Latest Post

মো. তৌহিদ এলাহী : শনিবারের সংঘর্ষে পাঁচজনের নয়, মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। বিজিপির পাঁচজনের দাবি ঠিক নয়। সোমবার একথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন বিধানসভা নিয়ে এত আগে থেকে জল্পনা করার জন্য। এনডি টিভি বাংলা
তৃণমূলনেত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, গেরুয়া শিবির থেকে ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বিজেপি।


গত শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বসিরহাট হাসপাতালে তিনটি মৃতদেহর সন্ধান মেলে। বিজেপির নেতারা দাবি করেন, তার মধ্যে দু’জন তাঁদের কর্মী। তৃণমূল জানায় তৃতীয় ব্যক্তি তাঁদের দ‌লীয় কর্মী। দুই বিবদমান দলের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয় তাদের একাধিক কর্মীদের ওই দিনের সংঘর্ষের পরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবারের ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও জেলা প্রসাসন মুখে কুলুপ এঁটেছে। কতজন মারা গিয়েছেন, সে ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ওরা (বিজেপি) বলছে পাঁচজন মারা গিয়েছে। ওরা মিথ্যে বলছে। আমি দেখেছি এক বিজেপি নেতা টিভিতে বলছে, তিনজন নিখোঁজ। যদি তাই হয়, তাহলে তাঁদের নাম, ঠিকানা তোমরা বলছ না কেন?”
বিজেপির পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেশখালিতে কতজন মারা গিয়েছেন, এব্যাপারে বিজেপি তাদের মিথ্যে দাবি ছড়ানোর জন্য সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সামনে এব্যাপারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা যা বলছে আপনারা তাই লিখছেন। আপনার কী করে লিখলেন চার-পাঁচজন মারা গিয়েছে? আপনারা বিজেপি নেতাদের দাবিকে খতিয়ে দেখছেন না। আমি জানি বিজেপি আপনাদের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আমি জানি রামদেবের কাছ থেকে কত লোক টাকাপয়সা পাচ্ছে। আমি সব জানি।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনের পরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এবং সেটাও ঘটেছে বিজেপির জন্যই। ওরা নিজেদের ভগবান ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু মনে রাখবেন, আমরা সবটা নিয়ন্ত্রণ করেছি।”
মমতা দাবি করেন, ‘‘আমাদের রাজ্য ভারতের সব রাজ্যের থেকে সেরা। জাতীয় পর্যায়ে আমাদের পারফরম্যান্স সেরা। এবং আমি শিউরে উঠি যখন দেখি কোনও কোনও জাতীয় চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে বাংলার মানুষ পাইপ গান ও স্টেন গান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসবই করা হচ্ছে বাংলার বদনাম করতে।”
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পরে যেভাবে এখন থেকে  বিধানসভা ভোট নিয়ে জল্পনা চলছে তার জন্য সংবাদমাধ্যমকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ভোট এখনও দু’বছর দূরে। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। আপনারা ভুল খবর ছড়াচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গকে অপমান করবেন না। অন্যদেরও করতে দেবেন না। অন্য রাজ্যে এমনটা হয় না। তামিলনাডু, ওড়িশা, বিহার বা অন্য রাজ্যের সংবাদমাধ্যম এমন করে না।”
২০০৯ লোকসভায় বাম আমলে তৃণমূলের উত্থানের সঙ্গে অনেক এবারের লোকসভায় বিজেপির জয়কে তুলনা করছেন, এতে অসন্তুষ্ট মমতা বলেন, ‘‘তখনকার (২০০৯) আর এখনকার সময়ে অনেক ফারাক। ২০০৯ সালে নেতাই, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছিল। কৃষক আন্দোলন হয়েছিল।”
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : কেউ খাল ভরাট করে তৈরি করেছেন দোকান, কেউ আবার নির্মাণ করেছেন বহুতল ভবন। ফলে প্রতি বর্ষায় ব্যাহত হচ্ছে পানি চলাচল। অল্প বৃষ্টিতেই জমে যাচ্ছে কোমরসমান পানি। দুর্ভোগে পড়ছে নগরবাসী। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়ে আটটি খালের দখলদারদের চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চলতি মাসেই খালগুলো থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সমকাল


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, ‘খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে বাস্তবায়নাধীন জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সুফল মিলবে না। খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। খালের যে প্রশস্ততা থাকার কথা তা এখন নেই। এতে পানি নিস্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হবে।’
সিডিএ সূত্র অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের পানি নিস্কাশনের প্রধান মাধ্যম চাক্তাই খালের অবৈধ দখলে আছে ১ দশমিক ৫ একর জায়গা, মহেশখালের ১১ দশমিক ৪৪ একর, ফিরিঙ্গীবাজার খালের শূন্য দশমিক ৬৩ একর, গয়নাছড়া খালের ৪ দশমিক ৮৮ একর, খন্দকিয়া খালের ৭ দশমিক ৭০ একর, মহেশখাল সংযোগ খালের ১ দশমিক ২১ একর, টেকপাড়া খালের শূন্য দশমিক ১৭ একর ও রাজাখালী-২ খালের ৩ দশমিক ৬০ একর জায়গা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তৈরি করা দখলদারদের তালিকা অনুযায়ী, চাক্তাই খালের ডানতীরে বাকলিয়া এলাকায় ৩৭২ বর্গফুট জায়গা দখল করে দোকান গড়ে তুলেছেন আমির হোসেন, আবদুল বারেক, জসিম উদ্দিন, হাজি আমিনুল হক,  হাজি রেজোয়ান ইসলাম, আহম্মদ হোসেন ও বাহাদুর। দুই হাজার বর্গফুট জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল আলম, মো. ইউছুফ, মো. রফিক, শামসুল হক, বশির আহম্মদ, মো. ইউসুফ, আবদুছ ছালাম, নুরুল আমিন, জামাল আহাম্মদ, মাহবুব হোসেন, মো. নাছের ও মনির আহম্মদ।
আবাসন প্রতিষ্ঠান সিপিডিএল দখল করেছে ৮০ বর্গফুট। খাল ভরাট করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গড়ে তুলেছে চারতলা ভবন। বর্তমানে রাজস্ব সার্কেল-২ এর কার্যালয় রয়েছে এখানে। চাক্তাই খালের ১৩ হাজার ১২৫ বর্গফুট জায়গা ভরাট করে গড়ে উঠেছে বহদ্দারহাট বাজার। বাজারটির পরিচালনায়ও রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
চাক্তাই খালের এক হাজার ৫৩০ বর্গফুট জায়গার ওপর রয়েছে এনামুল হকের পাঁচতারা বাণিজ্যালয়, মোহাম্মদ আলমগীরের মাওলা স্টোর, জয়নাল আবেদীন আজাদের জেবি ট্রেডার্স, বাদল দেবের এএম ট্রেডিং, দেব প্রসাদ চৌধুরীর মেসার্স সুভাষ স্টোর, আবদুল করিমের মামুন ব্রাদার্স, স্বপন বিশ্বাসের হাজি ছালাম অ্যান্ড সন্স, মঈনুল আলমের টিনের দোকান, মো. শাহজাহানের এস কে ট্রেডিং। আবু বক্কর চৌধুরী ও নীলকৃষ্ণ দাশ মজুমদারও গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া কাঠ ও টিনের বেড়া দিয়ে খালের জায়গা দখলে রেখেছেন পাঁচ ব্যক্তি। মো. ইউছুফের দখলে ৮৫ বর্গফুট, ছালেহ আহম্মদ অ্যান্ড সন্স ৮৫ বর্গফুট, আবু মিয়া চৌধুরী ১০০ বর্গফুট, মো. মনির ১০০ বর্গফুট ও আবু ছুফিয়ান ১২০ ফুট জায়গা।
চাক্তাই খালের বামতীরে দখলে রয়েছে প্রায় এক হাজার ২৭৬ বর্গফুট জায়গা। এখানে অবৈধ দখলদাররা হলেন- মাজহার আলী ইসলাম, মো. ইয়াকুব খান, স্বপন চৌধুরী, সিরাজ মিয়া, আবুল কালাম, নুর মোহাম্মদ, আলমগীর হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। এর মধ্যে ২৮৬ বর্গফুট জায়গা দখল করে একতলা ভবন গড়ে তুলেছেন নুর মোহাম্মদ, ৫৮০ বর্গফুট জায়গার ওপর আলমগীর হোসেনের একতলা ভবন ও ৫০ বর্গফুট জায়গার ওপর আনোয়ার হোসেনের টিনশেড ঘর।
এদিকে ৫৪ জনের দখলে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরের আরেকটি প্রধান খাল রাজাখালী খালের এক দশমিক ৩২ একর জায়গা। রাজাখালী খালের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ের ২৫ হাজার ৮৮৫ বর্গফুট জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর ও তেলের গোডাউন গড়ে তুলেছেন ফরিদ চেয়ারম্যান, ফরিদ সওদাগর, আক্তার সওদাগর, শফিউল আজম, বাবুল হাজি, মো. নাছের ও আবুল কালাম। রাজাখালী খালের উত্তর-পশ্চিম পাড়ে ১৮ হাজার ৭৩৫ বর্গফুট জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর, গোডাউন, রাইস মিল, ভবন, খাদ্যের মিল ও মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন হাজি সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাজি আবদুল ছোবহান, হাজি নবী হোসেন সওদাগর, বাদশা মিয়া চৌধুরী, সালাউদ্দিন, টাইগার ফরিদ, জামাল সওদাগর, পিউরিটি ময়দার মিল, ওসমান সওদাগর, আশু বাবু, কালাম সওদাগর, মো. এমরান, শাহীন স্টোর, গফুর ভিউ, জাফর, সিরাজ, আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক ও নুরুল ইসলাম সওদাগর।
রাজাখালী খালের দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ে ১৩ হাজার ১৯২ বর্গফুট খালের জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন মো. কালাম, মো. জাহাঙ্গীর, মো. নেজাম, নুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর, জাগীর হোসেন, সেকান্দার, ভোলা মাঝি, জানে আলম, মরিয়ম বেগম, হালিমা বেগম, আবুল কাসেম, মো. আলী সাহেব, মো. ইসমাইল ও তার লোকজন, রবি আলী, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মসজিদ, কামাল মাঝি, মোজাহার কোম্পানি, হাজি আবুল কামাল ও জয়নাল আবেদীন আজাদ।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্পটির পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল খনন করা হবে। তিন পর্যায়ে নগরের খালগুলো খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। প্রথম দফায় গুরুত্ব অনুযায়ী ১৩টি খালের খননকাজ চলছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০টি এবং শেষ পর্যায়ে বাকি খালগুলো থেকে মাটি উত্তোলন করা হবে। গত বছর খালগুলো থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ঘনফুট এবং চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ৪২ লাখ ঘনফুট মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। খালের দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ ও সড়কের কাজ শুরু হলেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।’
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে আগামী অর্থবছরে কৃষি, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই ভর্তুকির ফলে কৃষি উৎপাদন বাড়বে, শক্তিশালী হবে কৃষি অর্থনীতি। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কৃষিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করার বিষয়টিও আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখ করা হবে। জনকণ্ঠ

সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতের জন্য ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হবে ৯ হাজার কোটি টাকা। ৯ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার ভর্তুকি থাকছে বিদ্যুত খাতের জন্য। এছাড়া এলএনজি আমদানিতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেয়া হবে। কৃষি ও বিদ্যুত খাতে চলতি অর্থবছরের ন্যায় ভর্তুকি বরাদ্দ থাকলেও প্রায় তিনগুণ ভর্তুকি বেড়েছে এলএনজির মতো জ্বালানি আমদানিতে। দেশের বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে গ্যাসের সঙ্কট দূর করা হবে। এজন্য বেশি দামে এলএনজি আমদানি করে কমদামে তা উদ্যোক্তাদের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যদিও আগামী অর্থবছরে ভর্তুকি কমানোর কথা বলেছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় এখনই ভর্তুকি কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে। এজন্য এই তিন খাতের বাইরেও প্রণোদনা, নগদ ঋণ সহায়তা খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হবে। সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের চূড়ান্ত ঘোষণায় ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। রফতানি ও রেমিটেন্স বাড়াতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বৈধপথে রেমিটেন্স আনা হলে শতকরা ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে। এছাড়া এবারই সকল পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাজেট সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ সহায়তা বাজেটে প্রতিবছরই রাখা হয়। এবারও কোন কোন খাতে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ সহায়তা বাড়বে। রফতানি ও রেমিটেন্স বাড়াতে সরকার কাজ করছে। এ কারণে সকল পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স আনার প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু করা হয়েছে। প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে তাদেরও একটি প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী বাজেটে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
একটি সূত্র জানায়, আসন্ন অর্থবছরে ভর্তুকিতেই বেশি বরাদ্দের প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ খাতে প্রাক্কলিত বরাদ্দ ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেয়া হবে বিদ্যুত খাতে। বিদ্যুতে ভর্তুকি বাবদ প্রাথমিক প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। খাদ্যে ভর্তুকি ধরা হচ্ছে ৪ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। এছাড়া অন্য খাতের জন্য ৯ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রাক্কলন করা হয়েছে।
এছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রণোদনার জন্য ১৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে। রফতানি নগদ প্রণোদনাও রাখা হচ্ছে ৪ হাজার কোটি টাকা। আর পাট খাতের জন্য ৫০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। রেমিটেন্সের আহরণে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে। এ খাতের জন্য ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে, আসছে বাজেটে নগদ ঋণ খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী বাজেটে কৃষিপণ্যের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করার কৌশল গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি ধানের দাম কমে যাওয়ায় সরকার চাল আমদানিতে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে। একইভাবে কৃষি যন্ত্রপাতিসহ অন্য পণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দিয়ে রেখেছে সরকার। কৃষক যাতে উৎপাদিত ফসল ও পণ্যের ন্যায্যদাম পায় বিষয়টি আগামী বাজেটে নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ধানসহ কৃষকের উৎপাদিত সব ধরনের ফসল ও পণ্যের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি, বাজেট ঘোষণায় বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
এদিকে, গ্যাস সঙ্কটের কারণে গত কয়েক বছর বাসাবাড়ির পাশাপাশি শিল্পেও নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এখন এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের সঙ্কট দূর করা হচ্ছে। চড়া দামে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহে বাড়তি ভর্তুকি রাখতে হচ্ছে আগামী বাজেটে। সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এর ফলে বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে, বাড়বে শিল্পের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান।
(amadershomoy)

রাশিদ রিয়াজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে সঠিক কে সঠিক না বা কে মুসলমান, কে মুসলমান না সে বিচারের দায়িত্ব আল্লাহর। কুরআন ও হাদীস অনুয়ায়ী সে বিচারের দায়িত্ব মানুষের নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন মানুষ আল্লাহর ক্ষমতা কেড়ে নেবে? মানুষের ভালমন্দ বিচারের দায়িত্ব ও অধিকার একমাত্র আল্লাহর। মুসলমানই মুসলমানদের হত্যা করছে, এতে একমাত্র লাভ হচ্ছে অস্ত্র বিক্রেতা ও যারা অস্ত্র বানায় তাদের। মুসলমানের রক্ত আরেক মুসলমান নিচ্ছে, নিজেরা হানাহানি করছে তা ওআইসি’কে বন্ধ করতে হবে। আমি আগেও এদাবি জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, ফিনল্যান্ড ও সৌদি আরব সফর শেষে দেশে ফিরে রোববার বিকেলে গণভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষ মেরে কখনো বেহেশতে যাওয়া যাবে না। গেলে বেহেশত থেকে তো কেউ ম্যাসেজ পাঠাননি যে তিনি এখন বহাল তবিয়তে সেখানে আছেন। আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে মাদ্রাসায় শিক্ষিত অনেক তরুণ বিভ্রান্ত হয়ে জঙ্গি হয়ে যেত কিন্ত্র এখন দেখা যাচ্ছে ইংরেজি বা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও কেউ কেউ বিভ্রান্ত হচ্ছে। তারা আসলে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে পারে না।
(amadershomoy)

আসিফুজ্জামান পৃথিল : আমিরাতের রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ (ইআরসি) বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তাদের সহায়তায় এই অর্থ ব্যবহৃত হবে। বাসস।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সমস্ত আমিরাত জুড়েই এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। ঢাকাস্থ আরব আমিরাতের দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে মাত্র ১ সপ্তাহের প্রচারণাতেই এই অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশনায় আমিরাতের সকল নেতা এই প্রচারণায় সমর্থন দেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ আল মেহেরি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় পেয়েছে। আমাদের তাদের সকলকে বিশেষত নারী ও শিশুদের সহায়তা করতে হবে। এবার আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সাধারণ হজনগনকে তাদের রোহিঙ্গা ভাইবোনের পাশে দাঁড়াতে দেওয়ার জন্য।’
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকেই আরব আমিরাত নানাভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছে। দেশটি কক্সবাজারে একটি ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনা করছে। যা মূলত নারী ও শিশুদের নানা ধরণের সেবা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও দেশটি রেডক্রিসেন্টের সহায়তায় ১০০ কূপ খনন করেছে।
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় অগ্রিম ট্রেড ভ্যাটের (এটিভি) পরিবর্তে অগ্রিম কর (এটি) ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। অর্থাৎ বর্তমানে যেসব পণ্যে ৫ শতাংশ এটিভি আরোপিত আছে, সেসব পণ্য আমদানিতে অগ্রিম কর দিতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। যুগান্তর
সূত্রগুলো জানায়, নানা সময় ব্যবসায়ীরা অগ্রিম ট্রেড ভ্যাটের (এটিভি) বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এটিভি ভ্যাট আইনের মূলনীতির পরিপন্থী। তাই নতুন আইনে এটিভি বাদ দিয়ে আগাম করের (এটি) বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইন প্রণয়নের সময় আগাম কর ৩ শতাংশ ছিল। এখন সেটিকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, আগামী অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর খাতের লক্ষ্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। ভ্যাট খাতে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। শুল্ক খাতে ৯২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা।
নতুন ভ্যাট আইনে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অনেক ছাড় থাকছে। বার্ষিক টার্নওভারের সীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে টার্নওভার ট্যাক্স হারও বাড়ানো হচ্ছে। আগামী বাজেটে এ হার ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হতে পারে। বর্তমানে এ হার ৩ শতাংশ। ফলে ৩ কোটি টাকার বেশি যাদের টার্নওভার রয়েছে তাদের ১ শতাংশ বেশি হারে ভ্যাট দিতে হবে। সাধারণত বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোরই ৩ কোটি টাকার বেশি টার্নওভার রয়েছে। এছাড়া ভ্যাট অব্যাহতির সীমা ৩০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলে ওই প্রতিষ্ঠানকে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না। ভ্যাট হারেও ছাড় দেয়া হচ্ছে। নতুন আইনে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে আরও ৪টি স্তর করা হয়েছে। ২, ৫, ৭.৫ ও ১০ শতাংশ হারে পৃথক স্তর করা হয়েছে। মূলত ট্যারিফ মূল্য আরোপিত সংবেদনশীল পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে আলাদা একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হবে। বর্তমানে উৎপাদন পর্যায়ে ৮৫টি পণ্যে ট্যারিফ মূল্য বহাল আছে। এর মধ্যে গুঁড়া দুধ, গুঁড়া মসলা, বিস্কুট, কেক, রুটি, আচার, টমেটো সস, ফলের জুস, এলপি গ্যাস, নিউজপ্রিন্ট, সব ধরনের কাগজ, এলইডি লাইট, টিউব লাইট, চশমা, সানগ্লাস, নির্মাণসামগ্রী যেমন রড, ইট রয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে এসব পণ্যের ট্যারিফ মূল্য থাকবে না। অপ্রয়োজনীয় বাদ দিয়ে অল্প সংখ্যক পণ্য যেমন রড, ওষুধ ও পেট্রোলিয়ামের মতো সংবেদনশীল পণ্য রেখে বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ৮-১০ পণ্য এ প্রজ্ঞাপনের সুবিধা পাবে। অন্যদিকে পুরাতন আইনে যেসব পণ্য ও সেবা সংকুচিত ভিত্তিমূল্যে ভ্যাট দিত, তাদের জন্য ভ্যাট হার ৫ ও সাড়ে ৭ শতাংশ হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য সম্পূরক শুল্কের তফসিল পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ পুরাতন আইনের তফসিল বহাল থাকছে। নতুন আইনে সম্পূরক শুল্ক আরোপিত পণ্য সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস করা হয়েছে। ২০১২ সালে ভ্যাট আইনে মাত্র ২৫৬টি পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক রাখা হয়। যদিও পরবর্তীতে ২০১৭ সালের বাজেটে এ তফসিল সংশোধন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপিত পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। পুরাতন আইনে প্রায় ১ হাজার ৪৩০টি পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা আছে।
যদিও ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর জন্য মাঠপর্যায়ে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) মেশিনের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (্ইএফডি) বসানো হবে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার কাজ শেষ হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড় বড় বিপণিবিতান ও রেস্টুরেন্টে বিনামূল্যে ইএফডি মেশিন বসানো হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ৯০ হাজার ইএফডি মেশিন বসানো হবে। এনবিআরের কর্মকর্তারা মনে করেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানো গেলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে। এখন ইসিআর মেশিন টেম্পারিং করা যায়। কিন্তু ইএফডি মেশিনে সে সুযোগ নেই। কারণ ইএফডি মেশিনের বেচাকেনার সব তথ্য সরাসরি ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পে রক্ষিত সার্ভারে জমা হবে। কেউ টেম্পারিং করতে চাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে তথ্য কর্মকর্তারা দেখতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অর্থনীতির আকার যে হারে বেড়েছে, পণ্য ও সেবা খাত থেকে সে হারে ভ্যাট আদায় করা যাচ্ছে না। সর্বত্র ইএফডি মেশিন বসানো গেলে ভ্যাট আদায়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।
যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক : আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড শপ, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, আসবাবপত্রের বিক্রয় কেন্দ্র, পোশাক বিক্রির কেন্দ্র ও বুটিক শপ, বিউটি পার্লার, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রীর বিক্রয়কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, অভিজাত শপিং সেন্টারের আওতাভুক্ত সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর ও সুপার শপ, বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ী (পাইকারি ও খুচরা) প্রতিষ্ঠান, স্বর্ণকার ও রৌপ্যকার এবং স্বর্ণ-রৌপ্যের দোকানদার এবং স্বর্ণ পাইকারি ব্যবসায়ী। এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ইএফডি মেশিন ব্যবহার না করে তাহলে শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে।
(amadershomoy)

প্রায় দেড় মাসের লম্বা সফর, এক শহর থেকে ছুটে বেড়ানো আরেক শহরে। তারই অংশ হিসেবে এবার ব্রিস্টলে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
লন্ডনের কেনিংটন দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড এবং কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর, নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে কার্ডিফ ছেড়ে আজ (রোববার) ব্রিস্টলে পৌঁছেছে মাশরাফি বাহিনী।

কার্ডিফ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়) ব্রিস্টলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। কার্ডিফ থেকে ব্রিস্টল যেতে লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ব্রিস্টলে গিয়ে পৌঁছেন মাশরাফি-সাকিবরা।
লন্ডন ও কার্ডিফে পার্ক প্লাজা চেইন হোটেলে উঠলেও, ব্রিস্টলে টাইগারদের টিম হোটেল ব্রিস্টল মার্কারি হল্যান্ড হোটেল। আজ দলের কোনো অনুশীলন নেই, নেই কোনো মিডিয়া সেশন। অর্থাৎ পুরো দল আজকের দিনটা বিশ্রামে থাকবে। যে যার মতো এই দিনটি উপভোগ করবেন।
সামনে এখনও অনেক কাজ বাকি। বড় হারে আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা খেলেও ক্রিকেটারদের ফুরফুরে থাকা খুব জরুরি। মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন দলের প্রায় সবাই মানসিকভাবে দারুণ অবস্থানেই রয়েছেন।
(jagonews24)

পরপর দুই ম্যাচ হেরে সমর্থকদের সমালোচনার মুখে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। উইনিং কম্বিনেশন ঠিক রেখে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে কোন পরিবর্তন আনেনি টাইগাররা। তবে পরিবর্তন না আনার পরও দেখা দেয়নি জয়। তাই অনেকেই মনে করছেন একাদশে বাড়তি পেসার হিসেবে রুবেল হোসেনকে দলে নেয়া দরকার।

স্পিনাররা ছাড়া গত দুই ম্যাচে কোন পেসারই ভালো বোলিং করতে পারেনি। এমনকি বাজে বোলিং করায় সমালোচনা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকেও। সাবক ভারতীয় ক্রিকেটার অজিত আগারকারের মতে, মাশরাফি একাদশে থাকার মতো ফিট। তিনি এও পরামর্শ দিয়েছেন যে বাড়তি পেসার হিসেবে রুবেলকে দলে যোগ করা উচিত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে আগারকার বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের দলে রুবেলকে যোগ করা দরকার। আমি এটাও মনে করি তারা মাশরাফিকে বাইরে রাখতে পারবে না। বর্তমানে বাজে ফর্মের কারণে একাদশে থাকার মতো ফিট নন এই ক্রিকেটার। কিন্তু তিনি তাদের অধিনায়ক এবং তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের দরকার আছে।’
রুবেলকে কার বদলে খেলাবে বাংলাদেশ এর সমাধানও দিয়ে দিয়েছেন আগারকার। তার মতে, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বদলে তাকে খেলানো উচিত। যেহেতু বাংলাদেশের দুটি স্পিনার ইতিমধ্যেই একাদশে আছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মোসাদ্দেককে তারা বাদ দিতে পারবে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ থাকায় তাদের পর্যাপ্ত স্পিনার আছে। তাদের ব্যাটিং খুব ভালো করছে এবং বোলিং তাদেরকে মাটিতে নামিয়ে আনছে। আপনি কখনোই আশা করতে পারবেন না বোলার ৩০০ রান দিবে আর সেটা ব্যাটসম্যানরা চেজ করবে। যদি একজন খেলোয়াড় বড় রান করতে পারত তাহলে তাদের চেজ করাটা প্রানবন্ত হত। কিন্তু তারপরেও তারা খুব ভালো চেজ করেছে।’
আগামী ১১ জুন ব্রিস্টলে শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
(jagonews24)

ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতে প্রতি বছরের মতো এবারও আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের সর্ববৃহৎ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ। চলবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
রাজশাহীর গোদাগাড়ি বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও নাটোরের একডালায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কারখানায় এই আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম চলছে। চলতি বছর ৬০ হাজার টন আম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণ গ্রুপ।

বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও এর আশপাশের অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত। কারখানায় গত ২৮ মে থেকে গুটি আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর আমরা আশ্বিনা আম থেকে পাল্প সংগ্রহ করব। কারখানায় আম সংগ্রহ চলবে আমের সরবরাহ থাকা পর্যন্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারখানায় অত্যাধুনিক মেশিনে সম্পূর্ণ অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে আমের পাল্পিং করা হচ্ছে। অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে পাল্প সংরক্ষণ হওয়ায় দুই বছর পর্যন্ত তা ব্যবহার উপযোগী থাকে। এই প্ল্যান্টে আম পরিষ্কার, বোটা ও খোসা সরানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাল্প প্যাকেটজাত থেকে শুরু করে এর সঙ্গে জড়িত সব কাজ সম্পূর্ণ হাতের স্পর্শ ছাড়াই করা হচ্ছে। আমের বর্জ্য দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে খোসা থেকে জৈব সার ও আটি থেকে জ্বালানি তৈরি হওয়ায় কারখানাটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। কারখানায় প্রতিদিন ৪০০ টন আম ক্র্যাশিং করার সক্ষমতা রয়েছে।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো চলতি মৌসুমেও নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, মেহেরপুর এবং সাতক্ষীরা থেকে আম সংগ্রহ করছে প্রাণ। সংগ্রহের পর এসব আম পাল্পিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে রাজশাহী ও নাটোরের কারখানায়। এই পাল্প থেকেই পুরো বছর তৈরি হচ্ছে ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেতারা যেন উৎকৃষ্টমানের পাল্পের ফ্রুট ড্রিংক কিংবা জুস খেতে পারে সেজন্য আমরা পণ্যের কাঁচামালকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। আমের জন্য বিখ্যাত অঞ্চলে আমাদের কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছি। পাশাপাশি কারখানা আধুনিকায়নের ফলে ক্রেতারা আরও মানসম্মত পণ্য পাবে বলে আশা করছি।’
(jagonews24)

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের অন্যতম উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ১১ আগস্ট হতে পারে বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি) ঘোষণা দিয়েছে। আইএসি বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১ আগস্ট আরবি মাস জিলহজের নতুন চাঁদ দেখা যেতে পারে। সে অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট।

সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আমিরাতে পবিত্র ঈদ পালিত হওয়ার পরদিন বাংলাদেশে পালিত হয়। সে অনুযায়ী, বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে ২ আগস্ট এবং ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ আগস্ট।
আইএসির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শওকত বলেন, ‘এবার চান্দ্র মাস জিলহজের নতুন চাঁদ দেখা নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক হবে না।’
‘আরব বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও ইসলামিক সেন্টার টেলিস্কোপ এবং খালি চোখেই সহজে এবং পরিষ্কারভাবে জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখতে পাবে।’
প্রতি বছর জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে পবিত্র হজ এবং ওমরাহ জড়িত থাকায় অধিকাংশ দেশ সৌদির চাঁদ দেখায় অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) আরব বিশ্বের অধিকাংশ এবং মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখা যাবে।’ ‘ওই দিন সূর্যাস্তের পর এসব দেশে টেলিস্কোপের মাধ্যমে এবং কিছু কিছু অঞ্চলে খালি চোখেই নতুন চাঁদ দেখা যেতে পারে।’
গত বছর মধ্যপ্রাচ্যে জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায় ১২ আগস্ট (রোববার)। এইউএএসর সদস্য ইব্রাহীম আল জারওয়ান বলেন, ‘পবিত্র জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ আগামী ১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে দেখা যেতে পারে। সূর্যাস্তের পর উদিত হয়ে প্রায় ২৮ মিনিট পর অদৃশ্য হয়ে যাবে।’
আল জারওয়ান বলেন, ‘এমন অবস্থায় জিলহজ মাসের প্রথম দিন শুরু হবে ২ আগস্ট (শুক্রবার) থেকে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট (রোববার)।’
(jagonews24)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার পদত্যাগের দাবিতে আজ (রোববার) দুপুর থেকে তার কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন নিয়োগবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা।
নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আজ সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনকালে তাদের ওপর বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আমরণ অনশনে নামতে বাধ্য হন বলে জানান চিকিৎসকরা। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এদিকে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপাচার্য় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তার কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারের বাইরে অনশনরত চিকিৎসকদের সামনে এসে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল তারা কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আগামীকাল থেকে ভাইভা শুরু হবে। তবে এ সময় বঞ্চিত চিকিৎসকরা নানা উদাহরণ টেনে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করতে থাকেন।
এরপর অন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে পুলিশি প্রহরায় তিনি (ভিসি) চলে গেলেও বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা এখন পর্যন্ত ব্যানার টাঙিয়ে বসে আছেন। তাদের ঘিরে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত আনসাররা। প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নিয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, অনিয়মের কারণে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাতে তাদের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগের জন্য গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হয়। ১৮০ জন চিকিৎসা কর্মকর্তা ও ২০ জন দন্তচিকিৎসক পদে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৫৭ জন অংশ নেন।
লিখিত পরীক্ষায় এক পদের বিপরীতে চারজন উত্তীর্ণ হন। এ হিসেবে ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। চূড়ান্ত নিয়োগের লক্ষ্যে তাদের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু ফল ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ‘সুযোগবঞ্চিত’ চিকিৎসকরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে ‘ছেলের জন্য সাজানো নিয়োগ, লজ্জা, ভিসি লজ্জা; ভিসির পদত্যাগ চাই; অর্থের বিনিময়ে এ নিয়োগ মানি না, মানবো না; প্রশ্নফাঁসের এ নিয়োগ কাদের জন্য; আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে’ স্লোগান লেখা পোস্টার সেঁটে দেন।
আগামীকাল (১০ জুন) অনুষ্ঠিতব্য মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আজ সকালে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে একাধিক চিকিৎসক আহত হন।
(jagonews24)

ঈদুল ফিতরের নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। সঙ্গে বোনাস হিসেবে শুক্র ও শনিবারও শেষ। ছুটি শেষ হওয়ায় প্রিয়জনের সান্নিধ্য ছেড়ে আবারো ‘যান্ত্রিক’ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন চাকরিজীবীরা। ফলে আবার সরব হয়ে উঠেছে ঢাকায় প্রবেশের সবকটি টার্মিনাল। আজ রোববার এসব টার্মিনালে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কয়েক দিন ফাঁকা থাকা রাজধানীতে বেড়েছে যানবাহন চলাচল, চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা।

রোববার সকালে সরেজমিন রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকায় ফেরা মানুষের বেশ ভিড়। নির্ধারিত সময়ের দু-এক ঘণ্টা পর ট্রেন এলেও মধুর স্মৃতি নিয়ে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চোখে মুখে ছিল স্বস্তি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের অধিকাংশই চাকরিজীবী।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের সুবর্ণ এক্সপ্রেস, দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেস, নোয়াখালীর উপকূল এক্সপ্রেস, সিলেট থেকে উপবন এক্সপ্রেস, রংপুরের রংপুর এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জের মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়াও প্রায় ২০টির বেশি ট্রেন কমলাপুরে পৌঁছেছে।
দিনাজপুর থেকে আসা একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী মোহাম্মদ হানিফ শিকদার বলেন, ‘নির্ধারিত ছুটির পর আর কোনো অতিরিক্ত ছুটি পাইনি। তাই কর্মস্থলে যোগ দিতে চলে আসলাম।’
তিনি বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো ঈদের ছুটিগুলো কম মনে হলেও তাদের সুখকর স্মৃতিগুলো কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা বাড়াবে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসে খুলনা থেকে ঢাকায় এসেছেন মো. হাফেজ মোহাম্মদ সেলিম খান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমরা চার ভাই একসঙ্গে বাড়ি গিয়েছিলাম। তিনজনই চাকরি করি। এক ভাইয়ের ইসলামপুরে কাপড়ের দোকান। নিজের ব্যবসা বলে সে আরও চার-পাঁচদিন পর আসবে। আমরা অন্যের চাকরি করি তাই আগে চলে আসতে হলো।’
একই চিত্র রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে। গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ টার্মিনালগুলোতে ছিল ঢাকায় ফেরাদের ভিড়। গাবতলীতে গাইবান্ধা থেকে আসা এসআর ট্রাভেলসের যাত্রী নুর আলম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘যাত্রাটা তেমন খারাপ ছিল না। রাস্তায় তেমন যানজটও ছিল না। তবে কয়েকটি জায়গায় বাস থেমে থেমে চলেছে। যমুনার টোল প্লাজায় সময় একটু বেশি লেগেছে। এ ছাড়া পথে তেমন সমস্যা হয়নি।’
ঈদের ছুটি শেষে সবাই ঢাকায় ফিরতে শুরু করলেও অনেককেই আবার ছুটি কাটাতে রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে। যারা ঈদে ছুটি পাননি, তারা ঈদের পঞ্চম দিন ছুটি নিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়জনের কাছে। কমলাপুর ও গাবতলীতে এমন অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
(jagonews24)

রাজশাহী অঞ্চলের আম বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে পরিপক্ক আম্রপালি, ফজলি ও আশ্বিনা জাতের আম। ভালো দামের আশায় অনেক চাষি বাগানে এখনো রেখেছেন হিমসাগর ও ল্যাংড়া।
ঈদের ছুটি শেষে ধীরে ধীরে জমে উঠছে আমের বাজার। টানা তিন বছরের টানা লোকসান কাটিয়ে এবার লাভের আশা দেখছেন চাষিরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাগানে মাছি-পোকার হানায় সেই আশায় গুড়েবালি।
আম চাষিরা বলছেন, মাছি-পোকার বেশি আক্রমণ হচ্ছে হিমসাগর ও ল্যাংড়ায়। গত ২৮ মে হিমসাগর এবং ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া আম নামানো শুরু হয়েছে গাছ থেকে। ফলে এই দুই জাতের আমে মাছি-পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগের উপায় নেই।

এলাকাভেদে এই পোকার আক্রমণ কম-বেশি। অনেকে লাভের আশা বাদ দিয়ে আম নামিয়ে বাজারে তুলছেন। কিন্তু আম্রপালি, ফজলি ও আশ্বিনা আম নামানোর সুযোগ নেই। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ১৬ জুন আম্রপালি ও ফজলি এবং ১ জুলাই আশ্বিনা আম বাজারে উঠবে।
হাতে সময় না থাকায় কীটনাশক প্রয়োগ নিয়েও বেকায়দায় চাষিরা। কোথাও কোথাও কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে চাষিরা বাগানে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। এতে বিষক্রিয়া আমে থেকে যাওয়ার শঙ্কা বাড়ছে।


নওগাঁর পোরশা উপজেলার বড়রনাইল এলাকার স্কুলশিক্ষক নাজমুল হোসাইন। ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি ও আশ্বিনা মিলে তার ৮ বিঘা আম বাগান রয়েছে। তিনি বলেন, এখন পুরো বাগানে দেখা দিয়েছে মাছি-পোকা। পোকা দমনে হিমশিম খাচ্ছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে আম রক্ষার চেষ্টা করছি।
এলাকার অনেক আম চাষি কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন বাগানে। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। পুরো বরেন্দ্র এলাকার আম বাগানজুড়ে মাছি পোকার ব্যাপক আক্রমণ হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্যিক এই আম চাষি।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কমিউনিটিভিত্তিক বাগান ব্যবস্থাপনায় জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (রাবি)। জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমের ক্ষতিকর পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা নিয়ে গত বছর থেকে মাঠপর্যায়ে গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বারির কীটতত্ত্ব বিভাগ।
আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে চলমান এই গবেষণাকাজে সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাক্ষা গবেষণা কেন্দ্র। এই কাজের সমন্বয়কের দায়িত্বপালন করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাক্ষা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জগদীশ চন্দ্র বর্মন।
তিনি বলেন, গত বছর থেকে চাষি পর্যায়ে এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা কাজ চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বামনডাঙা ও শেয়ালা এলাকায়। একই ধরনের গবেষণাকাজ চলছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার উত্তর মনিগ্রাম ও বলিহার এবং চারঘাটের হরিদাগাছি এলাকায়। বারি উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি নিয়ে তিন বছর গবেষণা শেষে তা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা নেয়া হবে।
মূলত আকর্ষণ ও মেরে ফেলা, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ এবং সয়েল গবেষণার সমন্বয় এই প্রযুক্তি। জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক এই প্রযুক্তিতে আমের ক্ষতিকর মাছি পোকা দমন শতভাগ কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে কমিউনিটিভিত্তিক বালাই ব্যবস্থাপনা জরুরি।
সমন্বিত এই প্রযুক্তি প্রসঙ্গে ড. জগদীশ চন্দ্র বর্মন বলেন, আম পাকার ৪০ দিনে মাছি পোকার আক্রমণ হয়। এপ্রিলের শুরু থেকে মাঝামাঝিতে আম গাছের গোড়ায় ছত্রাক জীবাণু মিশ্রিত ট্রাইকোডার্মা সার প্রয়োগ করতে হবে। একে বলা হয় সয়েল রিসার্চ। এতে মাটিতে অবস্থানকারী মাছি পোকা নষ্ট হয়ে যাবে।

একই সঙ্গে মাছি পোকা আর্কষণে আম গাছের গোড়ায় এবং গাছের ডালে লঘুমাত্রায় আলফা সাইপারমেথ্রিন মিশ্রত আলাদা বিশেষ পেস্ট দিয়ে ফাঁদ দিতে হবে। মাছি পোকা আকৃষ্ট হয়ে এখানে এলেই মারা পড়বে।
মিথাইল ইউজেনল ফেরোমন ব্যবহার করে একই সময় পাততে হবে আলাদা সেক্স ফেরোমন ফাঁদ। বোয়ামে পাতা এই ফাঁদেও প্রচুর পুরুষ পোকা মারা যাবে। এতে বাগানে মাছি পোকার আক্রমণ কমে যাবে অনেকাংশে। তবে সুফল পেতে পুরো এলাকাজুড়ে চাষিদের এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে হবে।
বাঘা উপজেলার উত্তর মনিগ্রাম এলাকার শহিদুল ইসলামের দেড় বিঘা বাগানে এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চলছে। শহিদুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় বছরের মতো এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। প্রথম বছরই আড়াই লাখ টাকার আম বিক্রি করেছিলেন। এবার আম বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ টাকার। এলাকার অনেক আম বাগান মালিক এই প্রযুক্তিতে আগ্রহী হয়েছেন।
বিশেষ এই গবেষণাকাজ চলছে বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশকভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায়।
এই প্রযুক্তি প্রসঙ্গে প্রকল্পটির পরিচালক ও বারির কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, কৃষকরা না জেনে ইচ্ছামতো আম বাগানে কীটনাশক-হরমোন প্রয়োগ করেন। এতে যেমন বাগানের ক্ষতি হয়, তেমনি আমে বিষক্রিয়া রয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যায়।
এক্ষেত্রে মুক্তি মিলতে পারে জৈব রোগবালাই ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনায়। দিন দিন জৈব রোগবালাই ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি জনপ্রিয় হচ্ছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বিষমুক্ত আম উৎপাদনে ঝুঁকছেন চাষিরা। বিষমুক্ত আম রফতানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেবে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং নাটোর জেলায় সর্বশেষ গত ২০১৭-২০১৮ কৃষি বর্ষে ৭০ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে আম বাগান ছিল। তা থেকে আম উৎপাদন হয় ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬১ মেট্রিক টন। এটিই এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা।
এর আগে ২০১১-২০১২ কৃষি বর্ষে রাজশাহী অঞ্চলে ৪২ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমিতে আম বাগান ছিল। তখন আম উৎপাদন হয় ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩ মেট্রিক টন। এছাড়া ২০১৪-২০১৫ কৃষি বর্ষে ৫৪ হাজার ৭২২ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয় ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৩৬ মেট্রিক টন।
(jagonews24)

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের নেতিবাচক মনোভাবের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে চায় যে এরা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত যাক। মিয়ানমার এদের নিতে চায় না। এখানেই সমস্যা। আপনারা দেখেছেন আমরা চুক্তি করেছি। সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তারপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগও আছে। কিন্তু ওইভাবে তাদের সঙ্গে সাড়া পাই না। মিয়ানমারই আগ্রহী নয়।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার বিষয়ে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি। ওখানে (কক্সবাজার) ভাগ করা আছে। আমাদের বর্ডার ফোর্স একটা অঞ্চল দেখে, আমাদের পুলিশ দেখে এবং আমাদের সেনাবাহিনী। আমরা বলেছি ওটাকে ক্লাস্টার করে চারদিকে একটা সিকিউরিটি ব্যারিকেড দিয়ে দিতে। সব সময় টহলে রাখতে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এদের সাহায্য করতে আসে বা ভলানটিয়ার সার্ভিস দিতে আসে তাদের সাংঘাতিক আপত্তি ভাসানচরে নেয়ার ব্যাপারে। কক্সবাজারে আরাম আয়েশে থাকে, যা পায় কিছু খায় আর কিছু রাখে। খরচ হয় না। এজন্য তারা… করতে চায় না। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে। এত সুন্দর ঘরবাড়ি আমরা করে দিয়েছি তারপরও পছন্দ হয় না।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সবাই জানে, সম্মান করে। বাংলাদেশ থেকে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস থেকে তো আর মুছতে পারেনি। ওই সময় যারা যুবক ছিল, ছাত্র ছিল তারাই এখন বিভিন্ন রাষ্ট্রের ক্ষমতায়। ফলে তাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অন্যরকম একটা অনুভূতি আছে। কাজেই সেজন্য সবার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক।’
জাপান সফরে সফল হয়েছি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাপান সফর যেমন আমরা সফল হয়েছি চীনেও হবো। ইতোমধ্যে আমার দাওয়াত ছিল। কিন্তু সেই সময় সম্ভবত আমাদের পার্লামেন্টের ছিল জরুরি কিছু বিষয়। আমরা যেতে পারিনি। আগামী জুলাই মাসে আবার দাওয়াত দিয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট। ৩০ জুন আমাদের বাজেট পাস হওয়ার পর ওখানে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সামার সামিট হবে। তারিখটা ঠিক হবে।’
সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকেল ৫টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব এবং ফিনল্যান্ড সফরসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
এর আগে ত্রিদেশীয় সফর শেষে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
কাতার এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ফিনল্যান্ড সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে হেলসিংকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানটি স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কাতারের দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ জুন ফিনিস প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং ৫ জুন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।
সৌদি আরবে তিনদিনের সফর শেষে শেখ হাসিনা গত ৩ জুন ত্রিদেশীয় সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য জেদ্দা থেকে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি পৌঁছান।
সৌদি আরবে তিনদিনের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাদশাহর আমন্ত্রণে মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এ ছাড়া তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন এবং মদিনায় প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) রওজা জিয়ারত করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানে চারদিন অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আড়াই বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ ৪০টি ওডিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ‘ফিউচার ফর এশিয়া’ বিষয়ক নিক্কেই সম্মেলনেও যোগ দেন। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সফরে তিনি জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও গোলটেবিল বৈঠক করেন।
(jagonews24)

প্রত্যাশার মাত্রা যখন বেশি থাকে, তখন প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমালোচনাও বেশি হয়। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে এসেছে আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা নিয়ে। দল, ম্যানেজমেন্ট, শুভানুধ্যায়ী তথা গোটা জাতি তাকিয়ে রয়েছে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকদের দিকে।
শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। ওভালে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে মাশরাফির দল। একই মাঠে পরের ম্যাচে জিততে না পারলেও, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪৪ রানের মাঝারি পুঁজি নিয়েও লড়াই করেছে দুর্দান্ত। সে ম্যাচে হার মানলেও লড়াই হয়েছে সমানে সমান।


তৃতীয় ম্যাচটি ছিল কার্ডিফে। যেটিকে ধরা হয় টাইগারদের পয়মন্ত ভেন্যু হিসেবে। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে ২০০৫ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১৭ সালে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি ছিল বাংলাদেশের।
এ দুটি স্মরণীয় সাফল্য সঙ্গে থাকলেও শনিবার আর সফলতা ধরা দেয়নি টাইগারদের। বিশ্বকাপের স্বাগতিক ও অন্যতম ফেবারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে পারদর্শিতা দেখাতে না পারায় মিলেছে ১০৬ রানের বড় পরাজয়।
প্রিয় দলের এ পারফরম্যান্সে ভক্ত-সমর্থকরা খানিক হতাশ। আশা ভঙ্গের বেদনা গ্রাস না করলেও আশাহত অনেকেই। তবে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, জোফ্রা আর্চারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মানদণ্ডে আনলে, ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সকে খুব বেশি খারাপ বলা যাবে না।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংটা হয়নি প্রত্যাশামাফিক। এছাড়া দুর্বল ফিল্ডিংয়ের কারণে হয়েছে বেশকিছু রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহীমের খানিক ঝলকানি ব্যতীত আর কেউই তেমন কিছু করতে না পারায়, পরাজয়ের ব্যবধানটা হয়েছে বড়।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খুব কাছে গিয়ে হারা এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় পরাজয়ের পর ভক্ত-সমর্থকরা হয়ে পড়েছেন আশাহত। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্যের ব্যাপারেও জেগেছে সংশয়।
আগেই বলে রাখা ভালো, এখনই শেষ হয়ে যায়নি সবকিছু। গাণিতিক সমীকরণ কিংবা বাস্তব প্রেক্ষাপটে, এখনও শেষ চারে থাকার বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে মাশরাফি বাহিনীর। তবে সেক্ষেত্রে আগামী যে ছয়টি ম্যাচ রয়েছে- তার মধ্যে অন্তত ৪টিতে জেতার প্রয়োজনীয়তা দেখা রয়েছে।
এখন দেখার বিষয় হলো, বাংলাদেশের পরের ছয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ হলো শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তান। এ ছয় ম্যাচের মধ্যে কোন চার দলকে হারাবে বাংলাদেশ? কোন চার দলকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এগুবে বাংলাদেশ?
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। যার শেষ বলে কোনো কথা নেই। এমনকি বলে কয়ে কিছু করা যায় না। অনেক সময় পচা শামুকে পা কাটে আবার প্রায়ই রাঘববোয়ালরাও হার মানে। ফলে বাংলাদেশ কোনো দলকে বলে কয়ে হারাবে- তা আগেভাগে বলে দেয়া সম্ভব নয়।
তবে আপাতদৃষ্টিতে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ- এ চারটি দলকেই হয়তো বাংলাদেশ তাদের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ঠিক করে সামনে এগুবে। কারণ ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া অনেক বেশি শক্তিশালী। তাদের হারানোও হবে বেশ কঠিন।
কাজেই ধরে নেয়া যাক, বাংলাদেশের এখন সেমিতে খেলার মিশন হলো মঙ্গলবার লঙ্কাবধের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়। এতে অবশ্য রয়েছে খানিক দুঃসংবাদ। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় বৃষ্টির কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। হুটহাট নেমে যায় ঝুম বৃষ্টি। ফলে প্রকৃতি বাধা দিলে কাজ হয়ে পড়বে কঠিন। অন্যথায় ম্যাচগুলো খেলতে পারে, এখনো সেমিফাইনালের লক্ষ্যপূরণ সম্ভব বাংলাদেশের।
(jagonews24)

‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়া অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে চড়বেন না, মরলে নিজ দেশের বিমানেই মরবেন’- এমনটি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যত ভিআইপি-ই হোক, যত ভি-ই লাগুক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় লক্ষণীয়, যখনই বিমানে উঠি তখনই একটা ঘটনা ঘটে। একটা নিউজ হয়, নিউজটা কেন হয় আমি জানি না। হয়তো পাসপোর্ট ভুলে যেতে পারে। পাসপোর্ট ভোলা কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু এখানে ইমিগ্রেশনে যারা ছিল, তাদের তো এই নজরটা থাকতে হবে। আমার কাছে খবর যাওয়ার সাথে সাথে আমি বলেছি, ইমিডিয়েট ব্যবস্থা নিতে। ইমিগ্রেশনে কারা ছিল? কেন চেক করেনি? কেন দেখে নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু এখন ইমিগ্রেশনে খুব কড়াকড়ি করতে বলেছি। আমাদের তো এখন সবাই ভিআইপি। তারপর আবার ভিভিআইপি। এরপর বোধহয় আরও ভি লাগবে। যত ভি-ই লাগুক, এরপর আর কাউকে ছাড়া হবে না। প্রত্যেকের একদম পাসপোর্ট সিল মারা আছে কি-না, তারপর তাদের চেকটা ভালোভাবে হচ্ছে কি-না, এমনকি ভিআইপি ও ভিভিআইপি এনক্লেভগুলোতে তাদের লাগেজ ঠিকভাবে চেক করা হচ্ছে কি-না, সবই দেখা হবে।’
‘এতদিন পরিশ্রম করে, প্লেন কিনে বিমানের অবস্থানটা যখন একটা জায়গায় চলে আসছে; যখন আমি চেষ্টা করছি আমরা আরও কয়েকটা নতুন রুটে যাব, মোটামুটি একটা ব্যবস্থা করে ফেলেছি ঠিক তখনই একেকটা কারণ… এ রকম আসে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটার কারণ, আমার যেটা মনে হয়… এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, আপনারা অনেকেই জানেন তারা এটাকে কীভাবে ব্যবহার করেছে। ছিলই তো না। সেগুলো আমরা যেহেতু একটু ভালোভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেকের পছন্দ হবে না, এটা আমি জানি। কারণ আগে যেগুলো খুব সহজে করতে পারত সেগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই সিকিউরিটির ওপর একবার ব্রিটিশ আমাদের এমবার্গ দিল, একবার অস্ট্রেলিয়া দিল। সেটাও আমরা মিটআপ করেছি।’
‘এজন্য যখনই আমি যেতে যাই, তখনই একটা ঘটনা। আমার কাছে শত শত মেইল যাচ্ছে। আপনি আইসেন না, বিমান আসবে না। আমি বললাম, বিমান আসবে না মানে? বলে, এটা হয়েছে। আমি বললাম, যা-ই হয় হোক। মরলে নিজের প্লেনেই তো মরব। নিজের প্লেনে মরলে মনে করব, নিজের মাটিতেই মরলাম। আমি আমার বিমানেই যাব। আমি অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে যাব না।’
সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকেল ৫টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব এবং ফিনল্যান্ড সফরসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানে চারদিন অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আড়াই বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ ৪০টি ওডিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
জাপান সফর শেষে তিনদিনের সফরে সৌদি, এরপর গত ৩ জুন ফিনল্যান্ড সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। হেলসিংকি থেকে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget