Latest Post


মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সারা দেশে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। যে গতিতে এই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তাতে স্থানীয় এবং আঞ্চলিকভাবে অনেকেই অবাক হয়েছেন, এবং বিভিন্ন ইঙ্গিত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এই বিক্ষোভ নিছক জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নয়।

কাজাখস্তানের এই বিক্ষোভটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তা ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো।

কী ঘটেছে?
বিক্ষোভ শুরু হয় যখন তেল-সমৃদ্ধ সাবেক এই সোভিয়েত রাষ্ট্রের সরকার তরলায়িত জ্বালানি গ্যাস বা এলপিজির মূল্যের ওপর বেঁধে দেয়া সীমা বাতিল করে। এর ফলে এলপিজির দাম বেড়ে যায়। কাজাখস্তানের অনেকেই তাদের গাড়িতে এলপিজি ব্যবহার করেন।

রোববার এই বিক্ষোভ শুরু হয় একটি জায়গায়। কিন্তু মঙ্গলবারের মধ্যে এটি সারা দেশের শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক জায়গায় জনসমাবেশ হয়, এবং সেখানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কাজাখস্তানের প্রধান শহর ও সাবেক রাজধানী আলমাটিতে হাজারখানের লোক জড়ো হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশসহ শত শত লোক আহত হয়।

এরপর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে কাজাখস্তানের বহু জায়গায় জরুরি আইন জারি করা হয়। অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে খবর পাওয়া যায়।


প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ এই বিক্ষোভের জন্য তার নিজের সরকারকেই দায়ী করেন এবং সরকারকে বরখাস্ত করেন। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন এই বলে যে 'দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে' এলপিজির দাম কমানো হবে।

কিন্তু জনগণ তাতে শান্ত হয়নি। তারা আলমাটির মেয়রের অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এই বিক্ষোভ কেন অস্বাভাবিক?
কাজাখস্তানে প্রচুর তেল এবং গ্যাস রয়েছে। পুরো মধ্য এশিয়ায় দেশটিকে খুব প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়।

এর কারণ, ওই অঞ্চলের মোট জিডিপির শতকরা ৬০ ভাগ যোগ দেয় কাজাখস্তান। কিন্তু এই দেশটির সরকারকে খুবই কর্তৃত্ববাদী বলে মনে করা হয়।

কাজাখস্তান বিশ্বের নবম বৃহৎ দেশ। কিন্তু সেই বিবেচনায় দেশের জনসংখ্যা খুবই কম- এক কোটি ৮৮ লাখ।

আরো পড়ুনঃ- কাজাখস্তানে জরুরি অবস্থা, রাশিয়ার সাহায্য প্রার্থনা

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দেশটি ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। দেশটি যখন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ তখন ১৯৮৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নুর-সুলতান নজরবায়েভ। তখন থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজাখস্তানের শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখেন।

এরপর এক নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হন, যে নির্বাচনে কেউ তাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি।


তার শাসনামলে নজরবায়েভ কাজাখস্তানে ব্যক্তিপূজা চালু করেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। এমনকি, তিনি একটি নতুন রাজধানী স্থাপন করেন এবং নিজের নামে তিনি এই রাজধানীর নাম রাখেন নুর-সুলতান।

বহু বছর শাসনের পর নজরবায়েভ ২০১৯ সালে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিরল এক গণবিক্ষোভ হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এই পদত্যাগের মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।

একই বছর হঠাৎ করে ডাকা এক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন নজরবায়েভের পছন্দের প্রার্থী কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ। ওই নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বহু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক প্রবল সমালোচনা করেন।

ক্ষমতায় না থাকলেও নজরবায়েভ এখনো খুবই প্রভাবশালী, এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন যে বিক্ষোভ চলছে তা মূলত নজরবায়েভের বিরুদ্ধে।

কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেছেন তিন বছর হলো। এই তিন বছরে কাজাখস্তানের বিশেষ কোনো উন্নয়ন হয়নি। সে দেশে জীবনমান এখনো কম। কাজাখদের ব্যক্তি স্বাধীনতাও খুবই সীমিত।

লন্ডনের রয়্যাল ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের বিশ্লেষক কেট মলিনসন বিবিসিকে বলছেন, 'কাজাখস্তানের জনগণের সাথে নজরবায়েভের একধরনের সখ্যতা ছিল।'


তিনি বলেন, ‌মানুষ ছিল সরকার অনুগত। কারণ তারা দেখছিল তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। গত দু'বছরে কোভিড মহামারির সময় কাজাখস্তানে ব্যাপক মূদ্রাস্ফীতি ঘটে।'

এলপিজির মূল্য বাড়ানোর ঘটনা জনগণের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।

বিক্ষোভকারিরা চায় কী?
সরকার বরখাস্ত হলেও এবং জ্বালানির দাম আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হলেও রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট নজরবায়েভের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তারা বুঝতে পেরেছেন যে সরকারে পরিবর্তন ঘটলেও অনেক সময় পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে না।

এই বিক্ষোভের একটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ঝানাওজেন। এটি কাজাখস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে মংগিস্টু প্রদেশের একটি শহর।

দু'হাজার এগারো সালে এই শহরটিতে বড় ধরনের একটি বিক্ষোভ হয়েছিল। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে তেল শিল্প কর্মীদের এই বিক্ষোভটি কঠোর হাতে দমন কর হয়, এবং এতে অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারায়। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

এখন ঝানাওজেন আবার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এবং সেখানকার বিক্ষোভকারিরা পাঁচ-দফা দাবিনামা পেশ করেছেন :

* সরকারের মধ্যে প্রকৃত পরিবর্তন।
* সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রাদেশিক গভর্নরদের নির্বাচন। (বর্তমানে প্রেসিডেন্ট এদের নিয়োগ করেন।)
* ১৯৯৩ সালের সংবিধান ফিরিয়ে আনা। ঐ সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় কাটছাঁট করা হয়েছিল।
* রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কারো ওপর নির্যাতন চলবে না।
* সরকারের সাথে সম্পর্ক নেই এমন ব্যক্তিদের সরকারে স্থান দেয়া।

কিন্তু এখনকার আন্দোলন বিক্ষোভে কে নেতৃত্ব দিচ্ছে তা এখনো পরিষ্কার না। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাজাখস্তানে আসলে নির্বাচন-ভিত্তিক গণতন্ত্র নেই, কারণ বহু দশক ধরে সে দেশে ভিন্নমত তৈরি হলে সেটি অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা হতো।

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক গ্রিগরি গোলোসোফ বলছেন, কাজাখস্তানের মানুষ বিশ্বাস করেন যে একমাত্র সড়কে বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে তারা সরকারকে তাদের কথা শুনতে বাধ্য করতে পারবেন।

'যে দেশে কর্তৃত্ববাদী সরকার সেখানে যেকোনো অ-জনপ্রিয় অর্থনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করা।'

তাহলে কী ঘটতে চলেছে? আর সেটাই বা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কাজাখস্তানের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছাড়ছে না। কিন্তু পুলিশ এখনো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সরকারও কোনো মারাত্মক পদক্ষেপ না নিয়ে সঙ্কট সমাধানের চেষ্টা করছে।

'মনে হচ্ছে তোকায়েভ উদার মনোভাব বজায় রেখে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। তবে এই কৌশল কতখানি কাজ করবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে,' বলছেন গ্রিগরি গোলোসোফ।

আরো পড়ুনঃ-উভয় সংকটে পুতিন

এনিয়ে বিবিসির সাথে আরেকজন বিশ্লেষক কথা বলেছেন। তিনি হলেন মস্কো কার্নেগী সেন্টারের অ্যালেকজান্ডার বৌনফ। তবে তার মত ভিন্ন।

তিনি বলছেন, কাজাখস্তান পশ্চিমা দেশের কোন মিত্র নয়। এর ফলে পশ্চিমা দেশের নেতারা একে "নিপীড়ন-বাদী এক সরকারের বিরুদ্ধে এক গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান" হিসেবে ধরে নিতে পারেন।

'এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কাজাখ সরকারের কোনো পদক্ষেপ না নেয়া খুব কঠিন। আর এই আন্দোলনকে সমর্থন না করারও কোনো উপায় পশ্চিমা নেতাদের নেই। তবে দীর্ঘমেয়াদে এসব প্রতিবাদের ফলে কাজাখ সরকার রাশিয়ার প্রতি আরো বেশি করে ঝুঁকে পড়বে।'

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফেলো ডায়ানা কুদাইবার্জেনোভা বলছেন, কাজাখ সরকার যে শান্তিপূর্ণভাবে এই সঙ্কট মোকাবেলার চেষ্টা করবে, এমন ইংগিতই পাওয়া যাচ্ছে।


'শান্তিপূর্ণভাবে এর সমাধানের একটা পথ হচ্ছে প্রেসিডেন্ট অন্তত কিছু বিক্ষোভকারীর সাথে মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন এবং জনগণ দেখতে পাবে যে তাদের কথা সরকারের কানে ঢুকেছে।'

একটি প্রধান গ্যাস, তেল এবং খনিজ রফতানিকারী দেশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের আস্থার ব্যাপারটাও কাজাখস্তানকে মনে রাখতে হবে। এটা করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ধরে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

একই সাথে সে দেশের জনগণ সাবেক প্রেসিডেন্ট নজরবায়েভের ছায়া থেকে বের হতে না পেরে দৃশ্যত ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এবং এই অবস্থা পাল্টানোর জন্য তারা লড়াই করতে প্রস্তুত।

কাজাখস্তানের এসব গোলযোগের প্রভাব ওই অঞ্চলেও পড়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই গণবিক্ষোভ কাজাখস্তানের 'অভ্যন্তরীণ ব্যাপার' এবং 'আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে' বলে তারা আশা করে।

তবে রুশ সরকারি সংবাদমাধ্যমে ইতোমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে যে 'পশ্চিমা শক্তি'র মদতেই কাজাখস্তানে এসব বিক্ষোভ চলছে।


সূত্র : বিবিসি


জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির জেরে কাজাখস্তানে চলমান বিক্ষোভ অব্যাহত। এনিয়ে দেশটির সরকারের পতন ঘটেছে। তবে এতে বিক্ষোভ দমেনি। 

রাশিয়ার দক্ষিণ সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের এই অবস্থা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। রাশিয়া কাজাখস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং সমস্ত রুশ-মানববাহী মহাকাশ মিশনের লঞ্চ বেস হিসেবে দেশটির বাইকনুর কসমোড্রোমের ওপর নির্ভর করে।

এছাড়া মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে উল্লেখজনক সংখ্যক রাশিয়ানের বসবাস। কাজাখস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ জাতিগতভাবে রাশিয়ান।  

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কাজাখস্তান ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। দেশটি যখন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ তখন ১৯৮৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নুর-সুলতান নজরবায়েভ। তখন থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজাখস্তানের শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখেন।

এরপর এক নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হন, যে নির্বাচনে কেউ তাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি।  

আরো পড়ুনঃ-কাজাখস্তানে জরুরি অবস্থা, রাশিয়ার সাহায্য প্রার্থনা

বহু বছর শাসনের পর নজরবায়েভ ২০১৯ সালে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। সে সময় তার বিরুদ্ধে বিরল এক গণবিক্ষোভ হয়েছিল। ধারণা করা হয় এই পদত্যাগের মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।

তবে ক্ষমতায় না থাকলেও নজরবায়েভ লোকচক্ষুর অন্তরালে খুবই প্রভাবশালী। এমন একটি রূপান্তর মডেল সেই সময়ে পুতিনের কাছে আবেদন করতে পারে, কিন্তু আজ এটি কম আশাব্যঞ্জক দেখাচ্ছে। 

ইউক্রেনের নিয়ে রাশিয়া এমনি জটিল খেলায় আচ্ছন্ন। এরমধ্যে কাজাখস্তানের এমন পরিস্থিতি সম্ভবত রাশিয়ার জন্য একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তি।

ইউরেশিয়ার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জাছারি উইটলিনের আশা করছেন, দেশটিতে বিক্ষোভ দমাতে মস্কো কাজাখ অভিজাতদের সঙ্গে তার শক্তিশালী ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করবে।  

ব্যবসায়ের জন্য কাজাখ ছিল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ। তবে গত কয়েকদিন ধরে চলা অস্থিতিশীল ঘটনা কাজাখস্তানের খ্যাতিকে ক্ষুন্ন করেছে। কাজাখের এমন পরিস্থিতি তাই মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে পুতিনের।

এদিকে কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ বলেছেন '২০ হাজার দস্যু' দেশটির প্রধান শহর আলমাটিতে হামলা চালিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর এই শহরটিতেই প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। 

কাসিম-জোমার্ট এই হামলার জন্য, বিদেশী প্রশিক্ষিত 'সন্ত্রাসীদের' দায়ী করেছেন। তবে তিনি এক্ষেত্রে কোন প্রমাণ দেননি। 

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত ২৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৮ জন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এদিকে দেশটির  চলমান বিক্ষোভ দমনে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বাহিনী সেখানে পৌঁছেছে। কাজাখ প্রেসিডেন্টের অনুরোধে এই বাহিনী বিক্ষোভ দমনে সহায়তা করবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।


 তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন।

৮:২৯ AM


মডেল-অভিনেত্রী জয়া আহসান। গ্ল্যামার এবং অভিনয় গুণে অনেক আগেই দর্শক, সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে পেয়েছেন চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ওপার বাংলাতেও রয়েছে তার  সুখ্যাতি। সেখানেও পেয়েছেন সম্মাননা।

স্যোশাল মিডিয়াতে সরব জয়া। নিয়মিত ছবি পোস্ট করে চমকে দেন নেটিজেনদের। সম্প্রতি তেমনই একটি ছবি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে  শেয়ার করেছেন। সেখানে কফির পেয়ালা হাতে জয়াকে সংক্ষিপ্ত পোশাকে ভিন্ন লুকে দেখা গেছে।


ছবিতে এই নায়িকাকে যেমন মোহনীয় রূপে দেখা গেছে, তেমনি স্টাইলেও দেখা গেছে বৈচিত্র। যদিও নেটিজেনদের একাংশ ছবিগুলো দেখে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। ছবিগুলোতে এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত ৫৩ হাজার লাইক, প্রায় সাড়ে সাত হাজার কমেন্টস এবং ৩৩৩টি শেয়ার হয়েছে। সমালোচকদের বেশিরভাগই জয়ার সংক্ষিপ্ত পোশাক নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের দৃষ্টিতে জয়ার স্টাইলিস্ট লুক ধরা পড়েনি। 

জয়া অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ব্যাচেলর’ মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। তিনি ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে বিলকিস বানুর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। এরপর এই নায়িকার ‘চোরাবালি’ও প্রশংসিত হয়। টানা দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। জয়া অভিনীত এবং প্রযোজিত সর্বশেষ সিনেমা ‘দেবী’। 


৮:১৮ AM


নতুন বছরের শুরুতেই ফের এক বিচ্ছেদের খবর বিনোদন দুনিয়ায়। মাস কয়েক ধরেই গুঞ্জন ছিল- ঢালি তারকা দম্পতি আমির আলি এবং সানজিদা শেখের আইনি বিচ্ছেদ নিয়ে। অবশেষে এলো তাদের বিচ্ছেদের খবর। যদিও বছরের পর বছর আলাদা থেকেও নিজেদের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেননি তারা।

প্রাক্তন এই জুটির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাদে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘৯ মাস আগেই দুজনে ডিভোর্সের কাগজ হাতে পেয়েছে। এখন তারা নিজেদের পথ বেছে নিয়েছে, দুজনেই খুব ব্যক্তিগত মানুষ এবং কোনওভাবেই ডিভোর্স নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে চায় না’।



তবে ডিভোর্সের খবর নিশ্চিত না করলেও উড়িয়েও দেননি দুজনে।

আলি বলেন, ‘এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না, তবে বলব সানজিদা খুশি থাকুক এটাই চাই’। অন্যদিকে তার প্রাক্তন স্ত্রী সঞ্জিদা জানান, ‘আমি চাই আমার সন্তান আমাকে নিয়ে গর্বিত হোক…ব্যাস এইটুকুই’।

আমির আলি এবং সানজিদা শেখ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করবার পর ২০১২ সালে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন আমির-সানজিদা। কিন্তু ২০২০ সালেই প্রকাশ্যে চলে আসে তাদের দাম্পত্য কলহের খবর। আমির-সানজিদার বিয়ে ভাঙার খবরে যখন তোলপাড় মিডিয়া তখন জানা যায় সারোগেসির মাধ্যমে এক কন্যা সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা। যদিও আইরার আগমনও দু-জনের সম্পর্কে ধরা ফাটল মেটাতে পারেনি।


তেলসমৃদ্ধ মধ্য এশীয় দেশ কাজাখস্তানে এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে বিক্ষোভের মুখে গতকাল বুধবার দেশটির সরকারের পতন হয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বছরের শুরুতে কাজাখস্তানের সরকার এলপি গ্যাসের ওপর থেকে দাম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তুলে নিলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কেননা, দাম কম পড়ায় বহু কাজাখ তাদের গাড়ি তেলের পরিবর্তে এলপি গ্যাসে চালিয়ে থাকেন।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম খবর-২৪ এ বলা হয়েছে, সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার সময় বিক্ষোভকারীরা গতকাল সন্ধ্যায় কাজাখস্তানের বৃহত্তম নগরী আলমাতের বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন।


'এই জরুরি অবস্থা আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে' উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, 'এই সময়ে যান ও জনচলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।'

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ৩টি প্রধান শহরে প্রশাসনিক কার্যালয়ে 'পাথর, লাঠি, গ্যাস, মরিচের গুঁড়া ও ককটেল' হামলা চালিয়েছে।

আলমাতের এক সাংবাদিক সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও মেয়রের কার্যালয়ের আশেপাশের ভবনগুলোয় বাতি জ্বলতে দেখা যায়নি।

আলমাতে বিমানবন্দরের গণমাধ্যম শাখা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওরদাডটকেজেড'কে জানায়, '৪৫ জনের মতো বিক্ষোভকারী বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন। সেসময় বিমানবন্দরের কর্মীরা যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন।'

সরকারের পদত্যাগ, মিত্রদের সাহায্য প্রার্থনা

প্রেসিডেনশিয়াল ওয়েবসাইটে গতকাল বলা হয়, দেশব্যাপী বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী আসকার মামিনের সরকার পদত্যাগ করেছে। দেশের চলমান 'আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে' প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ বৈঠক করেছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তোকায়েভ বলেন, তিনি দেশের নিরাপত্তা কাউন্সিলের দায়িত্ব নেবেন। দ্বিতীয় ভাষণে তিনি আলমাতে বিমানবন্দরে 'সন্ত্রাসী' হামলার কারণে মিত্র দেশগুলোর সহায়তা চান।

কাজাখ প্রেসিডেন্ট 'আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে' বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন। আগামী ১৮০ দিনের জন্য জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এর মধ্যে থাকবে।


রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কাজিনফরম জানায়, তোকায়েভ কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই জোটে রাশিয়া, বেলারুশ ও কিরগিজস্তান রয়েছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালে রাষ্ট্রীয় ভবনে আগুন ও নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট বিক্ষোভ দমনে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সহায়তা চেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে আমি সিএসটিও'র সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রধানদের সহযোগিতা চেয়েছি।'

৮ নিরাপত্তাকর্মী নিহত

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তেনগ্রিননিউজ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশব্যাপী অন্তত ৮ পুলিশ কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও, ৩১৭ নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।

রাশিয়া চুপ থাকতে পারে না

কাজাখস্তানে চলমান বিক্ষোভের কারণ কি? দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রাশিয়ার জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ?—এমন প্রশ্ন তুলে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছেন, কাজাখস্তানে চোখের এসব ঘটনা ঘটে গেছে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, এ বিক্ষোভ তেমন জোরালো হবে না।

কিন্তু, অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এমনকি, রাজপথে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রুশ সেনাদের সংঘর্ষে হয়েছে।

আরটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত ২ জানুয়ারি কাজাখস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। এই বিক্ষোভের কোনো নেতা ছিল না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না কার সঙ্গে কথা বলবে।


দেশে তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। কিন্তু উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ এখন আর নেই। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কিছু কিছু এলাকায় দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নওগাঁর বদলগাছিতে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনায় গতকালের মতো আজও ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। 

এছাড়া আজ বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ৩), ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২ দশমিক ৬), চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৫ দশমিক ৫), সিলেটে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ৯), রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯ দশমিক ৫), রংপুরে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০ দশমিক ৬), বরিশালে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (গতকাল ছিল ১১ দশমিক ৬) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শহীদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামীকাল (৭ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এছাড়া অনেক এলাকায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা পড়তে পারে।’

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।


কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ১২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৯টিতেই ভরাডুবি হয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের। ১২ ইউনিয়নের ফলে তিনটিতে আওয়ামী লীগ, ৯টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী ৯ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, একজন স্বতন্ত্র, দুজন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র এবং এক জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী।

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটানা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের কন্ট্রোল রুম থেকে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আহসান হাবীব।

বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন— ১নং শুহিলপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুবকর ছিদ্দিক ৩ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থী রফিউদ্দিন তিন হাজার ১৩৫ ভোটে পেয়েছেন।

২নং বাতাঘাসী ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মো. সাদেক দুই হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মানিক পেয়েছেন দুই হাজার ৩৪৯ ভোট।

৩নং মাধাইয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান নৌকা প্রতীকে পাঁচ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. অহিদ উল্লাহ্ আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ১০৭ ভোট পেয়েছেন।

৫নং কেরণখাল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে চার হাজার ৩৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. হারুন অর-রশিদ দুই হাজার ৭৫৪ ভোট পেয়েছেন।

৬নং বাড়েরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আহসান হাবীব ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে চার হাজার ৫২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জালাল উদ্দীন কালা ঘোড়া প্রতীকে তিন হাজার ২৩ ভোট পেয়েছেন।


৭নং এতবারপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইউসুফ আনারস প্রতীকে দুই হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম মামুনুর রশিদ আবু এক হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়েছেন।

৮নং বরকইট ইউনিয়নে সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম ঘোড়া প্রতীকে তিন হাজার ১৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল কালাম টেবিল ফ্যান প্রতীকে দুই হাজার ৮৪৭ ভোট পেয়েছেন।

৯নং মাইজখার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ্ সেলিম প্রধান আনারস প্রতীকে ৯ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জামাল উদ্দীন ৯ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়েছেন।

১০নং গল্লাই ইউনিয়নে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম দর্জি (চশমা) ৬ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম আনারস প্রতিকে ৪ হাজার ৪৪০ ভোট পেয়েছেন।  

১১নং দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা শাহজাহান মিয়া ৭ হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন মাস্টার পেয়েছেন চার হাজার ৭৩২ ভোট।

১২নং বরকরই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মজুমদার শিপন নৌকা প্রতীকে পাঁচ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরী রতন ঘোড়া প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৪১ ভোট পেয়েছেন।

১৩নং জোয়াগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জি. আব্দুল আউয়াল খান নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৮৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আবু তাহের ভূঁইয়া ঘোড়া প্রতীকে ৪ হাজার ৭১৫ ভোট পেয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুন নাহার জানান, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঠিক দিকনির্দেশনায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছি। চান্দিনায় কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটারদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করাটাই আমাদের সফলতা।

প্রসঙ্গত, চান্দিনার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কমিউনিস্ট পার্টি ও জাকের পার্টি সমর্থিত ২৫ জন। বাকি ৫১ স্বতন্ত্র প্রার্থী।

২:২১ AM


মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সনি পোদ্দারের সঙ্গে জমকালো আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। এদিন সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে বিয়ের বিশেষ মুহূর্তের বেশকিছু স্থিরচিত্র দিয়েছিলেন মিম।

ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই ভক্তরা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মের হট টপিকে পরিণত হয়েছে সেগুলো! আপলোডের পর মাত্র ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ছবিগুলোতে রিঅ্যাকশন ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে!


প্রতি মুহূর্তে রিঅ্যাক্ট বাড়ছে ঝড়ের বেগে। বোঝাই যাচ্ছে, এমন রূপে মিম-সনির বিয়ে দেখে মুগ্ধ নেটবাসী।

এবার মিম তার অফিশিয়াল ফেসবুকে দিলেন গায়ে হলুদের বেশকিছু স্থিরচিত্র। বিভিন্ন মুহূর্তের সেই ছবিগুলোও লুফে নিচ্ছেন ভক্ত অনুরাগীরা। ঘণ্টা পূর্ণ না হতেই এরইমধ্যে মিমের গায়ে হলুদের ছবিতে রিঅ্যাকশন ছাড়িয়ে গেছে ৪২ হাজার!

শুভ কামনা আর অভিনন্দন বার্তায় ভক্ত অনুরাগীদের অসংখ্য মন্তব্যও চোখে পড়ছে। এদিন গায়ে হলুদের ছবি দিয়ে মিম ক্যাপশনে লিখেন, ‘ফুল , স্নিগ্ধতা এবং গায়ে হলুদ’।

এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিয়ের ছবি আপলোড করে মান্না দে এবং লতা মুঙ্গেশকরের গাওয়া ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ এর চার লাইন শেয়ার করে শুভ কামনা প্রার্থনা করেন মিম।

তিনি লিখেন, ‘শুভক্ষণ, শুভ দিন। বহু বছরের দীর্ঘ প্রণয়ের পর সাত পাকে বাঁধা পড়লাম আমরা। জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য সকল ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীদের কাছে শুভকামনা প্রার্থী।’

গেল ১০ নভেম্বর জন্মদিনের দিন বাগদান সেরেছিলেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মীম। এবার তিনি শুভ কাজটি সারলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ধুমধাম আয়োজনে সিঁথিতে সিঁদুর পরেন ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ সিনেমার এই নায়িকা। সনাতন ধর্মরীতি মেনেই বিয়ে হয় মিমের। শোবিজের একাধিক পরিচালক, শিল্পী ও দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান।

মিমের স্বামী সনি পোদ্দার একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। তার বাড়ি কুমিল্লায়। ১০ নভেম্বর জন্মদিনে রাজধানীর একটি ফাইভ স্টার হোটেলে মিম ও সনির দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল।


পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) তিনটি নির্বাচনেই ঘুরেফিরে দুটি নাম আলোচনার পুরোভাগে চলে আসছে। তারা হচ্ছেন- নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি এ কে এম শামীম ওসমান এবং মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

নাসিকের প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী আইভীর কাছে পরাজিত হন শামীম ওসমান। দ্বিতীয় নির্বাচনে আইভী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনের শুরুর দিকে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শামীম ওসমান আলোচনার শিরোনাম হয়েছিলেন। এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। কিন্তু অবস্থান নড়চড় হয়নি শামীম ওসমানের। তাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে এরই মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আইভীর নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেছেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শামীম ওসমানকে ঢাকায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ করেও ইতিবাচক সাড়া পাননি। এমনকি বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে দলের বিজয় সমাবেশে তার অনুপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে- কী চান শামীম ওসমান?

আরো পরুনঃ- নেতাকর্মীরা সবাই আমার সঙ্গে আছেন: আইভি

এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আইভীকে মনোনয়ন দেওয়ার ইঙ্গিত করে এ বিষয়ে শামীম ওসমানকে সহযোগিতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু শামীম ওসমানের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত আইভীকে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা দেওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে নেতারা জানিয়েছেন।

আইভীর নির্বাচনী কর্মকাণ্ড দেখভালের জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সদস্য সচিব মির্জা আজম। এ দুই নেতার একজন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। আরেকজন সাংগঠনিক সম্পাদক। তারা দফায় দফায় টেলিফোনে কথা বলেছেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। কিন্তু তাতেও এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন। ফলে এ নিয়ে দলের ভেতরে এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই শামীম ওসমানকে নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এসব বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমকালকে বলেছেন, এ মুহূর্তে খোলামেলা কিছুই বলতে পারছি না। সময় হলেই কথা বলব। এ জন্য তিনি অপেক্ষা করার অনুরোধ করেছেন। তার দাবি, তিনি দলের কোনো নেতাকর্মীকে বাধা দেননি। তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য দলের সব স্তরের নেতাকর্মীকে নির্দেশও দিয়েছেন। এমনকি নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে আসা মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাদের স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের আপ্যায়ন করেছেন। তাদের উৎসাহ দিয়েছেন।

কিন্তু ওসমানের এ বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের। তারা যে কোনো প্রক্রিয়ায় আইভীর নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে শামীম ওসমানের ইতিবাচক অবস্থান দেখতে চাইছেন। তবে এমপি হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ নেই শামীম ওসমানের। এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আইভী এক নির্বাচনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'শামীম ওসমানকে খুব কি জরুরি আজকে আমাদের এই নির্বাচনে? তিনি তো ইচ্ছে করলেও প্রচারে আসতে পারবেন না। তাই আসুন, আমরা নির্বাচনের মধ্যেই থাকি।'

অবশ্য আইভীর এ বক্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন দলের নেতাকর্মীদের অনেকে। তাদের দৃষ্টিতে, নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে হলে সম্মিলিত চেষ্টায় এগোতে হবে। ইচ্ছা করে নিজের দলের কাউকে এড়িয়ে চললে নিজেরই শক্তি ক্ষয় হবে। তাই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে দলের প্রার্থীকে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে আইভীর খুব একটা আগ্রহ নেই বলে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন। তাদের ভাষায়, আইভী নানাভাবে আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন- তার নির্বাচনে শামীম ওসমানের ভূমিকার খুব একটা দরকার নেই। কিন্তু কর্মীরা তা মনে করছেন না। অবশ্য তারা এখনও নিস্ক্রিয় থাকায় শামীম ওসমানকে দুষছেন।

কিন্তু নানা অবস্থান থেকে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চেষ্টার পরও শামীম ওসমানকে সক্রিয় করা সম্ভব হচ্ছে না। শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা ক্ষুব্ধ ভাষায় বলেছেন, প্রতিটি নাসিক নির্বাচনেই একগুঁয়েমি করেছেন শামীম ওসমান। বিশেষ করে তার এবারকার ভূমিকায় নেতাকর্মীদের অনেকেই তার ওপর খুব ত্যক্ত-বিরক্ত। শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ একজন নেতা। তবে এটাও ভুলে গেলে চলবে না, তিনি প্রয়াত নেতা আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন বাকশালের জাতীয় ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন। তার তিন ভাই এমপি হয়েছেন। আওয়ামী লীগ তাকে কী দেয়নি! অথচ নাসিক নির্বাচন এলেই তিনি নানা বাহানা ধরেন। আর তখন খুব লজ্জা পায় আওয়ামী লীগ।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর সন্দেহ, নাসিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে শামীম ওসমান ঘরানার নেতাকর্মীদের কৌশলী যোগাযোগ রয়েছে। তারা এ ব্যাপারে খোঁজখবরও রাখছেন। তবে শামীম ওসমান এমন ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও অনেক নেতাকর্মীর দুশ্চিন্তা কাটছে না। এ অভিযোগ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও রয়েছে।

আরো পরুনঃ- তৈমুরকে প্রত্যাহার বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল: আইভী

শামীম ওসমান ও আইভীর মধ্যকার দূরত্ব দীর্ঘদিনের পুরোনো। এ দুই নেতার শীতল সম্পর্কের কারণে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতেও বড় ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্পষ্ট দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষ সরাসরি দ্বন্দ্ব-বিবাদে জড়িয়ে রয়েছে। এসব কারণে প্রায় সময়ই নেতিবাচক খবরের শিরোনাম তৈরি হচ্ছে।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শামীম ওসমান ও ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যকার মতবিরোধের বিষয়টি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসে। শামীম ওসমান ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেলেও জয় পান নাগরিক পরিষদের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচনের আগের দিন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। সেই থেকে আওয়ামী লীগের দুই নেতা সুযোগ পেলেই পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় এসেছেন।

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে আলোচিত দুই নেতার বাগ্‌যুদ্ধ দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা তিক্ততায় জড়িয়ে পড়েন। ওই নির্বাচনে এ কে এম শামীম ওসমান দলীয় মনোনয়ন চাননি। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের দলীয় প্রার্থিতার পক্ষে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অবস্থায় শামীম ওসমান ও আইভীকে ডেকে নিয়ে গৃহদাহ মিটিয়ে দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও দুই নেতার বিরোধ মিটিয়ে দেবেন বলে নেতাকর্মীরা আশায় রয়েছেন। অন্যদিকে, দলীয় প্রার্থীর পক্ষে শামীম ওসমানকে সক্রিয় করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সমকালকে জানিয়েছেন, চেষ্টা চলছে। মির্জা আজম বলেছেন, তিনি প্রায় প্রতিদিনই শামীম ওসমানের সঙ্গে কথা বলছেন। শামীম ওসমানও দুই নেতার যোগাযোগের কথা অবলীলায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, খুব দ্রুতই তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, তিনি নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অপপ্রচার বন্ধ করতে চান।

তিনি আরও জানান, নির্বাচিত হলে হলে বন্দরনগরীর চারপাশের নদীগুলোকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জকে একটি 'ব্লু সিটি' হিসেবে গড়ে তুলবেন।

'আমি নারায়ণগঞ্জকে "ব্লু সিটি" বলে আখ্যায়িত করেছি। আমাদের চারপাশ ঘিরে আছে ৭টি নদী। আমি সেগুলো ব্যবহারের পরিকল্পনা করছি। শহরকে সবুজায়ন করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। আর তাই নারায়ণগঞ্জ হবে "ব্লু অ্যান্ড গ্রিন সিটি"।'

সাবেক মেয়র আইভী জানান, দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তার মধ্যে কয়েকটি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।

'আমি সবগুলো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চাই', যোগ করেন আইভী।

পানির ওপর ট্যাক্স আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এটা বিরোধী পক্ষের অপপ্রচার এবং বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।'

'শহরে আগে ওয়াসার সেবা পাওয়া যেত না। কোনো জায়গায় পুনরায় সেবা দেওয়া শুরু করলে সেখানকার সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের ওপর ৩ শতাংশ কর আরোপ করা হয়। তাই এটা চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না।'

তিনি আরও বলেন, 'তৈমুর আলম খন্দকার খুবই সচেতন মানুষ। সিটি করপোরেশনে ট্যাক্স অত্যন্ত বেশি বলে তিনি কেন চিঠি পাঠাননি? এটা নির্বাচনী স্ট্যান্ট ছাড়া আর কিছুই নয়।'

আরো পরুনঃ- তৈমুরকে প্রত্যাহার বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল: আইভী

'আমি নগরবাসীকে বলব, তারা যদি ট্যাক্স কমানোর জন্য করপোরেশনের কাছে আবেদন দেন তাহলে তারা তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী ১৫ শতাংশ ট্যাক্স কমাতে পারেন। তবে আমি তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।'

সিটি করপোরেশন ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের অফিসে পরিণত হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ২ বারের মেয়র বলেন, 'এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। কিছু না জেনেই তিনি (তৈমুর) এমন মিথ্যা কথা বলছেন।'

নাম উল্লেখ না করে আইভি আরও বলেন, 'আমি ২০১১ সালে একজন "প্রভাবশালী প্রার্থীর" বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। তখন ওই ব্যক্তি যে ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন তৈমুরও একই ধরনের অভিযোগ তুলছেন।'

তিনি বলেন, 'সরকার ই-টেন্ডার চালু করেছে এবং যে কেউ যে কোনো জায়গা থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন।'

'সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে। যেভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছিল তাতে কেবল বড় ঠিকাদাররা কাজ পায়। আমি বেশ কয়েকবার এই বিষয়ে কথা বলেছি।'

আইভীর নির্বাচনী প্রচারে ওসমান পরিবারের সমর্থন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তৃণমূলের সব নেতাকর্মী আমার সঙ্গে আছেন। ওসমান পরিবার আওয়ামী লীগের একটি অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তারাও (ওসমান) আমার সঙ্গে আছেন।'

'শামীম ওসমান একজন সংসদ সদস্য। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না, তবে তার অনুসারীরা আমার পাশে আছেন।'

তৈমুরের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, 'তিনি আমার চাচা। তিনি আমার বাবার কাছাকাছি ছিলেন এবং আমাকে বড় হতে দেখেছেন। আগামী দিনেও চাচা-ভাতিজির সম্পর্ক অটুট রাখতে চাই।'

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, 'যখন তিনি বিআরটিসির চেয়ারম্যান ছিলেন এবং আমি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সহযোগিতা পেয়েছি। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ এবং সেই সুসম্পর্ককে বাঁচিয়ে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। ফলাফল যাই হোক আমি মেনে নেব।'


টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। সেই নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে টেস্টে ঐতিহাসিক এক জয় পেল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটেই এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়।

টাইগারদের এমন জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব সদস্যসহ টিম ম্যানেজমেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলাদা বার্তায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় মুমিনুলবাহিনী। কিউইদের দেওয়া ৪০ রানের টার্গেটে ২ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

আরো পরুনঃ- এক জয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের পাঁচে বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৩২৮ ও বাংলাদেশ ৪৫৮ রান করেছিল। এই জয়ের ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।


বাসায় মদ ও মাদক রাখার অভিযোগে বনানী থানার মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম বুধবার এ মামলার পরীমনিসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।

পরীমনি এবং অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের পর পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা করা হয় । র্যাবের জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়।

পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেছিলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনির ফ্ল্যাটে ‘মিনি বার’ ছিল। তিনি নিয়মিত মদ পান করতেন এবং ‘ঘরোয়া পার্টি’ আয়োজন করতেন। তার কাছে মদ ব্যবহারের একটি লাইসেন্স পাওয়া গেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছে ‘অনেক আগে’।

পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর তিন দফা রিমান্ডে নেওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে হাই কোর্টও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। পরে গত ৩১ অগাস্ট তার জামিনের আদেশ হয় বিচারিক আদালত থেকে। পরদিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পান।


তদন্ত শেষে গত ৪ অক্টোবর পরীমনিসহ তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে এক ডিবি কর্মকর্তার ‘১৮ ঘণ্টা সময় কাটানোর’ খবর গণমাধ্যমে আসার পর এ মামলার তদন্তভার সিআইডির কাছে গিয়েছিল।

নড়াইলের মেয়ে শামসুন্নাহার স্মৃতির ২০১৫ সালে ঢাকার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পরীমনি নামে। এরপর দুই ডজন চলচ্চিত্রে নায়িকার চরিত্র রূপায়ন করেছেন তিনি।

গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক মাস আগে ঢাকা বোট ক্লাবে যৌন নিপীড়িত হওয়ার অভিযোগ তুলে শোরগোল তুলেছিলেন পরীমনি। তার করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১২ দিন। ২৭ ওয়ার্ডে পাঁচ লাখের অধিক ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন আগামী ১৬ জানুয়ারি। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিদিনই ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

নগরীর সর্বত্রই দেয়ালে ও মাথার ওপর ঝুলছে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা। অনেক প্রার্থী আবার নিজ লিফলেটের পেছনে ইভিএম ব্যবহারের প্রক্রিয়া চিত্রসহ ছবি ছাপিয়ে দিয়েছেন। যাতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের বিপাকে পড়তে না হয়। নির্বাচনে মূল দুই মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকারের প্রচারেও ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে ভোটারদের মাঝে। বিশেষ করে সচেতন মানুষজন প্রতিদিনই খেয়াল রাখছেন দুই মেয়র প্রার্থী কী বলছেন?

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ও বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নগরীর ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ পুল, ধনুহাজী রোড, আব্দুল আলী, কালুহাজী রোড, পাইনাধী নতুন মহল্লা, সিআইখোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে মানুষের কাছে নৌকায় ভোট চান তিনি।

গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমুর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া দলটির একটি রাজনৈতিক কৌশল।

আর পরুনঃ- ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

আইভী বলেন, ‘তিনি (তৈমুর) অন্য প্রার্থীদের মতো আমার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। স্থানীয় সরকারের কাজে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে। নির্বাচনটাও একটি চ্যালেঞ্জ।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা সবসময় একত্রিত ছিল, এখনও আছে। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার আজ নগরীর ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিমরাইল, সাইলোগেট, ওমরপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার, মুন্সিপাড়া, আজিবপুর, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করেন।


পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দল আমাকে অব্যাহতি দিয়ে মঙ্গল করেছে। এটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। কারণ, নৌকায় যারা ভোট দিতো তারাও এখন স্বাচ্ছন্দ্যে আমাকে ভোট দিতে পারবেন। এখন আমি দলীয় কোনও প্রার্থী না। যারা ধানে শিষে ভোট দিতো তারা তো কখনও নৌকায় ভোট দেবে না। সেই ভোটগুলো আমি পাবো।’ 
তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের চাহিদার কারণে আমি প্রার্থী হয়েছি। নাগরিকরা আমার জন্য মাঠে নেমেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরাও আমার জন্য মাঠে নেমেছেন। আমার আশপাশে যা দেখছেন সবাই বিএনপির নেতাকর্মী।’

এক প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম বলেন, ‘‘সরকারি দলের এক নেতার কিছু বক্তব্যে নির্বাচনে কিছু শঙ্কা দেখা দেবে। এক নেতা বলেছেন, ‘তৈমুরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না’। অবশ্য এমন কথা আমি গায়ে মাখি না। তবে এ ধরনের কথাবার্তা উসকানিমূলক। এতে বিশৃঙ্খলার বীজ বপন করা হয়। নির্বাচন কমিশন আমার শোডাউনে বাধা দিয়েছে। আমি তা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সরকারি দলের শোডাউনকে বাধা দিতে পারেনি। এমনকি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’

জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন। ইভিএমের মাধ্যমে ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোট হবে।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget