Articles by "নিহত"

 


ধামরাইয়ে মানসিক রোগীকে পিটিয়ে হত্যা

ঢাকার ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নে নওগাঁও বাজারে এক মানসিক রোগীকে মোটরসাইকেল পরিষ্কার করতে বলা হয়। পরিষ্কার করতে যেয়ে সময় হঠাৎ করে মোটরসাইকেলের ট্যাংকিতে পানি চলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে ওই মানসিক রোগীকে নওগাঁও বাজারের নৈশ প্রহরী রাহাদ ও বাজার সেক্রেটারী মাসুদ রানার ভাই রাসু মিয়াসহ কয়েকজন বাঁশ ও রড় দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। 

অবস্থার বেগতিক দেখে বাজারের চা দোকানদার বাবুল হোসেন তাদের কথামত হাসপাতালে না রেখে ভ্যান গাড়িতে করে ভাটারখোলা একটি পরিত্যাক্ত ইটভাটায় ফেলে আসে। এতে শহিদুল ইসলাম আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের নেয়ার পথে মারা যায় সে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য মর্গে পাঠায়। 

আয় রবিবার সকালে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এঘটনায় ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের ভাই স্বপন মিয়া। ধামরাইয়ের নওগাঁও বাজারের পাশে হাই স্কুলের বারান্দায় গত ৫ বছর ধরে পাশের ভগবান পুর গ্রামের আজিম মিয়ার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন শহিদুল ইসলাম বসবাস করে আসছিলেন। সে মানুষের বাড়িতে খাবার খাইতেন এবং কাজকর্ম করে দিতেন। 

গত ৭ নভেম্বর নওগাও বাজারের রাসু মিয়ার মোটরসাইকেল ধুয়ে দিতে বলে শহিদুল ইসলামকে। এসময় তেলের ট্যাংকিতে পানি যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাসু, বাজারের গার্ড রাহাদসহ কয়েকজন মিলে তাকে ব্যাপক পিটায়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। 

এসময় বাবুল নামে এক চা দোকানদার তাকে হাসপাতালে না নিয়ে পাশের পরিত্যাক্ত একটি ইটভাটায় ফেলে দেয়। ওই খানে ৪ দিন অর্ধহারে অনাহারে ও বিনা চিকিৎসায় আরও অসুস্থ হয় শহিদুল ইসলাম। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গত শুক্রবার রাতে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় রাসুর ভাবি রুনু আক্তার জানান, রাসুকেও মারধর করেছে ওই পাগল। তাই রাসুও তাকে পিটিয়েছে বলে শুনেছি। তবে রাসুসহ সকল অভিযুক্তরা পালিয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত শহিদুল ইসলামের ভাই স্বপন জানান, আমার মানসিক ভারসাম্যহীন। ভাইকে যারা অন্যায়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের আমি কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

ধামরাই থানার ইনচার্জ ওসি আতিকুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন:






ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু


ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক যুবক (৩০) মারা গেছেন।  


বুধবার সকালে (১০ আগষ্ট) পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান ট্টেনটি

ঠাকুরগাঁওয়ের রোড রেলস্টেশনে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 


তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।


রোড এলাকার স্টেশন মাস্টার আখতার হোসেন জানান,এখনো মৃত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।  



প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি আরও বলেন, দ্রুতযান এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন ওই যুবক। স্টেশনের প্লাটফর্মে ট্রেন থামার আগেই নামতে গেলে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই যুবক।


পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশকে দিয়েছেন। মরদেহ স্টেশনেই রয়েছে। আমরা রেলওয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছি। সদর থানা পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।


আরো পড়ুন:



 



কী হলো ভোট দিয়ে, দালান ঘরে থাকা হলো না মা সুরাইয়া


আর কোনোদিনই কোলে উঠবে না বোনটি আমার, বায়নাও ধরবে না কোনকিছুর। কোলে ওঠার জন্য আর কাঁদবেও না সে কখনোই। গ্রামের সব শিশুরা এখনো জেগে আছে, শুধু ঘুমিয়েছে মাটির কোলে বোন সুরাইয়া।’ এই বলে ডুকরে কাঁদছে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমাইয়া আক্তার ।


মেয়ের এমন বুক ফাটা কান্নায় বাদশাহ মিয়াও নিজেকে সামলাতে পারছিলেন না । তখনি চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমার প্রাণ আর কোনদিনও জাগবে না। আমায় ডাকবে না আর বাবা বলে! ঘুমিয়ে গেছে মাটির কোলে। মিনারা (বাদশার স্ত্রী) যদি ভোটকেন্দ্রে না যেত, তাহলে কী আমার ছোট্ট মাকে আজ হারাতে হতো ? কী হলো ভোট দিয়ে!’ 



বাদশার এমন আকুতিতে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী মিনারা বেগম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কয়েক দিন পর দালান ঘরে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু মা হামার মাটির ঘরে রেখেনু’—

'দালান ঘরে থাকা হলোনা আমার মা সুরাইয়া'র. এই বলে আবার কান্নায় ভেঙে পড়েন মিনারা। তাঁদের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার আকাশ বাতাস। 


আজ রবিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে নির্বাচনী সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে নিহত সুরাইয়ার বাড়িতে গেলে এই দৃশ্য চোখে পড়ে। শনিবার কুলখানির পর শিশুটির কথা মনে করেই পরিবারের সদস্যসহ স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।


গত বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে মীরডাঙ্গী মহেষপুর গুচ্ছ গ্রামের বাদশা মিয়ার ৯ মাসের শিশু সুরাইয়া আক্তার নিহত মারা যায়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ফল ঘোষণা শেষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইভিএম মেশিন নিয়ে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। 


নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু সুরাইয়া নিহত হয়। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পান শিশুটির মা মিনারা বেগম। 


স্থানীয়রা জানান, ভোট দিয়ে মিনারা বেগম তাঁর ফুফুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ভোট শেষে ফলাফল জানার জন্য শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ওই ইউনিয়নের ভাংবাড়ির ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের আশপাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময় মেম্বারপ্রার্থী আজাদ আলী ও খালেদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। আহত হন আরও কয়েকজন। 


এ ঘটনা সম্পর্কে রানীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ  বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে একটি শিশু মারা গেছে। স্থানীয়রা ভোটের ফল উপজেলায় নেওয়ার পথে বাধা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। এ সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।’ 


রানীশংকৈল উপজেলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ভোট গণনা শেষে ইভিএমসহ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের পৌঁছে দেওয়ার পরে পরাজিত মেম্বারপ্রার্থীর সমর্থকেরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ব্যবস্থা নেয় এবং গুলি ছোড়ে। 


অপরদিকে উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নে ভবানিডাঙ্গী এলাকায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ ৯ জন আহত হন। আহতদের ঠাকুরগাঁও এবং রানীশংকৈল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ 


শিশু সুরাইয়া পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা উন্মোচনে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মণকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা তারেক আহমেদ বেগ ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম। 


গত আট মাসে তৃতীয় ও শেষ ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শিশু ও কলেজশিক্ষার্থীসহ পাঁচজন পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে পুলিশসহ ৩০ জন। মামলা হয়েছে প্রায় ১২০০ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। আসামিরা পুলিশের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়ি ছেড়েছেন। 


ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচনী ফলাফল মেনে না নেওয়ার প্রবণতা থেকেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটছে। পরাজিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারপ্রার্থীর সমর্থকেরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণে লিপ্ত হয়। তবে এ জন্য তিনি পরমত সহিষ্ণুতা কামনা করেন। 


ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সহিষ্ণুতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলের অভাব। আমাদের সুষ্ঠু ধারার সংস্কৃতি লালন এবং পরস্পরের প্রতি আস্থা তৈরি করা প্রয়োজন


আরো পড়ুন:



 



ঝিনাইগাতীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফজল হক (৬৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছে। তিনি উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাকাবর গ্রামের মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে। 

৩০ জুলাই শনিবার রাতে উপজেলা সদরের ডাকাবর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফজল হক ঝিনাইগাতী - শেরপুর সড়কের ডাকাবর ব্র্যাক অফিসের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় রাংটিয়া থেকে আগত দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়।


এতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে  শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা থেকে মোটরসাইকেলসহ চালক শান্তকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে । শান্ত শেরপুর জেলা সদরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।  

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফজল হকের লাশ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল রয়েছে।  ঘটনা’র সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন লাশের ময়নাতদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


আরো পড়ুন:



 



ঝিনাইগাতীতে চাঞ্চল্যকর মিম হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেপ্তার - র‍্যাবের প্রেস ব্রিফিং


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বস্তাবন্দি অবস্থায় পুকুরের পানি থেকে মিম আক্তার নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কামারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 


আজ বুধবার সকালে শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ র‍্যাব-১৪ সিপিসি-১ কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে নিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া এলাকার কালঘোষা নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। 


পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে ভিকটিমের গলায় উড়না পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মিমের লাশ বস্তাবন্দি করে পার্শ্ববর্তী সাঈদ মিয়ার পুকুরে নিয়ে ফেলে রাখে। র‍্যাবের নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি আল আমিনকে দ্রততম সময়ের মধ্যে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।


উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই রোববার বিকেলে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে বাকাকুড়া আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মিম আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা মমিন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‍্যাবে-১৪।


আরো পড়ুন:






বিষাক্ত বিস্কুট খেয়ে ১ মাদ্রাসা ছাত্র নিহত ৬জন অসুস্থ‍্য


যশোরর শার্শার নারায়নপুর আশরাফুল মাদারীস কওমী মাদ্রাসায় বিষাক্ত বিস্কুট খেয়ে মাহিন (১৩) নামে এক ছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এ মাদ্রাসার আরো ৬জন ছাত্র অসুস্থ‍্য হয়েছে। তাদের মধ্যে মামুনুর রশিদ (১০) নামে এক ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকালে শার্শার নারায়নপুর আশরাফুল মাদারীস কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নারায়নপুর আশরাফুল মাদারীস কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আনারুল ইসলাম জানান, ছাত্ররা দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। তারপর বিকালে এক ছাত্রের বাড়ী থেকে দেওয়া বিস্কুট খাওয়ার পরে ছত্ররা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎক মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষনা করে। আহতদের মধ্যে এক ছাত্রকে যশোরে ভর্তি করা হয়েছে।

ঐ মাদ্রাসার এক ছাত্রের দুলাভাই রাসেল আহমেদ (যিনি বিস্কুট কিনে দিয়ে ছিল) বলেন, বৃহষ্পতিবার বিকালে উপজেলার নাভারন বাজারের ফুটপথ খেকে ৫শ’ গ্রাম ওজনের দুই প্যাকেট বিস্কুট কিনে দিয়ে ছিলাম। শুক্রবার বিকালে সংবাদ পায় সেই বিস্কুট খেয়ে আমার শালাসহ সাতজন বাচ্ছা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তার মধ্যে একজন মারা গেছে। 

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিকালে কওমী মাদ্রাসার ৭জন ছাত্রকে অসুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে। এক ছাত্রের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সবাই ভালো আছে। 

এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত শিশুকে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।


আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget