Articles by "আন্তর্জাতিক"

 


ছবি তুলতে গিয়ে আগুন ধরে গেল চুলে, অল্পের জন্য রক্ষা তরুণীর

মোমবাতির পাশে ছবি তুলছিলেন এক তরুণী। মোমবাতির দিকে একটু বেশি ঝুকে যাওয়ায় তার চুলে ধরে যায় আগুন। বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ হঠাৎই বদলে যায় বিষণ্ণতায়। তবে সবার সহযোগিতায় অল্পতে রক্ষা পান তিনি।

ব্রিটেনের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম ফিয়না ইয়ং। ঘটনাটি ঘটেছে লিভারপুলের একটি বারে। টেবিলে রাখা একটি জ্বলন্ত মোমবাতি থেকে আগুন লেগে ওই দুর্ঘটনা। 

ফিয়না নিজেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানান, ওই বারে তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে ছবি তোলার সময় তিনি কিছুটা ঝুঁকে যান। তখন পিছনে থাকা জ্বলন্ত মোমবাতিটি তিনি খেয়াল করেননি। মুহূর্তের মধ্যে তিনি কিছু একটা পোড়ার গন্ধ পান। তখনই দেখেন, তার চুলে আগুন ধরে গিয়েছে। অন্যদের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা পান তিনি। তবে তার চুলের বেশ কিছুটা অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। পরে ফিয়না বলেন, ‘‘বেঁচে গিয়েছি ভাগ্যের জোরে। এক সেকেন্ড আগেও ছবিটা অন্য রকম ছিল। ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’’
তবে ফিয়নার ধারণা, তিনি এবং তার বন্ধুরা যদি অতিরিক্ত মদ্যপান করতেন তা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।

আরো পড়ুন:


 


রুশ হামলার পর ফের চালু ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর

কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরের পণ্য পরিবহনের কাজ আবারও শুরু হয়েছে। অভিযোগ ছিল ওই এলাকার বিদ্যুৎখাত লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। 

শনিবারের হামলার পর থেকে ওই বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই হামলা ফলে ১৫ লাখ মানুষকে বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কয়েকদিন লেগে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই হীমাঙ্কের নীচে চলে যাবে স্থানীয় তাপমাত্রা।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় করা চুক্তির আওতায় ওডেসার তিনটি বন্দর দিয়ে শস্য বিদেশে পাঠাচ্ছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওডেসা এলাকা লক্ষ্য করে ইরানি ড্রোন দিয়ে অন্তত ১৫টি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যার ১০টি তারা ধ্বংস করতে পেরেছে।

আরো পড়ুন:


 


পড়ে গিয়ে মলত্যাগ করে ফেলেছে পুতিন: নিউইয়র্ক পোস্ট

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোতে তাঁর সরকারি বাসভবনে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। এরপর তিনি সেখানেই মলত্যাগ করেছেন। পুতিনের নিরাপত্তা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই খবরে বলা হয়, ৭০ বছর বয়সী পুতিন সিঁড়ি থেকে পাঁচ ধাপ নিচে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে আঘাত পান। টেলিগ্রাম চ্যানেল সূত্র বলছে, পুতিনের পাকস্থলী ও অন্ত্র ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার পরে তিনি মলত্যাগ করে ফেলেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসের খবর বলছে, গত মাসে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে পুতিনের হাত কাঁপছিল ও ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই সংবাদমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার নেতাকে ওই বৈঠক চলাকালে অস্বস্তিকরভাবে পা নাড়াতে দেখা গেছে।

নিউইয়র্ক পোস্টের খবর বলছে, পুতিনের পড়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর অসুস্থতা নিয়ে যে গুজব রটেছে, তার সত্যতা আবার প্রমাণিত হলো। সাবেক এক ব্রিটিশ গুপ্তচর বলেছেন, ৭০ বছর বয়সী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘গুরুতর অসুস্থ।’ ইউক্রেনে যা ঘটছে, তাতে পুতিনের অসুস্থতা প্রভাব ফেলছে।

পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে ‘পুতিন ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ও খুব অসুস্থ।’

পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে প্রথমবারের মতো খবর প্রকাশ হচ্ছে, তা নয়। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো প্রায়ই পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত বলে খবর প্রকাশ করে। ২০১৪ সালে পুতিনের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরের উপহাস করেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ৯ মাস পার হয়েছে। পুতিন বলেছেন,  ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করায় তাঁর কোনো অনুতাপ নেই।

আরো পড়ুন:


 


কাতারে স্টেডিয়ামসহ বিশ্বকাপ-সংক্রান্ত কাজে কতজন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে?

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ-২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অভিবাসী শ্রমিকদের শ্রমে এই বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, স্টেডিয়ামসহ বিশ্বকাপের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে অসংখ্য অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের অধিকার যেমন- যথাযথ বেতন প্রদান করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের ‘মনুষ্য মূল্য’ (হিউম্যান কষ্ট) কী এ নিয়ে একটি বিশেষ সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। যাতে অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুসহ বিভিন্ন প্রশ্নের ব্যাখা দেওয়া হয়েছে। 

কাতারে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা কত, তারা কোন দেশ থেকে এসেছেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, কাতারের মোট জনসংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে শতকরা ৮৮ শতাংশই বিদেশি নাগরিক। দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকের আনুমানিক সংখ্যা ২০ লাখ। এটা কাতারের মোট কর্মশক্তির ৯৫ শতাংশ। গার্ডিয়ানের খবর অনুসারে, প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক কাতারের নির্মাণ কাজে জড়িত। বাকি ১০ লাখ গৃহকর্মী যার অধিকাংশই পুরুষ। এই শ্রমিকদের বড় অংশ ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ এশীয় দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশের নাগরিক।

বিশ্বকাপ আয়োজনে মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা/অবকাঠামো তৈরি  করতে গিয়ে আসলে কতজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন? 

কাতার কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি জানিয়েছে, সরাসরি বিশ্বকাপ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে মাত্র ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট নয় এমন ৩৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে অনেকের ধারণা, নিহত শ্রমিকের সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন। কারণ, তথ্য সহজলভ্য নয়। ফিফা এবং কাতারি সংস্থাগুলো বিশ্বকাপ সংক্রান্ত নির্মাণকাজ নিয়ে নিজেদের দূরে রেখেছে। তবে এটা ঠিক যে, কর্তৃপক্ষের আনুমানিক ১২ লাখ দর্শকের জন্য প্রস্তুত হওয়ার তাড়া ছিল।

গার্ডিয়ান বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সার্বিকভাবে ১৫ হাজার ২১ জন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সালে গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, টুর্নামেন্টের স্বত্ব পাওয়ার পর ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার সাড়ে ৬ হাজারের অধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই শ্রমিকরা ঠিক কোন পেশায় ছিল এবং কোথায় কাজ করছিল সেটার তালিকা করা হয়নি। কাতার সরকার বলেছে, বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণে ৩০ হাজার বিদেশি শ্রমিক নিযুক্ত ছিল। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা (আইএলও) এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২০ সালে ৫০ জন বিশ্বকাপ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন, গুরুতর আহত হন ৫০০ এবং সামান্য থেকে মধ্যম ধরনের আহত হন ৩৭ হাজার শ্রমিক। 

শ্রমিকরা কীভাবে মারা গেছে?

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাস কাতারে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অধিক তাপমাত্রা অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর প্রধান কারণ, গ্রীষ্মকালীন তীব্র দাবদাহকে দায়ী করে কাতার। জাতিসংঘের শ্রমবিষয়ক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে- দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকরা বাইরে কাজের সময় বছরের কমপক্ষে চার মাস তীব্র দাবদাহের মুখোমুখি হন বলে উঠে আসে। ২০১৪ সালে কাতার সরকারের নিজস্ব আইনজীবীরা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যে অভিবাসী শ্রমিকরা মারা যান, তাদেরকে নিয়ে গবেষণা এবং অপ্রত্যাশিত ও হঠাৎ মারা যাওয়া শ্রমিকদের ময়নাতদন্তের সুপারিশ করে দেশের বিদ্যমান আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দেন। যদিও সরকার এখনও আইনজীবীদের এই পরামর্শ বাস্তবায়ন করেনি।

শ্রমিকদের নিয়ে কাতার কী পদক্ষে নিয়েছে ? 

বিগত পাঁচ বছরে কাতার শ্রমিক আইন সংশোধন করেছে। তবে সমালোচকেরা বলেছেন, শ্রমিকদের রক্ষায় এটা যথেষ্ট নয়। অ্যামনেন্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, কাতারের কর্তৃপক্ষ অনেক শ্রমিকের বেতন প্রদানে বিলম্ব করে, অনেক শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয় না, তাছাড়া রয়েছে অনিরাপদ কর্মপরিবেশ। কাতার অনেক শ্রমিকের মৃত্যুর তদন্ত না করে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে গণ্য করেছে।

ফুটবল কর্তৃপক্ষ  কী বলছে?

ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফানতিনো ফুটবল দলগুলোকে ফুটবল খেলায় মনোনিবেশ (ফোকাস) করার আহ্বান জানান। শ্রমিক সংক্রান্ত কাফালা সংস্কারে ফিফা কর্তৃপক্ষ নিজেদের ক্রেডিট দাবি করে। কাতারের সমালোচনা করাকে ‘পশ্চিমাদের ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করেন ফিফা সভাপতি।












 


ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮, এখনো অনেকে নিখোঁজ

ইন্দোনেশিয়ায় জাভা দ্বীপে সোমবারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮তে উঠেছে, তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা এজেন্সি তাদের সবশেষ ঘোষণায় বলছে - এখনো আরো ১৫১ জন নিখোঁজ রয়েছে।

রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি জাভার পার্বত্য এলাকায় আঘাত হানে সোমবার। এর ফলে যে ভূমি ধস হয় তাতে কোথাও কোথাও পুরো গ্রাম মাটি চাপা পড়েছে।

কমপক্ষে ২২,০০০ বাড়ি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে এবং ৫৮,০০০-এরও বেশি লোক বাড়িঘর হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

উদ্ধারকারীরা ধংসস্তুপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন ।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এজেন্সি বলছে, নিহতদের অনেকেই শিশু - যারা দুপুর একটায় ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় স্কুলে ছিল। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি লোক।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া দেশটি অবস্থিত - যাকে বলা হয় রিং অব ফায়ার। এ দেশটিতে আগেও বহুবার মারাত্মক কিছু ভূমিকম্পও সুনামি হয়েছে । সবশেষ ২০১৮ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি ভূমিকম্পে ২,০০০এরও বেশি লোক নিহত হয়।


সোমবারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ৬ মাইল নিচে, এবং প্রথম দফার পর অনেকগুলো ছোট ছোট ভূকম্পন হয় - যাতে দুর্বল কাঠামোর ওপর তৈরি করা বাড়িঘরগুলো ভেঙে পড়ে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আরো পড়ুন:


 


কলম্বিয়ায় বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত প্লেন, নিহত ৮

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় বাড়ির ওপর ছোট একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই প্লেনের আট আরোহীর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেডেলিনে এই ঘটনা ঘটে।

সকালে ওলায়া হেরেরা বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণ পরই এর ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখায়। এরপরই একটি বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হয় প্লেনটি।
বিমানবন্দরের টুইটার অ্যাকাউন্টে জানানো হয়, বিমানটিতে থাকা আট আরোহীর মধ্যে ৬ জন যাত্রী এবং বাকি দু’জন ক্রু। তাদের সবাই নিহত হয়েছেন। তবে ওই বাড়িতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে মেয়র ড্যানিয়েল কুইন্টেরো টুইটারে লেখেন, বেলেন রোজালেস সেক্টরে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। পূর্ণ সক্ষমতা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করছে সরকার।

তিনি বলেন, প্লেনটি দুই ইঞ্জিনের একটি পাইপার ছিল, যা মেডেলিন থেকে চকোর পার্শ্ববর্তী বিভাগের পিজারোর পৌরসভার দিকে যাচ্ছিল।

প্লেনটি উড্ডয়নের সময় ইঞ্জিনে ত্রুটির সংকেত দেয় এবং পরে সেটি ওলায়া হেরেরা বিমানবন্দরে ফিরে আসতে পারেনি। জরুরি পরিসেবাগুলোর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায়, বিমানটি একটি বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে বাড়িটি গুড়িয়ে যায়। দমকল কর্মীরা বিক্ষিপ্ত টাইলস এবং ধসে পড়া ইটের দেয়ালের মধ্যে আগুন নেভানোর কাজ করছে। সূত্র: সিবিএস নিউজ, নিউইয়র্ক পোস্ট, ওয়াশিংটন পোস্ট

আরো পড়ুন:


 


ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৪৪ জন নিহত ও আহত প্রায় ৩০০ জন

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে আঘাত হেনেছে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় এক মুখপাত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হানে এ ভূকম্পন। তবে এর জেরে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

পশ্চিম জাভা প্রদেশে আঘাত হেনেছে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিয়ানজুর এলাকা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

সিয়ানজুর প্রশাসনের মুখপাত্র অ্যাডাম বলেন, এখানে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। শত শত, হয়তো কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে হারমান সুহেরম্যান নামে স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা নিউজ চ্যানেল মেট্রো টিভিকে বলেন, ভূমিকম্পের আঘাতে ২০ জন মারা গেছেন এবং অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছেন। তবে এটি মাত্র একটি হাসপাতালের তথ্য। সিয়ানজুরে চারটি হাসপাতাল রয়েছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তবে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে।

তথাকথিত ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১০ জন।

গত আগস্টের শেষের দিকে মাত্র দুদিনে তিনবার ভূমিকম্পে কাঁপে দ্বীপটি। গত ২৯ আগস্ট সুমাত্রায় আঘাত হানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প। এর কয়েক ঘণ্টা আগে সেখানে আঘাত হানে ৫ দশমিক ২ মাত্রা ও ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প।

গত ২২ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসার এলাকায় আঘাত হেনেছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভূমিকম্প। এর পরেরদিন সুমাত্রা দ্বীপে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প।

২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাডাং এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন:


 


চ্যাম্পিয়ন হতেই কাতার এসেছি মেসিকে বলেছেন— নেইমার

কাতারে পৌঁছে গেছে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পিঠে ফেবারিট তকমা নতুন কিছু নয়। বলতে গেলে প্রতিটি বিশ্বকাপেই ব্রাজিল খেলতে নামে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ২০০২ সালের পর আর বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে নিতে পারেনি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দলটি।

এবার ব্রাজিলিয়ানদের ২০ বছরের হাহাকার ঘোচাতে চান নেইমার। হেক্সা (ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা) জয়ের মিশন নিয়েই কাতারে এসেছে তাঁর দল। কাতারে পা রাখার আগেই অবশ্য হেক্সা জয়ের চ্যালেঞ্জের কথা তাঁর পিএসজির সতীর্থ আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে জানিয়ে এসেছেন নেইমার। এ ছাড়া কাতারে যাওয়ার আগে শর্টসে ছয় তারা লাগানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
 যে দল এখন পর্যন্ত যতটি বিশ্বকাপ জিতেছে, তাদের জার্সি আর শর্টসে সেই কয়টি তারকা আঁকা থাকে। নেইমার তাহলে পাঁচটি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের শর্টসে ছয় তারকা দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন—এমন প্রশ্ন উঠেছে চারদিকে!

ব্রিটিশ পত্রিকা টেলগ্রাফের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ ঘিরে নিজের স্বপ্নের কথা বলেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। বিশ্বকাপে নিজের প্রস্তুতি সম্পর্কে নেইমার বলেন, ‘আমি খুশি, আমি ইদানিং ক্লাবে খুব সুখে আছি। এ কারণেই আমার মনে হচ্ছে, আমি খুব ভালোভাবেই তৈরি।’

নেইমার এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর দল কলম্বিয়ার বিপক্ষে জিতলেও চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি। বেলো হরিজন্তের সেই ম্যাচে ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে ৭-১ গোলে উড়ে গেছে ব্রাজিল। আর ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে গেছে নেইমারের ব্রাজিল।

এবার বিশ্বকাপে আসার আগে নেইমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটা হতে পারে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। সেদিক থেকে শেষটা রাঙাতে চান তিনি। মেসিরও এটা সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার অধিনায়কও দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপ জিততে না পারার অপূর্ণতা ঘোচাতে চান।

এসব নিয়ে কি মেসির সঙ্গে কথা হয়েছে নেইমারের? টেলিগ্রাফের সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলিয়ান তারকা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির সঙ্গে কমই কথা হয়েছে আমার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল হবে কি না, কখনো কখনো আমরা এ নিয়ে আলোচনা করি। আমি তাকে বলেছি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব এবং আমি তাকে হারাব। এটা বলার পর আবার আমরা দুজনই হাসি।’

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget