বুধবার বিকাল থেকে আসতে পারে বাংলাদেশে টানা বৃষ্টিপাতের প্রকোপ
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতায় অনেক স্থানে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ।
সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের ওপরে বাতাসের চাপ বেশি ছিল। এই কারণে বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে। তবে বুধবার বিকেলের পর থেকে সেটা আসবে বলে তাদের ধারণা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার বিকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাতের মাত্রা হতে পারে ৪৪-৮৮ মিলিমিটার থেকে শুরু করে আরও বেশি।
এই সময় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে বুধবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত ৪৪ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে সেটাকে ভারী বৃষ্টি বলা হয়।
বঙ্গোপসাগরে যে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি তৈরি হয়েছিল, সেটি সরে এখন ভারতের দক্ষিণ মধ্য প্রদেশ এলাকায় রয়েছে। এটি আরও পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
ফলে আশেপাশের এলাকায় এই লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দূরে থাকলেও সেটার প্রভাবেই এখানেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
খেয়ালি আবহাওয়া
গত মাসের শেষে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, চলতি বছরের বর্ষাকালে অর্থাৎ জুলাই ও অগাস্টে গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। একই সঙ্গে এই দুমাসের মধ্যে অন্তত পনের দিন দেশের কোন না কোন জায়গায় দাবদাহের মতো পরিস্থিতি দেখা গেছে, যা অনেকটাই নজিরবিহীন।
এ অবস্থার কারণে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। তাই দিনের পাশাপাশি রাতেও যথেষ্ট গরম অনুভূত হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করে আবহাওয়ার এমন আচরণের জন্য মৌসুমি বায়ুর খেয়ালি আচরণকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে শরৎ ঋতুতে এসে, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বৃষ্টির ঘনঘটা দেখা যেতে শুরু করে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার একটি নিম্নচাপের কারণে বাংলাদেশেও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেই নিম্নচাপটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমে মেঘ পুঞ্জিভূত হতে পারছে না। গরম বাতাসের ধাক্কায় মেঘে যে পানি থাকে তা বৃষ্টি হয়ে নামার আগেই বাষ্প হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, তীব্র গরমের কারণে বাতাসের স্বাভাবিক গতি প্রবাহে পরিবর্তন এসেছে। এর প্রভাবে ফসলের আবাদ কমে যাচ্ছে যা ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে সেইসাথে নতুন ধরণের রোগবালাই দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরো পড়ুন:
- নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
- Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
- জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
- ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
- ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
- বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
- পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে
- Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া
- সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
- ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন