নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে দলীয় সরকারের সুবিধাভোগী ও রাজনৈতিক দলের চিহ্নিত ব্যক্তিদের বাদ রাখতে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজন। তারা সবার কাছে আস্থাভাজন কমিশন গঠনের বিষয়ে জোর দিয়েছেন, যারা ভালো নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটির নামের তালিকা পাঠানোর আগে তা জনসমক্ষে প্রকাশের প্রস্তাব দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস মিলনায়তনে সার্চ কমিটির সঙ্গে দুই দফা বৈঠকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন বিশিষ্টজন। নতুন ইসিতে নারী, সংখ্যালঘু ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের রাখার পরামর্শও এসেছে কয়েকজনের কাছ থেকে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার বাছাইয়ের লক্ষ্যে গতকাল দুই দফায় শিক্ষক, আইনজীবী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অধিকারকর্মীসহ ২৫ জনের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি।
প্রথম পর্বে সকাল সোয়া ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা এবং দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বৈঠক হয়। সার্চ কমিটির প্রধান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বিশিষ্টজন সার্চ কমিটির কাছে পাঁচটি বিষয় প্রাধান্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখনও মতামত দেয়নি, তাদের এ প্রক্রিয়ায় আনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এই বিশিষ্টজন বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হলে সার্চ কমিটিকে যোগ্য এবং বিতর্কমুক্ত ব্যক্তিদের দিয়ে ইসি গঠন করতে হবে। প্রথম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক বিচারপতি মুনসুরুল হক চৌধুরী, ব্যরিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, নির্বাচন কমিশন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ ও ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান।
দ্বিতীয় বৈঠকে অংশ নেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ, জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মোজাম্মেল বাবু, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, এনটিভির বার্তাপ্রধান জহিরুল আলম ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক স্বদেশ রায়। এ ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সার্চ কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সাচিবিক সহায়তা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠক শেষে আলী ইমাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় সরকারের সময় বিশেষভাবে সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন কমিশনে স্থান না পায়, সে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি রাজপথে দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলন করবে, সেটা তাদের অধিকার। তবে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে না বসে ঠিক করেনি। এখন সার্চ কমিটির সঙ্গে তাদের বসা উচিত। আবার বিএনপির সঙ্গেও কথা বলতে হবে সার্চ কমিটিকে।
অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, সার্চ কমিটি যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে, তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হতে হবে- তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হন। আমলা বা যে কোনো পেশা থেকে নাম আসতে পারে। তবে তাদের স্বচ্ছ ও সৎ থাকতে হবে। অর্থের মোহ যেন তাদের না থাকে।
বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন- এটিই সর্বাগ্রে আলোচনা হয়েছে। সবাই এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
এ. কে. আজাদ বলেন, সার্চ কমিটিকে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে হবে। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে ৫ জনকে নিয়ে ইসি গঠন করবেন। তাই সার্চ কমিটির দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অবশ্যই যোগ্য ও বিতর্কমুক্তদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে হবে। এর আগে নামগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বৈঠকে আমরা প্রত্যেকে আলাদাভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তার মধ্যে বেশিরভাগ বলেছেন, যারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পাবেন তারা যেন আগের কোনো সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাভোগী না হন। বিশেষ করে এ নির্বাচন কমিশনে যারা আসবেন, তাদের যেন অবশ্যই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো একটি মানসিকতা থাকে, সাহসিকতা থাকে, ব্যক্তিত্ব থাকে।
তিনি বলেন, 'অনুসন্ধান কমিটি মন দিয়ে সবার কথা শুনেছে। এখন আমাদের কথা কতটুকু রাখবে, সেটি নাম প্রকাশ করার পর বোঝা যাবে। তবে আমরা (প্রথম বৈঠক) কেউ কোনো নাম প্রস্তাব করিনি। আমরা শুধু বলেছি- কীসের ভিত্তিতে নেওয়া উচিত বা উচিত না।'
মোজাম্মেল বাবু বলেন, রাজনৈতিক বিভাজনের এই সময়ে শতভাগ বিতর্কমুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন কঠিন। তবুও চেষ্টা করতে হবে কোনো বিতর্কিত লোক যেন কমিশনে না আসে। যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তাদের নাম যেন কয়েক দিন আগেই গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এতে নামগুলো নিয়ে জনগণের প্রতিক্রিয়া জানা যাবে।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে সেটা যেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়। নির্বাচন কমিশন গঠনে যারা থাকবেন; ব্যক্তি বাছাইয়ে যেন এ কাজগুলো তারা করেন।
সাইফুল আলম বলেন, 'সার্চ কমিটি যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে, তারা যেন সাহসী, সৎ, যোগ্য এবং নির্লোভ ব্যক্তি হন। যারা আস্থার জায়গায় আছেন তাদের নাম যেন প্রস্তাব দেওয়া হয়। এমনভাবে নতুন কমিশন গঠন করা হোক, যেন কমিশন গঠন হওয়ার পর কমিশনারদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব না থাকে।'
ড. গোলাম রহমান বলেন, বিএনপি আলোচনায় না গিয়ে বাইরে থেকে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করছে। কিন্তু বাইরে থেকে সমালোচনা করলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই আমরা বলেছি, তাদের যেন এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকেও বৈঠকে বলেছি, আপনি উদ্যোগ নেন তাদের (বিএনপি) নিয়ে আসার জন্য। তারা অন্তত এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হোক।
শ্যামল দত্ত বলেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে এমন একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। এ ক্ষেত্রে যে কোনো নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হয় সংখ্যালঘুরা। তাই আমরা বলেছি তাদের থেকে প্রতিনিধি নিতে; গণমাধ্যম এবং সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী থেকে প্রতিনিধি নিতে।
আবেদ খান বলেন, বিভক্ত রাজনীতির পরিবেশে একতা তৈরি করা একেবারে মুশকিল। সমাজ ও রাজনীতির একটি অংশ যখন এ প্রক্রিয়ার বাইরে, তখন সার্চ কমিটির দায়িত্ব জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা তালিকা প্রকাশ করা। যাদের তালিকা করা হবে তাদের নাম যেন অন্তত কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ সেটা দেখতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তা জানাতে পারবে।
পুলিশ ও প্রশাসনে না গিয়ে বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাহিত্যিক এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ১০ জনের নাম রাখার জন্য সার্চ কমিটিকে আহ্বান জানিয়েছেন- উল্লেখ করে আবেদ খান বলেন, গণমাধ্যম থেকেও দু-একজনকে রাখার জন্য বলেছি। কারণ গণমাধ্যম নির্বাচন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখে।
বৈঠক সূত্র জানায়, নাম প্রকাশের ব্যাপারে সার্চ কমিটিও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে।
বৈঠকে যারা অংশ নেননি: আমন্ত্রণ পেলেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি, দেশের বাইরে থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ১১ জন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। তারা হলেন- (প্রথম বৈঠক) সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন।
দ্বিতীয় বৈঠকে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন (দেশের বাইরে), চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন অংশ নেননি।
তালিকায় তিন শতাধিক নাম: মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, একই নাম একাধিক তালিকায় আছে। তবে প্রাথমিকভাবে ৩২৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ১৩৬টি, পেশাজীবীদের কাছ থেকে ৪০, ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে ৩৪ এবং ই-মেইলসহ অন্যান্য পর্যায় থেকে ৯৯টি নাম এসেছে।
বৈঠকেও তালিকা: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বৈঠকে অংশ নিয়ে আটজনের নাম প্রস্তাব করেছেন। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনের নাম প্রস্তাব করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাব করেছেন সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, সাবেক সচিব শওকাত আলী, খালেদ শামস, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সাবেক আইন সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম। এ ছাড়াও বৈঠকে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও সাংবাদিক স্বদেশ রায়ের নামও বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ দ্বিতীয় দিনের বৈঠক: পেশাজীবী ও বিশিষ্টজনের সঙ্গে আজ সার্চ কমিটির দ্বিতীয় দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আজ ২০ জনকে বৈঠকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস কনফারেন্স মিলনায়তনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব,) সাখাওয়াত হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, আব্দুল মোবারক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, কবি মহাদেব সাহা ও প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনীর।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। পরদিন ওই কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যার ধারাবাহিকতায় কমিটির এ বৈঠক চলছে।