Latest Post

রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তিন যুবক। ওই ঘটনায় হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

শনাক্ত দুই যুবক হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম ও আব্দুল জব্বার জয়া। আরেকজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আশিক চার মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, বুধবার একটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর তাকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।

ওই নারী আরো জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়রি করার পরামর্শ দেয়। পরে তাদের র‌্যাব উদ্ধার করে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। যেহেতু ঘটনাটি স্পর্শকাতর তাই র‌্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে।’

বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান র‌্যাব-১৫ এর কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।

আব্দুল জব্বার জয়া (বাঁয়ে) ও আশিকুল ইসলাম

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান ওই নারীর বরাত দিয়ে বলেন, গত মঙ্গলবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন তারা (ওই নারী পর্যটক)। তারা শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে রুম নিয়ে ওঠেন। 

ওই হোটেল থেকে তারা বিকেলে যান লাবনী পয়েন্টের সৈকতে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন মিলে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক।

পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে ঝাউবীথির একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাকে ওই তিন যুবক ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণ করে বলে ওই নারীর অভিযোগ। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে বলেও তিন যুবক তাকে হুমকি দেয় বলে জানানো হয়।

মেজর মেহেদী হাসান বলেন, এমন খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। ধর্ষণের শিকার নারী পর্যটক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, ‘এ ঘটনা শুনে পুলিশের পক্ষ থেকে মাঠে নেমেছে পুলিশের একটি দল। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’


ঢাকা দেখছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস হকির নতুন ফাইনাল, যে মহারণে ভারত ও পাকিস্তান নেই! ঢাকার দর্শকদের জন্য হয়তো অনাকর্ষণীয়, তবে এশিয়ান হকির জন্য এটা নব শক্তির উত্থানের গল্প। সেমিফাইনালে জাপান ৫-৩ গোলে ভারতকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেওয়ার আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেমিফাইনালে কোরিয়া ৬-৫ গোলে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। তাই নতুন ফাইনালের মঞ্চে এখন জাপান ও কোরিয়া, আজ সন্ধ্যা ৬টায় তারা মুখোমুখি হবে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে।

প্রথম সেমিফাইনালে কোরিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় মিনিটে উমর ভুট্টোর ফিল্ড গোলে পাকিস্তানের দারুণ শুরু হয়। কিন্তু ১১ মিনিটে জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি স্ট্রোকে গোলে সমতায় ফেরে কোরিয়া। পরের মিনিটে তাঁর আরেকটি পেনাল্টি স্ট্রোকে কোরিয়া লিড নেয়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে মঞ্জুর ফিল্ড গোলে পাকিস্তান ম্যাচে ফিরলেও ২৫ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন দলকে জ্যাং জং। এবার আফরোজের ফিল্ড গোলে আবার লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে গিয়ে কোরিয়া ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। গোল করেন জ্যাং জং ও জুন উ। তবে শেষ কোয়ার্টারে জোড়া গোলে পাকিস্তানকে খেলায় ফিরিয়ে ম্যাচের শেষটা আকর্ষণীয় করে তোলেন মুবাশার আলী। দুই পক্ষই সতর্ক, কোনোভাবে গোল খেতে চায় না। ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্নারেই খুলে যায় কোরিয়ার পথ। সেই জ্যাং জং জয়সূচক গোলটি করে ফাইনালে তুলে নেন কোরিয়াকে। ৩৭ বছর বয়সী জ্যাংয়ের চার গোলে ২০১১ সাল থেকে শুরু এ টুর্নামেন্টে তারা প্রথমবারের মতো ফাইনালে। আর পাকিস্তানও এই প্রথম ফাইনালের বাইরে।

পাকিস্তান তা-ও লড়াই করেছে, কিন্তু দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত দাঁড়াতেই পারেনি জাপানের সামনে। অথচ গ্রুপে এই জাপান ৬-০ গোলে হেরেছিল টোকিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ীদের কাছে। কিন্তু কাল প্রথম দুই মিনিটে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। জাপানের ইয়ামাদা সোতার পেনাল্টি স্ট্রোকের পর পেনাল্টি কর্নারে গোল করেন ফুজুশিমা। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে দিলপ্রিত সিংয়ের ফিল্ড গোলে ব্যবধান কমানোর পরও ভারত পারেনি ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে। বিশেষ করে অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল এবং অসংখ্য ভুল পাসে তাদের ছন্দহীন দেখায়। গোলের এমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি তারা। জাপানিরা স্কিল ও গতিতে সবাইকে মুগ্ধ করে ৫-৩ গোলে সেমিফাইনাল জিতে পৌঁছে ফাইনালে। কৃষিতা ইয়োশিকি, ওকা রিয়ামা ও কাবে কাসেলের গোলই তাদের এগিয়ে দিয়েছে ফাইনালের মঞ্চে।

প্রতিপক্ষে কেবল ব্যবধান কমিয়েছেন হারমানপ্রিত সিং ও হার্দিক সিং। ২০১৩ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলবে জাপান।


টানা তৃতীয় মেয়াদে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন আকরাম খান। বিসিবিতে সিংহভাগ সময়েই ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন তিনি। নতুন বোর্ডে এখনো পরিচালকদের পদ বণ্টন হয়নি। আগের বোর্ড থেকে আবারও নির্বাচিত হওয়া পরিচালকরা পুরোনো দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন।

চলতি মাসেই বোর্ড সভার মাধ্যমে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পরিচালকদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তার আগেই আকরাম খানের ঘোষণা উত্তাপ ছড়াল ক্রিকেটাঙ্গনে।

গত মঙ্গলবার রাতে খবরটা ছড়িয়েছিল আকরামের স্ত্রী সাবিনা আকরামের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। গতকাল নিজ বাসভবনে আকরাম খানও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ পদে আর থাকতে চান না। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে চান বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে।

তবে সাবেক এ অধিনায়কের কাণ্ডে বিস্মিত তার সহকর্মীরা। গতকাল বিসিবির এক পরিচালক বলেছেন, ‘আমরা কে কোন বিভাগ পাবো, তা তো জানি না। এগুলো বোর্ড সভাপতি বণ্টন করবেন। কাউকে কোনো দায়িত্বই এখনো দেয়া হয়নি। আগামী বোর্ড সভায় সবকিছু চূড়ান্ত হবে।’

ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান পদে আকরাম যে খুব সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তা বলার উপায় নেই। তবে গুঞ্জন আছে, নতুনভাবে এ বিভাগের দায়িত্ব নাও পেতে পারেন তিনি। পদ ছাড়ার বিষয়ে গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের আকরাম বলেছেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার ব্যাপারে। যেহেতু গত আট বছর ক্রিকেট অপারেশন্সের দায়িত্বে ছিলাম। গত আট বছরে আমাদের মাননীয় বোর্ড সভাপতি, যিনি আমার অভিভাবক, তার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি। উনার সাথে আলাপ করে কালকের (আজ) মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিব।’

আজই পাপনের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে আকরামের। গতকাল নাকি পাপনকে ফোন করেছিলেন আকরাম। সাড়া পাননি। সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি তিনটার দিকে একবার কল করেছি। উনি সাড়া দেননি। হয়তো যে কোনো সময় কল ব্যাক করবেন। কল ব্যাক করলেই আমি আলোচনা করে নেব।’

৪:৫৬ AM


আরফিন রুমির একটি বড় আয়োজনের গান প্রকাশ পেতে চলেছে। আর এই গানের ভিডিওতে কাজ করেছেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক নিরব ও ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। টিএম রেকর্ডসের উদ্যোগে মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় কোরিওগ্রাফার বাবা যাদব। রাজস্থানের কয়েকটি লোকেশনে ভিডিওটির শুটিং হয়েছে। আরফিন রুমির কণ্ঠের এই গানের নাম ‘তুই আর আমি’। গানটির কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কৌশিক হোসেন তাপস। রোমান্টিকভাবে সাজানো এ গানের কস্টিউম ও স্টাইলিশ ডিজাইন করেন ফারজানা মুন্নী। আরফিন রুমি বলেন, তাপস আমার প্রিয় একজন মানুষ।

তার কম্পোজিশনে খুব ভালো একটি গান হয়েছে। এর মিউজিক ভিডিওতেও থাকছে নানা চমক। আশা করছি উপভোগ করবেন সবাই। এদিকে, সিনেমার বাইরে নিরবকে মিউজিক ভিডিওতে তেমন দেখা যায় না। কেন মিউজিক ভিডিও করলেন জানতে চাইলে নিরব বলেন, কাজটি করার প্রথম কারণ তাপস ভাই। উনি যখন গানটি শোনালেন প্রথমে মনে হয়েছে আউটস্ট্যান্ডিং কাজ। দ্বিতীয়ত মিমি চক্রবর্তী থাকছেন। নিরব আরও বলেন, মিমি ক্যামেরার পেছনে এক, অথচ ক্যামেরার সামনে পুরোপুরি পেশাদার একজন শিল্পী। তার সঙ্গে কাজটি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের আয়োজনে কোনো কমতি ছিল না। জানা যায়, নতুন বছরের শুরুতে অন্যতম চমক হিসেবে নিরব-মিমির মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ হবে টিএম রেকর্ডস থেকে।



নাগার সঙ্গে সামান্থার বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে হয়েছে নানা জলঘোলা। নাগার ঘনিষ্ঠ বৃত্ত বলছে, বিয়ের পরেও সামান্থার আইটেম সং ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ে নাকি চরম আপত্তি ছিল নাগা চৈতন্যের পরিবারের।

সামান্থা রুথ প্রভুর জীবন নিয়ে কৌতূহলের সীমা নেই। তাঁর উপর কটাক্ষরও শেষ নেই। এবার সামান্থার সাম্প্রতিক বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তাঁকে কদর্য আক্রমণ করল এক নেটিজেন। তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ নিয়ে খোঁটা তো বটেই, একইসঙ্গে সামান্থাকে সেকেন্ড হ্যান্ড আইটেম বলে কুৎসিত আক্রমণ করতেও বাঁধল না তাঁর। তবে গোটা ঘটনায় চুপ থাকলেন না সামান্থা। পাল্টা জবাব দিলেন তিনিও।

নাগা চৈতন্যর সঙ্গে সামান্থার বিচ্ছেদ হয়েছে মাস কয়েক আগেই। তাঁদের কী কারণে বিচ্ছেদ হয়েছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে দুজনে মুখ খোলেননি। সামান্থার ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, বিচ্ছেদের খোরপোশ বাবদ নাগা তাঁকে টাকা দিতে চাইলেও টাকা নিতে অস্বীকার করেন দ্য ফ্যামিলি ম্যানের রাজি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই নেটাগরিক সামান্থার উদ্দেশে লেখে, “সামান্থা এক ডিভোর্সি নষ্ট হওয়া সেকেন্ড হ্যান্ড আইটেম যে কিনা ট্যাক্স বিহীন ৫০ কোটি টাকা এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে লুটে নিয়েছে।” সামান্থা উত্তর দিয়েছেন, তবে মার্জিতভাবে। ওই ব্যক্তির উদ্দেশে এক লাইনে বক্তব্য সেরে তিনি লিখেছেন, “ভগবান তোমার আত্মাকে আশীর্বাদ করুক”।

তবে শুধু এই ব্যক্তিই নয়, নাগার সঙ্গে সামান্থার বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে হয়েছে নানা জলঘোলা। নাগার ঘনিষ্ঠ বৃত্ত বলছে, বিয়ের পরেও সামান্থার আইটেম সং ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ে নাকি চরম আপত্তি ছিল নাগা চৈতন্যের পরিবারের। বিশেষত ফ্যামিলি ম্যান ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে সামান্থার শয্যা দৃশ্যে নাকি এতটাই অবাক হয়েছিলেন নাগার পরিবার যে সামান্থাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেও দাগিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। সামান্থার প্রাক্তন শ্বশুর তথা নাগার বাবা নাগার্জুনও নাকি বাড়ির বৌয়ের এ হেন দৃশ্যে অভিনয়ের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। অন্যদিকে সামান্থা শ্বশুরবাড়ির এই নিয়ন্ত্রণ মেনে নিতে না পারাতেই নাকি সম্পর্কের অবনতি হয়, যা গড়ায় বিচ্ছেদে।

দিন কয়েক আগে নাগার এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কীরকম চরিত্র তাঁর পছন্দ’? নাগা উত্তর দিয়েছিলেন, “এমন চরিত্র যা আমার বা আমার পরিবারের মান সম্মানে আঁচ না ফেলে’। অনেকেই মনে করেছিলেন আকার ইঙ্গিতে সামান্থার দিকেই আঙুল তুলেছেন নাগা। যদিও নাগা কারও নাম নেননি বা ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সামান্থা কোনও উত্তর দেননি।

গত ২ অক্টোবর, ২০২১-এ দাম্পত্য বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন সামান্থা এবং নাগা। বিচ্ছেদের ঘটনায় ট্রোল হতে হয়েছিল সামান্থাকেও। সেই ট্রোলিংয়ের যে ইতি হয়নি তা বলে দিচ্ছে ওই ব্যক্তির সাম্প্রতিকতম এই মন্তব্যই।


গতকাল যমুনা ব্লকবাস্টারে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়ে গেল নতুন ছবি ‘মৃধা বনাম মৃধা’র। রনি ভৌমিক পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, তারিক আনাম খান, নোভা ফিরোজ প্রমুখ। উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে সিয়াম জানিয়েছিলেন, দর্শকের সঙ্গেই নিজের সিনেমাটি প্রথম দেখছেন তিনি। সিনেমা দেখার পর এতটাই আবেগ আপ্লুত হয়ে যান যে সহশিল্পী তারিক আনাম খানের কাঁধে মাথা রেখে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন তিনি। দুজনেরই চোখে ছিল পানি।

বাবা–ছেলের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এই ছবির গল্পে। ছবিতে তারিক আনাম খান ও সিয়াম আহমেদকে বাবা ও ছেলের চরিত্রে দেখা যাবে। উদ্বোধনী প্রদর্শনীর শুরুতে তারিক আনাম খান বলেন, ‘এ সময় চলচ্চিত্রের যখন একটা মন্দা অবস্থা যাচ্ছে, তখন এই ছবি এসেছে। আপনাদের সবার শুভকামনা আমরা চাই। যাঁরা দেখবেন, তাঁরা বলবেন, যত দিন ছবিটি চলবে, হলে গিয়ে যেন ছবিটি দেখেন। তাহলেই আমাদের চেষ্টা ও পরিশ্রম সার্থক হবে।’

প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ছবির অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যাঁরা ছবিটি দেখে এখান থেকে যাবেন, তাঁদের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে। যেহেতু আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি সিনেমার ক্ষেত্রে, যদি ছবির কোনো অংশ ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনারা আপনাদের পরিচিত মানুষদের এতটুকু উৎসাহ দেবেন, যেন বাবাকে নিয়ে ছবিটি দেখতে আসেন। আমি আমার বাবাকে নিয়ে ছবিটি দেখতে এসেছি।’

ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন ছবির নায়িকা নোভা ফিরোজ, পরিচালক রনি ভৌমিক, অভিনেতা মোশাররফ করিম, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, অভিনেত্রী নিমা রহমান, পরিচালক তৌকীর আহমেদ প্রমুখ। উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পরিচালক অনন্য মামুন।

ছবিটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দর্শকেরা। একজন দর্শককে বলতে শোনা যায়, দীর্ঘদিন পরে পারিবারিক গল্পের একটি ছবি এল সিনেমা হলে। ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘মৃধা বনাম মৃধা’। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন তৌফিকুল ইসলাম, নিমা রহমান, সানজিদা প্রীতি প্রমুখ।


করোনভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরই মধ্যে যারা টিকা নিয়েছেন এবং যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তারাও আক্রান্ত হচ্ছেন ওমিক্রনে।

সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেইয়েসুস এ তথ্য জানান।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে টেড্রোস আধানোম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুত ছড়াচ্ছে, এর ধারাবাহিক প্রমাণ রয়েছে।

তিনি বলেন, ওমিক্রনের কারণে নতুন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কঠোর লকডাউন বহাল করতে বাধ্য হচ্ছে। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডস হলো ইউরোপের প্রথম কোনো দেশ যারা ফের লকডাউন আরোপ করেছে।

এছাড়া ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস এবং জার্মানি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কঠোর করেছে। কোনো কোনো দেশ আবার বাতিল করেছে ক্রিসমাস বা বড়দিনের উৎসব।

অনুষ্ঠান বাতিলের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানগুলো এখন উদযাপন করে পরে শোক করার চেয়ে ভালো হবে অনুষ্ঠানগুলো এখন বাতিল করে পরে উদযাপন করা।

কানাডার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ কুইবেকে বার, জিম ও ক্যাসিনো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে জনগণকে বাড়ি থেকে কাজ করার।

সূত্র : আলজাজিরা


ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার আরেকটি ঝড় আসছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইউরোপের ৫৩টি দেশের মধ্যে ৩৮টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর এমন সতর্কতা দিল সংস্থাটি।

সুরক্ষার জন্য বুস্টার ডোজ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার ভিয়েনায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় প্রধান হান্স ক্লুজ বলেন, নভেম্বরের শেষের দিকে ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫৩টি দেশের মধ্যে অন্তত ৩৮টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছে। ডেনমার্ক, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে এটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।  

ক্লুজ বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আরেকটি ঝড় আসছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রন এই অঞ্চলের আরও দেশে ছড়িয়ে পড়বে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অঞ্চলে রাশিয়া এবং অন্যান্য সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র, পাশাপাশি তুরস্ক অন্তর্ভুক্ত।

ক্লুজ বলেন, বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা।


লেখক অভিজিত রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক যে দুজনের তথ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে তাদের একজন দেশের ভেতরে আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে পুলিশ মনে করছে।

ঢাকার পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মেজর জিয়া এখনো দেশেই আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে তারা ধারণা করছেন। তবে তার অবস্থান জানা যাচ্ছে না।

মেজর জিয়া নামে পরিচিত সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আরেক পলাতক আসামি আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্যের জন্য পুরস্কার ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ করেছিল কিনা- তা নিয়ে পুলিশ বা সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, আমেরিকা এমন পুরস্কার ঘোষণা আগেও করেছে এবং তা থেকে সাফল্য পেয়েছে।

অভিজিৎ রায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ যাদের দেখিয়েছে, সেই সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেনকে কয়েক বছর ধরেই গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সেই চেষ্টা এখনো সফল হয়নি।

তাদের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী তৎপরতার অভিযোগেও পুলিশের মামলা রয়েছে।

সৈয়দ জিয়াউল হক নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠন আনসার আল ইসলামের মূল নেতা বলেও তথ্য প্রমাণ থাকার কথা পুলিশ বলে আসছে। এ সংগঠনটির আল কায়দার সাথে যোগসূত্র আছে বলে বলা হয়ে থাকে।

এখন তাদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার জন্য ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।


মেজর জিয়া কোথায়?

কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশ এত দিনেও কেন সৈয়দ জিয়াউল হক বা আকরাম হোসনকে ধরতে পারছে না- এই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে সৈয়দ জিয়াউল হকের ধারণা থাকায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন সংস্থা চেষ্টা করে এখনো সফল হতে পারেনি।

'মেজর জিয়া হিসাবে পরিচিত সৈয়দ জিয়াউল হক সামরিক বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত। সেজন্য আমরা যে পদ্ধতি অনুসরণ করি কোনো অপরাধীকে চিহ্নিত করা বা তার লোকেশন জানার জন্য, উনি পুরো প্রক্রিয়ার সাথে পরিচিত,' পুলিশ কমিশনার ইসলাম বলেন।

'ফলে প্রচলিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা তাকে ট্রেস করতে পারছি না,' তিনি বলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, শুধু কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটই নয়, বিভিন্ন সংস্থা তাকে খুঁজছে।

'সৈয়দ জিয়াউল হককে ট্রেস করতে পারলে আনসার আল ইসলামের পুরো গ্রুপটাই বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সেজন্য আমাদের চেষ্টা আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো সাফল্য নেই' বলেন ইসলাম।

কিন্তু সৈয়দ জিয়াউল হক দেশে আছে কিনা- এই প্রশ্ন করা হলে পুলিশ কমিশনার বলেন, 'উনি দেশে আছেন- আমরা মনে করি যে উনি দেশে আছে।'

'তা না হলে আমরা যে এখনও আনসার আল ইসলামের দুই চারজনকে ধরি (গ্রেফতার করি)। তার থেকে আমরা ধারণা করি যে উনি দেশে আছেন,' বলেন ইসলাম।

আরেকজন আসামি আকরাম হোসেন দেশে নেই বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।

তথ্য না পাওয়ার প্রশ্নে সন্দেহ
তবে সৈয়দ জিয়াউল হক সম্পর্কে কোনো তথ্যই যে বের করতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী- এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনেকেই।

তারা বলেন, পুলিশ র‍্যাব বিগত বছরগুলোতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় উগ্রবাদবিরোধী অনেক অভিযান চালিয়েছে।

এর মধ্যে গুলশানে হলি আর্টিজানে ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকার রুপনগরে উগ্রবাদবিরোধী অভিযানে নিহতদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম নামে সেনাবাহিনীর একজন সাবেক মেজর ছিলেন।

বিভিন্ন অভিযানে আনসার আল ইসলামেরও অনেক গ্রেফতার হয়েছে।

কিন্তু এরপরও সৈয়দ জিয়াউল হকের খোঁজ না পাওয়ার বিষয়কে আশ্চর্যজনক বলে বর্ণনা করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন।

'তারা কোথায় আছে-এটা বের করতে না পারাটা আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ এখন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এবং ইন্টেলিজেন্স ক্যাপাসিটি অনেক বেড়েছে।'

পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলামের বক্তব্য হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রযুক্তি অনেক উন্নত হলেও সৈয়দ জিয়াউল হক মোবাইল ফোনসহ কোনো ডিভাইস ব্যবহার না করায় তাকে ধরা যাচ্ছে না।

'যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো নীতির অংশ'

যুক্তরাষ্ট্রর পুরস্কার ঘোষণা করার ব্যাপারটা বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, তারা তা মনে করেন না।

তিনি বলছেন, অভিজিৎ রায় এবং তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় দেশটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, এমন পুরস্কার ঘোষণা করা যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো নীতি।

'আমেরিকার এটা পুরোনো নীতি। তারা এভাবে ঘোষণা করে সফল হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।'

একই সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'আমরাও সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খুনিদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছি।'

'বঙ্গবন্ধুর পাঁচজন খুনির মধ্যে একজন আমেরিকায় এবং একজন কানাডায় আছে। বাকি তিনজনের তথ্য পাওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছি, বলেন মোমেন।

যুক্তরাষ্ট্র পুরস্কার ঘোষণার আগে তা বাংলাদেশকে জানিয়েছিল কিনা- এ প্রশ্নে কোন জবাব সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেনকে পলাতক দেখিয়ে নিম্ন আদালতে ইতিমধ্যে বিচার হয়েছে।

তাতে এই দু'জনসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড হয়ে রয়েছে। মামলায় ছয়জন আসামির বাকি চারজন গ্রেফতার রয়েছে।


সূত্র : বিবিসি


টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলেমা খাতুন ভাসানী হলের বিবাহিত আবাসিক ছাত্রীদের হলের সিট ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার সন্ধ্যায় আলেমা খাতুন ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রোকসানা হক রিমি স্থগিতের এ নোটিশ দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১১ ডিসেম্বর হলের নোটিশ বোর্ডে বিবাহিত ছাত্রীদের হল ছেড়ে দেওয়ার নোটিশটি দিয়েছিলেন প্রভোস্ট।

এতে তিনি উল্লেখ করেন- হলের নিয়ম অনুযায়ী বিবাহিতা ছাত্রীদের হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ নেই। এ অবস্থায় আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে বিবাহিত ছাত্রীদের সিট ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হলো। কোনো ছাত্রী বিবাহিতা হলে অবিলম্বে হল কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। না জানালে নিয়ম ভঙ্গের কারণে জরিমানাসহ সিট বাতিল করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

কর্তৃপক্ষের এ নোটিশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি বিবেচনা করে সোমবার সন্ধ্যায় পুনরায় নোটিশ দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এআরএম সোলায়মান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিবাহিতদের আবাসিক হোস্টেলে থাকার বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এ আইনটি আর ব্যবহৃত হয় না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১১ ডিসেম্বর বিবাহিতাদের হোস্টেলে প্রবেশ নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নোটিশটি স্থগিত করা হয়েছে।


স্ত্রীর মাকে সাধারণত মেয়ে জামাইরা মায়ের মতোই শ্রদ্ধা করেন। অন্যদিকে সন্তানের চোখেই পরম স্নেহে জামাইকে আগলে রাখেন শাশুড়িও।

তবে কিছু কিছু ঘটনা হতবাক করে দেয় পুরো সমাজকে। তেমনই এক ঘটনা, এবার এক শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন ঘরজামাই।  

ঘটনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ার লিলুয়া থানার জগদীশপুরের। মা ও স্বামীর শাস্তি চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ে। প্রতিবেশীরাও। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ওই তরুণী জানিয়েছেন, শনিবার তার স্বামী কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন মা শেফালি দাস। ফোন করে বাড়িতে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। এরপর লিলুয়া থানায় মা ও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা।

তিনি জানান, ২০১৭ সালে বীরভূমের সাঁইথিয়ার যুবক কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। কিন্তু তেমন কোনো কাজকর্ম করতেন না যুবক। এরপর তাকে জগদীশপুরে ডেকে আনেন বাবা। সেই থেকে ঘরজামাই থাকতেন ওই যুবক। এরই মধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই নিয়ে গত সপ্তাহে বাড়িতে তুমুল ঝগড়া হয়। থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা। এরপর কৃষ্ণগোপালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিন পেয়ে সাঁইথিয়া ফিরে যান তিনি। এরপর শনিবার শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে পালান কৃষ্ণগোপাল। তারপর ফোন করে সে কথা বাড়িতে জানান শেফালিদেবী। তবে তারা কোথায় রয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। 


শিক্ষা কর্মকর্তাকে থাপ্পড় মারা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহান শাহকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে মেয়রের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ৩১ (১) ধারা অনুযায়ী, ‌‘যেক্ষেত্রে কোনো পৌরসভার মেয়র অথবা কোন কাউন্সিলর অপসারণের কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়েছে অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় মেয়র অথবা কাউন্সিলর কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থি অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন না হলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে মেয়র অথবা কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে'।

এতে বলা হয়, পৌরমেয়র শাহনেওয়াজ শাহান শাহর বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন তা শিষ্টাচার বহির্ভূত, অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের সামিল এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ৩২ (১) (ঘ) ধারা মোতাবেক অপসারণযোগ্য অপরাধ।

যেহেতু পৌরমেয়র শাহনেওয়াজ শাহান শাহ গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান স্থলে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন; যেহেতু পৌরমেয়র শাহনেওয়াজের উল্লিখিত আচরণ শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের সামিল যা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোন থেকে সমীচীন নয় এবং জনস্বার্থের পরিপন্থি বলে সরকার মনে করে। যেহেতু, সরকারি দায়িত্ব পালনরত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় পৌরমেয়র শাহনেওয়াজ শাহান শাহর বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নম্বর-১২, তাং ১৬/১২/২০২১, ধারা- ১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৫৬ দঃ বিঃ); সেহেতু, পৌরমেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ উপ-ধারা (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্দেশক্রমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।  

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। 


গত দুই দিনের তুলনায় আজ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে, কমে এসেছে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা। আবহাওয়ার পূর্বাভাবে বলা হচ্ছে, দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে, আরও কিছুটা বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আজ শৈত্যপ্রবাহ কমে আসতে পারে। দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়বে। এতে করে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও কমে আসবে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকার বিরাজমান। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি সুমাত্রা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে বিরাজ করছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। বর্তমানে পঞ্চগড়, যশোর, কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কমে আসতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
 
আজ দেশের সবনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮, যা গতকাল ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৭। এছাড়া এখনও আরও তিন জেলা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আছে, গতকাল ছিল ৮ জেলায়। পঞ্চগড় ছাড়াও যশোরে ৯ দশমিক ৬ এবং চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  

এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ১৫, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৪, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৫, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৮,  রংপুরে ১২ দশমিক ২,  খুলনায় ১১ দশমিক ২ এবং বরিশালে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

সাধারণত বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।


অভিজিৎ রায় ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার ঘোষণাকে বাংলাদেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণা খুনিদের ধরতে একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা একে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) হোটেল রেডিসনে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা বিষয়ক এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়। আমি যতদূর শুনেছিলাম, ওসামা বিন লাদেনের খোঁজ তারা এভাবে পুরস্কার ঘোষণার মাধ্যমে পেয়েছিলো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদেরও তো বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ধরিয়ে দিতে পারলে বা খোঁজ দিতে পারলে পুরষ্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া আছে। কেউ যদি সঠিক তথ্য দিতে পারে, তাদের অবশ্যই সরকার পুরষ্কার দেবে।’ 

যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু লোকজন আছেন, তারা ক্রমাগত বিভিন্ন ইস্যুতে সেখানকার (যুক্তরাষ্ট্র) আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মিথ্যা তথ্য দেন। তারা বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য অতিরঞ্জিত আকারে উপস্থাপন করেন। ওখানে এসব করার জন্য কিছু লোক আছেন, এখানেও (দেশে) কিছু লোক আছেন এ রকম।’

মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে কেউ মারা গেলে বলে যে ‘এক্সট্রা জুডিসিয়ারি কিলিং (বিনাবিচারে হত্যা) আর আমেরিকায় কেউ মারা গেলে বলা হয় ‘লাইন অব ডিউটি’। ’’


বাংলাদেশ কোনো চাপ অনুভব করছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘তারা তাদের নিয়মে চলছে। সরকারিভাবে তারা আমাদের  এ বিষয়ে বিশেষ কিছু চাপ দেয়নি। তারা তাদের কাজ করছে, আমরা আমাদের কাজ করছি। একটা বিষয় হলো, কেউ যদি ভালো করে তখন তাদের এমনিতেই কিছু শত্রু তৈরি হয়।’

উল্লেখ‌্য, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাসহ নানা জঙ্গি হামলায় দণ্ডিত চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনকে ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন পরিকল্পনাকারীদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণাসহ একটি পোস্টার প্রকাশ করে আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্ট। পরে এই পোস্টারটি সোমবার রাত ৮টার দিকে টুইটারে পোস্ট করা হয় ‘রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস’ নামে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে। 

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদও গুরুতর আহত হন। অভিজিৎ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ইতিপূর্বে ‘মেজর জিয়া’ নামে পরিচিত সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেনের নাম উঠে এসেছে বিভিন্ন অনুসন্ধানে।

জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও।


ফিলিপিন্সের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে সুপার টাইফুন রাইয়ের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার দেশটির পুলিশ একথা জানিয়েছে। স্থানীয় পুলিশের তথ্যানুযায়ী, অন্যতম প্রাণঘাতী এ টাইফুনে অন্তত ৫০০ জন আহত হয়েছে এবং এখনও ৫৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার গতির বাতাস নিয়ে সাগর থেকে দ্বীপপুঞ্জটির স্থলভাগে উঠে আসে রাই। এর তাণ্ডবে অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অন্তত ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ লাইনগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পুলিশের মুখপাত্র রডেরিক আলবা জানান, দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ মৃত্যুর যে সংখ্যা উল্লেখ করেছে তা দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার রেকর্ডকৃত ৫৮ মৃত্যু থেকে অনেক বেশি। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে আসা প্রতিবেদনগুলো যাচাই করে দেখছে।

পুলিশ যাদের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে তাদের অর্ধেকেরও বেশি বোহোল প্রদেশের ভিসাইয়াস এলাকার। ফিলিপিন্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনেকগুলো পর্যটন গন্তব্যের অবস্থান এই প্রদেশটিতে।

রোববার বোহোলের গভর্নর আর্থার ইয়াপ তার প্রদেশে প্রাথমিকভাবে ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা এসব মৃত্যুর তথ্য যাচাই করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


ত্রাণ তৎপরতা জোরদার হলেও যোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত অনেক এলাকার টেলি যোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক লাইন মেরামত এখনও বাকি আছে।

রোববার টাইফুন রাই ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে এগিয়ে গেছে। যাওয়ার আগে সেবু, লেইতে, সুরিগাও দেল নর্তে, সিয়ারগাও ও দিনাগাত প্রদেশে ব্যাপক ধ্বংসের একটি পথরেখা রচনা করে গেছে আর প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে গৃহহীন করেছে।

ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোর জন্য ৪ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ছাড় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে। 

ফিলিপিন্সে প্রায়ই শক্তিশালী ঝড় হয় । বছরে গড়ে ২০ টি ঝড় আঘাত হানে এ দেশটিতে। চলতি বছর দ্বীপপুঞ্জটিতে আঘাত হানা ১৫তম টাইফুন রাই।

গতবছরের নভেম্বরে সুপার টাইফুন গনিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানি দেখেছিল ফিলিপিন্স। ২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ানে নিহত হয়েছিল ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পঞ্চাশ বছরে সরকার প্রধান হিসেবে দেশ শাসন করেছেন অনেকেই

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে গত পঞ্চাশ বছরে যারা সরকার প্রধান ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ রাষ্ট্রপতি, কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেউ প্রধান উপদেষ্টা আবার কেউ সামরিক শাসন জারি করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেছেন।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার করে রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। আবার ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পুন:প্রবর্তন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।

তবে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ এবং দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো প্রায় তের বছর আর প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রথমে সামরিক আইন প্রশাসক ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রায় নয় বছর দেশ শাসন করেছেন।

কিন্তু গত পঞ্চাশ বছরে সরকার প্রধানরা কিভাবে ক্ষমতায় এলেন আর কিভাবে বিদায় নিলেন?

শেখ মুজিবুর রহমান

শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বিবিসি বাংলাকে সাক্ষাৎকার দেবার সময় তোলা ছবি।
শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বিবিসি বাংলাকে সাক্ষাৎকার দেবার সময় তোলা ছবি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনিই ছিলেন তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি হিসেবেই শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরেন ১০ই জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।

কিন্তু ১২ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ।

কারণ এগারই জানুয়ারি তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে সংসদীয় ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্তের পর শেখ মুজিবুর রহমান কিছু সাংবিধানিক নির্দেশ জারি করেন এবং সে অনুযায়ী সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

আর নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। বিচারপতি চৌধুরীর পর তখনকার স্পীকার মুহম্মদুল্লাহ্ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে বাকশাল গঠনের পর আবারো রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন শেখ মুজিবুর রহমান।

কিন্তু এর কয়েক মাস পর অগাস্টের ১৫ তারিখে একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।

খন্দকার মোশতাক আহমাদ

পনেরোই অগাস্ট শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা, খন্দকার মোশতাক আহমাদকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত করেন। একই দিন মি. আহমাদ দেশে সামরিক আইন জারী করেন।

তবে বাংলাদেশের রাজনীতির সেই ভয়ংকর অস্থির সময়ে সামরিক অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের জের ধরে পঁচাত্তরের ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।

তেসরা নভেম্বর এক সামরিক অভ্যুত্থান মি. আহমাদের পতন ডেকে আনে। সেদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক একজন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি ও দু'জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ চারজন শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করে সেনা বাহিনীর কয়েকজন অফিসার।

তিন দিন পর খন্দকার মোশতাক আহমাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন।

আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম

তেসরা নভেম্বরের অভ্যুত্থানে সেনা প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান পদচ্যুত হন। অভ্যুত্থানের নেতা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ নিজেকে সেনা প্রধান ঘোষণা করেন এবং ছয়ই নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেন।

পরের দিন বদলে যায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। সিপাহী বিদ্রোহতে নিহত হন তেসরা নভেম্বরের অভ্যুত্থানের নায়ক খালেদ মোশাররফ, সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আবার চলে যায় জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে।

তবে বিচারপতি সায়েম ১৯৭৭ সালের একুশে এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে বহাল ছিলেন, যদিও ক্ষমতার চাবি-কাঠি ছিল জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে।

জিয়াউর রহমান

জিয়াউর রহমান
জিয়াউর রহমান

সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের জের ধরে ১৯৭৫ সালের সাতই নভেম্বর রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়াউর রহমান।

তাকে চিফ অফ আর্মি স্টাফ এবং উপ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম।

এরপর ১৯৭৭ সালের একুশে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট সায়েমকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।

এক বছর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আয়োজন করেন জেনারেল রহমান, এবং ১৯৭৮ সালের তেসরা জুন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। একই বছর পহেলা সেপ্টেম্বরে নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান, যার নামকরণ হয় বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি।

উনিশ'শএকাশি সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান।

আব্দুস সাত্তার ও আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্সান উদ্দীন চৌধুরী

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর প্রথমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

উনিশ'শ বিরাশি সালের ২৪শে মার্চ তৎকালীন সেনা প্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান তিনি ও রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্সান উদ্দীন চৌধুরী।

কিন্তু ২৭শে মার্চ ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব শুরু করে ১৯৮৩ সালের এগারই ডিসেম্বর ক্ষমতা থেকে সরে যান তিনি।


হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

জেনারেল এরশাদ
জেনারেল এরশাদ

উনিশ'শ বিরাশি সালের ২৪শে মার্চ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সরিয়ে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক শাসন জারি করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

রেডিও টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে সেদিন তিনি বলেছিলেন, "জনগণের ডাকে সাড়া দিতে হইয়াছে, ইহা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিলোনা"।

এরপর ১৯৮৬ সালে নির্বাচনের আয়োজন করে আবারো রাষ্ট্রপতি হন তিনি এবং শেষে প্রবল গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর।

সাহাবুদ্দিন আহমদ

শপথ নিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন আহমেদ
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ (ডানে)।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ। সকল বিরোধী দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ একটি 'নিরপেক্ষ নির্দলীয় কেয়ারটেকার' সরকার গঠন করেন, যার একমাত্র দায়িত্ব ছিল তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।

তার শাসনামলে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি।

খালেদা জিয়া

প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় খালেদা জিয়া

উনিশ'শ একানব্বই সালের অগাস্টে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী পাশ হলে সতের বছর পর আবার সংসদীয় সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ওই বছরের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার প্রধান হন।
একই বছর অক্টোবরে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ বিদায় নেয়ার পরে রাষ্ট্রপতি হন আব্দুর রহমান বিশ্বাস।

খালেদা জিয়ার সরকারের শেষ দিকে বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে।

ওই আন্দোলনের মধ্যেই ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচন হলেও তা বর্জন করে আওয়ামী লীগসহ তখন অধিকাংশ বিরোধী দল।

ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিরোধ আরও জটিল হয়ে ওঠে। নির্বাচনে জিতলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সংবিধান সংশোধনের পর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি তিনি।

ত্রিশে মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেন খালেদা জিয়া।

শেখ হাসিনা

১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা
১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা

বিচারপতি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তার শাসনামলে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়াদের পর রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ।

পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি।

মিস্টার রহমানের অধীনে ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।


আবার খালেদা জিয়া

ইয়াজউদ্দিন আহমেদ
দু'হাজার ছয় সালের ২৯শে অক্টোবর প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনের জন্য শপথ নেন প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ।

দু'হাজার এক সালের অক্টোবরে দুই তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তার এই মেয়াদের শেষ দিকে এসে সংবিধানের একটি সংশোধনীকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো আবারো আন্দোলন গড়ে তোলে।

এ মেয়াদে নতুন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন অধ্যাপক ড: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ।

শেষ পর্যন্ত তীব্র আন্দোলনের মুখেও পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করে মিস্টার আহম্মেদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন খালেদা জিয়া।

কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাপক সহিংসতা রূপ নিলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যার নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।


ফখরুদ্দীন আহমদ

ফখরুদ্দিন
ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ।

দু'হাজার সাত সালের ১২ই জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক একজন গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।

সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রায় দু বছর সরকার প্রধান ক্ষমতায় ছিলেন তিনি, যদিও তার পদবী ছিলো প্রধান উপদেষ্টা।

তার সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের উনত্রিশে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়ে আবারো ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তার হাতেই ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন মিস্টার আহমদ।

আবারো শেখ হাসিনা

মূলত শেখ হাসিনাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের সরকার প্রধান। দু'হাজার নয় সালের ৬ই জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি তৃতীয় বার এবং ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে এখনো সরকার প্রধান হিসেবে দেশ শাসন করছেন তিনি।

তবে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলেও এর পরের নির্বাচনগুলো শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই হয়েছে।

এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নিলেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

আবার ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মেয়াদ শেষে ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মোঃ জিল্লুর রহমান।
দু'হাজার তের সালের ২০শে মার্চ তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ।


সুত্রঃ বিবিসি


ফিলিপাইনে এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনে অন্তত ২০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সরকারী হিসাবে এ কথা বলা হয়। কর্তৃপক্ষ বিধ্বস্ত দ্বীপগুলোতে পানি ও খাদ্য পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতির বাতাস নিয়ে আঘাত হানা শক্তিশালী টাইফুন রাই’কে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী টাইফুনগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।  টাইফুনের কারণে দ্বীপ দেশটির সমুদ্র সৈকত এলাকার ৩ লাখের বেশী মানুষ তাদের বাড়িঘর ও রিসোর্ট ছেড়ে পালিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের অনেক এলাকা যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বিবিসি জানায়, টাইফুনের আঘাতের পর কিছু কিছু এলাকায় ভূমিধস এবং প্রচণ্ড বন্যা দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় অনেক এলাকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনও জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির সেই তথ্য এলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন আর্থার।

সোমবার পুলিশের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে গত শুক্রবার শক্তিশালী টাইফুন রাই আঘাত হানার পর এখন পর্যন্ত ২০৮ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া টাইফুনে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩৯ জন এবং এখন পর্যন্ত ৫২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget