Latest Post

৬:১৮ AM


সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন ও ক্রিকেটার নাসিরের ‘সাবেক প্রেমিকা’ মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা গত বছরের ১ ডিসেম্বর ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেছিলেন। এর কয়েকদিন পর সেটা প্রকাশ্যে আনেন। 

এর পরেই শুরু হয় কাদা-ছোড়াছুড়ি। জানা যায়, ইলিয়াস তার দ্বিতীয় স্ত্রী করিন নাজকে ডিভোর্স না দিয়েই সুবাহকে বিয়ে করেছেন। প্রথম দিকে ইলিয়াস ও সুবাহ দু’জনেই করিনকে দোষারোপ করেন। 

তবে পরক্ষণে তারা দু’জনেই হয়ে ওঠেন একে-অপরের প্রতিপক্ষ। ইলিয়াস অভিযোগ তোলেন, সুবাহ তাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন। এমনকি বিয়ের পর তার গায়েও নাকি হাত তুলেছেন। অন্যদিকে সুবাহর অভিযোগ, ইলিয়াস তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। এসব তথ্য তারা দুজনই সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: খাবার ছাড়া থাকতে পারি, কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া নয়! (ভিডিও)

এদিকে মামলা চলমান অবস্থায় দুবাই উড়াল দিয়েছেন ইলিয়াস। এদিকে ইলিয়াস দুবাই গেলেও চুপ করে নেই সুবাহ। তিনি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে একটি পোস্ট দেন সুবাহ। 

ছবি দিয়ে ক্যাপশনে সুবাহ ইলিয়াস-নাসিরের মধ্যে পার্থক্য জানালেন – তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

ইলিয়াস আর নাসিরের মধ্যে পার্থক্য কি জানেন?

ইলিয়াস: যে চৌদ্দটা বিয়ে করছে প্রত্যেকটা মেয়ের থেকে টাকা নিয়েছে মেয়েদেরকে নিয়ে বিজনেস করে বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রী বিজনেসম্যান এর কাছে মাইয়া মানুষ সাপ্লাই দেয় এককথায় সে একটা দালাল ধান্দাবাজ। যার কাছে বিয়েটাই হলো পুতুল খেলা বিজনেস।

এখন সবার কাছে ধরা খাইছে আমি দুইটা মামলা দিয়েছি ওর নামে তাই আমাকে পাবলিকলি গালি গালাজ চরিত্র নিয়ে কথা বলে অথচ নিজের চরিত্রের কোনো ঠিক নাই। আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলে সে নিজেকে খুবই বড় ভাবে হাহাহা। 

মেয়ে মানুষকে সম্মান করে না অথচ বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সারাদিন পোস্ট করে ফেসবুকে আর কাপুরুষের মত পালায় পালায় ঘোরে। আমি যদি কখনো বুঝতে পারতাম বিয়ের আগে ইলিয়াস এত ফালতু থার্ডক্লাস মাইয়া বাজ মাইয়া মানুষের দালাল মারা যাইতাম বিষ খেয়ে তাও কোনদিন ইলিয়াসের মত ফালতু ছেলেকে কবুল পরে বিয়ে করতাম না।

৬:০০ AM


কিংবদন্তি আমেরিকান গায়ক মিট লৌফ আর নেই। ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সর্বকালের সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় রয়েছে তার ‘ব্যাট আউট অব হেল’ অ্যালবাম।

লৌফের মৃত্যুর বিষয়টি এই তারকার ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করে তার পরিবার। ওই পোস্টে জানানো হয়, ‘দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাদের জানাতে হচ্ছে যে, অতুলনীয় মিট লৌফ মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন তার স্ত্রী।’



লৌফের মৃত্যুর গত ২৪ ঘণ্টা বন্ধুর মতো কাছে ছিলেন তার দুই কন্যা পার্ল ও আমান্ডা।

বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ মিলিয়ন অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে এই তারকা গায়কের। এছাড়া লৌফ ‘ফাইট ক্লাব, ‘দ্য রকি হরর পিকচার শো’ এবং ‘ওয়েইনস ওয়ার্ল্ড’-এর মতো বিখ্যাত ছবিতেও অভিনয় করেন।

ডালাসে জন্ম এই গায়কের মূল নাম মারভিন লি আডে। তবে মাইকেল নামেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ‘ব্যাট আউট অব হেল ট্রিলজি’, দিয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পান লৌফ। এই ট্রিলজি অ্যালবাম মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।

৯০-এর দশকে লৌফের হিট গান ‘আই উ’ড ডু এনিথিং ফর লাভ (বাট আই উ’ন্ট ডু দ্যাট)’ ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিক্রিত সিঙ্গেল ছিল। যা তাকে এনে দেয় গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড।


ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন ‘দ্য টাইম মেশিন’ সিনেমার নায়িকা ইভাট মিমি। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) লস অ্যাঞ্জেলেসের বেল এয়ারের নিজ বাড়িতে ঘুমের ভেতরে মারা যান তিনি।

মৃত্যুর সময় এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। জানা যায়, বার্ধক্যের কারণে মারা গেছেন মিমি।

১৯৬৩ সালের ‘টয়েস ইন দ্য অ্যাটিক’ সিনেমায় নববধূর চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান মিমি। মাত্র ২১ বছর বয়স পার হওয়ার আগেই ৮সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি।  

১৯৬৪ সালে ‘ড. কিলডেয়ার’ সিনেমায় অভিনয় করেন মিমি। ১৯৬৫ সালে ‘জয় ইন দ্য মর্নিং’ সিনেমাতেও দেখা যায় তাকে। এছাড়া ‘দ্য মোস্ট ডেডলি গেম’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য তিনবার গোল্ডেন গ্লোবের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।  

মিমির অন্যান্য বিখ্যাত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘হোয়ার দ্য বয়েজ আর’, ‘লাইট ইন দ্য পিয়াৎজা’, ‘টয়েজ ইন দ্য অ্যাটিক’ এবং ‘ড. কিলডেয়ার’।

৫:৪৪ AM


দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। কিছুদিন আগে আলোচনায় ছিলেন ‘দ্যা ফ্যামিলি ম্যান টু’ সিরিজে তার চরিত্রের কারণে। তারপর বেশ কয়েকদিন নাগাচৈতন্যর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় থাকলেন। এখন বিয়ে ভাঙার পর থেকেই তিনি চর্চায়। সেই রেশ এখনও কাটেনি। সাম্প্রতিক খবর, সামান্থা নাকি ডেবিউ করতে চলেছেন বলিউড ও হলিউডেও।

ইদানিং, তার ২০১৭ সালের একটি ইন্টারভিউ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে সামান্থা বলেছেন, ভাল খাবার ও শারীরিক অন্তরঙ্গতার মধ্যে বেছে নিতে হলে তিনি বেছে নিবেন শারীরিক অন্তরঙ্গতাকেই।


২০১৭ সালে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সামান্থা। সেখানে ছিল ব়্যাপিড ফায়ার রাউন্ড। খাবার ও শারীরিক অন্তরঙ্গতার মধ্যে বাছাই করতে দেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর তিনি বেছে নিয়েছিলেন শারীরিক অন্তরঙ্গতাকেই।

সেই সঙ্গে এটাও বলেছিলেন, “আমি সারাদিন কিচ্ছু না খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারব। কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া বাঁচতে পারব না।” সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলেও আপলোড করা হয়েছে সাক্ষাৎকারটি।


মাস কয়েক আগে ‘দ্যা ফ্যামিলি ম্যান ২’ ওয়েব সিরিজ়ে রাজ়ি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সামান্থা। এক আন্দোলনকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন সেই চরিত্রে অভিনয় করে। সেই সঙ্গে বিতর্কের মুখেও পড়েছিলেন অভিনেত্রী। বলাই বাহুল্য, সামান্থার রাজ়ি চরিত্রটি তার জন্য খুলে দিয়েছে বলিউডের দরজা। কেবল বলিউড নয়, হলিউডের দরজাও খুলে দিয়েছে একই সঙ্গে।

বিয়ে ভাঙার পর মূলত নারীকেন্দ্রিক চরিত্রে অভিনয় করারই অফার পাচ্ছেন সামান্থা। দক্ষিণের কোনও প্রতিষ্ঠিত নায়ক নাকি তার বিপরীতে কাজ করতে চাইছেন না এই মুহূর্তে। তার অন্যতম কারণ সামান্থার প্রাক্তন শ্বশুরমশাই, অর্থাৎ অভিনেতা নাগাচৈতন্যর বাবা সুপারস্টার নাগার্জুনাকে কেউ অসন্তুষ্ট করতে চাইছেন না।

নাগা-সামান্থার বিয়ে নিয়ে বেশ কিছু ট্রল হয়েছে। সেই সব ট্রলের জন্য সামান্থাকেই দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তার কারণেই বিবাহবিচ্ছেদ। কিন্তু সব ট্রলিংয়ের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন সামান্থা। তিনি টুইট করে লিখেছিলেন, “মানুষ বলেছেন আমি নাকি সন্তান চাইতাম না। আমি সুবিধাবাদী। গর্ভেই আমি সন্তান নষ্ট করেছি। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদ একটি যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া। আমাকে আমার মতো থাকতে দিন।”


অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যার পর তার লাশ বস্তাবন্দি করে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় ফেলে রাখা হয়। সেখান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় শিমুর স্বামী ও তার বন্ধু ফরহাদকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তবে শিমুকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল না বলে দাবি করেছেন তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল (৪৮)। ঝগড়ার একপর্যায়ে গলা চেপে ধরলে শিমু মারা যায়।

৩ দিনের রিমান্ডের প্রথমদিন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এমন কথা জানিয়েছেন নোবেল। তবে, পুলিশের কাছে অকপটে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল জানিয়েছেন, শিমুকে হত্যা করা তার পরিকল্পনা ছিল না। 

সকালে দুইজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে তিনি শিমুকে থাপ্পড় দেন। এতে শিমু তার ওপর চড়াও হন। ক্ষিপ্ত হয়ে শিমুর গলা চেপে ধরলে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর বন্ধু ফরহাদকে বাসায় ডোকে স্ত্রীর লাশ গুমের পরিকল্পনা করেন নোবেল।

ঝগড়ার কারণ জানতে চাইলে নোবেল পুলিশকে জানায়, তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি চলছিল। কিছু বিষয় নিয়ে তিনি স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন, স্ত্রীও তাকে সন্দেহ করতেন। এছাড়া গাড়ির যন্ত্রাংশের পুরনো ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছু একটা করার চাপ ছিল তার ওপর। এসব নিয়েই তাদের মধ্যে দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহ চলছিল।

মামলা তদন্তের বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, নোবেল ও তার বন্ধুকে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নোবেল অকপটেই স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করছেন।

পুলিশ জানায়, রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টা-৮টার দিকে তিনি শিমুকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর ফরহাদকে ফোনকলে করে ডেকে নেন। এরপর বন্ধু নোবেলের সহযোগিতায় শিমুর লাশ গুম করার চেষ্টা করেন।

এর অংশহিসেবে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার আলীপুর ব্রিজের ৩শ গজ দূরে সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর মরদেহ ফেলে চলে যান তারা। পরে পুলিশ সেখান থেকে বস্তাবিন্দি এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। 

পরে লাশের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে তার নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

সেদিন রাতেই শিমুর ভাই হারুনুর রশীদের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। 

এরপর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৮৮ জন। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ১৮০ জন এবং মোট আক্রান্ত বেড়ে ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৮২ জনে দাঁড়িয়েছে।

আগের দিন বুধবার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনাক্ত হয়েছিলেন ৯ হাজার ৫০০ জন। আগের দিনের চেয়ে মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। আর সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৭৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৫ জন। রোগী সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।


গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৮৯৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করার বিপরীতে ৪১ হাজার ২৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যেখানে মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন: করোনার পূরবের সব রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে ভারত

২৪ ঘণ্টায় যে চারজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ একজন ও নারী তিনজন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সী রয়েছেন একজন। মৃতদের দুজন ঢাকা ও বাকি দুজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা নিম্নমুখী হলেও ২০২১ সালের এপ্রিলের পর থেকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তবে ২০২২ সালের শুরুতেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আবারও চোখ রাঙাতে শুরু করে। দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ ও মৃত্যু। 


ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা চরমে। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা যেকোনো সময় হামলা করতে পারে রাশিয়া। এর মাঝেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমায়ার জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি বাইডেন বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে ‘ছোট আগ্রাসন’ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের কাছ থেকে দুর্বল প্রতিক্রিয়া পাবে। এই বক্তব্যের পর এই টুইট বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘বিশ্বের বড় পরাশক্তিকে মনে করিয়ে দিতে চাই আগ্রাসনে ছোট-বড় বলে কিছু নেই। ছোট হতাহত বলেও কিছু নেই আর সামান্য লোভও একজনের স্বজন কেড়ে নেয়।’

সীমান্তে সেনা উপস্থিতি নিয়ে শুরু থেকেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে আসছে রাশিয়া। তাদের দাবি, ইউক্রেনে হামলা কিংবা আগ্রাসনের কোনো পরিকল্পনা নেই।


মার্কিন বিশ্লেষদের ধারণা, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে এক লাখ সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। যেকোনো সময় হতে পারে হামলা।

যার কারণে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াকে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে তাহলে আপনারা সবাই দেখবেন যুক্তরাষ্ট্র কি করে। তাই বিষয়টি পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে রাশিয়ার পদক্ষেপের ওপর।’

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে অভিযান চালালে তা রাশিয়ার জন্য বিপর্যয়কর হবে


পরিস্থিতি বেশি খারাপের দিকে গেলে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে এমন তথ্য জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও এর সঙ্গীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। যা আন্তর্জাতিক অর্থনীতি থেকে দেশটিকে আলাদা করে দেবে।’

বাইডেন বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, ইউক্রেনে হামলা হলে রাশিয়ার ওপর যেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে তাতে দেশটির ডলার লেনদেনে বড় আকারের ক্ষতি হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেইসঙ্গে ইউরোপের অর্থনীতিতেও। কিন্তু রাশিয়ার জন্য যা হবে তা হচ্ছে ‘বিপর্যয়’।


ফের সাড়ে তিন লাখের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল ভারতের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৪ জন। গত বছর প্রথম বার দৈনিক কোভিড আক্রান্ত সাড়ে তিন লাখ পার করেছিল। ওমিক্রনের ধাক্কায় প্রায় ৮ মাস পর ফের দৈনিক সংক্রমণ এই পর্যায়ে পৌঁছল। খবর আনন্দবাজারের।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৭ জন।

আক্রান্তের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু এবং দৈনিক সংক্রমণের হার।


শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ১৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার তা ছিল ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৭০৩ জনের। বৃহস্পতিবার তা ছিল ৪৯১। তবে ৭০৩ জন মৃতের মধ্যে ৩৪১ জনই কেরালার। ভারতের বাকি সব রাজ্যেই তা ৫০-এর কমই রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, মহামারি পর্বে করোনাভাইরাস মোট প্রাণ কেড়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯৬ জনের।




ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্র, কেরালা এবং কর্নাটকে দৈনিক আক্রান্ত রয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি। তামিলনাড়ুতে সাড়ে ২৮ হাজার এবং গুজরাতে তা প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার। উত্তরপ্রদেশ ১৮ হাজার ৪২৯ ও রাজস্থানে ১৪ হাজার ৭৯ জন। তবে দিল্লি (১২,৩০৬) এবং পশ্চিমবঙ্গে (১০,৯৫৯) এ বছরের শুরুর তুলনায় আক্রান্ত অনেকটা কমেছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশ (১২,৬১৫), হরিয়ানা (৯,৫৫৮), মধ্যপ্রদেশ (৯,৩৮৫), পঞ্জাব (৭,৮৬২), অসমে (৭,৯২৯) আক্রান্ত কমার লাখণ নেই। গত কয়েক দিনে তেলঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, গোয়া, মিজোরাম, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রভারতেও দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে।


করোনা সতর্কতায় আগামী ২ সপ্তাহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ মহামারির বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, 'সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলবে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগির তা কার্যকর করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বাণিজ্য মেলা, বইমেলা, স্টেডিয়ামে টিকা ও করোনা টেস্টের সনদ নিয়ে যেতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি যেতে পারবে না এবং তাদেরও টিকার সনদ থাকতে হবে।'

২ সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কিংবা বন্ধ রাখার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাবিরুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। 


এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অবশ্যই টিকা সনদ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমূহে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবেন। 

বাজার, শপিংমল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের সমাবেশে অবশই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে। 

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে দেওয়া হয়।


রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার পর এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর প্রভাব অনুভূত হয় বাংলাদেশে। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি)। সংস্থাটি প্রথমে ভূকম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ১ জানিয়েছিল। পরে সংশোধন করে ৫ দশমিক ৪ জানায়।

ইএমএসসি তথ্য বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারতের আইজল শহর থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং মিয়ানমারের ফালাম শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে।

৩:৩০ AM


এক দশক ধরে দক্ষিণ ভারতের রোমান্টিক ছবির ‘মুখপাত্র’ হয়েই ছিলেন। গেল বছর হঠাৎ সামান্থা রুথ প্রভু হাজির হলেন অ্যাকশন অবতারে। বিবাহবিচ্ছেদ থেকে আইটেম গান—বছরজুড়েই আলোচিত ছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি যশরাজ ফিল্মসের তিন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলেও খবর। নতুন সামান্থাকে নিয়ে লিখেছেন  লতিফুল হক


সর্বনাশটা হয়েছিল গৌতম মেননের ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ দিয়ে। দক্ষিণ ভারতের এই নন্দিত পরিচালকের বহুল প্রশংসিত রোমান্টিক ছবিতে অভিষেক সামান্থার। ২০১০ সালে মুক্তির পর থেকেই ‘রোমান্টিক নায়িকা’র খেতাব পান। 

সেই থেকে পাশের বাড়ির মেয়ে টাইপ চরিত্র হলেই ডাক পড়ত সামান্থার। সেই ধারাবাহিকতায় একে একে করে গেছেন ‘নিথানে এন পনভাসানথাম’, ‘এগা’, ‘ডোকুডু’সহ বেশ কয়েকটি ছবি। সবই ব্যবসাসফল। কিন্তু সামান্থা মনে মনে সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। 


সেটা কতটা? গেল ডিসেম্বরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি পাশের বাড়ির মেয়ে টাইপ চরিত্রে অভিনয় করতে করতে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠছিলাম। 


অন্য রকম চরিত্রে অভিনয় করতে, নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তর সইছিল না।’ সেই আগ্রহ থেকেই সামান্থা করেন ‘সুপার ডিলাক্স’। সমালোচকদের কাছে ব্যাপকভাবে বাহবা পাওয়া ছবিতে তাঁর পারফরম্যান্স দেখেই রাজ ও ডিকে তাঁদের জনপ্রিয় সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর দ্বিতীয় সিজনে সামান্থাকে ভাবেন। বাকিটা তো ইতিহাস। 

গেল বছরের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজে অ্যাকশন অবতারে হাজির হয়ে চমকে দেন সামান্থা। সিরিজে সহ-অভিনেতার সঙ্গে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও ছিল। যদিও পরে দৃশ্যটি সম্পাদনা করে বাদ দেওয়া হয়। এই দৃশ্য ও সিরিজ দিয়েই সামান্থার দাম্পত্য ঝামেলারও শুরু, যা পরে বিচ্ছেদে গড়ায়। 

আগেই জল্পনা ছিল, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়কে কেন্দ্র করেই নাগা চৈতন্যর সঙ্গে সামান্থার দূরত্ব তৈরি হয়। দিন দশেক আগে এক সাক্ষাৎকারে পরোক্ষভাবে তা স্বীকার করেন নাগা। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের ব্যাপক সমর্থন পান অভিনেত্রী।


সামান্থার সর্বশেষ চমক ‘পুষ্পা—দ্য রাইজ’-এর আইটেম গান। প্রথমবার আইটেম গানে তাঁর আগুনে উপস্থিতিতে মুগ্ধ খোদ বলিউড অভিনেত্রীরাও। গেল বছর আরেক হিট আইটেম গান ‘পরম সুন্দরী’-তে পারফর্ম করা কৃতি শ্যাননও ভূয়সী প্রশংসা করেন। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর সাফল্য, নাগার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই জল্পনা শুরু হয়, বলিউডেই স্থায়ী হচ্ছেন সামান্থা। মুম্বাইয়ে নাকি বাড়িও নিয়েছেন। নতুন খবর, যশরাজের তিন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সামান্থা। আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা না হলেও খবর সত্য হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ এখন প্রযোজকরা এমন নায়ক-নায়িকা চাইছেন, পুরো ভারতেই যাঁদের পরিচিতি আছে।

নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদ ভুলে নতুন করে শুরু করতে চান সামান্থা 

এ ছাড়া রাজ-ডিকের আরেকটি সিরিজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ‘নতুন যাত্রা’ প্রসঙ্গে সামান্থা বলেন, ‘আমি এখনকার সময়টা ভীষণ উপভোগ করছি। নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছি। অথচ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ও পরের সময়টা ভীষণ অসহায় মনে হচ্ছিল। মনে হয়নি কঠিন অবস্থা পেরিয়ে স্বাভাবিক হতে পারব। বিচ্ছেদ আমাকে বরং শক্তিশালী করেছে।’

২:৪৯ AM


মুম্বাই, ২০ জানুয়ারি – কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ডান্স কুইন নোরা ও গুরু রান্ধাওয়ার মিউজিক ভিডিও ‘ডান্স মেরি রানী’। গানের শুটিং চলাকালীন সময় গোয়া সমুদ্র সৈকতে গুরু এবং নোরা ফাতেহির বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছিলো।

আর এতেই নেটিজেনরা ধারনা করতে শুরু করেছিল দুজনের মধ্যে কিছু তৈরি হয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেছিলেন হয়তো ডেটিং করছেন দুজন।

কিন্তু গান মুক্তির পরেই ভুল ভাঙ্গে নেটিজেনদের। বুঝতে পারেন ছবিগুলো তাদের শুটিংয়ের সময়কার।

নিজেদের গান ও সিনেমার প্রচারণার জন্য অনেকেই উপস্থিত হন কমেডিয়ান কপিল শার্মার শোতে। নতুন গানের প্রচারণার জন্য এ দুই তারকাও উপস্থিত হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের আনসেনসরড ভিডিওতে গুরু একটি ঘটনার কথা বলেছিলেন। যে ঘটনা গায়কের মোটেও পছন্দ ছিল না। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। যখন নোরা গুরুকে ‘পাজি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।

মজা করে গুরু জানান যখন আমাকে, ‘পাজি’ (বড় ভাই) ডেকেছে। আমার মনে হচ্ছিল নোরা আমাকে বড় ভাই ডাকছে, আমিতো আজকে মরেই গেলাম’।

এরপর গুরু বলেন, ‘আসলে পাপ্পারাজিরা আমাকে পাজি বলে ডাকছিল। তাই নোরাও আমাকে পাজি বলে সম্বোধন করেন। নোরা পাজি শব্দের মানেই জানতেন না। যখন তাকে শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করি তখন ‘ওকে, ওকে, বাবু, বলেছিল।’

তখন নোরা প্রকাশ করেন পাজি বলে ডাকায় গুরু তার ‘হাই’ এর সঠিক জবাব ও দেননি। নোরা কপিলের শোতে এই বলেও কষ্ট প্রকাশ করেন যে গায়ক তার ব্লগ দেখেন না।


জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজকে নিয়ে গত দুই দিন হলো চলছে সমালোচনা। এফডিসিতে এক বৃদ্ধ শিল্পীকে জড়িয়ে তার কান্না করার বিষয়টিকে হাস্যকরভাবে নিয়েছে কিছু মানুষ। সিনেমার সংশ্লিষ্ট কিছু মানুষ রিয়াজের কান্নাকে ‘নাটক’ বলে তাচ্ছিল্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন রিয়াজ নিজেই।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের কাছে রিয়াজ বলেন, ‘আমরা শিল্পী। তবে একজন মানুষের মধ্যে সহজাত যে আবেগ থাকে, সেটা আমাদের মাঝেও আছে। আমার মা যখন মারা গেছিলেন, আমি যখন কাঁদছিলাম, অনেকের কাছেই তখন মনে হয়েছিল এটা হয়তো এক ধরনের অভিনয়। এটা আমি ফেস করেছি বিগত দিনে। এটা শিল্পীদের একটি চিরায়ত ব্যাপার।’

আরো পড়ুনঃ- এফডিসিতে হাউমাউ করে কাঁদলেন রিয়াজ (ভিডিও)

এফডিসিতে কান্নার বিষয়ে রিয়াজ বলেন, ‘একজন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ, ষাটোর্ধ্ব নারী, যাদের সদস্যপদ বাতিল হয়েছিল, তারা আমাদের সঙ্গে গতকাল নির্বাচনি গানের তালে নাচছিল। এই মানুষগুলোর খুব বেশি চাওয়া-পাওয়া নেই। তাদের আনন্দ দেখে এবং তাদের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি জেনে সহজাতভাবেই আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। সেই আবেগকে নিয়ে যারা ট্রল করেছেন, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। আপনারা এভাবেই ট্রল করতে থাকেন। তাতে আমাদের কিছু যাবে-আসবে না। কারণ আমি জানি আমি কী, আমার সৃষ্টিকর্তা জানেন আমি কী, শিল্পীরা জানেন আমরা কী।’

২:১৬ AM


বলিউডের ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বিপরীতে ‘বীর’ ছবির সুবাদে বলিউডে পা রেখেছিলেন জেরিন খান। দেখতে দেখতে ১২ বছর কাটিয়ে ফেললেন এই বলিউড অভিনেত্রী।

তবে বলিউডে একযুগ কাটিয়ে দেওয়ার পরেও প্রথম সারির নায়িকার তালিকায় নিজের নাম লেখাতে পারেনি জেরিন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্যা হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট ভাষায় সালমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। জেরিন জানান, ‘ভাইজান’ এর কাছে কৃতজ্ঞ তিনি। সালমান তার হাত না ধরলে তার পক্ষে ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ পাওয়া যে বেশ মুশকিল ছিল সেকথা স্বীকার করেন তিনি। 

তবে হ্যাঁ, তার ক্যারিয়ারের সবটুকু সালমানের দান বলে যাদের মনে হয় তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ কথা একেবারেই ঠিক নয়। পুরোপুরি গুজব। হ্যাঁ, সালমান দুর্দান্ত একজন মানুষ। অত্যন্ত পরোপকারীও। কিন্তু মনে রাখতে হবে একইসঙ্গে তিনি প্রচণ্ড ব্যস্তও থাকেন। 


অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সালমানের পোষা বাঁদর হয়ে থাকতে নারাজ। সবসময় ওর কাঁধে চড়ে ঘুরে বেড়াব, ওকে জ্বালাব, এই বিষয়টাতেই বড্ড আপত্তি রয়েছে আমার।

জেরিন খান বলেন, আমি জানি, সালমানকে একটি ফোন করলেই সে ছুটে আসবে। কিন্তু সেই সুযোগ নিয়ে তাকে আমি জ্বালাব কেন? আর একটা কথা, আমার ক্যারিয়ারে সবকিছুর সঙ্গে যদি সালমানের নাম জড়ানো হয়, তবে তো তা আমার বহু দিনের পরিশ্রমকেও একভাবে ছোট করা হয়।


রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবের সামনের সড়কে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এক মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ক্ষুব্ধ এক বিদেশি নাগরিক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। তিনি ‘ইউ ওয়ান্ট মানি’ বলে চিৎকার করে ওই ট্রাফিক পুলিশের সদসের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের আরেক সদস্য নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছেন। তবে ওই বিদেশি নাগরিক বারবার বলছেন, ‘ইউ ওয়ান্ট মানি, আই গিভ ইউ দিস ...মানি (তুমি টাকা চাইছ, এই নাও, আমি টাকা দিচ্ছি)’—  এই বলে তিনি টাকা ছুড়ে মারছেন। 

এসময় ট্রাফিক পুলিশের ওই সদস্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলছেন, তিনি (গাড়ির) যে কাগজ পেয়েছেন তা ‘ফেইল’। এটা নিয়ে বলতেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পরে ওই গাড়ির বাংলাদেশি চালককে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি আর কথা কইয়েন না, এমনে কেউ ধান্ধা করে?’। পরে ওই বিদেশিকে নিয়ে গাড়ির চালক মেট্রো-গ-৩৩-৮৬৪১ গাড়িটি নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

আরো পড়ুনঃ- আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা: অনশনস্থলে এম্বুলেন্স

ভিডিওটি বিভিন্ন গ্রুপ এবং ব্যক্তির আইডিতে শেয়ার দিয়ে বলা হচ্ছে, কাগজপত্র সব ঠিকঠাক থাকলেও পুলিশ গাড়ি থামিয়ে টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন ওই বিদেশি। তবে পুলিশের দাবি, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কাগজপত্র যাচাইয়ে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হওয়ায় ওই বিদেশি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের অধীন থাকা রাওয়া ক্লাবের সামনের রাস্তায় মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ভিডিওটি ধারণ করেন কোনও এক পথচারী। পরে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ ওই বিদেশি চীনের নাগরিক। তিনি ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন, গাড়িটি তার অফিসের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার সাহেদ আল মাসুদ জানান, ‘তেজগাঁও রাওয়া ক্লাবের সামনে একটি গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করছিল কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশে  সদস্য। ওই গাড়িতে একজন বিদেশি নাগরিক ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা গাড়ির চালকের সঙ্গেই কথা বলছিলেন। কাগজ যাচাই বাছাই করতে একটু সময় লাগছিল। ওই বিদেশির হয়তো কোনো মিটিং ছিল। দেরি হওয়ার কারণে তিনি বিরক্ত হন। তার মনে হয়েছে, হয়তো চেক করছে টাকার জন্য। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, তার সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করা হয়েছে কি না, তার কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে কি না। এখন পর্যন্ত এ ধরনের তথ্য পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি নাগরিক হলেই যে তার গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা যাবে না এমন কোনো কথা নেই। আর দায়িত্বরত ট্র্যাফিক সার্জেন্টের শরীরে ক্যামেরা ছিল। তার ক্যামেরায় সবকিছু রেকর্ড হয়েছে। শুধু ভিডিও নয় সবার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে এবং যদি সার্জেন্ট টাকা চেয়েই থাকে তাহলে তার শাস্তি হবে।’

এ ঘটনায় ওই বিদেশি নাগরিকের অপরাধ হলেও তার বিরুদ্ধেও তদন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সাহেদ আল মাসুদ। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে। কার সমস্যা ছিল, সেটি খুঁজে বের করা হচ্ছে।’


বাংলাদেশের স্পাই থ্রিলার জগতে জনপ্রিয়তম চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই।

ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

কাজী আনোয়ার হোসেন একাধারে ছিলেন অনুবাদক, প্রকাশক, চিত্রনাট্যকার। গানও গাইতেন তিনি। তবে সব কিছু ছাপিয়ে তার পরিচয় ছিল সেবা প্রকাশনীর প্রকাশক এবং এই প্রকাশনার সিরিজ মাসুদ রানার লেখক।  আর পাঠকের কাছে তিনি ছিলেন ‘কাজীদা’।

গণিতজ্ঞ, দাবাড়ু অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের ছেলে কাজী আনোয়ার হোসেন দুই ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন ও কাজী মায়মুর হোসেন এবং মেয়ে শাহরীন সোনিয়াকে রেখে গেছেন। তার বোনদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সনজীদা খাতুন।

কাজী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন আগেই মারা যান। ফরিদার এক বোন খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তাদের আরেক বোন সঙ্গীতশিল্পী নীলুফার ইয়াসমিন মারা গেছেন।

ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে কাজী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তার পুত্রবধূ মাসুমা মায়মুরা।


গত বছরের অক্টোবরে প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়লে কয়েক দফায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন।

মায়মুরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত বছরের অক্টোবর থেকে তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন। শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১০ দিন তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ রাখা হয়েছিল। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় একটা ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হয়ে সব শেষ হয়ে গেল।”

কাজী আনোয়ার হোসেনের চাচাত ভাই কাজী রওনাক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মরদেহ বুধবার বারডেরমে হিমঘরে থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে সেগুনবাগিচার বাসায় মরদেহ নেওয়া হবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাদ আসর বনানী কবরাস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

বাংলাদেশে রহস্য উপন্যাস জনপ্রিয় করার কারিগর কাজী আনোয়ার হোসেন নিজের জীবনও অনেকটা রহস্যময় করে রেখেছিলেন। প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যেত না বললেই চলে, গণমাধ্যমও এড়িয়ে চলতেন। সাক্ষাৎকার দিতেনও কালেভদ্রে। তাই তাকে নিয়ে রয়েছে নানা গল্পও।


কাজী আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন ও সাজেদা খাতুনের ঘরে।

থেকে। এরপর বাংলায় এমএ ডিগ্রি নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

পড়াশোনা শেষ করে গানে মনোযোগী হয়েছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন। তার তিন বোন সনজীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুন ও মাহমুদা খাতুন তখন শিল্পী হিসেবে পরিচিত।

১৯৫৮ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন। সিনেমায় প্লেব্যাকও করতেন। ১৯৬২ সালে বিয়েও করেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা ইয়াসমিনকে।

গান ছেড়ে গত শতকের ষাটের দশকে প্রকাশনা ব্যবসায় নামেন কাজী আনোয়ার হোসেন। সেগুনবাগিচায় নিজেদের বাড়িতে গড়ে তোলেন সেগুনবাগান প্রেস। সেটাই পরে নাম পাল্টে হয় সেবা প্রকাশনী।

সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমেই পেপারব্যাক বই বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পায়। গোয়েন্দা সিরিজ কুয়াশা দিয়ে সেগুনবাগান প্রকাশনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপরে আসে মাসুদ রানা।

“বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুর্দান্ত, দুঃসাহসী স্পাই গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশ-দেশান্তরে...কোমলে কঠোরে মেশানো নিষ্ঠুর, সুন্দর এক অন্তর। একা। টানে সবাইকে, কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না।’- এমন এক চরিত্র তিনি তৈরি করেন, যা খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।


ইয়ান ফ্লেমিংয়ের জেমস বন্ডের আদলে গড়ে তোলা মাসুদ রানার সব বইই বিদেশি বিভিন্ন থ্রিলারের ছায়া অবলম্বনে লেখা।

ফলে সাহিত্য হিসেবে তা গ্রহণ করা নিয়ে অনেকের অনীহাও ছিল। এগুলো চটুল বা লঘু জ্ঞান করে সাহিত্যের আলোচনায় সরিয়েই রাখা হত।

এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কাজী আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, “আমার খাতিরে বা আমার মুখ চেয়ে পাঠকেরা এসব বই কিনে পড়ছেন, ব্যাপারটা তা তো নয়, নিশ্চয়ই এসব কাহিনির ভেতর অন্তর্নিহিত বিশেষ কিছু আকর্ষণ ও আবেদন রয়েছে, যেগুলো সমালোচকদের চোখ এড়িয়ে গেছে।

“তা না হলে যেসব সুসাহিত্যিক এত দিন মাসুদ রানার প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য প্রকাশ করে নিজেদের অনেক উঁচুতে তুললেন, এতগুলো বছর চেষ্টা করেও তারা কি পাঠকদের এসব বাজে লেখা থেকে সরিয়ে নিজেদের লেখার প্রতি টানতে পেরেছেন? না।”

মাসুদ রানার জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে তা রুপালি জগতও তাকে নিয়ে ঋদ্ধ হতে চেয়েছে। ১৯৭৪ সালে মাসুদ রানার প্রথম চলচ্চিত্রায়ন ঘটে সিরিজের ‘বিস্মরণ’ বইটি নিয়ে। কল্পনার মাসুদ রানার ভূমিকায় এসেছিলেন সোহেল রানা, সেটাই এই চিত্রনায়কের প্রথম সিনেমা।


আর মাসুদ রানার জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতার বাচসাস পুরস্কার জেতেন কাজী আনোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্যাকেজ নাটকের শুরুতেও জড়িয়ে মাসুদ রানা। সিরিজের পিশাচ দ্বীপ নিয়ে আতিকুল হক চৌধুরী তৈরি করেন নাটক প্রাচীর পেরিয়ে, যাতে মাসুদ রানার ভূমিকায় ছিলেন নোবেল, তার সঙ্গী সোহানা হয়েছিলেন বিপাশা হায়াৎ।

মাসুদ রানাকে নিয়ে আরও দুটি চলচ্চিত্রও এখন নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে।

মাসুদ রানার পাশাপাশি অনেক বই অনুবাদও করেছেন কাজী আনোয়ার হোসেন। তার সম্পাদিক রহস্য পত্রিকাও বেশ জনপ্রিয় সাময়িকী।  পরে বের করেন কিশোর পত্রিকা।

মাসুদ রানা সিরিজের কয়েকশ বই বের হলেও এর অনেকগুলো নিজে লেখেননি কাজী আনোয়ার হোসেন। ‘ঘোস্ট রাইটার’ হিসেবে অন্যরা লিখতেন, তবে লেখকের নাম যেত কাজী আনোয়ার হোসেন।

এনিয়ে শেষ জীবনে বিতর্কও সঙ্গী হয়েছিল কাজী আনোয়ার হোসেনের। সেবা প্রকাশনীরই লেখক শেখ আব্দুল হাকিম মাসুদ রানার স্বত্ব দাবি করলে বিষয়টি আদালতেও গড়িয়েছিল।


শেষে হাই কোর্ট মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে মালিকানা স্বত্ব শেখ আবদুল হাকিমকে দিয়ে আদেশ দেয়।

অধিকাংশ বইয়ের মালিকানা হারালেও ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের স্রষ্টা হিসেবে চরিত্রটি কাজী আনোয়ার হোসেনের মালিকানায় থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় কপিরাইট অফিস।

নানা সমালোচনার মধ্যেও নিজের লেখালেখি নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেন বলে গেছেন, “লঘু বলেন বা বলেন অকিঞ্চিৎকর সাহিত্য; আমি আমার ভালোবাসার জগতে দিব্যি আরামে ও আনন্দে বিচরণ করছি আজীবন।”



ভারতের বেঙ্গালুরুর আকাশে প্রায় মুখোমুখি চলে এসেছিল দুইটি যাত্রীবাহী প্লেন। কয়েক সেকেন্ড দেরি হলেই ঘটতে পারতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের তৎপরতায় মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। এতে রক্ষা পায় প্রায় ৪০০ প্রাণ।

গত ৯ জানুয়ারির এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) বিরুদ্ধে। দেশটির কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে তদন্তে শুরু করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। যদিও বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরের লগবুকে বিষয়টি নথিভুক্ত নেই।

এদিকে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে মাঝ আকাশে দুই প্লেনের মুখোমুখি চলে আসার ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। যদিও ডিজিসিএয়ের প্রধান অরুণ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিজিসিএ জানায়, মাঝ আকাশে মুখোমুখি চলে আসা দুইটি প্লেনই ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের। প্রথমটি, বেঙ্গালুরু-কলকাতা ৬-ই৪৫৫। দ্বিতীয়টি বেঙ্গালুরু-ভুবনেশ্বর ৬-ই২৪৬।


পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে প্লেন দুইটি বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এটিসির ভুল নির্দেশের কারণেই প্লেন দুইটি একই উচ্চতায় চলে এসেছিল।

তাছাড়া কয়েকদিন আগেই দুবাই বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় ভারতগামী দুইটি প্লেনের মধ্যে বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget