Latest Post


যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি রাজ্যে ধ্বংসাত্মক কয়েকটি টর্নেডোর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কেনটাকিতে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই রাজ্যটিতে টর্নেডো ২০০ মাইলেও বেশি বিস্তৃত একটি গমনপথ ধরে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু ধ্বংস করে রেখে গেছে।

কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, শুক্রবার রাতে অন্তত চারটি টর্নেডো কেনটাকির বিভিন্ন অংশে তাণ্ডব চালায়, এতে এক ডজনেরও বেশি কাউন্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাথমিক টর্নেডোটি রাজ্যটির ভেতর দিয়ে ২২৭ মাইলেরও (৩৬৫ কিলোমিটার) বেশি পথ অতিক্রম করেছে।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।  

“যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেমনটি কখনো দেখিনি আমি। ৫০ জনেরও বেশি কেনটাকিয়ানসকে আমরা হারিয়েছে এটি আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত। আমি এখন এটি নিশ্চিত এই সংখ্যাটি ৭০ জনেরও বেশি। দিন শেষ হওয়ার আগে এটি একশও ছাড়িয়ে যেতে পারে।”

বেশিয়ার জানান, জরুরি উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য ১৮৯ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কেনটাকির পশ্চিমাংশের মেফিল্ড শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ হাজার বাসিন্দার ছোট এই শহরটিতে কেনটাকি প্রতিবেশী রাজ্য ইলিনয়, মিজৌরি ও আরকানসয়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।

বেশিয়ার জানান, টর্নেডো এই এলাকার একটি মোমবাতি কারখানাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে গেছে, ওই সময় সেখানে প্রায় ১১০ জনের মতো ছিল; কারখানাটির ছাদ ভেঙে পড়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

কারখানাটির ভেতরে থাকা কিয়ানা পারসন্স পেরেজ জানান, শ্রমিকরা বাতাসের শব্দ পায় ও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এর উপস্থিতি অনুভব করে তখন বিদ্যুৎ চমকও শুরু হয়, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাদ ধসে পড়ে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, মেফিল্ডের কেন্দ্রস্থলের পাকা ভবনগুলো ভেঙে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, কাছে পার্ক করা গাড়িগুলো ইট ও ধ্বংসাবশেষের নিচে প্রায় চাপা পড়ে আছে।  

টুইটারে আসা ছবিতে দেখা গেছে, মেফিল্ডের গ্রেভস কাউন্টির আদালত ভবনের ছাদ ভেঙে পড়েছে।


বেশিয়ার জানিয়েছেন, শনিবার ভোররাতে কেনটাকির ৫৬ হাজারেরও বেশি লোক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল। রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তিনি।

রাতে ধারাবাহিক কয়েকটি বজ্রঝড় থেকে টর্নেডোগুলির উৎপত্তি হয়। এরমধ্যে আরকানসর উত্তরাঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া একটি ‘সুপার সেল’ ঝড়ও ছিল। এই ঝড়টি আরকানস থেকে মিজৌরি, টেনেসি ও কেনটাকিতে প্রবেশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ রজার এডওয়ার্ড বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি এগিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকটি প্রাণঘাতী টর্নেডো সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে একটি সম্ভবত অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে। প্রাণঘাতী টর্নেডোটি এর অংশ ছিল।”    

ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের অপারেশন্স চিফ বিল বান্টিং জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচটি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা টর্নেডোর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরকানসর স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যটির উত্তরাঞ্চলে মিজৌরির সীমান্তবর্তী মনেট এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে একটি নার্সিং হোমের ছাদ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে অন্তত একজন নিহত ও আরও পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এর কয়েক মাইল দূরে রাজ্যটির লিচভেল এলাকায় একটি দোকান ধ্বংস হয়েছে ও একজন নিহত হয়েছেন।

ইলিনয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে সেইন্ট লুয়িস শহরের কাছে এডওয়ার্ডসভিলের ওপর দিয়ে টর্নেডো ও প্রবল ঝড় বয়ে যাওয়ার সময় ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের একটি গুদামের ছাদ আংশিক ধসে পড়ে, এতে বহু লোক ভেতরে আটকা পড়েছেন।

টেনেসিতে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অন্তত তিন জন নিহত হয়েছেন বলে রাজ্যটির ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র ডিন ফ্লেনার জানিয়েছেন।  

মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পর ঝড়ের মধ্যে কেনটাকির পশ্চিমাঞ্চলে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে, তবে হতাহতের কোনো খবর হয়নি। 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, ইলিনয়, কেনটাকি, টেনেসি, মিজৌরি, আরকানস ও মিসিসিপি থেকে টর্নেডো হওয়ার ৩৬টি প্রতিবেদন পেয়েছে তারা।

 


সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ঘটনাপ্রবাহ নতুন মোড় নিয়েছে। অডিও কেলেঙ্কারি এবং নারীর প্রতি অবমাননায় পদ হারানোর পর নিজের গন্তব্য ঠিক করেছিলেন কানাডা। সেখানে তিনি থিতু হবেন এমন আলোচনাই চলছিল। কিন্তু তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি দেশটি। তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে দুবাইতে। প্রশ্ন ওঠেছে এরপর তার গন্তব্য কোথায়? তিনি ঢাকায় ফিরতে পারেন মন আলোচনাও চলছে ।

ডা. মুরাদ হাসানকে টরন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠায় কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। স্থানীয় সময় গতকাল দুপুর একটা ৪১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এরপরই ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান।
দীর্ঘ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা মুরাদ হাসানের ব্যাপারে আপত্তি জানান। তাকে কানাডায় ঢুকতে দেয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার আহাদ খন্দকার, মমিনুল হক মিলন, মাহবুব চৌধুরী রনি এবং জাকারিয়া চৌধুরী কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি, পিয়ারসন এয়ারপোর্ট অথরিটি ও ন্যাশনাল অথরিটি অব ইন্টেলিজেন্স-এর কাছে চিঠি দেন। ওই চিঠি’র সঙ্গে মুরাদ হাসানের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেয়া হয়।
আহাদ খন্দকার জানান, ‘কানাডার মতো শান্তির দেশে ডা. মুরাদ এলে বাঙালি কমিউনিটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য মুরাদ হাসান কানাডা আসছেন এটা জানার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাকে কোনোভাবেই কানাডায় ঢুকতে দেয়া যাবে না। এর ভিত্তিতে মমিনুল হক মিলন কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠান।’ এ ব্যাপারে মমিনুল হক মিলন মানবজমিনকে বলেন, ‘সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডার জন্য সিকিউরিটি থ্রেট। তিনি নারীদের অবমাননা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ নারী সমাজকে অপমান করেছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না। এ জন্য তার বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও ডকুমেন্ট কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ই-মেইলে পাঠাই। আজ (গতকাল) মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমাকে ফোন করা হয়।’


পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তিনি এখন কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কোনো সূত্র। কেউ বলছেন, কানাডার টরন্টো বিমানবন্দরেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। কভিড নেগেটিভের সাম্প্রতিক সনদ তার সঙ্গে না থাকায় কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

আরেকটি সূত্র বলছে, কানাডায় তাকে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি দেশে না ফিরে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। দুবাই থেকে শিগগির তিনি দেশেও ফিরতে পারেন। একটি সূত্র বলছে, দুবাইয়ে অবস্থান করে তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সময়ে তিনি দেশে-বিদেশে তার ঘনিষ্ঠ এবং সরকারের সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।

তবে কোনো সূত্রই নিশ্চিত করে ডা. মুরাদের অবস্থান সম্পর্কে বলতে পারছে না। এদিকে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে সরকার সংক্ষুব্ধ নয়। রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে মামলা করবে কেন? তবে কেউ নিজেকে সংক্ষুব্ধ মনে করলে তিনি মামলা করতেই পারেন।

কানাডার একটি বাংলা অনলাইন পত্রিকায় বলা হয়েছে, ডা. মুরাদ আমিরাতের একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১টা ৪১ মিনিট) টরন্টো পিয়ারসন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

বিপুলসংখ্যক কানাডিয়ান নাগরিকও তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আপত্তি জানান।

ওই অনলাইন পোর্টালে বলা হয়, কানাডায় বসবাসরত তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তবে কানাডার সরকারি সূত্র থেকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কানাডা বর্ডার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো তথ্য মেলেনি।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, করোনার সময় যথাযথ কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পাননি ডা. মুরাদ। তিনি কানাডার এয়ারপোর্টে আটকে আছেন এবং দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তবে আরেকটি সূত্র বলছে, তিনি কানাডায় ঢুকেছেন। তিনি টরন্টো থেকে মন্ট্রিয়লে তার আত্মীয়ের বাসায় গেছেন এবং সেখানেই অবস্থান করছেন। অন্য একটি সূত্র বলছে, কানাডা থেকে ফিরতি ফ্লাইটে দুবাই নেমে তিনি তার এক ঘনিষ্ঠের বাসায় উঠেছেন।


ঢাকার বাংলামোটরে বহুতল একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

আর কে টাওয়ার নামে ১০ তলা ওই ভবনে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

আহুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে।

এর মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দীন মনি শর্মা দুপুর ২টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য বীরউত্তম সি আর দত্ত সড়কে (সোনারগাঁও রোড) গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কী করে আগুন লাগল, তা জানা যায়নি। তবে ছয় তলা থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গিয়েছিল।

ভবনটিতে টাইলসের বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে।  তবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হতাহতের কোনোর খবর পাওয়া যায়নি।

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহক অভিনয়শিল্পী তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন। ওই মামলায় এই তিন অভিনয়শিল্পী যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার এমনটাই জানিয়েছেন।

গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামের ইভ্যালির এক গ্রাহক রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন। তবে জানাজানি হয় গত বৃহস্পতার গভীর রাতে। এঁদের মধ্যে তাহসান ইভ্যালির শুভেচ্ছা দূত, মিথিলা ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছা দূত আর শবনম ফারিয়া ছিলেন প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান গতকাল শুক্রবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ইভ্যালির একজন গ্রাহক আদালতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন। ৯ আসামির মধ্যে তাহসান, শবনম ফারিয়া ও মিথিলা রয়েছেন। তাঁরা এই মামলার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর আসামি। মামলার তদন্ত চলছে। ৯ আসামিই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। যেকোনো সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

মামলার এজাহারে বাদী সাদ স্যাম রহমান অভিযোগ করেন, ইভ্যালিতে তিন লাখ ১৮ হাজার টাকায় মোটরসাইকেল কেনার অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে পণ্য সরবরাহ করা হয়নি, টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এভাবে চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে পথে বসিয়েছে ইভ্যালি।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তায় আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন।

পুলিশের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াটসঅ্যাপে তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গেও তিনি কথা বলছেন। তিনি বলেন, প্রচারক কখনো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দায়ভার নেবেন না।

তাহসান দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাঁর বিজ্ঞাপন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বিজ্ঞাপন করেননি। এর আগে দুটি লাইভ করে তিনি অনেক অভিযোগ পেয়েছেন। এ কারণে তিনি আর অগ্রসর হননি। চুক্তি বাতিল করেছেন।

তাহসান মানহানির মামলা করবেন জানিয়ে বলেন, ‘সাত মাস ধরে মানসিক-আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’

তাহসান বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়, তাঁরা পুলিশের নজরদারিতে থাকতেই পারেন। মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তদন্ত দোষ পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী যা হওয়ার তাই হবে।

জানতে চাইলে অভিনেত্রী মিথিলা বলেন, ‘মামলার বিষয়ে এখনো আমি কিছু জানি না। আমরা তো হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করি। এখন একটি নিয়ে মামলা হলো। আমি তো কিছু করিনি। আমি তো ওখানে (ইভ্যালিতে) ছিলাম এক মাসের মতো।’

প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফারিয়া বলেন, ‘আমাকে হয়রানির জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।’ নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে তিনি বলেন ‘আমাকে যে কয়েকটা কারণে অপরাধী দেখানো হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এখনো ইভ্যালি থেকে এক টাকাও পাইনি।’

র‍্যাবের ডিজি ছিলেন বর্তমান আইজিপি বেনজির আহমেদ

গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার' অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, যেটি র‍্যাব নামে পরিচিত সেটি এবং এর ছয়জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার ফলে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। এরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলেও বিবেচিত হবেন।

আর র‍্যাবও প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে যেসব সহযোগিতা পাচ্ছিলো সেগুলো বাতিল হতে পারে।

একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বেনজির আহমেদ ও র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ র‍্যাবের আরও চারজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিদেশে সম্পদ থাকলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত হতে পারে।

শুক্রবার মার্কিন অর্থ দফতরের 'ফরেন অ্যাসেটস কনট্রোল অফিস' (ওএফএসি) বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে - যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তারা এখনো মার্কিন এই রিপোর্ট দেখেননি এবং দেখার পর তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশের পুলিশ ও র‍্যাবের প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে র‍্যাবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ছয় কর্মকর্তার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে।

গুমের অনেক ঘটনার পর র‍্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দিক থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী

ঢাকায় র‍্যাব সদর দপ্তরে এগারটি উইংয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে র‍্যাব এবং দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির পনেরটি ব্যাটালিয়ান আছে সশস্ত্র বাহিনৗ ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। এর আগে গুম খুনের মতো ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তখনকার সেনা কর্মকর্তাকেও আটকের উদাহরণ আছে।

রাজনীতির বিশ্লেষক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলছেন দীর্ঘদিন যাবৎ র‍্যাবের বিরুদ্ধে ধরণের এমন অভিযোগের কথা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছিলেন।

"তার চেয়ে বড় কথা হলো গত বছর অক্টোবর মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে সিনেটের আটজন সদস্য চিঠি দিয়ে র‍্যাবের বিরুদ্ধে কিছু সুস্পষ্ট অভিযোগ করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে আমরা ধরে নিতে পারি"।

সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে একত্রে কাজ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে অর্থ বা ট্রেজারি বিভাগের বক্তব্য থেকে।

এ নিষেধাজ্ঞার ফল কেমন হবে

বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে র‍্যাব নামে এলিট ফোর্সটি যাত্রা শুরু করেছিলো ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের সময়ে। শুরু থেকেই মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর কাজের ধরণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে আসছে।

কিন্তু এতদিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন গুম খুন নিয়ে নানা ধরণের বিবৃতি দিলেও সুনির্দিষ্টভাবে এই প্রথম কোন ব্যবস্থা নিল। সে কারণেই এর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।

বিশ্লেষক আলী রীয়াজ বলছেন এর একটা হলো প্রশাসনিক। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‍্যাব যেসব সহায়তা পাচ্ছিল বা বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত ছিলো বা বিদেশ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছিলো নিষেধাজ্ঞার কারণে সেগুলো বাতিল হতে পারে।

তার মতে সেটাই স্বাভাবিক, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা এ নিষেধাজ্ঞার পর তাদের আর সহযোগিতা করবে না।

সাধারণত এ ধরণের ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু বার্তা দেয়া হয়। সেটা হলো প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‍্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধর্তব্যের মধ্যে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা।

"তাদের যদি সম্পদ থাকে যুক্তরাষ্ট্রে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজির আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না। সুনির্দিষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের ক্ষেত্রে তাকে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে," বলছিলেন মি. রীয়াজ।

তবে তিনি মনে করেন যে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কূটনৈতিক চাপ। নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন বাংলাদেশ সরকারের ওপর বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ তৈরি হল।

র‍্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্পষ্ট অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র

এখন কেন এমন পদক্ষেপ

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে গুম-খুন সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরছিলো র‍্যাবের বিরুদ্ধে। কক্সবাজারে কাউন্সিলর একরাম হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছিল আন্তর্জাতিক মহলে।

তারও আগে নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত যা এখনো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে।

যদিও বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উত্থান যখন হয়েছিল,তখন শায়খ আব্দুর রহমান এবং বাংলা ভাই নামে পরিচিত সিদ্দিকুল ইসলামসহ মূল জঙ্গিদের গ্রেফতারের বিষয়কে র‍্যাবের সাফল্য হিসেবে দেখা হত।

কিন্তু র‍্যাব প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে বিভিন্ন সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা গুমের অনেক ঘটনা বাহিনীটিকে বিতর্কে ফেলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বলছে অন্তত ছয়শ মানুষকে গুমের অভিযোগ আছে বাংলাদেশে পুলিশের এ এলিট ফোর্সের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার ট্রেজারি বিভাগে রিপোর্টে বলা হয়েছে, "বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র‍্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ - আইনের শাসন, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা, ও বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে হেয় করার মাধ্যমে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে।"

আলী রীয়াজ বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বাইডেন প্রশাসন বারবার মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলছেন এবং এ মুহূর্তে ওয়াশিংটনে গণতন্ত্র নিয়ে ভার্চুয়াল সম্মেলন হচ্ছে। যেখানে একটা বিষয় মানবাধিকার।

আবার যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের ওপর চাপ তৈরি হয়েছিলো সেনেট থেকে। সেখানে আটজন সদস্য চাপ দিয়েছিলেন।

ফলে কংগ্রেসের পর থেকে চাপ ছিল ও আছে। আর দ্বিতীয় নতুন প্রশাসন শুরু থেকেই বলার চেষ্টা করেছিলেন যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও কর্তৃত্ববাদের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। তার সঙ্গে সঙ্গতি নিয়েই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেক দেশ নিয়েই নেয়া হচ্ছে।

এখনকার কারণ সম্পর্কে মি. রীয়াজ মনে করেন যে নতুন প্রশাসন আসলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাচ্ছেন যে তারা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

সূত্রঃ বিবিসি 


টাইগারদের নিউজিল্যান্ড সফর থেকে সাকিব আল হাসান ছুটি নেওয়ায় দলে ডাক পেয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ রাব্বি। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগের পারফরম্যান্স বিবেচনায় তাকে দলে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক রাব্বি। ৬ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬০৩ রান। ৫ ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রাব্বি। একটি সেঞ্চুরিও করেছেন রাব্বি।

শুধু এবারই প্রথম না এর আগেও ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন ফজলে রাব্বি। শুধু ডাকই পাননি, অভিষেকও হয়েছিল তার। তবে অভিষেকটা রাঙাতে পারেনিনি রাব্বি। দুটি ওয়ানডে খেলে দুটিতেই শূন্য রানে আউট হন তিনি। তবে এবার ফজলে রাব্বির অভিষেক হতে যাচ্ছে টেস্ট ম্যাচে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে তার ভালো পারফরম্যান্সের বিবেচনায় বিসিবি নির্বাচন করেছে ৩৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে। 

এদিকে পারিবারিক কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে খেলতে চাননি সাকিব। সে জন্য বিসিবিকে লিখিত চিঠি দিয়েছিলেন দেশসেরা এ অলরাউন্ডার। বিসিবি তার ছুটি মঞ্জুরও করে। ৬ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের ছুটি মঞ্জুরের কথাটি নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর আগে বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরও করেননি সাকিব। 


এবারের সফরের জন্য সাকিবকে অন্তর্ভুক্ত করেই শনিবার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। সেই দলে সাকিব ছাড়াও ছিলেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলি রাব্বি,  নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলি রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেনরা। তবে সাকিব ছুটি নেয়ায় তার বদলি হিসেবে দলে জায়গা করে নিয়েছেন ফজলে রাব্বি। 


পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ধবলধোলাই হওয়ার রাতেই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ দল। সেখানে এক সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনের পর মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পাবে তারা। দুই টেস্টের প্রথমটি শুরু হবে আগামী বছরের প্রথম দিন। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৯ জানুয়ারি। 

বাংলাদেশ স্কোয়াড | 

মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলি রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও নাঈম শেখ।


লিওনেল মেসিবিহীন বার্সেলোনা যে কতোটা বিবর্ণ সেটি প্রমাণ হলো আরও একবার। এবারও দলটির সর্বনাশ করে ছেড়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।

লেওয়ানডস্কির দলের কাছে ৩-০ গোলে হেরে গ্রুপের ‘তৃতীয় সেরা’ দল হয়ে কাতালান ক্লাবটির জায়গা হয়েছে ইউরোপা লিগে।

শেষবার বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল ২০০০-০১ মৌসুমে। ২১ বছর পর একই ভাগ্যবরণ করতে হলো কাতালানদের। ইউরোপা লিগে শেষবার তারা খেলেছিল ২০০৪ সালে। ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ড তখন বার্সার কোচ। 

সে হিসেবে ১৭ বছর পর জাভির বার্সা খেলবে ইউরোপা লিগে।

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বার্সার বিদায়ের মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হয়ে যায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর ১৫ দল।


বৃহস্পতিবার রাতে আটালান্টাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেয় ভিয়ারিয়াল। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের প্রথম লেগের ম্যাচের তারিখও নির্ধারিত হয়ে গেছে। 

২০২২ সালের ১৫, ১৬, ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি হবে প্রথম লেগ। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের দ্বিতীয় লেগ ৮, ৯, ১৫ ও ১৬ মার্চ।

শেষ ষোলোতে পা রেখেছে যারা-

লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজি, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, আয়াক্স, স্পোর্টিং সিপি, ইন্টার মিলান, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিঁল, রেড বুল সলসবুর্গ, চেলসি, জুভেন্টাস ও ভিয়ারিয়াল।


ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার একদিন পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছ থেকে ‘ধন্যবাদ’ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। এ নিয়ে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর ওপর চটেছেন কোহলির ভক্ত-সমর্থকরা। তার বলছেন, এটা কোহলির জন্য অসম্মানজনক।

কোহলিকে ওয়ানডে ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি বিসিসিআই একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এক লাইনে জানিয়ে দিয়েছিল। বুধবার সেই বিবৃতি দেয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে টুইট বার্তায় কোহলিকে ধন্যবাদ জানায় ভারতীয় বোর্ড।

বৃহস্পতিবার রাতে করা ওই টুইটে লেখা হয়েছে, ‘একজন নেতা যে দৃঢ়তা, একাগ্রতা, আবেগ দিয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন কোহলি।’ সঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে।


এদিকে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী বৃহস্পতিবার কোহলির অধিনায়কত্ব হারানো বিষয়ে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বোর্ড এবং নির্বাচকদের তরফে যৌথভাবে নেয়া হয়েছে। বোর্ড এর আগে কোহলিকে অনুরোধ করেছিল টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে না সরতে। কোহলি রাজি হয়নি।


এর পরেই নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নেন, দুটো সাদা বলের ফরম্যাটে দু’জন আলাদা অধিনায়ক রাখার মানে নেই। তাই ঠিক করা হয় কোহলিকে টেস্ট অধিনায়ক রাখা হবে এবং সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবে রোহিত। আমি নিজে সভাপতি হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে কোহলির সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানও ওর সঙ্গে কথা বলেছেন।’


মুরাদের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ৯৪টি ভিডিও লিংক সরিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

মুরাদ হাসানের ২৬৮টি ভিডিও লিংক ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেসব ভিডিওর মধ্যে ১৭৪টি লিংক এখনো সরানো বাকি আছে বলে বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির কার্যালয়ে  অনুষ্ঠিত বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সঙ্গে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) এক মতবিনিময় সভায় নাসিম পারভেজ এ কথা বলেন। 

এর আগে মুরাদ হাসানের অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে গত মঙ্গলবার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে বিটিআরসির ডিজিটাল নিরাপত্তা দলের সদস্যরা লিংকগুলো শনাক্ত করেন। 

তবে ‘ধর্ষণ’ শব্দ যে কনটেন্টগুলোতে (আধেয়) আছে, সেগুলো বিটিআরসি বলার আগেই ফেসবুক সরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ। 

এদিকে, ইউটিউব থেকে বিটিআরসির পাঠানো মুরাদের ১২০টি কনটেন্টের মধ্যে দুটি সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মো. নাসিম পারভেজ। 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে পত্র পাঠান ডা. মো. মুরাদ হাসান। রাতে সেটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর পর এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়।

বিএনপির এক শীর্ষ নেতার মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই ডা. মুরাদ হাসানের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।  

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপের ওই অডিওতে মুরাদ হাসানকে অশ্লীল কথাবার্তা ও নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দিতে শোনা যায়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।  

এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার।  

এর পর সোমবারই মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন মুরাদ।  

বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।


তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান কানাডার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৮৫৮৫ ফ্লাইটে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

এর আগে গতকাল রাত ৯টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছান সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তিনি বিমানবন্দরের রজনীগন্ধা লাউঞ্জে অপেক্ষা করেন। এরপর বোর্ডিং ও ইমিগ্রেশন শেষ করে ৭ নম্বর গেট দিয়ে তিনি উড়োজাহাজে ওঠেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে মুরাদ হাসানের যাওয়ার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ছেড়ে যায় দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটে। যাত্রীদের চাপ থাকায় ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়তে দেরি হয়। মুরাদ হাসান দুবাই হয়ে কানাডার টরন্টোয় পৌঁছাবেন।

ডা. মুরাদ হাসানের দেশত্যাগের খবর এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি জানান, মুরাদ কানাডার উদ্দেশে দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটে দেশ ছেড়েছেন।

দেশ ছাড়ার সময় মুরাদ হাসানের পরনে কালো রঙের ব্লেজার, টি–শার্ট, নীল রঙের জিনস, মাথায় কালো ক্যাপ, মুখে কালো মাস্ক ও চোখে চশমা ছিল। তাঁর কোনো সফরসঙ্গী ছিল না।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মুরাদ হাসানের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন (৭ ডিসেম্বর) নিজের হাতে নিয়ে গেছেন তিনি।


এদিকে, ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে এরই মধ্যে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটও দায়ের হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মুখে বিতর্কিত এ নেতা দেশত্যাগ করলেন।

এর আগে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হলেও তাঁর দেশত্যাগে কোনো বাধা নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, মুরাদ হাসান বিদেশে যেতে চাইলে সরকার বাধা দেবে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুরাদ হাসান বিদেশে যাবেন কি না, সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তিনি যেকোনো দেশে যেতে পারেন।’

অশালীন ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ মুরাদ হাসান। গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন মুরাদ। ওইদিন বিকেলেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশিত গেজেট বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর জামালপুর আওয়ামী লীগ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দলের আগামী কার্যনির্বাহী সংসদীয় বৈঠকে।


ভয়ংকর ব্যাপার!

চলতি অ্যাশেজ সিরিজের ব্রিসবেন টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনে এমন ঘটনা ধরা পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল সেভেন’-এর ক্যামেরায়। গুরুতর কারিগরি ত্রুটি হিসেবে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও।

চ্যানেল সেভেনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘স্টোকসের প্রথম ৫ ওভারে ১৪ বার “ওভারস্টেপের” ঘটনাটি ধরেছেন চ্যানেল সেভেনের ট্রেন্ট কোপল্যান্ড।’ এর মধ্যে দুটি ডেলিভারি ‘নো বল’ ধরেছেন আম্পায়ার।


ওয়ার্নার ১৭ রানে ব্যাট করার সময় টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। চতুর্থ ডেলিভারিতে ওয়ার্নারকে বোল্ড করলেও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ডেলিভারিটি ‘নো বল’ ছিল। এর বাইরে স্টোকসের আরেকটি অবৈধ ডেলিভারি ‘নো বল’ হিসেবে ধরতে পেরেছেন আম্পায়ার।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে তখন বেশ খেপে যেতেও দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরই চ্যানেল সেভেনের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ওভারে স্টোকসের আগের তিনটি ডেলিভারিই ‘নো বল’ ছিল। প্রতিবারই ‘ওভারস্টেপ’ করেন ইংল্যান্ড তারকা। কিন্তু একটিও আম্পায়ার কিংবা টিভিপ্রযুক্তি ধরতে পারেনি!

বেশ কিছুক্ষণ পর সেভেনের ভিডিওতে দেখানো হয়, স্টোকস প্রথম সেশনে এমন ১৪টি ‘ওভারস্টেপ’ ডেলিভারি করেছেন, যার প্রতিটিতে তিনি বোলিং ক্রিজের দাগ পেরিয়ে গেছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এরপর হঠাৎ করেই জানায়, টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই আইসিসির লাইভ রিভিউ প্রযুক্তি ঠিকমতো কাজ করেনি।

ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ‘নো বল’ ধরা পড়েনি। তবে এর মানে এই নয় যে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা নো বল করেছিলেন ঠিকই, প্রযুক্তির ব্যর্থতায় তা ধরা পড়েনি। কামিন্স-স্টার্করা নো না–ও করতে পারেন। কিন্তু আজ এক বোলারেরই ১২টি ডেলিভারি চোখ এড়িয়ে যাওয়ার পর ‘নো বল’ ছাড়া প্রথম দিন নিয়ে ভ্রুকুটি জাগতেই পারে।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদকর্মী ও ধারাভাষ্যকার অ্যালিসন মিচেল চ্যানেল সেভেনকে বলেন, ‘এই টেস্ট শুরুর আগে আইসিসিকে যে প্রযুক্তি সরবরাহ করা হয়েছে, তা ঠিকমতো কাজ করেনি। অর্থাৎ এই টেস্ট ম্যাচ ২০২০ সালের আগের কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে, যেখানে শুধু উইকেট নেওয়ার ডেলিভারিতেই দেখা হতো বোলারের পা দাগ পেরিয়ে গেছে কি না।’


অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের কাছে, টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সিরিজে এমন ঘটনা ‘হতাশার’ এবং সাবেক ওপেনার ম্যাথু হেইডেনের চোখে ‘অবিশ্বাস্য ব্যাপার।’ হেইডেন বলেন, ‘খেলা থেকে এ বিষয় পরিহার করতে হবে। প্রযুক্তির সাহায্য নিলে পুরো সেবাই পেতে হবে। কারণ, প্রযুক্তি থাকলে মাঠের আম্পায়াররা খুব স্বাভাবিকভাবেই এটার ওপর ভরসা রাখবেন।’


ব্রিসবেন টেস্টে মাঠে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন পল রেইফেল ও রড টাকার। টিভি আম্পায়ার হিসেবে আছেন পল উইলসন।

আম্পায়ারদের সমালোচনা করেন পন্টিং, ‘কিছু নো বল মোটেও ছোটখাটো ছিল না। (দাগ থেকে) ৬ ইঞ্চিও পরিমাণও (পা) বেরিয়ে গেছে। এখনকার আম্পায়াররা কি অলস হয়ে যাচ্ছেন? ভালোমতো দেখেন না? আগে বৈধ ডেলিভারিতে উইকেট পড়লেও তাঁরা নো বল ডাকার কারণেই এ প্রযুক্তি এসেছে।’


গত বছর আগস্টে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে আইসিসি জানায়, টিভি আম্পায়ার এখন থেকে বোলারের প্রতিটি ডেলিভারি বৈধ কি না (শুধু নো বলের ক্ষেত্রে), তা পর্যবেক্ষণ করবেন।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সদ্য বিদায়ী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিদেশে যাবেন কিনা, এটা তার সিদ্ধান্ত। তিনি বিদেশে যেতে চাইলে সরকার বাধা দেবে না।

বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিদেশে যাবেন কিনা, এটা তার সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

ডা. মুরাদ হাসান বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এ কথা জানানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এগুলো আমার জানা নেই, তিনি বিদেশে যাবেন না স্বদেশে থাকবেন এটা উনার ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।

এদিকে একটি ভার্চ্যুয়াল টকশোতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এরপর সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর গত মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে পদত্যাগপত্রটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান। এদিন রাতেই সেটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এরপর ডা. মুরাদ হাসান তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সব সিদ্ধান্ত মেনে নেব আজীবন। ’


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  

বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে কানাডায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি টিকিট কেটেছেন।

সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) তিনি একটি টিকিট কাটেন।

প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডা. মুরাদের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন মঙ্গলবার তার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মুরাদ হাসানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুরাদ হাসানের অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ৩৮৭টি লিংক চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

মন্ত্রিত্ব হারানো মুরাদ হাসানের নাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নামফলক থেকেও মুছে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে থাকা প্রতিমন্ত্রীর তালিকাও তার নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও তার নাম নেই।

বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে মুরাদ হাসান আলোচনা-সমালোচনায় এসেছেন। গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে ডা. মুরাদ হাসানের নারী বিদ্বেষী বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। এরপর ওই দিন রাতেই প্রধানমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

পরদিন মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালেই পদত্যাগপত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পাঠান মুরাদ হাসান। পরে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একজন কর্মকর্তা পৌঁছে দেন। সেই পদত্যাগপত্রের সারসংক্ষেপ তৈরি করে সন্ধ্যায়  প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিমন্ত্রী পদে মুরাদ হাসানের অব্যাহতির বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।

এর আগে মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


অসৌজন্যমূলক বক্তব্য ও অশালীন কথোপকথনের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এবার বিদেশ যাওয়ার চেষ্টায় আছেন বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে দেশের বাইরে যেতে বিমানের টিকিটও সংগ্রহ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার মধ্যেই চট্টগ্রামে চলে যান ডা. মুরাদ। নারীর প্রতি শিষ্টাচারবহির্ভূত অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এর পর থেকেই সপরিবারে বাইরের দেশের চেষ্টা শুরু করেন। পরে চূড়ান্তভাবে কানাডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডা. মুরাদ। 

প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডা. মুরাদের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের কিছুক্ষণ আগে  মঙ্গলবার তার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।

যদিও লাল পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে যেতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। লাল পাসপোর্টধারী ব্যক্তি সরকারি আদেশ (জিও) ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে সদ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ জিও না থাকায় বিদেশগমনে জটিলতায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। এ অবস্থায় তার বিদেশগমন অনিশ্চিত হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠান ডা. মুরাদ। পরে বিকেল ৩টায় তার পক্ষে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদসচিবের দপ্তরে জমা দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নামফলক থেকেও মুরাদ হাসানের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে থাকা প্রতিমন্ত্রীর তালিকা থেকেও তার নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও তার নাম নেই।

পরদিন মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালেই পদত্যাগপত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পাঠান মুরাদ হাসান। পরে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একজন কর্মকর্তা পৌঁছে দেন। সেই পদত্যাগপত্রের সারসংক্ষেপ তৈরি করে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিমন্ত্রী পদে মুরাদ হাসানের অব্যাহতির বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে ডা. মুরাদের করা নারীবিদ্বেষী মন্তব্য ঘিরে কদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছিল। এরই মধ্যে সোমবার রাতে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি কল রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে নায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাকে আপত্তিকর প্রস্তাব ও হত্যার হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমনকি মুরাদের শাস্তিরও দাবি ওঠে।

২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ডা. মুরাদ জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের এমপি। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। মুরাদ জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget