ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা মামলায় অভিনয়শিল্পী মিথিলা আজ রোববার আগাম জামিন আবেদন করেছেন। কাল সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হবে। আর এদিন বিকেল পর্যন্ত শবনম ফারিয়ার আইনজীবী জেসমিন সুলতানা জানান, তিনিও ফারিয়ার আগাম জামিন আবেদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব একথা জানান।
র্যাবের সাত কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ, এটা নিয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যান্ডেল করছেন। তাই এটা নিয়ে আর আলোচনা হয়নি।
মন্ত্রিত্ব হারানো একজন সংসদ সদস্য বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে পারেননি—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তো ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কথাও বলেছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং বর্তমান মহাপরিচালক মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বেনজীর আহমেদ বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া র্যাবের অন্য কর্মকর্তারা হলেন—অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব-৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আইসিসি আশা করছে, ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে যুক্ত করা হবে ক্রিকেট ইভেন্ট। ইতোমধ্যে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (ওআইসি) সঙ্গে কাজও শুরু করে দিয়েছে আইসিসি।
আগামী ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রও। আইসিসির উদ্দেশ্য ঘুরেফিরে অলিম্পিক। এই আসর দিয়ে যদি অলিম্পিক আয়োজক সংস্থাকে দেখানো যায় যুক্তরাষ্ট্রেও ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কম নয় তাহলে অলিম্পিকে সুযোগ পেয়েও যেতে পারে ক্রিকেট।
আইসিসি আশাবাদী অতিরিক্ত খেলা হিসেবে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্তিকরণ। কারণ ওআইসি মূল খেলা হিসেবে ২৮টি খেলা চিহ্নিত করেছে ইতোমধ্যে। বেশ কিছু ইভেন্ট রয়েছে, এরমধ্যে যা সচরাচর হয় না। তাই অতিরিক্ত খেলা হিসেবে হলেও যাতে ক্রিকেটকে ঢোকানো যায় অলিম্পিকে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে দেশটির জনপ্রিয় খেলা বেসবল, সফটবলকে অলিম্পিকে যোগ করার। আর আইসিসি এ সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে এগোতে চাইছে।
সম্পর্ক হোক বা বিয়ে। কোনও ব্যাপারেই কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি অভিনেতা ভিকি কৌশল ও অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ (Vicky Kaushal and Katrina Kaif wedding)। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিয়ের গুজবও উড়িয়েছিলেন দুই জনই। তবে যা রটে তার কিছু তো বটেই। বেশ কয়েকবার তাঁদের বিয়ের কথা সত্যিই গুজব হলেও শেষমেশ ধরেই ফেলেন অনুরাগীরা। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ সাত পাকে বাঁধা পড়েন ভিকি-ক্যাট। রাজস্থানের সাওয়াই-মাধোপুরের সিক্স সেন্সেস ফোর্ট বারওয়ারায় বসে জমজমাট বিয়ের আসর। তবে পুলিশি নিরাপত্তাও ছিল সম্পূর্ণ।
বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর প্রথমবার একসঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ। মালাবদল, সাত পাক ঘোরা, বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি নিমেষে ভাইরাল হয়। এরপর গতকাল 'গায়ে হলুদ' অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করেন। তাও ভাইরাল হয়ে যায়। অবশেষে আজ 'মেহেন্দি' অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট। ক্যাটরিনার পোস্টে ২৫ মিনিটে লাইকের সংখ্যা পেরিয়েছে ৯ লক্ষের গণ্ডি। অন্যদিকে ভিকির পোস্টে একই সময়ে লাইকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ ছুঁইছুঁই।
আগের দুই পোস্টের ধারা বজায় রেখেই এবারেও একই ক্যাপশন লিখেছেন কপোত-কপোতী। পঞ্জাবী গানের লাইন লিখে পোস্ট করেন ছবি। দুই জনের পোস্টেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগী থেকে একাধিক টিনসেল তারকা।
সোনালী রঙের শেরওয়ানিতে ভিকি ও সোনালীর ওপর লাল-হলুদ-সবুজ জরি সুতোর কাজ করা লেহেঙ্গায় ক্যাটরিনাকে অপূর্ব লাগছে। কিছু ছবিতে তাঁদের নাচ-গান-হুল্লোড়ের মুহূর্ত স্পষ্ট ধরা পড়েছে। দাদার সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গেল সানি কৌশলকেও।
অ্যাপটিতে মূল গেইমের পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা নিজের ইচ্ছেমতো মিনি-গেইম নির্মাণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। কাজের ধরনের হিসাবে রোব্লক্স এবং কন্টেন্ট নির্মাতার উপর নির্ভরশীল অন্যান্য অ্যাপের সঙ্গে মিল রয়েছে হরাইজন ওয়ার্ল্ডসের।
তবে নির্মাতাদের সরাসরি আর্থিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ আপাতত নেই অ্যাপটিতে। তার বদলে, এক কোটি ডলারের বিশেষ ‘নির্মাতা তহবিল’ গঠন করেছে মেটা। অ্যাপের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা জিতলে ওই তহবিল থেকে পুরষ্কারের অর্থ পাবেন নির্মাতারা।
মেটা’র অকুলাস কোয়েস্ট ২ হেডসেটের ক্রেতারা ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’ ব্যবহার করতে পারবেন বিনা খরচে। একসঙ্গে ২০ জনের সঙ্গে হ্যাং আউট করা যাবে হরাইজন ওয়ার্ল্ডসে। এই অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের। ১৮ বা তার বেশি বয়সী যে কেউ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি জগতটিতে নিজের ভাসমান অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবেন। তবে অ্যাপটিতে কেবল মাত্র দেহের উপরের অংশই অ্যাভাটার হিসেবে দেখা যাবে।
গেমাররা যেন বাড়তি কোনো ডাউনলোড ছাড়াই সহজে ওই টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য নির্মাণ টুলগুলো সরাসরি ভার্চুয়ালি রিয়ালিটি গেমের মধ্যেই দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।
হরাইজন ওয়ার্ল্ডসে উড়ে বেড়াতে পারবেন গেইমার। গাছ বা অন্যান্য ‘আইটেম’ নির্মাণকাজে ব্যবহার করে নিজের আলাদা ‘কাস্টম এনভায়রনমেন্ট’ বানাতে পারবেন তারা। আর নিজের তৈরি গেইমের নিয়ম নির্ধারণের জন্য আগে থেকে লিখে রাখা কোড ব্যবহার করতে পারবেন গেমাররা।
আর এই কর্মকাণ্ডের সবই করা যাবে ওই ভার্চুয়াল রিয়ালিটি দুনিয়ার মধ্যেই, প্রয়োজন পড়বে না কোনো আলাদা কম্পিউটার স্ক্রিনের।প্রায় একই প্রক্রিয়ায় কাজ করছে অন্যান্য ভিআর নির্মাতাদের অনেকে। গেইমারদের জন্য নিজস্ব ‘রুম’ নির্মাণের সুযোগ দেয় ভিআর সেবা ‘রেক রুম’। নিজস্ব রুমে অন্যদের সঙ্গে গেইম খেলা বা আলাপাচারিতার সুযোগ পান ব্যবহারকারী।
ফেসবুক নাম পাল্টে ‘মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড’ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির যে পণ্য বা সেবাগুলো বাজারজাত করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’কে। নাম পরিবর্তনের সময়েই একাধিক ডিজিটাল দুনিয়াকে সংযুক্ত করে ‘মেটাভার্স’ নির্মাণ লক্ষ্যের কথা বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপটি বেটা পর্যায়ে থাকা অবস্থাতেই “কয়েক হাজার” ভার্চুয়াল জগত ব্যবহারকারীরা তৈরি করে ফেলেছেন বলে দাবি করছে মেটা। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একটি প্রাইভেট বিটা হিসাবে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। এর ফলে রাশিয়া দেশটিতে আক্রমণ চালাতে পারে বলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন বিষয়ে বাইডেন জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এক টুইট বার্তায় বাইডেন লিখেছেন, তিনি ওলাফ শোলজকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন। তিনি বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জার্মানির নতুন চ্যান্সেলরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন।
গত মঙ্গলবার বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। সে সময় পুতিনকে তিনি বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
বাইডেন এও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে কাজ করবে। ইউক্রেনের বিষয়টি নিয়ে বাইডেন এরই মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সূত্র : এএফপি।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. ইউনুস স্বাক্ষরিত বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৬৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৭৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯৬ জনে। যেখানে শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১২২ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনই নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন রয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের চারজন ও চট্টগ্রাম বিভাগের একজন রয়েছেন।
এ সংখ্যা শতাধিক ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে অ্যামাজনের ওয়্যারহাউস ভবন ধসের ঘটনায় এখনো অনেকে আটকা আছেন। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। টর্নেডোর ঘটনায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এদিকে, দুর্যোগ কবলিতদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ভয়াবহ সিরিজ টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড কেন্টাকির মেফিল্ড। যেদিকে চোখ যায় কেবল ধ্বংস্তূপের চিহ্ন। বাড়িঘরের ছাদ উড়িয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কলকারখানার ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে কেন্টাকির ইতিহাসের শক্তিশালী টর্নেডো। মেফিল্ডের ধসে যাওয়া মোমবাতি কারখানায় এখনো অনেকে আটকা রয়েছেন। টর্নেডোর সময় কারখানাতে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন।
ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে এত মৃত্যু খুব কমই দেখেছে ইলিনয়বাসী। বিভিন্ন স্থাপনা ধসের ঘটনায় এখনো অনেকে আটকা থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেন্টাকিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে অন্তত চারটি টর্নেডো আঘাত হানে। কোনো কোনোটির গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৩শ' ২২ কিলোমিটার।
কেন্টাকির পাশাপাশি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যেও তাণ্ডব চালিয়েছে আকস্মিক টর্নেডো। অঙ্গরাজ্যটিতে মাল্টিন্যাশনলা টেক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের ওয়্যারহাউস ভবন ধসে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
কেন্টাকি ও ইলিনয়ের আকস্মিক এই বিপর্যয়কে অকল্পনীয় ও দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে, মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে কেন্টাকি, ইলিনয়ের পাশাপাশি টেনেসি, মিসৌরি ও আরকানাসে সব মিলিয়ে মোট ৩৬টি টর্নেডো আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। এসব অঙ্গরাজ্যে কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।
শনিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তবে দেশটিকে বিধ্বংসী অর্থনৈতিক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলে পুতিনকে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের
গত সপ্তাহে বাইডেন ভার্চ্যুয়ালি প্রায় দুই ঘণ্টা পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। ওই আলোচনার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একেবারে পরিষ্কার করে দিয়েছি...তিনি যদি ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হন, তার দেশের অর্থনীতির জন্য পরিণতি হবে বিধ্বংসী।’
ইউক্রেনের অভিযোগ, দেশটিতে আক্রমণ চালাতে সীমান্ত এলাকায় রাশিয়া বিপুলসংখ্যক সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। তবে রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন জানানো হয়েছে। পরে আদালত আগামীকাল সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) আবেদনটির শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
মিথিলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা তার তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতে সাহায্য করেছেন। তার টাকা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন অভিনেত্রী মিথিলা।
শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই রাজ্যটিতে টর্নেডো ২০০ মাইলেও বেশি বিস্তৃত একটি গমনপথ ধরে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু ধ্বংস করে রেখে গেছে।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, শুক্রবার রাতে অন্তত চারটি টর্নেডো কেনটাকির বিভিন্ন অংশে তাণ্ডব চালায়, এতে এক ডজনেরও বেশি কাউন্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাথমিক টর্নেডোটি রাজ্যটির ভেতর দিয়ে ২২৭ মাইলেরও (৩৬৫ কিলোমিটার) বেশি পথ অতিক্রম করেছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
“যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেমনটি কখনো দেখিনি আমি। ৫০ জনেরও বেশি কেনটাকিয়ানসকে আমরা হারিয়েছে এটি আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত। আমি এখন এটি নিশ্চিত এই সংখ্যাটি ৭০ জনেরও বেশি। দিন শেষ হওয়ার আগে এটি একশও ছাড়িয়ে যেতে পারে।”
বেশিয়ার জানান, জরুরি উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য ১৮৯ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কেনটাকির পশ্চিমাংশের মেফিল্ড শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ হাজার বাসিন্দার ছোট এই শহরটিতে কেনটাকি প্রতিবেশী রাজ্য ইলিনয়, মিজৌরি ও আরকানসয়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
বেশিয়ার জানান, টর্নেডো এই এলাকার একটি মোমবাতি কারখানাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে গেছে, ওই সময় সেখানে প্রায় ১১০ জনের মতো ছিল; কারখানাটির ছাদ ভেঙে পড়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
কারখানাটির ভেতরে থাকা কিয়ানা পারসন্স পেরেজ জানান, শ্রমিকরা বাতাসের শব্দ পায় ও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এর উপস্থিতি অনুভব করে তখন বিদ্যুৎ চমকও শুরু হয়, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাদ ধসে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, মেফিল্ডের কেন্দ্রস্থলের পাকা ভবনগুলো ভেঙে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, কাছে পার্ক করা গাড়িগুলো ইট ও ধ্বংসাবশেষের নিচে প্রায় চাপা পড়ে আছে।
টুইটারে আসা ছবিতে দেখা গেছে, মেফিল্ডের গ্রেভস কাউন্টির আদালত ভবনের ছাদ ভেঙে পড়েছে।
রাতে ধারাবাহিক কয়েকটি বজ্রঝড় থেকে টর্নেডোগুলির উৎপত্তি হয়। এরমধ্যে আরকানসর উত্তরাঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া একটি ‘সুপার সেল’ ঝড়ও ছিল। এই ঝড়টি আরকানস থেকে মিজৌরি, টেনেসি ও কেনটাকিতে প্রবেশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ রজার এডওয়ার্ড বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি এগিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকটি প্রাণঘাতী টর্নেডো সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে একটি সম্ভবত অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে। প্রাণঘাতী টর্নেডোটি এর অংশ ছিল।”
ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের অপারেশন্স চিফ বিল বান্টিং জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচটি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা টর্নেডোর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরকানসর স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যটির উত্তরাঞ্চলে মিজৌরির সীমান্তবর্তী মনেট এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে একটি নার্সিং হোমের ছাদ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে অন্তত একজন নিহত ও আরও পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এর কয়েক মাইল দূরে রাজ্যটির লিচভেল এলাকায় একটি দোকান ধ্বংস হয়েছে ও একজন নিহত হয়েছেন।
ইলিনয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে সেইন্ট লুয়িস শহরের কাছে এডওয়ার্ডসভিলের ওপর দিয়ে টর্নেডো ও প্রবল ঝড় বয়ে যাওয়ার সময় ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের একটি গুদামের ছাদ আংশিক ধসে পড়ে, এতে বহু লোক ভেতরে আটকা পড়েছেন।
টেনেসিতে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অন্তত তিন জন নিহত হয়েছেন বলে রাজ্যটির ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র ডিন ফ্লেনার জানিয়েছেন।
মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পর ঝড়ের মধ্যে কেনটাকির পশ্চিমাঞ্চলে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে, তবে হতাহতের কোনো খবর হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, ইলিনয়, কেনটাকি, টেনেসি, মিজৌরি, আরকানস ও মিসিসিপি থেকে টর্নেডো হওয়ার ৩৬টি প্রতিবেদন পেয়েছে তারা।
ডা. মুরাদ হাসানকে টরন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠায় কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। স্থানীয় সময় গতকাল দুপুর একটা ৪১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এরপরই ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান।
দীর্ঘ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা মুরাদ হাসানের ব্যাপারে আপত্তি জানান। তাকে কানাডায় ঢুকতে দেয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার আহাদ খন্দকার, মমিনুল হক মিলন, মাহবুব চৌধুরী রনি এবং জাকারিয়া চৌধুরী কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি, পিয়ারসন এয়ারপোর্ট অথরিটি ও ন্যাশনাল অথরিটি অব ইন্টেলিজেন্স-এর কাছে চিঠি দেন। ওই চিঠি’র সঙ্গে মুরাদ হাসানের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেয়া হয়।
আহাদ খন্দকার জানান, ‘কানাডার মতো শান্তির দেশে ডা. মুরাদ এলে বাঙালি কমিউনিটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য মুরাদ হাসান কানাডা আসছেন এটা জানার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাকে কোনোভাবেই কানাডায় ঢুকতে দেয়া যাবে না। এর ভিত্তিতে মমিনুল হক মিলন কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠান।’ এ ব্যাপারে মমিনুল হক মিলন মানবজমিনকে বলেন, ‘সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডার জন্য সিকিউরিটি থ্রেট। তিনি নারীদের অবমাননা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ নারী সমাজকে অপমান করেছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না। এ জন্য তার বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও ডকুমেন্ট কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ই-মেইলে পাঠাই। আজ (গতকাল) মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমাকে ফোন করা হয়।’
আরেকটি সূত্র বলছে, কানাডায় তাকে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি দেশে না ফিরে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। দুবাই থেকে শিগগির তিনি দেশেও ফিরতে পারেন। একটি সূত্র বলছে, দুবাইয়ে অবস্থান করে তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সময়ে তিনি দেশে-বিদেশে তার ঘনিষ্ঠ এবং সরকারের সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
তবে কোনো সূত্রই নিশ্চিত করে ডা. মুরাদের অবস্থান সম্পর্কে বলতে পারছে না। এদিকে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে সরকার সংক্ষুব্ধ নয়। রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে মামলা করবে কেন? তবে কেউ নিজেকে সংক্ষুব্ধ মনে করলে তিনি মামলা করতেই পারেন।
কানাডার একটি বাংলা অনলাইন পত্রিকায় বলা হয়েছে, ডা. মুরাদ আমিরাতের একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১টা ৪১ মিনিট) টরন্টো পিয়ারসন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
বিপুলসংখ্যক কানাডিয়ান নাগরিকও তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আপত্তি জানান।
ওই অনলাইন পোর্টালে বলা হয়, কানাডায় বসবাসরত তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তবে কানাডার সরকারি সূত্র থেকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কানাডা বর্ডার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো তথ্য মেলেনি।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, করোনার সময় যথাযথ কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পাননি ডা. মুরাদ। তিনি কানাডার এয়ারপোর্টে আটকে আছেন এবং দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে আরেকটি সূত্র বলছে, তিনি কানাডায় ঢুকেছেন। তিনি টরন্টো থেকে মন্ট্রিয়লে তার আত্মীয়ের বাসায় গেছেন এবং সেখানেই অবস্থান করছেন। অন্য একটি সূত্র বলছে, কানাডা থেকে ফিরতি ফ্লাইটে দুবাই নেমে তিনি তার এক ঘনিষ্ঠের বাসায় উঠেছেন।
আর কে টাওয়ার নামে ১০ তলা ওই ভবনে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আহুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে।
এর মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দীন মনি শর্মা দুপুর ২টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য বীরউত্তম সি আর দত্ত সড়কে (সোনারগাঁও রোড) গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কী করে আগুন লাগল, তা জানা যায়নি। তবে ছয় তলা থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গিয়েছিল।
ভবনটিতে টাইলসের বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। তবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হতাহতের কোনোর খবর পাওয়া যায়নি।
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহক অভিনয়শিল্পী তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন। ওই মামলায় এই তিন অভিনয়শিল্পী যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার এমনটাই জানিয়েছেন।
গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামের ইভ্যালির এক গ্রাহক রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন। তবে জানাজানি হয় গত বৃহস্পতার গভীর রাতে। এঁদের মধ্যে তাহসান ইভ্যালির শুভেচ্ছা দূত, মিথিলা ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছা দূত আর শবনম ফারিয়া ছিলেন প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান গতকাল শুক্রবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ইভ্যালির একজন গ্রাহক আদালতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন। ৯ আসামির মধ্যে তাহসান, শবনম ফারিয়া ও মিথিলা রয়েছেন। তাঁরা এই মামলার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর আসামি। মামলার তদন্ত চলছে। ৯ আসামিই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। যেকোনো সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
মামলার এজাহারে বাদী সাদ স্যাম রহমান অভিযোগ করেন, ইভ্যালিতে তিন লাখ ১৮ হাজার টাকায় মোটরসাইকেল কেনার অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে পণ্য সরবরাহ করা হয়নি, টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এভাবে চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে পথে বসিয়েছে ইভ্যালি।
পুলিশের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াটসঅ্যাপে তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গেও তিনি কথা বলছেন। তিনি বলেন, প্রচারক কখনো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দায়ভার নেবেন না।
তাহসান দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাঁর বিজ্ঞাপন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বিজ্ঞাপন করেননি। এর আগে দুটি লাইভ করে তিনি অনেক অভিযোগ পেয়েছেন। এ কারণে তিনি আর অগ্রসর হননি। চুক্তি বাতিল করেছেন।
তাহসান মানহানির মামলা করবেন জানিয়ে বলেন, ‘সাত মাস ধরে মানসিক-আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
তাহসান বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়, তাঁরা পুলিশের নজরদারিতে থাকতেই পারেন। মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তদন্ত দোষ পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী যা হওয়ার তাই হবে।
জানতে চাইলে অভিনেত্রী মিথিলা বলেন, ‘মামলার বিষয়ে এখনো আমি কিছু জানি না। আমরা তো হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করি। এখন একটি নিয়ে মামলা হলো। আমি তো কিছু করিনি। আমি তো ওখানে (ইভ্যালিতে) ছিলাম এক মাসের মতো।’
প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফারিয়া বলেন, ‘আমাকে হয়রানির জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।’ নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে তিনি বলেন ‘আমাকে যে কয়েকটা কারণে অপরাধী দেখানো হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এখনো ইভ্যালি থেকে এক টাকাও পাইনি।’
গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার' অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, যেটি র্যাব নামে পরিচিত সেটি এবং এর ছয়জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার ফলে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। এরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলেও বিবেচিত হবেন।
আর র্যাবও প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে যেসব সহযোগিতা পাচ্ছিলো সেগুলো বাতিল হতে পারে।
একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বেনজির আহমেদ ও র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ র্যাবের আরও চারজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিদেশে সম্পদ থাকলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত হতে পারে।
শুক্রবার মার্কিন অর্থ দফতরের 'ফরেন অ্যাসেটস কনট্রোল অফিস' (ওএফএসি) বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে - যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তারা এখনো মার্কিন এই রিপোর্ট দেখেননি এবং দেখার পর তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশের পুলিশ ও র্যাবের প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ছয় কর্মকর্তার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী
ঢাকায় র্যাব সদর দপ্তরে এগারটি উইংয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে র্যাব এবং দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির পনেরটি ব্যাটালিয়ান আছে সশস্ত্র বাহিনৗ ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। এর আগে গুম খুনের মতো ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তখনকার সেনা কর্মকর্তাকেও আটকের উদাহরণ আছে।
রাজনীতির বিশ্লেষক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলছেন দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাবের বিরুদ্ধে ধরণের এমন অভিযোগের কথা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছিলেন।
"তার চেয়ে বড় কথা হলো গত বছর অক্টোবর মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে সিনেটের আটজন সদস্য চিঠি দিয়ে র্যাবের বিরুদ্ধে কিছু সুস্পষ্ট অভিযোগ করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে আমরা ধরে নিতে পারি"।
সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে একত্রে কাজ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে অর্থ বা ট্রেজারি বিভাগের বক্তব্য থেকে।
বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে র্যাব নামে এলিট ফোর্সটি যাত্রা শুরু করেছিলো ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের সময়ে। শুরু থেকেই মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর কাজের ধরণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে আসছে।
কিন্তু এতদিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন গুম খুন নিয়ে নানা ধরণের বিবৃতি দিলেও সুনির্দিষ্টভাবে এই প্রথম কোন ব্যবস্থা নিল। সে কারণেই এর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
বিশ্লেষক আলী রীয়াজ বলছেন এর একটা হলো প্রশাসনিক। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাব যেসব সহায়তা পাচ্ছিল বা বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত ছিলো বা বিদেশ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছিলো নিষেধাজ্ঞার কারণে সেগুলো বাতিল হতে পারে।
তার মতে সেটাই স্বাভাবিক, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা এ নিষেধাজ্ঞার পর তাদের আর সহযোগিতা করবে না।
সাধারণত এ ধরণের ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু বার্তা দেয়া হয়। সেটা হলো প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধর্তব্যের মধ্যে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা।
"তাদের যদি সম্পদ থাকে যুক্তরাষ্ট্রে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজির আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না। সুনির্দিষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের ক্ষেত্রে তাকে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে," বলছিলেন মি. রীয়াজ।
তবে তিনি মনে করেন যে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কূটনৈতিক চাপ। নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন বাংলাদেশ সরকারের ওপর বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ তৈরি হল।
এখন কেন এমন পদক্ষেপ
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে গুম-খুন সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরছিলো র্যাবের বিরুদ্ধে। কক্সবাজারে কাউন্সিলর একরাম হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছিল আন্তর্জাতিক মহলে।
তারও আগে নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় র্যাবের ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত যা এখনো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে।
যদিও বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উত্থান যখন হয়েছিল,তখন শায়খ আব্দুর রহমান এবং বাংলা ভাই নামে পরিচিত সিদ্দিকুল ইসলামসহ মূল জঙ্গিদের গ্রেফতারের বিষয়কে র্যাবের সাফল্য হিসেবে দেখা হত।
কিন্তু র্যাব প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে বিভিন্ন সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা গুমের অনেক ঘটনা বাহিনীটিকে বিতর্কে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বলছে অন্তত ছয়শ মানুষকে গুমের অভিযোগ আছে বাংলাদেশে পুলিশের এ এলিট ফোর্সের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ট্রেজারি বিভাগে রিপোর্টে বলা হয়েছে, "বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ - আইনের শাসন, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা, ও বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে হেয় করার মাধ্যমে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে।"
আলী রীয়াজ বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বাইডেন প্রশাসন বারবার মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলছেন এবং এ মুহূর্তে ওয়াশিংটনে গণতন্ত্র নিয়ে ভার্চুয়াল সম্মেলন হচ্ছে। যেখানে একটা বিষয় মানবাধিকার।
আবার যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের ওপর চাপ তৈরি হয়েছিলো সেনেট থেকে। সেখানে আটজন সদস্য চাপ দিয়েছিলেন।
ফলে কংগ্রেসের পর থেকে চাপ ছিল ও আছে। আর দ্বিতীয় নতুন প্রশাসন শুরু থেকেই বলার চেষ্টা করেছিলেন যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও কর্তৃত্ববাদের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। তার সঙ্গে সঙ্গতি নিয়েই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেক দেশ নিয়েই নেয়া হচ্ছে।
এখনকার কারণ সম্পর্কে মি. রীয়াজ মনে করেন যে নতুন প্রশাসন আসলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাচ্ছেন যে তারা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
সূত্রঃ বিবিসি