Latest Post

>> দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট এবং ৯ শতাংশ সুদে পুনঃতফসিলের সুবিধা
>> সুদ দিতে হবে না এক বছর, সময় পাবে ১০ বছর 
>> ছোট, মাঝারি, বড় সব ঋণ খেলাপিরা সুবিধা পাবেন
দেশের ঋণখেলাপিদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খেলাপিরা মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদহারে ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য ১০ বছর সময় পাবেন। এক্ষেত্রে প্রথম এক বছর কোনো কিস্তি দিতে হবে না।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে এই নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে ঋণ খেলাপিরা গণহারে ছাড়ের সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছোট, মাঝারি বা বড়-সব ঋণ খেলাপিই পুনঃতফসিলের সুযোগ পাবেন। ঋণ খেলাপিদের আগের অনারোপিত সব সুদ মাফ করে দেওয়া হবে।

এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ঋণ খেলাপিদের সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রস্তাব পাঠায় বলে জানা গেছে।
‘ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা’ শীর্ষক সার্কুলারের বলা হয়েছে, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ব্যবসায়ী/শিল্পোদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যাংকের ঋণ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মিতভাবে পরিশোধিত হচ্ছে না এবং সংশ্লিষ্ট ঋণ বিরূপভাবে শ্রেণিকৃত হয়ে পড়ায় ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ প্রেক্ষিতে উৎপাদনশীল খাতসহ অন্যান্য খাতে স্বাভাবিক ঋণ প্রবাহ বজায় রাখাসহ ব্যাংকিং খাতের বিরূপভাবে শ্রেণিকৃত ঋণ নিয়মিত আদায়ের লক্ষ্যে কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরভিত্তিক ঋণ খেলাপিরা সুযোগ পাবেন। ছাড় গ্রহণের জন্য আগামী ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১৬ আগস্টের খেলাপির আবেদন করবেন। ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। তবে প্রথম এক বছর কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে না। আর পুনঃতফসিলকৃত ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ বা ব্যাংকের কস্ট ফান্ডের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে।
খেলাপি ঋণের সুদ ব্যাংক আয় দেখাতে পারে না। তাই পৃথক হিসেবে রাখতে হয়। পৃথক হিসেবে রাখা সব সুদ মাফ করে দেওয়া হবে। এই সুবিধা গ্রহণকারীরা ব্যাংক থেকে আবার নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন। প্রচলিত নিয়ম মেনে সতর্কতার সঙ্গে ঋণ দিতে বলা হয়েছে। নতুন ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলে পুনঃতফসিল সুবিধা বাতিল হবে।
সুবিধা গ্রহণের পর নিয়মিত অর্থ পরিশোধ না করলেও তাদের খেলাপি করা যাবে না। এখানে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ৯টি মাসিক কিস্তির ৩টি এবং ত্রৈমাসিক ৩ কিস্তির ১টি পরিশোধ না করলেও নিয়মিত থাকা যাবে। তবে মাসিক কিস্তির মধ্যে ৬টি ও ত্রৈমাসিক কিস্তির ২টি পরিশোধ না করলে পুনঃতফসিল সুবিধা বাতিল করা হবে।
স্বাধীনতার পর থেকে যারা ঋণ খেলাপি তাদের এককালীন এক্সিট সুবিধা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তাদের খেলাপি ঋণের হিসাব হবে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের এক কালীন হিসাবায়ন ভিত্তিতে।
অর্থাৎ ১৯৭১ সালের পর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ ডিমেম্বর পর্যন্ত যত খেলাপি ঋণ আছে তার হিসাব করা হবে। কোনো ঋণ খেলাপি যদি মনে করে এককালীন ঋণ পরিশোধ করে খেলাপির তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবেন, তাহলে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে সার্কুলারে।
এতে বলা হয়েছে, ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে ঋণ খেলাপিরা ঋণ পরিশোধের জন্য এক বছর পর্যন্ত সময় পাবেন। আগের সব সুদবাবদ পাওনা মওকুফ করা হবে। এককালীন পরিশোধের জন্য সুদহার আরও কম- ব্যাংকের কস্ট অব ফান্ডের সমান। তবে এক বছরের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে সুবিধা বাতিল হবে।
এই এককালীন এক্সিট সুবিধা ও পুনঃতফসিল সুবিধা কার্যকরের ৯০ দিনের ব্যাংক ও গ্রাহকের মামলা স্থগিত করতে হবে। পরবর্তীতে গ্রাহক কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সুবিধা বাতিল করে মামলা পুনরায় চালু হবে।
(jagonews24)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিগগিরই দেশে ৫-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। আগামীকাল (১৭ মে) ‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, সরকার তথ্য-প্রযুক্তিবান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে। দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। অচিরেই দেশে ৫-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সেবা ব্যবহার করতে শুরু করেছি।

‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে’-র এবারের প্রতিপাদ্য ‘ব্রিজিং দ্য স্টান্ডার্ডাইজেশন গ্যাপ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গত দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, প্রায় সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সকল জেলায় তথ্য বাতায়ন এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমাদের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, একটি বাস্তবতা।’
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৭ মে ‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
(jagonews24)

রফিকুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ২০১৯ সালের ২৩ মে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মাস্টার ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়নি। নানাবিধ জটিলতার কারণে ড্রেন নির্মাণের ধীরগতি। যার কারণে দূর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। পৌর শহরের প্রধান সড়কে ড্রেন নির্মাণের সামগ্রী বালু, পাথর, রডসহ অন্যান্য উপকরণ রাখার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির পর স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই ঈদ মার্কেটের ছোঁয়া লেগেছে পৌরসভায়। সে কারণে প্রতিদিন বহিরাগত লোকজনের ভীড় দেখা দিয়েছে চোখে পড়ার মত। ব্যবসায়ীদের দাবি পৌরসভার প্রধান সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হওয়ার কারণে ঈদ মার্কেটগামী গ্রহকরা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সহজে মার্কেটে আসতে পারছে না।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মেহেদুল ইসলাম জানান, জাইকার সহায়তা পুষ্ঠ নবীদেব প্রকল্পের আওতায় পৌরসভায় মাস্টার ড্রেন নির্মাণ হচ্ছে। ড্রেন নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৮ টাকা এবং বরাদ্দ রয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩১ টাকা।
গাইবান্ধার আব্দুল লতিফ হক্কানী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রেন নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন, রংপুর অঞ্চলের সমস্ত প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর নিদের্শনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ সামগ্রী সড়কে উপরে রাখার কারণে পথচারীদের একটু সমস্যা হচ্ছে।
পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, নির্মাণ সামগ্রী পৌর শহরের প্রধান সড়কের উপর রেখে কাজ করার কারণে পথচারী এবং স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ক্ষণিকের জন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এনিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যাতে করে নির্মাণ সামগ্রী খোলামেলা জায়গায় জমা রাখার যায় সে ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পথচারীদের দূর্ভোগ লাঘব করা হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে জনগণকে সামান্য কষ্ট মেনে নিতে হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আব্দুল লতিফ হক্কানীর প্রতিনিধি সোহেলা রানা জানান, পৌর শহরের জায়গা প্রসস্থ, বিদ্যুতের খুটি সরানো নিয়ে জটিলতার কারণে ড্রেন নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া নির্মাণ সামগ্রী রাখার মতো পৌর শহরে খোলামেলা কোন জায়গা না থাকায় সড়কের উপরে রাখতে হচ্ছে। সে কারণে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের একটু বেঘাত সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আরও ২ বছর বৃদ্ধি হয়েছে। পৌর মেয়র দ্রুত ড্রেন নির্মাণে জায়গা প্রসস্থ এবং বিদ্যুতের খুটি সরানোর ব্যবস্থা করলে ড্রেন নির্মাণ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
(amadershomoy)

স্পোর্টস ডেস্ক: গতকাল রোববার নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে শেষ হয়েছে আইপিএলের ১২তম আসর। ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে ১ রানে হারিয়ে চতুর্থ বারের মতো শিরোপার মুকুট পড়ে নিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
এই দিনই সম্প্রচারকারী চ্যানেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। তাদের নতুন ছবি ‘ভারত’-এর প্রচারে এসেছিলেন এই দুই বলিউড তারকা। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্রেট লি। অস্ট্রেলীয় পেসারকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার।

শুরুতেই ক্যাটরিনা কাইফকে ব্রেট লি জিজ্ঞাসা করেন, ‘কোন দলকে সমর্থন করছ?’ ক্যাটরিনা সাফ বলে দেন, ‘অবশ্যই মুম্বাইকে। বরাবরই মুম্বাইয়ের প্রতি আমার ভাললাগা ছিল। তাই মুম্বাই ছাড়া কোনও দলের কথা ভাবতেও পারছি না।’
একই প্রশ্ন করা হয় সালমানকে। ‘ভাইজান’-এর উত্তর, ‘বুঝতে পারছি না কাদের সমর্থন করব। এক দিকে ধোনি ও হরভজন রয়েছে। অন্য দলে যুবরাজ সিংহ। খুবই দোটানায় পড়ে গিয়েছি।’
তাদের প্রিয় দলের বিষয়ে জেনে নেওয়ার পরে সালমানকে ব্রেট লি একটি কাজ দেন। কানে, কানে অস্ট্রেলীয় পেসার তাকে কোনও নির্দেশ দেওয়াতেই সলমন একটি স্কেচ পেন নিয়ে আঁকতে শুরু করেন। ক্যাটরিনাকে বলা হয়, সালমানের ছবির বিষয় আন্দাজ করতে। সালমান বলেন, ‘কী আঁকলাম?’ ক্যাটরিনার উত্তর, ‘টি-শার্ট।’ সেই টি-শার্টের পিছনে সাত নম্বর লিখে সালমান জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা কার টি-শার্ট?’ অনায়াসে ক্যাটরিনার উত্তর, ‘অবশ্যই ধোনির।’
এ বার ক্যাটরিনার কাছে নির্দেশ আসে। বলিউড অভিনেত্রী ডাম্বশারাড করে সালমানকে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করেন। চোখ বুজে সালমানের উত্তর, ‘এটা রোহিত।’ শেষে ব্রেট লি বলেন, ‘এত ব্যস্ততার মধ্যেও কী করে তোমরা ক্রিকেটের এত খবর রাখো?’ সালমানের উত্তর, ‘ক্রিকেট ও বলিউড। এই দু’টো নিয়েই বেঁচে থাকে ভারতবাসী।’
(amadershomoy)

রমজান আলী : অসুস্থ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।
সোমবার তিনি ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। তার পক্ষ থেকে আমি আজ দশ লাখ টাকার চেক স্বজনদের দিয়েছি। তাদের জানিয়েছি, চিকিৎসার সকল খরচ প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই সালেহ জামান বলেন, হাসপাতালের বকেয়া বাবদ আজ এই টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীতে চিকিৎসা বাবদ যাবতীয় অর্থ তিনিই দেবেন বলে আমাদের জানােেনা হয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী এটিএম শামসুজ্জামানকে গত ২৬ এপ্রিল গেন্ডারিয়া আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত এ অভিনেতার শরীরে পরদিনই অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের তিন দিনের মাথায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কেবিন থেকে আইসিইউতে নেওয়া হয় শামসুজ্জামানকে। দুই দফা লাইফ সাপোর্টে রাখার পর শনিবার সকালে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। মাঝে এটিএম শামসুজ্জামানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার কথা উঠলেও মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা দেশেই তার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে সালেহ জামান জানান।
(amadershomoy)

কামরুল হাসান : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উপক্ষেপণের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছরের এই দিনে (বাংলাদেশ সময় ১২ মে রাত ২.১৪ মিনিটে এবং যুক্তরাষ্ট্র সময় ১১ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশপানে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। মহাকাশে গত এক বছরের পদচারনায় যেমন কাটলো বাণিজ্যিক এ যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১!
বাণিজ্যিক যাত্রায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফলতা সম্পর্কে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, স্যাটেলাইট যাত্রার এক বছর হলেও আমরা বুঝে পেয়েছি গত নভেম্বরে। এর আগে এটি ছিল ফ্রান্সের থ্যালাস এলিনিয়া স্পেসের নিয়ন্ত্রণে। তারা গাজীপুরে গ্রাউন্ড স্টেশনে আমাদের ঢুকতেই দেয়নি।

শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আমরা হাতে পাওয়ার পর থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বাজার ধরতে অনেক দেশে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের স্যাটেলাইট ব্যবহারের জন্য ফিলিপাইন সরকার চুক্তি করেছে এবং যোগাযোগ শুরু করেছে থাইল্যান্ড ও নেপাল। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নৌ-পরিবহন, মৎস্য অধিদফতর এবং কৃষি বিভাগসহ ৩০টির বেশি স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসসিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, আমরা ১৯ মে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন করবো, সে দিন থেকেই দেশের সবগুলো টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। টিভি চ্যানেলগুলো আগে যে দামে ব্যান্ডউইথ কিনত এখন আমাদেও কাছ থেকেও সেই দামেই নেবে। প্রতি মেগাহার্ডজ দুই হাজার ডলার করেই পরিশোধ করবে তারা। প্রতিটি টিভি চ্যানেলের ৪ থেকে ৬ মেগাহার্ডজ লাগে। তাদের কাছ থেকে ৮ থেকে ১২ হাজার ডলার করে পাওয়া যাবে।
শাহজাহান মাহমুদ আরো বলেন, ব্যাংকের এটিএম বুথ আর অনলাইনে অর্থ লেনদেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ১৯ মে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি বুথ এই স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এর পরীক্ষামূলক কাজও শেষ হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সবগুলো এটিএম বুথ কোনো ধরনের ব্রডব্যান্ড সংযোগ ছাড়াই এই স্যাটেলাইটের আওতায় আনা হবে। এতে সাইবার অপরাধও কমে যাবে।
এর আগে, জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর স্বত্ব (মালিকানা) দেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের স্বত্ব শুধু বেক্সিমকো ও অন্য একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়েছে) জবাবে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর স্বত্ব (মালিকানা) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়নি, এটি দেশের জনগণের সম্পত্তি। সে কারণে স্যাটেলাইটের স্বত্ব নিয়ে যেসব কোম্পানি বা ব্যক্তিবর্গের নামে লিজ দেয়ার তথ্য খবরের কাগজ বা গণমাধ্যমে আসে, তা সত্য নয়।
এদিকে সব মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। আগামী সাত বছরের মধ্যে এই খরচ উঠে আসবে বলে মনে করেন উৎক্ষেপণকারী সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)।
(amadershomoy)

মুসবা তিন্নি : তিনি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। মার্কিন অনলাইন শপিং পোর্টাল আমাজনের মালিক। একইসঙ্গে মহাকাশ সংস্থা ব্লুওরিজিনের প্রধান। সেই জেফ বেজোস এবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। সংবাদ প্রতিদিন
বেজোস জানিয়েছেন যে, ২০২৪-এর মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠাবেন তিনি। আর সেই চন্দ্রযাত্রা হবে সেখানে বসবাসের জন্য! চন্দ্রাভিযানের জন্য তিনি যে অত্যাধুনিক, উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন মহাকাশযানের পরিকল্পনা করেছেন, সেটি চাঁদে গাড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জামও বহন করে নিয়ে যাবে। যাতে সেখানে বসতি স্থাপনে কোনও অসুবিধা না হয়।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এই মহাকাশযানের উপস্থাপনা করেন ৫৫ বছরের বেজোস। “এই হল ব্লু মুন, বিশালাকার একটি মহাকাশযানের মডেলের পর্দা উন্মোচন করে ঘোষণা করেন বেজোস। ৬.৫ মেট্রিক টন ওজনের এই যানটি চাঁদের নরম মাটিতে গিয়ে নামবে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার সরঞ্জাম ছাড়াও এতে করে মানুষও চাঁদে পাড়ি দেবে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই চন্দ্রযানটি ছাড়াও চার চাকার একটি মুন রোভারও প্রকাশ্যে এনেছেন বেজোস। তিনি নির্দিষ্ট করে কোনও সময়সীমা বা কবে অভিযান হবে, সেটা জানাননি।
তবে ব্লু ওরিজিনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪-এ চাঁদে মানুষ পাঠানোর যে লক্ষ্য স্থির করেছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তাঁরা পরিকল্পনা করছেন। তবে মাত্র তিন বছর আগে কাজ শুরু করায় তাঁরা খুব সতর্ক হয়ে এগোতে চান। পঞ্চাশ বছর আগে মার্কিন মহাকাশচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছিলেন। আবার নতুন করে পৃথিবীর এই উপগ্রহের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে কয়েকটি দেশ।
(amadershomoy)

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছর স্থানীয় বাজারে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি বিক্রিতে রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স
জায়ান্ট ওয়ালটন। গত বছর সারা দেশে যে পরিমান এসি বিক্রি হয়েছিল তাদের, তা চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। যা কিনা গত বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশি। এদিকে গ্রীষ্মের প্রখরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডটির এসি বিক্রয়।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের মতে, এসি বিক্রয় বৃদ্ধিতে এই অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় বিশেষ অবদান রাখছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ এসি নিয়ে আসা, ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি ঘোষণা, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধা, একচেঞ্জ অফারে যে কোনো ব্র্যান্ডের এসি বদলে ওয়ালটনের নতুন এসি ক্রয়ের সুযোগ এবং ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ১ বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার বা বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
সূত্রমতে, এসি এক্সচেঞ্জ অফারের আওতায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহকরা যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের নতুন এসি কিনতে পারছেন। দেশের যে কোনো প্লাজা বা পরিবেশক শোরুমে পুরাতন এসি জমা দিলে গ্রাহক তার পছন্দকৃত ওয়ালটনের নতুন এসির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। এই সুবিধার পাশাপাশি ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোরের আওতায় ওয়ালটন এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই গ্রাহকরা পেতে পারেন পুরো এক বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। রয়েছে মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
এদিকে ওয়ালটন এসি কিনে গ্রাহক তার মোবাইল ফোনে এসির কলার টিউন সেট করলে এবং ক্রয়কৃত এসি ইনস্টল করার পর ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করলেই মিলছে ১ হাজার টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক। ওয়ালটন এসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানভীর রহমান জানান, এ বছর বাজারে লেটেস্ট প্রযুক্তির এসি নিয়ে আসার পাশাপাশি গ্রাহকবান্ধব অসংখ্য সুবিধা ঘোষণা দেয়ায় এসি বিক্রি হচ্ছে আশাতীত। এরই মধ্যে, ২০১৮ সালে সারা বছর যে পরিমান এসি বিক্রি হয়েছিল ওয়ালটনের, তা এই বছরের প্রথম চার মাসেই বিক্রি হয়েছে। এদিকে গত বছরের প্রথম চার মাসের এসি বিক্রির বিপরীতে এ বছরের একই সময়ে ওয়ালটনের এসি বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৫০ শতাংশ। এখন চলছে এসি বিক্রির প্রধান মৌসুম ‘গ্রীষ্মকাল’। তাই, গরমের
তীব্রতার সঙ্গে এসির বিক্রিও আরো বাড়ছে।
জানা গেছে, এ বছর ১, ১.৫ ও ২ টনের অসংখ্য মডেলের স্পিøট এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ভেনচুরি ও রিভারাইন সিরিজের ১.৫ ও ২ টনের এসিতে এনার্জি সেভিং ইনভার্টার, আয়োনাইজার ও আইওটি স্মার্ট প্রযুক্তির নতুন মডেল যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ টনের আইওটি বেজড ইনভার্টার স্মার্ট এসির দাম ৭৬ হাজার ৪’শ টাকা, শুধু ইনভার্টার এসির দাম ৭৪ হাজার ৯’শ টাকা ও আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসির দাম ৫৬ হাজার ৯’শ টাকা ধরা হয়েছে।
এদিকে ১.৫ টনের ইনভার্টার স্মার্ট এসি ৬৫ হাজার টাকায়, শুধু ইনভার্টার এসি ৬৩ হাজার ৫’শ টাকা এবং  আয়োনাইজার এসি ৪৯ হাজার ৯’শ টাকায় কেনা যাচ্ছে। এছাড়া ওয়ালটনের ১ টন এসি কেনা যাচ্ছে ৩৫ হাজার ৫’শ টাকায়। ওয়ালটন এসির চীফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, গ্রাহকের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য তুলে দিতে এসিতে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার, আয়োনাইজার, টার্বো কুলিং মুড, গোল্ডেন ফিনের মতো বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি যুক্ত করেছেন তারা। ইনভার্টার কম্প্রেসরের টার্বো কুলিং মুড রুমের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে এনে রুমকে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে।
তিনি বলেন, ইনভার্টার প্রযুক্তিতে পিসিবি বা মাদারবোর্ডের মাধ্যমে রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসরের গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ, রুমের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি কম্পেসরের গতিও কমে আসে। কম্প্রেসরের এ্যাকুইরেসি এবং কুলিং সিস্টেম-এ নিশ্চিত করেছে সর্বোচ্চ পারফেকশন। কম্প্রেসরে বিল্ট-ইন অটোমেটিক ভোল্টেজ প্রোটেকশন সিস্টেম থাকায় বিদ্যুৎ প্রবাহের বিচ্যুতি বা তারতম্যেও ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
এসির কনডেনসারে মরিচারোধক গোল্ডেন কালার ফিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কম্প্রেসরে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এসব কারনে ওয়ালটনের ইনভার্টার এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কম্প্রেসরের স্থায়ীত্বও বেড়েছে অনেক। এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিল আসছে কত? ভোল্টেজ লো না হাই? কম্প্রেসর কি ওভারলোডে চলছে?
ওয়ালটনের স্মার্ট এসিতে মিলবে এসবের উত্তর।
স্মার্ট প্রযুক্তি ছাড়াও ওয়ালটন এসিতে সংযোজন করা হয়েছে আয়োনাইজার প্রযুক্তি। যা রুমকে ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করবে। ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরে বাজারজাতকরা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রাহক পর্যায়ে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ালটনের রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার। সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : র‌্যাব-১০ লালবাগ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ঢাকার চকবাজার এলাকা হতে ৪৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। রোববার এই অভিযান পরিচালিত হয়।


আটককৃত আসামিরা হচ্ছে ফখরুল ইসলাম প্রকাশ লিটন, ও মো. বজলু লস্কর, একইদিন কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সৈয়দ ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে পৃথক এক অভিযানে ২৭৫ পিস ইয়াবাসহ মোঃ সিরাজুল হক এবং ফেন্সিডিলসহ মো: সেলিম হক নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। র‌্যাব-১০এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
(amadershomoy)

মাকসুদা লিপি: আশঙ্কা ছিলই। এবার সেটাই সত্যি হল। সরকারিভাবে ভারতীয় ব্যবস্থায় অনিল আম্বানির রিলায়েন্স কমিউনিকেশনকে দেউলিয়া ঘোষণা করল ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল। আজকাল
গেলো ফেব্রুয়ারিতে ঋণ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এই ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয় অনিল আম্বানির সংস্থা। পরে দেউলিয়া সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন নষ্ট হওয়া ৩৫৭ দিন বাদ দেওয়ার জন্য আবেদনও জানায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে আর কমুকে দেউলিয়া ঘোষণা করল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল।

 ফলে কার্যত মাথায় হাত অনিল আম্বানির। আর এই ঘোষণার পরই ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণগ্রস্থ থাকা কোম্পানিকে পরিচালনার জন্য সংস্থার পরিচালনা কমিটিকে উপেক্ষা করে নতুন করে পেশাদারদের নিয়োগ করা হয়েছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ৩১টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাওনাদারদের একটি কমিটি গঠন করতেও বলা হয়েছে ট্রাইবুনালের তরফে। কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের কাছে শেষ শুনানিতে মামলা চলাকালীন দিনগুলি বাদ দেওয়ার আবেদন করেছিল অনিলের সংস্থা। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০১৮ সালের ৩০ মে থেকে ২০১৯ এর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল ও সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ দেওয়ার বিষয়টি। কিন্তু বিচারপতি ভি পি সিং ও আর দুরাইস্বামীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অন্য মামলার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এই মামলার ক্ষেত্রেও তাই হবে। আর বৃহস্পতিবার সেই নিয়ম অনুযায়ী রায় ঘোষণা করা হল। এর আগে রিলায়েন্স জিও আসার পর থেকেই ব্যবসায় মার খেতে শুরু করে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি।
(amadershomoy)

মাকসুদা লিপি: গ্রীষ্মকালে কাঁঠালের গন্ধে ম ম করবে চারিদিক এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে কাঁঠালের গন্ধ পেলে ডাকা হয় দমকল। এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। ক্যানবেরায় লাইব্রেরিতে কাঁঠালের গন্ধের জন্য যা কাণ্ড ঘটল তা শুনে চমকে যাবেন যে কেউ।

 কাঁঠালের গন্ধ বেরোতেই খালি করে দেওয়া হয় গোটা লাইব্রেরি। মনে করা হয়েছিল কোনও বিষাক্ত গ্যাস বেরোচ্ছে। প্রায় ৫৫০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলকেও। তন্নতন্ন করেও কোনও গ্যাসের হদিস মেলেনি। শেষে জানা যায় কাঁঠাল থেকে বেরোচ্ছে গন্ধ। ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। আজকাল
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় কাঁঠালের গন্ধ নিয়ে নানা ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এমনকী সিঙ্গাপুরে তো কাঁঠালের গন্ধের কারণে একটি সাবওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও বঙ্গে কাঁঠাল প্রীতির অন্ত নেই।
(amadershomoy)

এস এম নূর মোহাম্মদ: রাজধানীর ১৬ এলাকার পানি বেশি দূষিত বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। সোমবার (১৩ মে) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চকে এ তথ্য জানান তিনি।
এলকাগুলো হচ্ছে রাজধানীর জুরাইন, দনিয়া, শ্যামপুর, উত্তরা- ৪ নম্বর সেক্টর, লালবাগ, রাজার দেউরি, মালিবাগ, মাদারটেক, বনশ্রী, গোড়ান, রায়সাহেব বাজার, মোহাম্মদপুর বসিলা, মিরপুরের পল্লবী, কাজীপাড়া ও সদরঘাট।

এদিকে নির্দেশ অনুসারে ঢাকা ওয়াসার কোন কোন এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা নির্ধারন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আগামী বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আজ ঢাকা ওয়াসার অনিরাপদ পানি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ ছিলো। কিন্তু ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।
তখন আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা ওয়াসার ১১টি পানির জোন রয়েছে। প্রত্যেকটি থেকে ২ বোতল পানি নিয়েই তো করা যায়। কিন্তু কোন কথাই শুনছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
শুনানিকালে আদালত রিটকারী আইনজীবীর কাছে অনিরাপদ পানি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বেশ কিছু প্রতিবেদন আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়। ওসব প্রতিবেদনে ঢাকার ১৬ এলাকার ওয়াসার পানি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী বলে তথ্য উঠে আসে।
এরপর পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন ওয়াসার পক্ষ থেকে খরচ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে ৭ দিন সময় চাওয়া হয়।
(amadershomoy)

আল-আমিন : কোনো ধরনের বেতন-ভাতা ও পারিশ্রমিক ছাড়াই তারাবির নামাজ পড়াচ্ছেন ফেনীর এত্যিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামেয়া রশিদিয়া মাদ্রাসার ১৩’শ হাফেজ। তারা সবাই এ মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, রমজান মাস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও ফেনীর ও আশপাশের জেলার ৬ শতাধিক মসজিদে কোনো রকম বেতন-ভাতা ছাড়া, বিনামূল্যে খতমে তারাবির নামাজ পড়াচ্ছেন ফেনীর জামেয়া রশীদিয়া মাদ্রাসার ১৩’শ হাফেজ শিক্ষার্থী।

মুফতি শহীদুল্লাহ আরো বলেন, ছাত্ররা তাদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে খতম তারাবির নামাজ পড়ায়। ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীও চাঁদপুরে অবস্থিত প্রায় ৬ শতাধিক মসজিদে (প্রতি মসজিদে ২ জন করে) প্রায় ১৩’শ জন হাফেজ নির্ভুলভাবে নামাজ পড়ান। (সূত্র : বাংলানিউজ)
মাদ্রাসাটির শিক্ষক মাওলানা আবদুল হাই জানান, ফেনী সদর উপজেলার লস্করহাট জামেয়া রশিদীয়া মাদ্রাসা ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৭ একর এলাকায় অবস্থিত এ মাদ্রাসাটির মোট ছাত্র ৪ হাজার ৮’শ ১৫ জন, এর মধ্যে আবাসিক ছাত্র ৩ হাজার ৯’শ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১’শ ১৫ জন, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১৬ জন, বাবুর্চি ২১ জন। কেউ অর্থের বিনিময়ে খতম তারাবির নামাজ পড়ালে তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নামাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে এ সেবা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
(amadershomoy)

লিউনা হক: জীবনে প্রথম বেতন পাওয়ার খুশিতে তিনটি ১০০ রুপীর নোট উড়িয়ে দুরন্ত বেগে ছুটে চলছে ১৬ বছর বয়সী নিশা। তীব্র তাপদাহের কারণে ভারতের নির্বাচনে এই প্রথমবারের মতো অসমর্থ ও বয়স্ক ভোটারদের ভোটদানে সহযোগিতা করার কাজে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘন্টা কাজ করে ৩০০ রুপী আয় করছে ভারতের স্কুল শিক্ষার্থীরা। হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি

নতুন দিল্লির নির্বাচনকেন্দ্রের নির্মান ভবনের দুইটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জন্য অপেক্ষার সময় নিশা বলেন, ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে শুরু করে গাড়িতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত কিছু দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহযোগিতার কাজে নিয়োজিত আমি। অনেক বয়স্ক নাগরিক এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে আমাকে আশীর্বাদ করেন।এই প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন দিল্লীর সকল সরকারি স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ভলান্টিয়ার হিসেবে সহযোগিতা করার তালিকা করেছে।
গত ২ মে আমাদেরকে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমরা কিভাবে দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করব, চলাচলে অক্ষম ভোটারদের কিভাবে হুইল চেয়ার থেকে তুলে ভোট দেওয়াব সবকিছুই খুব সুন্দর করে আমাদের বলা হয়েছে, বলে জানায় নিঘাত নামের আরেক শিক্ষার্থী।
পাওয়ান সিং নামে নেহেরু যুব কেন্দ্রের ভোটকেন্দ্রে এক ক্ষুদে ভলান্টিয়ার নির্বাচন কমিশনের তালিকাবদ্ধ অসমর্থ ও চলাচলে অক্ষম ভোটারদের ফোন দিয়ে জানতে চায় ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য তাদের কোন সহযোগিতা দরকার কিনা। সে আরো বলে, আমরা প্রায় ৫৭ জন ভোটারকে ফোন দিয়ে এই সুবিধার কথা বলেছি। আমরা তাদের বাড়িতে ভলান্টিয়ার পাঠাই। যাদের হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসতে হয় তাদের যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করি। প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটারকে আমরা ফোন দিয়েছি ভোট দিতে আসার জন্য।
(amadershomoy)

রমজান আলী : ফলন ভাল হলেও রোদের উত্তাপে ফেটে যাচ্ছে লিচু। এত লোকসানের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ফরিদপুরের চাষিরা। যার কারণে ভাল ফলন হলেও হাসি নেই চাষিদের মনে।
মধুখালী উপজেলার জাহাপুর, বোয়ালমারীর কাদিরদী ও সদর উপজেলার চানপুর এলাকার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, বহু লিচু ফেটে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে। তাছাড়া লিচুর গায়ে কালো দাগ দেখা দিয়েছে।
জাহাপুর গ্রামের চাষি মো. রাশেদুল ইসলাম বাবু বলেন, বাগানে কীটনাশক, সার ও ওষুধ ব্যবহার করেও লিচু রক্ষা করা যাচ্ছে না। এছাড়া দুশ্চিন্তার কথা জানালেন একই এলাকার কলেজশিক্ষক লিচু চাষি সেলিম ভূঁইয়া।

বোয়ালমারীর কাদিরদী গ্রামের মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে লিচু চাষে বেশি লাভ হওয়ায় বেশি করে বাগান করেছি। তাছাড়া এ অঞ্চলে কৃষকের আয়ের অন্যতম উৎস লিচু। বেশ কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখলেও এবারে পুঁজি তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
সদর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু জানান, পাঁচ-ছয় বছর ধরে তার এলাকায় অনেক লিচুবাগান গড়ে উঠেছে।চলতি মৌসুমের শুরুতে বেশ ভাল ফলন ছিল। শেষ সময়ে এসে প্রচন্ড তাপদাহে লিচু ঝরে যাচ্ছে।বিষয়টি তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগকে অবহিত করেছেন বলে জানান।ফরিদপুরের কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কান্তি চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “প্রচন্ড তাপদাহের কারণে লিচুর গায়ে কালো দাগ দেখা দিচ্ছে, ফেটে যাচ্ছে, ঝরে পড়ছে।
এ অবস্থায় ডায়বেন এন৪৫ অথবা টিল্ট পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে কমপক্ষে তিনবার। এছাড়া খরা বাড়লে গাছে সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে। তাপদাহের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই হয়। গাছে যত্ন নিতে হবে।
ফরিদপুরে এ বছর ৩০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় ফরিদপুরে প্রতি হেক্টরে আট মেট্রিকটন লিচু উৎপাদিত হয়। এগুলো রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা কিনে নিয়ে যান । তবে ফরিদপুরে স্থানীয় জাতের লিচু আগে পাকে বলে এখানকার চাষিরা ভাল দাম পান বলে তিনি জানান।
(amadershomoy)

আল-আমিন : মালয়েশিয়ার কেলান্তানে অবস্থিত মাহমুদী মসজিদের সিনিয়র ইমামের দায়িত্ব পালন করেন বাহরিন ইউসুফ। সম্প্রতি মসজিদে শিশুরা নিয়মিত নামাজ পড়লে সাইকেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। নিউ স্ট্রাইট টাইমস রিপোর্ট এর বরাত দিয়ে ইসলামভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন এবাউট ইসলাম এ খবর দিয়েছে।

বাহরিন ইউসুফ বলেন, শিশুদের নামাজের প্রতি উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেকে অনেককিছু করি। শিশুদের শিশুবয়স (০৭ বছর) থেকেই নামাজের শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রিয় নবী সা. নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুলের বাণীকে বাস্তবায়নের জন্য আমি এমন উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, ‘যারা ফজর, মাগরিব ও এশার নামাযের জন্য পূর্ণ উপস্থিতি প্রদর্শন করবে তারা সাইকেল পাবে। প্রাথমিকভাবে তারা সাইকেল পাওয়ার জন্য মসজিদে আসবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নামাজের প্রতিও তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
গত বছর শতাধিক শিশু এই ইভেন্টে অংশ নিয়ে পুরস্কার নিয়েছিল। চলতি বছর যারা শর্ত পূরণ করবে তারা প্রত্যেকেই একটি সাইকেল জিতবে। ২৮ তম তারাবির দিন সবাইকে পুরস্কার বিতরণ করা হবে বলে জানান বাহরিন ইউসুফ। গত বছর ইভেন্টে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ হাকি বলেন, আমি গতবছর এ ইভেন্টে অংশ নিয়ে পুরস্কার পেয়েছি। বর্তমানে সাইকেলটি আমার কাছে আছে। এই ঘোষণার পর মসজিদে শিশুদের উপস্থিতি অনেক বেড়ে গেছে বলে নিউ স্ট্রাইট টাইমস জানিয়েছে। মুহাম্মদ নামে এক মুসুল্লি বলেন, আমি আমার বন্ধুদের বিনামূল্যে সাইকেল উপহার সম্পর্কে বলেছি, যেন তারাও মসজিদে আসতে পারে। সম্মিলিত নামাজ আদায় আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি।
ম্যাগাজিনটি জানায়, নামাজ পড়ে সাইকেল লাভ মালয়েশিয়াই প্রথম নয়। তবে সেখানে ভিন্ন রকমের সাড়া পড়েছে। এরকম ঘোষণার মাঝে রয়েছে, ২০১৮ সালে মিশরের আল-বেহিরার একটি মসজিদ। সেখানে এমন প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হলে নামাজে শিশুদের আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়। সর্বপ্রথম প্রতিযোগিতার এ ধারণাটি ইস্তাম্বুলের ফাতিহ মসজিদ চালু করেছিলো। তারাই প্রথম বাচ্চাদের জন্য উপহার বাইসাইকেল সরবরাহ করে।
(amadershomoy)

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে যুবকদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘সাহসী যুবকরা আন্দোলনে নামলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।’
রাজনীতিতে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়ার তিন যুগপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম। ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।


দলীয় প্রধানসহ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এত নির্যাতনের পরও বিএনপি বড় দল হিসেবে টিকে আছে, এটা শুধু সম্ভব হয়েছে বেগম জিয়ার নেতৃত্বের কারণে। তিনি কিন্তু একটা ফরমায়েশি রায়ে আজ অন্ধকার কারাগারে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘সাহসী যুবকেরা আন্দোলনে নামলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন।’
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ঠাঁই পাওয়া একটি ছবির দিকে ইঙ্গিত করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার দুর্লভ ছবি প্রমাণ করে, তিনি ছিলেন আপসহীন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন লড়াইয়ের ময়দানে পেছনে, আমাদের বয়স হয়েছে, আমরা লড়াইয়ে সৈনিকদের সঙ্গে আছি। বেগম জিয়া তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত দল সামলেছেন। আপসহীন নেতৃত্ব দিয়ে দলকে মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন। ৯১ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি পুনরায় খুব দ্রুত ক্ষমতায় আসে।’
ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জয়যাত্রার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ ।
(jagonews24)

রমজানের চতুর্থ দিন আজ, শুক্রবার। রোজার এক সপ্তাহও এখনও পার হয়নি, ফলে ঈদের কেনাকাটা এখনও সেভাবে জমে না উঠলেও শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দিনটাকে নষ্ট করতে চাননি অনেকেই।
শপিংমলগুলোর তুলনায় ফুটপাত ও সাধারণ মার্কেটে কেনাকাটার তোরজোড় আজ একটু বেশি ছিল। দোকানিরা বলছেন, ছুটির দিন শুক্রবার থেকেই যেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের বেচাকেনা শুরু হলো। ১৫ রোজার পর থেকে পুরোদমে শুরু হবে ঈদের বিক্রি।

তবে দোকানিরা ইতোমধ্যে ঈদকে সামনে রেখে তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছেন। তারা বলছেন, শবেবরাতের পর থেকে দোকান মালিকরা মালামাল আনতে শুরু করেন, পয়লা রোজার আগেই তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানই ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে। দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙের-ঢঙের পণ্য।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ফুটপাত দিয়ে হাঁটার উপায় নেই। ঈদের ব্যবসা শুরু হয়েছে কি-না জানতে চাইলে নূর ম্যানশন শপিং সেন্টারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঈদের বেচাকেনা এহন শুরু না অইলে কহন অইব।’
ফুটপাতের জুতা বিক্রেতা আলমগীর জানান, ঈদকে সামনে রেখে তাদের বেচাবিক্রি শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের ভিড় একটু বেশি। তবে গত বৃহস্পতিবারও ভিড় ছিল, সেটা শুক্রবারের তুলনায় একটু কম।
বাড্ডা থেকে নিউ মার্কেট এলাকায় পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন হুমায়ূন কবীর, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। কবীর বলেন, ‘ঈদের আগ মুহূর্তে কেনাকাটা করা ঝামেলার। তাই এখনই কেনাকাটা করতে এসেছি।’
সকালে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সকালেই ক্রেতাদের মোটামুটি উপস্থিতি। দোকানিদের দাবি, শুক্রবার ক্রেতার উপস্থিতি একটু বাড়তিই থাকে। সেই সঙ্গে সামনের ঈদ বাড়তি মাত্রা যোগ করলেও বেচাবিক্রি প্রত্যাশিত না।
ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেনের দাবি, ‘ঈদের কেনাকাটা এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। অন্যবার যাও কম-বেশি বেচাকেনা হয়, এবার সেটাও হচ্ছে না। গরম বেশি থাকার কারণেও সেটা হতে পারে। আশা করছি, আজ (শুক্রবার) থেকেই ঈদের বেচাকেনা শুরু হবে।’
ওয়েস্টিনের ম্যানেজার মো. মামুন বলেন, ‘ঈদের প্রভাব পড়েছে হালকায়। তবে পুরোদমে ঈদের কেনাকাটা শুরু হবে ১৫ রোজার পর থেকে।’ ফুটপাত ও সাধারণ মার্কেটের তুলনায় শপিং মলে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
রাজধানীর ওয়ারি থেকে ছেলে নাবিলকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন লতা নামে এক নারী। লতা বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করতেই এসেছি। এই সময়টাতে দোকানগুলো হালকা ফাঁকা থাকে। সময় নিয়ে ঘুরেফিরে পছন্দের জিনিসটা কেনা যায়। পছন্দ হলে আজকেই অনেক কিছু কিনে নিয়ে যাব। আর না হলে আগামী সপ্তাহে আবার আসব।’
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget