Latest Post

রাশিদ রিয়াজ : ব্রিটেনের রানির সঙ্গে থাকছেন না তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার একাকি থাকার কথা ডেইলি স্টার অনলাইনকে জানিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিশেষজ্ঞরা। বার্থডে বয় হিসেবে পরিচিত এবং ‘দি ডিউক অব এডিনবার্গ’ খেতাবে ভূষিত রানির স্বামী সদ্যই ৯৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। আগামী দুই বছর পর রাজকীয় দায়িত্ব থেকেও তিনি অবসর নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু রানির সঙ্গে তার কয়েক সপ্তাহ ধরে না দেখাদেখির বিষয়টি এই প্রথম ব্রিটিশ মিডিয়ায় এসেছে। এবং এ বয়সে একাকী থাকার বিষয়টি নিয়ে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে।

নরফকে একটি ‘উড ফার্ম কটেজ’এ ‘দি ডিউক অব এডিনবার্গ’ অবসর জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে তিনি বই পড়ে, ছবি এঁকে ও চিঠি লিখে এবং অতিথিদের সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্যে দিয়ে দিন পার করে দেবেন। তার সঙ্গে বাবুর্চি, হাঁটার সঙ্গী, ঘরবাড়ি দেখাশোনার জন্যে লোকবল, নিরাপত্তার জন্যে পুলিশ ও সাজভৃত্য থাকবে। মাঝে মধ্যে তিনি রানির অন্যান্য বাড়িতে বেড়াতে যাবেন। বিশেষ করে উইন্ডসর ক্যাসেলে যেখানে তিনি ঘোড়ার গাড়িতে চড়তে ভালবাসেন। এর আগে রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল রানি ও প্রিন্স ফিলিপ তাদের বিবাহিত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হিসেবেই পৃথক থাকতে যাচ্ছেন।
এদিকে ডেইলি মেইল বলছে রানি অনুভব করছেন যে ডিউকের অবসর নেয়ার সঠিক সময় এসে গেছে এবং তিনি তাকে যথেষ্ট জানেন ও বোঝেন। এ কারণে তিনি যদি এখনো রাজকীয় জীবনে ব্যস্ত থাকেন তাহলে তাকে অনেক ধরনের কাজে জড়িত থাকতে হবে। তবে পৃথক থাকলেও রানির সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই টেলিফোনে কথা বলছেন ডিউক
(amadershomoy)

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বকাপের ১৫তম ম্যাচে সাউদাম্পটনের হ্যাম্পাশায়ারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দু’দলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ম্যাচটির পরিসমাপ্তি ঘটায়।


টস জিতে ব্যাট করতে নামেন কুইন্টন ডি কক এবং হাশিম আমলা। নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসে কুইন্টন ডি কককে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন কেমার রোচ। তবে ডিআরএসের সাহায্য নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান ডি কক। প্রথম অবস্থায় রিভিউ নিয়ে ডি কক বেঁচে গেলেও পরের ওভারে শেল্ডন কটরেলের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিস গেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাশিম আমলা। নামের পাশে মাত্র ৬ রান যোগ করতে পেরেছিলেন আমলা। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে কটরেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এইডেন মার্করাম। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৫ রান করেছিলেন তিনি।
৭.৩ ওভারে ২৯ রান করার পর বৃষ্টি নামলে মাঠে আর বল গড়ায়নি। অপরাজিত ছিলেন ডি কক (১৭) আর দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস (০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ইমরান তাহির, আন্দেইল ফেলুকাওয়ো, কাগিসো রাবাডা, ক্রিস মরিস, ভ্যান ডার সেন ও বুরান হেন্ড্রিকস।
উইন্ডিজ একাদশ: জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), ক্রিস গেইল (সহ-অধিনায়ক), ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, নিকোলাস পুরান, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, ওশান থমাস ও শেল্ডন কটরেল।
(amadershomoy)

স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্যই মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তবে এরিমধ্যে পুরাদস্তুর নায়িকা বনে গেছেন পূজা চেরি রয়। বেশ কয়েকটি হিট ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছেন দারুণ জনপ্রিয়তা।ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন পূজা চেরি।
তাও টাইগারদের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকারকে জড়িয়ে। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পূজা চেরি সৌম্যর প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন।জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারের প্রেমে পড়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথম পূজা বলেন, আমি সবার প্রেমে পড়ি।

তারপরে বলেন, ‘আমি মাঝখানে একজন ক্রিকেটারের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তিনি হচ্ছেন সৌম্য সরকার। তাকে দেখেই ভালো লেগেছিল।এর পরপরই নিজের প্রেমে পড়ার ধরণ পরিস্কার করেন পূজা।তিনি বলেন, তবে ওই রকম প্রেমে পড়া না যে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা। নরমালি তাকে দেখে ভালো লেগেছিল।
বলতে গেলে হ্যাঁ, একটু ক্রাশ খেয়েছিলাম।সৌম্য সরকার যদি ফোন করে প্রপোজ করে তাহলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পূজা চেরি বলেন, (হাসি) প্রপোজ সে অবশ্যই করবে না। সে তার খেলায় কনসেন্ট্রেট করবে। তো প্রপোজের কথা এখানে আসছে না। আর যদি সে আমাকে ফোন করে তাহলে আমি অবশ্যই কথা বলবো।
তবে সৌম্য সরকার যদি রিলেশনে যেতে চাইলে পূজা চেরি কি করবেন সেটা ভেবে দেখেননি বলেও জানান তিনি।সৌম্য সরকারের প্রেমে পড়লেও জাতীয় দলে মাশরাফি বিন মুর্তজাই পূজার সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটার বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে টাইগারদের জন্য শুভকামনা জানান এ ঢালিউড তারকা।
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট  : শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপযাত্রা করে বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়ে হেরে যায় টাইগাররা। আর সবশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয় তারা। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের লক্ষ্যের পথে বড় ধাক্কা খায় মাশরাফি-সাকিবরা। যে কারণে জয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আন্ডারডগ শ্রীলংকা। এ ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছু ভাবছে না টাইগাররা। জয় পেতে ক্ষুধার্ত তারা। কারণ, সেমিফাইনালে খেলার রেসে টিকে থাকতে হলে ম্যাচটি জিততেই হবে তাদের। বিস্ট্রলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে দুই দলের লড়াই।


এবার সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ। শুরুটা সেরকমই ছিল। লন্ডনের বিখ্যাত ভেন্যু কেনিংটন ওভালে শক্তিশলী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করে টাইগাররা। পরের ম্যাচে একই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় তারা। দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরে যায় মাশরাফি-সাকিবরা। ২ উইকেটের হারে টুর্নামেন্টে প্রথম ধাক্কা খায় তারা।
এরপর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফের পয়মন্ত ভেন্যুতে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ইংলিশদের মুখোমুখি হওয়ার আগে সেখানে দুটি ম্যাচ খেলে শতভাগ জয় পায় টাইগাররা। এছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুবার খেলে দুটিতেই জয়ের রেকর্ড ছিল তাদের। তাই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীই ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা।
ফলে তিন ম্যাচে ১ জয় ও ২ হারে বাংলাদেশের সংগ্রহে রয়েছে ২ পয়েন্ট। এতে সেমিফাইনালে খেলার পথ ঝাপসা হতে শুরু করে। সেমিতে খেলতে হলে পরের ৬ ম্যাচের অন্তত ৪টিতেই জিততে হবে টাইগারদের। তাই শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না তারা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে বাংলাদেশ অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে আমাদের জিততেই হবে। এ নিয়ে ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা করছে-কিভাবে আরো ভালো করা যায়।
ব্রিস্টলে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি রয়েছে। এ ভেন্যুতে একটি ম্যাচ খেলে সেটিই জিতেছে টাইগাররা। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাশরাফির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের ৫ রানে হারায় তারা। ওই জয়ে সিরিজের সমতা আনে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ হারে সফরকারীরা। তবুও ওই জয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। ৪৫ দেখায় মাত্র ৭টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। অবশ্য সবশেষ মুখোমুখিতে জয় আছে তাদের। গেল বছর এশিয়া কাপে শ্রীলংকাকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। ১৩৭ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনী। তাই এ ভেন্যুতে এক জয়ের স্মৃতি ও লংকানদের বিপক্ষে সবশেষ দেখায় বড় জয় এ ম্যাচে সাফল্য পেতে এগিয়েই রাখবে তাদের।
বাংলাদেশের মতো এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৩টি ম্যাচ খেলেছে শ্রীলংকা। তবে টাইগারদের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি সংগ্রহে রয়েছে তাদের। কারণ, লংকানরা ১টি করে ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে ও পরিত্যক্ত হয়েছে। তাই ৩ পয়েন্ট সংগ্রহে রয়েছে তাদের।
নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হার দিয়ে এবারের আসরে যাত্রা শুরু করে শ্রীলংকা। এরপর বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানকে ৩৪ রানে হারায় লংকানরা। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহঅধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলংকা দল : দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, আবিস্কা ফার্নান্দো, সুরঙ্গা লাকমল, লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, কুশল মেন্ডিস, জীবন মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, লাহিরু থিরিমান্নে, ইসরু উদানা ও জেফরি বান্দারসে।
(amadershomoy)

বরিশাল প্রতিনিধি : নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত করতে দেশের আটটি বিভাগ ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ করবে বরিশালের নাট্য সংগঠন শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটার।


মুক্তিযুদ্ধের এক বিরঙ্গনার গল্প গাঁথা নিয়ে নির্মিত শব্দাবলীর ৬৬তম প্রযোজনার নতুন নাটক “বৈশাখিনী” মঞ্চস্থ করার হবে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ জুন বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বৈশাখিনী নাটক মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে শুরু হবে এই নাটকের দেশ ভ্রমনের কর্যক্রম। এর পর একই বিভাগের পটুয়াখালী ও বড়গুনা জেলায় নাটকটি মঞ্চস্থ করা হবে। বরিশাল বিভাগ শেষে বৈশাখিনী মঞ্চস্থ হবে সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে। নাটকটির মূল গল্প লিখেছেন ভারতের প্রখ্যাত নাট্যকার চন্দন সেন। নবনাট্য রূপ দিয়েছেন ড. মাহফুজা হিলালী, নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যজন ব্যক্তিত্ব সৈয়দ দুলাল। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি
(amadershomoy)

ঢাকাই ছবির নতুন ক্রেজ পূজা চেরি। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়ালেখাও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) ৩.৩৩ পেয়ে পাস করেছেন এই চিত্রনায়িকা। ঢাকার মগবাজার গার্লস হাইস্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
নতুন খবর হচ্ছে পূজা কলেজে ভর্তি হতে যাচ্ছেন। পছন্দের তালিকা থেকে পূজা সিদ্ধেশ্বরী কলেজে চান্স পেয়েছেন।

দেশ রূপান্তরকে পূজার মা বলেন, ‘চয়েজ লিস্টে অনেকগুলো কলেজই পূজা সিলেক্ট করেছিল। কিন্তু ও চান্স পেয়েছে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে। শিগগিরই ও কলেজে ভর্তি হবে।’
এদিকে পূজা বর্তমানে এম এ রহিম পরিচালিত ‘শান’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আজ ছবিটির দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন পূজা। নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্কে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ছবিটির শুটিং।
পূজার মা বলেন, ‘আমরা আজ ১২টার দিকে শুটিং স্পটে এসে পৌঁছেছি। পূজা এখন শট-এ আছে।’
শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখা পূজা চেরি ‘নূর জাহান ছবিতে অভিনয় করে চিত্রনায়িকা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’ ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।
(amadershomoy)

আবু সুফিয়ান রতন : আড়াই মাস ধরে এ অভিনেতা গ্যাংরিনে (পচন রোগ) ভুগছেন। রোববার পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী লতিফা বাবর। ডা. খালেকুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল তার পায়ের তিনটি আঙুল কেটে ফেলা হয়। অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার কিছুদিনের মধ্যে রোগের প্রকোপ আরও বাড়তে থাকে। ঈদের আগে দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা তার পা কেটে ফেলার পরামর্শ দেন বলে জানান তার স্ত্রী।
চিকিৎসকের বরাতে তিনি বলেন, আপাতত তার ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকাটা জরুরি। অন্যথায় বিপদ ঘটতে পারে।
চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে অর্থাভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন। তিনি জানান, রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিল্পী সমিতি। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগের চিকিৎসা চালিয়ে নিতে হবে।কিন্তু অর্থাভাবে সেটা সম্ভব হয়ে উঠছে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সহায়তা পেলে হয়তো আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারব।
আমজাদ হোসেনের ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে বড়পর্দায় আবির্ভূত হলেও জহিরুল হকের ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে খলনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় তার। তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ৬৮ বছর বয়সী এ অভিনয়শিল্পী। অভিনয়ের পাশাপাশি ‘দয়াবান’, ‘দাগী’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন তিনি।
(amadershomoy)

মো. তৌহিদ এলাহী : শনিবারের সংঘর্ষে পাঁচজনের নয়, মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। বিজিপির পাঁচজনের দাবি ঠিক নয়। সোমবার একথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন বিধানসভা নিয়ে এত আগে থেকে জল্পনা করার জন্য। এনডি টিভি বাংলা
তৃণমূলনেত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, গেরুয়া শিবির থেকে ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বিজেপি।


গত শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বসিরহাট হাসপাতালে তিনটি মৃতদেহর সন্ধান মেলে। বিজেপির নেতারা দাবি করেন, তার মধ্যে দু’জন তাঁদের কর্মী। তৃণমূল জানায় তৃতীয় ব্যক্তি তাঁদের দ‌লীয় কর্মী। দুই বিবদমান দলের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয় তাদের একাধিক কর্মীদের ওই দিনের সংঘর্ষের পরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবারের ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও জেলা প্রসাসন মুখে কুলুপ এঁটেছে। কতজন মারা গিয়েছেন, সে ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ওরা (বিজেপি) বলছে পাঁচজন মারা গিয়েছে। ওরা মিথ্যে বলছে। আমি দেখেছি এক বিজেপি নেতা টিভিতে বলছে, তিনজন নিখোঁজ। যদি তাই হয়, তাহলে তাঁদের নাম, ঠিকানা তোমরা বলছ না কেন?”
বিজেপির পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেশখালিতে কতজন মারা গিয়েছেন, এব্যাপারে বিজেপি তাদের মিথ্যে দাবি ছড়ানোর জন্য সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সামনে এব্যাপারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা যা বলছে আপনারা তাই লিখছেন। আপনার কী করে লিখলেন চার-পাঁচজন মারা গিয়েছে? আপনারা বিজেপি নেতাদের দাবিকে খতিয়ে দেখছেন না। আমি জানি বিজেপি আপনাদের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আমি জানি রামদেবের কাছ থেকে কত লোক টাকাপয়সা পাচ্ছে। আমি সব জানি।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনের পরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এবং সেটাও ঘটেছে বিজেপির জন্যই। ওরা নিজেদের ভগবান ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু মনে রাখবেন, আমরা সবটা নিয়ন্ত্রণ করেছি।”
মমতা দাবি করেন, ‘‘আমাদের রাজ্য ভারতের সব রাজ্যের থেকে সেরা। জাতীয় পর্যায়ে আমাদের পারফরম্যান্স সেরা। এবং আমি শিউরে উঠি যখন দেখি কোনও কোনও জাতীয় চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে বাংলার মানুষ পাইপ গান ও স্টেন গান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসবই করা হচ্ছে বাংলার বদনাম করতে।”
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পরে যেভাবে এখন থেকে  বিধানসভা ভোট নিয়ে জল্পনা চলছে তার জন্য সংবাদমাধ্যমকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ভোট এখনও দু’বছর দূরে। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। আপনারা ভুল খবর ছড়াচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গকে অপমান করবেন না। অন্যদেরও করতে দেবেন না। অন্য রাজ্যে এমনটা হয় না। তামিলনাডু, ওড়িশা, বিহার বা অন্য রাজ্যের সংবাদমাধ্যম এমন করে না।”
২০০৯ লোকসভায় বাম আমলে তৃণমূলের উত্থানের সঙ্গে অনেক এবারের লোকসভায় বিজেপির জয়কে তুলনা করছেন, এতে অসন্তুষ্ট মমতা বলেন, ‘‘তখনকার (২০০৯) আর এখনকার সময়ে অনেক ফারাক। ২০০৯ সালে নেতাই, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছিল। কৃষক আন্দোলন হয়েছিল।”
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : কেউ খাল ভরাট করে তৈরি করেছেন দোকান, কেউ আবার নির্মাণ করেছেন বহুতল ভবন। ফলে প্রতি বর্ষায় ব্যাহত হচ্ছে পানি চলাচল। অল্প বৃষ্টিতেই জমে যাচ্ছে কোমরসমান পানি। দুর্ভোগে পড়ছে নগরবাসী। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়ে আটটি খালের দখলদারদের চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চলতি মাসেই খালগুলো থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সমকাল


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, ‘খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে বাস্তবায়নাধীন জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সুফল মিলবে না। খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। খালের যে প্রশস্ততা থাকার কথা তা এখন নেই। এতে পানি নিস্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হবে।’
সিডিএ সূত্র অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের পানি নিস্কাশনের প্রধান মাধ্যম চাক্তাই খালের অবৈধ দখলে আছে ১ দশমিক ৫ একর জায়গা, মহেশখালের ১১ দশমিক ৪৪ একর, ফিরিঙ্গীবাজার খালের শূন্য দশমিক ৬৩ একর, গয়নাছড়া খালের ৪ দশমিক ৮৮ একর, খন্দকিয়া খালের ৭ দশমিক ৭০ একর, মহেশখাল সংযোগ খালের ১ দশমিক ২১ একর, টেকপাড়া খালের শূন্য দশমিক ১৭ একর ও রাজাখালী-২ খালের ৩ দশমিক ৬০ একর জায়গা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তৈরি করা দখলদারদের তালিকা অনুযায়ী, চাক্তাই খালের ডানতীরে বাকলিয়া এলাকায় ৩৭২ বর্গফুট জায়গা দখল করে দোকান গড়ে তুলেছেন আমির হোসেন, আবদুল বারেক, জসিম উদ্দিন, হাজি আমিনুল হক,  হাজি রেজোয়ান ইসলাম, আহম্মদ হোসেন ও বাহাদুর। দুই হাজার বর্গফুট জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল আলম, মো. ইউছুফ, মো. রফিক, শামসুল হক, বশির আহম্মদ, মো. ইউসুফ, আবদুছ ছালাম, নুরুল আমিন, জামাল আহাম্মদ, মাহবুব হোসেন, মো. নাছের ও মনির আহম্মদ।
আবাসন প্রতিষ্ঠান সিপিডিএল দখল করেছে ৮০ বর্গফুট। খাল ভরাট করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গড়ে তুলেছে চারতলা ভবন। বর্তমানে রাজস্ব সার্কেল-২ এর কার্যালয় রয়েছে এখানে। চাক্তাই খালের ১৩ হাজার ১২৫ বর্গফুট জায়গা ভরাট করে গড়ে উঠেছে বহদ্দারহাট বাজার। বাজারটির পরিচালনায়ও রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
চাক্তাই খালের এক হাজার ৫৩০ বর্গফুট জায়গার ওপর রয়েছে এনামুল হকের পাঁচতারা বাণিজ্যালয়, মোহাম্মদ আলমগীরের মাওলা স্টোর, জয়নাল আবেদীন আজাদের জেবি ট্রেডার্স, বাদল দেবের এএম ট্রেডিং, দেব প্রসাদ চৌধুরীর মেসার্স সুভাষ স্টোর, আবদুল করিমের মামুন ব্রাদার্স, স্বপন বিশ্বাসের হাজি ছালাম অ্যান্ড সন্স, মঈনুল আলমের টিনের দোকান, মো. শাহজাহানের এস কে ট্রেডিং। আবু বক্কর চৌধুরী ও নীলকৃষ্ণ দাশ মজুমদারও গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া কাঠ ও টিনের বেড়া দিয়ে খালের জায়গা দখলে রেখেছেন পাঁচ ব্যক্তি। মো. ইউছুফের দখলে ৮৫ বর্গফুট, ছালেহ আহম্মদ অ্যান্ড সন্স ৮৫ বর্গফুট, আবু মিয়া চৌধুরী ১০০ বর্গফুট, মো. মনির ১০০ বর্গফুট ও আবু ছুফিয়ান ১২০ ফুট জায়গা।
চাক্তাই খালের বামতীরে দখলে রয়েছে প্রায় এক হাজার ২৭৬ বর্গফুট জায়গা। এখানে অবৈধ দখলদাররা হলেন- মাজহার আলী ইসলাম, মো. ইয়াকুব খান, স্বপন চৌধুরী, সিরাজ মিয়া, আবুল কালাম, নুর মোহাম্মদ, আলমগীর হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। এর মধ্যে ২৮৬ বর্গফুট জায়গা দখল করে একতলা ভবন গড়ে তুলেছেন নুর মোহাম্মদ, ৫৮০ বর্গফুট জায়গার ওপর আলমগীর হোসেনের একতলা ভবন ও ৫০ বর্গফুট জায়গার ওপর আনোয়ার হোসেনের টিনশেড ঘর।
এদিকে ৫৪ জনের দখলে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরের আরেকটি প্রধান খাল রাজাখালী খালের এক দশমিক ৩২ একর জায়গা। রাজাখালী খালের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ের ২৫ হাজার ৮৮৫ বর্গফুট জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর ও তেলের গোডাউন গড়ে তুলেছেন ফরিদ চেয়ারম্যান, ফরিদ সওদাগর, আক্তার সওদাগর, শফিউল আজম, বাবুল হাজি, মো. নাছের ও আবুল কালাম। রাজাখালী খালের উত্তর-পশ্চিম পাড়ে ১৮ হাজার ৭৩৫ বর্গফুট জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর, গোডাউন, রাইস মিল, ভবন, খাদ্যের মিল ও মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন হাজি সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাজি আবদুল ছোবহান, হাজি নবী হোসেন সওদাগর, বাদশা মিয়া চৌধুরী, সালাউদ্দিন, টাইগার ফরিদ, জামাল সওদাগর, পিউরিটি ময়দার মিল, ওসমান সওদাগর, আশু বাবু, কালাম সওদাগর, মো. এমরান, শাহীন স্টোর, গফুর ভিউ, জাফর, সিরাজ, আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক ও নুরুল ইসলাম সওদাগর।
রাজাখালী খালের দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ে ১৩ হাজার ১৯২ বর্গফুট খালের জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন মো. কালাম, মো. জাহাঙ্গীর, মো. নেজাম, নুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর, জাগীর হোসেন, সেকান্দার, ভোলা মাঝি, জানে আলম, মরিয়ম বেগম, হালিমা বেগম, আবুল কাসেম, মো. আলী সাহেব, মো. ইসমাইল ও তার লোকজন, রবি আলী, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মসজিদ, কামাল মাঝি, মোজাহার কোম্পানি, হাজি আবুল কামাল ও জয়নাল আবেদীন আজাদ।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্পটির পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল খনন করা হবে। তিন পর্যায়ে নগরের খালগুলো খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। প্রথম দফায় গুরুত্ব অনুযায়ী ১৩টি খালের খননকাজ চলছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০টি এবং শেষ পর্যায়ে বাকি খালগুলো থেকে মাটি উত্তোলন করা হবে। গত বছর খালগুলো থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ঘনফুট এবং চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ৪২ লাখ ঘনফুট মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। খালের দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ ও সড়কের কাজ শুরু হলেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।’
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে আগামী অর্থবছরে কৃষি, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই ভর্তুকির ফলে কৃষি উৎপাদন বাড়বে, শক্তিশালী হবে কৃষি অর্থনীতি। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কৃষিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করার বিষয়টিও আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখ করা হবে। জনকণ্ঠ

সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতের জন্য ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হবে ৯ হাজার কোটি টাকা। ৯ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার ভর্তুকি থাকছে বিদ্যুত খাতের জন্য। এছাড়া এলএনজি আমদানিতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেয়া হবে। কৃষি ও বিদ্যুত খাতে চলতি অর্থবছরের ন্যায় ভর্তুকি বরাদ্দ থাকলেও প্রায় তিনগুণ ভর্তুকি বেড়েছে এলএনজির মতো জ্বালানি আমদানিতে। দেশের বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে গ্যাসের সঙ্কট দূর করা হবে। এজন্য বেশি দামে এলএনজি আমদানি করে কমদামে তা উদ্যোক্তাদের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যদিও আগামী অর্থবছরে ভর্তুকি কমানোর কথা বলেছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় এখনই ভর্তুকি কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে। এজন্য এই তিন খাতের বাইরেও প্রণোদনা, নগদ ঋণ সহায়তা খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হবে। সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের চূড়ান্ত ঘোষণায় ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। রফতানি ও রেমিটেন্স বাড়াতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বৈধপথে রেমিটেন্স আনা হলে শতকরা ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে। এছাড়া এবারই সকল পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাজেট সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ সহায়তা বাজেটে প্রতিবছরই রাখা হয়। এবারও কোন কোন খাতে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ সহায়তা বাড়বে। রফতানি ও রেমিটেন্স বাড়াতে সরকার কাজ করছে। এ কারণে সকল পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স আনার প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু করা হয়েছে। প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে তাদেরও একটি প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী বাজেটে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
একটি সূত্র জানায়, আসন্ন অর্থবছরে ভর্তুকিতেই বেশি বরাদ্দের প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ খাতে প্রাক্কলিত বরাদ্দ ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেয়া হবে বিদ্যুত খাতে। বিদ্যুতে ভর্তুকি বাবদ প্রাথমিক প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। খাদ্যে ভর্তুকি ধরা হচ্ছে ৪ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। এছাড়া অন্য খাতের জন্য ৯ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রাক্কলন করা হয়েছে।
এছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রণোদনার জন্য ১৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে। রফতানি নগদ প্রণোদনাও রাখা হচ্ছে ৪ হাজার কোটি টাকা। আর পাট খাতের জন্য ৫০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। রেমিটেন্সের আহরণে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে। এ খাতের জন্য ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে, আসছে বাজেটে নগদ ঋণ খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী বাজেটে কৃষিপণ্যের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করার কৌশল গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি ধানের দাম কমে যাওয়ায় সরকার চাল আমদানিতে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে। একইভাবে কৃষি যন্ত্রপাতিসহ অন্য পণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দিয়ে রেখেছে সরকার। কৃষক যাতে উৎপাদিত ফসল ও পণ্যের ন্যায্যদাম পায় বিষয়টি আগামী বাজেটে নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ধানসহ কৃষকের উৎপাদিত সব ধরনের ফসল ও পণ্যের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি, বাজেট ঘোষণায় বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
এদিকে, গ্যাস সঙ্কটের কারণে গত কয়েক বছর বাসাবাড়ির পাশাপাশি শিল্পেও নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এখন এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের সঙ্কট দূর করা হচ্ছে। চড়া দামে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহে বাড়তি ভর্তুকি রাখতে হচ্ছে আগামী বাজেটে। সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এর ফলে বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে, বাড়বে শিল্পের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান।
(amadershomoy)

রাশিদ রিয়াজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে সঠিক কে সঠিক না বা কে মুসলমান, কে মুসলমান না সে বিচারের দায়িত্ব আল্লাহর। কুরআন ও হাদীস অনুয়ায়ী সে বিচারের দায়িত্ব মানুষের নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন মানুষ আল্লাহর ক্ষমতা কেড়ে নেবে? মানুষের ভালমন্দ বিচারের দায়িত্ব ও অধিকার একমাত্র আল্লাহর। মুসলমানই মুসলমানদের হত্যা করছে, এতে একমাত্র লাভ হচ্ছে অস্ত্র বিক্রেতা ও যারা অস্ত্র বানায় তাদের। মুসলমানের রক্ত আরেক মুসলমান নিচ্ছে, নিজেরা হানাহানি করছে তা ওআইসি’কে বন্ধ করতে হবে। আমি আগেও এদাবি জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, ফিনল্যান্ড ও সৌদি আরব সফর শেষে দেশে ফিরে রোববার বিকেলে গণভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষ মেরে কখনো বেহেশতে যাওয়া যাবে না। গেলে বেহেশত থেকে তো কেউ ম্যাসেজ পাঠাননি যে তিনি এখন বহাল তবিয়তে সেখানে আছেন। আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে মাদ্রাসায় শিক্ষিত অনেক তরুণ বিভ্রান্ত হয়ে জঙ্গি হয়ে যেত কিন্ত্র এখন দেখা যাচ্ছে ইংরেজি বা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও কেউ কেউ বিভ্রান্ত হচ্ছে। তারা আসলে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে পারে না।
(amadershomoy)

আসিফুজ্জামান পৃথিল : আমিরাতের রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ (ইআরসি) বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তাদের সহায়তায় এই অর্থ ব্যবহৃত হবে। বাসস।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সমস্ত আমিরাত জুড়েই এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। ঢাকাস্থ আরব আমিরাতের দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে মাত্র ১ সপ্তাহের প্রচারণাতেই এই অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশনায় আমিরাতের সকল নেতা এই প্রচারণায় সমর্থন দেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ আল মেহেরি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় পেয়েছে। আমাদের তাদের সকলকে বিশেষত নারী ও শিশুদের সহায়তা করতে হবে। এবার আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সাধারণ হজনগনকে তাদের রোহিঙ্গা ভাইবোনের পাশে দাঁড়াতে দেওয়ার জন্য।’
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকেই আরব আমিরাত নানাভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছে। দেশটি কক্সবাজারে একটি ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনা করছে। যা মূলত নারী ও শিশুদের নানা ধরণের সেবা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও দেশটি রেডক্রিসেন্টের সহায়তায় ১০০ কূপ খনন করেছে।
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় অগ্রিম ট্রেড ভ্যাটের (এটিভি) পরিবর্তে অগ্রিম কর (এটি) ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। অর্থাৎ বর্তমানে যেসব পণ্যে ৫ শতাংশ এটিভি আরোপিত আছে, সেসব পণ্য আমদানিতে অগ্রিম কর দিতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। যুগান্তর
সূত্রগুলো জানায়, নানা সময় ব্যবসায়ীরা অগ্রিম ট্রেড ভ্যাটের (এটিভি) বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এটিভি ভ্যাট আইনের মূলনীতির পরিপন্থী। তাই নতুন আইনে এটিভি বাদ দিয়ে আগাম করের (এটি) বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইন প্রণয়নের সময় আগাম কর ৩ শতাংশ ছিল। এখন সেটিকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, আগামী অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর খাতের লক্ষ্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। ভ্যাট খাতে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। শুল্ক খাতে ৯২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা।
নতুন ভ্যাট আইনে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অনেক ছাড় থাকছে। বার্ষিক টার্নওভারের সীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে টার্নওভার ট্যাক্স হারও বাড়ানো হচ্ছে। আগামী বাজেটে এ হার ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হতে পারে। বর্তমানে এ হার ৩ শতাংশ। ফলে ৩ কোটি টাকার বেশি যাদের টার্নওভার রয়েছে তাদের ১ শতাংশ বেশি হারে ভ্যাট দিতে হবে। সাধারণত বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোরই ৩ কোটি টাকার বেশি টার্নওভার রয়েছে। এছাড়া ভ্যাট অব্যাহতির সীমা ৩০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলে ওই প্রতিষ্ঠানকে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না। ভ্যাট হারেও ছাড় দেয়া হচ্ছে। নতুন আইনে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে আরও ৪টি স্তর করা হয়েছে। ২, ৫, ৭.৫ ও ১০ শতাংশ হারে পৃথক স্তর করা হয়েছে। মূলত ট্যারিফ মূল্য আরোপিত সংবেদনশীল পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে আলাদা একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হবে। বর্তমানে উৎপাদন পর্যায়ে ৮৫টি পণ্যে ট্যারিফ মূল্য বহাল আছে। এর মধ্যে গুঁড়া দুধ, গুঁড়া মসলা, বিস্কুট, কেক, রুটি, আচার, টমেটো সস, ফলের জুস, এলপি গ্যাস, নিউজপ্রিন্ট, সব ধরনের কাগজ, এলইডি লাইট, টিউব লাইট, চশমা, সানগ্লাস, নির্মাণসামগ্রী যেমন রড, ইট রয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে এসব পণ্যের ট্যারিফ মূল্য থাকবে না। অপ্রয়োজনীয় বাদ দিয়ে অল্প সংখ্যক পণ্য যেমন রড, ওষুধ ও পেট্রোলিয়ামের মতো সংবেদনশীল পণ্য রেখে বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ৮-১০ পণ্য এ প্রজ্ঞাপনের সুবিধা পাবে। অন্যদিকে পুরাতন আইনে যেসব পণ্য ও সেবা সংকুচিত ভিত্তিমূল্যে ভ্যাট দিত, তাদের জন্য ভ্যাট হার ৫ ও সাড়ে ৭ শতাংশ হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য সম্পূরক শুল্কের তফসিল পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ পুরাতন আইনের তফসিল বহাল থাকছে। নতুন আইনে সম্পূরক শুল্ক আরোপিত পণ্য সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস করা হয়েছে। ২০১২ সালে ভ্যাট আইনে মাত্র ২৫৬টি পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক রাখা হয়। যদিও পরবর্তীতে ২০১৭ সালের বাজেটে এ তফসিল সংশোধন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপিত পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। পুরাতন আইনে প্রায় ১ হাজার ৪৩০টি পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা আছে।
যদিও ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর জন্য মাঠপর্যায়ে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) মেশিনের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (্ইএফডি) বসানো হবে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার কাজ শেষ হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড় বড় বিপণিবিতান ও রেস্টুরেন্টে বিনামূল্যে ইএফডি মেশিন বসানো হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ৯০ হাজার ইএফডি মেশিন বসানো হবে। এনবিআরের কর্মকর্তারা মনে করেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানো গেলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে। এখন ইসিআর মেশিন টেম্পারিং করা যায়। কিন্তু ইএফডি মেশিনে সে সুযোগ নেই। কারণ ইএফডি মেশিনের বেচাকেনার সব তথ্য সরাসরি ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পে রক্ষিত সার্ভারে জমা হবে। কেউ টেম্পারিং করতে চাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে তথ্য কর্মকর্তারা দেখতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অর্থনীতির আকার যে হারে বেড়েছে, পণ্য ও সেবা খাত থেকে সে হারে ভ্যাট আদায় করা যাচ্ছে না। সর্বত্র ইএফডি মেশিন বসানো গেলে ভ্যাট আদায়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।
যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক : আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড শপ, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, আসবাবপত্রের বিক্রয় কেন্দ্র, পোশাক বিক্রির কেন্দ্র ও বুটিক শপ, বিউটি পার্লার, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রীর বিক্রয়কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, অভিজাত শপিং সেন্টারের আওতাভুক্ত সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর ও সুপার শপ, বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ী (পাইকারি ও খুচরা) প্রতিষ্ঠান, স্বর্ণকার ও রৌপ্যকার এবং স্বর্ণ-রৌপ্যের দোকানদার এবং স্বর্ণ পাইকারি ব্যবসায়ী। এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ইএফডি মেশিন ব্যবহার না করে তাহলে শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে।
(amadershomoy)

প্রায় দেড় মাসের লম্বা সফর, এক শহর থেকে ছুটে বেড়ানো আরেক শহরে। তারই অংশ হিসেবে এবার ব্রিস্টলে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
লন্ডনের কেনিংটন দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড এবং কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর, নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে কার্ডিফ ছেড়ে আজ (রোববার) ব্রিস্টলে পৌঁছেছে মাশরাফি বাহিনী।

কার্ডিফ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়) ব্রিস্টলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। কার্ডিফ থেকে ব্রিস্টল যেতে লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ব্রিস্টলে গিয়ে পৌঁছেন মাশরাফি-সাকিবরা।
লন্ডন ও কার্ডিফে পার্ক প্লাজা চেইন হোটেলে উঠলেও, ব্রিস্টলে টাইগারদের টিম হোটেল ব্রিস্টল মার্কারি হল্যান্ড হোটেল। আজ দলের কোনো অনুশীলন নেই, নেই কোনো মিডিয়া সেশন। অর্থাৎ পুরো দল আজকের দিনটা বিশ্রামে থাকবে। যে যার মতো এই দিনটি উপভোগ করবেন।
সামনে এখনও অনেক কাজ বাকি। বড় হারে আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা খেলেও ক্রিকেটারদের ফুরফুরে থাকা খুব জরুরি। মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন দলের প্রায় সবাই মানসিকভাবে দারুণ অবস্থানেই রয়েছেন।
(jagonews24)

পরপর দুই ম্যাচ হেরে সমর্থকদের সমালোচনার মুখে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। উইনিং কম্বিনেশন ঠিক রেখে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে কোন পরিবর্তন আনেনি টাইগাররা। তবে পরিবর্তন না আনার পরও দেখা দেয়নি জয়। তাই অনেকেই মনে করছেন একাদশে বাড়তি পেসার হিসেবে রুবেল হোসেনকে দলে নেয়া দরকার।

স্পিনাররা ছাড়া গত দুই ম্যাচে কোন পেসারই ভালো বোলিং করতে পারেনি। এমনকি বাজে বোলিং করায় সমালোচনা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকেও। সাবক ভারতীয় ক্রিকেটার অজিত আগারকারের মতে, মাশরাফি একাদশে থাকার মতো ফিট। তিনি এও পরামর্শ দিয়েছেন যে বাড়তি পেসার হিসেবে রুবেলকে দলে যোগ করা উচিত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে আগারকার বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের দলে রুবেলকে যোগ করা দরকার। আমি এটাও মনে করি তারা মাশরাফিকে বাইরে রাখতে পারবে না। বর্তমানে বাজে ফর্মের কারণে একাদশে থাকার মতো ফিট নন এই ক্রিকেটার। কিন্তু তিনি তাদের অধিনায়ক এবং তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের দরকার আছে।’
রুবেলকে কার বদলে খেলাবে বাংলাদেশ এর সমাধানও দিয়ে দিয়েছেন আগারকার। তার মতে, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বদলে তাকে খেলানো উচিত। যেহেতু বাংলাদেশের দুটি স্পিনার ইতিমধ্যেই একাদশে আছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মোসাদ্দেককে তারা বাদ দিতে পারবে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ থাকায় তাদের পর্যাপ্ত স্পিনার আছে। তাদের ব্যাটিং খুব ভালো করছে এবং বোলিং তাদেরকে মাটিতে নামিয়ে আনছে। আপনি কখনোই আশা করতে পারবেন না বোলার ৩০০ রান দিবে আর সেটা ব্যাটসম্যানরা চেজ করবে। যদি একজন খেলোয়াড় বড় রান করতে পারত তাহলে তাদের চেজ করাটা প্রানবন্ত হত। কিন্তু তারপরেও তারা খুব ভালো চেজ করেছে।’
আগামী ১১ জুন ব্রিস্টলে শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
(jagonews24)

ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতে প্রতি বছরের মতো এবারও আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের সর্ববৃহৎ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ। চলবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
রাজশাহীর গোদাগাড়ি বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও নাটোরের একডালায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কারখানায় এই আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম চলছে। চলতি বছর ৬০ হাজার টন আম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণ গ্রুপ।

বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও এর আশপাশের অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত। কারখানায় গত ২৮ মে থেকে গুটি আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর আমরা আশ্বিনা আম থেকে পাল্প সংগ্রহ করব। কারখানায় আম সংগ্রহ চলবে আমের সরবরাহ থাকা পর্যন্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারখানায় অত্যাধুনিক মেশিনে সম্পূর্ণ অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে আমের পাল্পিং করা হচ্ছে। অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে পাল্প সংরক্ষণ হওয়ায় দুই বছর পর্যন্ত তা ব্যবহার উপযোগী থাকে। এই প্ল্যান্টে আম পরিষ্কার, বোটা ও খোসা সরানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাল্প প্যাকেটজাত থেকে শুরু করে এর সঙ্গে জড়িত সব কাজ সম্পূর্ণ হাতের স্পর্শ ছাড়াই করা হচ্ছে। আমের বর্জ্য দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে খোসা থেকে জৈব সার ও আটি থেকে জ্বালানি তৈরি হওয়ায় কারখানাটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। কারখানায় প্রতিদিন ৪০০ টন আম ক্র্যাশিং করার সক্ষমতা রয়েছে।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো চলতি মৌসুমেও নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, মেহেরপুর এবং সাতক্ষীরা থেকে আম সংগ্রহ করছে প্রাণ। সংগ্রহের পর এসব আম পাল্পিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে রাজশাহী ও নাটোরের কারখানায়। এই পাল্প থেকেই পুরো বছর তৈরি হচ্ছে ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেতারা যেন উৎকৃষ্টমানের পাল্পের ফ্রুট ড্রিংক কিংবা জুস খেতে পারে সেজন্য আমরা পণ্যের কাঁচামালকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। আমের জন্য বিখ্যাত অঞ্চলে আমাদের কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছি। পাশাপাশি কারখানা আধুনিকায়নের ফলে ক্রেতারা আরও মানসম্মত পণ্য পাবে বলে আশা করছি।’
(jagonews24)

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের অন্যতম উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ১১ আগস্ট হতে পারে বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি) ঘোষণা দিয়েছে। আইএসি বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১ আগস্ট আরবি মাস জিলহজের নতুন চাঁদ দেখা যেতে পারে। সে অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট।

সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আমিরাতে পবিত্র ঈদ পালিত হওয়ার পরদিন বাংলাদেশে পালিত হয়। সে অনুযায়ী, বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে ২ আগস্ট এবং ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ আগস্ট।
আইএসির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শওকত বলেন, ‘এবার চান্দ্র মাস জিলহজের নতুন চাঁদ দেখা নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক হবে না।’
‘আরব বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও ইসলামিক সেন্টার টেলিস্কোপ এবং খালি চোখেই সহজে এবং পরিষ্কারভাবে জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখতে পাবে।’
প্রতি বছর জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে পবিত্র হজ এবং ওমরাহ জড়িত থাকায় অধিকাংশ দেশ সৌদির চাঁদ দেখায় অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) আরব বিশ্বের অধিকাংশ এবং মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখা যাবে।’ ‘ওই দিন সূর্যাস্তের পর এসব দেশে টেলিস্কোপের মাধ্যমে এবং কিছু কিছু অঞ্চলে খালি চোখেই নতুন চাঁদ দেখা যেতে পারে।’
গত বছর মধ্যপ্রাচ্যে জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায় ১২ আগস্ট (রোববার)। এইউএএসর সদস্য ইব্রাহীম আল জারওয়ান বলেন, ‘পবিত্র জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ আগামী ১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে দেখা যেতে পারে। সূর্যাস্তের পর উদিত হয়ে প্রায় ২৮ মিনিট পর অদৃশ্য হয়ে যাবে।’
আল জারওয়ান বলেন, ‘এমন অবস্থায় জিলহজ মাসের প্রথম দিন শুরু হবে ২ আগস্ট (শুক্রবার) থেকে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট (রোববার)।’
(jagonews24)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার পদত্যাগের দাবিতে আজ (রোববার) দুপুর থেকে তার কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন নিয়োগবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা।
নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আজ সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনকালে তাদের ওপর বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আমরণ অনশনে নামতে বাধ্য হন বলে জানান চিকিৎসকরা। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এদিকে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপাচার্য় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তার কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারের বাইরে অনশনরত চিকিৎসকদের সামনে এসে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল তারা কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আগামীকাল থেকে ভাইভা শুরু হবে। তবে এ সময় বঞ্চিত চিকিৎসকরা নানা উদাহরণ টেনে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করতে থাকেন।
এরপর অন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে পুলিশি প্রহরায় তিনি (ভিসি) চলে গেলেও বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা এখন পর্যন্ত ব্যানার টাঙিয়ে বসে আছেন। তাদের ঘিরে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত আনসাররা। প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নিয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, অনিয়মের কারণে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাতে তাদের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগের জন্য গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হয়। ১৮০ জন চিকিৎসা কর্মকর্তা ও ২০ জন দন্তচিকিৎসক পদে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৫৭ জন অংশ নেন।
লিখিত পরীক্ষায় এক পদের বিপরীতে চারজন উত্তীর্ণ হন। এ হিসেবে ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। চূড়ান্ত নিয়োগের লক্ষ্যে তাদের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু ফল ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ‘সুযোগবঞ্চিত’ চিকিৎসকরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে ‘ছেলের জন্য সাজানো নিয়োগ, লজ্জা, ভিসি লজ্জা; ভিসির পদত্যাগ চাই; অর্থের বিনিময়ে এ নিয়োগ মানি না, মানবো না; প্রশ্নফাঁসের এ নিয়োগ কাদের জন্য; আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে’ স্লোগান লেখা পোস্টার সেঁটে দেন।
আগামীকাল (১০ জুন) অনুষ্ঠিতব্য মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আজ সকালে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে একাধিক চিকিৎসক আহত হন।
(jagonews24)

ঈদুল ফিতরের নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। সঙ্গে বোনাস হিসেবে শুক্র ও শনিবারও শেষ। ছুটি শেষ হওয়ায় প্রিয়জনের সান্নিধ্য ছেড়ে আবারো ‘যান্ত্রিক’ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন চাকরিজীবীরা। ফলে আবার সরব হয়ে উঠেছে ঢাকায় প্রবেশের সবকটি টার্মিনাল। আজ রোববার এসব টার্মিনালে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কয়েক দিন ফাঁকা থাকা রাজধানীতে বেড়েছে যানবাহন চলাচল, চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা।

রোববার সকালে সরেজমিন রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকায় ফেরা মানুষের বেশ ভিড়। নির্ধারিত সময়ের দু-এক ঘণ্টা পর ট্রেন এলেও মধুর স্মৃতি নিয়ে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চোখে মুখে ছিল স্বস্তি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের অধিকাংশই চাকরিজীবী।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের সুবর্ণ এক্সপ্রেস, দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেস, নোয়াখালীর উপকূল এক্সপ্রেস, সিলেট থেকে উপবন এক্সপ্রেস, রংপুরের রংপুর এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জের মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়াও প্রায় ২০টির বেশি ট্রেন কমলাপুরে পৌঁছেছে।
দিনাজপুর থেকে আসা একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী মোহাম্মদ হানিফ শিকদার বলেন, ‘নির্ধারিত ছুটির পর আর কোনো অতিরিক্ত ছুটি পাইনি। তাই কর্মস্থলে যোগ দিতে চলে আসলাম।’
তিনি বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো ঈদের ছুটিগুলো কম মনে হলেও তাদের সুখকর স্মৃতিগুলো কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা বাড়াবে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসে খুলনা থেকে ঢাকায় এসেছেন মো. হাফেজ মোহাম্মদ সেলিম খান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমরা চার ভাই একসঙ্গে বাড়ি গিয়েছিলাম। তিনজনই চাকরি করি। এক ভাইয়ের ইসলামপুরে কাপড়ের দোকান। নিজের ব্যবসা বলে সে আরও চার-পাঁচদিন পর আসবে। আমরা অন্যের চাকরি করি তাই আগে চলে আসতে হলো।’
একই চিত্র রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে। গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ টার্মিনালগুলোতে ছিল ঢাকায় ফেরাদের ভিড়। গাবতলীতে গাইবান্ধা থেকে আসা এসআর ট্রাভেলসের যাত্রী নুর আলম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘যাত্রাটা তেমন খারাপ ছিল না। রাস্তায় তেমন যানজটও ছিল না। তবে কয়েকটি জায়গায় বাস থেমে থেমে চলেছে। যমুনার টোল প্লাজায় সময় একটু বেশি লেগেছে। এ ছাড়া পথে তেমন সমস্যা হয়নি।’
ঈদের ছুটি শেষে সবাই ঢাকায় ফিরতে শুরু করলেও অনেককেই আবার ছুটি কাটাতে রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে। যারা ঈদে ছুটি পাননি, তারা ঈদের পঞ্চম দিন ছুটি নিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়জনের কাছে। কমলাপুর ও গাবতলীতে এমন অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget