Latest Post

৫:৩৫ AM


জস্ব প্রতিবেদক: অনেক আলোচনা-সমালোচনা তৈরির মধ্যে কড়া নিরাপত্তায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এই নির্বাচন শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছে কাঞ্চন-নিপুণ ও মিশা-জায়েদ প্যানেল। বিকালে জানা যাবে নির্বাচনের ফলাফল।

তবে তার আগেই জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সরাসরি বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা জাহান পপি।

দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকা পপি বললেন, জায়েদ আমার কাছ থেকে টাকা ধার করে পিস্তল কিনে আমারই বুকে ঠেকিয়ে বলে বেশি বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই, যতটুকু পার কাজ করে বেরিয়ে যাও।

বৃহস্পতিবার রাতে যমুনা টেলিভিশনের মুখোমুখি হয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুললেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।

‘কুলি’ খ্যাত তারকা বলেন, ‘জায়েদ আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। সে আমাকে বলে, আমার ভাইয়ের নামে মামলা দেবে। আমার বোন অবিবাহিত। তাকে বিভিন্নভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় জায়েদ খান। আমি এসব অভিযোগ আমাদের সিনিয়রদের জানালে তারা এ ব্যাপারে সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে। 

পরে মিশা ভাইকে বললে, সবার সামনে জায়েদ আমার কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু পরে সে আবার অপকর্ম শুরু করে। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। সে আমার কাছ থেকে টাকা ধার করে পিস্তল কিনে আমারই বুকে ঠেকিয়ে বলে বেশি বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই, যতটুকু পার কাজ করে বেরিয়ে যাও।’

পপি ক্ষোভ ঝেড়ে বলছেন, ‘জায়েদ খানের কোনো অভিনয়ের দক্ষতা নেই। অথচ সে আমাকেই অভিনয় ছেড়ে দিতে বলে। আগেরবারের শিল্পী সমিতি নির্বাচনে আমিসহ রিয়াজ, শাকিল খান সবাইকে সামনে রেখে সে নির্বাচন করে জিতেছে। পরে ক্ষমতায় আসার পর সে সম্পূর্ণ উল্টে যায়। সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা ধরনের অপকর্ম শুরু করে। আমি এসব অপকর্মে সহায়তা না করে প্রতিবাদ করায় আমাকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ’

পপি বলেন, জায়েদ খান ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় এসে জায়েদ মূলত তার ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার করেছে। সে কখনও শিল্পী সমিতি নিয়ে ভাবেনি। সে কখনও চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ের জন্য কাজ করেনি। সে তার চেয়ারকে পুঁজি করে অন্যান্য ব্যবসা করে। তার মূল ব্যবসা আদম ব্যবসা। ’

২০২১ সালের শুরু থেকেই অন্তর্ধানে ছিলেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। মিডিয়াসংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জনপ্রিয় এ নায়িকা।

চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রকাশ্যে আসেন বুধবার। এক ভিডিওবার্তায় পপি বিগত দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা শিল্পী সমিতির ক্ষমতাসীন একজনকে ইঙ্গিত করে অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, কেন তিনি চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে পপি বলেন, ‘আমার কাছে সদস্যপদ বাতিলের চিঠিটা এখনও আছে। ওই চিঠিটা যখনই পেয়েছি, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি— নোংরামির মধ্যে আর যাব না। ভেবেছি কখনও যদি পরিবেশ ভালো হয়, তখনই চলচ্চিত্রে ফিরব।’





বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: বর্তমান সময়ে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড
 রিয়েলমি। এবার নিজেদের সবচেয়ে দামী ডিভাইস নিয়ে চীনের মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি আগামী মাসেই ইউরোপের হাই-এন্ড হ্যান্ডসেট বাজারে প্রবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে। 

এরই মধ্যে নিজের বিভিন্ন ফোন নিয়ে বাজারে একটি শক্ত অবস্থান তৈরী করেছে রিয়েলমি।

শেনজেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বাজেট ফোনের বাজারের বাইরেও শক্ত অবস্থান তৈরি করার উদ্যোগ হিসেবে নিজেদের সবচেয়ে দামি মডেলটি ইউরোপের বাজারে হাজির করবে। রিয়েলমি’র সিইও রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান এ বছর বিশ্বব্যাপী শতকরা ৫০ ভাগ বেশি স্মার্টফোন বিক্রির পরিকল্পনা করছে।

বেশ কয়েকটি চীনা হ্যান্ডসেট নির্মাতা হুয়াওয়ের স্মার্টফোনের বাজার দখলের জন্য আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর এক সময়ের শীর্ষস্থান দখলকারী এই স্মার্টফোন নির্মাতার সাপ্লাই চেইন বন্ধ হয়ে যায় এবং নিজেদের অবস্থান হারায়।

রিয়েলমি ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপে তার ফ্ল্যাগশিপ ফোন জিটি ২ প্রো সাতশ’ থেকে আটশ’ ডলারে বিক্রি করবে বলে জানিয়েছেন সিইও স্কাই লি।

জিটি মাস্টার এডিশনের মূল্য অ্যামাজন সাইটে ৩৯৫ ডলার। সে হিসেবে প্রো তার প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হবে, যেটি অ্যাপল এবং স্যামসাংয়ের প্রিমিয়াম ফোনের প্রায় কাছাকাছি দামের হতে যাচ্ছে।

লি বলেন, “আমরা মনে করি এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বাজার, হাইএন্ড ফোনের জন্য একটি বড় বাজার।”

মহামারীর ছোবল লেগেছে অর্থনীতিতে, স্মার্টফোনের চাহিদা কমে এসেছে এবং ক্রেতারা নতুন ফোন কিনতে আরও বেশি সময় নিচ্ছেন। তবে, বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল স্মার্টফোন নির্মাতা হিসাবে রিয়েলমি এখানে পরিবর্তন আনতে পারে বলে যোগ করেছেন লি।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ধারণা অনুসারে ইউরোপের স্মার্টফোন বাজার থেকে ২০২১ সালের প্রথম ১১ মাসে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে হাই-এন্ড ফোন থেকে এসেছে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার।

“বাজার বৃদ্ধির প্রায় পুরোটাই আসে হাই-এন্ড মডেল থেকে, আর এই অংশটি চালাচ্ছে অ্যাপল এবং স্যামসাংয়ের প্রিমিয়াম মডেলগুলো” – কাউন্টারপয়েন্ট সিনিয়র বিশ্লেষক ইয়াং ওয়াং বলেন।

অ্যাপলের প্রিমিয়াম ফোন ইউরোপের বাজারে চলেছে সবচেয়ে বেশি। প্রতিষ্ঠানটির আইফোন ১৩’র দাম শুরু হয় প্রায় সাড়ে আটশ’ ডলার থেকে। গত প্রান্তিকে এর পরেই ছিল স্যামসাং এবং শাওমি যাদের প্রিমিয়াম ফোনের মূল্য ছিল যথাক্রমে নয়শ’ ও সাতশ’ ডলার।


ইউক্রেনকে ঘিরে ইউরোপে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এর একদিকে আছে রাশিয়া, যারা ইউক্রেনের সীমান্তে প্রায় লাখখানেক সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে বলে দাবি করছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর পাল্টা ন্যাটো জোটও তাদের সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। 

ইউক্রেনে কোনো অভিযান চালালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ব্যবস্থার হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।

গত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম ইউরোপ আবার একটি বড় আকারের যুদ্ধের মুখোমুখি - এমন আশংকা করছেন অনেকে।

কিন্তু ইউক্রেনকে ঘিরে এই উত্তেজনা এবং সংঘাত আসলে কেন? রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন আসলে কী চান? ন্যাটো জোট কী করছে? ইউক্রেন সংকট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর :

রাশিয়া কি সত্যিই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে?

রাশিয়া বার বার জোর গলায় এমন কোনো পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করছে যে তারা ইউক্রেনে একটি যুদ্ধ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তবে রাশিয়া আগেও ইউক্রেনের সীমানা দখল করেছে। এই মুহূর্তে তাদের প্রায় এক লাখ সৈন্য ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে মোতায়েন আছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া বহুদিন ধরেই চেষ্টা করছে, ইউক্রেন যাতে কোনোভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে না যায়।

তাদের আরো আপত্তি ন্যাটো জোট নিয়ে। ইউক্রেন এখনো ন্যাটো জোটের সদস্য নয়। কিন্তু পূর্ব ইউরোপের আরো অনেক সাবেক কমিউনিস্ট দেশের মতো, ইউক্রেনও সেই পথে চলেছে বলে মনে করছে রাশিয়া।

এই মুহূর্তে সেখানে তীব্র সামরিক উত্তেজনা রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে পশ্চিমা দেশগুলো যদি তাদের আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি না বদলায়, তাহলে ‘যথাযথ পাল্টা সামরিক-কারিগরি’ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মনে করেন, একটা সংঘাতের বাস্তব সম্ভাবনা আছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বাস করেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়া কেন ইউক্রেন সীমান্তের কাছে এত সৈন্য পাঠিয়েছে, তার কোনো ব্যাখ্যা তারা দেয়নি। বেলারুশেও রাশিয়ার সৈন্যরা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা, রাশিয়া এ বছরের প্রথম ভাগেই কোনো এক সময়ে ইউক্রেনে ঢুকবে।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বর্তমান সংকটকে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সাথে তুলনা করেছেন। ১৯৬২ সালের সেই সংকটের সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রায় একটি পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল।

ইউক্রেনকে ঘিরে এই সংঘাতের শুরু কখন থেকে?

যদি সাম্প্রতিক ইতিহাসের কথা বলতে হয়, তাহলে বলতে হবে ২০১৪ সালে - যদিও এই সংকটের আসল কারণ বুঝতে হলে যেতে হবে আরো পেছনে- সোভিয়েত আমলে, যখন ইউক্রেন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল।

পূর্ব ইউরোপের আরো কিছু কমিউনিস্ট দেশ এবং সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের মতো, ইউক্রেনেও দুটি রাজনৈতিক ধারা বেশ স্পষ্ট।

একটি অংশ চায় পশ্চিম ইউরোপের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে এবং নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য হতে। অপর অংশ রুশ প্রভাব বলয়ে থাকার পক্ষপাতী, কারণ ইউক্রেনের জনসংখ্যার বিরাট অংশ রুশ ভাষাভাষী, তারা জাতিগতভাবেও রুশ। রাশিয়ার সাথে তাদের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক যোগাযোগ।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন বিক্ষোভের মুখে। এরপর তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।

প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতে চেয়েছিলেন। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে মাখামাখি করছিলেন, কিন্তু আবার মস্কোকেও ভক্তি-শ্রদ্ধা দেখিয়ে চলেছিলেন। কিন্তু তারপরও প্রেসিডেন্ট পুতিন তাকে সহ্য করেছেন।

কিন্তু যখন ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে এক বিশাল বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইলেন - যা প্রকারান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়া - তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করলেন।

এরপর যখন ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্যচুক্তির আলোচনা ভেঙে বেরিয়ে এলেন, তখন তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। তার পতনের পর যারা ক্ষমতায় আসে, তারা এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়, যা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্ষুব্ধ করে।

ইউক্রেনের ভেতরে যে রুশ অধ্যুষিত অঞ্চল, সেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হলে মস্কো তাদের সমর্থন দেয়। এই বিদ্রোহীদের সমর্থনে এরপর রুশ সৈন্যরা হস্তক্ষেপ করে, এক পর্যায়ে ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে সেটি নিজেদের দেশের অংশ বলে ঘোষণা করে রাশিয়া।

কিন্তু রাশিয়া কেন ক্রিমিয়া নিজের সীমানাভুক্ত করলো?

রাশিয়া এক বিরাট দেশ - বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ - ১১টি টাইম জোন জুড়ে যেটি বিস্তৃত। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিগুণ। ভারতের পাঁচগুণ। ব্রিটেনের চেয়ে ৭০ গুন বড়। কিন্তু দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ১৪ কোটি ৪০ লাখ। বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া বা পাকিস্তানের চেয়েও কম।

এত বড় একটি দেশের ক্রিমিয়া দখল করে নিজের সীমানাভুক্ত করার কী দরকার ছিল, এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।

রাশিয়া যত বড় দেশই হোক, তাদের একটাই সমস্যা - সারা বছর সচল রাখা যায় উষ্ণ পানির এমন গুরুত্বপূর্ণ বন্দর তাদের প্রায় নেই বললেই চলে। ক্রিমিয়ার সেভাস্তাপোলে রাশিয়ার যে নৌঘাঁটি, সেটি কৌশলগত কারণে তাই রাশিয়ার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার ঢোকার পথ হচ্ছে এই বন্দর। সেটি হাতছাড়া হতে তারা কোনোভাবেই দিতে চায়নি।

প্রায় ২০০ বছর ধরে ক্রিমিয়া কিন্তু রাশিয়ারই অংশ ছিল।

ক্রিমিয়ার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষও জাতিগত রুশ। ১৯৫৪ সালে সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ এটি হস্তান্তর করেন তৎকালীন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনের কাছে। তখন তারা ভাবেননি, কোনো একদিন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবে এবং ক্রিমিয়ার ওপর মস্কোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাবে।

কাজেই ইউক্রেন যে ন্যাটোর সদস্য হবে, সেটা রাশিয়া কোনোভাবেই মানবে না। কিন্তু মস্কো যখনই দেখলো যে ইউক্রেন তাদের প্রভাবের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন সেখানে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেন।

লেখক-সাংবাদিক টিম মার্শালের মতে, কোনো বৃহৎ শক্তির অস্তিত্ব যখন হুমকিতে পড়ে, তখন সে শক্তি প্রয়োগ করবেই। এটা হচ্ছে কূটনীতির এক নম্বর শিক্ষা।

তিনি তার একটি বই ‘প্রিজনার্স অব জিওগ্রাফি’ বইতে লিখেছেন, ‘আপনি হয়তো এরকম একটা যুক্তি দিতে পারেন যে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামনে বিকল্প ছিল। তিনি ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে পারতেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রেসিডেন্ট পুতিন আসলে রাশিয়ার ঈশ্বর প্রদত্ত ভৌগোলিক হাত নিয়ে খেলছেন এখানে।’

‘কাজেই ইউক্রেনের ব্যাপারে কিছু না করে বসে থাকার কোনো সুযোগ তার ছিল না। কারণ ক্রিমিয়া ছিল রাশিয়ার একমাত্র উষ্ণ পানির বন্দর, আর পুতিনের আমলেই এই বন্দর রাশিয়ার হাতছাড়া হবে, সেটা তিনি চাননি।’

রাশিয়া নিজেকে এখনো দেখে একটি পরাশক্তি হিসেবে, এবং বিশ্বে তার সেই সামরিক-রাজনৈতিক শক্তি অটুট রাখার ক্ষেত্রে ক্রিমিয়ার ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব তাই অনেক।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে রাশিয়ার দাবি কী?

ইউক্রেন এখনো ন্যাটোর সদস্য নয়। তবে তাদের সাথে ন্যাটোর সখ্যতা আছে। ভবিষ্যতে কোনো একদিন তারা ন্যাটো জোটের সদস্য হবে, এরকম একটা বোঝাপড়া আছে। তবে রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে এরকম একটা নিশ্চয়তা চায়, যেন এটা কখনোই না ঘটে।

কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো এরকম নিশ্চয়তা দিতে রাজি নয়।

ইউক্রেনের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ জাতিগতভাবে রুশ। তাদের সাথে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আছে। রাশিয়া কৌশলগতভাবে ইউক্রেনকে তার বাড়ির পেছনের আঙ্গিনা বলে বিবেচনা করে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন মনে করেন, পশ্চিমা শক্তি আসলে ন্যাটো জোটকে ব্যবহার করে চারিদিক থেকে রাশিয়াকে ঘিরে ফেলছে। তিনি চান ন্যাটো যেন পূর্ব ইউরোপে তাদের সামরিক তৎপরতা কমিয়ে আনে।

তিনি বহুদিন ধরে অভিযোগ করে যাচ্ছেন যে ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো জোটকে পূর্বদিকে সম্প্রসারণ করা হবে না বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটি তারা রাখেনি। তবে ন্যাটো রাশিয়ার এই কথা প্রত্যাখ্যান করেছে।

তারা বলছে, ন্যাটো জোটের মাত্র অল্প কটি দেশের সাথে রাশিয়ার সীমান্ত রয়েছে, আর ন্যাটো হচ্ছে একটি আত্মরক্ষামূলক সামরিক জোট। অনেকের বিশ্বাস, ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়ার যে বিরাট সৈন্য সমাবেশ, তার উদ্দেশ্য আসলে রাশিয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো যাতে পশ্চিমারা গুরুত্বের সাথে নেয়, সেজন্য বাধ্য করা।

তবে ইউক্রেনকে ন্যাটো সামরিক জোটে ঢুকতে না দেয়ার যে দাবি রাশিয়া জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তা নাকচ করে দিয়েছে। রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে, তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন রাশিয়ার কাছে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক জবাবে একথা জানিয়েছেন।

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, তাদের সামরিক জোটের জবাবও মস্কোর কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়গুলো তিনি শুনতে রাজি আছেন, কিন্তু এটাও বুঝতে হবে প্রত্যেকটি দেশের তার মতো করে নিজের প্রতিরক্ষার পথ বেছে নেয়ার অধিকার আছে।

রাশিয়ার মতো সামরিক শক্তি কেন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন?

ব্রিটিশ সাংবাদিক টিম মার্শাল তার লেখা বেস্টসেলার ‘প্রিজনার্স অব জিওগ্রাফি’ বইতে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, অনেক ভাবতে পারেন রাশিয়ার মতো এত বড় একটি সামরিক ক্ষমতাধর দেশকে কে আক্রমণ করতে চাইবে। কিন্তু রাশিয়া নিজে বিষয়টি সেভাবে দেখে না। এর যথেষ্ট ভিত্তিও আছে। গত ৫০০ বছরে রাশিয়া বহু বিদেশী শক্তির আক্রমণের মুখে পড়েছে, আর এই সবগুলো আক্রমণই এসেছে উত্তর ইউরোপের সমতল ভূমি দিয়ে।

১৬০৫ সালে পোলিশরা আক্রমণ চালিয়েছিল এই পথ ধরে। এর পরে আসে সুইডিশরা। ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের নেতৃত্বে হামলা চালায় ফরাসীরা। জার্মানরা রাশিয়ায় অভিযান চালিয়েছে দুবার - ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, আবার ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।

১৮১২ সালে নেপোলিয়নের সময় থেকে হিসাব করলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত গড়ে প্রতি ৩৩ বছরে রাশিয়াকে উত্তর ইউরোপের সমতলভূমিতে একবার করে যুদ্ধ করতে হয়েছে। কাজেই রাশিয়ার ধারণা, তাদের দেশের জন্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি যদি থেকে থাকে, সেটি এই পথেই আসবে।

১৯৯০ এর দশকের শুরুতে সোভিয়েত ইউনিয়ন যে ভেঙ্গে গিয়েছিল, সেটিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার জন্য এক ভূরাজনৈতিক বিপর্যয় বলে মনে করেন। এরপর থেকে রাশিয়া কেবল উদ্বেগের সাথে দেখছে, কীভাবে ধীরে ধীরে সামরিক জোট ন্যাটো চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলছে।

১৯৯৯ সালে চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড যোগ দিল ন্যাটোতে। ২০০৪ সালে তাদের পথ অনুসরণ করলো বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া। ২০০৯ সালে যোগ দিল আলবেনিয়া।

এই দেশগুলো এক সময় হয় ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ অথবা ওয়ারশ সামরিক জোটের সদস্য।

জর্জিয়া, মলদোভা বা ইউক্রেনও পারলে ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়ার কারণেই তাদের যোগ দেয়া হয়নি। কারণ এই তিনটি দেশেই রুশপন্থী মিলিশিয়াদের শক্ত অবস্থান আছে। এই দেশগুলোর যেকোনো একটি যদি ন্যাটোতে যোগ দেয়, তা রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের স্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করতে পারে।

টিম মার্শাল লিখেছেন, গত শতকে স্নায়ুযুদ্ধের দিনগুলোতে কে ভাবতে পেরেছিল মস্কো থেকে মাত্র কয়েক শ’ মাইল দূরে পোল্যান্ডের মাটিতে বা বাল্টিক দেশগুলোতে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা থাকবে?

তার মতে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়া মানে যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর সামরিক বাহিনী একেবারে রাশিয়ার পেটের ভেতরে এসে অবস্থান নেয়া। নিজের দোরগোড়ায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক উপস্থিতিকে রাশিয়া সঙ্গত কারণেই এক বিরাট নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।

ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার গ্যাস কেন বড় ইস্যু?

পরমাণু অস্ত্রের কথা বাদ দিলে, রাশিয়ার হাতে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র কিন্তু তার সেনাবাহিনী বা বিমান বাহিনী নয়। রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র তার জ্বালানি।

ইউরোপের মোট তেল ও গ্যাস সরবরাহের ২৫ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, ফিনল্যান্ড ও এস্তোনিয়ার মতো দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানির ওপর শতভাগ নির্ভরশীল।

জার্মানির প্রায় অর্ধেক গ্যাস সরবরাহ আসে রাশিয়া থেকে। জার্মানির রাজনীতিকরা কেন রাশিয়ার সমালোচনায় অতটা সরব নয়, এ তথ্য থেকেই তা বোঝা যায়।

আর ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে ইউক্রেন হচ্ছে রাশিয়ার প্রবেশ দ্বার। রাশিয়া থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রধান গ্যাস পাইপ লাইনগুলো গেছে ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে। রাশিয়ার প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাসের সরবরাহ যায় এই পাইপলাইন দিয়ে।

কাজেই ইউক্রেন যদি রাশিয়ার প্রভাব বলয়ের বাইরে চলে যায়, তাহলে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়া তার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে পারে বলে আশংকা করে।

তবে ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া বাল্টিক সাগরের নিচ দিয়ে জার্মানি পর্যন্ত নর্ড স্ট্রিম-২ নামে নতুন একটি গ্যাস পাইপলাইন বসিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া যদি ইউক্রেনে অভিযান চালায়, তাহলে এই নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প আর সামনে আগাবে না বলে এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউরোপ যেভাবে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, তাতে করে রাশিয়া অন্যান্য দেশগুলোর ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে যাবে বলে আশংকা করে যুক্তরাষ্ট্র।

তারা মনে করে, রাশিয়া চাইলে যেকোনো সময় এসব গ্যাস পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে, সামনের দিনগুলোতে এই জ্বালানিকে একটা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বার বার ব্যবহার করতে পারে।

ইউক্রেন প্রশ্নে ন্যাটো কি ঐক্যবদ্ধ?

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেন প্রশ্ন ইউরোপীয় নেতারা সবাই একমত। তবে বিভিন্ন দেশ যে ধরনের সমর্থন দেবে বলে কথা দিচ্ছে, তার মধ্যে পার্থক্য আছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে ৭০ টনের মতো ‘মারণঘাতী সামরিক সরঞ্জাম’ পাঠিয়েছে, যাতে রণাঙ্গনের সামনের কাতারে প্রতিরোধ তৈরি করা যায়। যুক্তরাজ্য স্বল্পমাত্রার ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে। কিছু ন্যাটো দেশ, যেমন ডেনমার্ক, স্পেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস তাদের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পূর্ব ইউরোপে পাঠাচ্ছে সেখানকার প্রতিরক্ষাকে জোরালো করতে।

তবে জার্মানি ইউক্রেনের অনুরোধ সত্ত্বেও কোনো অস্ত্রশস্ত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কারণ দেশটির নীতিই হচ্ছে কোনো সংঘাতপূর্ণ এলাকায় কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র না পাঠানো। পরিবর্তে জার্মানি মেডিক্যাল ত্রাণ সাহায্য পাঠাবে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ অবশ্য উত্তেজনা প্রশমনের জন্য রাশিয়ার সাথে আলোচনা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো কী ব্যবস্থা নিতে পারে?

পশ্চিমা দেশগুলো মূলত মারাত্মক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাই বলছে, যদিও তারা খোলাখুলি স্পষ্ট করে বলছে না এই নিষেধাজ্ঞা ঠিক কেমন হবে।

যে একটি ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে, সেটি হলো একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক বার্তা লেনদেন সার্ভিস ‘সুইফট’ থেকে রাশিয়াকে বাইরে রাখা। বিশ্বে ২০০’র বেশি দেশের ব্যাংক এবং আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো এটি ব্যবহার করে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এটি একটি মারাত্মক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর পক্ষে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক লেনদেন চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।

২০১২ সালে এটি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এরকম নিষেধাজ্ঞায় উল্টো ফলও হতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মান ব্যাংকগুলোর খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে।

যুক্তরাষ্ট্র চাইলে রাশিয়াকে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। এর মানে দাঁড়াবে রাশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য একেবারে সীমিত হয়ে পড়বে। এর বিরাট প্রভাব পড়তে পারে রুশ অর্থনীতিতে। আন্তর্জাতিক ঋণ বাজার থেকে যাতে রাশিয়া ঋণ করতে না পারে, সেরকম নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারে।

নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে।

পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়া যে জ্বালানি বিক্রি করে, সেটি বন্ধ করার কথাও আলোচনায় আসছে। কিন্তু এর কোনো বিকল্প এখন পর্যন্ত জার্মানি বা অন্য দেশগুলোর নেই।

তবে পশ্চিমা দেশগুলোর নিজেদের মধ্যেই আসলে মতবিরোধ রয়েছে যে তারা রাশিয়াকে শাস্তি দিতে কতদূর পর্যন্ত যাবে।

সূত্র : বিবিসি


হন্ডুরাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন জিওমারা কাস্ত্রো। রাজধানী তেগুসিগাল্পার জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজার হাজার মানুষ হাতে পতাকা নিয়ে শপথ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হন।

সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাত্রা শুরু করা ক্যাস্ত্রো শিগগিরই একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে—বেকারত্বের উচ্চ হার, চলমান সহিংসতা, দুর্নীতি এবং সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা। এর পাশাপাশি হন্ডুরানদের জীবন মান আরও উন্নত করতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপও রয়েছে। মেক্সিকো হয়ে উত্তরে দীর্ঘ স্থলভূমির পথে হন্ডুরাসবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়ার ইচ্ছা রোধ করতে এমন চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা ও এল সালভাদর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের মূল কারণগুলো সমাধান করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে দায়িত্ব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কমলা হ্যারিস ক্যাস্ট্রোর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এবং ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে।

ক্যাস্ত্রো বলেছেন, তিনি হন্ডুরাসে দুর্নীতিবিরোধী একটি মিশন স্থাপনের জন্য জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকা অঞ্চলে মিত্র পাওয়ার চেষ্টায় ক্যাস্ত্রোকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।

২:০১ AM


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) চলছে ২০২২-২৪ মেয়াদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন উপলক্ষে এফডিসিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

জানা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে এফডিসিতে মোট ৩০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট শুরুর আগেই বিভিন্ন স্থানে পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে এফডিসির মূল ফটকের দুইপাশেই অবস্থান নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। তবে এই নির্বাচনকে ঘিড়ে এত কড়া নিরাপত্তা প্রয়োজন ছিল না বলে মনে করেন এবারের নির্বাচনের সভাপতি পদপ্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন।

নির্বাচনে ভোট দিতে সকালেই এফডিসিতে আসেন ইলিয়াস কাঞ্চন। শুক্রবার সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে তিনি ভোট দেন। এরপর অন্যান্য প্রার্থী, সদস্যরা ভোট দেওয়া শুরু করেন। ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। 

এ সময় তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে যখন ঢুকলাম, মনে হচ্ছে যুদ্ধ হবে! এত নিরাপত্তা তো এখানে আসলে দরকার নাই। এখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয় না, নিরাপত্তা একটু কম হলে ভালো হতো।’

তিনি আরও বলেন, তিনি বলেন, ‘ এখনো পর্যন্ত সার্বিক অবস্থা ভালোই দেখছি। আশা করছি ভোটাররা সঠিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। ভবিষ্যত তো বলা যায় না। বাকি ভোটাররা আসলে আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।’

এদিকে, ভোট শুরুর পর দুই প্যানেলই আশা প্রকাশ করেছে যে, তারা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।  

উল্লেখ্য, গত দুই মেয়াদে নির্বাচিত মিশা-জায়েদ জুটির বিরুদ্ধে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে লড়ছেন কাঞ্চন-নিপুণ। এই নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৪২৮ জন। তবে ভোটাধিকার হারানো সমিতির ১৮৪ জন সদস্য এবার ভোট দিতে পারছেন না। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে রিট করা হলেও তা এখনো সুরাহা হয়নি। 

নির্বাচনের প্রধান কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা শহীদুল হারুণ। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। এই বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।

সকল জল্পনার অবসর ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সাময়িক সময়ের জন্য ছুটি নিলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। 

বিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর ছয় মাসের জন্য তিনি ছুটি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও তামিম নিজে আজকের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি মনে করেন ছয় মাস পর তাকে আর প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে যে ক্রিকেটারার খেলছেন, তারা আরও ভালো করবেন বলেই মনে করেন তামিম।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাামে বহুল কাঙ্ক্ষিত সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, 'বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও আমার কথা শুনেছে, আমিও তাদের বক্তব্য শুনেছি।

প্রেসিডেন্টকে (নাজমুল হাসান পাপন) অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই, উনি দুদিন আগেও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আজও ফোন করেছিলেন। আমি নিজের কথাগুলো উনার সঙ্গে শেয়ার করেছি। 

উনি তার বক্তব্য বলেছেন। কাজী ইনামের কথা বলতে হয়। উনিও এই আলোচনায় ছিলেন। সব আলোচনার পর যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সেরা মনে হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তটাই আমি নিয়েছি। '

তামিম ইকবাল আরও বলেন, 'মিডিয়াতে তো অনেক ধরনের কথা হয়, মান-অভিমানের বিষয়ে। কিন্তু যে কোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য বড় ব্যাপার। 

যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য তাই। এখানে মান-অভিমানের জায়গা নেই। আমি যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি সেটা পুরোপুরি ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে। 

এছাড়া আর কোনো কিছু না। আবারও বলছি, ছয় মাস পর আশা করি আমার দরকার পড়বে না। আমাদের টিম অসম্ভব ভালো খেলবে। 

যদি কোনো পরিস্থিতি আসে, বড় কোনো টুর্নামেন্টের আগে টিম ম্যানেজম্যান্ট, বোর্ড এবং আমি নিজে যদি মনে করি যে আমার দলে আসার প্রয়োজন আছে, তাহলে আমি অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করব। এটাই আমার বক্তব্য। '


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার বছর পেরিয়ে গেলেও বড় এক ধাঁধা হয়ে আছেন মুজিব উর রহমান। আফগান রহস‍্য স্পিনারকে সামলাতে এখনও তল খুঁজে পান না ব‍্যাটসম‍্যানরা।

বিপিএলের পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। সেখানে একটু এগিয়ে থাকতে ফরচুন বরিশালের নেটে মুজিবকে যত বেশি সম্ভব খেলতে চান কিপার-ব‍্যাটসম‍্যান নুরুল হাসান সোহান।

ব্যাটসম্যানরা অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেন ভেবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নেটে খুব বেশি বোলিং করেন না আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। মুজিবও সেই পথ অনুসরণ করেন কিনা, সেটা শিগগির জেনে যাবেন সোহান।

নেদারল‍্যান্ডস থেকে বুধবার ঢাকায় পৌঁছানো মুজিব এরই মধ‍্যে এসে পৌঁছেছেন চট্টগ্রামে। করোনাভাইরাস নেগেটিভ সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার রাতেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন ২০ বছর বয়সী এই স্পিনার।

জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অনুশীলন শেষে সোহান বলেন, নেটে মুজিবকে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি।

“অবশ্যই চাইব যেন নেটে যত বেশি খেলা যায় (মুজিবকে)। তাহলে হয়তো আমাদের ব্যাটসম্যান যারা আছে, এরপরের সিরিজে যারা থাকবে, তাদের জন্য অনেকটা সহজ হবে।”

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ সফল মুজিব। ৩ ম‍্যাচে ১৬ গড়ে তার ৬ উইকেট। ইকোনমি ৩.৪০। টি-টোয়েন্টিতে ৫ ম‍্যাচে ১৩.৪২ গড়ে ৭ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ কেবল ৪.৭০ রান।

কোনো সন্দেহ নেই মুজিবকে খেলতে পারলে বাড়তি সুবিধা মিলবে। একই সঙ্গে বিপিএলের পরপরই আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ বলে সেখানেও নিজেদের সুবিধা দেখছেন সোহান। 

“আমার মনে হয় যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে ‘হাইপ ও ইনটেনসিটি’ থাকে সেটা বিপিএলে পাওয়া যায়। আমার কাছে মনে হয় যে, এটা আমাদের কাছে অবশ্যই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

“যেহেতু এটার পরেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে, তো এখান থেকেই আমাদের যতটুকু সম্ভব আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা যায়। সেটা করে যদি আমরা যেতে পারি সিরিজে, তাহলে আফগানিস্তান সিরিজে আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে।”

বিপিএলের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।

৯:৩৫ AM

পর্দা ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসে মেহজাবীনের নাম। যদিও তারকাদের ক্ষেত্রে এটি খুবই স্বাভাবিক। তবে মেহজাবীনের ক্ষেত্রে নামের বানান ভুল হওয়ায় সাংবাদিকের কাছে তা ঠিক করে লেখার আবদার জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই আবদার জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি লিখেছেন, 'সকল সাংবাদিক ভাই বোনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি! আপনাদের ভালোবাসা এবং সহযোগিতা আমি সব সময় পেয়েছি।'

মেহজাবীন আরও লিখেছেন, 'আরেকটি আবদার করতে চাই। আমাকে নিয়ে যখন আপনারা গুছিয়ে সুন্দর করে রিপোর্ট লিখেন আমার খুব ভালো লাগে। তবে শুধু অল্প কিছু সংবাদ মাধ্যমেই আমার নামের সঠিক বানান দেখতে পাই। যারা এখনো জানেন না, তারা একটু আমার নামের সঠিক বানানটা জেনে নিন- বাংলা: মেহজাবীন চৌধুরী (English: Mehazabien Chowdhury)। অনেক ধন্যবাদ।'

প্রসঙ্গত, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছোট পর্দাতেই কাজ করছেন মেহজাবীন চৌধুরী। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা নাটকে অভিনেত্রী হিসেবে শীর্ষ জনপ্রিয়তায় রয়েছেন তিনি। তার ভক্তদের একটা অংশের প্রত্যাশা, সিনেমাতেও আসবেন মেহজাবীন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, নাটকেই তিনি মানানসই। তবে সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে মেহজাবীন কখনো সিনেমায় পা রাখবেন কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে।

৯:০৯ AM

গতকাল থেকেই মৌনী রায়ের বিয়ের নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। বলিউডের বেশ কিছু তারকা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে মৌনী রায়ের মেহেন্দি থেকে গায়ে হলুদের ছবি শেয়ার করেছেন।


দক্ষিণি বধূর সাজে বাঙালি কন্যা মৌনি রায়। সব্যসাচীর ডিজাইন করা সোনালি-লাল পাড় সাদা বেনারসি শাড়িতে উজ্জ্বল তিনি। আর তার সঙ্গে ছিল মানানসই সোনার অলংকার। সুরজের পরনে তসর রঙের পাঞ্জাবি আর সাদা লুঙ্গি।

মালয়ালম রীতি মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মৌনি আর সুরজ। মৌনির গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দিচ্ছেন সুরজ।

মৌনির সঙ্গে জনপ্রিয় মিট ব্রাদার্সের এক গায়ক। তিনিও দক্ষিণি সাজে সেজে উঠেছেন।

মৌনির বিয়ের আসরে আত্মীয়স্বজন ছাড়া বিনোদনজগতের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মৌনির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মন্দিরা বেদীর সঙ্গে সুরজের বন্ধুত্বের আলিঙ্গন।

গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে মৌনি আর মন্দিরার এক সুন্দর মুহূর্ত।

সাত পাকে বাঁধা পড়ার কিছু আগে সুরজের সঙ্গে এক উষ্ণ মুহূর্তের ছবি মৌনি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। এভাবেই হবু বরকে মৌনি বিশ্ববাসীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। এই ছবিতে দেখা গেছে, সুইমিংপুলের ধারে সাদা পাঞ্জাবিতে সুরজ আর লাল ওড়নায় রক্তিম মৌনি। এই হবু দম্পতি একে অপরকে আলিঙ্গন করে আছেন। ছবির ক্যাপশনে মৌনি লিখেছেন, ‘এভরিথিং’।

মৌনির কাছের বন্ধু তথা টেলিভিশন তারকা অর্জুন বিজলানি তাঁর গায়ে হলুদ লাগাচ্ছেন। তাঁদের বন্ধুত্বের সুন্দর এক মুহূর্ত ধরা পড়েছে এই আসরে।

মৌনির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন সুরজ। সত্যি চোখ ফেরানো দায়।

নেট দুনিয়ায় হরহামেশাই সাহসী হয়ে উঠতে দেখা যায় মৌনিকে। তাঁর ছবি নেট দুনিয়ার উত্তাপ কয়েক শ গুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে এখানে বধূর বেশে লাজুক মৌনি



মৌনি আর মন্দিরাকে দুপাশে নিয়ে সুরজ। মন্দিরাও সেজে উঠেছেন দক্ষিণি সাজে।

সুরজের এক গালে স্ত্রী মৌনি ভালোবাসার চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন। আর তাঁর অপর গালে বন্ধুত্বের চুম্বন দিচ্ছেন মন্দিরা বেদী।

উত্তর কোরিয়া সন্দেহভাজন দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।


দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইয়নহাপ নিউজ এজেন্সির বরাতে এ তথ্য জানায় আলজাজিরা।

বৃহস্পতিবার সিউল বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া স্বল্প পাল্লার দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়েছে।


দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, চলতি বছরের মধ্যে এটি ষষ্ঠবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা।


এর আগে মঙ্গলবার দুটি সন্দেহভাজন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল পিয়ংইয়ং। যদিও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেশটির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।


দেশটি এ ছাড়াও ১৪ ও ১৭ জানুয়ারিতে সন্দেহভাজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫ ও ১১ জানুয়ারি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকি’ প্রতিরোধে উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি অস্ত্র পরীক্ষা এবং নিজেদের প্রতিরক্ষা কার্যক্রম বাড়িয়েছে।


জেসিএস বলছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ও ৮টা ৫ মিনিটের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উত্তর কোরিয়ার শহর হামহুং ও কাছাকাছি জায়গা থেকে ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ১৯০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে।


জেসিএস ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানায়, আরও তথ্যের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দেখছে।


উত্তর কোরিয়া চলতি মাসে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, নিষিদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘হাইপারসনিক’ অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এ ছাড়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা অস্ত্র সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম পুনরায় শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।


ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ছাড়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনাও থমকে আছে ২০১৯ সাল থেকে। 


সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন অমান্য করে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোয় উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে নিরাপত্তার পরিষদকে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় পিয়ংইয়ং।


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ছাড় আদায়ের পুরনো টেকনিকে ফিরেছেন কিম জং উন।


মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেছেন, পত্রিকা খুললেই পরীমনি, খুকুমণি আর দীপু মনিদের কাহিনি। 

এসব দেখলে বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম, নতুন প্রজন্ম হতাশ হয়। পরীমনি আর খুকুমণিদের লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাদের নেতৃত্ব দূষিত হয়? সমাজ দূষিত হয়? এটি একটি ষড়যন্ত্র। অথচ নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়া জাতীয় কর্তব্য।

জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় শাবির আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সুলতান মনসুর বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙিয়েছেন? সেখানে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিলেন না? জাফর ইকবালকে সেখানে পাঠানোর জন্য সংসদ নেত্রী সেই ব্যবস্থা করেছেন নিশ্চয়ই।


পাবনার সাঁথিয়ায় দেবরকে বিয়ের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ভাবি। উপজেলার করমজা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।  

ভুক্তভোগী ভাবির (৩৫) দাবি, দেবরের সঙ্গে তাঁর ১৫ বছরের সম্পর্ক। বিয়ের পর থেকেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান তিনি।

এতদিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এসেছে দেবর। কিন্তু এখন সে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে চাইলে তিনি তাঁর ঘরে এসে অনশন করছেন।  

ওই ভাবির স্বামী ঢাকাতে বাস চালান। তিনি ১০/১৫ পর পর বাড়িতে আসেন।  

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই গৃহবধূ অনশন করছেন। ভাবির দাবি, তাঁকে বিয়ে না করলে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। একইসঙ্গে তিনি আইনের আশ্রয়প্রার্থী। ভাবি আরো জানান, তাঁকে বিয়ে করবে বলে মসজিদে গিয়ে কোরআন মাথায় নিয়ে শপথও করেছেন দেবর।


স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ভাবি দুই সন্তানের জননী। তিনি স্বামীর আপন ছোট ভাইকে প্রেমিক দাবি করে এই আমরণ অনশন শুরু করেন।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে প্রেমিক দেবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ভাবির সঙ্গে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তিনি আমার বিয়ের কথা শুনে ষড়যন্ত্র করে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও আমার দুই-তিনটা বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন ভাবি। '

এ বিষয়ে করমজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হোসেন আলী বাগচীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত ঘটনার নিশ্চিত করেছেন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাতদিন ধরে চলা অনশন ভাঙিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। 

সঙ্কট সমাধানে বিভিন্ন পর্যায় থেকে শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরই অংশ হিসেবে জনপ্রিয় এই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান একাত্তর জার্নালে অংশ নিয়ে তিনি এমন কথা জানান। মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, এটিএন বাংলার বার্তা প্রধান জ ই মামুন ও বাংলা ট্রিবিউনের বার্তা প্রধান মাসুদ কামাল।


অনুষ্ঠানের শুরুতেই ড. জাফর ইকবাল যুক্ত হয়ে জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিজেই সেখানে যেতে চাইছিলেন। পরে সরকারের ‘উপর মহলের’ ঘটনাক্রমে কথা হলে সেখান শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে সেখানে যান এবং শিক্ষার্থীরা তার কথা রেখেছে।

সরকার সঙ্কট সমাধানে আগে কেন পদক্ষেপ নিল না- এমন প্রশ্নে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সবকিছুর একটা উপযুক্ত সময় থাকে। আমরা এর আগে গেলে এটি (অনশন আন্দোলন) এভাবে সমাধান হতো কি না- সেটা বলতে পারি না। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, গতরাতে জাফর ইকবাল ভাই নিজে গিয়েছেন এবং আজ শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙিয়েছেন, আমরা মনে করি, ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি হয়েছে।’


একই প্রসঙ্গ টেনে জ ই মামুন শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, আজকে জাফর ইকবাল উপর মহলের নির্দেশে সেখানে গেলেন, তাহলে উপর মহল নিজেরাই কেন উদ্যোগ নিলেন না। এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। এরকম যে কোনও সংকটে অনেকরকম তৎপরতা সেখানে থাকে, অনেক ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিছু সামনে আসে, কিছু আড়ালে থাকে। এ সংকটটি সমাধানেও অনেক লোকই অনেকভাবে কাজ করেছে, সবার কথা বলেও শেষ করা যাবে না। 

সেরকম নানারকম প্রস্তুতির একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হয়েছে, জাফর ইকবাল ভাইয়ের হাতেই এটা হলে ভালো হবে এবং এটা সঠিকভাবে হবে। তারপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ আমরা নিতে পারবো। এর আগে আমার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। পরে আরও কথা হওয়ার কথা ছিল। এর মাঝখানে অন্য একটি উদ্যোগ নিয়ে জাফর ইকবাল ভাইকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং সেটাকে প্রয়োজন মনে করা হয়েছে বলেই নিয়ে আসা হয়েছে।’


শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী শাবির উপাচার্য পদত্যাগ কিংবা অপসারণ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আন্দোলনটা মূলত ভিসির অপসারণের দাবিতে ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানারকম সমস্যা থাকে। যদি সেসব সমস্যা সমাধান হয়ে যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি বড় কোনও সমস্যা না, যদি ভিসি নিজে কোনও বড় সমস্যার কারণ না হন।


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঘটনার সবকিছু খতিয়ে দেখতে চাই। এতে যারই দায় বা দোষ পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আর উপাচার্যের পদত্যা আচার্যের বিষয়, সেটা আচার্য দেখবেন। তার মানে এই নয় এই দাবি মানছি বা মানছি না।’

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget