Latest Post

নিজের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে এবার সাফাই দিলেন গাভাসকর

Gavaskar justified his controversial remarks



শেন ওয়ার্নের আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। তারই মধ্যে সুনীল গাভাসকর বলে দেন, তাঁর মতে, বিশ্বের সেরা স্পিনার ওয়ার্ন নন। অজি কিংবদন্তির থেকে অনেক এগিয়ে মুথাইয়া মুরলীথরন। শোকের আবহে ওয়ার্নকে নিয়ে গাভাসকরের এমন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে সাফাই দিলেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার।


প্রথমে জেনে নেওয়া যাক একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে ওয়ার্ন সম্পর্কে গাভাসকর ঠিক কী বলেছিলেন। গাভাসকরকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ওয়ার্নকেই সেরা স্পিনার বলে মানেন? এর উত্তরে নিজের মতামত জানান গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। বলেন, “আমার তেমনটা মনে হয় না। আমার মতে, ওয়ার্নের থেকে ভারতীয় স্পিনার এবং শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মুরলিথরন অনেক এগিয়ে। এমনকী ব়্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালেও দেখা যাবে ভারতীয় স্পিনাররা ওয়ার্নের উপরে রয়েছেন।” এখানেই থামেননি গাভাসকর। যোগ করেন, “ভারতের বিরুদ্ধে শেন ওয়ার্নের রেকর্ডের দিকে তাকান। অত্যন্ত সাধারণ। ভারতের মাটিতে নাগপুরে মাত্র একবারই পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তাও আবার জাহির খানের জন্য। যে সব ভারতীয়রা স্পিনটা ভাল খেলেন, তাঁদের কাছে কিন্তু খুব একটা কঠিন বাধা ছিলেন না ওয়ার্ন (Shane Warne)। সেই কারণেই আমি তাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলতে পারব না।” ভারতের বিরুদ্ধে বেশি সাফল্য পাওয়ায় শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি স্পিনার মুরলিথরনকেই এগিয়ে রাখলেন গাভাসকর। বলে দেন, “আমার পছন্দের তালিকায় ওয়ার্নের (Shane Warne) উপরেই থাকবেন মুরলিথরন।”



আর এই নিয়েই যাবতীয় জলঘোলা তৈরি হয়। তবে বিষয়টি ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধার পর গাভাসকর (Sunil Gavaskar) আক্ষেপের সুরেই বলেন, এমন স্পর্শকাতর সময়ে এমন প্রশ্ন করা উচিত হয়নি সঞ্চালকের। পাশাপাশি তিনি এও স্বীকার করেন, সদ্য প্রয়াত ওয়ার্নের সঙ্গে কারও তুলনা টেনে তিনিও ঠিক করেননি। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে এই প্রশ্নটা যেন করা উচিত ছিল না, তেমনই আমারও উত্তর দেওয়া ঠিক হয়নি। কারও সঙ্গে তুলনা টানার এটা সঠিক সময় ছিল না।” এরপরই বলে দেন, “ক্রিকেট জগতে ওয়ার্ন অন্যতম সেরা তারকা। রডনি মার্শও বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি।”


তবে এও স্পষ্ট করে দেন, তিনি যা মনে করেন, সেটাই টিভি চ্যানেলে অকপটে বলেছেন। অর্থাৎ তাঁর চোখে যে ভারতীয় স্পিনার ও শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তিই সেরা, ওয়ার্নের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েও সেটা আবার পরিষ্কার করে দিলেন।


 প্রতারণা করেছেন জায়েদ খান: ইলিয়াস কাঞ্চন


Cheated by Zayed Khan: Ilyas Kanchan


সেক্রেটারি পদে জায়েদ খানের শপথ গ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। পাশাপাশি গত শুক্রবারের শিল্পী সমিতির প্রথম মিটিংও বাতিল ঘোষণা করেছেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তাঁর দাবি, জায়েদ খান আদালতের অন্য রায়ের ‘পুরোনো কাগজ’ দেখিয়ে শপথ গ্রহণ করেছেন। সেটি রীতিমতো প্রতারণার শামিল।


সোমবার সন্ধ্যায় এফডিসির বাগানে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। জায়েদ খানের শপথ গ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেন সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘৯ ফেব্রুয়ারির অন্য রায়ের কোর্টের একটি কাগজ দেখিয়ে শপথ নেন জায়েদ খান। নতুন কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি৷ তড়িঘড়ি করে শুক্রবার শপথ নিয়েছেন। তিনি শিল্পী সমিতির সঙ্গে, সভাপতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একই সঙ্গে মিডিয়ার সঙ্গেও ছলনা করেছেন। তাঁর শপথ গ্রহণ আমি অবৈধ ঘোষণা করলাম।’

তিনি বলেন, যেহেতু শপথ অবৈধ, তাই গত মিটিংয়ে জায়েদ খানের উপস্থিতিও অবৈধ। এ কারণে মিটিংয়ের কোরামও পূর্ণ না হওয়াতে শুক্রবারের মিটিংও বাতিল করা হলো।


এদিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেক্রেটারি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন সহসেক্রেটারি। যেহেতু শিল্পী সমিতিতে আপাতত সেক্রেটারি কেউ নন, তাই আপাতত সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন সহসাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী নায়ক সাইমন। 


ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, পরে মিটিং ডেকে বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সাইমনের সেক্রেটারি হওয়ার বিষয়টি পাস করা হবে। যত দিন জায়েদ-নিপুণের সেক্রেটারি পদ আদালত থেকে প্রক্রিয়াধীন থাকবে, আগামী মিটিংয়ের পর থেকে তত দিন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাইমন সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন।

এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই প্রতারণার আশ্রয় নিইনি। নিয়ম অনুযায়ী রায় পাওয়ার পরে যে কেউ তাঁর আইনজীবীর কাছ থেকে ল ইয়ার সার্টিফিকেট নিতে পারেন। আদালতের রায় হয়ে গেছে সবাই জানেন। আমি ল ইয়ার সার্টিফিকেটও জোগাড় করেছি। এটা বৈধ।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমি যদি ভুয়া কাগজ জোগাড় করে শপথ নিই, তাহলে নিপুণ কি ভুয়া কাগজ দেখিয়ে আপিল করলেন? রায় হয়েছে বলেই তো সেটার প্রমাণ দেখিয়ে আপিল করেছেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতে আমাদের শিল্পী সমিতির জন্য শপথ জরুরি না; বরং সেদিন আমাদের সভা বৈধ। সেখানে কোরাম পূর্ণ হয়েছিল।’


এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোরশেদ আলম, সাইমন সাদিক প্রমুখ।


আরো পড়ুন:


 সাকিব ইস্যুতে পাপন: যে সিদ্ধান্ত নেবো, তা কারও পছন্দ হবে না

Papun on Shakib issue: No one will like the decision I will take



সাকিব আল হাসান সত্যিকার অর্থেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিনা, বুঝে উঠতে পারছেন না নাজমুল হাসান। আইপিএলের নিলামে দল পেলে সাকিব এই ধরনের কথা বলতেন কিনা, সেই প্রশ্নও তুলছেন বিসিবি প্রধান। তার মতে, বিভিন্ন সিরিজের আগে সাকিবের খেলা নিয়ে টানাপোড়েনের কারণে ঝামেলায় পড়ছেন কোচ-অধিনায়করা।

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে রোববার দুবাই যাওয়ার আগে সাকিব বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় তিনি নেই। এই অবস্থায় ক্রিকেট খেললে দলের জন্য ক্ষতিকর ও দেশের সঙ্গে গাদ্দারি হবে বলেও মনে করেন তিনি।


সাকিবের এই বক্তব্য দেশের ক্রিকেটে নতুন করে আলোচনার ঝড় তোলে। সোমবার নিজ বাসভবনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি প্রশ্ন তোলেন সাকিবের ভাবনা জানানোর প্রক্রিয়া নিয়ে।


“ওর এসব কথাবার্তা নিয়ে আমি মোটেও বিচলিত নই। ওকে হয়তো শারীরিক ও মানসিকভাবে কিছু একটা ডিস্টার্ব করছে। সেটা হতেই পারে। ওর যদি কোনো সমস্যা থাকে, আমাদেরকে বলতে পারে। এয়ারপোর্টে যাওয়ার সময় ফোনে বলে দেওয়া, এটা হয় না।”


“সবার সঙ্গে ওর অ্যাকসেস আছে, জৈব-সুরক্ষা বলয়ও নেই। আমাদের সঙ্গে বসতে পারত সে, খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। কিন্তু হঠাৎ করে একেকটা চমক দেওয়া, এটা করে কী লাভ হচ্ছে, কেন করছে… তবে অনেকে পছন্দ করে, আমাদের দেশে অনেকে পছন্দ করে।”


মানসিকভাবে সাকিব খেলার মতো অবস্থায় নেই এই কথায় ঠিক আস্থা রাখতে পারছেন না বলেই ফুটে উঠল বিসিবি সভাপতির কথায়।

“মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে আইপিএল খেলতে চাচ্ছিল কেন? মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে তো বলতো আমি আইপিএলও খেলব না! আমি বুঝতে পারছি না, মেলাতে পারছি না। ধরুন আইপিএলে ওকে নেওয়া হলো, তখন কি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলতো? জিনিসটা আমার মাথায়ই ঢুকছে না।”

আরো পড়ুন:- সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই সংস্করণেই তাকে পাওয়া যাবে, সাকিবের কাছ থেকে এই নিশ্চয়তা পেয়েই তাকে দলে রাখা হয়। কিন্তু এরপর তার এই টানাপোড়েন। গত ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ড সফরেও শুরুতে তাকে দলে রাখার পর আবার বাইরে রাখা হয় পারিবারিক কারণে ছুটি নেওয়ায়। গত বছর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যাননি তিনি আইপিএল খেলার কারণে। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের বিরতি চেয়েছিলেন তিনি। সেবার ছুটি দেওয়া হয়েছিল শুধু ওই সফর থেকে।


বিসিবি সভাপতির মতে, সাকিবকে নিয়ে বারবার অনিশ্চয়তার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে দল সংশ্লিষ্টদের।

“ঝামেলা তো হচ্ছেই। আমাদের (বোর্ডের) কিছু হচ্ছে না, তবে ঝামেলা হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের, ঝামেলা কোচিং স্টাফদের, ঝামেলা অধিনায়কদের। অধিনায়ক আর কোচ তো জানেই না সাকিবের এই কাহিনী, আমি নিশ্চিত। খালেদ মাহমুদ সুজন এতদিন ওর সঙ্গে ছিল, সাধারণত পরিকল্পনা নিয়ে সাকিবের সঙ্গে আলোচনা করে, সুজনকে জিজ্ঞেস করলেও, সেও জানে না। আকাশ থেকে পড়েছে!”


সাকিব তার মানসিক অবস্থা বোঝাতে বলেছিলেন, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজের কোনো সংস্করণেই খেলা তিনি উপভোগ করেননি। তার এই কথায় বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন বোর্ড প্রধান।

“যে জিনিসটা আমি কিছুতেই এখন মেনে নিতে পারছি না, ঘটনাটা কী, পৃথিবীর যে কোনো ক্রিকেট খেলোয়াড়ের স্বপ্ন হলো জাতীয় দলে খেলা। যখন দল জেতে, আর সেখানে সে খেলে থাকলে, এর চেয়ে খুশির আর কিছু থাকে না। কিন্তু সাকিব বলছে, আফগানিস্তান সিরিজে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, কোনোটিই উপভোগ করেনি। আমরা যে সিরিজ (ওয়ানডে) জিতলাম, সেটাও উপভোগ করেনি। প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতলাম, তার মানে সেটিও উপভোগ করেনি? কেন!”


সাকিব বা কোনো ক্রিকেটার কোনো সংস্করণে খেলতে না চাইলে বোর্ডের কোনো আপত্তি নেই বলে দাবি নাজমুলের। তার চাওয়া, যোগাযোগ যেন পরিষ্কার থাকে।


“আমি সবাইকে ক্লিয়ার কাট বলে দিয়েছি, ও (সাকিব) যদি কোনো ফরম্যাটে খেলতে না চায়, কোনো অসুবিধা নেই। এরপর কারও কোনো সমস্যা থাকার কথা? এরপর আর এসব করা উচিত নয়। খেলতে না চাইলে খেলবে না, আমি তো মেনে নিয়েছি। কিন্তু সেটা আগেভাগে জানাতে তো হবে।”


বিসিবি প্রধান বললেন, সাকিবকে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আনষ্ঠানিকভাবে জানাতে বলা হয়েছে। এরপর বোর্ড নেবে সিদ্ধান্ত।


“মৌখিকভাবে বলে লাভ নেই, যা-ই করতে চায়, লিখিত দিক। কারণ, আগে বলেছিল খেলবে। এখন বলছে খেলবে না। এজন্যই লিখিত দরকার।”


“আমার ধারণা, ও (সাকিব) মেন্টালি ডিস্টার্বড কোনো কারণে। দুদিন সময় নিয়েছে। মাথা ঠাণ্ডা করে ভাববে। কী চায়, তা আমাদেরকে জানাবে। বোর্ড এরপর সিদ্ধান্ত নেবে।”


আরো পড়ুন:

 রাশিয়া জুড়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, প্রায় সাড়ে চার হাজার আটক


Anti-war protests across Russia, about four and a half thousand detained


রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে আবারও বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ যুদ্ধবিরোধীদের বেধড়ক পিটিয়েছে।


আজ সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ২টি ভিডিওর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিওর সত্যতা সম্পর্কে সিএনএন নিশ্চিত হয়েছে। এতে দেখা যায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সেন্ট পিটার্সবার্গের কেন্দ্রে নেভস্কি অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।


ভিডিওতে আরও দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা অ্যাভিনিউ ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। কাজান ক্যাথিড্রালের বাইরে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদেরকে বেধড়ক পেটায়।


এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ রাস্তা থেকে এক বিক্ষোভকারীকে আটকের চেষ্টা করছে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে অপর একজন এগিয়ে এলে অন্য পুলিশ সদস্য এসে সেই ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে দেন।


রাশিয়ার এসওটিএ ভিশন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অপর ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সেখান থেকে এক নারীকে আটকের চেষ্টা করছে।



আরো পড়ুন:

শনাক্তের হার কমে দুইয়ের কাছে, মৃত্যু ৪

The detection rate decreased to two, death 4



দেশে গত এক দিনে মহামারি করোনাভাইসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৬ জন। এতে শনাক্তের হার নেমেছে এসেছে দুইয়ের কাছাকাছি। গত এক দিনে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২.১৮ শতাংশ। রবিবার ছিল ২.৬৩ শতাংশ ও শনিবার ছিল ২.৯১ শতাংশ।

এ দিকে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৬ জন।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে ২০ হাজার ১৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০২ জন। মোট শনাক্তের হার ১৪.৩৮ শতাংশ।

গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ১ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৯ জনে গিয়ে দাঁড়ালো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, নতুন সুস্থ হওয়া ৩ হাজার ৫৪৬ জনকে নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৪ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গত বছরের ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো এবং ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। এছাড়া বাকি সব দিনই মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ।

 যুদ্ধে গমের দাম বাড়ায় ভারতের পোয়াবারো

India Poyaboro raises wheat prices in war



রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে হু হু করে বাড়ছে গমের দাম। আর তাতেই পোয়াবারো অবস্থা ভারতের। দামের ঊর্ধ্বগতি আর বাড়তি চাহিদার মধ্যে গম রপ্তানি বাড়াচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। চলতি অর্থবছরে রেকর্ড ৭০ লাখ টন গম রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে নয়াদিল্লি।


ভারতীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে গত শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারতের গম রপ্তানি বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত আমরা ৬৬ লাখ টন গম রপ্তানি করেছি। (অর্থবছর শেষ হতে) এখনো এক মাস বাকি। সুতরাং চলতি বছরে রপ্তানি ৭০ লাখ টন ছাড়াবে আশা করা যায়।


ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক হলেও রপ্তানিতে তাদের অংশ মাত্র এক শতাংশের মতো। দেশটির উৎপাদিত গমের সিংহভাগই ব্যবহৃত হয় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে। বাকি অংশ বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোতে যায়।


২০১২-১৩ অর্থবছরে ভারত রেকর্ড ৬৫ লাখ টন গম রপ্তানি করেছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সেই সীমা পার হয়ে গেছে দেশটি।


বিশ্বের মোট গম রপ্তানির ২৯ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্যের বাজারে রীতিমতো আগুন লেগেছে। বেঞ্চমার্ক শিকাগোর বাজারে এক সপ্তাহে গমের দাম বেড়েছে অন্তত ৪০ শতাংশ।


এ অবস্থায় যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের রপ্তানি বন্ধ আর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় গমের চাহিদা বাড়ছে। ভারতের গম রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের বিকল্প হিসেবে অনেক ক্রেতাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।


এটিকে ভারতের জন্য বড় সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির খাদ্য সচিব। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ মার্চ থেকে বাজারে নতুন গম উঠলে রপ্তানির গতি আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

 ফেনীতে ১০কেজি গাঁজা ও ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি আটক


RAB has arrested two drug dealers including Fencidil and Cannabis in Feni



ফেনীতে ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৮) ও মোঃ জসিম (৩৫) নামে দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।শনিবার ৫ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর হোছানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

 

আটককৃত মোঃ আনোয়ার হোসেন নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার পশ্চিশ সোনাদিয়া এলাকার মোঃ সেরাজুল হকের ছেলে এবং আটককৃত মোঃ জসিম  মধ্যাম সোনাদিয়া এলাকার মৃত এসহাক মিয়ার ছেলে। 


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর  হোছানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ক্যাফে হাজী মোস্তফা রেস্টুরেন্টের সামনে চেকপোষ্ট বসিয়ে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিল ও ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা।

এসময় মাদক বহনকারী কাভার্ডভ্যানটিও জব্দ করা র‍্যাব। 

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা।

 

 ফেনীস্থ র‌্যাব-৭'র কোম্পানী কমান্ডার আটকের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতরা মাদক ব্যবসায়ী, ড্রাইভিং পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবৎ কাভার্ডভ্যান যোগে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল, গাঁজা কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এনে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। এ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে উদ্ধারকৃত মালামালসহ তাদেরকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ইয়াবাসহ দুই যুবকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ 


Detective police have arrested two youths including Yaba in Chagalnaiya of Feni



ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ইয়াবাসহ মোঃ মাহমুদুল হোসেন রুবেল(২৫) ও মোঃ আবুল বসর রাজিব(২৫) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (৬ মার্চ) রাতে উপজেলার বাঁশপাড়া থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।


গ্রেফতারকৃত মোঃ মাহমুদুল হোসেন রুবেল ছাগলনাইয়ার বাঁশপাড়া'র মৃত শফিকুর রহমান বদু মিয়া ও মৃত রেজিয়া বেগমের ছেলে এবং একই এলাকার শামসুল হক ও মৃত আনোয়ারা বেগমের ছেলে মোঃ আবুল বসর রাজিব।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এসআই মোঃ জসিম উদ্দিন, এএসআই মোঃ জাকির হোসেন ও এএসআই হান্নান আল মামুন   অভিযান চালিয়ে বাঁশপাড়া বাংলাদেশ হোটেল সংলগ্ন এলাকা থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করে।

এসময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৫৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।


জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ তাদের ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নেওয়ার সময় ১৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকার সয়াবিন তেল উদ্ধার; আটক ২


Soybean oil worth Tk 16.54 lakh recovered during smuggling to India; Detention 2


ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নেওয়ার সময় সরকারি অনুমোদনহীন ৮৫৬৮ লিটার সয়াবিন তেলসহ মো. শাহজাহান (৪১) ও মো. ইসমাইল (৩২) নামে দুইজনকে আটক করেছে ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় বহনকারী কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে। রোববার ৬ মার্চ ফেনীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক এলাকা থেকে তেলসহ তাদের আটক করা হয়।


আটককৃত ব্যক্তি হলেন মো. শাহজাহান চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি জেলার দৌলতপুর এলাকার মৃত হাসি মিয়া ও মোমেনা বেগমের ছেলে, মো. ইসমাইল কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার সিকদার বিল এলাকার হাজী নুর আহম্মদ ও লায়লা বেগমের ছেলে।


ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সয়াবিন তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনীর বিসিক এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান (চট্ট মেট্রো-ট ১১-৯৫৩০) এর গতিরোধ করে উক্ত গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ব্যতীত বোতলজাত করা ৮৫৬৮ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। 

যার বাজার মূল্য প্রায় ১৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

 এ সময় গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। 

পরে উদ্ধারকৃত মালামাল ও কাভার্ডভ্যান সহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 ফেসবুকে মানবিক পোস্ট, প্রতিবন্ধী সুব্রত পাল পেল হুইল চেয়ার


Humanitarian post on Facebook, disabled Subrata Pal got a wheelchair



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পোষ্ট দেখে মানবিক সহায়তায় এক প্রতিবন্ধী ছেলে শিশুকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার (৬ মার্চ) লিটিল কেয়ার নামে একটি সংগঠন প্রতিবন্ধী শিশু সুব্রত পালের চলাফেরা করার জন্য হুইল চেয়ারটি প্রদান করা হয়। চেয়ারটি পেয়ে শিশু সুব্রত পাল স্বাভাবিক চলাফেরায় যেমন কষ্ট লাঘব হয়েছে, তেমনি খুশি তার পরিবার।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, লিটিল কেয়ার সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিক তানভীর ইসলাম তানু , মঈনুদ্দিন তালুকদার হিমেল, সোহেল রানা, সুব্রত পালের প্রতিবেশী অনুকূল গনেশ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ


সাংবাদিক তানভীর ইসলাম তানু বলেন, এখন আর প্রতিবন্ধীরা পরিবার বা সমাজের বোঝা নয়। প্রতিবন্ধীরা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রেখে যাচ্ছে।


প্রতিবন্ধী সুব্রত পালের পিতা সুবাশ পাল সকলকে  ধন্যবাদ জানান লিটিল কেয়ারের প্রতিনিধি ও সাংবাদিক তানভীরুল ইসলাম তানু সহযোগিতাকারী ব্যক্তি। শিশু সুব্রত পাল আর হামা গুড়ি দিয়ে চলাচল করবে না। সে এখন নতুন হুইল চেয়ারে চলাফেরা করবে।


উল্লেখ্য যে, প্রতিবন্ধী শিশুটিকে নিয়ে সাংবাদিক তানভীর ইসলাম তানু তার ফেসবুক ওয়ালে একটি মানবিক পোষ্ট করনে। উক্ত পোষ্টটি লিটিল কেয়ার নামে একটি সংগঠনের নজরে এলে প্রতিবন্ধি ওই শিশুর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করেন।

 তেলের দাম ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ


Oil prices are the highest in 13 years




ইউক্রেনে অভিযানকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার পর জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।

১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উঠেছে তেলের দাম।

সোমবার (৭ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।


বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত তেলের দাম এশিয়ার বাজারে ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলার ছুঁয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই জ্বালানি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তেলের দাম এই পর্যায়ে উঠেছিল।


প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়াতেই উত্তোলন করা হয়।

 বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই পথে পথে লাশ


There is no electricity, no water


ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ১১ দিনের মাথায় দেশটিতে যুদ্ধের দুর্যোগের অভিঘাত তীব্র হতে শুরু করেছে। গুলি-গোলা ও বোমার পাশাপাশি যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠেছে। পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই; পথে পথে পড়ে আছে লাশ। মরদেহ সরিয়ে নেওয়ার মানুষও যেন নেই। মারিউপোল, খারকিভ, খেরসন, ইরপিনসহ বেশ কিছু শহরে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিচ্ছিন্ন পথঘাটও মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।


সর্বাত্মক হামলায় না গিয়ে স্থল অভিযানের মাধ্যমে রাশিয়া ধীরে ধীরে ইউক্রেনের শহর-নগর ঘিরে ফেলছে। এতে করে গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হচ্ছে ইউক্রেনীয়রা। খাবার সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। বেশকিছু হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধাহত মানুষের চিকিৎসা ও ওষুধের সংকট ভয়ানক রূপ নিচ্ছে।


মারিউপোল চার লাখ মানুষের শহর। গতকাল সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো কয়েক ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ঘোষণা দেয় মস্কো-কিয়েভ। তবে কয়েক মিনিট যেতে না যেতেই কিয়েভ অভিযোগ করে, এবারও যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে আগের দিনের মতো মস্কো দাবি করেছে, বাসিন্দাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য আটকে রেখে তারাই আবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ করছে।


এর আগে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, রুশ বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিতে মারিউপোলে একটি নতুন রুট ঠিক করা হয়েছিল।


স্থানীয় সময় গতকাল দুপুর থেকে এটি কার্যকর হয়। মারিউপোলে মানবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক রেড ক্রস জানিয়েছে, ঠিক কত সময়ের জন্য, কোন পথে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা হবে- তা নিয়ে দু'পক্ষ একমত হতে পারছে না। ফলে তা ব্যর্থ হচ্ছে। কিছু মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের মতো কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে তারা।


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, 'রুশ বাহিনী এখন বন্দর শহর ওডেসায় গোলাবর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।' বন্দরটি রুশ দখলে চলে গেলে সমুদ্রপথ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে কিয়েভ। তখন দুর্যোগের সীমা থাকবে না। এর কয়েক ঘণ্টা পর এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি দাবি করেন, কিয়েভের দক্ষিণ-পশ্চিমে ভিনিৎসিয়া বিমানবন্দর গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনারা। এ অবস্থায় ইউক্রেনের আকাশে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার জন্য পশ্চিমা নেতাদের প্রতি ফের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।


রাজধানী কিয়েভ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট শহর ইরপিনে শুধু বিস্ম্ফোরণের শব্দ। রাশিয়ার যে বিশাল সামরিক বহর কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সেটির সামনের অংশ এই শহরের কাছে অবস্থান করছে। শহরটির ওপর ব্যাপক গোলাবর্ষণ হচ্ছে, বিমান হামলা চলছে। এর মধ্যেই প্রাণ বাঁচাতে শিশু-বৃদ্ধদের নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা ঘর ছেড়েছেন। বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত একটি ব্রিজের নিচে গতকাল জটলা পাকানো মানুষ দেখা গেছে। পাশেই একটি রাস্তার ওপর পড়ে আছে দু'জনের লাশ। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত শনিবার পালানোর সময় গুলিতে নিহত হন তারা। সেই থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত সেখানেই পড়ে ছিল মরদেহ দুটি।


ইরপিনে ভবনের বেজমেন্ট, আন্ডারগ্রাউন্ড ও বাঙ্কারে অবরুদ্ধ থাকা মানুষ এখন ভয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, পালানোর সময় এক পরিবারের চারজন গুলি অথবা গোলায় নিহত হয়েছে। বাড়ির সামনে তাদের নিথর দেহ পড়ে আছে। লাশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তা প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। ইরপিনের বাসিন্দা বিবিসির ইউক্রেনের সাংবাদিক ভিক্টোরিয়া প্রিসেদস্কায়ার ৭৩ বছর বয়সী বাবা বলেছেন, 'ঘর থেকে উদ্ধারকারী গাড়ির দিকে যাওয়ার মুহূর্তেও আমাদের ওপর গোলা ছোড়া হয়েছে।'


ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ ও সামি শহরেও গতকাল মুহুর্মুহু বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মারিউপোলের মতো সামিও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা ঘরবন্দি।


ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ওডেসাসহ বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া ভারতীয় শিক্ষার্থীরা প্রতিটি মুহূর্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পার করছেন। খাবার পানির অভাবে রাস্তায় জমে থাকা বরফখণ্ড কুড়িয়ে তা গলিয়ে তেষ্টা মেটাচ্ছেন তারা।


নিহত ও শরণার্থী: জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা গতকাল জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, মলদোভা, রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বেশি শরণার্থী দেখল ইউরোপ। এ ছাড়া শনিবার পর্যন্ত বেসামরিক মানুষ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৮। সব মিলে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে।


প্রবাসে ইউক্রেন সরকার গঠনের উদ্যোগ: প্রবাসে ইউক্রেন সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা। রুশ বাহিনী দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে নিলেও যাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া যায়, সে জন্য এ উদ্যোগ। যুক্তরাষ্ট্রসহ এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করা কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।


যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারে: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সুরে তার ডেপুটি ডোমিনিক রাব গতকাল বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বহু বছর ধরে না হলেও বহু মাস ধরে চলতে পারে। এর আগে জনসনও একই রকমের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন। গতকাল পুতিনকে থামানোর কৌশল হিসেবে পশ্চিমা নেতারা ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছেন। তাতে কূটনৈতিকভাবে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে যুদ্ধের অবসানে কোনো নির্দেশনা নেই। ফলে এই যুদ্ধ যে দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে, এ থেকে তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

বাইডেন, বেনেট ও মাস্কের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ও বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তারা সবাই তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে ইউক্রেনকে এক হাজার কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার একটি প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে পাঠিয়েছেন বাইডেন।


পুতিন-মাখোঁ বৈঠক: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ফোনে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন। মাখোঁকে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বা সমঝোতা- যে উপায়েই হোক, রাশিয়া তার লক্ষ্যে পৌঁছাবে। এ সময় জারোপিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পুতিন বলেন, পরমাণু সন্ত্রাসের ধুয়া তুলে বিশ্বকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কাতে চাইছেন জেলেনস্কি।


তৃতীয় দফার বৈঠক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আজ বেলারুশে তৃতীয় দফায় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার আলোচনার অগ্রগতির ভিত্তিতে এই দফায় বরফ আরেকটু গলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র :বিবিসি, আলজাজিরা, সিএনএন ও স্পুটনিক নিউজ।


আরো পড়ুন:

 ইউক্রেনের ৪ শহরে রাশিয়ার অস্ত্রবিরতি ঘোষণা


Russia declares ceasefire in 4 Ukrainian cities



ইউক্রেনে হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পর চারটি শহরে সাময়িক অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে এসব শহরে মানবিক করিডোর চালু করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই চারটি শহর হলো রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপোল ও সুমি।


রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম ইন্টারফেক্স জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মস্কোর সময় সোমবার সকাল ১০ টা থেকে কার্যকর হবে এ ঘোষণা। 

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুেয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত অনুরোধ এবং চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মানবিক করিডোর খোলা হচ্ছে কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপোল ও সুমি শহরে।


রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই।


সূত্র: আল-জাজিরা

 সাকিব:দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়


Shakib: It is not possible to play in South Africa series



নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো উপযুক্ত মনে করছেন না সাকিব আল হাসান। এই মুহূর্তে নিজেকে তার মনে হচ্ছে ‘প্যাসেঞ্জার’, উপভোগ করতে পারছেন না ক্রিকেট। এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই মনে করছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দুবাই যাওয়ার আগে রোববার রাতে বিমানবন্দর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব বলেন, ক্রিকেট বোর্ডকে তিনি নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন। বোর্ড থেকে তাকে বলা হয়েছে আরও দু-একদিন ভাবতে।


এই মাসের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিবের টেস্ট খেলা নিয়ে সংশয় ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। আইপিএল খেলার জন্য তিনি টেস্ট থেকে ছুটি চেয়েও রেখেছিলেন। আইপিএলের নিলামে তাকে নেয়নি কোনো দল। তাতেও কাটেনি তাকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা। পরে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ দিনে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান তার সঙ্গে কথা বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলবেন সাকিব।


পরে সাকিবকে রেখেই ঘোষণা করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের টেস্ট ও ওয়ানডে দল। সেই দল ঘোষণার তিন দিন পরই নতুন মোড় নিল ঘটনা। দুবাই যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাকিব বললেন, এই মুহূর্তে খেলার মতো অবস্থায় নেই তিনি।


“আফগানিস্তান সিরিজে মনে হয়েছে যে আমি একজন প্যাসেঞ্জার। আমি যা হয়ে কখনোই থাকতে চাই না। আমি খেলা একদমই উপভোগ করতে পারিনি। পুরো সিরিজই, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে। আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু হয়নি। আমার কাছে মনে হয় না, এরকম মন-মানসিকতা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলা আমার উচিত হবে।”


“এই কথা আমি জালাল ভাইয়ের (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান) সঙ্গেও আলাপ করেছি আজকে। জালাল ভাই বলেছেন, দুদিন তিনি চিন্তা করবেন, আমাকেও চিন্তা করার সময় দিয়েছেন। তার পর সিদ্ধান্ত একটা নেওয়া উচিত বা হবে বলে আমি মনে করি।”


সাকিবের মতো, নিজের সঙ্গে জোর করে খেলতে নামলে কারও জন্যই তা ভালো ফল বয়ে আনবে না।

“এখনও পর্যন্ত আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে, এরকম যদি মন-মানসিকতা থাকে, এরকম শারীরিক ও মানসিক অবস্থা থাকে, তাহলে দলের জন্যই তা ক্ষতিকর। নিজের প্রতি নিজের যে প্রত্যাশা, মানুষ যা প্রত্যাশা করে পারফরম্যান্স, সেটা যদি করতে না পারি, সেখানে প্যাসেঞ্জার হয়ে থাকাটা খুবই দুঃখজনক হবে, সতীর্থদের সঙ্গে প্রতারণা করার মতো ব্যাপার হবে বলেই মনে করি।”


বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসানের সঙ্গে আলোচনায় সফরে যেতে রাজি হওয়ার কথা স্বীকার করছেন সাকিব। তবে পরে বদলে গেছে তার মনোভাব। সফরের কোনো একটা অংশে যাওয়ার সম্ভাবনাও অবশ্য খোলা রাখছেন তিনি।


“পাপন ভাইয়ের (নাজমুল হাসান) সঙ্গে কথা হয়েছিল, রাজিও হয়েছি যে পুরো সিরিজ খেলব। কিন্তু এখন যে মানসিক ও শারীরিক কন্ডিশন দেখছি, আমার কিছু সময় দরকার বলে আমি মনে করি। সেটা হবে পারে, ওয়ানডে সিরিজে বিরতি নিয়ে যদি টেস্ট সিরিজ খেলি, তুলনামূলক ভালো শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় হয়তো থাকতে পারব। সেটা হতে পারে।”


“তবে এগুলো আসলে আলোচনার ওপর নির্ভর করবে যে কী করলে ভালো হয়। তবে আমার বর্তমান অবস্থা এটা। আমি মনে করি, যদি এই অবস্থায় খেলতে যাই, আমার সতীর্থদের ও দেশের সঙ্গে প্রতারণা করার মতোই ব্যাপার হবে, যা আমি অবশ্যই চাই না।”


সাকিবের চাওয়া, শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরো প্রস্তুত হয়েই মাঠে নামা। নইলে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে বলে মনে করেন তিনি।


“আমি চাই যে, যখনই খেলব, লোকে যেভাবে প্রত্যাশা করে, নিজের প্রতি নিজের যে আশা, দল যেভাবে চিন্তা করে, সেভাবে যেন পারফর্ম করতে পারি, সেই অবস্থায় যেন যেতে পারি। হ্যাঁ, কোনো গ্যারান্টি নেই যে, সেরা অবস্থায় খেলতে নামলেও পারফর্ম করব, তবে অন্তত এটা জানতে পারব যে দেশের হয়ে পারফর্ম করার জন্য সম্ভাব্য সেরা অবস্থায় আছি। কিন্তু আমি যদি জানিই যে আমার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেখানে সময় নষ্ট করা ও অন্য একটা জায়গা নষ্ট করা এবং দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে গাদ্দারি করার মতোই বিষয় বলে আমি মনে করি।”

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান কদিন আগে সংবাদমাধ্যমকে জানান, টেস্ট ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের বিরতি চেয়ে বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলেন সাকিব। বোর্ড যদিও তাতে সায় দেয়নি। তবে সাকিব দাবি করলেন, বোর্ডপ্রধানের দেওয়া তথ্যে ভুল আছে কিছুটা।


“আমি মিডিয়ায় জেনেছি যে, বোর্ডে আমি যে চিঠি দিয়েছিলাম ৬ মাসের জন্য (বিরতি চেয়ে)… আসলে এটা ৬ মাসের জন্য ছিল না। এটা ছিল এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত, সেটা হচ্ছে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমি কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলব না। আমি চাচ্ছিলাম যে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, পুরো সাদা বলে মনোযোগ দিতে, যেহেতু পরপর দুই বছর দুটি বিশ্বকাপ আছে।”


“আমার বিশ্বাস ছিল, এই দুইটা বিশ্বকাপে আমাদের বড় কিছু করা সম্ভব। এ কারণে ওখানে পুরো ফোকাস করতে চাচ্ছিলাম। তার মানে এই নয় যে আমি টেস্ট ক্রিকেট পুরোপুরি ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। টেস্ট ক্রিকেটে যেহেতু দলের ভারসাম্য তৈরি হচ্ছে এখন, আমার কাছে মনে হয়েছে, যদি আমি সাদা বলে মানোযোগ দেই, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে, বয়স, ফিটনেস সবকিছু নিয়ে হয়তো আরও ভালো করতে পারতাম।”


গত বছর থেকে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির আগে জানতে চাওয়া হয়, কোন সংস্করণে তারা বছরজুড়ে খেলতে আগ্রহী। এবার এখনও পর্যন্ত বোর্ড থেকে তা জানতে চাওয়া হয়নি বলেই দাবি করলেন সাকিব। দুবাই যাওয়ার আগে বলে গেলেন, পুরো চিত্র স্পষ্ট করে তুলে ধরতেই এত কিছু বলে যাচ্ছেন তিনি।


“আমি আসলে এখন ক্রিকেট খেলার অবস্থায় নেই। এটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি এলে অবশ্যই চাইব ক্রিকেট খেলতে। সবকিছু নির্ভর করছে আসলে বিসিবি বা আমাদের দুই জায়গা থেকে আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর একটা পরিস্থিতি তৈরি করা, যেখানে গেলে আমার জন্য ভালো হবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও ভালো হবে।”


“আমি ক্লিয়ার থাকতে চাই। অনেক সময় অনেক মিসকমিউনিকেশন, মিসপারসেপশনের কারণে মিসলিডিং কিছু তথ্য মানুষের কাছে যায়, যেটায় লোকে বিভ্রান্ত হয়। আমি চাই না ওই ব্যাপারগুলো হোক। এজন্যই এটা ক্লিয়ার করে গেলাম।”


দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে আগামী শুক্র ও শনিবার দুই ভাগে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল।

 ইউক্রেন যুদ্ধের ১১তম দিনে যা ঘটেছে 


What happened on the 11th day of the Ukraine war


ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। রোববার (৬ মার্চ) ১১তম দিনে যুদ্ধ গড়িয়েছে।

যুদ্ধে দুই পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অন্তত ১৫ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।  

যুদ্ধের ১১তম দিনে কী ঘটেছে, বিবিসির প্রতিবেদন অবলম্বনে নিচে দেওয়া হলো:


*ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের অবরুদ্ধ শহর মারিওপোল থেকে আটকে পড়া বেসামরিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো চেষ্টা চলছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন রুট ঠিক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় এটি খোলার কথা। তবে বাস্তবে সেখানে কী ঘটছে তা পরিস্কার নয়।


*শনিবার রুশ বাহিনীর হামলার মুখে এরকম একটি উদ্ধার অভিযানের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছিল।


*ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, রুশ বাহিনী এখন বন্দর শহর ওডেসায় গোলাবর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আশঙ্কা করছেন সেখানে এক ‘ঐতিহাসিক অপরাধ’ সংঘটিত হতে যাচ্ছে।


*রাশিয়ার যুদ্ধ কমান্ড যে এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রন্টের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশদের লক্ষ্য ইউক্রেনকে কৃষ্ণসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা।


রাজধানী কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমেও তীব্র লড়াই চলছে। ইরপিন নামের একটি ছোট শহর তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছে। রাশিয়ার যে বিশাল সামরিক কনভয় কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সেটির সামনের অংশ এই শহরের কাছে। শহরটির ওপর তীব্র গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে, বিমান হামলা চলছে।


*পূর্বদিকে খারকিভ এবং সুমি শহরেও নতুন করে বোমা হামলা চলছে।


*ইউক্রেন থেকে এপর্যন্ত পনের লাখের বেশি মানুষ পালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত দশ দিনে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।


*প্রায় ৩ হাজার আমেরিকান ইউক্রেনের পক্ষ হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।  


*যুক্তরাজ্যের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, এই সংঘাত বহু বছর ধরে না হলেও বহু মাস ধরে চলতে পারে বলে আশঙ্কা আছে।


*যুদ্ধ থামাতে রোববার ‘দুটি শর্ত’ জুড়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা জানান তিনি। ক্রেমলিন জানায়, মস্কোর দাবি মেনে নিলে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করলেই কেবল রাশিয়া পিছু হটতে পারে। এছাড়া এই যুদ্ধ থামবে না।


রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় অন্তত ১ হাজার ১০০ রুশকে আটক করা হয়েছে।  


*রাশিয়ায় সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাপী লেনদেনের মাধ্যম ভিসা ও মাস্টারকার্ড। এই সিদ্ধান্তের পর রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাংক চীনা প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিয়নপে’ কার্ড অপারেটর সিস্টেম ব্যবহার করে অর্থ লেনদেনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

 ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে যেভাবে বদলে গেছে বিশ্ব


The way the world has changed on the Ukraine-Russia issue


ইউক্রেনে পুরোদস্ত্তর সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। রবিবার রুশ বাহিনী টানা ১১ দিনের মতো হামলা অব্যাহত রাখে। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে বোমা হামলা চলছে। রুশ সেনা হামলা শুরুর পর যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারিয়েছে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষ। লাখ লাখ মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত। ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সর্বোচ্চ।


এই হামলা ইউক্রেনকে যেমন বিধ্বস্ত করছে তার প্রভাব তেমনি পড়ছে বিশ্বেও। কায়রো থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত খাদ্যের ও জ্বালানির দামে প্রভাব ফেলেছে রাশিয়ার এই আগ্রাসন। এই হামলা বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। গতকাল মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার ভাবে বিশ্বকে বদলে দিয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা।

প্রথমত, ‘ওয়ার্ল্ড অর্ডার’ বদলে দিয়েছে রুশ হামলা। এই হামলা ৯/১১ মার্কিন হামলার পর যে ভূ-রাজনৈতিক ওয়ার্ল্ড অর্ডার ছিল তাতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী হামলার পর পশ্চিমা নেতাদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ ছিল বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদে। আল-কায়েদা এবং আইসিস ছিল অভিন্ন শত্রু যাদের দমন করা জরুরি ছিল।

কিন্তু ক্রেমলিনকে কখনো আগের মতো হুমকি হিসেবে দেখেনি পশ্চিমা বিশ্ব। ২০১২ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর ভূ-রাজনৈতিক শত্রু বলে দাবি করেছিলেন। যে কারণে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে নিয়ে উপহাস করেছিলেন। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে স্নায়ু যুদ্ধ পরবর্তী অর্ডার বদলে দিতে চান সে আগ্রহ তখনো দেখিয়েছিলেন।

২০০০ সালে সাবেক কেজিবি গোয়েন্দা কর্মকর্তা পুতিন দায়িত্ব নেওয়ার সময় রাশিয়ার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে-পরে চেচনিয়া, জর্জিয়াতে তিনি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেছেন। সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ এখনো তার সহায়তায় টিকে আছেন। ২০১৪ সালে পুতিন সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে নিজেদের ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেন। এরপরও কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ‘প্লেয়ার’ হিসেবে থেকে যান পুতিন।

রাশিয়া আইসিস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ছিল। তারা ইউরোপের শীর্ষ জ্বালানি সরবরাহকারী এবং ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে তাদের সহায়তা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানে সব শেষ হয়ে যেতে পারে। ইউরোপে পুতিন এখন ‘অস্পৃশ্য’ মানুষে পরিণত হতে পারেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার স্টেট অব দি ইউনিয়ন ভাষণে বলেছেন, এখন পুতিন যে কোনো সময়ের থেকে বেশি বিচ্ছিন্ন।


দ্বিতীয়ত, এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ। ইউক্রেনে হামলার পর পশ্চিমা বিশ্ব এক হয়ে রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে ভেঙে পড়তে পারে রুশ অর্থনীতি। ইউরোপে এ ধরনের ঐক্য কয়েক সপ্তাহ আগেও ভাবা যায়নি। এই যুদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে সহায়তা করেছে। এই জোট তাদের অর্থনৈতিক শক্তিকে ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করছে। রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে। এই জোট প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র কিনতে অর্থ দিচ্ছে। জার্মানি যারা দীর্ঘদিন ধরেই পররাষ্ট্রনীতি থেকে সামরিক বিষয়টি আলাদা রেখেছিল, তারা এখন ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা তাদের সামরিক ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা শক্তিশালী করতে।


তৃতীয়ত, শরণার্থী জোয়ার। ইউক্রেনে ১১ দিনের সামরিক অভিযানের মাথায় বাস্তুচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়েছে ১৫ লাখের বেশি মানুষ। এটি সাম্প্রতিকালের মধ্যে দ্রুত ও সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের দেশ ছাড়ার ঘটনা। ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মতে, আরো খারাপ সময় আসছে। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ইউরোপ নজিরবিহীন শরণার্থী সংকটের মুখে পড়বে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্হার হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডির মতে, গত ৪০ বছরে এমন শরণার্থীর ঢল তিনি খুব কমই দেখেছেন।

চতুর্থত, বিশ্বে খাদ্য থেকে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৫ সালে হ্যারিকেন ক্যাটরিনার পর গ্যাসের দাম এখন সর্বোচ্চ। গত বছরে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে।


বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, খাদ্যপণ্যের দাম আরো বাড়বে। মুডিস বলছে, করোনার কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ইতিমধ্যে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে আরো বিশৃঙ্খলা বাড়তে পারে এই যুদ্ধের কারণে। বিশ্বে শেয়ার বাজারগুলোতে অস্হিরতা চলছে। জ্বালানির কথা চিন্তা করলে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান মানবিক ও আর্থিক সংকট ডেকে আনবে। কারণ ইউরোপ জ্বালানির জন্য অনেকাংশে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এখন রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করলে দুর্ভোগে পড়তে হবে ইউরোপকে। সেটা না হলেও রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি পাওয়া তাদের জন্য আর সস্তা ও সহজ হবে না।


ইউক্রেনকে ইউরোপের ‘ব্রেডবাস্কেট’ বলা হয়। এই যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। কারণ ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ইউক্রেনের তৃতীয় সর্বোচ্চ গম ক্রেতা ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget