ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগিজ ফুটবল তারকাকে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত
অভিযোগকারীর উকিল ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্য ও চুরি যাওয়া রেকর্ড ব্যবহার করায় আদালতে রোনালদোর বিপক্ষে আনা অভিযোগ ধোপে টেকেনি।
ক্যাথরিন মায়োর্গা নামের এক নারী ২০০৯ সালে অভিযোগ আনেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফুটবলার লাস ভেগাসের একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেছেন।
রোনালদো অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে কখনোই কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
খবর এসেছিল ২০১০ সালে আদালতের বাইরে সেই নারী বিষয়টি নিয়ে সমঝোতায় আসেন, তখন তাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেয়া হলেও এরপরও আরও অনেক অর্থ দাবি করেন তিনি।
মিজ মায়োর্গা বলেছিলেন, অভিযোগে আসা ঘটনার পরপরই তিনি সমঝোতা করতে একমত হন, যদিও সে সময়ে তার মানসিক পরিস্থিতি এই মধ্যস্ততায় সক্রিয়ভাবে যোগ দেয়ার উপযুক্ত ছিল না এবং তিনি এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার জন্য একটি চাপ অনুভব করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জাজ জেনিফার ডোর্সে লিখেছেন, অভিযোগ দায়ের করার আগে মিস মায়োর্গার আইনজীবী লেসলি স্টোভাল, 'চুরি করা' তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করেন যা ছিল গোপনীয় ও প্রাধিকারপ্রাপ্ত।
বিচারক রায়ে লিখেছেন, ৩৭ বছর বয়সী রোনালদোর ক্ষতি করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী, বারবার চুরি করা ও বিশেষ কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে মামলা চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি এবং যা রোনালদোর ব্যাপারে 'অনাস্থা' তৈরি করেছিল।
শুক্রবার ৪২ পাতার রায় প্রকাশ করা হয় এবং বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এসেছে, বিচারক ডোর্সে বাদীপক্ষের আইনজীবী মি. স্টোভালের বিপক্ষে "তথ্যের অপব্যবহার ও মামলার প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে বিভ্রান্তি তৈরির" অভিযোগে এনেছেন।
যার ফলে, "মায়োর্গা এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন।"
গত বছর, এক ম্যাজিস্ট্রেট মি. স্টোভালের কৃতকর্মের জন্য আদালতে মামলা খারিজ করার সুপারিশ করেছিলেন।
বিবিসি মি. স্টোভারের মন্তব্যের জন্য তার সাথে
যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৌসুঁলিরা ২০১৯ সালে বলেন, রোনালদো কোনও শাস্তি পাবেন না এই বিষয়ে, কারণ বাদীপক্ষের "যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে ঘটনা প্রমাণিত নয়"।
লাস ভেগাসে ক্লার্ক কাউন্টি ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস থেকে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে মিস মায়োর্গা হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন, কিন্তু তিনি কোথায় হয়েছে ও কে করেছেন এসব বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন, যে কারণে পুলিশ তখন 'কোনও তাৎপর্যপূর্ণ তদন্ত' করতে পারেনি। কিন্তু ২০১৮ সালে তার অনুরোধে আবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়।
জার্মানির দার স্পাইজেল নামের একটি ম্যাগাজিনের ২০১৭ সালের একটি আর্টিকেল অনুযায়ী ২০১০ সালে মিস মায়োর্গা রোনালদোর সাথে আদালতের বাইরে একটি সমঝোতায় এসেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল তিনি বিষয়টি নিয়ে কখনোই বাইরে কোনও অভিযোগ তুলবেন না।
মিস মায়োর্গার আইনজীবী বলেন, 'মি টু' আন্দোলনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আবারও মামলা চালিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হন।
আরো পড়ুন:
- ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
- Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
- জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
- ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
- বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
- পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে
- Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া
- সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
- নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
- ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী