Latest Post

আহমেদ শাহেদ : সোনাগাজী উপজেলা আ.লীগ নেতা রুহুল আমিন, যিনি দলের সর্বশেষ কাউন্সিলে সদস্য নির্বাচিত হলেও পরে ভোজবাজিতে বনে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অন্যতম হোতাও তিনি। মামলার তিন নম্বর আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, হত্যা পরিকল্পনার বিষয়ে সব কিছুই জানতেন রুহুল আমিন। ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার পরই রুহুল আমিনকে ফোনে জানিয়ে ছিলেন শামীম। রুহুল আমিন তখন বলেছিলেন ‘আমি সব জানি, তোমরা পালিয়ে যাও, আমি থানায় যাচ্ছি’। তারই নির্দেশে দ্রুত পালিয়ে যায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা।

নুসরাতের পরিবারের দায়েরকৃত মামলায় গত ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তারের পরদিন আদালতের মাধ্যমে রুহুল আমিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ভাবছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানান, ন্যক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম জানান, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আলমকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ বিষয়টি অবগত হয়েছে। নুসরাতের পরিবারের দায়েরকৃত মামলার এজাহারে নাম থাকায় মকসুদ আলমকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পিবিআইর তদন্তে দলের দায়িত্বশীল অন্য কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বিএনপির মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন চরম সুবিধাবাদী রুহুল আমিন। এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে ঢুকে যান জাতীয় পার্টিতে। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন উপজেলা সভাপতি ফয়েজুল কবিরের হাত ধরে আওয়ামঅ লীগে প্রবেশ করেন তিনি। যদিও তার পরিবারের সব সদস্য এখনো বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। ২০০১-২০০৯ পর্যন্ত তিনি সৌদি ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে ফেরেন। দলের সর্বশেষ কাউন্সিলে ৪৪ নং ক্রমিকে সদস্য হন তিনি। সোনাগাজীর সাবেক এমপি হাজি রহিম উল্লাহর সঙ্গে সদরের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর দ্বন্দ্ব শুরু হলে তিনি নিজাম হাজারীর পক্ষ নেন। এরপর দলবল নিয়ে হাজি রহিমের গাড়িবহর, বাড়ি, বালুমহাল ও নেতাকর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালান। ওইসব হামলায় নিহত হয়েছেন চরদরবেশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আজিজুল হক, মঙ্গলকান্দির যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামান লিটন ও মিজানুর রহমান (পিসি মিজান)। এ ছাড়া এই দ্বন্দ্বের জেরে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। হয়েছে পাল্টাপাল্টি শতাধিক মামলাও। এই সুযোগে যুবদল-ছাত্রদল ক্যাডারদের সমন্বয়ে গঠিত ব্যক্তিগত বাহিনী দিয়ে পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন রুহুল আমিন। এসবের পেছনে ইন্ধন ছিল ফেনী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকনের। এরপরই কমিটির তালিকায় ঘষামাজা করে রুহুলকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির করা হয়। এসব সহ্য করতে না পেরে সোনাগাজী ত্যাগ করে চট্টগ্রামে বসবাস শুরু করেন নির্বাচিত সভাপতি ফয়েজুল কবির। একপর্যায়ে সভাপতির অনুপস্থিতির অজুহাতে কোনো সভা ও রেজুলেশন ছাড়াই পদটি বাগিয়ে নেন তিনি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দুটি বালু মহালের নিয়ন্ত্রণসহ অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এদিকে ফয়েজ কবির উপজেলা সভাপতি হিসেবে ফেনী জেলা পরিষদে প্রথমে সদস্য ও পরে প্যানেল চেয়ারম্যান পদ পান। তিনি বলেন, আমি পদ থেকে পদত্যাগ করিনি, আবার আমাকে বাদও দেয়া হয়নি। তাহলে কোন ভোজবাজিতে অন্য কেউ এ পদের পরিচয় দিতে পারে- তা আমার বোধগম্য নয়।
(amadershomoy)

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রীলংকায় ভয়াবহ বোমা হামলার প্রেক্ষাপটে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবাদবিরোধী গণসংযোগ সপ্তাহ শুরু আজ রোববার থেকে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর ৫০ থানায় সংশ্নিষ্ট বিট অফিসার এলাকাবাসীকে নিয়ে উঠান বৈঠক করবেন ধারাবাহিকভাবে। এ ছাড়া কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে সভার আয়োজন করা হবে। পাড়া-মহল্লার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল-কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে উগ্রবাদবিরোধী প্রচারণা চালানো হবে।

শনিবার জঙ্গিবাদবিরোধী গণসংযোগের ব্যাপারে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের সব ইউনিটে চিঠি দিয়েছেন। পুলিশের গণসংযোগের এই কার্যক্রম তদারক করবেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার আট কর্মকর্তা। জানা গেছে, চলমান বাস্তবতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুনভাবে জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করছে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনারের ওই চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি শ্রীলংকায় হামলা ও বাংলাদেশে এর আগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের পেছনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষঙ্গ কার্যকর আছে। যার ব্যাপ্তি ও পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এ ধরনের একটি সমস্যা কেবল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে নিরসন করা সম্ভব নয়। জনগণের ব্যাপক ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়েই সফলতা পাওয়া সম্ভব এ কাজে। বর্তমানে ডিএমপিতে ৩০২টি বিট সক্রিয় ও কার্যকর করে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। আজ রোববার এ কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে সপ্তাহব্যাপী।
এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ২০১৬-১৭ সালে জঙ্গিবাদবিরোধী যেসব কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল নতুনভাবে তা আবার গ্রহণ করা হচ্ছে। উগ্রবাদ মোকাবেলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আগাম নিরাপত্তা প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম  বলেন, উগ্রবাদবিরোধী একটি বড় ধরনের কর্মসূচি তারা গ্রহণ করছেন। মে মাসে জেলার সব মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি সচেতনামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হবে। যেখানে শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদসহ অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ থাকবেন। আলোচ্য বিষয় পরবর্তী সময়ে অন্যান্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
পুলিশের এ কার্যক্রমে যেসব বিষয়ে আলোকপাত করা হবে, তা হলো- পরিবার ও সন্তানদের নৈতিকতা, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের চর্চা শেখানো। দেশপ্রেম, বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা। সব মাধ্যমের শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে অন্তর্ভুক্ত করা। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং উগ্রবাদবিরোধী কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া। পাড়া-মহল্লায় ক্লাব, পাঠাগার এবং ক্রীড়ানুষ্ঠান ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের সুবিধা নিশ্চিত করা। প্রাপ্তবয়স্ক না হলে সন্তানদের ব্যক্তিগতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের আচরণগত পরিবর্তনের দিকে খেয়াল রাখা। পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ও ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা এবং ধর্মের ইতিবাচক দিক তুলে ধরা।
(amadershomoy)

ঢাকা: 
বাড়িঘর, জমিজমা ও অন্যান্য অবকাঠামোর বাইরে স্বর্ণ, আসবাবপত্র, মোটরগাড়ি, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর বন্ধক রেখেও ঋণ নেওয়া যাবে। অর্থের প্রাপ্যতা সহজ  এবং প্রসারিত করতে নতুন জামানত গ্রহণের বিধান চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
এসব ‘চলমান সম্পদ’ জামানত রেখে দ্রুত ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে ‘সিকিউরিটি লেনদেন (মুভিবল অ্যাসেটস) অ্যাক্ট’ নামে আইনের একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে, যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী বছরে প্রস্তাবিত আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হতে পারে।


খসড়া আইন অনুযায়ী, আসবাবপত্র, স্বর্ণ, মোটরগাড়ি, কম্পিউটার, পেটেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক, কপিরাইট এবং অন্যান্য অনেক বাস্তব এবং অদৃশ্য সম্পদ সমান্তরাল বলে বিবেচিত হবে। এতে মানুষের অর্থের প্রাপ্যতা আরও সহজ ও প্রসারিত করবে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ঋণ গ্রহীতাদের জমি, বাড়ি এবং অবকাঠামোর মতো অপরিবর্তনীয় সম্পদ জামানত রাখার বিধান রয়েছে।
সরকার প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি নিরাপদ লেনদেন নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (সিকিউরড ট্রানজেকশন রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) গঠন করবে, যাতে ঋণ গ্রহীতার জমি, ঘরবাড়ি, অবকাঠামোর পাশাপাশি চলমান সম্পদ নিবন্ধন কর‍ার মাধ্যমে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গ্রাহক তার চলমান সম্পদ সিকিউরড ট্রানজেকশন রেজিস্ট্রেশন অথরিটিতে তালিকাভুক্ত করার পর নিবন্ধিত ব্যাংক সেখান থেকে জামানত নিয়ে ঋণ দেবে।
 
এটি বাস্তবায়ন হলে একজন গ্রাহক একই সম্পদ জামানত দিয়ে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব ব্যাংকের সহজে ব্যবসা করার সূচক তালিকায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আসবে।
আইনটি বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের আগস্টে সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে আর্ন্তজতিক ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, আইনটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অর্থের ৬৫ শতাংশ দিচ্ছে আইএফসি।
চুক্তি অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আইএফসি ইতোমধ্যে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি), বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, আইন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য অংশীজনদের মতামত নিয়েছে।
এখন খসড়া আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
 
প্রতিবেশি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো আর্থিক খাতের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে এ ধরনের আইন প্রয়োগ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আইন বাস্তবায়নের পরে উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থের যোগ‍ান সুযোগ সহজ হয়ে যাবে।
প্রস্তাবিত নিরাপদ লেনদেন নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত তথ্য ভাণ্ডারটির মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে নিরাপদে ঋণ বিতরণে সহায়তা করবে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলো জামানত নিয়ে ঋণ বিতরণ করলেও নতুন আইন ব্যাংকগুলোর ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, একই জামানত বন্ধক রেখে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের প্রচলনটি বন্ধ করতে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করি।
এছাড়াও অনেকের কোনো জমিজমা বা বাড়িঘর নেই, কিন্তু নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহৃত অনেক সম্পদ আছে। তারা চাইলে সেই সম্পদ বন্ধক দিয়েও ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। এতে মানুষের অর্থের প্রাপ্যতা অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করেন সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এসই/টিএ

(banglanews24)



ঢাকা: ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজ্যটির বিজাপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ক্যাম্প থেকে টহলে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এসময় তাদের ওপর মাওবাদীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। এতে দুইজন নিহত হন। এছাড়া আহত একজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার আবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশটির কেন্দ্রীয় পুলিশের সহায়তায় রাজ্য পুলিশ ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে মাওবাদীবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। আর এ ব্যবস্থা নেওয়ার পর থেকে মাওবাদীদের হামলার ঝুঁকিও বেড়েছে।
দেশটির প্রথম ধাপের লোকসভা নির্বাচনের দুইদিন আগে ৯ এপ্রিল ছত্তিশগড়ের দন্তেওয়ারাও মাওবাদী হামলা হয়েছিল বিজেপির গাড়িবহর লক্ষ্য করে। ওই হামলায় বিজেপির বিধায়ক ভীমা মাণ্ডবী ও তার চার নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
(banglanews24)

ইউএনবি) জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২৭ এপ্রিল, শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৯-এর সমাপনী ও পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাই, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ, জনমত তৈরি ও মানুষকে সচেতন করুন।’জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতিকে সমাজের ক্ষত হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী এসব সামাজিক ব্যাধি থেকে সমাজ ও দেশকে মুক্ত রাখার জন্য অভিভাবক, শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ, ইমাম, মুয়াজ্জিন, জনপ্রতিনিধি ও অন্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশ ও সমাজকে এসব থেকে রক্ষা করতে হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ থেকে মাসব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৯ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
বিশাল এ আয়োজনে ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতার, দৌড়, টেবিল টেনিস, বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, সাইক্লিং ও ব্যাডমিন্টন খেলায় ৬৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হাজারের মতো শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি স্বর্ণপদকজয়ী প্রতিষ্ঠান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন। বিজয়ী বিশ্ববিদ্যালয় এক বছর এ ট্রফি রাখতে পারবে।
সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল সূত্রধর, সেরা নারী খেলোয়াড় ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের তামান্না আক্তার এবং সেরা ফুটবল খেলোয়াড় গণবিশ্ববিদ্যালয়ের গোলকিপার শামিম হোসেনের হাতেও পুরস্কার তুলে দেন।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল/আজাদ চৌধুরী
(priyo)

সন্দেহভাজনদের ধরতে একটি বাড়িতে অভিযানে সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও এর আশপাশের চারটি হোটেল ও তিনটি গির্জাসহ মোট আটটি স্থানে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ও বিকেলে দফায় দফায় এ বোমা হামলার পর সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে শ্রীলঙ্কার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যম বলেছে, সন্দেহভাজন এই ২৪ জনকে রোববারের ঘটনায় যোগসাজশের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অবশ্য এই ২৪ জন কোনো সংগঠনের কি-না, তাও নিশ্চিত করে বলা হচ্ছে না।

কেউ এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ১০ দিন আগে সরকারকে সতর্কবার্তা দিয়ে জানান, ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত নামে একটি কট্টরপন্থি সংগঠন গির্জাগুলোতে আক্রমণ চালাতে পারে।
শ্রীলঙ্কায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে হামলা চালাতো তামিল গেরিলারা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘তামিল ইলাম’ নামে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৮৩ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে আসা এই গেরিলাদের প্রধান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণকে ২০০৯ সালে হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের দমন করা হয়।
রোববারের এই হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৫০ জন। নিখোঁজও রয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ানও রয়েছে। এছাড়া প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ ভারতীয়ও।
রোববার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপন করা হচ্ছিলো গির্জাগুলোতে। এর মধ্যেই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় বোমা হামলা হয়। আধঘণ্টার মধ্যেই হামলা হয় কলম্বোর ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্টিন গির্জা ও ২৫০ কিলোমিটার দূরে বাট্টিকালোয়ার জিওন গির্জায়। 
প্রার্থনালয়গুলো যখন কাঁপছিল, সমানে হামলা হতে থাকে কলম্বোর অভিজাত কিংসবারি, সাংগ্রিলা এবং সিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলে। এই হোটেলগুলোতে তখন বিপুলসংখ্যক বিদেশি নাগরিক ছিলেন।
গোটা কলম্বোবাসী ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে না উঠতেই দেহিওয়ালা জেলার আরেকটি হোটেলে এবং দেমাতাগোদা জেলার একটি স্থাপনায় ফের হামলা হয়।

সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, বোমা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একাধিক গির্জা ও হোটেলের ভেতরের জায়গা। মেঝেতে পড়েছিল রকাক্ত মরদেহ। আক্রান্ত এলাকায় পড়েছিল রক্তের ছোপ।
(banglanews24)



শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর বিমানবন্দরে গতকাল রাতে একটি বোমা উদ্ধারের পর সেটি নিষ্ক্রিয় করার কথা নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ। রোববার রাতে ওই বোমা উদ্ধারের পর তা নিষ্ক্রিয় করা হলেও তখন বিস্তারিত কিছু জানায়নি শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ। তবে আজ সকালে ওই বোমার ব্যাপারে অল্প অল্প করে তথ্য দিতে শুরু করেছে পুলিশ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।


একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, সেটি ‘একটি হাতে তৈরি বোমা’ ছিল। শ্রীলঙ্কান বিমানবাহিনীর মুখপাত্র গিহান সেনেভিরতনে বলেছেন, এটা স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটি ‘একটি ছয় ফুট দীর্ঘ পাইপ বোমা ছিল, যেটি রাস্তার পাশে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।’
এদিকে রোববারের ওই ভয়াবহ হামলার পর এখন পর্যন্ত ২৪ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাশেখর। তিনি জানান, ওই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কলম্বো ও এর আশপাশের দুটি এলাকা থেকে ওই ২৪ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই একই চরমপন্থী গ্রুপের সদস্য বলেও জানিয়েছে ওই সূত্রটি। এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, এ ঘটনায় তারা আটজনকে আটক করেছে।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলার দায় এখনও কোনও গ্রুপ স্বীকার করেনি।   
এক বিবৃতিতে গুনাশেখর জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কলম্বোয় নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত গাড়ি ও এর চালককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া হামলাকারীদের আস্তানায়ও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
শ্রীলঙ্কায় আট দফার ওই বোমা হামলায় তিন পুলিশ সদস্যও নিহত হয়। এদিকে রোববার ইস্টার সানডের দিন চালানো ওই সিরিজ বোমা হামলায় নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(Rtv)

শ্রীলঙ্কার পুত্তালুম জেলায় রবিবার রাতে অন্তত একটি মসজিদে পেট্রোল বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া বান্দারাগামা এলাকায় মুসলিম মালিকানাধীন দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এজেন্সিয়া ইএফই।

রবিবার দিনের বেলায় কলম্বোর গির্জা ও পাঁচতারকা হোটেলসহ আটটি স্থানে সিরিজ বিস্ফোরণের পর রাতেই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন মুসলিমরা। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি-র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা'।

২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।' তবে এখনও রবিবারের হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী।
শ্রীলঙ্কা সরকার এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রবিবারের সিরিজ বিস্ফোরণের জন্য কাউকে দায়ী করেনি। তবে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের একজন নেতাকে এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইসরায়েলভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, এ মাসের গোড়ার দিকে তিনি কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশনেও হামলা চালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
রবিবারের হামলার পরপরই শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার ঘোষণা দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, কলম্বোয় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের অঞ্চলে এমন বর্বরতার কোনও স্থান নেই।
এদিকে শ্রীলঙ্কায় রবিবারের ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৫০০ জন। সোমবার সকালে পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধন জানিয়েছেন, অপরাধীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারীরা। সোমবার পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান। তবে গ্রেফতারকৃতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধন জানান, হামলায় নিহতদের মধ্যে ৩০ জন বিদেশিও রয়েছেন। দেশ এবং দেশের জনগণকে নিরাপদ রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করছে বলেও জানান রুয়ান বিজয়বর্ধন। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস দুর্ভাগ্যজনক এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সব অপরাধীকে যত দ্রুত সম্ভব হেফাজতে নেওয়া হবে। তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
কলম্বোর কোচিচিকাদের সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে কুতুয়াপিটায়ের সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চে। আর তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে নেগোম্বো শহরের বাত্তিকালোয়া চার্চে। এছাড়া কলম্বোর তিনটি পাঁচতারকা হোটেলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইস্টার সানডে’র অনুষ্ঠান চলার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ঠিক কী কারণে কারা এ হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু নেগোম্বোতেই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনের কাছে অবস্থিত সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলের এক কর্মচারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, হোটেলের এক রেস্তরাঁয় বিস্ফোরণ ঘটানো হলে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে তথ্য খতিয়ে দেখছেন।
কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে রাজধানী কলম্বোর উত্তরে নেগোম্বো শহরের আরেকটি চার্চে। নিজেদের ফেসবুক পেজে সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছেন ওই চার্চ কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে কুতুয়াপিটায়ের সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চের অভ্যন্তরে ছিন্নভিন্ন ছাদের ছবি দেখা গেছে। মেঝেতে রক্ত পড়ে থাকার ছবিও দেখা গেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেশ শ্রীলঙ্কার মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দেশটির দুই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী তামিল ও সিংহলিজ উভয়ের মধ্যেই এই ধর্মাবলম্বীদের দেখতে পাওয়া যায়। এক দশক আগে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর দেশটিতে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের মার্চে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সিংহলি সম্প্রদায়ের সদস্যরা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মসজিদ ও সম্পত্তিতে হামলা শুরু করলে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

রবিবারের ঘটনায় উত্তেজনা ও গুজব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দুই দিনের জন্য সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বার্তা পাঠানোর অ্যাপস দেশটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে করে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো রোধ করা যায়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স।
(banglatribune)

ইউক্রেনে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে কাল্পনিক প্রেসিডেন্ট এর ভূমিকায় অভিনয় করা কমেডিয়ান ভোলোমির জেলেনস্কি এবার সত্যি সত্যিই দেশটির হাল ধরতে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন জেলেনস্কি।




ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে হবে। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩৯ জন প্রার্থী। কেউই এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে না পারলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীকে নিয়ে ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন (রান অফ নির্বাচন) অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী বলা যায়, কমেডিয়ান ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও পেট্রো পোরোশেনকোর মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনি লড়াই হবে।


সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল নামে হাস্যরসাত্মক একটি টিভি শো করেছিলেন জেলেনস্কি। সেখানে দেখা গেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর সাধারণ এক নাগরিক দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এবার সে কল্পিত টিভি শো-ই হয়তো বাস্তব রূপে হাজির হচ্ছে জেলেনস্কির জীবনে। ৩ সপ্তাহ আগেই তিনি ৭০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন। তার প্রতিপক্ষ পেত্রো পোরোশেঙ্কো পরাজ মেনে নিয়েছেন।
রবিবার জেলেনস্কি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি কখনও আপনাদের হতাশ করবো না। আমি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হইনি। তারপরও ইউক্রেনের নাগরিক হিসেবে সোভিয়েত পরবর্তী দেশগুলোকে আমি বলতে চাই, আমাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। সবকিছুই সম্ভব।’
বুথফেরত জরিপ সঠিক হলে আগামী পাঁচবছরের জন্য তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে পাওয়া যাবে চূড়ান্ত ফলাফল
বিবিসির বর্ণনা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারার বাইরে ছিলেন জেলেনস্কি। তাকে কোনও সমাবেশ করতে দেখা যায়নি, হাতে গোনা কয়েকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে দেখে মনে হয়েছে তার শক্ত কোনও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। প্রচুর পরিমাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেছেন জেলেনস্কি। এর মধ্য দিয়ে তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। রুশ ও ইউক্রেনীয় দুই ভাষাতেই কথা বলতে সদা প্রস্তুত এ কমেডিয়ান। ইউক্রেনে যখন ভাষার অধিকার একটি প্রচণ্ডরকমের স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন নিজের এ অবস্থানের কারণে ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষি অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে সমর্থন পেয়েছেন জেলেনস্কি।

 (banglatribune)

দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই জানত দেশটির সরকার। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কও করেছিল। কিন্তু তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। গতকালের ভয়াবহ ওই সিরিজ বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত দেশী-বিদেশী ২৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গতকাল ইস্টার সানডের দিনে দেশটিতে গীর্জা এবং কয়েকটি হোটেলে এই হামলার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই সরকারের কাছে তথ্য ছিল স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলা ঠেকাতে আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। হামলার তথ্য থাকার পরও কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পুলিশ বলছে ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার নিশ্চিত নয় যে কারা এই হামলা চালিয়েছে।
বিক্রমসিংহ বলেন, হামলাকারীদের সাথে বাইরের দেশগুলোর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। সেটি তদন্ত করতে বিশ্বনেতারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে রাজধানী কলম্বো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কিছুটা দোষচাপানোর বিষয় হিসেবে দেখছেন। তিনি মনে করেন, শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা গত অক্টোবরে বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করছিলেন। এরপর এই ঘটনায় দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখে দেয়। পরবর্তীতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আবারও পদ ফিরে পান বিক্রমসিংহ। ফলে ভয়াবহ এই হামলার পর সরকারের দিকে এই দোষচাপানোর এই বিষয়টিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আল জাজিরার ওই প্রতিবেদক।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার এই বিষয়টি প্রমাণ করে যে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আগ থেকে আত্মঘাতী এই বোমা হামলার বিষয়ে জানতেন না।
এদিকে এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা পুলিশকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের নিদের্শ দিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে হামলার বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারা এই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী সেটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
গতকাল ছিল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল। রাজধানী কলম্বো এবং শহরতলির তিনটি গির্জা ও দেশের বড় তিন হোটেলে বোমা হামলা হয়। পরে আরও দুই স্থানে হামলা হয়। ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫০০ জন।
২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় হামলা।
(দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই জানত দেশটির সরকার। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কও করেছিল। কিন্তু তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। গতকালের ভয়াবহ ওই সিরিজ বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত দেশী-বিদেশী ২৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গতকাল ইস্টার সানডের দিনে দেশটিতে গীর্জা এবং কয়েকটি হোটেলে এই হামলার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই সরকারের কাছে তথ্য ছিল স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলা ঠেকাতে আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। হামলার তথ্য থাকার পরও কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পুলিশ বলছে ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার নিশ্চিত নয় যে কারা এই হামলা চালিয়েছে।
বিক্রমসিংহ বলেন, হামলাকারীদের সাথে বাইরের দেশগুলোর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। সেটি তদন্ত করতে বিশ্বনেতারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে রাজধানী কলম্বো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কিছুটা দোষচাপানোর বিষয় হিসেবে দেখছেন। তিনি মনে করেন, শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা গত অক্টোবরে বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করছিলেন। এরপর এই ঘটনায় দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখে দেয়। পরবর্তীতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আবারও পদ ফিরে পান বিক্রমসিংহ। ফলে ভয়াবহ এই হামলার পর সরকারের দিকে এই দোষচাপানোর এই বিষয়টিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আল জাজিরার ওই প্রতিবেদক।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার এই বিষয়টি প্রমাণ করে যে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আগ থেকে আত্মঘাতী এই বোমা হামলার বিষয়ে জানতেন না।
এদিকে এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা পুলিশকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের নিদের্শ দিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে হামলার বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারা এই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী সেটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
গতকাল ছিল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল। রাজধানী কলম্বো এবং শহরতলির তিনটি গির্জা ও দেশের বড় তিন হোটেলে বোমা হামলা হয়। পরে আরও দুই স্থানে হামলা হয়। ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫০০ জন।
২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় হামলা।
(দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই জানত দেশটির সরকার। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কও করেছিল। কিন্তু তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। গতকালের ভয়াবহ ওই সিরিজ বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত দেশী-বিদেশী ২৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গতকাল ইস্টার সানডের দিনে দেশটিতে গীর্জা এবং কয়েকটি হোটেলে এই হামলার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই সরকারের কাছে তথ্য ছিল স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলা ঠেকাতে আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। হামলার তথ্য থাকার পরও কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পুলিশ বলছে ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার নিশ্চিত নয় যে কারা এই হামলা চালিয়েছে।
বিক্রমসিংহ বলেন, হামলাকারীদের সাথে বাইরের দেশগুলোর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। সেটি তদন্ত করতে বিশ্বনেতারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে রাজধানী কলম্বো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কিছুটা দোষচাপানোর বিষয় হিসেবে দেখছেন। তিনি মনে করেন, শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা গত অক্টোবরে বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করছিলেন। এরপর এই ঘটনায় দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখে দেয়। পরবর্তীতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আবারও পদ ফিরে পান বিক্রমসিংহ। ফলে ভয়াবহ এই হামলার পর সরকারের দিকে এই দোষচাপানোর এই বিষয়টিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আল জাজিরার ওই প্রতিবেদক।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার এই বিষয়টি প্রমাণ করে যে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আগ থেকে আত্মঘাতী এই বোমা হামলার বিষয়ে জানতেন না।
এদিকে এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা পুলিশকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের নিদের্শ দিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে হামলার বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারা এই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী সেটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
গতকাল ছিল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল। রাজধানী কলম্বো এবং শহরতলির তিনটি গির্জা ও দেশের বড় তিন হোটেলে বোমা হামলা হয়। পরে আরও দুই স্থানে হামলা হয়। ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫০০ জন।
২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় হামলা।

(bonikbarta)

কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কোকা অঞ্চলের রোসা শহরে ভূমিধসে কমপক্ষে ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, রোসা শহরে কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণের পর বেশ কিছু বাড়িঘর বিধস্ত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।


রোববার (২১ এপ্রিল) ওই শহর পরিদর্শন করেছেন প্রেসিডেন্ট ইভান দুকে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিধসে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা ও যারা বাড়ি-ঘর হারিয়েছে তাদের নিরাপদ অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে তৎপর উদ্ধারকর্মীরা। তারা মাটি সরিয়ে চাপা পড়া মরদেহ উদ্ধারের কাজ করে চলেছেন।

অন্যদিকে ভারী বর্ষণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
(banglanews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget