Latest Post


সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিরসনে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েন বিষয়ে জানাতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। 

রোববার রাতে এ আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর- বিবিসি।


বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সীমান্তে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তা উপেক্ষা করেছে রাশিয়া। ফলে রাশিয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পেতে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।


দিমিত্র কুলেবা জানান, ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার (ওএসসিই) সদস্যরা নিরাপত্তা ইস্যুতে ভিয়েনা চুক্তিতে সই করেছে। ওই সংস্থার সদস্য রাশিয়াও। সে জন্য ভিয়েনা চুক্তি অনুসারে ইউক্রেন শুক্রবার রাশিয়ার কাছে সীমান্তে সেনা মোতায়েন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দাবি করেছে।


তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া যদি ওএসসিই এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তা হলে তাদের অবশ্যই উত্তেজনা নিরসনে সামরিক স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে এবং সবার নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করে কার্যত দেশটির তিন দিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া। স্যাটেলাইটের চিত্রে দেখা গেছে, এরই মধ্যে ইউক্রেনের তিন দিকে অর্থাৎ বেলারুশ, ক্রিমিয়া ও পশ্চিম রাশিয়ায় ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে মস্কো। তবে দেশটিতে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়ে আসছে রাশিয়া।

আরো পড়ুনঃ উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়াকে যে হুঁশিয়ারি দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে। যে কোনো মুহূর্তে রাশিয়া দেশটিতে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ১২টিরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ তাদের দূতাবাসকর্মীদেরও সরিয়ে নিয়েছে।


তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘ভীতি’ ছড়ানোর সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।


ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার ওপর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার ওপর ‘ধ্বংসাত্মক’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার ফোনালাপ থেকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো সমাধান না আসায় শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা ডেরেক চোলেট এই হুঁশিয়ারি দেন।


তবে ইউক্রেন সংকট নিরসনে এখনো কূটনীতিক সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। 


এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তের তিন দিকেই ঘিরে রেখেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা ও ইউক্রেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, ইউক্রেনে খুব দ্রুত সময়ে হামলা চালাবে রাশিয়া।


এর মধ্যে ক্রিমিয়ায়, দুই দেশের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার অংশ এবং উত্তরে বেলারুশে সেনা শক্তি বাড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।


ইউক্রেইন এবং পশ্চিমা গোয়েন্দারা এ তিন এলাকাকে রণক্ষেত্র হিসেবে নজরে রাখছেন। এর প্রত্যেকটি এলাকাতেই রুশ সামরিক বাহিনীর অবস্থান পরিবর্তন চিহ্নিত করা হয়েছে।


যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করা হয়, সেটি কোথা থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি পয়েন্টে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছে। ক্রিমিয়ার দক্ষিণে, দুদেশের সীমান্তের অংশে ও বেলারুশের দক্ষিণে।


২০১৪ সালে রাশিয়া তাদের ভূখণ্ডে উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে যুক্ত করে। এই দ্বীপ এখন ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। তবে এটি নিশ্চিত নয় যে, মস্কো ক্রিমিয়া থেকে আদৌ ইউক্রেনে হামলা করবে কিনা, তবে সম্ভাবনা রয়েছে।


বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও বেলারুশ যৌথ সামরিক মহড়াও শুরু করেছিল। এটি ইউক্রেনে হামলার আরও সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল।


ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো। অসমর্থিত সূত্রের বরাতে আসন্ন যুদ্ধের খবর দিয়ে বড় বড় সংবাদ করেছে তারা। সীমান্তে সেনা মোতায়েন মস্কোর নিয়মিত মহড়ার অংশ হলেও সম্ভাব্য আক্রমণের তারিখ ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমারা। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে যত না মানুষ উত্তেজিত হয়েছে, তার চেয়ে বেশি সংবাদের হেডলাইনে আতঙ্কিত হয়েছে বিশ্ব। তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই একের পর এক গুজব প্রচার করেছে তারা। সর্বশেষ শুক্রবার ভুয়া তথ্য দিয়ে যুদ্ধের তারিখ প্রচার করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। যদিও শুরু থেকেই এসব খবর মিথ্যা বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া।


শুক্রবার ব্লুমবার্গ অসমর্থিত তথ্যের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে জানায়, আগামী মঙ্গলবার নাগাদ সামরিক অভিযান শুরু হতে পারে। ডনবাস অঞ্চলে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে কিয়েভে হামলা হতে পারে। যদিও সেনা মোতায়েনের শুরু থেকে রাশিয়া বলে আসছে, তাদের হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ থেকে মনে হচ্ছে যুদ্ধ আসন্ন। খবর আরটি ও সিএনএনের।

এ সংবাদের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা ওই সংবাদমাধ্যমের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ইউক্রেনে মস্কোর আসন্ন হামলার খবরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় গুজব প্রচারের অংশ।


টেলিগ্রাম চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের বায়বীয় অভিযোগ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য এই অঞ্চলে যে কোনো মূল্যে তাদের একটি যুদ্ধ দরকার, সেটি উস্কানি, গুজব বা হুমকির মাধ্যমে হতে পারে। আমেরিকার সামরিক-বেসামরিক ব্যবস্থাপনা এখন বহু মানুষের জীবন নেওয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। বিশ্ব দেখছে তাদের সামরিকায়ন, ব্লুমবার্গের মাধ্যমে এই প্রোপাগান্ডার সঙ্গে তার সংযোগ করছে তারা।


জাকারোভা বলেছেন, যা ঘটছে তার যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াতে ব্যস্ত রয়েছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা।


এর আগে শুক্রবার ব্লুমবার্গের ওই খবর প্রকাশিত হয়। ২৪ মিনিট ধরে চলার পর ওই সংবাদের শিরোনাম পরিবর্তন করে তারা। পরে সেখানে উল্লেখ করে, ইউক্রেনে আক্রমণ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। যদিও শেষে ওই নিউজ প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ এবং বাধ্য হয়ে ক্ষমা চায় তারা।


এর আগে ডের স্পাইজেল ও পলিটিকোর ন্যাটসেক ডেইলির সংবাদেও হামলার তারিখ প্রকাশ করা হয়েছিল। মূলত জানুয়ারি থেকে কয়েক দফায় এই সংবাদমাধ্যমগুলো যুদ্ধ শুরুর তারিখ প্রকাশ করেছে। তবে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। তারা বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রের বরাতে এসব খবর প্রকাশ করে।


গত বছরের শেষ দিকে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের পর মস্কোর বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসনের পরিকল্পনার অভিযোগ তুলে আসছে পশ্চিমারা। তবে রাশিয়া শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার অনুমতি দেবে না তারা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে কখনও ওই জোটের সদস্য হতে না পারে দেশটি তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের লিখিত প্রতিশ্রুতি চায় মস্কো। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যে কোনো মুহূর্তে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে।


আইপিএল নিলামের (IPL 2022 Auction, Day 1) প্রথম দিনের শেষে ৭৪ জন ক্রিকেটার দল পেয়েছিলেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মিলিত খরচ হয়েছিল ৩৮৮ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। সবচেয়ে দামে বিক্রি হয়ে খবরে শিরোনামে এসেছিলেন কিশান (Ishan Kishan)। ১৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে ফের কিনে নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে চেন্নাই সুপার কিংস নিলাম যুদ্ধে জিতে ফের দলে নিয়েছে দীপক চাহারকে (Deepak Chahar)।


চাহারকে চেন্নাই দিচ্ছে ১৪ কোটি টাকা। ঘটনাচক্রে তিনি ক্যাপ্টেন ও কিংবদন্তি এমএস ধোনির থেকে পাচ্ছেন ২ কোটি টাকা বেশি। অন্যদিকে ঈশান প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন আইপিএলের সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন রোহিতকে। 'হিটম্যান'কে নীতা আম্বানির ফ্র্যাঞ্চাইজি ১৬ কোটি টাকায় রিটেইন করেছে। সেখানে 'ঘরের ছেলে' ঈশানকে ফেরাতে মুম্বই খরচ করল ১৫.২৫ কোটি! গতকাল সবচেয়ে দামি 'আনক্যাপড' (দেশের হয়ে যিনি খেলেননি) প্লেয়ার হয়েছেন আবেশ খান (Avesh Khan)। ১০ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। 


মুস্তাফিজুর রহমানের দল দিল্লি ক্যাপিটালসে গেলেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়াশ ঢুল। ২০ লাখ ভিত্তিমূল্যের এ খেলোয়াড়েরর পেছনে তাদের খরচ করতে হয়েছে ৫০ লাখ রুপি।

কদিন আগেই ভারতকে যুবা বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ঢুল। তিনিই এবার ফিজের সতীর্থ হলেন। ঢুলকে দিল্লি কিনলেও তার সঙ্গে বিশ্বকাপ জেতা ভিকি ওস্তওয়ালের প্রতি কেউ আগ্রহ দেখায়নি। ফলে নিলামে নাম উঠলেও অবিক্রীত রয়েছেন তিনি।


মুস্তাফিজুর রহমানের রাজস্থান রয়্যালস সতীর্থ চেতান সাকারিয়াকে কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস। ৫০ লাখ ভিত্তিমূল্যের এ পেসারকে ৪ কোটি ২০ লাখ রুপি দিয়ে দলে নিয়েছে তারা। মুস্তাফিজও গিয়েছেন দিল্লিতে। ভিত্তিমূল্যে মুস্তাফিজুর রহমানকে কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তার দাম ধরা হয়েছিল ২ কোটি রুপি। সেই দামেই তাকে কিনেছে দিল্লি।

নিলামের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মারক্রামকে ২ কোটি ৬০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম দিনের শুরুতেই নিলামে উঠেছিল শিখর ধাওয়ানের নাম। গত মৌসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। এবার তাকে আর ধরে রাখেনি তারা। তাকে এ আসরে ৮ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে কিনেছে পাঞ্জাব কিংস। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি।

দামি অলরাউন্ডারদের মধ্যে সবার শীর্ষে ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন। তাকে ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপি দিয়ে কিনেছে পাঞ্জাব কিংস। নিলামের প্রথম দিন শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গাকে ১০ কোটি ৭৫ লাখে কিনেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ভিত্তিমূল্যে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দাম ধরা হয়েছিল এক কোটি রুপি। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে কিনতে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপি খসাতে হয় বেঙ্গালুরুকে।


মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় বিভাগের অনেক কর্মীর সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি মাস থেকে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি কার্যকর হবে।

সূত্রের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের ২৭০টি স্টোর রয়েছে। স্টোরের অবস্থান ও ভূমিকা অনুযায়ী ২ থেকে ১০ ভাগ বেতন বাড়ানো হতে পারে। বিক্রয় বিভাগের কর্মচারীরা এ সুবিধা পাবে। এর মধ্যে জিনিয়াস বারের টেকনিক্যাল স্টাফরাও আছে। এছাড়া কর্মঘণ্টার ভিত্তিতে কাজ করা জ্যেষ্ঠ কর্মীরাও এ সুবিধা পাবেন। তবে তাসব কর্মীর ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।


অ্যাপল তাদের খুচরা বাজারের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করছে। গত বছর অ্যাপল স্টোরে দায়িত্বপালরত কর্মীদের এককালীন ভাতা দিয়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল।


কর্ণাটকে হেনস্তার শিকার হওয়া বোরকা ও হিজাব পরা মুসলিম ছাত্রীর প্রতিবাদী অবস্থান ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। মুসকান খান নামের ওই ছাত্রীর সাহসীকতায় মুগ্ধ হয়েছেন সবাই। 

সম্প্রতি হিজাব পরে কয়েকজন ছাত্রীকে স্কুলে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে সেখানে সৃষ্টি হয় বিক্ষুদ্ধ পরিস্থিতির। গত মঙ্গলবার উগ্র হিন্দত্ববাদীদের ভয় উপেক্ষা করে হিজাব পরে কর্ণাটকের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হন মুসকান নামের ওই ছাত্রী।  প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করার পর ওই ছাত্ররা তাকে ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে। 


কিন্তু মুসকান একা থাকা স্বত্ত্বেও সেই ছাত্রদের সামনে প্রতিবাদ করে। উগ্রপন্থীরা নানা স্লোগানে তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ছাত্রী ভড়কে না গিয়ে উল্টো সাহসী এক প্রতিবাদ করেছেন। ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে বলতে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন তিনি।

বিবিসিকে মুসকান খান বলেন, আমার পরিবারের সবাই হিজাব পরে। ছোটবেলা থেকে হিজাব পরতে পরিবার থেকেই বলা হয়েছে। হিজাব আমার কাছে আত্মমর্যাদার প্রতীক।


সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে মুসকান বলেন, আমি তাদের ধর্মান্ধতায় বিস্মিত হয়েছিলাম। তারা অনেকজন ছিল। আক্রমণ করার মতো করে তারা আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছিল। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন আমাকে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেন। সেই সময় আমার মুখ থেকে আল্লাহু আকবর শব্দটি বেরিয়ে আসে। আমি বললাম আল্লাহু আকবার। কারণ আমি ভয় পেয়েছিলাম। ভয় পেলে আমি আল্লাহর নাম নিই। আল্লাহর নাম নিলেই আমার সাহস বেড়ে যায়।


মুসকানের ওই ভিডিওটি বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে।  মুসকানের এ সাহসিকতায় সবাই মুগ্ধ হলেও এ স্লোগানের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে বলে কয়েকটি ভারতীয় মিডিয়ায় বলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে মুসকান বলেন, আমি কোনো সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে ‘আল্লাহু আকবর’ বলিনি। আমি হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছি না।


ঘটনার বিবরণ দিয়ে মুসকান জানান, ওই দিন প্রতিদিনের মতোই হিজাব ও বোরকা পরে তিনি কলেজে যান। তবে কলেজের প্রবেশপথে একদল ব্যক্তি তাকে থামায়। তারা বোরকা ও হিজাব খুলে তাকে কলেজে প্রবেশ করতে বলে।


তার ভাষায়, আমি রেগে তাদের পাশ কাটিয়ে কলেজের পার্কিং লটের দিকে চলে যাই। আমি রাগে লাল হয়ে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে হিজাব খুলতে বলার সাহস করল কীভাবে।


সামনে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে কী করবেন জানতে চাইলে মুসকান বলেন, ‘আমি অবশ্যই ‘হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ’ বলব।’


১৯ বছর বয়সী মুসকান ব্যবসায় শিক্ষায় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মুসকান নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মতো পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চান।

তবে চারপাশে এমন অস্থিরতার মধ্যে মানসিক শান্তিতে থাকা কঠিন বলে জানান তিনি।


মুসকান বলেন, ভিডিওটি ছড়িয়ে যাওয়ার পর আমাকে শেরনি (বাঘিনী) ও আরও অনেক নামে ডাকা হয়েছে। সত্যি বলছি, আমি এর কিছুই চাই না। আমি শুধু পড়াশোনা করতে চাই। আমি মানুষের কাছে আমার অবস্থান স্পষ্ট করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। হিজাব আমার পরিচয়, আমি এটা পরতে পছন্দ করি, এটা আমার সম্মানের প্রতীক।


চালককে এক বছর আত্মগোপনে থাকার পরামর্শ দেন গাড়ির মালিক


কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাবার শ্রাদ্ধের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া গতির পিকআপের চাপায় পাঁচ ভাই নিহত হওয়ার ঘটনায় চালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।


র‌্যাব জানায়, দুই বছর ধরে গাড়ি চালালেও পিকআপ ভ্যানের চালক সাইফুলের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। চার বছর ধরে গাড়িটিরও ফিটনেস এবং তিন বছর ধরে রুট পারমিট নেই।

ঘন কুয়াশার মধ্যে লাইসেন্সহীন চালক বেপরোয়া গতিতে পিকআপ চালানোয় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল তাঁদের বলেন, ঘটনার দিন চকরিয়া থেকে কক্সবাজারে সবজিবোঝাই পিকআপ নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। রাস্তায় ঘন কুয়াশা সত্ত্বেও তিনি দ্রুত সবজি পৌঁছে দিতে ৬৫-৭০ কিলোমিটার গতিতে পিকআপ চালাচ্ছিলেন। ঘন কুয়াশা ও অতিরিক্ত গতির কারণে মালুমঘাট বাজারের নার্সারি গেটের সামনে রাস্তা পার হওয়ার জন্য অপেক্ষারত পাঁচ ভাইকে চালক সাইফুল দূর থেকে দেখতে পাননি। কাছাকাছি এসে দেখলেও গতি বেশি থাকায় তিনি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। গতি এতই বেশি ছিল যে তিনি ব্রেক করলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি প্রায় ১০০ ফুট সামনে চলে যায়।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার সময় পিকআপ ভ্যানের মালিক মাহমুদুল করিমের ছেলে তারেক ও ভাগ্নে রবিউল গাড়িতে ছিলেন। চালক পিকআপ থেকে নেমে নিহতদের দেখতে এলেও মালিকের ছেলে তারেকের নির্দেশে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ঘটনার পরপরই সাইফুলকে ডেকে তারেক বলেন, এখানে না থেকে পালানো উচিত। আহতদের হাসপাতালে না নিয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে একটি বাজারে এসে মালিক মাহমুদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন সাইফুল। মালিক তাঁকে পিকআপটি কোনো স্টপেজে রেখে লোকাল বাসে করে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।

খন্দকার মঈন বলেন, মালিকের নির্দেশনা অনুযায়ী সাইফুল ডুলাহাজারায় পিকআপ ভ্যান রেখে বাসে করে চকরিয়ায় গিয়ে মালিকের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় পিকআপের মালিক মাহমুদুল তাঁকে অন্তত এক বছর আত্মগোপনে থাকার পরামর্শ দেন। মালিকের পরামর্শে প্রথমে তিনি বান্দরবানের লামার রাবার বাগানে আত্মগোপনে যান। পরে জানাজানির ভয়ে ঢাকায় আসেন। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।


সাইফুলের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই জানিয়ে আল মঈন বলেন, লাইসেন্স ছাড়া দুই বছর ধরে তিনি পিকআপ ভ্যান, চাঁদের গাড়ি ও তিন টন ট্রাকসহ নানা ধরনের গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এর আগে তিনি বান্দরবানের লামায় রাবার বাগানে চাকরি করতেন। সর্বশেষ তিনি পিকআপ ভ্যানটি সাত দিন ধরে চালাচ্ছিলেন। এতে তিনি দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরি পেতেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালে মাহমুদুল পিকআপ ভ্যানটি কেনেন। তিনি সবজি পরিবহনের ব্যবসা করেন। চকরিয়ার সবজির আড়ত থেকে কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী এলাকায় সবজি সরবরাহ করতেন তিনি। তাঁর ছেলে তারেক সবজি সরবরাহ তদারক করেন, ভাগ্নে রবিউল তারেকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ঘটনাটি পরিকল্পিত কি না, জানতে চাইলে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে সাইফুল দাবি করেছেন, নিহত ব্যক্তিদের কেউ বা তাঁদের পরিবারের কোনো সদস্য তাঁর পূর্বপরিচিত নন। মালিকের সঙ্গে এই পরিবারের কোনো পরিচয় আছে কি না, সাইফুল বলতে পারেননি।

পিকআপের মালিক, তাঁর ছেলে তারেক ও ভাগ্নে পলাতক জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি যদি মনে করেন ঘটনায় আর কারো সংশ্লিষ্টতা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে, তাহলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিকআপের চালক সাইফুল পাঁচ ভাইকে গাড়িচাপা দেওয়ার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তাঁর কাছ থেকে পিকআপের চাবি উদ্ধার করা হয়েছে।










নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে দলীয় সরকারের সুবিধাভোগী ও রাজনৈতিক দলের চিহ্নিত ব্যক্তিদের বাদ রাখতে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজন। তারা সবার কাছে আস্থাভাজন কমিশন গঠনের বিষয়ে জোর দিয়েছেন, যারা ভালো নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটির নামের তালিকা পাঠানোর আগে তা জনসমক্ষে প্রকাশের প্রস্তাব দিয়েছেন।


গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস মিলনায়তনে সার্চ কমিটির সঙ্গে দুই দফা বৈঠকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন বিশিষ্টজন। নতুন ইসিতে নারী, সংখ্যালঘু ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের রাখার পরামর্শও এসেছে কয়েকজনের কাছ থেকে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার বাছাইয়ের লক্ষ্যে গতকাল দুই দফায় শিক্ষক, আইনজীবী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অধিকারকর্মীসহ ২৫ জনের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি।


প্রথম পর্বে সকাল সোয়া ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা এবং দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বৈঠক হয়। সার্চ কমিটির প্রধান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বিশিষ্টজন সার্চ কমিটির কাছে পাঁচটি বিষয় প্রাধান্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখনও মতামত দেয়নি, তাদের এ প্রক্রিয়ায় আনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এই বিশিষ্টজন বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হলে সার্চ কমিটিকে যোগ্য এবং বিতর্কমুক্ত ব্যক্তিদের দিয়ে ইসি গঠন করতে হবে। প্রথম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক বিচারপতি মুনসুরুল হক চৌধুরী, ব্যরিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, নির্বাচন কমিশন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্‌দীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ ও ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান।


দ্বিতীয় বৈঠকে অংশ নেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ, জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মোজাম্মেল বাবু, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, এনটিভির বার্তাপ্রধান জহিরুল আলম ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক স্বদেশ রায়। এ ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।


সার্চ কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সাচিবিক সহায়তা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।


বৈঠক শেষে আলী ইমাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় সরকারের সময় বিশেষভাবে সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন কমিশনে স্থান না পায়, সে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি রাজপথে দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলন করবে, সেটা তাদের অধিকার। তবে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে না বসে ঠিক করেনি। এখন সার্চ কমিটির সঙ্গে তাদের বসা উচিত। আবার বিএনপির সঙ্গেও কথা বলতে হবে সার্চ কমিটিকে।


অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, সার্চ কমিটি যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে, তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হতে হবে- তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হন। আমলা বা যে কোনো পেশা থেকে নাম আসতে পারে। তবে তাদের স্বচ্ছ ও সৎ থাকতে হবে। অর্থের মোহ যেন তাদের না থাকে।


বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন- এটিই সর্বাগ্রে আলোচনা হয়েছে। সবাই এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।


এ. কে. আজাদ বলেন, সার্চ কমিটিকে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে হবে। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে ৫ জনকে নিয়ে ইসি গঠন করবেন। তাই সার্চ কমিটির দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অবশ্যই যোগ্য ও বিতর্কমুক্তদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে হবে। এর আগে নামগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।


অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বৈঠকে আমরা প্রত্যেকে আলাদাভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তার মধ্যে বেশিরভাগ বলেছেন, যারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পাবেন তারা যেন আগের কোনো সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাভোগী না হন। বিশেষ করে এ নির্বাচন কমিশনে যারা আসবেন, তাদের যেন অবশ্যই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো একটি মানসিকতা থাকে, সাহসিকতা থাকে, ব্যক্তিত্ব থাকে।


তিনি বলেন, 'অনুসন্ধান কমিটি মন দিয়ে সবার কথা শুনেছে। এখন আমাদের কথা কতটুকু রাখবে, সেটি নাম প্রকাশ করার পর বোঝা যাবে। তবে আমরা (প্রথম বৈঠক) কেউ কোনো নাম প্রস্তাব করিনি। আমরা শুধু বলেছি- কীসের ভিত্তিতে নেওয়া উচিত বা উচিত না।'


মোজাম্মেল বাবু বলেন, রাজনৈতিক বিভাজনের এই সময়ে শতভাগ বিতর্কমুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন কঠিন। তবুও চেষ্টা করতে হবে কোনো বিতর্কিত লোক যেন কমিশনে না আসে। যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তাদের নাম যেন কয়েক দিন আগেই গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এতে নামগুলো নিয়ে জনগণের প্রতিক্রিয়া জানা যাবে।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে সেটা যেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়। নির্বাচন কমিশন গঠনে যারা থাকবেন; ব্যক্তি বাছাইয়ে যেন এ কাজগুলো তারা করেন।


সাইফুল আলম বলেন, 'সার্চ কমিটি যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে, তারা যেন সাহসী, সৎ, যোগ্য এবং নির্লোভ ব্যক্তি হন। যারা আস্থার জায়গায় আছেন তাদের নাম যেন প্রস্তাব দেওয়া হয়। এমনভাবে নতুন কমিশন গঠন করা হোক, যেন কমিশন গঠন হওয়ার পর কমিশনারদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব না থাকে।'


ড. গোলাম রহমান বলেন, বিএনপি আলোচনায় না গিয়ে বাইরে থেকে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করছে। কিন্তু বাইরে থেকে সমালোচনা করলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই আমরা বলেছি, তাদের যেন এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকেও বৈঠকে বলেছি, আপনি উদ্যোগ নেন তাদের (বিএনপি) নিয়ে আসার জন্য। তারা অন্তত এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হোক।


শ্যামল দত্ত বলেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে এমন একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। এ ক্ষেত্রে যে কোনো নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হয় সংখ্যালঘুরা। তাই আমরা বলেছি তাদের থেকে প্রতিনিধি নিতে; গণমাধ্যম এবং সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী থেকে প্রতিনিধি নিতে।


আবেদ খান বলেন, বিভক্ত রাজনীতির পরিবেশে একতা তৈরি করা একেবারে মুশকিল। সমাজ ও রাজনীতির একটি অংশ যখন এ প্রক্রিয়ার বাইরে, তখন সার্চ কমিটির দায়িত্ব জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা তালিকা প্রকাশ করা। যাদের তালিকা করা হবে তাদের নাম যেন অন্তত কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ সেটা দেখতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তা জানাতে পারবে।


পুলিশ ও প্রশাসনে না গিয়ে বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাহিত্যিক এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ১০ জনের নাম রাখার জন্য সার্চ কমিটিকে আহ্বান জানিয়েছেন- উল্লেখ করে আবেদ খান বলেন, গণমাধ্যম থেকেও দু-একজনকে রাখার জন্য বলেছি। কারণ গণমাধ্যম নির্বাচন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখে।


বৈঠক সূত্র জানায়, নাম প্রকাশের ব্যাপারে সার্চ কমিটিও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে।

বৈঠকে যারা অংশ নেননি: আমন্ত্রণ পেলেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি, দেশের বাইরে থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ১১ জন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। তারা হলেন- (প্রথম বৈঠক) সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন।


দ্বিতীয় বৈঠকে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন (দেশের বাইরে), চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন অংশ নেননি।


তালিকায় তিন শতাধিক নাম: মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, একই নাম একাধিক তালিকায় আছে। তবে প্রাথমিকভাবে ৩২৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ১৩৬টি, পেশাজীবীদের কাছ থেকে ৪০, ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে ৩৪ এবং ই-মেইলসহ অন্যান্য পর্যায় থেকে ৯৯টি নাম এসেছে।


বৈঠকেও তালিকা: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বৈঠকে অংশ নিয়ে আটজনের নাম প্রস্তাব করেছেন। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনের নাম প্রস্তাব করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাব করেছেন সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, সাবেক সচিব শওকাত আলী, খালেদ শামস, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সাবেক আইন সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম। এ ছাড়াও বৈঠকে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও সাংবাদিক স্বদেশ রায়ের নামও বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়েছে।


আজ দ্বিতীয় দিনের বৈঠক: পেশাজীবী ও বিশিষ্টজনের সঙ্গে আজ সার্চ কমিটির দ্বিতীয় দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আজ ২০ জনকে বৈঠকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস কনফারেন্স মিলনায়তনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।


আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব,) সাখাওয়াত হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, আব্দুল মোবারক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, কবি মহাদেব সাহা ও প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনীর।


রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। পরদিন ওই কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যার ধারাবাহিকতায় কমিটির এ বৈঠক চলছে। 


শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আশ্বাস দেওয়ার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্বরে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ঘোষণা দেন।


আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুহাইমিনুল বাশার রাজ, সাব্বির আহমেদ, শাহরিয়ার আবেদীন, নাফিসা আনজুম, ইয়াছির সরকার, সুদীপ্ত ভাস্কর সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন। তাছাড়া তাদের সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। 


তাদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মোহাইমিনুল রাজ বলেন, “মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয় আমাদের সকল দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে আমরা আমাদের আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করে নিলাম এবং দাবি পূরণের অপেক্ষায় থাকলাম।”


শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সিলেট গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তাছাড়া তিনি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন। এর একদিনের মাথায় শনিবার দুপুরে উপাচার্য এক বিবৃতিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের গুলি ও লাঠিপেটার ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত‘ উল্লেখ করে দুঃখপ্রকাশ করেন।

মোহাইমিনুল রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে ক্লাস-পরীক্ষা  শুরু করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “শুক্রবার মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয়ের আমাদের আমন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের দাবি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

“তিনি আমাদের সকল দাবি আন্তরিকতার সঙ্গে শুনেছেন। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এ জন্য আমরা মাননীয় মন্ত্রীদ্বয়কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।।”

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে মোহাইমিনুল বলেন, “মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে এ বিষয়ে অবগত করা হলে, তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে দুটি মামলা হয়েছে তা অতিদ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হবে।’

“বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মোবাইল সিম ও মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ থাকার বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেন, ‘আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সব নম্বর ও মোবাইল ব্যাংকিং সচল করা হবে। পুলিশের স্প্রিন্টারে আহত সজল কুণ্ডুসহ অনশনকারী সকল শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা চলমান আছে এবং থাকবে।’ এছাড়া মাননীয় মন্ত্রী সজল কুণ্ডুর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।”

মোহাইমিনুল আন্দোলনে সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।


তিনি বলেন, “দেশ ও বিদেশে যারা আমাদের পাশে ছিলেন, যারা আমাদের জন্য দোয়া করেছেন, রাস্তায় নেমেছেন, আন্দোলন করেছেন, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ দিতে চাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেতে চাই।”

এছাড়া আন্দোলনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য  গণমাধ্যমের সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠির পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পুলিশ।

এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন; এক পর্যায়ে তারা আমরণ অনশনে বসেন।


২৬ জানুয়ারি সেই অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক।


অনশন ভাঙলেও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।


তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য শুক্রবার সকালে সিলেট যান শিক্ষামন্ত্রী।


পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক চেষ্টা যেমন চলছে, তেমনি থেমে নেই ইউক্রেইনকে ঘিরে রাশিয়ার সমর সজ্জাও। নিজেদের সীমান্ত সংলগ্ন দেশটির তিন দিকেই দিনে দিনে শক্তি বাড়িয়েছে পুতিনের দেশটি।

শনিবার ক্রমশ বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একঘণ্টা ফোনালাপ করেছেন। বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা থেকে হয়েছে সবশেষ এ আলাপ বলে জানাচ্ছে রয়টার্স।


আর পশ্চিমা দেশগুলোর ‘যুদ্ধ শুরু হতে পারে’ এমন উদ্বেগের মধ্যেই ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে সমুদ্রে বড় ধরনের নৌ মহড়া করছে রাশিয়া।


আর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সম্প্রতি ইউক্রেইন সীমান্তে লক্ষাধিক রুশ সেনা জড়ো হওয়ার খবরে খুব দ্রতই দখল অভিযান শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।


যুদ্ধ এড়ানোর লক্ষ্যে মরিয়া কূটনৈতিক চেষ্টার মধ্যে রাশিয়ার এমন সমর সজ্জাকে ইউক্রেইনের জন্য আসন্ন হুমকি হিসেবে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।

তবে হামলা শুরু হলে কোন এলাকা থেকে শুরু হতে পারে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে সিএনএন এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেইনের ওপর তিন দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করেছে রাশিয়া।


এ প্রতিবেদনে ইউক্রেইনের তিন দিকেই রাশিয়ার সামরিক সজ্জা বাড়ানোর তথ্য তুলে ধরে কোন দিক দিয়ে সম্ভাব্য আক্রমণের চেষ্টা হতে পারে সে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে দক্ষিণ দিক থেকে ক্রিমিয়ায়, দুই দেশের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার অংশ এবং উত্তরে বেলারুশে সেনা শক্তি বাড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

ইউক্রেইন এবং পশ্চিমা গোয়েন্দারা এ তিন এলাকাকে রণক্ষেত্র হিসেবে নজরে রাখছেন। এর প্রত্যেকটি এলাকাতেই রুশ সামরিক বাহিনীর অবস্থান পরিবর্তন চিহ্নিত করা হয়েছে।


ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চল

সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে দনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলটিকে। ২০১৪ সাল থেকে এ এলাকায় রাশিয়ার মদদ দেওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেইনের সেনাদের সংঘাত চলছে।


রাশিয়ার গতিবিধি যারা পর্যালোচনা করছেন তাদের ধারণা- যেসব এলাকায় নিজেদের দখল রয়েছে, সেখানে সেনা বাড়াতে পারে মস্কো। এর মধ্য দিয়ে দখল অভিযান শুরু করার সবচেয়ে সহজ অবস্থান হয়ে উঠবে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চল।


সিএনএন এর কাছে থাকা স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবির বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলনিয়া এলাকায় বড় একটি সামরিক ঘাঁটিতে থাকা রাশিয়ার ট্যাঙ্ক, কামান এবং অন্যান্য সমরাস্ত্রগুলো খালি করে ফেলা হয়েছে।

সম্প্রতি সেগুলো রণক্ষেত্রগুলোর বেশ কাছাকাছি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


২০২১ সালের শেষ দিকে ওই সেনা ঘাঁটিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রের সমাগম ঘটানো হয়। এসবের মধ্যে প্রায় ৭০০ ট্যাঙ্ক, পদাতিক সেনাদের সাঁজোয়া যান এবং ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।


সোশাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনে করে এবং সড়কপথে এসব অস্ত্রশস্ত্র আরও দক্ষিণে ইউক্রেইনের কাছাকাছি ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে নেওয়া হয়েছে।

এসব যানবাহন, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ইলনিয়ার সেনা ঘাঁটিতে দেখা যাওয়ার বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সিএনএন এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

স্যাটেলাইটের ছবি সরবরাহ করা কোম্পানি ‘ম্যাক্সার’ এর জ্যেষ্ঠ পরিচালক স্টিফেন উড সিএনএনকে বলেন, “আমার কাছে মনে হয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ যানবাহন (ট্যাঙ্ক, স্বয়ংক্রিয় কামান এবং অন্যান্য সহযোগী যান) উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পার্ক থেকে সরে গেছে, এছাড়া আরও কিছু সাঁজোয়া যান কেন্দ্রীয় পার্ক থেকে ছেড়ে গেছে।”

সেইসঙ্গে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের কুরস্ক এবং বেলগোরোদ ওবালাস্টস এলাকায় তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে।


সামরিক গতিবিধি চিহ্নিত করার কাজে পারদর্শী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রোচান কনসাল্টিং এর বিশেষজ্ঞ কোনরাড মুজিকা বলেন, “আমরা কুরস্কে বিপুল পরিমাণ সামরিক যান এবং সেনা সম্মিলন ঘটতে দেখছি।”  


নিবিড়ভাবে রুশ সেনাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা ওয়াশিংটনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পোটোম্যাক ফাউন্ডেশনের ফিলিপ কারবার এ মাসে সিএনএনকে বলেন, “রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সমরাস্ত্র- ফার্স্ট গার্ডস ট্যাংক আর্মি।


“এই ইউনিট সাধারণত মস্কোতে রাখা হলেও ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কুরস্ক-কিয়েভ রুটে দ্রুততার সঙ্গে সামরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য অনুকূলে থাকা এলাকাগুলোতে জড়ো করা হচ্ছে।”

বেলারুশ

মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা দেশ বেলারুশে রুশ সেনাদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে ইউক্রেইনে হামলার চালানোর সম্ভাব্য আরেকটি পথ হিসেবে শঙ্কা তৈরি করেছে।


গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া এবং বেলারুশ ১০ দিনের একটি যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এর পরিধি এবং সময় নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলোতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


শীতল যুদ্ধের পর বেলারুশে মস্কোর সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি ন্যাটো মহাসচিব জেসন স্টলবারবার্গ এসবের হিসেব দিয়ে বলেন, “আনুমানিক ৩০ হাজার পদাতিক সেনা, স্পেৎসনাজ স্পেশাল অপারেশন ফোর্স, এসইউ-৩৫ সহ ফাইটার জেট, দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ইসকান্দর এবং এস-৪০০ ডিফেন্স সিস্টেমস জড়ো করা হয়েছে।” 

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) এর তথ্য অনুযায়ী বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে বছরের যেকোনো সময়ের বিবেচনায় এটি সবচেয়ে বড় মহড়া।


রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে এই মহড়ার লক্ষ্য বাইরের ‘আগ্রাসন ঠেকানো’ এবং এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালাইড রিজলভ- ২০২২’।

অনেকে আশঙ্কা করছেন এমন সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পেছনে রাশিয়ার উদ্দেশ্য উত্তর থেকে কিয়েভের দিকে এগিয়ে যাওয়া। চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় একজন কূটনীতিক সিএনএনকে বলেন, এই সেনা সমাবেশ ‘অনেক বড় দুশ্চিন্তার’ কারণ।

সিএসআইএস সতর্ক করে জানিয়েছে, বেলারুশের ভেতর দিয়ে ইউক্রেইনের উত্তরাঞ্চলে সামরিক নড়াচড়াকে অনেকটাই আড়াল করবে এই যৌথ মহড়া।


সিএনএন জানায়, ‘ম্যাক্সার’ এর প্রকাশ করা স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবিগুলোতে দেখা যায় বেলারুশের বেশ কিছু এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।


এ সেনা সমাবেশ যৌথ মহড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে তবে বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে ইউক্রেইন সীমান্ত ঘেঁষে ক্যাম্প করা হয়েছে, যেটা মহড়ার এলাকা থেকে কয়েকশ মাইল দূরে।

অবশ্য ইউক্রেইনে অভিযান শুরুর জন্য রাশিয়া যদি বেলারুশ সীমান্তকে বেছে নেয় তবে সেটা বেশ কঠিন হয়ে উঠবে বলে সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়।


রুশ সেনাদের বেলারুশ ও ইউক্রেইন সীমান্তে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইউরোপের সবচেয়ে বড় জলাভূমি প্রাইপেট মার্শ হিসেবে পরিচিত পিনস্ক মার্শের মুখোমুখি হতে হবে। জলাবদ্ধ এই ঘন বনভূমির আয়তন এক লাখ ৪০ হাজার বর্গমাইল।

ক্রিমিয়া

২০১৪ সালে দখল নেওয়া এ উপদ্বীপ রাশিয়ার জন্য নতুন যে কোনো অভিযান শুরু করার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক একটি সমর ভূমি হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেইনে হামলা চালানো হবে কি না তা স্পষ্ট নয়।

 ‘ম্যাক্সার’ এর পর্যবেক্ষণে বিপুল সেনা সমাবেশের কথা জানিয়ে বলা হয়, ক্রিমিয়ার রাজধানী সিমফারপুলের উত্তরাঞ্চলে সেনাদের সাড়ে পাঁচশর বেশি তাঁবু এবং কয়েকশ সামরিক যান দেখা গেছে।  


গত বৃহস্পতিবার স্যাটেলাইটের ছবিতে ‘ম্যাক্সার’ প্রথমবারের মতো ক্রিমিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে স্লাভনি শহরে নতুন করে সেনা মোতায়েন এবং সামরিক যানের উপস্থিতি চিহ্নিত করে।


নতুন এ সেনা সমাবেশের বিষয়টি যেদিন নজরে আসে, সেদিনই রাশিয়ার বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ক্রিমিয়ার প্রধান বন্দর সেভাসটোপোলে এসে ভিড়ে। পরে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বড় ছয়টি জাহাজ বন্দরে নোঙর করার ছবি পোস্ট করে।

সিএনএন জানায়, সিএসআইএস এর বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রিমিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ইউক্রেইনের বন্দর নগরী ওডেসায় সরাসরি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ঢুকে পড়তে পারে রুশ সেনারা।


তবে এ ধরনের চেষ্টায় ‘বড় ধরনের সফলতার সম্ভাবনা থাকলেও উচু মাত্রার ঝুঁকি আছে’ জানিয়ে সিএসআইএস বলছে, জনবহুল নগরী ওডেসায় শহরের প্রতিরক্ষা বাহিনী সেটা ঠেকানোর চেষ্টা করবে।


সেইসঙ্গে রুশ বাহিনীকে আকাশপথে ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আগে ভাঙতে হবে এবং তারপর দেশটির পূর্ব দিক থেকে আসা সেনাদের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করতে হবে। 


যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এমন আশঙ্কার মধ্যে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনে সতর্ক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।  

খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ভিডিওকলে কথা বলেন বাইডেন ও পুতিন। তাদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা হয়। এতে বাইডেন বলেন, সামরিক আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেনে বড় ধরনের মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। এতে রাশিয়ার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। আর হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো এর কড়া জবাব দেবে। রাশিয়াকে এ জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।


পুতিন ও বাইডেন ফোনালাপের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অমূলক আশঙ্কা চূড়ায় পৌছেছে। অবাক করা বিষয়, রাশিয়া কবে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে এমন দিন–তারিখ যুক্তরাষ্ট্র সংবাদমাধ্যমের কাছে বলে দিচ্ছে। আমরা আসলে জানি না, এমন মিথ্যা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কোথায় পেয়েছেন। ’

এ সময় উশাকভ আরও বলেন, ‘পুতিন ও বাইডেনের মধ্যকার ফোনালাপ বেশ ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। এই সংকটে সকল স্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে দুনেতা একমত হয়েছেন। ’


এর আগে, গত শুক্রবার ওয়াশিংটন জানায়, যেকোনো সময় বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর জন্য যথেষ্ট সেনা ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সম্ভাব্য রুশ সামরিক অভিযানের আশঙ্কা থেকে নিজেদের নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়তে বলা হয়েছে।

এর পরপরই হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাইডেন ও পুতিন ফোনে কথা বলবেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আগামী সোমবার এ ফোনালাপের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমরা শনিবারের প্রস্তাব দিই। আমাদের প্রস্তাবে পরে তারা রাজি হয়। ’


এদিকে বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের আগে পুতিন শনিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায়, চলমান উত্তেজনা দ্রুত নিরসন না হলে কূটনৈতিক পদক্ষেপ ফলপ্রসু হবে না বলে পুতিনকে জানিয়েছেন মাখোঁ।


প্রকাশ পেলো ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী এইচএসসিতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে সার্বিক পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থী।


এবার সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাশে হার ৯৫.৫৭ শতাংশ। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে পাশে হার ৯৫.৪৫ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৯২.৮৫ শতাংশ। পাশের হারের দিক থেকে প্রথম স্থানে আছে যশোর বোর্ড। তাদের পাশের হার ৯৮.১১ % শতাংশ।

ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৯৬.৫২ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৩৩ জন শিক্ষার্থী।

বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ৯৫.৭৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৭১ জন শিক্ষার্থী।

রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৯৭.২৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী।

কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী।

দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৯২.৪৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী।

সিলেট বোর্ডে পাশের হার ৯৪.৮০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩১ জন শিক্ষার্থী।

যশোর বোর্ডে পাশের হার ৯৮.১১ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম বোর্ডে পাশের হার ৮৯.৩৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭২০ জন শিক্ষার্থী।

ময়মনসিংহ বোর্ডে পাশের হার ৯৫.৭১ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী।


রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ডিজিটালি এই পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন। 

শিক্ষাথী‌র্রা যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস, শিক্ষাবোর্ডসমূহের ওয়েবসাইট এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন।  বেলা ১২টা থেকে শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে।

বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে।


মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।


আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।


কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হয় ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরের বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে দেরি হয়। 


ফরিদপুরে আস্ত্রসহ তিন ছিনতাইকারী আট করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ বিয়ষে আজ দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ২৪ জানুয়ারী শহরের ঝিলটুলী এলাকায় থেকে তিন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেল যোগে ফজলুল করীমকে গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে ২টি আইফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মামলা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামিম গতকাল নগকান্দার উপজেলার তালমা এলাকায় গেলে শামীম আহম্মেদকে আটক করতে গেলে এসআইএর উপর শামিম আহম্মেদ (ছিনতাইকারী) ছুরি দিয়ে হামলা করে আহত করে। 

এসময় আনোয়ার হোসেন নামে এক পথচারী পুলিশকে সহয়তা করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। এসময় এসআই শামিম পুলিশের অন্যান্য সদস্যের সহায়তায় ছিনতাইকারী শামিমকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে জেলার সদরপুর উপজেলা থেকে আরো দুই ছিনতাইকারী পান্নু ও সুমনকে আটক করে। 

তাদের দেওয়া তথ্যে শহরের বাইপাচ সড়ক থেকে তাদের একটি গোপন আস্তানা থেকে দুটি পিস্তল, রাম দা, আইফোন, মানিব্যাগসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে। এঘটনায় কোতয়ালী থানা ও নগরকান্দা থানায় তিনটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শনিবার (১২ফেব্রুয়ারি) বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন " বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলার কোথাও অন্ধকার থাকবেনা। আরো বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আগামীতে পুরো পার্বত্য জেলা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে"। তিনি আরো বলেন"যে সকল বিদ্যুৎ সংযোগ সহসা যাচ্ছেনা সেখানে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণ করা হবে। 

দোছড়ি ইউনিয়নের বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী উজ্জ্বল বড়ুয়া,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শেখ সাদেক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল,জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ,মোজাম্মেল হক বাহাদুর, নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোঃ ইয়াছির আরাফাত, দোছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইমরানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ইটভাটগুলোতে ১০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। অভিযানে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ইট প্রস্তুতকরায় উচ্ছেদ এবং ১৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। 

মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে বান্দরবান জেলা প্রশাসন পরিচালিত অভিযানের দায়িত্বে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান এবং মামুনুর রশীদ। পরিবেশ অধিদপ্তর,পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের টীমও অভিযানে অংশগ্রহণ করে।অভিযানের শুরুতে বুলডোজার দিয়ে তিনটি ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়। জরিমানা করা হয় সাত লক্ষ টাকা।এর মধ্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের এফ এ সি ধ্বংস করে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।এস বি ডাব্লিউ'র মালিক ইউনুছের ভাটা ধ্বংস করে দুই লাখ টাকা ও মোখতার আহমেদ এর এম এস বি ভাটা ধ্বংস করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদাত।জানাগেছে, হাই কোর্টের বিগত ২৫ জানুয়ারি/ তারিখে রিট পিটিশন মামলা নং ১২০৪/২০২২ এর আদেশে আরো কয়েকটি অবৈধ ইটভাটায় সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়।সর্বমোট ১১টি ইটভাটাকে ১৪ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। 

উল্লেখ্য,গত ২৫শে জানুয়ারি খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের এই তিন জেলায় থাকা সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। সেখানে থাকা লাইসেন্সহীন সব ইটভাটার তালিকা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে তিন জেলার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম এলাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন রাখা হয়েছে।

ওই তিন জেলায় থাকা বিভিন্ন ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে। পাহাড় কেটে মাটি ইটভাটার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার ও বনের গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে—গণমাধ্যমে আসা এমন খবর যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিটটি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ওই তিন জেলায় থাকা লাইসেন্সহীন সব ইটভাটার কার্যক্রম আগামী সাত দিনের মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।রুলে তিন জেলায় লাইসেন্সহীন পরিচালিত সব ইটভাটা বন্ধে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের পরিচালক, তিন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ২৪ বিবাদীকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল উজাড় করে এভাবে পাহাড়কে ভূমি ধসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও ইটভাটার মালিকরা। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলে দেখা যায়, অবৈধ কাঠের গাড়ি ও ছোট ছোট সেগুন, গামারি সহ বিভিন্ন পাহাড়ি গাছের চারা কেটে ট্রাক ও জীপ গাড়ি ভর্তি করে নিতে। বন বিভাগ ও প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি এসব করছে৷ যা পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য ক্ষতিকর।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget