিতেই নিলেন। সেই তরুণীর নাম সাবা আজাদ; যিনি হৃতিকের চেয়ে ১৬ বছরের ছোট।

পড়েন তারা। মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায় ছবিগুলো। মাস্ক পরে থাকায় প্রথমে তরুণীকে চিনতে পারেননি কেউ। পরক্ষণেই বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়। 

সাবাসম্প্রতি এক রাতে সাবা আজাদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় ডিনার ডেটে গিয়েছিলেন হৃতিক। সেখান থেকে হাত ধরে বের হওয়ার সময়ই পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা  আজাদ বলিউডের তরুণ অভিনেত্রী। ইতোমধ্যে কয়েকটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন। কিছুদিন যাবত তার সঙ্গেই হৃতিক মেলামেশা করছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।


২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া ইয়েমেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। সরাসরি যুদ্ধের কারণে প্রায় একই সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষও মারা গেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর প্রকাশ করেছে আলজাজিরা ও বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিয়োগ করা প্রায় ১৫০০ শিশু ২০২০ সালের লড়াইয়ে মারা গেছে। পরের বছর নিহত হয় আরও কয়েকশ। শিশু-কিশোরদের মাঝে নিজেদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উৎসাহিত করতে শিশুদের সৈনিক বানাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কয়েকটি ক্যাম্প এবং একটি মসজিদকে ব্যবহার করছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের চার সদস্যের প্যানেল জানিয়েছে, শিশুদের স্লোগান দেওয়া শেখাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা। যার মধ্যে ‘আমেরিকার মৃত্যু, ইসরায়েলের মৃত্যু, ইহুদিদের প্রতি অভিশাপ এবং ইসলামের বিজয়’ অন্যতম। ক্যাম্পে ৭ বছর বয়সী শিশুদেরও অস্ত্র পরিষ্কারের এবং রকেট হামলার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

৩০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ইয়েমেন যুদ্ধে নিহত হওয়া ১৪০৬ জন শিশুযোদ্ধার নামের তালিকা জাতিসংঘের হাতে এসেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে আরও ৫৬২ জন শিশুযোদ্ধা। তাদের তালিকাও পেয়েছে জাতিসংঘ। এসব যোদ্ধার বয়স ১০ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।


জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বহুবছর ধরে এক সন্তান নীতিতে অটল ছিল চীন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। দিন দিন দেশটিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় শ্রম শক্তির যোগান দিতে এখন বেশি বেশি সন্তান নিতে উৎসাহিত করছে চীন সরকার।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দা বেই নং টেকনোলজি গ্রুপ ঘোষণা দিয়েছে, তিনটি সন্তানের জন্ম দিলে কর্মীদের বেতনসহ এক বছর ছুটি দেওয়া হবে। সঙ্গে আর্থিক বোনাস দেওয়া হবে ১২ লাখ টাকা। এছাড়া বাবা হওয়া পুরুষ কর্মীদের ৯ মাসের ছুটি দেওয়ার কথা জানানো হয়।

শুধু তাই নয়, প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রেও বোনাস দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ক্ষেত্রে প্রথম সন্তানের জন্য ৩০ হাজার ইউয়ান যা বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ লাখার টাকার বেশি। এছাড়া দ্বিতীয় সন্তানের ৬০ হাজার ইউয়ান বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।

মূলত জন্মহার বাড়াতে সরকারিভাবে উৎসাহ দেখানোর পর এগিয়ে আসছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও।

বহু দশক ধরে কঠোরভাবে ‘এক সন্তান নীতি’ অনুসরণের পর ২০১৬ সালে চীন সেটি বাতিল করে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয় চীন সরকার। পরবর্তীতে ২০২১ সালে সরকার তিন সন্তান নেওয়ারও উৎসাহ দেয়। তারই পরিপেক্ষিতে  প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি এই ঘোষণা দিল।

এছাড়া দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারও সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পুরস্কার ও সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে যেখানে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ৯৮ দিনের বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটিও দেওয়া হচ্ছে।



নাটকের জনপ্রিয় মুখ মেহজাবিন চৌধুরী এবার ফিল্মে অভিনয় করছেন। তবে এটা পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র না। এটি ওয়েব ফিল্ম। 

সম্প্রতি দেশের  ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি এক মেইল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মেহজাবিন চৌধুরীর কারাগারে থাকার একটি ছবি পাঠিয়েছে। তবে  যেখানে কোনো তথ্য সরবরাহ না করে দর্শকদের কৌতুহলী রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। 

প্লাটফর্মটির ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয়েছে ছবিটি। সেখানেও কৌতুহলী ক্যাপশন।  তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটি একটি ওয়েব ফিল্মের স্থিরচিত্র। যাতে মেহজাবিনের বিপরীতে থাকছেন আফরান নিশো। আরও থাকবেন মনোজ প্রামাণিক। 

ইতোমধ্যে ওয়েব ফিল্মটি দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ। 

ওয়েব ফিল্মে গল্প কী নিয়ে তা জানা না গেলেও, নিশো নাকি মনোজ কার কারণে জেলে মেহজাবীন? তা জানতে দর্শকদের অপেক্ষা করতে হবে থ্রিলার নির্মাণে খ্যাতি পাওয়া ভিকি জাহেদের ওপর।





আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেও ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দুটি লকারের পাসওয়ার্ড পরিচালনা বোর্ডকে সরবরাহ করেনি কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভাঙা হয়। এরপর সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের চেক পাওয়া গেছে।

এর আগে সোমবার দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

পরে দুপুর ৩টার দিকে ইভ্যালির কার্যালয় থেকে লকারগুলো বের করা হয়। লকার ভাঙার জন্য ধানমন্ডিতে ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত আছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।

লকারটি ভাঙার আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গত ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে ধানমন্ডি কার্যালয়ে লকারগুলোর কম্বিনেশন নম্বর (পাসওয়ার্ড) দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশিত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতিনিধিকে তাড়াতাড়ি তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতেও আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন।

প্রথম লকার ভাঙতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। পরে লকারের ভেতর পাওয়া যায় সিটি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংকের বেশ কয়েকটি ব্লাংক চেক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাচ্চাদের পড়ার বই। ‌ লকারে কোনো ধরনের অর্থ পায়নি বোর্ড।

তার আগে ইভ্যালির লকারে কী আছে সেটি জানতে পাসকোড চাওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেলের কাছে। বোর্ডের কাছে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। পরে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেন লকার ভাঙার।

প্রসঙ্গত, অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করার দায়ে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।



ঘরের মাঠে আজ বিশাল স্কোর গড়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দুই শ ছাড়ানো সেই স্কোরের জবাব ভালোই দিচ্ছিল সিলেট। একপর্যায়ে তাদের জয় দেখছিলেন অনেকে। কিন্তু সব সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

২০ বছর বয়সী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই পেস বোলিং অল-রাউন্ডার আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছেন। একে একে তুলে নিয়েছেন দারুণ খেলতে থাকা এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর রবি বোপারাকে। চট্টগ্রাম জিতেছে ১৬ রানে।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জেতা মৃত্যুঞ্জয় তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সম্পর্কে বলেন, সত্যি কথা বলতে গেলে প্রথমদিকে নার্ভাস ছিলাম না। প্রথমদিকে আমার পরিকল্পনায় ছিল যে ইয়র্কারটা ভালোভাবে করব। প্রথম ওভারে এক্সিকিউশনটা খুব ভালো হয়েছে। এ কারণে কোনো প্রেশার ছিল না। আর আমার কনফিডেন্স ছিল যে প্রথমদিকে যেহেতু দুটি ওভার ভালো হয়েছে, ইয়র্কার খুব ভালো পড়ছিল এ কারণে শেষের দিকে খুব ভালো আত্মবিশ্বাস ছিল যে ইয়র্কারটা খুব ভালো পড়বে। তো সেটা পড়েছে।  

তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন অসাধারণ একটা পরিকল্পনা দিয়েছিলেন, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করার। প্রথম ওভারটা হয়তো ওরকম হয়নি, তবে ট্রাই করেছি এবং পরবর্তী ওভারগুলোতে ইয়র্কার হয়েছে।  

স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এই তরুণ বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে পাঁচ উইকেট এবং হ্যাটট্রিক। তবে এরকম লেভেলে প্রথম ম্যাচে নেমেই এক্সপেক্ট করিনি। তবে এক্সিকিউশন যেহেতু ভালো হয়েছে সে ক্ষেত্রে প্রাপ্তি বলা যায়।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget