Latest Post


ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী 'অভিযান-১০' লঞ্চে আগুন লেগে কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর উত্তরপাড় দিয়াকুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে অনেকে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ১৫ জন এবং বাকিদের বরিশালে শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ৭০ এবং ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর রোগী সামাল দিতে বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ছয় বার্ন বিশেষজ্ঞকে পাঠানো হয়েছে বরিশালে।

মাঝনদীতে লঞ্চে এমন ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা দেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম। চলন্ত লঞ্চে অঙ্গার হয়ে একসঙ্গে এত মৃত্যু আগে কখনও দেখেনি দেশ।

বরগুনা যাওয়ার পথে বরিশাল ঘাট থেকে ছাড়ার কিছু সময় পর লঞ্চে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে লঞ্চটির স্টিলের কাঠামো ছাড়া সব কিছু পুড়ে গেছে। একপর্যায়ে লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর উত্তরপাড় দিয়াকুল এলাকায় এসে চরে উঠে যায়। এ সময় পুরো লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়। লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষের কাছে রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্ধারে ঝালকাঠি ও বরিশালের পাঁচটি ইউনিট কাজ করেছে।

ওই লঞ্চের একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, লঞ্চটিতে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী ছিলেন। তাদের মতে, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। আগুন লাগার পর লঞ্চ কর্মচারীরা যাত্রীদের রক্ষায় এগিয়ে আসেননি। কোনো যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি। লঞ্চে ছিল না আগুন নেভানোর কোনো সরঞ্জাম।

এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী গতকাল দুপুরে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটি পরিদর্শন করেন।

ভোরে প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজ চালাতে বেগ পেতে হচ্ছিল। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দল পর্যায়ক্রমে ৩৩টি লাশ উদ্ধার করে। এর মধ্যে লঞ্চের ভেতর থেকে ৩২টি, নদীতে ভাসমান অবস্থায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ঝালকাঠি ও বরিশাল হাসপাতালে আরও চারজনের মৃত্যু হয়। তবে অঙ্গার হওয়া মানুষের চেহারা পুরোটাই বিকৃত হয়ে গেছে। স্বজনরাও প্রিয়জনের মুখ চিনতে পারছেন না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে, দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ 'নির্ভীক' গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলে এসেছে।

লঞ্চে থাকা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কাকচিড়া গ্রামের যাত্রী রিমা আক্তার বলেন, 'আমি লঞ্চের নিচতলার ডেকে বসা ছিলাম। পাশেই ঘুমিয়ে ছিল ছেলে ইমরান (১৩)। লঞ্চটি বরিশাল ঘাট থেকে ছাড়ার কিছু পর ইঞ্জিন কক্ষের কাছে বিকট শব্দ হয়, পরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠতে দেখি। ওই সময় আমি ঘুমন্ত ছেলেকে জাগিয়ে লঞ্চের সামনের দিকে দৌড় দিই। ধোঁয়া আর কুয়াশায় কিছুই চোখে দেখছিলাম না। কোনো দিশা না পেয়ে ছেলেকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিই। প্রায় আধাঘণ্টা সাঁতার কেটে তীরে উঠি।'

লঞ্চের আরেক যাত্রী বরগুনার বেতাগীর মোহাম্মদ মহসিন বলেন, 'রাত ২টার পরে হঠাৎ নিচতলায় আগুন জ্বলতে দেখি। আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে আমি তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নদীতে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠি।' ঝালকাঠি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল কাইউম বলেন, 'দোতলায় ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি লঞ্চে আগুন জ্বলছে। এ সময় নদীতে ঝাঁপ দিই।'

বরিশাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন দগ্ধ যাত্রী খুলনার বটিয়াঘাটার বাসিন্দা ইব্রাহিম (৪০) ছিলেন লঞ্চের চারতলার একটি কেবিনে। তিনি বলেন, অন্য যাত্রীদের চিৎকার আর আহাজারির শব্দে ঘুম ভেঙে দেখি চারদিকে আগুন। তাৎক্ষণিক নদীতে ঝাঁপ দিই। তবে আগুনে আমার দুই পা পুড়ে গেছে।

বিআইডব্লিউটিএর ঝালকাঠি স্টেশনের ট্রাফিক পরিদর্শক কবির হোসেন ও শামসুদ্দিন খান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে লঞ্চটি ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় ৩১০ যাত্রী ছিলেন বলে সদরঘাটের রেজিস্টার খাতায় উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ছাড়ার পর লঞ্চটি চাঁদপুরসহ একাধিক স্টেশন থেকে আরও যাত্রী ওঠানোর কারণে মোট কতজন যাত্রী ছিলেন, তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।

গতকাল দুপুরে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সংস্থা থেকে দেড় লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি পরিস্কারভাবে বলা যাবে, আসলে কী ঘটেছে। তিনি বলেন, যতটুকু জানি লঞ্চটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ আছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এখন নৌপথে বিলাসবহুল লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করছে। ফলে প্রতিটি লঞ্চেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র থাকা উচিত।

এ সময় তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি পরিবারকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে ঘোষণা দেন।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দাফন ও সৎকারের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, 'আমরা ৩৭টি লাশ পেয়ে মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্তে দায়ীদের আসামি করা হবে।'

অনেকেই নিখোঁজ: অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নি দুর্ঘটনায় কত যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন, তার সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারছেন না। দুর্ঘটনার পর গতকাল সকাল থেকে সুগন্ধা তীরের দিয়াকুল গ্রামে এবং ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে আসতে থাকেন ওই লঞ্চে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারি হয় সুগন্ধা তীর এবং হাসপাতালের পরিবেশ।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল বলেন, নিখোঁজ যাত্রীদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা আমরা এখনও বলতে পারছি না। ফায়ার সার্ভিস এবং কোস্টগার্ডের একাধিক দল সুগন্ধায় নিখোঁজদের খোঁজে টহল দিচ্ছে। বরগুনায় কন্ট্রোল রুম খুলে শহরে মাইকিং করা হয়েছে নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহের জন্য।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বরিশাল ও ঝালকাঠির একাধিক দল নদীতে নিখোঁজদের সন্ধান চালাচ্ছে।

তিনটি তদন্ত কমিটি: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন থেকে গতকাল শুক্রবার এসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদকে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। লঞ্চে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মুখ বিকৃত, চেনা যাচ্ছে না লাশ: ঝালকাঠি জেলা হাসপাতাল মর্গে আছে ৩২ জনের লাশ। বেশিরভাগই পোড়া। শরীর ও মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় লাশ শনাক্ত করতে পারছেন না স্বজনরা। পাঁচজনের লাশ স্বজনরা শনাক্ত করে নিয়ে গেছেন।

গতকাল বিকেলে হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করতে না পেরে ঘটনাস্থল ও বরিশাল হাসপাতালে গেছেন অনেক স্বজন। লাশ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী।

খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় সফরে মালদ্বীপে অবস্থান করলেও সেখান থেকেই এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মালদ্বীপ সফররত প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেছেন।

বরিশালে চিকিৎসক ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে: দগ্ধদের চিকিৎসা যেন যথাযথভাবে হয়, সেজন্য বরিশালে চিকিৎসক ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল সন্ধ্যায় দগ্ধদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জেনেছি। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডারও ছিল। অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এটি আরও বাড়তে পারে। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের সবার পরিচয় পাওয়া গেছে।

আরও একজনের মৃত্যু: দগ্ধদের মধ্যে একজন গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা গেছেন। তার নাম হাবীব খান (৪৫)। তিনি ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বাবার নাম বেলায়েত আলী। বাড়ি বরগুনা সদরে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল সমকালকে বলেন, লঞ্চের আগুনের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে এই হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্য ১৫ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।


ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিদগ্ধে নিহত অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ জনের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মরদেহগুলো দাফনের জন্য সার্কিট হাউস সংলগ্ন পোটকাখালী গণকবরে নেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চটি বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছানোর পর লঞ্চের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। তিন থেকে চারটি ঘাট পার হয়ে গেলেও লঞ্চটি নোঙর করেননি সারেং। লঞ্চটি ঝালকাঠি সদর উপজেলার চরকাঠি গ্রামের বিষখাঁলী নদীতে পৌঁছানোর পর ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায় এবং আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জোয়ারে লঞ্চটি ভেসে দিয়াকুল গ্রামে সুগন্ধা নদীর পাড়ে এসে নোঙর করে।

৬:১৯ AM


'দঙ্গল' ছবিতে প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন আমির ও ফাতিমা। ছবিতে আমিরের কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফাতিমা।

অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখকে কি বিয়ে করেছেন আমির খান? জোর জল্পনা বলিপাড়ায়। ২০২১-এর জুলাই মাসে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বিবৃতি দেন আমির ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। তার আগে থেকেই অবশ্য কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, আমিরের ‘দঙ্গল’ ছবির সহ-অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে সম্পর্ক আছে তাঁর। তাঁদের দু’জনের কিছু ছবি রীতিমতো ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। অনেকেরই অনুমান, সানার সঙ্গে নাকি নিকাহ সেরে ফেলেছেন আমির। তৃতীয় বিয়ে সেরে আমির নাকি একান্তে সময়ও কাটাচ্ছেন ‘নতুন স্ত্রী’ সানার সঙ্গে।

যদিও ছবিটি যে সঠিক নয়, মর্ফ করা, মনে করছেন নেটিজ়েনদের অন্য একটি অংশ। আসল ছবিটিতে নাকি আমিরের পাশে ছিলেন কিরণ। তাঁর মুখের উপর নাকি ফাতিমার ছবি সুপার-ইমপোজ় করা হয়েছিল।

আমির ও কিরণের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা সামাজিক বার্তা বহন করে। তাঁরা যৌথভাবে বলেছিলেন, তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হতে পারে। কিন্তু সেই শেষ হওয়া থেকেই শুরু নতুন এক যাত্রার। সেটি কো-প্যারেন্টিংয়ের নতুন যাত্রা। বলেছিলেন, পুত্র আজ়াদের প্রতিপালনে কোনওরকম খামতি করবেন না আমির-কিরণ। আকাশ আম্বানির বাগদান অনুষ্ঠানে পাপারাৎজ়ির ক্যামেরার সামনে আজ়াদকে নিয়ে পোজ়ও দিয়েছিলেন তাঁরা। কেবল তাই নয়, জানিয়েছিলেন তাঁদের পানি ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজও করবেন আমির-কিণর।

‘দঙ্গল’ ছবিতে আমির ও ফাতিমা একসঙ্গে কাজ করেছেন। সেখানে আমির-কন্যার চরিত্রে দেখা যায় ফাতিমাকে। বলি অন্দর সূত্র বলছে, তখন থেকেই নাকি সম্পর্ক তৈরি হয় আমির-ফাতিমার। কেবল ‘দঙ্গল’ নয়, ‘থাগস অফ হিন্দুস্থান’ ছবিতেও তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।

শিশুশিল্পী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন ফাতিমা। কমল হাসান ও তব্বুর মেয়ের চরিত্রে ‘চাচি ৪২০’ ছবিতে তাঁর অভিনয় আসমুদ্র হিমাচল মন জয় করেছিল দর্শকের। তারপর লেখাপড়ায় মন দিতে শুরু করেন ফাতিমা। স্কুল জীবন, শৈশবকে উপভোগ করতেই বিরতি নিয়েছিলেন ফাতিমা। তাঁর মনে হয়েছিল, বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে স্কুলের সমবয়সি বন্ধুরা তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করেছেন। অনেকটা সেই কারণেও অভিনয় থেকে সরে এসেছিলেন ফাতিমা।

৬:০৬ AM


সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে। থেকে গিয়েছে বন্ধুত্ব। সুস্মিতা সেন এবং রোহমান শলের তিন বছরের প্রেমে দাঁড়ি পড়েছে ঠিকই। কিন্তু কোনও রকম তিক্ততা ছুঁতে পারেনি তাঁদের। সুস্মিতা আগেই বলে দিয়েছেন, রোহমান এখনও তাঁর বন্ধু। এ বার রোহমানের পালা।

ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে আনেন সুস্মিতা। রোহমানের সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে লেখেন, ‘আমরা শুরু করেছিলাম বন্ধু হিসেবে। আমরা বন্ধুই থাকব। সম্পর্ক অনেক দিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভালবাসা রয়ে গিয়েছে।’ সুস্মিতার সেই পোস্ট নিজের ইনস্টাগ্রামে তুলে এনেছেন রোহমান। বুঝিয়েছেন, প্রেমিকার সঙ্গে তিনি সহমত। আগের রসায়ন অতীত হলেও থেকে যাবে বন্ধুত্ব।

রোহমানের সেই পোস্টে তাঁর উদ্দেশে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘তুমি ওর (সুস্মিতা) ভাইয়ের কাছে ঋণী। এটা কখনও ভুলে যেও না।’ সেই বার্তা চোখ রোহমানের চোখ এড়ায়নি। জবাবও দিয়েছেন— ‘আমি এটা কখনওই ভুলব না। সুস্মিতা এখনও আমার পরিবার।’

২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রেম ভেঙে গিয়েছে নিঃশব্দে। বিচ্ছেদের কারণ এখনও অজানা। তবে সম্পর্কে ইতি টানার পরে তিক্ততা নয়, বরং বন্ধুত্বকেই প্রশ্রয় দিয়েছেন রোহমান এবং সুস্মিতা।


টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির মিষ্টি হাসি, উচ্ছ্বল অভিনয়ে একটা সময় মুগ্ধ হতো দর্শক। কিন্তু বিয়ে, বিচ্ছেদ, সাহসী রূপে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হওয়া ইত্যাদি কারণে গত কয়েক বছরে কেবল সমালোচনাই কুড়িয়েছেন তিনি।

এবার শ্রাবন্তীর অনুসারীদের দাবি, অভিনেত্রীর ওজন বেড়েছে। এ কারণে তার সৌন্দর্যেও নাকি ভাটা পড়েছে।

এক অনুসারী মন্তব্য করেছেন- ‘মোটা হতে হতে ফেটে যাও!’, আরেকজন লিখেছেন- ‘এত মোটা হয়ে গেছ কেন?’, কেউ আবার অশ্রাব্য ভাষায়ও মন্তব্য করেছে শ্রাবন্তীর ইনস্টাগ্রামে। 
শ্রাবন্তী সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন নতুন একটি সিনেমায়। নাম ‘ভয় পেয়ো না’। এটি নির্মাণ করবেন অয়ন দে। সিনেমাটিতে তার বিপরীতে দেখা যাবে ওমকে। তারা স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন এতে।

কলকাতার ফিল্মস অ্যান্ড ফ্রেমস ডিজিটাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস বা ফাফডার মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রাবন্তী। সেই তালিকাই ছোট ছোট ভিডিওর মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। এ সময় তার পরনে ছিল লাল রঙের শর্টগাউন। এ ভিডিও দেখেই অনুসারীরা নানারকম মন্তব্য করেছেন।


সুবাহকে বিয়ে করেছেন কণ্ঠশিল্পী ইলিয়াস।  ক্রিকেটার নাসিরের সাবেক প্রেমিকা মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রার সঙ্গে ইলিয়াসের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু সেটা নিশ্চিত না করে ইলিয়াস বলেছিলেন, 'আমরা ভালো বন্ধু।' কিন্তু এই বন্ধুত্বের নমুনা গণমাধ্যমকর্মীদের চোখ এড়ায়নি। 

অবশেষে হুমায়রা সুবাহ বৃহস্পতিবার নিজেদের গায়েহলুদের ছবি প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সুবাহ গায়েহলুদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, আমাদের গায়েহলুদ হয়েছে।' কবে হয়েছে জানাননি। বিয়ে কবে হয়েছেএ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি। 

এটি ইলিয়াসের তৃতীয় বিয়ে। এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস বলেন, 'গত ১ ডিসেম্বর আমাদের বিয়ে হয়েছে। এর আগে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমাদের প্রেমের পরিণতি দেওয়ার জন্য বিয়ে করেছি।'

 ইলিয়াস ও সুবাহ এখন এক সঙ্গেই সংসার পেতেছেন রাজধানীর বনানী এলাকায়। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী কারিনকে ডিভোর্স দিয়েছেন কি না তা এখনো জানা যায়নি। কারিন সুইডেনের স্টোকহোমে থাকেন।

কারিনকে বিয়ের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিশাত আলমকে বিয়ে করেন ইলিয়াস। সে সময় নিশাত মেডিক্যাল সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এর আগে কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থান করার ছবি প্রকাশ করেন সুবাহ। সেই ছবি সম্পর্কে সুবাহ ফেসবুকে লিখেছিলেন, শুটিং টাইম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুবাহ ও ইলিয়াসের একত্রে কোনো শুটিংয়ের কাজ হয়নি।

ইলিয়াস একাধিকবার সম্পর্কের ব্যাপারটি শুধু বন্ধু, পরিচিত বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। 

২০১৯ সালে সুবাহ রফিক সিকদারের 'বসন্ত বিকেল' চলচ্চিত্রের মহরত থেকে আলোচনায় আসেন। এরপর চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষরা সুবাহকে চেনেন। এরপর একে একে ছয়টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন সুবাহ। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ছবিই মুক্তি পায়নি। তবে আলোচনার তুঙ্গে উঠে আসেন তিনি।

ইলিয়াস সংগীতশিল্পী হিসেবে বেশ নাম করেছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংগীতে নেই।

ইলিয়াস হোসাইন 'না বলা কথা', 'আমার ভিতর', 'এক পলকে', 'নীল নয়না', 'সারাটি জীবন', 'শোন একটা কথা বলি' গানগুলোর মাধ্যমে শ্রোতামহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।


মেয়েদের ফুটবলে এ পর্যন্ত যত শিরোপাা—সবগুলোই কোচ গোলাম রব্বানীর হাত ধরে। ২০১৫-র এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে গত পরশু সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল পর্যন্ত মোট সাতটি ট্রফি ঘরে তুলেছে মেয়েরা। কাল রব্বানীর কাছে যখন জানতে চাওয়া হলো এই সবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কোনটা। বাংলাদেশ কোচ ফিরলেন ২০১৫ সালে জেতা প্রথম শিরোপাটায়।

‘ওই শিরোপাটা আমার কাছে অন্য রকম। বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলে যেকোনো পর্যায়ে সেটিই প্রথম শিরোপা। নেপালে সেই যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমাদের পথচলা শুরু হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায়ই তো আজ আমরা এই পর্যায়ে।’ নেপালের সেই ট্রফি জয় আসলে ভোলার কথা নয়। ভারত, ইরানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের কিশোরীরা প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক আসরের ফাইনালে ওঠে সেবার। ২৫ এপ্রিল নেপালের বিপক্ষেই ছিল সেই ফাইনাল। তার আগের রাতেই প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প হয়ে যায় কাঠমাণ্ডুতে। কোনোমতে প্রাণ নিয়ে হোটেল থেকে নামতে পারে kalerkanthoবাংলাদেশের কিশোরীরা। সারা রাত খোলা আকাশের নিচে কাটিয়ে পরে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী বিমানে তারা দেশে ফেরে। ছয় মাস পর কাঠমাণ্ডুতেই হওয়া সেই ফাইনালে নেপালকে হারিয়েই শিরোপা নিয়ে ফেরে গোলাম রব্বানীর শিষ্যরা। বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলে পতাকা ওড়ানো শুরু তাই শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও বড় যুদ্ধ জিতে। এমন সাহসী মেয়েরা থেমে যাবে তাই কি হয়! কৃষ্ণা, সানজিদা, মারিয়া, মার্জিয়ারা এরপর ফি বছর বাংলাদেশকে একটা না একটা ট্রফি উপহার দিয়েছেন। ২০১৫, এরপর ২০১৬-তেও এএফসি রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ তাজিকিস্তানে। সে আসরেই ওঠেন তহুরা খাতুন, যিনি এবার অনূধর্ব-১৯ সাফও মাতিয়েছেন। ২০১৭-তে তারা জেতে প্রথম সাফ শিরোপা অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে। ২০১৮-তে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফের ট্রফি। সে বছরই হংকংয়ে আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট জকি কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরে বাংলাদেশের মেয়েরা। করোনা হানা দেওয়ার আগে ২০১৯ প্রথম বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক ফুটবলেও লাওসের সঙ্গে যুগ্ম শিরোপা বাংলাদেশের। করোনা মহামারি শেষে এবার অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ।

আরো দুটি বড় সাফল্য এর সঙ্গে যোগ করতেই হবে। বাংলাদেশের মেয়েরা এ সময়েই টানা দুটি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে খেলেছে। অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে এসেছে সে সাফল্য। দুইবারই কঠিন বাছাই পর্ব পেরোতে হয়েছে। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েই বাংলাদেশকে যেতে হয়েছে পরের রাউন্ডে। এসব অর্জনের মধ্যেও এবারের সাফ জয়টাকে অবশ্য সবচেয়ে দাপুটে মনে হচ্ছে গোলাম রব্বানীর, ‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মেয়েরা যেমন আধিপত্য করেছে প্রতিপক্ষের ওপর, এমনটা খুব কমই হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালটাই তো একচেটিয়া খেললাম। তার ওপর দেখুন একটা গোলও হজম করিনি আমরা, দিয়েছি ১৯ গোল। এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারতাম।’


টালিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা ও ঐন্দ্রিলা সেনের প্রেমের সম্পর্ক ১০ বছরের। অন্য তারকাদের মতো গোপনে নয়, তাদের প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ্যে। অন্তর্জালে চোখ রাখলেই মেলে তাদের মিষ্টি প্রেমের খুনসুটি। তাদের বিয়ে নিয়ে বেশ গুঞ্জন চলছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি রূপ পায়নি। নতুন খবর হলো বিয়ের আগেই অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার পরিবারে এলো নতুন সদস্য! ফলাও করে তারা নিজেরাই সে খবর জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়ায় অঙ্কুশ তার ফ্যানদের জানিয়েছেন, তাদের পরিবারে এসেছে নতুন সদস্য। এমনকি অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা দুজনেই তাদের নতুন সদস্যের ছবি শেয়ার করেছেন।

ঐন্দ্রিলা লিখেছেন, 'আমার ছেলে তুলো'। আসলে তাদের নতুন সদস্য, তাদের পোষ্য। ইতোমধ্যেই অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলার সংসারে রয়েছে আরও তিন সন্তান বাবলা, লিও, আলু। সংসারে সদস্য তো বাড়ছে আর তার সঙ্গেই বাড়ছে জল্পনাও বাড়ছে, কবে বিয়ে করবে টলিউডের এই জনপ্রিয় জুটি।

প্রসঙ্গত, অঙ্কুশের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি ‘কেল্লাফতে’। এরপর ইডিয়ট, খিলাড়ি, কানামাছি, আমি শুধু চেয়েছি তোমায়, রোমিও বনাম জুলিয়েট, জুলফিকার, আমি যে কে তোমারসহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

সূত্র: জি নিউজ


দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন।

৬৯ বছর বয়সী পার্ক ২০১৮ সালে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক প্রভাব খাটানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি অভিশংসিত হন।

পার্কই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, যাকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছিল।

সাজাপ্রাপ্ত এ সাবেক প্রেসিডেন্ট চলতি বছর তিনবার কাঁধ ও পিঠের নিচের অংশে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মুন যাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তাদের মধ্যে পার্কের নামও আছে; মূলত অসুস্থতার কারণেই তার নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

মুন এর আগে পার্ককে ক্ষমা করে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন, যে কারণে শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্টের সরকারি ক্ষমা পাওয়ার এ খবর ব্যাপক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক সেনাশাসক পার্ক চুং-হির মেয়ে পার্ক জিউন-হাই ২০১৩ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।

ব্যক্তিগত লাভের জন্য বন্ধুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করেছেন- এমন অভিযোগে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে পার্লামেন্ট ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ওই বছর ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করে পার্ককে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২০১৭-র মার্চে দেশটির সাংবিধানিক আদালত সেই সিদ্ধান্তে সায় দিলে পার্ক ক্ষমতাচ্যুত হন।

২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক প্রভাব খাটানোর দায়ে পার্ককে কারাদণ্ড দেয়।

রায়ে বিচারক বলেন, পুরনো বান্ধবী চই সুন-সিলের সঙ্গে যোগসাজশে পার্ক স্যামসাং ও লোটের মত কোম্পানিকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে ৭৭.৪ বিলিয়ন উয়ন নিয়েছেন এবং ওই অর্থে চইয়ের নামে দুটি দাতব্য সংস্থা গড়ে তুলেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

পার্কের অভিশংসন মুনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সুগম করে দেয়।

আগামী বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্ককে ক্ষমা করে দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীল বিরোধী দল পিপলস পাওয়ার পার্টি মুনের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছিল।

জনমত জরিপগুলোতে নির্বাচনে মুনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির লি-জায়ে মিউং ও পিপলস পাওয়ার পার্টির ইয়ুন সুক-ইয়লের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

২:৪৬ AM


ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব স্ত্রীকে সময় দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। বুধবার(২২ ডিসেম্বর) রাতের একটি ফ্লাইটে অপূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ঢাকা ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে।

অপূর্ব দেশে থাকলেও আগে থেকেই তার তৃতীয় স্ত্রী শাম্মা দেওয়ান যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। শাম্মা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর শিক্ষা শেষে একটি গাড়ি প্রস্তুতকারক কম্পানিতে চাকরি করছেন বর্তমানে। স্ত্রীর ও সঙ্গে দেখা এবং একান্তে সময় কাটানোর জন্য তার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রাজারবাগ এলাকায় একটি পার্টি সেন্টারে অপূর্ব-শাম্মারবিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।তবে দেশে করোনা সংক্রমণ হার বেশি থাকায় হ্যানিমুনের কোনো প্ল্যান করেননি বলে জানিয়েছিলেন অপূর্ব।তার স্ত্রীও যুক্তরাষ্ট্রের ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছিল।

জানা গেছে, অপূর্ব এবার অনেকদিন থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশে ফেরার খুব একটা তাড়া নেই। প্রায় মাসখানেক তো থাকবই। এবার ঢাকায় ফিরেই আসছে ভালোবাসা দিবসের নাটকের কাজ শুরু করবেন তিনি।

২০১১ সালের ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে অদিতিকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৯ বছরের সংসারের ইতি টানেন তারা। অপূর্ব-অদিতি দম্পতির একমাত্র সন্তান ‘আয়াশ’। করোনাকালে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বিচ্ছেদের কথা জানান অদিতি।

এর আগে,২০১০ সালের ১৯ আগস্ট পালিয়ে গিয়ে অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। যদিও এর পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সংযোগ জোরদারে সম্মত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভারতের চেন্নাই হয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চেন্নাই হয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে। আমরা আশা করি যে ফ্লাইট চালুর ফলে দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটন সহযোগিতা আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আরও বলেন, সংলাপের সময় তারা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও খেলাধুলা, মৎস্য ও কৃষি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে যোগ্য স্বাস্থ্য পেশাজীবী নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং দ্বৈত কর এড়ানো এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে কর ও আয় সংক্রান্ত বিষয়ে চুক্তি এবং চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যসেবা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তসমূহ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং ফলাফল সন্তোষজনক পেয়েছি।

প্রেস সচিব বলেন, তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে এমন নথির বাইরে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়মিতকরণের বিষয়েও আলোচনা করেছেন। তারা বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা, একে অপরের প্রার্থীদের সমর্থন এবং সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেছেন। তার সরকার তার দেশের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশসহ অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেবে না।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করতে সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার অঙ্গীকার করেন। প্রেসিডেন্ট সালিহ বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তিনি কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সহায়তার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং মালদ্বীপের নাগরিকদের জন্য আগমনের পর ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ কামনা করেন। এ সময় মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশকে একটি কাঙ্খিত গন্তব্য উল্লেখ কওে প্রেসিডেন্ট সলিহ প্রধানমন্ত্রীকে এসব শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণ মেয়াদি ভিসা দেওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা  মো. রহমাতুল মুনীম প্রমুখ বাংলাদেশ পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

মালদ্বীপের পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, অর্থমন্ত্রী ইবরাহিম আমীর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমেদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী আসিয়া নাসির, অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী উজ ফাইয়াজ ইসমাইল এবং পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রী সোরিক ইবরাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো তার প্রতিবেশী ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না, তবে দেশটির বর্তমান সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অসম্ভব। তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তি দ্বারা প্রভাবিত। বৃহস্পতিবার বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনসহ বেশ কিছু ইস্যুতে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

যতই দিন গড়াচ্ছে ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্কের তীক্ততা ততই বাড়ছে রাশিয়ার। দুই দেশের সম্পর্ক যখন অনেকটা যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে তখন এই ইস্যুতে কথা বলেছেন পুতিন। এ দিনের সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের ওপর একাধিক অভিযোগ চাপালেন তিনি।

ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে অবশেষে পিছু হটছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন! এক বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার নিরাপত্তার ব্যাপারে যুক্তরাস্ট্র আগামী বছরের শুরুতে জেনেভায় আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। 

মস্কোয় বার্ষিক এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাশিয়ার প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক। আমাদের আমেরিকান পার্টনার বলেছে তারা এসব বিষয়ে জেনেভায় আগামী বছরের শুরুতে কথা বলতে প্রস্তুত।

তিনি আরো বলেছেন, কোন ধরণের কৌশল ছাড়া আমরা শুধু প্রশ্ন তুলেছি পূর্বে ন্যাটার আর কোন অভিযান উচিৎ নয়।  

রাশিয়া যদি ইউক্রেনে কোন ধরনের আগ্রাসন না চালায় এমন নিশ্চয়তা দেয় তাহলে কী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা আলোচনা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, আলোচনার ফল কেমন মজবুত হল এর ওপর আমাদের পদক্ষেপ নির্ভর করছে। তথ্যসূত্র: আনাদোলু, আরব টাইমস


ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সার্বিক অবস্থা জানতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঝালকাঠির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকা থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। দুপুরের মধ‍্যে সেখানে পৌঁছাবেন মন্ত্রী।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুন লাগে

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দগ্ধ ও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। এতে প্রায় হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় ভেড়ানো হয়।

লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে বেশ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেন।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধদের দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর দগ্ধদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, লঞ্চটিকে বর্তমানে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউড়িসাইক্লোন শেল্টারের পাশে (বিষখালী নদীর তীরে) নোঙর করা হয়েছে।



এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স হকিতে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। শুট আউটে জাপানকে হারিয়ে শিরোপা জয় করল তারা। 

বুধবার মওলানা ভাসানি জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জাপানকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে দ. কোরিয়া। 

নির্ধারিত ৭০ মিনিটের খেলা শেষ হয়েছিল ৩-৩ গোলে। তাই জয়-পরাজয় নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। লীগ পর্বেও ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল দল দুটি।

ফাইনালে শুট-আউটে কোরিয়ার হয়ে গোল করেছেন লী জুং জুন, জি ও চিওন, ওয়াং তায়েল ও লী হায়ে সিউং। আর জাপানের হয়ে গোল করেন ওকা রায়োমা ও সারেন তানাকা।

জাপানের রাইকি ফুজিশিমা ও কোসেই কাওয়াবের প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে ম্যাচের নায়ক বনে যান কোরিয়া গোলরক্ষক কিম জা ইয়োন।

টুর্নামেন্টে কোরিয়ার ৩৭ বছর বয়সি ডিফেন্ডার জ্যাং জং ইয়োন সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছেন। ২০০৭ ও ২০১১ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন বর্ষীয়ান এ ডিফেন্ডার। ৮ গোল করেছেন ভারতের ডিফেন্ডার হারমানপ্রিত সিং। 

প্রথম কোয়ার্টারে জাপানের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। বলের দখল রেখেই খেলছিল এশিয়ান গেমসের চ্যাম্পিয়নরা। তবে শ্রোতের বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে ৮ম মিনিটে বামদিক থেকে জ্যাং জি হুনের হিট স্টিকে দিক পরিবর্তন করে বল জালে পাঠান কোরিয়ার জিয়ং জুন উ। এরপর ১০ ও ১২ মিনিটে দুটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি জাপান।

দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ২৪ মিনিটে কেন নাগায়োশির পেনাল্টি কর্নার গোলে সমতায় ফিরে জাপান। ২৯ মিনিটে ওকা রায়োমার ফিল্ড গোলে লিড নেয় তারা। তৃতীয় কোয়ার্টারে ইয়োশিকি কিরিশিতার পেনাল্টি কর্নার গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জাপান।

চতুর্থ কোয়ার্টারে জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে করে ব্যবধান কমিয়ে ৩-২তে নিয়ে আসে কোরিয়া। শেষ মুহূর্তে জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি কর্নার গোলে ৩-৩ গোলের সমতায় ফিরে আসে কোরিয়া।


প্রথমবার কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির লড়াই। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথমবার একটি টেস্ট খেলুড়ে দলকে নিজেদের আঙিনায় পাওয়া। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের জন্য ম্যাচটি এমনিতেই ছিল ইতিহাস গড়ার। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তাদের ইতিহাস গড়ার পালা আটকে রইল না স্রেফ মাঠে নেমেই। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উপলক্ষ্য রাঙিয়ে রাখল তারা দারুণ এক জয় দিয়ে।

ফ্লোরিডায় ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বুধবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জয় ২৬ রানে।

টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম জয় এটি।

ম্যাচের শুরুতে ৫ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত তারা ২০ ওভারে তোলে ১৮৮ রান। আয়ারল্যান্ড যেতে পারে ১৬২ পর্যন্ত।

লডারহিলে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট দ্বিতীয় বলেই হারায় অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলকে। তৃতীয় ওভারে তারা হারায় বড় ভরসা জেভিয়ার মার্শালক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭টি টেস্ট, ২৪ ওয়ানডে ও ৬ টি-টোয়েন্টি খেলা ব্যাটসম্যান বেশ কিছুদিন ধরেই খেলেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে। আউট হন তিনি ১১ বলে ৪ রান করে।

পরের দুই ওভারে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে তাদের রান হয়ে যায় ৪ উইকেটে ১৬। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অভিষিক্ত সুশান্ত মোদানি ও গজানন্দ সিং।

শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে খেলে জুটি গড়েন দুজন। ১০ ওভার শেষে রান ছিল ৪ উইকেটে ৫১।

দ্বাদশ ওভারে সিমি সিংয়ের বলে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরে গতিপথ বদলানোর শুরু করেন গজানন্দ। ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত ব্যাটসম্যান পরের ওভারে দুটি ছক্কা মারেন কার্টিস ক্যাম্পারকে, পরের ওভারে আরেকটি বেন হোয়াইটকে।

হোয়াইটের পরের ওভারে আরেকটি ছক্কা মেরে গজানন্দ আউট হন ৫ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৫ রান করে। মোদানির সঙ্গে তার জুটি থামে ১১০ রানে।

ততক্ষণে বেড়ে গেছে মোদানির ব্যাটের ধারও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্যাটসম্যান করেন ৩৯ বলে ৫০। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পাঁচে নেমে ফিফটি করা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান তিনি।

শেষ ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে তুলাধুনা করেন মার্টি কেইন। দুটি করে চার ও ছক্কায় ওভার থেকে আসে ২৩ রান।

১৫ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কেইন। শেষ ৯ ওভার থেকে যুক্তরাষ্ট্র তোলে ১৩২ রান!

বড় লক্ষ্য তাড়ায় আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ওভারে হারায় অ্যান্ডি বালবার্নিকে। আইরিশ অধিনায়ককে ফেরান ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের পরিচিত মুখ পেসার আলি খান।

আরেক ওপেনার পল স্টার্লিং ঝড়ো শুরু করলেও আউট হয়ে যান ১৫ বলে ৩১ রান করে। তিনে নেমে লর্কান টাকার এক প্রান্ত আগলে রাখলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা কেউ পারেননি প্রভাব রাখতে।

টাকার শেষ দিকে একটু গতি বাড়িয়ে অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৫৭ করে। কিন্তু দল ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বেশ আগেই।

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বৃহস্পতিবার। এরপর দুই দল খেলবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

যুক্তরাষ্ট্র: ২০ ওভারে ১৮৮/৬ (মোনাঙ্ক ২, স্কট ৮, মার্শাল ৪, বেহেরা ০, মোদানি ৫০, গজানন্দ ৬৫, কেইন ৩৯*, নিসর্গ ০*; ম্যাককার্থি ৪-০-৩০-৪, অ্যাডায়ার ৪-০-৪৬-০, সিমি ৪-০-২৭-১, ক্যাম্পার ৪-০-৪১-০, হোয়াইট ৪-০-৩৬-১)।

আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৬২/৬ (স্টার্লিং ৩১, বালবার্নি ৪, টাকার ৫৭*, ক্যাম্পার ১৭, গেটকেক ১৯, রক ৭, ম্যাকক্লিন্টক ৯, অ্যাডায়ার ৯*; সৌরভ ৪-০-২৬-২, আলি খান ৪-০-৩০-২, কেইন ৪-০-৩৭-০, ইয়াসির ৪-০-৩৫-০, নিসর্গ ৪-০-২৭-১)।

ফল: যুক্তরাষ্ট্র ২৬ রানে জয়ী

সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে যুক্তরাষ্ট্র ১-০তে এগিয়ে।

ম্যান অব দা ম্যাচ: গজানন্দ সিং।


সেই সুবাহকে বিয়ে করেছেন কণ্ঠশিল্পী ইলিয়াস।  ক্রিকেটার নাসিরের সাবেক প্রেমিকা মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রার সঙ্গে ইলিয়াসের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু সেটা নিশ্চিত না করে ইলিয়াস বলেছিলেন, আমরা ভালো বন্ধু। কিন্তু এই বন্ধুত্বের নমুনা গণমাধ্যমকর্মীদের চোখ এড়ায়নি। 

অবশেষে হুমায়রা সুবাহ বৃহস্পতিবার নিজেদের গায়েহলুদের ছবি প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সুবাহ গায়েহলুদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, আমাদের গায়েহলুদ হয়েছে।' কবে হয়েছে জানাননি। বিয়ে কবে হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি। ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

তবে একটি সূত্র জানাচ্ছে, সুবাহ ও ইলিয়াস কিছুদিন আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ সময় কাছের কয়েকজন মানুষ ছিলেন। ইলিয়াস ও সুবাহ এখন একসঙ্গেই সংসার পেতেছেন রাজধানীর বনানী এলাকায়।

এর আগে কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থান করার ছবি প্রকাশ করেন সুবাহ। সেই ছবি সম্পর্কে সুবাহ ফেসবুকে লিখেছিলেন, শুটিং টাইম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুবাহ ও ইলিয়াসের একত্রে কোনো শুটিংয়ের কাজ হয়নি।

ইলিয়াস একাধিকবার কালের কণ্ঠের কাছে সম্পর্কের ব্যাপারটি শুধু বন্ধু, পরিচিত বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন।'  

২০১৯ সালে সুবাহ রফিক সিকদারের 'বসন্ত বিকেল' চলচ্চিত্রের মহরত থেকে আলোচনায় আসেন। এরপর চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষরা সুবাহকে চেনেন। এরপর একে একে ৬টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন সুবাহ। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ছবিই মুক্তি পায়নি। তবে আলোচনার তুঙ্গে উঠে আসেন তিনি।

ইলিয়াস সংগীতশিল্পী হিসেবে বেশ নাম করেছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংগীতে নেই।

ইলিয়াস হোসাইন 'না বলা কথা', 'আমার ভিতর', 'এক পলকে', 'নীল নয়না', 'সারাটি জীবন', 'শোন একটা কথা বলি' গানগুলোর মাধ্যমে শ্রোতামহলে তুমুল জনপ্রিয়তা পান।


আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ত্বরান্বিত করতে তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বুধবার এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এ প্রস্তাব উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়।

জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের এ প্রস্তাব অনুসারে, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যে সকল কর্মকাণ্ড চলছে তার জন্য অর্থায়নের ক্ষেত্রে তালেবানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। এ কারণে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে অর্থায়নে জন্য তহবিল গঠন করা যাবে। আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা তহবিলের জন্য অর্থ প্রদান বা অন্যান্য অর্থনৈতিক সহায়তা করা বৈধ।

জাতিসঙ্ঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড এ প্রস্তাবটি গ্রহণ করার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য অন্য যে সকল কর্মকাণ্ড চলছে তা ত্বরান্বিত করতে দেশটির ওপর থেকে জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, এ প্রস্তাবটি গ্রহণ করার ফলে আফগানিস্তানের বহু মানুষের জীবন রক্ষা হবে।

জাতিসঙ্ঘের মতে, আফগানিস্তানে দু’কোটি ৪০ লাখ মানুষের জীবন রক্ষার্থে জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান করা দরকার। কারণ, আফগানিস্তানের অর্থনীতি আমাদের চোখের সামনেই ধ্বংস হচ্ছে।


আবারও কলকাতার মেয়র হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এ নিয়ে দুবার কলকাতার মেয়রের দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিয়েছেন ফিরহাদের হাতে।

চেয়ারপারসন হয়েছেন মালা রায় ও ডেপুটি মেয়র হয়েছেন অতীন ঘোষ।

দলের ১৩৪ জন জয়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাসে দুপুর ২টায় হয় সেই বৈঠক। সেখানেই ঠিক হয় নতুন মেয়রের নাম।  

মমতা বলেন, সব জয়ী কাউন্সিলরকে ধন্যবাদ জানাই। শহরের রাজ্য পুলিশ দিয়ে যেভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে তা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভারতেও হয় না। এবার ৪২ শতাংশ মহিলা প্রার্থী ছিলেন। তারমধ্যে একজন পরাজিত। ১০ জন যারা পরাজিত হয়েছেন তারাও করপোরেশনের কিছু না কিছু দায়িত্ব পাবেন। আমি মনে করি সবাই তৃণমূলের কর্মী। এটা মনে রাখবেন যে সবাইকে তো দায়িত্ব দেওয়া যায় না।  

এরপরই মমতা বলেন, প্রতি ছয় মাস বাদে রিভিউ হবে। যে কাজ করবে না তার বিরুদ্ধে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তবে সবাইকে বকাবকি করছি ভাববেন না। মনে রাখবেন প্রতি ছয় মাস পর পর আমি রিপোর্ট কার্ড নেব। আমি চাই সারা বিশ্বের মধ্যে কলকাতা বেস্ট মডেল হোক।

কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা রোববার (২১ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে। এরমধ্যে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পায় তিনটি, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস দুটি করে এবং বাকি তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী হয় নির্দল প্রার্থীরা। ফলে শাসকদল তৃণমূল কাকে মেয়র করেন সেটাই দেখার বিষয় ছিল। তালিকায় সাবেক মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়া আরও দুই নারী জয়ী প্রার্থীর নাম আলোচনায় আসছিল। এদিনই তা স্পষ্ট হয়ে গেল। তৃণমূল ২০১০ সালে কলকাতা করপোরেশনের ক্ষমতায় আসার পর মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর ২০১৫ পর ২০২১ মেয়র পদে ফিরহাদের ওপর ভরসা রাখলেন মমতা।

অপরদিকে কলকাতার পর পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতে কবে হবে পুরনির্বাচন এদিন তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বাকি জেলাগুলোর পুরসভাগুলোতে দুই দফায় নির্বাচন করার কথা। আগামী ২২ জানুয়ারি ও ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মোট ১১২টি পুরসভার মধ্যে ১১০টি পুরসভায় ভোট হতে পারে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের অনুমোদন না পাওয়ায় আপাতত বাকি থাকবে হাওড়া ও বালির পুরভোট। কারণ রাজ্যপাল এখনও হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিলে সই করেননি।


নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এ যাবত রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সংলাপের আমন্ত্রণ পাওয়া ৯টি রাজনৈতিক দলই ভাবছে 'বিতর্কমুক্ত' নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন দরকার।

ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া ২টি দলই এ ধরনের আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বসবেন। যে ২টি দলের সঙ্গে তিনি ইতোমধ্যে কথা বলেছেন, সেগুলো ছাড়া আরও ৭টি দলকে তিনি এ মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

৭টি দলের শীর্ষ নেতারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেবেন।

৭টি দলের মধ্যে ৩টি দল জানিয়েছে, যেহেতু আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য গঠিত হতে যাওয়া সার্চ কমিটির সম্ভাব্য সদস্য হিসেবে কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করবেন। 

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেয়। এই ২টি দল আলাদা আলাদা করে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বুধবার ও সোমবার সংলাপে অংশ নেয়।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জাতীয় সংসদের পক্ষে এ ধরনের আইন প্রণয়ন করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করার প্রস্তাবও দিয়েছে জাতীয় পার্টি। উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।

রাষ্ট্রপতি ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ও খেলাফত মজলিশ, ২৮ ডিসেম্বর ওয়ার্কার্স পার্টি এবং ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসবেন।

দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনো সংলাপে যোগদান প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। দলটির মূল দাবি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। 

যদিও দলটি বঙ্গভবন থেকে এখনও সংলাপে যোগ দেওয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পায়নি, তবুও এই বিষয়টি নিয়ে আগামী শনিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলাপ করা হবে।

দলের সূত্ররা জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ পেলেও বিএনপি সংলাপ থেকে দূরে থাকতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'চলমান সংলাপের কোনো মানে নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে সে সরকার নির্বাচন কমিশন বিষয়ে সংলাপের আয়োজন করবে।'

বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া নিয়ে কোনো আইন নেই। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য আইনের প্রয়োজন। আমরা আইন প্রণয়নের পক্ষে কথা বলবো।'

তিনি জানান, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে তাদের দলের সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, তাদের দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি ফ্রন্টের জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আমরা আইন প্রণয়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেব এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে এ ধরনের আইনের বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানাবো।'

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান জানান, তারা দলীয় ফোরামে এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে আলোচনা করে সংলাপে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন।

তিনি জানান, তার দল সংলাপে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তারা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইনের প্রচলন করার অনুরোধ জানাবেন।

তিনি বলেন, 'এই আইনের প্রচলন হওয়া জরুরি, কারণ সংবিধানে এ বিষয়ে বলা হয়েছে। সংবিধানে সার্চ কমিটি বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সুতরাং একে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য একটি আইনের প্রয়োজন আছে।'

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ জানান, তারা রাষ্ট্রপতির কাছে আইন প্রণয়নের বিষয়টি উত্থাপন করবেন, কারণ এ বিষয়টির একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। 'একটি বিশ্বস্ত, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন', যোগ করেন তিনি।

ন্যাপের যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, তারা নির্বাচন কমিশন গঠনের বিতর্ক শেষ করার জন্য একটি আইন প্রচলনের প্রস্তাব দেবেন।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের জানান, অবশ্যই এই আইনের বাস্তবায়নের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের আলোচ্যসূচিতে থাকবে। 'নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আগে বিতর্কের অবসান ঘটানো উচিত', যোগ করেন তিনি।

ওয়ার্কার্স পার্টি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট জানিয়েছে, তারা সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য কিছু মানুষের নাম প্রস্তাব করবে।

সংবিধানের ১১৮(১) নং ধারায় বলা হয়েছে 'প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া এবং রাষ্ট্রপতি সময়ে সময়ে যেরূপ নির্দেশ করিবেন, সেইরূপ সংখ্যক অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করিবেন।'

তবে এ যাবত কোনো সরকারই এ ধরনের কোনো আইন প্রণয়ন করেনি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে এ ধরনের আইন চালু আছে।

জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র ২ বছর বাকি থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে ভোটারদের অনুপস্থিতি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অবিশ্বাসের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। যে কারণে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি সবার নজরে এসেছে।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা এবং বিভিন্ন প্রথম সারির নাগরিক গত কয়েক মাস ধরে এই আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন। 

এই আইনটি প্রণয়ন করতে সরকারকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে নাগরিক সমাজের প্ল্যাটফর্ম সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) গত মাসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২১' শিরোনামের একটি খসড়া আইন হস্তান্তর করেছে। 

খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি একটি ৭ সদস্যের সার্চ কমিটি তৈরি করবেন। 

৭ সদস্যের মধ্যে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, সংসদ নেতার মনোনীত একজন সংসদ সদস্য, বিরোধীদলীয় নেতার মনোনীত একজন সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের মনোনীত একজন সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি), নাগরিক সমাজের একজন সদস্য ও গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধি।

এর আগে, কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন ২০১১ সালে একটি খসড়া আইন তৈরি করে সেটি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জমা দিয়েছিল।

তবে সে আইনটি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

আইনমন্ত্রী গত ২৮ নভেম্বরে সংসদে জানান, বর্তমান জাতীয় সংসদের পরবর্তী অথবা আরও পরের কোনো অধিবেশনে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন নিয়ে একটি বিল উত্থাপন করা হতে পারে

২০১২ ও ২০১৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গত সোমবার একটি বিবৃতিতে জানান, 'এর আগে সংলাপ আয়োজনের পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে প্রত্যাশিত ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়নি। সুতরাং, একটি নিরপেক্ষ, সৎ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য শিগগির আইনের প্রয়োজন।'

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget