Latest Post


অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন বিরাট কোহলি।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই এ সংস্করণে ভারত জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। কিন্তু ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বও যে ছাড়তে হবে তাঁকে, তা কি তিনি জানতেন! কোহলি যে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি!

গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণার পাশাপাশি একটি ‘বোমা’ ফাটায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। টি–টোয়েন্টির পাশাপাশি ভারত ওয়ানডে দলেরও অধিনায়কত্ব করবেন রোহিত শর্মা।


ব্যস, শুরু হয় বিতর্ক। রোহিত–কোহলি সম্পর্কে পুরোনো ফাটল এবং বোর্ডের সঙ্গে কোহলির বিরোধ নিয়ে শুরু হয় নতুন গুঞ্জন। এত দিন এসব নিয়ে চুপ করে থাকা কোহলি আজ সংবাদ সম্মেলনে তির ছুড়লেন বোর্ডের দিকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য টেস্ট দল ঘোষণার দেড় ঘণ্টা আগে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয় তাঁকে—এমন দাবিই করেছেন কোহলি।


গত ১৬ সেপ্টেম্বর টি–টোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন কোহলি। বলেছিলেন, টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়বেন। তারপর থেকে ৮ ডিসেম্বর (যেদিন টেস্ট দল ঘোষণা হলো) পর্যন্ত ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে কোহলির সঙ্গে কোনো আলোচনাই নাকি করেনি বিসিসিআই।

সংবাদ সম্মেলনে কোহলি তা-ই বললেন, ‘৮ ডিসেম্বর টেস্ট সিরিজের জন্য নির্বাচকদের বসার দেড় ঘণ্টা আগে (ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে) আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নির্বাচকদের ফোন পাওয়ার আগে আমার সঙ্গে টি–টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণার দিন থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’

ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর ঘোষণা তাঁকে কীভাবে জানানো হয়েছিল, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন কোহলি, ‘প্রধান নির্বাচক (চেতন শর্মা) আমার সঙ্গে টেস্ট দল নিয়ে কথা বলেন। আমরা সে বিষয়ে একমত হই। ফোন রাখার আগে তিনি জানান, আমাকে আর ওয়ানডে অধিনায়ক পদে রাখা হবে না। পাঁচ নির্বাচক মিলেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন।’

জবাবে কোহলির প্রতিক্রিয়া কী ছিল? ভারতের টেস্ট অধিনায়ক সেটিও জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে, ‘আমি বলি, “ঠিক আছে।” তার আগে এ নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।

৭:৫৮ AM


যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। যদিও তার পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছেন।

শাকিবের নতুন সিনেমা ‘গলুই’-এর প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শাকিব যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন। যে কারণে তাকে ছয় মাস সেখানে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে এক মাস হয়েছে।’

শাকিবের টানা কয়েক মাস যুক্তরাষ্ট্রে থাকার খবর প্রকাশ্যে আসতেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সেখানে তার স্থায়ী হওয়ার বিষয়টি। জানা গেছে, একজন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নেপালি আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেছেন কিং খান।

গত নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যান শাকিব খান। কথা ছিল, সেখানে দুটো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এবং কিছু দিন অবকাশ যাপন করে ডিসেম্বরেই ফিরে আসবেন তিনি। কিন্তু দিন দুয়েক আগে জানা যায়, সহসাই ফিরছেন না এ নায়ক।

যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই সিনেমা করার ঘোষণা দিয়েছেন শাকিব। আগামী জানুয়ারিতে শুটিং শুরু হবে। টানা চিত্রায়ন শেষে আসন্ন ঈদেই আন্তর্জাতিকভাবে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এটি পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ।


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে নতুন আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার দেশ তা খতিয়ে দেখছে।

মালয়েশিয়া সফরে এসে বুধবার তিনি এ কথা বলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে টালমাটাল সময় পার করছে।

দেশটির রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও জোটের অনেক সদস্যই আসিয়ানকে দেওয়া কথা বাস্তবায়নে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের শ্লথগতিতে বিরক্ত। এর ফলশ্রুতিতে জোটের সর্বশেষ বৈঠকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধানকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।

“দেশটিকে ফের গণতান্ত্রিক পথে ফেরাতে আসছে সপ্তাহ ও মাসগুলোতে একক ও সম্মিলিতভাবে আর কী কী পদক্ষেপের মাধ্যমে মিয়ানমারের শাসকদের চাপে রাখা যায়, তা বের করা গুরুত্বপূর্ণ,” বলেছেন ব্লিনকেন। 

মার্কিন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তাকে ‘গণহত্যা’ বলা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা অনেক দেশ এরই মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা নাম ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।

মালয়েশিয়া সফরে নেমে ব্লিনকেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নেতাদেরকে একটি সম্মেলনে ডেকেছেন।

“আগামী বছর আসিয়ানের সঙ্গে বিশেষ একটি সম্মেলন করার দিকে তাকিয়ে আছি আমরা,” বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯ জানুয়ারি এক বৈঠকে বাইডেনের আমন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করবেন। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


হংকংয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নামে একটি সুউচ্চ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভবনটির ছাদে ও অন্যান্য অংশে আটকা পড়েছেন তিন শতাধিক মানুষ।

আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে হংকংয়ের কজওয়ে বে এলাকার গ্লৌসেস্টার রোডে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৩৮ তলা ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  

ভবনে আটকা পড়াদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে দমকল বাহিনীর কর্মীরা। এরইমধ্যে ষাটোর্ধ্ব একজন বৃদ্ধাকে অর্ধ-চেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ। আগুন লাগার কারণে তিনি ঠিকমতো শ্বাস নিতে না পারায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।


হংকং প্রশাসনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দু’টি ওয়াটার জেটের মাধ্যমে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ভবনটিতে বিভিন্ন দোকানের ক্রেতা এবং দুপুরের খাবারের জন্য রেস্টুরেন্টে যাওয়া ব্যক্তিরাও আটকা পড়েছেন। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য-প্রমাণে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ও ছড়ানোর বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ টিকা কম কার্যকর হতে পারে। বুধবার সংস্থাটি আরও বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্টে পুনরায় সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

মহামারি নিয়ে সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্যে ডব্লিউএইচও জানায়, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট টিকা বা আক্রান্ত হওয়ার কারণে সৃষ্ট ইমিউনিটি কেমন মাত্রায় ভেদ করতে পারে তা নিশ্চিতভাবে জানার জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন।

এতে বলা হয়েছে, এর ফলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সামগ্রিক ঝুঁকি অনেক বেশি রয়ে গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার সংস্থাটির কর্মকর্তারাও অনলাইন ব্রিফিংয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।


গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রণ ধরন শনাক্ত হয়। সোমবার এই ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাজ্যে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি তথ্য মতে, বিশ্বের ৭৭টি এখন পর্যন্ত ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। আর এই তালিকা প্রতিদিনই বড় হচ্ছে। তবে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উপস্থিতি রয়েছে বলে ধারণার কথা জানিয়েছেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, পূর্বে যেই ভ্যারিয়েন্টেগুলো দেখা গেছে ওমিক্রনের মতো এত দ্রুত ছড়াতে দেখিনি। এদিকে, ভ্যাকসিন বৈষম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি। বুস্টারের বিষয়ে বলেন, এটি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বুস্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু অগ্রাধিকারভিত্তিতে।


বিরাট কোহলিকে ভারতের ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে দেশটিতে এখনও সমালোচনা চলছে। কিছু গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, কোহলি নেতৃত্ব ছাড়তে রাজি ছিলেন না এবং বোর্ডের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটিও হয়েছে। অন্যদিকে বোর্ড বলছে, তারা সাদা বলে দুই অধিনায়ক চান না। তাই টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে। শুধু লাল বলে নেতৃত্ব দেবেন কোহলি। বিষয়টি নিয়ে এবার ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর মুখ খুললেন।

কোহলিকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে যে ডামাডোল চলছে তা নিয়ে মোটেও খুশি নন অনুরাগ। তিনি কোনো ব্যক্তির নাম না নিলেও কোহলিদের প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন। কোহলি ও রোহিতকে নিয়ে অনুরাগকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'খেলা সবচেয়ে বড়। খেলার ঊর্ধ্বে কেউ নন। কোন ম্যাচে কোন খেলোয়াড়দের মধ্যে কী চলছে তা আমি আপনাদের বলতে পারব না। এটা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কাজ। যদি তারা সেই খবর জানান তাহলে ভালো হবে।'

ভারতীয় গণমাধ্যমে আরও গুঞ্জন চলছে যে, আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নাকি ওয়ানডে খেলবেন না কোহলি। মেয়ের জন্মদিন থাকায় তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। বিসিসিআইয়ের কাছে নাকি সেই অনুরোধও করেছেন। যদিও পরে শোনা যায়, কোহলি নাকি এই রকমের কোনো অনুরোধ করেননি। তার মধ্যেই ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন জানান, কোহলি খেলবেন না বলে আবেদন করেছেন। অবশ্য কোহলি নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে সফরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে জল্পনার অবসান ঘটান।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যুর ঘটনায় ডিএমপির বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহতের বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বলেন, মেঘলার বাবা গতকাল রাতে বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ইলমা আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে ইফতেখার। তিনি পুলিশকে বলেন, ‘ইলমা আবেগী ছিল, সে আত্মহত্যা করেছে।’

এদিকে, ইলমার বাবা সাইফুলের অভিযোগ, ইলমার নাকে, ওপরের ঠোঁটে, পিঠের ডান পাশে, বাঁ কানসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন পেয়েছে তিনি। 

পুলিশ জানায়, ইলমার শরীরের দাগ নিয়ে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, ‘গত (সোমবার) রাতে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় একটু ধস্তাধস্তি হয়েছিল। এটি তেমন কোনো বিষয় নয়। ধস্তাধস্তিতে সে ব্যথা পেতে পারে। তাই শরীরে কালো দাগ হয়েছে।’

ইলমাম বাবার করা মামলায় আসামিরা হলেন- মেঘলার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, শ্বশুর ও শাশুড়ি। এ মামলায় মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) আটক হওয়া মেঘলার স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বনানীতে স্বামীর বাসায় মেঘলার মৃত্যু হয়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটাকে আত্মহত্যা বললেও মেঘলার পরিবার একে হত্যা বলছেন।


র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট এন্থনি ব্লিনকেনের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ঢাকাকে জানানো হয়, ‘এন্থনি ব্লিনকেন আলাপ করতে চান’। এরপর সন্ধ্যায় দুই মন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপ হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে’।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সুসম্পর্ক এবং আগামী বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির বিষয়ে দুজনই একমত পোষণ করেন।’

নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে একাধিক বৈঠক হয়ে থাকে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ফোরাম হচ্ছে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে পার্টনারশিপ ডায়ালগ। পার্টনারশিপ ডায়ালগ ছাড়াও বিভিন্ন বৈঠকে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। তারা যেসব বিষয়ে জানতে চায় সেটির উত্তর দেওয়া হয়’। এরপরও এ ধরনের এককভাবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে বৈঠকগুলো হয়নি। শিগগিরই বৈঠকগুলো হবে বলে দুপক্ষ একমত।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব ও এর সাত জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরের দিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরের মাঠে ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ (Ashes 2021-22) ধরে রাখার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের ঐতিহ্যবাহী টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টেই দুরন্ত জয় পেয়েছে প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) ক্যাঙারু বাহিনী। ব্রিসবেনের গাবায় ৯ উইকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৬ ডিসেম্বর থেকে। অ্যাডিলেড ওভালে গোলাপি বলের দিন-রাতের টেস্ট। তার আগেই বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। চোটের জন্য ছিটকে গেলেন কামিন্সের দলের তারকা জোরে বোলার জোশ হ্যাজেলউড (Josh Hazlewood)।

হ্যাজেলউড বাকি দলের সঙ্গে ব্রিসবেন থেকে অ্যাডিলেডে যাননি। স্ক্যান করানোর জন্য গিয়েছেন সিডনিতে। স্ক্যান রিপোর্ট বলছে যে হ্যাজেলউডের হাল্কা টান ধরেছে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এই কারণেই অস্ট্রেলিয়া ৩০ বছরের ফাস্ট বোলারকে অ্যাডিলেডে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হ্যাজেলউড কিন্তু দিন-রাতের টেস্টে একাই ফারক গড়ে দিতে পারেন। এখনও পর্যন্ত গোলাপি বলে ৭টি টেস্ট খেলে তিনি ৩২টি উইকেট নিয়েছেন। ফলে হ্যাজেলউডকে না পাওয়াটা এক প্রকার সেটব্যাক অস্ট্রেলিয়ার জন্য। হ্যাজেলউডের পরিবর্তে জাই রিচার্ডসন (Jhye Richardson) বা মাইকেল নেসার (Michael Neser) দলে ঢোকার দৌড়ে রয়েছেন। রিচার্ডসন শেফিল্ড শিল্ডে (Sheffield Shield) ১৩.৪৩ এর গড়ে ২৩ উইকেট নেন। অন্য়দিকে নেসার ইংল্যান্ড লায়নসের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ২৯ রানের বদলে ৫ উইকেট নেন।

অন্যদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (Cricket Australia) জানিয়ে দিয়েছে যে, পার্থে (Perth) নয়  হোবার্টের (Hobart) বেলেরিভ ওভালে (Bellerive Oval) হবে চলতি অ্যাশেজের (Ashes 2021-22) পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট। আগামী ১৪-১৮ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র তাসমানিয়া দেখবে অ্যাশেজের দ্বিতীয় দিন-রাতের টেস্ট। অ্যাডিলেড ওভালের পর হোবার্টে গোলাপি বলের দ্বিতীয় দিন-রাতের টেস্ট।

অ্যাশেজ (Ashes 2021-22) পুরো সূচি:

প্রথম টেস্ট:  ডিসেম্বর ৮-১২, গাবা, ব্রিসবেন (৯ উইকেটে জয়ী অস্ট্রেলিয়া)
দ্বিতীয় টেস্ট: ডিসেম্বর ১৬-২০, অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড (দিন-রাতের গোলাপি বলের টেস্ট)
তৃতীয় টেস্ট:  ডিসেম্বর ২৬-৩০, এমসিজি, মেলবোর্ন
চতুর্থ টেস্ট:   জানুয়ারি ৫-৯, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সিডনি

পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট: জানুয়ারি ১৪-১৮, বেলেরিভ ওভাল, হোবার্ট 


১০০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ২৪টি শতরানও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। গুজরাত দলের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছিল তিনশো রানের ইনিংসও। কিন্তু ভারতীয় দলে ডাক পেলেন প্রায় ৩২ বছর বয়সে। প্রিয়ঙ্ক পঞ্চাল নিজেই অবাক হঠাৎ বিরাট সংসারে ঢুকতে পেরে।


রোহিত শর্মার চোট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলবেন না তিনি। বিরাট কোহলীর নেতৃত্বে সেই সফরে ওপেনার হিসেবে রোহিতের বদলে দলে নেওয়া হল প্রিয়ঙ্ককে। টুইট করে গুজরাতের ওপেনার লেখেন, ‘আমাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। ভারতীয় দলের জার্সি পরতে পারব বলে গর্বিত। আমার উপর ভরসা দেখানোর জন্য ধন্যবাদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। সিরিজ নিয়ে আশাবাদী।’


ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্ক। বেসরকারি টেস্টে ৯৪ রানের ইনিংসও খেলেছেন তিনি। তবে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার কোনও আশা ছিল না। ফিরে এসেছিলেন দেশে। এমন সময় হঠাৎ ভারতীয় দলের দরজা খুলে গেল তাঁর সামনে। প্রিয়ঙ্ক বলেন, “তিন দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছি। এখনও ব্যাগ থেকে সব জিনিস বার করতে পারিনি। তার আগেই মুম্বইয়ে দলের সঙ্গে জৈবদুর্গে ঢুকতে হচ্ছে।” এই ডাকের অপেক্ষাতেই ছিলেন প্রিয়ঙ্ক। তিনি বলেন, “শেষ কয়েক বছর গুজরাত এবং ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ভাল ছন্দে রয়েছি। ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে অপেক্ষা করছিলাম। তবে এ বার ডাক পাওয়ার আশা করিনি। এটা আমাকে অবাক করে দিয়েছে।”

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭০১১ রান করেও ভারতীয় দলে জায়গা না পাওয়ায় তিনি যে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তা জানাতে দ্বিধা করেননি প্রিয়ঙ্ক। তিনি বলেন, “রান করেও দলে জায়গা না পাওয়ায় আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে আমি সব সময় ভাবতে থাকি ব্যাটার হিসেবে কী খামতি রয়েছে? ভারতের হয়ে খেলতে হলে সব কিছু ঢেকে ফেলতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার জন্য কী কী প্রয়োজন? আমার সব পরিশ্রমের ফল এত দিনে পেলাম।”

রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণে ভারত ‘এ’ দলে খেলেছেন প্রিয়ঙ্ক। এ বার ডাক এল ভারতীয় দলে। দ্রাবিড়ের একটি কথা এখনও মাথায় রেখে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্ক। তিনি বলেন, “প্রথম বার যখন ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক হলাম, আমি খুব উৎফুল্ল ছিলাম। দ্রাবিড় স্যর আমাকে বলেন, ‘নিজের সাধারণ খেলাটা খেলো। তোমার ক্ষমতা রয়েছে, সেই জন্যই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তোমাকে।’ এই কথাগুলো আমাকে খুব সাহায্য করেছে।”

রোহিত না থাকলেও প্রিয়ঙ্কের প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া নিশ্চিত নয়। লোকেশ রাহুল এবং ময়াঙ্ক আগরওয়াল দলে রয়েছেন। তাঁরাই কোহলীদের প্রথম পছন্দ হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।


অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আফগানিস্তানের থমকে থাকা ক্রিকেটীয় সম্পর্ক গতি পেতে যাচ্ছে। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে তালেবান শাসনে থাকা দেশটি।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর ‘সবার জন্য খেলা’ নীতিতে বিশ্বাসী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল, তালেবান সরকার আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেট সমর্থন না করলে আফগান ছেলেদের বিপক্ষেও খেলবে না তারা। বাতিল হয়ে যায় একমাত্র টেস্ট।
সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন জানান, আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখতে চান না তিনি। তাতে অবশ‍্য কান দেয়নি আইসিসি। তবে টুর্নামেন্ট শেষেই একটি কমিটি করে দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে সেই কমিটি।
এর মধ‍্যেই মঙ্গলবার আগামী দুই বছরের জন্য ভবিষ্যৎ সূচি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১টি ওয়ানডে, ৪টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি টেস্ট সিরিজ খেলবে আফগানরা।
এর মধ‍্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম মুখোমুখি হবে দেশ দুটি। ওয়ানডে সিরিজ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ।
২০২৩ সালের মার্চ-এপ্রিলে দুই দল খেলবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দুটি সিরিজের আয়োজকই আফগানিস্তান। এখন পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডেতে দেখা হয়েছে দুই দলের। ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ছাড়া দুই দল একটি ওয়ানডে খেলেছিল ২০১২ সালে।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এরই মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছে আফগানিস্তান। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে তারা। আগামী মার্চে তিন ওয়ানডের সিরিজটি হবে ভারতের মাটিতে। এটি সুপার লিগের অংশ।
আফগানদের নতুন সূচি শুরু হবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। আগামী জানুয়ারিতে স্বাগতিক হিসেবে সিরিজটি খেলবে তারা। এরপর তারা জিম্বাবুয়েতে যাবে তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে।
আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচি অনুযায়ীই আছে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজ। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশে হবে সাদা বলের সিরিজ দুটি।
আফগানদের দুটি টেস্ট সিরিজের প্রথমটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। একটি টেস্টের সঙ্গে পাঁচ ওয়ানডে খেলতে জুলাই-অগাস্টে আয়ারল্যান্ডে যাবে তারা।
বছরের শেষ দিকে আবার জিম্বাবুয়েতে যাবে তারা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাঁচ ওয়ানডে ও দুটি করে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলবে দল দুটি।
আগামী দুই বছরে আছে দুটি এশিয়া কাপ, একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টগুলো ছাড়াও এই সময়ে মোট ৫২ ম্যাচ খেলবে আফগানরা। যার মধ্যে নিজেরা আয়োজন করবে ১৮টি, আর ৩৪টি খেলবে প্রতিপক্ষের মাটিতে।


আগামী বছর ভারতের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ খেলতে আসছে আফগানিস্তান। মার্চ মাসে ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ খেলবেন রশিদ খানরা। কোথায় সেই ম্যাচগুলি হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তান বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

২০২২ ও ২০২৩ সালের ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে আফগানিস্তান। শাকিব আল হাসানদের বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচ ও দু’টি টি২০ খেলবে তারা। তার পরে সেখান থেকে সরাসরি ভারতে চলে আসবে দল।



আগামী বছর ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও নেদারল্যান্ডস, জিম্বাবোয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান। তার মধ্যে নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবেন রশিদরা। এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলি ছাড়াও আগামী বছর এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপ রয়েছে।.

২০২২ ও ২০২৩ সালে মোট ৫২টি ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান। তার মধ্যে ৩৭টি এক দিনের ম্যাচ, ১২টি টি২০ ও তিনটি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট খেলবে আফগানিস্তান। ২০২৩ সালেও এশিয়া কাপ ও এক দিনের বিশ্বকাপ খেলবেন রশিদরা।





অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলীর ট্রফি নেই। রোহিত শর্মার রয়েছে। এক দিনের ক্রিকেটে মুম্বইকরকে নতুন অধিনায়ক করার পিছনে এটাও একটা কারণ বলে উল্লেখ করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, বোর্ড সভাপতির কথা মোটেও অমূলক নয়।

দেশের জার্সিতে দলকে এশিয়া কাপ, নিদাহাস ট্রফি জিতিয়েছেন রোহিত। তিনি নিজেও সেই ম্যাচে ভাল খেলেছিলেন। ২০১৭ থেকে কোহলীর অনুপস্থিতিতে মাঝে মাঝেই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। কোহলীর মতো ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে রোহিতের সাফল্যের পরিসংখ্যান রীতিমতো ঈর্ষণীয়।

দেখা যাচ্ছে, দেশের জার্সিতে এক দিনের ক্রিকেটে দলকে মোট ১০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। জিতেছেন ৮টি ম্যাচে। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। তার মধ্যে মোহালিতে একটি ম্যাচে অপরাজিত ২০৮ রান করেছিলেন তিনি। দু’টি করে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে ভারতীয় দলকে ট্রফি জেতান তিনি। সে বার পাকিস্তানকে দু’টি সাক্ষাতেই হারিয়েছিল ভারত। দুবাইয়ে ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি জেতে তারা। ১০ ম্যাচে রোহিতের রান ৫৪৩।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রেকর্ড আরও ভাল। ২২টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। জিতেছেন ১৮টি ম্যাচে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বাধিক ৭টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৬টি এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২২ ম্যাচে তাঁর রান ৮৭১। এই ফরম্যাটে ভারতকে নিদাহাস ট্রফি জিতিয়েছেন তিনি।


অন্য দিকে, কোহলী ৯৫টি এক দিনের ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ৬৫টি ম্যাচে জিতেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ৫০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৩০টি ম্যাচে জিতেছেন। দু’টি ফরম্যাটেই দেশকে কোনও ট্রফি দিতে পারেননি তিনি। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারে। ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে বিদায় নিতে হয় নিউজিল্যান্ডের কাছে। অর্থাৎ পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক থেকেও তিনি দেশকে কোনও ট্রফি দিতে পারেননি। শুধু তাই নয়, আইপিএল-এও তাঁকে বার বার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। রোহিত সেখানে পাঁচ বারের আইপিএল জয়ী।

দু’জনের তুলনা করতে গিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, “নির্বাচকদের আশা অধিনায়ক হিসাবে সাফল্য পাবে রোহিত। সেই কারণেই নির্বাচকরা ওর উপর ভরসা রেখেছে। আমি আশা করছি কী ভাবে দল সাফল্য পাবে সেই রাস্তা খুঁজে বার করবে রোহিত। আইপিএল-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে রোহিতের রেকর্ড দুর্দান্ত। পাঁচ বার ট্রফি জিতেছে। কয়েক বছর আগে এশিয়া কাপে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছিল। কোহলীকে ছাড়াই ভারত জিতেছিল। কোহলীকে ছাড়া ভারতের জয় মানে বুঝতে হবে দলের শক্তি কতটা। বড় প্রতিযোগিতায় রোহিত সফল। ও একটা ভাল দল পেয়েছে। তাই আশা করছি দল ভাল খেলবে।”

তার আগে সৌরভ অপর একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “এই (কোহলীকে সরানোর) সিদ্ধান্ত বোর্ড এবং নির্বাচকদের তরফে যৌথ ভাবে নেওয়া হয়েছে। বোর্ড এর আগে কোহলীকে অনুরোধ করেছিল টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে না সরতে। কোহলী রাজি হয়নি। এরপরেই নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নেন, দু’টি সাদা বলের ফরম্যাটে দু’জন আলাদা অধিনায়ক রাখার অর্থ নেই। তাই ঠিক করা হয় কোহলীকে টেস্ট অধিনায়ক রাখা হবে এবং সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবে রোহিত। আমি নিজে সভাপতি হিসেবে ব্যক্তিগত ভাবে কোহলীর সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানও ওর সঙ্গে কথা বলেছেন।”

কোহলীকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোয় অনেকেই বোর্ডের পক্ষে এবং বিপক্ষে মুখ খুলেছেন। সৌরভের উদ্দেশে তোপ দেগে কোহলীর ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা বলেন, “সৌরভের মন্তব্য আমি পড়েছি। ও নাকি কোহলীকে বলেছিল (বিশ্বকাপের আগে) টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে ইস্তফা না দিতে। আমি এ রকম কিছু শুনেছি বলে মনে করতে পারছি না। ওর এই কথা আমাকে অবাক করেছে। এমনিতে চারদিকে বিভিন্ন মন্তব্যই উড়ে বেড়াচ্ছে।”

ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো বার্তায় পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সলমন বাট বলেন, “বিসিসিআই চায়নি কোহলী টি২০-র অধিনায়কত্ব ছাড়ুক। কিন্তু তার মানে এই নয় সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ক থাকতে পারবে না। সব থেকে ভাল হত যদি কোহলীকে এক দিনের অধিনায়ক রেখে রোহিত শর্মাকে শুধু টি২০-র দায়িত্ব দেওয়া হত।”

প্রাক্তন কোচ মদন লালও ছিলেন কোহলীর পক্ষে। তিনি বলেছিলেন, “জানি না ওরা (নির্বাচকরা) কী ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিল। যখন কোহলী ওদের কাঙ্ক্ষিত ফল এনে দিচ্ছে তখন ওকে সরানোর কী দরকার ছিল? টি-টোয়েন্টি থেকে ওর সরে যাওয়াটা বুঝতে পেরেছি। কারণ এখন এত ক্রিকেট খেলা হয় যে একসঙ্গে তিনটি ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু সফল হওয়ার পরেও যখন আপনাকে সরে যেতে হয় তখন আঘাত লাগবেই। ভেবেছিলাম ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোহলীকে রেখে দেওয়া হবে। কিন্তু একটা দলকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে না তো?”

বোর্ডের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন নির্বাচক দিলীপ বেঙ্গসরকর। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “টি২০ ও এক দিনের ক্রিকেটে রোহিতকে অধিনায়ক করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে বিসিসিআই। বেশ কয়েক বছর ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে ভাল খেলছে রোহিত। তাই এ বার ওর অধিনায়ক হওয়ার সময় এসেছে। আমার মনে হয় এটা খুব ভাল সিদ্ধান্ত।”

পাশাপাশি প্রাক্তন নির্বাচক সাবা করিম বলেছেন, “এটা বলা যেতেই পারে কোহলীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়ার সময় ও বলে দিয়েছিল টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্বের দিকে নজর দিতে চায়। এটার অর্থ একদিনের ক্রিকেটে ও অধিনায়ক থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ জিততে না পারার জন্যই অধিনায়কত্ব হারাতে হল কোহলীকে।”



লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সমর্থকেরা দিন গোণা শুরু করেছিলেন। আজ বিকাল ৫টায় চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর ড্রয়ে দুই তারকার ক্লাবের মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু উয়েফা পরে জানায়, কারিগরি ত্রুটির কারণে শেষ ষোলোর ড্র নতুন করে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় নতুন এই ড্র শুরু হয়।

রাশিয়ান তারকা আন্দ্রেই আরশাভিন আগের মতোই ড্র অনুষ্ঠানে এসে ক্লাবগুলোর ভাগ্য নির্ধারন করেন। আগের ড্রয়ে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মুখোমুখি হতে হতো আতলেতিকো মাদ্রিদকে। নতুন ড্রয়ে ভাগ্য প্রসন্ন হয়নি দলটির। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হতে হবে মাদ্রিদের ক্লাবটিকে।

বেঁচে গেছে ভিয়ারিয়ালও। স্প্যানিশ ক্লাবটির প্রতিপক্ষ ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু নতুন ড্রয়ে ইংলিশ জায়ান্টদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন। আরেক পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার প্রতিও ভাগ্য প্রসন্ন হয়। নতুন ড্রয়ে আয়াক্সকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বেনফিকা। আগের ড্রয়ে বেনফিকাকে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হতে হতো।

পিএসজিকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হতে হবে মেসিকে
পিএসজিকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হতে হবে মেসিকে

তবে চেলসির ভাগ্য পাল্টায়নি। ফরাসি ক্লাব লিলের মুখোমুখি হবে ইংলিশ ক্লাবটি। আগের ড্রয়েও লিলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল টমাস টুখেলের দল। তবে কপাল পুড়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। মাদ্রিদের ক্লাবটির প্রতিপক্ষ ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি। অর্থাৎ মেসি–নেইমারদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছেন করিম বেনজেমা–ভিনিসিয়ুসরা।


আতলেতিকো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে পারে। পর্তুগিজ তারকার বেশ প্রিয় প্রতিপক্ষ আতলেতিকো। সিমিওনের দলের বিপক্ষে তিনটি হ্যাটট্রিক আছে রোনালদোর।


ভিয়ারিয়াল নতুন ড্রয়ে সহজ প্রতিপক্ষ পায়নি। আগের ড্রয়ে পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। নতুন ড্রয়ে ভিয়ারিয়াল মুখোমুখি হবে জুভেন্টাসের।


কপাল পুড়েছে লিভারপুলেরও। আগের ড্রয়ে রেড বুল সালজবুর্গের মতো সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। কিন্তু নতুন ড্রয়ে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। সালজবুর্গকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।

ক্লাবগুলোর এই কপাল পোড়ার কারণ উয়েফার ‘কারিগরি ত্রুটি’। ঝামেলাটা হয়েছিল ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে কার খেলা হবে, সেটা নিশ্চিত করতে গিয়ে। ড্রতে ভিয়ারিয়ালের প্রতিপক্ষ হিসেবে নাম উঠে আসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। অথচ ড্রয়ের নিয়ম হলো, একই গ্রুপ থেকে উঠে আসা দলগুলো শেষ ষোলোতে মুখোমুখি হয় না।


সঙ্গে সঙ্গে ইউনাইটেডের নামটা ফেলে দিয়ে নতুন করে ড্র করা হয়েছিল। আর তাতে নাম উঠেছিল ম্যানচেস্টার সিটির। কিন্তু এতে একটা কথা উঠে গিয়েছিল। ড্রতে যেহেতু সম্ভাব্য দল হিসেবে ইউনাইটেডের নাম লুকানো বল টানার কথা না এবং একটি বল রেখে আসা হয়েছিল; তাহলে সম্ভাব্য অন্য কোনো প্রতিপক্ষের নাম বাদ পড়েছিল।


এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মাঝেই উয়েফা জানিয়ে দেয়, আবার নতুন করে ড্র অনুষ্ঠিত হবে। টুইটে উয়েফা জানায়, ‘বহিরাগত একটি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত একটি সফটওয়্যার কর্মকর্তাদের কোন দলের আর কোন কোন দলের সঙ্গে খেলার সম্ভাবনা আছে, সেটা জানায়। সফটওয়্যারের কারিগরি ত্রুটির কারণে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ড্রতে একটা ভুল হয়েছে। এর ফলে এই ড্র বাতিল বলে গণ্য হলো এবং স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় (বাংলাদেশ সময় রাত আটটা) আবার নতুন করে ড্র অনুষ্ঠিত হবে।’

।’

চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলো:

রেড বুল সালজবুর্গ–বায়ার্ন মিউনিখ

স্পোর্টিং লিসবন–ম্যানচেস্টার সিটি

বেনফিকা–আয়াক্স

চেলসি–লিল

আতলেতিকো মাদ্রিদ–ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

ভিয়ারিয়াল–জুভেন্টাস

ইন্টার মিলান–লিভারপুল

পিএসজি–রিয়াল মাদ্রিদ

শেষ ষোলোর প্রথম লেগ হবে ১৫/১৬/২২/২৩ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় লেগ হবে ৮/৯/১৫/১৬ মার্চ।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেওয়া কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।  মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি ক্ষমা চান।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বর্তমানে ভারতের একটি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  তার কিডনিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।  তার একটি বক্তব্য নিয়ে সম্প্রতি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।  এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে।  শরীয়তপুরে একটি মানহানির মামলায় আলালের বিরুদ্ধে সমনও জারি করা হয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আমি প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবন সংকটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।  আমার শরীরে একটি গুরুতর সার্জারি করা হয়েছে।  সংগত কারণেই সব দুঃসংবাদ থেকে পরিবার আমাকে দূরে রেখেছে।  তারপরও বিলম্বে আমি জেনেছি, অতীতে আমার একটি বক্তব্য বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। 

দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারো সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি।  তবুও মানুষ হিসেবে আমি তো ভুলের ঊর্ধ্বে নই। 

তাই বলছি আমার কোনো অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অনুভুতিতে, তাদের সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।  একই সঙ্গে উক্ত বক্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি।  ভালো থাকুক, আমার প্রিয় স্বদেশ, শান্তিপূর্ণ থাকুক বাংলাদেশ। 

খুলনায় সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী নাগরিক কমিটি আয়োজিত বাংলাদেশ ও শহিদ জিয়াউর রহমান শীর্ষক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।  যা বিএনপির ইউটিউব চ্যানেলসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচার হচ্ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

আর শরীয়তপুরে দায়ের হওয়া মানহানি মামলার বিবরণে বলা হয়, ফেসবুকের একটি ভিডিওতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যটি দেশের ও দেশের জনগণের জন্য মানহানিকর।


বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নজির আছে। অন্যান্য দেশও এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়। যেমন এবার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাব ও এর কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কেন এমন নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র?

সাধারণত কোন দেশ আরেকটি দেশকে বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এমন দেশ এরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যেসব দেশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত, বিনিয়োগ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে।

আবার নিষেধাজ্ঞা অনেক সময় এক দেশ আরেক দেশের ওপর প্রতিশোধ হিসেবে আরোপ করে।

যেমনটা রাশিয়া ২০১৪ সালে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে করেছিল।

ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মরটিজ পিয়েপার বিবিসিকে বলেছেন, "আপনি একটি দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন কারণ আপনি ঐ দেশটির আচরণে পরিবর্তন দেখতে চান"।

বিষয়টা হলো, "ঐ দেশের নাগরিক তার নিজ দেশের সরকারের ওপর রাগান্বিত হবে। এবং দাবী জানাবে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে সরকার যাতে শোধরায়"।

মার্কিন অর্থ দফতরের ওয়েবসাইটে নিষেধাজ্ঞার খবর জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি


কারা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বাধ্য?

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বা অর্থ দপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সকল মার্কিন নাগরিক বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি রয়েছে, এমন সকল ব্যক্তি, যেখানেই থাকুন না কেন, অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) নির্দেশনা মেনে চলতে বাধ্য।

অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সেইসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা দেশের সঙ্গে মার্কিন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন রকম লেনদেন বা সম্পর্ক রক্ষা করতে পারে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেটি করতে পারে না। যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির যে নির্বাহী আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সকল অর্থ-সম্পদ, মার্কিন কোন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্পদ জব্দ থাকবে। এগুলো হস্তান্তর, প্রদান বা লেনদেন করা যাবে না।

সেই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত, তাদের বিদেশি শাখাকেও এই নির্দেশনা মানতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ভর্তুকি বা অনুদান দিয়ে থাকে, অথবা যুক্তরাষ্ট্র পরিচালনা করে, তাদের জন্যও এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।

যদি কেউ সেটা লঙ্ঘন করে, তাহলে বিভিন্ন অংকের জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা বন্ধু দেশগুলো মানতে বাধ্য নয়। কিন্তু কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি বা অস্ট্রেলিয়ার মতো যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তারাও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অনুসরণ করে থাকে।

র‍্যাব

র‍্যাব কর্মকর্তাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞার কী প্রভাব হবে?

বাংলাদেশের পুলিশের প্রধান বেনজীর আহমেদ, র‍্যাব এবং এর ছয়জন বর্তমান ও সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা অর্থনৈতিক।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বা অর্থ দপ্তরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠান লেনদেন করতে পারবে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাদের কোন অর্থ-সম্পদ থেকে থাকে, তাও ফ্রোজেন বা সাময়িক জব্দ হয়ে থাকবে।

কিন্তু তাদের বাংলাদেশে থাকা ব্যাংকিং বা আর্থিক লেনদেনে কি কোন প্রভাব পড়বে?

এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনে পরিচালিত হয়, সুতরাং সেখান থেকে কোন নির্দেশনা বা সার্কুলার না এলে বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইমিডিয়েটলি তাদের আর্থিক লেনদেনে কোন প্রভাব পড়বে না।''

তিনি জানান, 'ফাটকা আইন' (ফরেন একাউন্ট ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স অ্যাক্ট) নামের যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন রয়েছে। এর ফলে কোন মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান এদেশে কর দেয় কিনা, সেটা জানাতে হয়। এর বাইরে বাংলাদেশে বসবাসরত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতে বাধ্যবাধকতা নেই।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, এবং ছয়জন বর্তমান ও সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা

''যখন এরকম নিষেধাজ্ঞার ব্যাপার আসে,তখন হয়তো দেশের ব্যাংকগুলো তাকে কোনরকম বাধা বা বিধিনিষেধ দিতে পারে না, তবে তাদের লেনদেনের ব্যাপারে একটু বেশি নজরদারি করে থাকে। ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা আমরা বলতে পারি না, তবে যদি ব্যাংকগুলো বিদ্যমান আইন মেনে চলে, তাহলে তাদের আর কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।'' বলছেন মি. আমিন।

যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা কয়েকটি আলোচিত নিষেধাজ্ঞা

বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্র দেশ হিসাবে ইরান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, কিউবা, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা বিভিন্ন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে দেশ ভেদে এসব নিষেধাজ্ঞার প্রকৃতি আলাদা।

ইরান, উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ভেনেজুয়েলা এবং সিরিয়ার ওপর ব্যাপক আকারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে এসব দেশের সরকার বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোন মার্কিন প্রতিষ্ঠান কোনরকম লেনদেন বা বাণিজ্য করে না।

এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোন দেশ ইরান থেকে তেল কিনতেও পারে না। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান বা ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী এবং মাদক বিরোধী নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিভিন্ন দেশের একাধিক ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা সহযোগী দেশগুলোয় থাকা সম্পদ জব্দ করার পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারে না।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget