Latest Post

৯:৩০ AM


ভারতের ন্যাশনাল ক্রাশ রাশমিকা মান্দানার নতুন ছবি ‘পুষ্প’ বর্জনের ডাক দিয়েছেন দেশটির কর্নাটক রাজ্যের সিনেমাভক্তরা। তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনেও নেমেছেন। টুইটারে হ্যাশট্যাগ (#) দিয়ে ছবিটি বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন তারা, যা এখন টুইটারে ট্রেন্ড হিসেবে দেখা দিয়েছে।

‘#বয়কটপুষ্পইনকর্নাটক’ এখন টুইটার ট্রেন্ড। তবে সিনেমাভক্তদের আপত্তি ছবির গল্প কিংবা পাত্র-পাত্রীকে নিয়ে নয়। তাদের আপত্তি ছবির ভাষা নিয়ে।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ভাষার প্রচলন। ‘পুষ্প’ ছবিটি তেলেগু ভাষায় মুক্তি দেওয়া নিয়ে খেপেছেন কর্নাটকের দর্শক। কন্নড় ভাষায় ছবিটি মুক্তি দেওয়ার সুযোগ থাকতেও কেন ছবির মূল ভাষা তেলেগুতে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ প্রশ্ন তাদের। টুইটারে ভক্তরা একের পর এক মন্তব্য করছেন। ছবিটি বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

তামিলনাড়ুতে তামিল, কেরালায় মালয়ালম, কর্ণাটকে কন্নড়, তেলেঙ্গানায় তেলেগু ভাষায় কথা বলে মানুষ। ভাষার ব্যাপারে তাদের অনুভূতিও প্রবল। সে কারণে আলাদা আলাদা ভাষায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিও গড়ে উঠেছে সেখানে। যদিও এক ইন্ডাস্ট্রির তারকারা অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে হরহামেশাই অভিনয় করেন। এক ইন্ডাস্ট্রির ছবি অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে মুক্তি পায় নিয়মিত।

সুকুমারের পরিচালনায় ‘পুষ্প’ ছবিতে রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে রোমান্সে মাতবেন আল্লু অর্জুন। ছবিটিতে একটি ঝাঁজালো গানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে সামান্থা রুথ প্রভুকে। আরও অভিনয় করেছেন মালয়ালম অভিনেতা ফাহাদ ফাসিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ভক্ত লিখেছেন- ‘যদি কর্ণাটকে ছবিটির মুক্তি দিতে চান, তবে অন্য সব ভার্সনের চেয়ে কন্নড় ভার্সনে মুক্তি দেওয়া হবে সবচেয়ে ভালো।’ আরেকজন লিখেছেন- ‘মানুষকে তেলেগু ভাষায় ছবিটি দেখানোর জন্য এটা একটা পরিকল্পিত এজেন্ডা।’

৯:১৯ AM

ঢাকাই সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম শাবনূর। নেচে গেয়ে অভিনয় করে কাবু করেছিলেন দর্শকদের মন। ছোট থেকে বড় সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে ঢালিউড কুইন শাবনূরের নাম। তবে দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে বড় পর্দার আড়ালে। স্থায়ী হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে।

বর্তমানে শাবনূর অভিনয় না করলেও তার জনপ্রিয়তা একবিন্দুও কমেনি। ভক্তরা আজও মুখিয়ে থাকেন এক নজর এই তারকাকে দেখার জন্য। আজ এই লাস্যময়ী ঢাকাই অভিনেত্রী কাজী শারমিন নাহার নূপুর ওরফে শাবনূরের আজ জন্মদিন।

তুমুল জনপ্রিয় এ নায়িকা ১৯৭৯ সালের আজকের এ দিনে (১৭ ডিসেম্বর) যশোরের নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন। বেশ কিছুদিন থেকেই সংবাদমাধ্যমের খবর ছিল যে, শাবনূর দেশে এসে তার জন্মদিন পালন করবেন। ভক্তদের চমক দেবেন এই অভিনেত্রী। তবে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত দেশে আসা হলো না তার। তাই অস্ট্রেলিয়াতেই জন্মদিন উদ্‌যাপন করছেন তিনি পরিবারের সঙ্গে।

বেশ কয়েক মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে নিজের নানা কর্মকাণ্ডের ভিডিও নিয়মিত প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন শাবনূর। সেজন্য ‘শাবনূর’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলও খোলেন তিনি। প্রকাশ করেন বেশ কিছু ভিডিও। কিন্তু হুট করে এ অভিনেত্রী হ্যাকিংয়ের শিকার হন, এরপর সেই চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তাতে কি শাবনূরকে আটকে রাখা যায়! ফের ফিরছেন তিনি।

জন্মদিনে আবারও নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে হাজির হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাবনূর। একই দিন ভক্তদের উপহার দেবেন নতুন ভিডিও।

অস্ট্রেলিয়া থেকে শাবনূর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, 'দূরে আছি এটা ঠিক, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি এখন অনেকটাই নিয়মিত। তাই মনে হয় সবার কাছাকাছিই আছি। সবাইকে নিয়মিত দেখছি। আমি পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আলস্নাহ যেন আমাদের সবাইকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। আর আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজ আমার জন্মদিন, সে উপলক্ষে আবার ইউটিউব চ্যানেল খুলে নতুন ভিডিও আপনাদের উপহার দিতে যাচ্ছি। আশা করি চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমার পাশে থাকবেন।'

প্রয়াত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশামের হাত ধরেই 'চাঁদনী রাতে' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে শাবনূরের অভিষেক হয়। এমবি ফিল্মস লিমিটেড প্রযোজিত আজিজ মোহাম্মদ নিবেদিত এই চলচ্চিত্রে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেন সাব্বির। তবে জহিরুল হকের 'তুমি আমার' চলচ্চিত্রে সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করে সালমান শাবনূর জুটির শুভারম্ভ হয়। 

ক্যারিয়ারে সালমান শাহ ছাড়াও রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস, মান্না ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে একাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার এবং দশবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন এ অভিনেত্রী।

এক সাক্ষাৎকারে শাবনূর বলেছিলেন, পাইলট হতে চেয়েছিলেন তিনি। ভাগ্যই তাকে নায়িকা বানিয়েছে। শাবনূর মনে করেন, ভালো চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষুধা একজন অভিনেত্রীর সবসময় থাকে। অনেক চরিত্র আছে যেগুলো শাবনূরের করা হয়নি। সেগুলোতে অভিনয়ের ইচ্ছা এখনও জাগে জনপ্রিয় এ নায়িকার।

দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাস শাবনূরের। সেখানে ছেলে আইজান, মা, ভাই, বোনসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে দেশে এলে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন এ অভিনেত্রী। সবশেষ শাবনূরকে ২০১৫ সালে 'পাগল মানুষ' সিনেমায় দেখা গেছে। এরপর আর কোনো সিনেমায় পাওয়া যায়নি দর্শকপ্রিয় এ তারকাকে।


ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মাহমুদ আজ-জাহার বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের যে কোনো জায়গায় এখন তার সংগঠন হামলা চালাতে সক্ষম।

তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে এই সংগঠন যখন গঠিত হয়, তখন তার শক্তি সামর্থ্য ছিল একেবারে শুরুর পর্যায়ে; কিন্তু এখন এ সংগঠন অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। খবর প্রেস টিভির।

মাহমুদ আজ-জাহার বুধবার ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশন চ্যানেলকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একেবারে শূন্যহাতে হামাস পথচলা শুরু করে এবং শত্রুদের সঙ্গে পাথর দিয়ে লড়াই করেছে; কিন্তু এখন তার যেসব ক্ষমতা অর্জিত হয়েছে, তাতে সব অধিকৃত ভূখণ্ড হুমকির মুখে পড়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে লড়াই সীমাহীন উল্লেখ করে হামাসের এ নেতা বলেন, হামাসের সাম্প্রতিক সামরিক মহড়া নিশ্চিত করে দিয়েছে যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে প্রতিরোধকামী এ সংগঠন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।

হামাস আরও প্রমাণ করে দিয়েছে যে, আল-আকসা মসজিদ রক্ষার ক্ষেত্রে তারা আপসহীন।

৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড গত বুধবার গাজা উপত্যকায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে।


ভারতের রাজধানী দিল্লির অপেক্ষাকৃত সচ্ছল শহরতলী গুরগাঁওয়ে গত তিন মাস ধরে প্রতি শুক্রবার জনসমক্ষে মুসলমানদের নামাজ পড়ায় বাধা দেয়ার জন্য হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠীর একদল লোক নিয়মিত জড়ো হচ্ছে।

তারা শোরগোল করে দাবি করছে যে খালি জায়গাগুলোয় নামাজ আদায় বন্ধ করতে হবে। খালি জায়গা বলতে তারা মূলত বোঝাচ্ছেন কার পার্ক, কারখানা, বাজার এবং কারখানার কাছে সরকারি মালিকানাধীন প্লট এবং আবাসিক এলাকা - যেখানে শ্রমিক শ্রেণীর মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা বছরের পর বছর ধরে নামাজ পড়ে আসছেন।

তারা স্লোগান দিয়ে বলছেন যে যানবাহন পার্ক করে এবং কড়া ভাষা ব্যবহার করে যেন মুসলমানদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। এ সময় তারা মুসলমানদের জিহাদি এবং পাকিস্তানি বলেও সম্বোধন করেন।

বর্তমানে সেখানে পুলিশের নিরাপত্তায় নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় কমিউনিটি গ্রুপ গুরগাঁও মুসলিম কাউন্সিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ আহমেদ বলেছেন, ‘একটি ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গুরগাঁওয়ে এমনটা ঘটবে তা আমরা কখনোই ধারণা করিনি।’

দিল্লির প্রায় ১৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত গুরগাঁও শহরের একটি অংশ গত তিন দশকেরও কম সময়ের মধ্যে অজপাড়াগাঁ থেকে একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক শহরতলীতে পরিণত হয়েছে।

শহরের প্রতিটি এলাকা এখন চকচকে কাঁচ-এবং-ক্রোম অফিস টাওয়ার, বিলাসবহুল দোকান এবং সুউচ্চ অ্যাপার্টমেন্টে পূর্ণ।

একে সরকারি কর্মকর্তারা ‘মিলেনিয়াম সিটি’ অর্থাৎ সহস্রাব্দের শহর হিসেবে অভিহিত করেন - যেখানে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। এরমধ্যে হোয়াইট কলার থেকে শুরু করে ব্লু কলার অর্থাৎ পেশাজীবী থেকে শ্রমিক সব ধরনের মানুষ রয়েছেন।

এদের মধ্যে আনুমানিক পাঁচ লাখ মুসলমান নির্মাণ শ্রমিক, মেরামত শ্রমিক এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং ওই এলাকায় বসবাস করেন।

কিন্তু গুরগাঁওয়ে নামাজ পড়া নিয়ে নতুন করে কোন্দল দেখা দিতে শুরু করেছে।

“আমরা মুসলিম বা নামাজের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু প্রকাশ্যে প্রার্থনা করা হলো ‘ল্যান্ড জিহাদ’,” প্রতিবাদকারী হিন্দু গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা কুলভূষণ ভরদ্বাজ এ কথা বলেন।

মুসলিম নেতারা বলছেন, তাদের নিয়ে সর্বশেষ গুজব রটেছে, ‘মুসলমানরা যেখানে প্রার্থনা করছে সেই জমি নাকি তারা দখলের পরিকল্পনা করছে।’

অতীতে হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা মুসলমানদের লক্ষ্য করে ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।

লাভ জিহাদ ছিল একটি ডানপন্থী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যেখানে অভিযোগ আনা হয় যে মুসলমান পুরুষরা হিন্দু নারীদের বিয়ে করে তাদের ধর্মান্তরিত করে - তাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং গোহত্যার অভিযোগও আনা হয়।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা প্রায় দুই ডজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের একটি সম্মিলিত গোষ্ঠীর অংশ। এটি প্রধানত যুবক, বেকার পুরুষদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন - যাকে বলা হয় সম্মিলিত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি।

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) - যারা ২০১৪ সাল থেকে ভারতকে শাসন করছে - এসব হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে সুরক্ষা দিয়ে আসছে, বলছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্রিস্টোফ জাফ্রেলট।

তার মতে, ‘বিজেপির নৈতিক ও সামাজিক পুলিশিংয়ের উদ্দেশ্য হলো দেশটিতে প্রচলিত আইনের পরিবর্তে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুশাসন আরোপ করা।’

কিন্তু গুরগাঁওয়ে প্রথম দিকে খণ্ড খণ্ডভাবে এসব বিক্ষোভ হলেও পরে ধীরে ধীরে এটি একটি সংগঠিত আন্দোলনে রূপ নেয়। এখন স্থানীয় বাসিন্দারাও তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

‘মুসলমানরা যখন আমার বাড়ির কাছে প্রকাশ্যে নামাজ আদায় করে তখন আমাদের ভালো লাগে না। আমাদের ভয় লাগে। নামাজ শেষে তারা চারপাশে ঘুরে বেড়ায়,’ বলেছেন সুনীল ইয়াদাভ নামে স্থানীয় এক একজন বাসিন্দা। তিনি তার বাড়ির কাছে ৩৬ একর জমিতে নামাজ বন্ধ করার জন্য একটি প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী - যে রাজ্যে গুরগাঁও শহরটি অবস্থিত - প্রকাশ্যে মুসলমানদের প্রার্থনা করার নিন্দা জানান। মনোহর লাল খাত্তার বলেছিলেন, প্রকাশ্যে নামাজ পড়া ‘সহ্য করা হবে না’। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের ধর্মচর্চা এক ধরনের সংঘাত, ‘আমরা এই সংঘর্ষ চলতে দেব না।’

এভাবে বিক্ষোভটি এক প্রকার বৈধতা অর্জন করে।

২০১৮ সালে উন্মুক্ত স্থানে মুসলমানদের প্রার্থনা করার বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিবাদ শুরু হয়। আলোচনার পরে মুসলিম নাগরিক গোষ্ঠীগুলো তখন নামাজ পড়ার স্থানের সংখ্যা ১০৮টি থেকে কমিয়ে ৩৭-এ নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছিল। এই বছর বিক্ষোভ নতুন করে দানা বেঁধেছে।

তবে এর পেছনে কারণ এখনো অস্পষ্ট।

এবারে নতুন করে আলোচনার পরে নামাজ আদায়ের জায়গার সংখ্যা আরো কমিয়ে এখন ২০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।

গুরগাঁওয়ে মুসলমানেরা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে খোলা জায়গায় নামাজ পড়ছেন। এ নিয়ে বিতর্কের মূল বিষয় হল, মুসুল্লীদের জায়গা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত স্থান না থাকা।

পলিটিক্যাল ইসলামের একজন পণ্ডিত হিলাল আহমেদ বলেছেন, ‘তারা ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য এখন নাগরিক সমস্যার বিষয়টি সামনে আনছে।’

‘তারা মুসলমানদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বলছে। সমস্যা হলো, পর্যাপ্ত মসজিদ নেই।’

গুরগাঁওয়ে ১৩টির মতো মসজিদ রয়েছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র একটি শহরের নতুন অংশে অবস্থিত। অথচ এই নতুন অংশেই বেশিরভাগ অভিবাসী বসবাস করেন এবং কাজ করেন।

মুসলিম সম্পদের তত্ত্বাবধান করে এমন একটি বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেছেন, তাদের বেশিরভাগ জমি শহরের দূরবর্তী উপকণ্ঠে রয়েছে যেখানে মূলত পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠী বসবাস করে।

মুসুল্লীরা না আসায় ওইসব এলাকার ১৯টি মসজিদ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল এবং গুরগাঁওয়ের প্রাণকেন্দ্রে জমি কেনার সামর্থ্য বোর্ডের ছিল না, তিনি জানান।

গুরগাঁও মুসলিম কাউন্সিলের মতে, গুরগাঁওয়ের নগর পরিকল্পনাবিদরা শহরের নতুন ও উন্নত অংশে ৪২টিরও বেশি মন্দির এবং ১৮টি গুরুদুয়ারার জন্য জায়গা বরাদ্দ করেছেন, কিন্তু মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র একটি প্লট।

পাঁচ বছর আগে দুটি মুসলিম ট্রাস্ট ধর্মীয় উদ্দেশ্যে বিক্রি করা সরকারি প্লট অধিগ্রহণের জন্য নিলামের ডাকে ব্যর্থ হয়েছিল।

আজ গুরগাঁওয়ে যা ঘটছে সেটা ২০১১ সালে প্যারিসের রাস্তায় নামাজ পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেয়, যা ডানপন্থীদের প্রতিবাদের মুখে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার কারণ ছিল, মুসলমানরা তখন মসজিদে নামাজের জন্য জায়গা পাননি। পরে নামাজের জন্য অব্যবহৃত ব্যারাক ভাড়া দেয়ার জন্য দুটি স্থানীয় মসজিদের চুক্তি হয়।

ছয় বছর পরে প্যারিসের একটি শহরতলিতে রাজনীতিবিদদের অনুরূপ প্রতিবাদ হয়েছিল - মুসুল্লীরা বলেছিলেন, টাউন হলে তারা প্রার্থনার জন্য যে কক্ষটি ব্যবহার করতেন, সেটি দখল হওয়ার পরে তাদের নামাজ পড়ার আর কোনো জায়গা নেই।

ধর্ম সবসময় ভারতের সর্বজনীন স্থানগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে এবং এখনো তাই হয় - বার্ষিক ধর্মীয় মিছিল এবং সমাবেশগুলো প্রায়শই যান চলাচলে বাধা দেয় এবং এমনকি রাস্তা বন্ধ করতে বাধ্য করে।

অবশ্য ভারতের বহুত্ববাদী ব্র্যান্ড ধর্মনিরপেক্ষতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হুমকির মুখে পড়েছে।

তবুও, গুরগাঁওয়ে, এখনো সব হারিয়ে যায়নি।

জুমার নামাজ পড়ার জন্য মুসলমানদের জন্য দোকান খুলে দিয়েছিলেন এক হিন্দু ব্যবসায়ী। গত মাসে শিখ গুরুদুয়ারাগুলো মুসলমানদের উপাসনার জন্য তাদের জায়গা অফার করেছিল, কিন্তু হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর প্রতিবাদের মুখে পরে তারা সেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

ধর্ম নিয়ে ভারতে চালানো পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে, বেশিরভাগ ভারতীয় বলেছেন, ‘সত্যিকার ভারতীয়’ হওয়ার জন্য সমস্ত ধর্মকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ।

এই মুহূর্তে গুরগাঁওয়ের মুসলমানরা অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মধ্যে আছেন। শুক্রবার কাজ থেকে ছুটি নেয়ার জন্য এবং নামাজ আদায়ের স্থান খুঁজে পেতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার জন্য অনেকে বেতন হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন।

‘আমরা ভয়ে ভয়ে থাকি এবং প্রতিনিয়ত অপমানিত হই,’ বলেন হিলাল আহমেদ।

সূত্র : বিবিসি


পাকিস্তানের তেহরিক-ই তালেবানের (টিটিপি) এক নেতা অল্পের জন্য ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আফগানিস্তানে অবস্থান করা টিটিপির দুইটি সূত্রের বরাতে আল আরাবিয়া এই খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন হামলায় টার্গেট করা হয়েছিল তেহরিক-ই তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ফকির মোহাম্মদকে। আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের চাওগাম গ্রামে মনুষ্যবিহীন ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। কিন্তু সেখানে মোল্লা  ফকির  ছিলেন না, উপস্থিত ছিলেন তেহরিক-ই তালেবানের অন্য দুইজন যোদ্ধা। হামলায়  তারা সামান্য আহত হয়েছেন।

তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে সেটা জানা যায়নি। পূর্বে এই এলাকায় হামলার জন্য পাকিস্তান  এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই মনুষ্যবিহীন ড্রোন ব্যবহার করেছে। 

২০১৮ সালের জুন মাসে এই কুনার প্রদেশে এক ড্রোন হামলায় টিটিপির প্রধান মোল্লা ফয়জুল্লাহ নিহত হয়েছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি সেখানে পালিয়ে থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। 

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের চাওগাম আঙ্গিনা টিটিপি যোদ্ধাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 

আল আরাবিয়ার খবর অনুসারে,  টিটিপি নেতা মোল্লা ফকিরকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। দীর্ঘ দিন তাকে বাগারাম কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে অন্যসব কারাবন্দীর মতো তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। 

গত ৯ নভেম্বর পাকিস্তান সরকার তেহরিক-ই তালেবানের সঙ্গে এক মাসের অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে। কিন্তু পাক সরকার টিটিপির সঙ্গে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেনি দাবি করে অস্ত্রবিরতি চুক্তি থেকে গত ১০ ডিসেম্বর সরে আসে। এর একদিন পর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তাঙ্ক জেলায় পাকিস্তানে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে।


সারা বিশ্বে ৫০ হাজার মানুষের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপরে নজর রেখেছিল হ্যাকাররা। আর এর পেছনে যুক্ত ছিল ভারত, ইসরাইলসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান।

এমনই চঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। বৃহস্পতিবার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয় বলে খবর প্রকাশ করে এএফপি।

সেখানে মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়, সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ দেশের অধিকারকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম থেকে প্রায় দেড় হাজার পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব পেজ ব্যবহার করেই মূলত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হতো। আর সাতটি প্রতিষ্ঠান এসব অ্যাকাউন্ট ও পেজ ব্যবহার করত বলে বলা হয় সিএনএন ও রয়টার্সের খবরে।

এ ছাড়া হ্যাকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে মেটা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এসব হ্যাকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জোরদার করেছে।

এমন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইসরাইলের আড়িপাতার সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন সরকার। এদিকে মেটাও এনএসওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে।

এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে— ইসরাইলের ব্ল্যাক কিউব। এ প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবহার করেছিলেন ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হলিউডের প্রভাবশালী প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিন। ভারতের বেলট্রক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামও রয়েছে এতে। ইসরাইলের কবওয়েবস টেকনোলজিস, কগনাইট, ব্লুহোয়াক সিআইয়ের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে ফেসবুক থেকে। এ ছাড়া উত্তর মেসিডোনিয়ার সাইট্রক্স ও চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টও মুছে দিয়েছে ফেসবুক।


এ প্রসঙ্গে মেটার সিকিউরিটি পলিসি বিভাগের প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইচার বলেন, এনএসওর মতো শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, আড়িপাতার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করতে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তবে এসব আড়িপাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সন্ধান কীভাবে মিলেছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি মেটা।


মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ৯৬ বছর বয়সী এই নেতার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তার পূর্ণ মেডিকেল চেক-আপ করা হবে।

এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মাহাথির মোহাম্মদকে পূর্ণ মেডিকেল চেক-আপ এবং আরও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে কি কারণে তাকে ভর্তি করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। মাহাথির মোহাম্মদের মুখপাত্রও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।

মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। এর আগেও তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এবং বাইপাস সার্জারি করেছেন।

২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। তাকে আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি বলা হয়। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পরপর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।

এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এক সময়ে যে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে জোট গড়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েও দেখিয়েছেন।


সুপার টাইফুন ‘রাই’ এর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফিলিপাইনে। সেন্ট্রাল ফিলিপাইনের অনেক বাড়ি-ঘরের ছাদ এবং গাছ উপড়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যে এটিই সবেচেয় বড় ঘূর্ণিঝড়। শুক্রবার নেগ্রোস অক্সিডেন্টাল প্রদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাদেশিক গর্ভনর জানান, টাইফুনের আঘাতে স্থানীয় একটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্তের খবর পাওয়া গেছে।

ভারী বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের কাবানকালান শহরে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। ইলগ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকায় বসবাসরত মানুষ হুমকির মুখে।

ভিসায়েস শহরের মেয়র জেরি ট্রেনাস বলেন, 'আমার জীবনে এমন ঝড়ো বাতাস দেখিনি। ঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়'।

গত বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে সেন্ট্রাল সিয়ারগাও দ্বীপে আঘাত হানে ঝড়টি। ফরাসি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার ৩ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন। এখনও ১৮ হাজারের বেশি মানুষ ঘরে ফিরতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা। তবে আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়া উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

২০১৩ সালে দেশটিতে সুপার টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে ৭ হাজার তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে অথবা নিখোঁজ।

সূত্র: আল-জাজিরা


ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাড়িতে একা পেয়ে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে র‍্যাব-১৪ এর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এরআগে বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৪ ডিসেম্বর ত্রিশালে ওই শিশুকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে দুই কিশোর। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন হুমকি দেয় তারা। ঘটনার পরদিন ভিক্টিমের শরীরে প্রচন্ড জ্বর ও ব্যথা হলে বড় বোনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। পরে তিনি ঘটনাটি স্বজনদের জানালে তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ভিক্টিমের বাবা ত্রিশাল থানায় মামলা করেন। পরে খুলনা সিটি করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব তাদের আটক করে। গ্রেফতারদের থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।


আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করেছে পাকিস্তানে। আর এর জের ধরে দীর্ঘ নয় বছর পর বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান যাচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ।

আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর এতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ১৮ ডিসেম্বর সিনিয়র অফিসিয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্র সচিব । এর পরদিন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উল্লেখ করেন, ‘আমি ১৮ ডিসেম্বর এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ১৯ ডিসেম্বর বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।’ ওআইসি’র অনুষ্ঠানের বাইরে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনও বৈঠক হবে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘না, সেরকম কোনও কিছু হচ্ছে না।’

২০১২ সালে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তান সফর করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। তারও আগে ২০১০ সালে দ্বিপক্ষীয় পঞ্চম পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তান যান তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যায় এবং একাধিক যুদ্ধাপরাধীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার এবং কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সংসদ বিবৃতি দিলে তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। তবে  বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার প্রসঙ্গ ওঠায় আলোচনা বেশিদূর এগোয়নি।

পাকিস্তানে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৯ ও ২০২০ সালে দুই দফা টেলিফোন করেন। চলতি বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ইমরান খানের একটি শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।


নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হন তরুণী।

অতঃপর বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চিটাগাংরোডের মা হাসপাতালে তাদের বিয়ে হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যান সিদ্ধিরগঞ্জের হাউজিং এলাকার মো. ইউসুফের মেয়ে খাদিজা (১৮)। সঙ্গে ছিলেন তার মা-বাবা। তখন হাসপাতালের ডিউটি ডা. মাহফুজের সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন খাদিজা অভিনয় করছেন। তিনি রোগীর বাবা-মাকে চেম্বারের বাইরে যেতে বলে ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

biya

একপর্যায়ে তরুণী জানান, ওয়ালী উল্লাহ নামের একজনকে ভালোবাসেন তিনি। তবে তার বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক করায় এ অভিনয় করছেন। আসলে তার কোনো সমস্যা হয়েছে কী-না নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি দিয়ে হার্টের কয়েকটি টেস্ট করেন। রিপোর্ট স্বাভাবিক এলে ডা. মাহফুজ প্রেমিক ওয়ালী উল্লাহকে হাসপাতালে আসতে বলেন।

পরে বিষয়টি তরুণীর বাবা-মাকে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মেয়েকে বাড়িতে উঠতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। কিন্তু খাদিজা বিয়ের দাবিতে অনড় থাকায় পরে বিয়েতে সম্মত হয় স্বজনরা। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

মা হাসপাতালের রিসিপশনের দায়িত্বে থাকা মো. সোহাগ বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।


গত বছরের নভেম্বরে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু বিচ্ছেদের নেপথ্যে কী ছিল? কারো পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি। শোবিজে গল্প ছড়িয়েছে নানা রকম। সেসব গল্পে মসলা ছিল, কিন্তু প্রমাণ ছিল না। দোষ ফারিয়ার ওপর দিতে ছাড়েননি নেটিজেনদের একাংশ। কিন্তু আদতে কি তাই? সে সময় কেউই মুখ খোলেননি। 

২০১৫ সালে ফেসবুকে ফারিয়া-অপুর পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব ও প্রেম। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা আংটিবদল করেন। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ধুমধাম করে বিয়ে হয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর। সেই হিসাবে তাঁদের সম্পর্কের বয়স পাঁচ বছর। হঠাৎ করেই অপুর স্মৃতি ভোলা যাবে না উল্লেখ করে ফারিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে মানুষটার সঙ্গে গত পাঁচ বছর আমার জীবন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল, সেই মানুষটার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে, যা চাইলেই হঠাৎ করে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বিচ্ছেদের পরে তাঁকে কিভাবে ছোট করি।’

কিন্তু বুধবার রাতের এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানা গেল নেপথ্যের আঁচ। শবনম ফারিয়া স্বামীর কাছে নির্যাতিত হয়ে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন। শুধু নির্যাতনই নয়, নির্যাতন করে হাত ভেঙে দিয়েছিলেন তার স্বামী। সমাজের নিয়ম ও কী বলবে সমাজ, স্বজন- এসব ভেবে সহজে বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চাইছিলেন না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছেন দেবীখ্যাত অভিনেত্রী।

কিন্তু ফারিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক স্বামী হারুনুর রশীদ অপু। তিনি বললেন, পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়টি সত্য নয়। স্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া এটা আসলে ঘটনা ভিন্নদিকে প্রবাহিত করার পরিকল্পনা। আমি জানি না, কেন এত দিন পর এখন অতিরঞ্জিত গল্প ছড়ানো হচ্ছে।

শবনম ফারিয়ার অভিযোগ সম্পর্কে অপু বলেন, 'প্রেম, বিয়ে কিংবা একটা সম্পর্ক- এর মাঝে হাজারটা চড়াই-উতরাই থাকে। আবেগ, রাগ, হাসি-কান্না , সুখ-দুঃখ মিলিয়েই একেকটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  আমার বিয়ের সম্পর্কটি টেকেনি, এটা নিয়ে আমার বিপরীতের মানুষ অনেক বয়ান, স্ট্যাটাস, মতবাদ দিলেও এত দিন পর্যন্ত আমি কিছুই বলিনি, হয়তো আর বলবও না। ভেবেছি বোবার শত্রু নাই! কিন্তু যা দেখছি অনেক দিন ধরেই, চুপ থেকে সম্মান দিয়ে যাওয়ার পরও আজকাল অনেকে সুযোগ নিয়ে নেয়।'
 
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার দায় সম্পর্কে অপু বলেন, চাওয়া-পাওয়ার হিসাব অনেক সময়ই মেলে না, তাই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ারও একান্ত অনেক কারণ থাকে। কিছু কারণ একান্তই নিজস্ব, কিছু কারণ সামাজিক, আর্থিক বা বাইরের। মেজাজ গরম, ভালোমন্দ, উগ্রতা একটা সম্পর্কে দুজনের মধ্যেই থাকে। কষ্টের মুহূর্তও দুই দিকেই থাকে। খারাপ সময়ে কেউ একলা আসমানে তাকিয়ে থাকে না, দুজনই তাকায়। ব্যথা এক দিকে হয় না, আলাদা হলে দুদিকেই ব্যথা থাকে। তবু সব সময়ই চেয়েছি যে বিপরীতের মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সবার কাছে স্বাভাবিকভাবেই উপস্থাপন করতে। অভিযোগের অনেক কথা থাকলেও আমার ক্ষেত্রে এককথায় বললে-   বনিবনা হয়নি- অথবা সময়ের টানে নিজেদের নিজেরা হারিয়ে ফেলেছিলাম- এগুলো বলেই সবাইকে উত্তর দিয়ে আসছিলাম এত দিন।' 

অভিযোগ আছে স্বীকার করে তিনি বলেন, 'অভিযোগ দুই দিকেই থাকে, কেউই সন্ন্যাসী লেভেলে থাকি না আমরা। দিনের পর দিন কারো আসমান সমান অভিযোগ থাকলে, আরেক দিকে পাহাড় সমান থাকারই কথা। অভিযোগকে পুঁজি করে নিজেকে সাধু সাজিয়ে ভিকটিম হিসেবে প্রকাশ করা অনেকের অভ্যাস হতে পারে- তবে এই পথে এখনো যেতে পারিনি।' 

অপু বলেন, শ্রদ্ধাশীলতা - খুব বড় একটা পয়েন্ট আজকাল। একেকজনের পার্সপেক্টিভ থেকে যার যার কষ্ট বা দুঃখের আলাদা আলাদা ভার্সন থাকে।   আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। কেন ঘর ভাঙল? কেন আলাদা হলেন- এই প্রশ্নগুলো একান্তই নিজস্ব। উত্তর জেনে আপনাদের চটকদার নিউজ ছাড়া কিংবা কমেন্টে লাভ/এংরি রিঅ্যাকশনের বাইরে কেউই আসবে না।  এই পার্সপেক্টিভ আলাদা হয়ে গিয়েছে দেখেই হয়তো আমরা একভাবে আর চিন্তা করতে পারছিলাম না। তাই হয়তো আলাদা হওয়া। তবু ভাঙা আঙুলের গল্পটা রয়েই যায়, তাইতো? বরং ঘটনাটা শুরু কিভাবে, হলো কিভাবে, ভাঙল কিভাবে- এটা হয়তো জানার দরকার বিপরীত পাশ থেকেই। না হয় একদিক দোষী মনেই হয়!  রাগের মাথায় উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার গল্প বলতে গেলে হয়তো প্রতিটি কাপলেরই লিঙ্গ-নির্বিশেষে আজ 'মি-টু' স্ট্যাটাস দিতে হবে!

শবনম ফারিয়া অশান্তিতে আছে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বলছিলাম শ্রদ্ধার কথা। পাশে থেকেও শ্রদ্ধা রাখা যায়, দূরে থেকেও। নিজেকে ভিকটিমের মতো উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিমূলক মতবাদ- আসলেই দুঃখজনক।  যখন একটা মানুষকে জনসাধারণ অনুসরণ করে- তার দিক থেকে একটাই কথা মাথায় রাখা উচিত, With great power comes great responsibility. কেউ যদি সহজেই হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে, তারও উচিত সাবলীল এবং সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক কথায় নিজের ইমেজ বিকাশ করা। ইনফ্লুয়েন্সার আসলে যে কী- এটা হয়তো অনেকেই বুঝতে চান না ! যা-ই হোক, গুজবের মতো এক শ্রেণির মানুষ উহাই অনুসরণ করে যাবেন আর ইনবক্সে গালি দিয়ে যাবেন। কিন্তু যাচ্ছেতাই কমেন্ট/স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেও রসিকতার পাত্র হয়ে লাভ নেই, আর অন্যকেও হাসির মাঝে ফেলে লাভ নেই। তবুও নিজেকে প্রায়ই এটা বলে সান্ত্বনা দিই যে- হয়তো বিপরীতের মানুষটি শান্তিতে আছে দেখেই এমন মনোভাব পোষণ করছে। নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে নিজেই অশান্তিতে থাকলে তখন অনেকেই চেষ্টা করেন বাকি মানুষটাকেও ছোট প্রমাণ করতে। প্রায় সময়ই আমরা অশান্তিতে থাকলে নিজেদের বেসামাল করে কথা বলেই ফেলি। অন্য কেউ ভালো থাকলে আবার টেনে নামানোর চেষ্টাও হয়তো করেন কেউ।

তিনি শান্তিতে আছেন উল্লেখ করে অপু বলেন, 'আল্লাহর অশেষ রহমত! আলহামদুলিল্লাহ অনেক শান্তিতে আছি, আল্লাহ এখন পরিবার নিয়ে সুস্থ এবং ভালো রেখেছেন, এখন শান্তির ঘুমও হয় রাতে! আল্লাহ সবাইকে বিভিন্ন রকম বিপদ, কষ্ট, প্যারা, কেইস, অশান্তি এবং অসংলগ্ন কথা থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন, আমীন।'


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রবাসফেরত এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে রাত কাটাতে গিয়ে মহরম আলী (৩২) নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে জনতা। এসময় স্থানীয় জনতা আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দিয়ে দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নারীসহ আওয়ামী লীগ নেতা নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মহরম আলী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভায়াট গ্রামের রাঙ্গা, নজরুল ইসলাম ও আলামিন হোসেনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহরম আলীর প্রবাসফেরত ওই নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে গেলে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেন। এ সময় গ্রামের লোকজন গিয়ে ওই নারীর ঘরে তাকে আটক করে রাখেন। পরে ভোর রাত ৩টার দিকে তাদের উভয়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ৪ লক্ষ টাকা দেন মোহরানায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। 

উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সরকার জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি মহারম আলী প্রবাসফেরত ওই নারীর কাছে প্রায়ই যাতায়াত করতেন। রাতে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে আটক করে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়রা আরো জানান, এর আগেও মহরম আলীর একাধিক নারীর সঙ্গে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া তার আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহরম আলী বলেন, ঘটনার দিন অসহায় ওই নারীর বাড়িতে এসে তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছিলাম। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে আমাকে আটক করা হয়েছে।


দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে শপথ পড়িয়েছেন, সেই ডায়াসের পোডিয়ামে মুজিববর্ষ বানান-ই ভুল ছিল! সেখানে মুজিববর্ষের জায়গায় লেখা হয়েছে মুজিবর্ষ! একটি ঐতিহাসিক জাতীয় অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের এটি নজরে পড়েনি। দায়িত্বরতদের খামখেয়ালিপনায় সারা বিশ্ব দেখল বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতার বিকৃত নাম!

জাতির পিতার নামের এমন বিকৃতির ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র সমালোচনা চলছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— এমন জাতীয় অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির দায়িত্বশীলতা নিয়ে।  

সেই বানান ভুলের ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। শুক্রবার কমিটির মিডিয়া কনসালট্যান্ট আসিফ কবীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে— পোডিয়ামের বানান ভ্রান্তিটির প্রাথমিক খোঁজখবরে যা জানতে পেরেছি, তা হলো— আমরা একটি চিপ-এ পিসি থেকে ট্রান্সফার করে এলইটি মিনি মনিটরে লেখাটি উৎকীর্ণ করেছি। ডিভাইস ট্রান্সফারের কোনো পর্যায়ে একটি ‘ব’ অক্ষর অমিট হয়ে গেছে। আমরা পিসিতে চেক করে দেখেছি এটি ঠিকই আছে। অ্যাডভান্স টেকনোলজির বিষয়টি হয়তো স্যুট করেনি। পোডিয়ামে সংযুক্ত এলইডিতে লেখাটি পরিস্ফুটন করা হয়েছিল। পোডিয়ামের মনিটরেই আমরা ত্রুটিপূর্ণ বানান দেখতে পাই। এমন প্রাযুক্তিক গোলমাল দৃষ্টিতে আসার পরপরই নামাজের বিরতিতে ত্রুটি সারাই করা হয় এলইডি মাধ্যমটি পরিবর্তন করে।
১৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এর পরই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই জাতিকে শপথ করাতে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

বিকাল পৌনে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থেকে শপথবাক্য পাঠ করান। দেশের সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গণমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শপথের ছবি প্রকাশ হওয়ার পরই বানান ভুলের বিষয়টি সবার চোখে পড়ে। প্রশ্ন তোলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনেকেই।

জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের মাইলফলকে এসে উঠে দাঁড়াল বাংলাদেশ;  নেতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে শপথ নিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকীতে জাতিকে শপথ করালেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শহীদের রক্ত এ জাতি ‘বৃথা যেতে দেবে না’। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষের এই আয়োজনে এই শপথ অনুষ্ঠান যখন চলছিল, শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন তার বোন, বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানা।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শপথ গ্রহণ করেন।

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে আটটি বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেয় এ শপথ অনুষ্ঠানে।


বর্ণিল আয়োজনে উপস্থিত সবাইকে সঙ্গী করে শপথবাক্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।


“আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব।

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।"

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বছরে এসেছে তার আজীন সংগ্রামে গড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণ।

বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দু’দিনের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

এ আয়োজনে দেশবাসীর সঙ্গী হয়েছেন রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের সহযোগী প্রতিবেশী ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দও।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দক্ষিণ প্লাজার অনুষ্ঠানস্থলে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে মঞ্চে স্বাগত জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

শপথমঞ্চে এসে শেখ হাসিনা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে; ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের প্রতি জানান শ্রদ্ধা; মুক্তিযোদ্ধদের জানান সশ্রদ্ধ সালাম।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত বাবা শেখ মুজিবুর রহমান, মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও তার স্ত্রী সুলতানা কামাল, আরেক ভাই মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও তার স্ত্রী পারভীন জামাল, ছোট ভাই ১০ বছরের শেখ রাসেল, চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, মিলিটারি সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জামিল উদ্দিন এবং পুলিশ কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি স্মরণ করেন যুবনেতা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, কৃষকনেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবত, তার দশ বছরের ছেলে আরিফ, ১৩ বছরের মেয়ে বেবি, চার বছরের নাতি সুকান্ত, ভ্রাতুস্পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সেরনিয়াবত, ভাগ্নে রেন্টুসহ সেদিন নিহত ১৮ জনের কথা।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘাতকের হাতে নিহত চার জাতীয় নেতা - সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রতিও তিনি শ্রদ্ধা জানান। 

শেখ হাসিনা বলেন, “গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছে, তাদেরকেও আমি স্মরণ করি। যারা নির্যাতিত-নিপীড়িত তাদের শ্রদ্ধা জানাই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা অর্জন করি। দীর্ঘ ২৪ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”

শপথের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় স্বাধীনতার পথে বাঙালির দীর্ঘ পথ পরিক্রমার ইতিহার তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বাঙালি জাতি পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করবে এটা পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান মেনে নিতে পারেনি। তাই বাঙালিদের ওপর শুরু করে নিপীড়ন-নির্যাতন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলাদেশের মানুষকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে বলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতি জেলা, মহকুমা, থানা, গ্রামে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন। অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

তার ভাষণে তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” 

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্থানে আক্রমণ করে গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে রাতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

“তিনি বলেন: ‘ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা। আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও। সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ কর। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ শত্রুটিকে বাংলার মাটি হতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও’।”

বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতার ঘোষণা পিলখানার ইপিআর হেডকোয়ার্টার থেকে সারা দেশে পাঠানো হয়। ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ করেন। এরপর একে একে অন্যান্য নেতারা এই ঘোষণা পাঠ করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকাতেও প্রচারিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, “বাঙালিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ মোতাবেক যাঁর যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের পাশে দাঁড়ায় প্রতিবেশী ভারত, রাশিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশ ও সেসব দেশের জনগণ। মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে আমরা পরাজিত করি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের বিজয়।”

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসুন আমরা বাংলাদেশের বিজয়ের এই সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং মুজিববর্ষে শপথ গ্রহণ করব, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা এবং বিশ্বসভায় উন্নত সমৃদ্ধ বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলার জন্য আমরা শপথ নেব।”

সবাইকে নিয়ে শপথ পাঠ করে  সকল মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। শপথ শেষ করেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক সংগঠন ’সুরের ধারা ও হাল আমলের শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের আরেকটি নাম মুজিবর’ গানের মধ্য দিয়ে শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়।



যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে র‌্যাবের ভূমিকাকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, র‌্যাবের ভূমিকায় বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে। র‌্যাব ও এর সাবেক ও বর্তমান সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় এক সপ্তাহ পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত ও গ্রেপ্তার বেড়েছে, কমেছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’

প্রতিবেদনটি দেখতে : https://www.state.gov/reports/country-reports-on-terrorism-2020/bangladesh/

প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, ‘‘২০২০ সালজুড়ে র‌্যাব এবং ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসিইউ)’ কমিউনিটি পুলিশি কার্যক্রম ও সন্দেহভাজন বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উগ্রবাদ মোকাবিলা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করে।’'

ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে তিনটি সুনির্দিষ্ট সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বাংলাদেশে। ওই হামলাগুলোতে কারও মৃত্যু হয়নি। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইএসের মতো আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অর্থবহ যোগাযোগ থাকার তথ্য নাকচ করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় সহায়তার দায়ে ২০১৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে তাদের আপিল আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
সীমান্ত ও প্রবেশ মুখগুলোতে নিয়ন্ত্রণ জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত বিস্ফোরক শনাক্তকারী কে৯ দল ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত। কিন্তু বিমানবন্দরে তাদের কোনো স্থায়ী উপস্থিতি নেই।

প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের নিবিড় সহযোগিতার কথা উল্লেখ আছে। তবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিষয়ক কোনো সতর্ক ব্যবস্থা নেই বলে এতে উল্লেখ করা হয়।


তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। 

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন তাকে বিদায়ী অভ্যর্থনা জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ঢাকা ত্যাগের আগে শুক্রবার সকালে তিনি ঢাকার রমনায় কালীমন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন করেন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করেন।

বিজয়ের শতবর্ষ, মুজিববর্ষ উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বুধবার ঢাকা সফরে আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।  রাষ্ট্রীয় এ সফরে ভারতের ফার্স্টলেডি এবং রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, একজন সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন।

সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজে অংশ নেন ও বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বক্তব্য দেন।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget