Articles by "ধর্ষণ"

 



১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মামলার পর বুধবার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার গরজানা গ্রামের মো. সবুজ সিকদার (২২)।


মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই যুবক শিশুটির নিকট আত্মীয়। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই শিশুকে ধর্ষণ করতো ওই যুবক। শরীরে হঠাৎ অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখে শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তার মা। এ সময় সব ঘটনা খুলে বলে  সে। পরে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।


মামলার পর অভিযুক্ত সবুজকে লতিফপুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রাম থেকে বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে গ্রেপ্তার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ


এস.আই মাহফুজুর রহমান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, অভিযুক্ত সবুজকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠায় আদালতের বিচারক।


তিনি আরো জানান, ধর্ষণ ও অন্তসত্বার বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য ওই শিশুকে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 



তাড়াশে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আমজাদ হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে আটক করেছে থানা পুলিশ।


শনিবার বিকেলে উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া শেখ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার এসআই আব্দুল রাজ্জাক।


এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী চলন বিলের পানিতে শাপলা তোলার জন্য গেলে পার্শ্ববর্তী আমজাদ হোসেন তাকে শাপলা তুলে দেয়ার কথা বলে নৌকাতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে আমজাদ হোসেন তাকে ছেড়ে দেন। তারপর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার বাবাকে জানায়। 


এ ঘটনা শিশুর বাবা এলাকার লোকজনকে বললে সবাই গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী আমজাদকে আটক করে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।


ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা মজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমজাদ এর আগে চারটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।


এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমজাদ হোসেন নামের একজন থানায় নিয়ে আসা হয়েছে । ভুক্তভোগী মেয়ের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো পড়ুন:



কিশোরীকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় আসামির রিমান্ড মঞ্জুর ! 


ঠাকুরগাঁওয়ে মাহফুজা আক্তার (১৮) নামে এক কিশোরীকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নদীতে ফেলে হত্যাচেষ্টা মামলায় গুলজান বেগম (ফিরোজাকে) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১ আগস্ট) মামলায় গ্রেফতার আসামি গুলজান বেগমকে আদালতে হাজির করা হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ কুমার ডাগা এ নির্দেশ দেন। 


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই পিযুষ চন্দ্র সরকার।


গত ২১ জুলাই ভোরে বস্তাবন্দি করে ওই কিশোরীকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয়রা শহরের টাংগন নদীর পাশ থেকে ওই কিশোরীকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করে।


উদ্ধার হওয়া কিশোরী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট এলাকার বিজয়পুর গ্রামের মোস্তফা কামালের মেয়ে।


 স্থানীয়রা জানান, ঘটনার এক মাস আগে মাহফুজা আক্তারকে লেখাপড়ার উদ্দেশে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি মাদরাসায় ভর্তি করায় পরিবার। ভর্তির পর ঈদের ছুটি কাটিয়ে মাদরাসায় ফিরলে ২০ জুলাই দিবাগত রাতে মাহফুজাকে একদল যুবক কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে নির্যাতন করে হত্যার উদ্দেশে হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে শহরের টাংগন নদীতে ফেলে দেয়। কিন্তু বস্তা গড়িয়ে নদীর ধারে আটকে থাকে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


ওই কিশোরীর পরিবারের স্বজনরা জানান, মাহফুজাকে মাদরাসায় ভর্তির আগে গ্রামের বাড়ির ভাড়াটিয়া গুলজান বেগম নামে এক নারী মাহফুজার আপত্তিকর ছবি তুলে বিভিন্ন জনের কাছে ছড়িয়ে দেয়। আর সেই ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা চালায় একদল যুবক।


আরো পড়ুন:



 



ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থী উদ্ধার ! 


ঠাকুরগাঁওয়ে আজ সকালে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজা খাতুন (১৫) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।


বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার সময় পৌরশহরের টাঙন নদীর পাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


উদ্ধার হওয়া মাহফুজা খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ক্বারী মৃত মোস্তফা কামালের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমী মহিলা মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করত।



টাঙন নদী সংলগ্ন খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জয় মহন্ত অলক বলেন, নদীর ব্রিজের  নিচে একটি বস্তার ভিতরে একটি মেয়েসহ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে একজন মোবাইলে ফোন করে জানান । আমরা প্রথম দেখায় মনে করেছিলাম, মারা গেছে। পরে ছবি তোলার জন্য একটু কাছে গিয়ে দেখি বস্তাটি নড়ে উঠল। তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের বস্তাটি খুলতে বললাম। বস্তা খোলার পর দেখা গেল বেঁচে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।


মাহফুজা খাতুনের বড় বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার বোন টাঙন নদীর পাশে এক মাদরাসায় পড়াশোনা করত। ঘটনা কি ঘটেছে জানি না। আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে যাচ্ছি।



খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমী মহিলা মাদরাসার মুহতামিম হযরত আলী বলেন, স্বাভাবিক নিয়মের মতো রাত ১১টায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের সময় তাকে রুমে দেখতে না পেয়ে সহপাঠীরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। তারপর পাশেই টাঙন নদীর নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় তাকে পাওয়া গেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।



ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, মাহফুজা শহরের একটি মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করে। মেয়েটির সাবেক স্বামী তার দলবল নিয়ে রাত আনুমানিক ২-৩টার দিকে কৌশলে মাদরাসা থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে নির্যাতন করে তাকে বস্তাবন্দি করে টাঙন নদীতে ফেলে রাখে। সকালে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো পড়ুন:


 


ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো  পর্তুগিজ ফুটবল তারকাকে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত


অভিযোগকারীর উকিল ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্য ও চুরি যাওয়া রেকর্ড ব্যবহার করায় আদালতে রোনালদোর বিপক্ষে আনা অভিযোগ ধোপে টেকেনি।

ক্যাথরিন মায়োর্গা নামের এক নারী ২০০৯ সালে অভিযোগ আনেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফুটবলার লাস ভেগাসের একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেছেন।

রোনালদো অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে কখনোই কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

খবর এসেছিল ২০১০ সালে আদালতের বাইরে সেই নারী বিষয়টি নিয়ে সমঝোতায় আসেন, তখন তাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেয়া হলেও এরপরও আরও অনেক অর্থ দাবি করেন তিনি।

মিজ মায়োর্গা বলেছিলেন, অভিযোগে আসা ঘটনার পরপরই তিনি সমঝোতা করতে একমত হন, যদিও সে সময়ে তার মানসিক পরিস্থিতি এই মধ্যস্ততায় সক্রিয়ভাবে যোগ দেয়ার উপযুক্ত ছিল না এবং তিনি এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার জন্য একটি চাপ অনুভব করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জাজ জেনিফার ডোর্সে লিখেছেন, অভিযোগ দায়ের করার আগে মিস মায়োর্গার আইনজীবী লেসলি স্টোভাল, 'চুরি করা' তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করেন যা ছিল গোপনীয় ও প্রাধিকারপ্রাপ্ত।

বিচারক রায়ে লিখেছেন, ৩৭ বছর বয়সী রোনালদোর ক্ষতি করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী, বারবার চুরি করা ও বিশেষ কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে মামলা চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি এবং যা রোনালদোর ব্যাপারে 'অনাস্থা' তৈরি করেছিল।

শুক্রবার ৪২ পাতার রায় প্রকাশ করা হয় এবং বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এসেছে, বিচারক ডোর্সে বাদীপক্ষের আইনজীবী মি. স্টোভালের বিপক্ষে "তথ্যের অপব্যবহার ও মামলার প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে বিভ্রান্তি তৈরির" অভিযোগে এনেছেন।

যার ফলে, "মায়োর্গা এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন।"

গত বছর, এক ম্যাজিস্ট্রেট মি. স্টোভালের কৃতকর্মের জন্য আদালতে মামলা খারিজ করার সুপারিশ করেছিলেন।

বিবিসি মি. স্টোভারের মন্তব্যের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৌসুঁলিরা ২০১৯ সালে বলেন, রোনালদো কোনও শাস্তি পাবেন না এই বিষয়ে, কারণ বাদীপক্ষের "যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে ঘটনা প্রমাণিত নয়"।

লাস ভেগাসে ক্লার্ক কাউন্টি ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস থেকে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে মিস মায়োর্গা হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন, কিন্তু তিনি কোথায় হয়েছে ও কে করেছেন এসব বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন, যে কারণে পুলিশ তখন 'কোনও তাৎপর্যপূর্ণ তদন্ত' করতে পারেনি। কিন্তু ২০১৮ সালে তার অনুরোধে আবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়।

জার্মানির দার স্পাইজেল নামের একটি ম্যাগাজিনের ২০১৭ সালের একটি আর্টিকেল অনুযায়ী ২০১০ সালে মিস মায়োর্গা রোনালদোর সাথে আদালতের বাইরে একটি সমঝোতায় এসেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল তিনি বিষয়টি নিয়ে কখনোই বাইরে কোনও অভিযোগ তুলবেন না।

মিস মায়োর্গার আইনজীবী বলেন, 'মি টু' আন্দোলনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আবারও মামলা চালিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হন।

আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী





বালিয়াডাঙ্গীতে কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্ত, দুই যুবক আটক !

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করার (ইভটিজিং) অভিযোগে দুই যুবককে আটক করার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে।

রবিবার (২২ মে) সকালে বালিয়াডাঙ্গী শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের চাকদহ গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে রাজু হোসেন (২৩) ও ওই ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে জনি হাসান (২৫)।

শিক্ষার্থী ও পুলিশ জানায়, কলেজে আসার জন্য দুই শিক্ষার্থী যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিল। এসময় এক ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চালক তাদের নিয়ে কলেজের উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। চলন্ত অবস্থায় পাশে বসে থাকা রাজু নামে এক যুবক তাদের শরীরে হাত দেয়।



জানা যায়, কলেজের ওই দুই শিক্ষার্থী সকালে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে থাকে বালিয়াডাঙ্গী-লাহিড়ী মহাসড়কে যানবাহনের জন্য। এ সময় এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক তাদের নিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। অটোরিকশার পেছনে থাকা রাজু হোসেন ওই দুই কলেজছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী দুই কলেজছাত্রী।

তবে এ ঘটনায় অটো রিকশাচালকও সহযোগিতা করেছে বলে জানায় সেই দুই কলেজছাত্রী।

পরে কৌশলে ওই দুই শিক্ষার্থী ড্রাইভারসহ দুজনকে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে আসে। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

আরও জানা যায়, এ ঘটনার পর কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে। পরে কলেজের প্রিন্সিপাল কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় রাজু হোসেন ও অটোরিকশা চালককে।

ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিপা আক্তার বলেন, আমার দুইজন সহপাঠী জাউনিয়া বাজারের আশেপাশে আসলে রাজু নামে ছেলেটি সহপাঠীর গায়ে হাত দেয়। এমন ঘটনার জন্য সুষ্ঠু বিচার চাই।




ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুরি তাসমি বলেন, আমরা যেন নিরাপদে আসতে পারি এমন ব্যবস্থা চাই। আমার সহপাঠীর যা হয়েছে তার জন্য উত্তম বিচার চাই যাতে করে কোন সময় এমন ঘটনা আর না ঘটে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত যুবকরা জানায়, এ ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যে। আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। আমি দুই কলেজছাত্রীর কাউকে চিনি না।


এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা (পরিদর্শক) ওসি খায়রুল আনাম ডন জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ইভটিজিং কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো পড়ুন:

  1. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী
  2. সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  7. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  8. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  9. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  10. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  11. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  12. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


কক্সবাজারে এক নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবুল মনসুর ছিদ্দিকী আসামির রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে তাকে সাত দিন রিমান্ড নিতে আবেদন করেছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘এ মামলার বাকি পাঁচ আসামির রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তারা কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়নি। এ ছাড়া মামলার দু’নম্বর আসামি মেহেদী হাসান বাবুকেও সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর শহরের কবিতা চত্বর রোডসংলগ্ন এক ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের আবাসিক হোটেলে। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও তিনি ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুই-তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ বিষয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

মামলার আসামি হলেন—শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। মামলায় এখন পর্যন্ত মোট সাতজন গ্রেফতার হয়েছেন। প্রধান আসামি আশিককে গত ২৬ ডিসেম্বর মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়।

অপরদিকে একই মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে (২৫) গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার খুরুশকুলের রুহুলার ডেইল পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেফতারের বিষয়টি সোমবার রাত ১১টার দিকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মহিউদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হলো।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget