Latest Post

নিউজ ডেস্ক :  ‘আমি এখানে দাঁড়িয়েছি প্রথমত একজন মা হিসেবে। দ্বিতীয়ত, আমি মনে করি আপনাদের মতো আমিও একজন তরুণ। কারণ আমার মধ্যে একটা পাগলামি আছে। তৃতীয়ত, আমি একজন উদ্যোক্তা।’ কথাগুলো রুবানা হকের, যিনি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নবনির্বাচিত সভাপতি ও মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবের জাতীয় উৎসবে অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি।-প্রথম আলো

তরুণদের পরামর্শ দিতে গিয়ে মা-বাবা, পরিবারের কাছাকাছি থাকার ওপর জোর দেন রুবানা হক। তিনি মনে করেন, বন্ধুরা মানুষের জীবনে অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। কিন্তু সবার আগে মা-বাবা-পরিবার। ‘আপনাদের মধ্যে কজন মা-বাবার কাছে সব সময় সত্য কথা বলেন? হাত তুলুন।’ তরুণদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। মিলনায়তনজুড়ে বসে থাকা অনেক তরুণের উঁচু করে তোলা হাতগুলো একবার দেখে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সফলতার অর্ধেকটা পথ আপনারা পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন।’ পরে রুবানা নিজেই বলেন, ‘মা-বাবাকে মিথ্যা বলে কিন্তু বেশি দূর যাওয়া যায় না। যা-ই করতে যাবেন, মা-বাবা প্রথমেই হয়তো বলবেন এটা না করলে হয় না? অথবা এটা করে সময় নষ্ট করছ। কিন্তু, তাঁদের বোঝাতে হবে। বারবার বসতে হবে। আদর করতে হবে। জড়িয়ে ধরতে হবে। মা-বাবার সঙ্গে কখনো যেন দূরত্ব তৈরি না হয়। রুমের মধ্যে বন্দী হয়ে বসে থাকবেন না।’
তরুণদের অনুপ্রেরণা দিতে গিয়ে স্বামী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কথা স্মরণ করেন রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী আনিসুল হক ৮ মাইল হেঁটে স্কুলে যেতেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। দেশ গ্রুপে চাকরি নিয়েছিলেন। ট্রাকের পেছনে উঠে মাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে যেতেন। এই হলো তাঁর শুরু।’ রুবানা হকের পুরো বক্তৃতা অনুপ্রেরণা দিয়েছে তরুণদের। কথার মাঝখানে তাঁকে বারবার বিরতি নিতে হয়েছে, তরুণদের হাততালি থামার অপেক্ষায়।
বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে তরুণদের পাশে থাকবেন বলে কথা দেন রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘তোমরা দল বেঁধে আসো। আমাদের কারখানাগুলো ঘুরে দেখো। দারুণ কোনো আইডিয়া দাও। কীভাবে আমরা আরও ভালো করতে পারি, বলো।’ তরুণদের জন্য একটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা আয়োজনের ইচ্ছের কথা বলেন তিনি।
সারা দিনব্যাপী আয়োজিত তারুণ্যের জয়োৎসবে এসেছিলেন নানা ক্ষেত্রের সফল মানুষেরা। বিভিন্ন আলোচনা, কর্মশালা, সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দেশ থেকে আসা তরুণেরা যতটা সম্ভব এই সুযোগ কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছেন।
(amadershomoy)

ইসলাম ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিকে তারাবির নামাজ আদায় করার উপযোগী, সুন্দর, পরিপাটি ও সুগোছালো করে সাজানোর জন্য হারামাইন শরিফাইন কমিটিকে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সরকারী সংবাদ সংস্থা ‘এস পি এ’ জানিয়েছে, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে শুধু রমজান উপলক্ষে অন্যান্য শাখা থেকে বাছাই করে আলাদাভাবে দশ হাজার পুরুষ ও মহিলা কর্মীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে প্রতিদিন মসজিদ, টয়লেট, ওজুখানা, বাইরের মাঠসহ ও মসজিদ সীমানার অন্তর্ভূক্ত জায়গাকে যত্মসহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ও ঝাড়ু-মোছার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। (সূত্র : আওয়ার ইসলাম)

হারামাইন শরিফাইন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শায়খ আব্দুর রহমান বিন আব্দুল আজীজ আস সুদাইস বলেন, মসজিদ পরিস্কার প্রকল্পটি বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রশাসনিক বিভাগ, সিটি কর্পোরেশন বিভাগ, শিক্ষা, কারিগরী ও সামাজিক বিভাগকে এ বিষয়গুলোতে রমজান মাসে বিশেষ মনোযোগ দিবে আমাদের সরকার।
মসজিদ পরিস্কারে অত্যাধুনিক স্পিড গাড়ী ও মানব শ্রমিক রাখা হয়েছে। তারা বিশেষ প্রক্রিয়ায় এ কাজ আঞ্জাম দিবে। মসজিদুল হারামে ২৮ টি বৈদ্যুতিক ইউনিট ২৪ ঘন্টা কাজ করবে। একইভাবে মসজিদে নববিতেও মুসুল্লিদের সুবিধার্থে চারটি পৃথক বৈদ্যুতিক ইউনিট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অক্ষম লোকদের মসজিদে প্রবেশের জন্য ৩৮ টি পৃথক রাস্তা ও মহিলাদের প্রবেশের জন্য সাতটি পৃথক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া পবিত্র রমজানে মসজিদ পরিচালনা কমিটি কর্তৃক কুরআন শরিফ, বিভিন্ন ভাষার ধর্মীয় বই ও জুমআর খুতবার অনুবাদ বিতরণ ও আল্লাহর মেহমানদেরকে নিজ নিজ ভাষায় হেদায়াতি বয়ান পেশ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উভয় মসজিদে নিরবাচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এস পি এ আরো জানিয়েছে, হারামাইন শরিফাইন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এ বছরের সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে, হজ ও উমরা পালন করতে আসা লোকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
নির্বিঘ্ন ইবাদাত পালনের ব্যবস্থা করা হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আল্লাহ মেহমানদের যথাযথ সুবিধা প্রদান করা হবে।
(amadershomoy)

স্বপ্না চক্রবর্তী : ৪ মে সকালে বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুরের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফনী বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। আর আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, যদি ‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানে তাহলে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।

বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণী বিষয়ক জরুরী এক বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। বর্তমানে ফণী ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার গতিতে অতিক্রম করছে। কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১৮০ থেকে ২০৫ কিলোমিটার। ১৯ জেলা ও তার প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফণীপ্রবণ এলাকায় সব সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, পুলিশ, আনসারসহ সব স্বেচ্ছাসেবকদের।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, রংপুর হয়ে দিনাজপুরের দিকে যেতে পারে। সেই সঙ্গে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে। প্রস্ততি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এনডিআরসি প্রতিনিয়ত সংবাদ দিয়ে যাচ্ছে। রেডক্রিসেন্টের কন্ট্রোলরুমও খোলা হয়েছে। উপকূলীয় আর্মি স্টেশনগুলোতেও ঢাকা থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্থ করেছেন তারা প্রস্তুতি রেখেছেন।
তিনি বলেন, সিপিপির ৫৬ হাজার ভলান্টিয়ারকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুত আছে। তারা ইতোমধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন। মানুষের অন্ন-বস্ত্র চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এসব জেলার প্রশাসকদের কাছে দুইশ মেট্রিকটন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে পাঁচ লাখ করে টাকাও দেওয়া আছে। একইসঙ্গে ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
স্যালাইনের সুপেয় পানির জন্য পানির ট্রাক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ লন্ডনে যাওয়ার আগে তার মুখ্য সচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আশাকরি হতাহতের ঘটনা আমরা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৪ এপ্রিল গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট হওয়া লঘুচাপে জন্ম নেওয়া এ ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে মহাপ্রলয়ংকারী রূপ নিয়ে গভীর সমুদ্রেই রয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দর থেকে তা এক হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল ফণী তামিলনাড়ু উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে। কিন্তু এখন তা উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রমের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পশ্চিমা বায়ুর ঘূর্ণায়নে তা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে।
বৈঠকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, শক্তিশালী ফণী যদি গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি মোংলা হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানে তাহলে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আর যদি এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা হয়ে আমাদের দেশে আসে তাহলে তা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকবে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর এলাকাগুলোতে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এটা ৫, ৬ বা ৭ নম্বর সংকেতে উন্নীত হতে পারে। এই বিপদ সংকেত বেড়ে যদি ৮, ৯ বা ১০ এ উন্নীত হয় তাহলে তা হবে মহাবিপদ সংকেত।
(amadershomoy)

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। এক ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, ওই থানার এসআই খোরশেদ আলম, পিএসআই শামসুদ্দোহা ও কনস্টেবল নূর আলম। এ ছাড়া ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মনিরুজ্জামান ও এসআই এনায়েত হোসেনকে-২ সতর্ক করা হয়েছে।

বুধবার জয়দেবপুর থানা পুলিশের ওসি আসাদুজ্জামান জানান, গাজীপুরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুুলিশের তিন সদসস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ব্যবসায়ী আশরাফুল আলমকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ওই তিন পুলিশ সদস্য আটক করে থানা নিয়ে দুই লাখ টাকা আদায় করে। এ ঘটনায় তিনি গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার তদন্ত শেষে তিন পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন।

(jagonews24)

মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে নানা দাবি নিয়ে রাজপথে সরব হয়েছে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর প্রেস ক্লাব, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শ্রমিকরা জমায়েত, মানববন্ধন, মিছিল ও র‌্যালির মাধ্যমে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরছেন।
মিছিল, ব্যান্ড পার্টি, বাদ্য-বাজনার সঙ্গে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে তাদের। শ্রমিকদের হাতে লাল-পতাকা গায়ে লাল টি-শার্ট, কারো গায়ের টি-শার্টের রং সাদা। আশপাশের আকাশে-বাতাসে স্লোগান ভাসছে- ‘দুনিয়ার মজদুর, এক হও।

জিরো পয়েন্টে পীর ইয়ামেনী মার্কেটের বিপরীত দিকে মানববন্ধনে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনকে দাঁড়াতে দেখা যায়। সেখানে ছিল বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোট ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সেখানে বক্তব্য দেন শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল কাদের হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হায়াত খান বাদল।
তারা পোশাক শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি শতভাগ নিশ্চিত করা, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস চালু, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার দাবি জানান।
একই স্থানে নবাবপুর দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা দোকান প্রতিষ্ঠান আইন বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন।
হালকা মোটরযান চালকরা ৯ দফা দাবি তুলেছেন। তাদের দাবির মধ্যে রযেছে- নিয়োগপত্র দেয়া, ন্যূনতম বেতন ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, যখন-তখন চাকরিচ্যুত না করা, সপ্তাহে একদিন ছুটি, দু’টি ঈদে বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দেয়া ইত্যাদি।
গুলিস্তান এলাকায় মিছিল করেছে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক লীগ। এই সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হানিফ সরদার নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য বার্ধক্য তহবিল গঠন করে পেনশন স্কিম চালুর দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচয়পত্র দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
র‌্যালি করেছে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক। সংগঠনের নেতারা গৃহকর্মীদের জীবনযাপনের উপযোগী মজুরি নির্ধারণ করে প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে তা পরিশোধের ব্যবস্থা, ১৮ বছরের কম হলে গৃহকর্মে নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সঙ্গে এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হলে নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। গৃহকর্মীদের ঘুম, বিশ্রাম ও বিনোদনের ব্যবস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ছুটির সুযোগ দেয়া; সন্তান সম্ভবা গৃহকর্মীকে প্রসূতিকালীন ছুটি হিসেবে মোট ১৬ সপ্তাহ সবেতনে ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের পশ্চিম পাশে ট্রাকের অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করছিল বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ নামের একটি শ্রমিক সংগঠন। তারা আইনি সুরক্ষা দিয়ে ২০ হাজার টাকা জাতীয় ন্যূনতম মজুরি করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা রমজানের অজুহাতে ছাঁটাই নির্যাতন বন্ধ করে বকেয়া মজুরি, বছরে দু’টি উৎসব বোনাস দেয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে সারা এই খাতের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা ও শ্রম আইন কার্যকরের দাবিও জানান।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঘিরে আওয়ামী লীগের শ্রমিক সংগঠনগুলোকে সভা-সমাবেশ করতে দেখা গেছে। দলটির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের জমায়েত হয়, জমায়েত শেষে হয় র‌্যালি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরকার দলীয় শ্রমিক সংগঠনগুলোর কর্মীদের বাস-ট্রাকে করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আসতে দেখা গেছে। জিরো পয়েন্টে জিপিও-এর গেটের বিপরীত দিকে হয়েছে জাসদের সমাবেশ
(jagonews24)

অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ভয়ঙ্কর রূপে এই শক্তির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাণ্ডব লীলা দেখাতে পারে এই ঝড়। ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু বলছে, ১৯৭৬ সালের পর এতো শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি এই অঞ্চল।
শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘ফণী’র। শক্তি সঞ্চয় করে ধীর গতিতে বঙ্গোপসাগরে ঘোরপাক খাওয়া এই ঝড়ের তাণ্ডবে একেবারে ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে ভারতের তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী ৪ মে (শনিবার) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ তাণ্ডব চালাতে পারে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায়। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এসব জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু ও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলেছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপত্তমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার ও পুরি থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গত ৪৩ বছরে অর্থাৎ ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে যতগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে তার কোনোটি কখনই এতো শক্তিশালী আকার ধারণ করেনি।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ সাধারণত ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এই ঝড় যে কোনো সময় সৃষ্টি হতে পারে। তবে সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শেষে অথবা মে মাসের দিকে এমন ঝড় দেখা দিলেও বেশিরভাগই নভেম্বরে হয়।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের মহাপরিচালক কে জি রমেশ বলেন, এ ধরনের ঝড় বৈশ্বিক উষ্ণতা পরিবর্তনের ফল। বঙ্গোপসাগরের বায়ুমন্ডলের পরিবর্তনের কারণে এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে...। বৈশ্বিক উষ্ণতার সঙ্গে এখন আমাদের এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি এবং পূর্ব সতর্কতা নিতে হবে। তবে এই ঝড়ের কারণে আগাম বর্ষা শুরুর সম্ভাবনা নেই।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের ঘূর্ণিঝড়-পরিসংখ্যান শাখা বলছে, ১৯৬৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে মোট ৪৬টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছিল অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। এছাড়া সাতটি মে মাসে এবং ১৯৬৬ ও ১৯৭৬ সালে মাত্র দুটি ঝড় সৃষ্টি হয় এপ্রিল মাসে।
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ধ্বংসাত্মক শক্তি সঞ্চয় করে বুধবার দুপুরের দিকে সাগরের সামান্য উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘ফণী’র। প্রত্যেক বছর বিশ্বে মাত্র ২০ থেকে ৩০টি ঘূর্ণিঝড় এ ধরনের প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে আছড়ে পড়ে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রবল শক্তি ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে ৩ মে। এ সময় ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে।
ফণী দীর্ঘ সময় ধরে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ২৫ এপ্রিল থেকে বঙ্গোপসাগরে শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এত দীর্ঘ সময় ধরে গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় কোনো ঝড়ের শক্তি সঞ্চয় খুব বেশি দেখা যায় না। সাধারণত এক সপ্তাহ শক্তি সঞ্চয়ের পর ঝড়ো-বাতাসের সঙ্গে দুর্বল হয়ে যায়।
আগামী ৩ মে মধ্যে প্রবল বেগে ভারতের ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে ফণী। ইতোমধ্যে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ভারতের এসব রাজ্যে আশ্রয় কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতেও আঘাত হানতে পারে এই ঝড়। এ জন্য পূর্ব সতর্কতা হিসেবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া রুটে নৌ-চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফণী মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় ২ হাজার ৭৩৯ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের সব সরকারি কর্মকর্তাকে স্থান ত্যাগ না করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এখনো ছুটি বাতিলের কোনো নির্দেশনা আসেনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, প্রবল শক্তি সঞ্চয়কারী এই ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
তবে আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ঝোড়া হাওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ‘ফণী’ সুপার সাইক্লোনের একধাপ আগের স্তরের ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
(jagonews24)

সর্বশেষ মৌসুমে বাংলাদেশে চা উৎপাদনের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে। চায়ের মৌসুমে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ কেজি। তবে এ মৌসুমে চা উৎপাদিত হয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ কেজি যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন ৯৭ লাখ কেজি বেশি। চা-শিল্পের এত উন্নতি হলেও বদলায় না চা-শ্রমিকদের জীবন।
সারাদিন কাজের পর একজন চা-শ্রমিকের আয় হয় ১০২ টাকা। নেই নৃতাত্ত্বিক ও জাতিগত পরিচয়। লেখাপড়ার সুযোগ নেই, নেই স্যানিটেশনও। চিকিৎসার অভাবে মারা যান অনেকে। শিক্ষিত হলেও ১০২ টাকা রোজের নির্দিষ্ট কাজ করতে হয়। নয়তো হারাতে হয় মাথা গোঁজার জায়গা। কাজ করতে গিয়ে আহত হলে কোনো সাহায্য নেই। নিজের অধিকার নিয়ে যেন সোচ্চার হতে না পারে সেজন্য মালিকপক্ষের সহযোগিতার নেশার ঘোরে রাখা হয় শ্রমিকদের। পরিকল্পিতভাবে প্রতিটি চা-বাগানে আছে মদের দোকান।

এমনি এক হতভাগা জনগোষ্ঠী চা-শ্রমিকরা। ব্রিটিশ শাসনামলে সুন্দর জীবনযাত্রার লোভ দেখিয়ে বঙ্গভূমিসহ বিভিন্ন স্থানে আনা হলেও শুরু থেকেই চা-শ্রমিকদের কপালে জুটেছে শুধু অবহেলা-নির্যাতন। তারা যেন ডিজিটাল যুগের আধুনিক ক্রীতদাস।
স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও চা-বাগানের শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি তাদের জীবনযাত্রায়। এমনকি মৌলিক অধিকারও তারা ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। দেশে মোট চা-বাগান ১৬৪টি। চা-বাগানের প্রায় ১০ লাখ জনগোষ্ঠী এখনো ব্রিটিশ সামন্তবাদ আর স্থানীয় বাবু-সাহেবদের বেড়াজাল ছিন্ন করতে পারেননি।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সূত্রমতে, দেশে চা-জনগোষ্ঠী প্রায় ১০ লাখ। এর মধ্যে নিবন্ধিত শ্রমিক প্রায় ৯৪ হাজার। অনিয়মিত শ্রমিক প্রায় ৪০ হাজার। একজন চা-শ্রমিকের সাপ্তাহিক বেতন ৫৯৫ টাকা। সপ্তাহে দেয়া হয় ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম চাল বা আটা (বাজার দর হিসেবে যে পণ্যের দাম কম)।

৫-৬ সদস্যের অনেক পরিবার আছে যেখানে একজন কাজ পাচ্ছেন বাকিরা ১০২ টাকার ওপর নির্ভর করেই দিন চালাচ্ছেন। ছোট একটি ভাঙা ঘরে থাকতে হয় গবাদি পশুসহ সন্তানদের নিয়ে। বাগান কর্তৃপক্ষের ঘর মেরামত করে দেয়ার কথা থাকলেও তা হয় না বছরের পর বছর। তাদের নেই নিজস্ব কোনো জায়গা। বাগানে কাজ না করলে থাকার জায়গাও হারান কেউ কেউ।
২০১৬ সালের চুক্তি অনুসারে একজন শ্রমিককে অবসর ভাতা হিসেবে যত বছর কাজ করেছে তার মোট বছরের গড়ে দেড় মাসের বেতন হিসেবে পেনশন দেয়ার কথা। কিন্তু সেটা শুধু কাগজে কলমে। বৃদ্ধ বয়সে পরিবারের বোঝা হয়ে অর্ধাহার-অনাহারে বিনাচিকিৎসায় মরতে হয় তাদের। মাত্র কয়েকটি বাগানে নামমাত্র চিকিৎসাসেবা দেয়া হলেও বেশিরভাগ বাগানে সেটিও নেই।
চা-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এত কষ্টের মাঝেও তাদেরকে সব থেকে বেশি কষ্ট দেয় যখন সমাজের বিরাট অংশ বলে তারা ভারতীয়। যখন তারা বঙ্গে আসেন তখন ভারতবর্ষ ভাগ হয়নি। তারা শুধু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেছেন। সুতরাং তারা এই দেশের নাগরিক। সবারই নিজস্ব জাতি পরিচয় থাকলেও চা-শ্রমিকের সেটি নেই। তাদের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি থাকলেও কোনো স্বীকৃতি এখনো আদায় করতে পারেননি।
একজন শ্রমিককে বাগান ভেদে ১৬ থেকে ২৫ কেজি চা-পাতা তোলার দৈনিক টার্গেট দেয়া হয়। তা তুলতে না পারলে সারাদিন বৃথা। কিন্তু টার্গেটের থেকে যদি কেউ বেশি তোলেন তার জন্য আলাদা কোনো টাকা দেয়া হয় না।
এত বঞ্চনার পরও তারা কেন প্রতিবাদী হতে পারেন না এমন প্রশ্নের জবাবে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাম ভোজন কৈরী বলেন, আমাদের কষ্টের কথা বলে শেষ করা যাবে না। নিজেদের ভালোমন্দ বুঝে শ্রমিকরা যেন ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে সেজন্য মালিকপক্ষের পরোক্ষ সহযোগিতায় মদের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করে তাদের মাতাল করে রাখা হচ্ছে। একজন চা-শ্রমিক বাগানে কাজ না করলে তাকে বাগানে থাকতে দেয়া হয় না। অথচ প্রায় প্রতিটি বাগানে নিম্নমানের মদের দোকান আছে, যাদেরকে কোনো কাজ ছাড়াই থাকার জন্য জায়গাসহ সব ধরনের সুযোগ করে দিচ্ছে বাগানের মালিকপক্ষ।
বাংলাদেশ চা-সংসদ সিলেট ভ্যালির সভাপতি জিএম শিবলী বলেন, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ চলছে। প্রতিটি বাগানে প্রাথমিক স্কুল স্থাপন করা হচ্ছে।
চা-বাগানে মদের দোকান প্রসঙ্গে জিএম শিবলী বলেন, এগুলো সরকার থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। এতে কোনো সমস্যা নেই।
(jagonews24)

দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন, শিল্পায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় শিল্পকারখানা মালিকদের পাশাপাশি শ্রমিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি উন্নয়নের শপথ করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মলেন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, শিল্পকারখানা যাতে ভালভাবে চলতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে। শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। একই সঙ্গে শিল্প কারখানার মালিক পক্ষকেও মনে রাখতে হবে, শ্রমিকরা হচ্ছেন শিল্পায়ন, উন্নয়ন, সমৃদ্ধির প্রাণশক্তি। তাদের কারণে দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই শ্রমিকরা যাতে অধিকার বঞ্চিত না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম না কি বলেছেন- দেশের মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে। যারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, আরেকবার আফ্রিকার একটি দেশের সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। এ ব্যাপারে তো তাদের কথা বলারই অধিকার নাই। ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি নেতাদের বলব, এই ধরনের কথাবার্তা বন্ধ করে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করুন। দেশকে পিছিয়ে নেবার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে আসুন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দিচ্ছে তখন তাদের গাত্রদাহ হবে এটাই তো স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, এই বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে কমপক্ষে ১০০ পরিবহন চালককে, শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বাসে-ট্রাকে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে, মিল-করখানায় আগুন দিয়েছে। তাদের মে দিবস নিয়ে, দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার অধিকার নাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রম বিধিমালা ২০১৫ তৈরি করা হয়েছে, বাস্তবায়ন করা হয়েছে উন্নত মজুরি কাঠামো। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন ১৬০০ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন কুঁড়েঘর শুধু কবিতায় আছে, বাস্তবে নেই। আকাশ থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার দেখে মনে হয় এটা বাংলাদেশ নয়, অন্যকোনো দেশ। এটাই উন্নয়নের বাংলাদেশ, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক, মন্ত্রণালয়ের সচিব উম্মুল হাসনা, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি রুবানা হক, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুতিয়াইনেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ১০ জন শ্রমিক পরিবারকে সহায়তা ও সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৩ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
(jagonews24)

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উপকূলে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে তা আগামী ৪ মে (শনিবার) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তাই এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
বুধবার (১ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, রংপুর হয়ে দিনাজপুরের দিকে যেতে পারে। সেই সঙ্গে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে। আগামী ৪ মে সকাল নাগাদ এ ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ঘূর্ণিঝড়টি যে ডিরেকশনে আছে সেই ডিরেকশনে যদি এগোতে থাকে তাহলে এটা প্রথমে ভারতের ওড়িশায় আঘাত করবে, এরপর পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করবে। এরপর দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চল হয়ে সাতক্ষীরা অঞ্চলে আঘাত করবে। আর যদি দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে আসে তাহলে খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, চট্রগ্র্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।’
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এনডিআরসি (জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান কেন্দ্র) প্রতিনিয়ত সংবাদ দিয়ে যাচ্ছে। সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) হেডকোয়ার্টার এবং উপকূলীয় ১৯টি জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব জেলার উপজেলা পর্যায়েও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। রেডক্রিসেন্টের কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। উপকূলীয় আর্মি স্টেশনগুলোতেও ঢাকা থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা প্রস্তুতি রেখেছেন। সিপিপির ৫৬ হাজার ভলান্টিয়ারকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুত আছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ইতোমধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এসব জেলার প্রশাসকদের কাছে ২০০ টন চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে ৫ লাখ করে টাকাও দেয়া আছে। একইসঙ্গে ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্যালাইনের জন্য সুপেয় পানির ট্রাক পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ লন্ডনে যাওয়ার আগে মুখ্য সচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আশা করি মানুষের হতাহতের ঘটনা আমরা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারব। তবে ফসলের ক্ষতিটা রক্ষা করা যাবে না। প্রাণিসম্পদকেও যেন আশ্রয় কেন্দ্রে আনা যায় সেজন্য আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দিয়েছি।’
ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য ছুটি বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে সবাইকে সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, আমরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছি।
বৈঠকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানলে তা হবে ভয়াবহ। এটি বর্তমানে গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এর গতিপথ যেভাবে রয়েছে তাতে প্রথমে এটি ভারতের ওড়িশায় আঘাত করবে, এরপর পশ্চিম বাংলায় আঘাত করবে। কিন্তু এর গতিপথ যদি পরিবর্তন হয়ে সমুদ্রের কোল ঘেঁষে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হাতে তাহলে এটি খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, চট্রগ্র্রাম হয়ে ভয়াবহ আকারে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়া অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের এক অফিস আদেশে বলা হযেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সব শাখা অব্যাহতভাবে ১ মে থেকে খোলা থাকবে।
একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয় ও জরুরি সাড়াদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১ মে থেকে অব্যাহতভাবে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
(jagonews24)

ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ফেসবুকের বিরুদ্ধে নতুন নয়। তবে নতুন খবর হলো ফেসবুকে ঘুরতে থাকা অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকে ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের যে লিঙ্কগুলো আসে, এবার সেগুলোকে একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এই ধরনের একটি অ্যাপ থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

জানা গেছে, ওই অ্যাপগুলোতে যে লিঙ্ক দেওয়া হতো সেখানে ক্লিক করলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সব তথ্য চাওয়া হতো। না হলে ওই লিঙ্ক কাজ শুরু করত না। ফলে অনেকেই ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের জন্য ওই অ্যাপে ফেসবুকে থাকা সব তথ্য দিয়ে দিতেন।
এভাবেই তথ্য চুরি হয়ে যেত ব্যক্তিগত তথ্য। এ জন্য ফেসবুককেই দায়ী করেছেন অনেকে। তাদের বক্তব্য, ফেসবুক ওই সময় তথ্য চুরি ঠেকাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ওই তথ্যগুলো কোথায় ব্যবহার হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকলে আর সমস্যা হত না।
যদিও বছরখানেক আগেই ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী ফেসবুককে আরও সুরক্ষিত করা হচ্ছে।
(jagonews24)


আন্তঃনগর সব ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট এখন থেকে অ্যাপ, মোবাইল ও অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। রোববার ‘রেল সেবা’ নামে মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
জেনে নিন রেল সেবা অ্যাপ দিয়ে যেভাবে ট্রেনের টিকিট কাটবেন-

প্রথম ধাপ
এই ঠিকানা https://play.google.com থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ১৭ মেগাবাইট সাইজের এই অ্যাপটি এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপ
অ্যাপটি খুলে নাম, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, ঠিকানা, পোস্ট কোড, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মতারিখ ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ‌'সাইন আপ' করুন। যদি ওয়েবসাইটে আগেই অ্যাকাউন্ট খোলা থাকে তাহলে সেই মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন।
তৃতীয় ধাপ
Purchase ট্যাবে ক্লিক করুন। এবার From Station ট্যাব থেকে যে স্টেশন থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান তা নির্বাচন করুন। To Station ট্যাব থেকে যে স্টেশনে যেতে চান তা নির্বাচন করুন। Journey Date থেকে ভ্রমণের তারিখ নির্বাচন করুন। এরপর Search Train এ ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপ
এখানে আপনার গন্তব্যের সবগুলো ট্রেনের তালিকা দেখতে পাবেন। তালিকা থেকে পছন্দের ট্রেনের আসন, টিকিট সংখ্যা, পছন্দের সিট (যদি থাকে) নির্বাচন করুন।
পঞ্চম ধাপ
সবকিছু দেখে Pay Now ট্যাবে ক্লিক করুন। বাংলাদেশের যে কোন ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, এমেক্স কার্ড বা বিকাশ দিয়ে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে টিকিট বুঝে নিন।
ই-মেইল থেকে টিকিটের প্রিন্ট নিয়ে নিন। এই প্রিন্ট কপি দিয়েই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। চাইলে নির্ধারিত স্টেশন থেকে প্রিন্ট কপি দিয়ে ট্রেনের প্রিন্টেট টিকিটও সংগ্রহ করে ভ্রমণ করতে পারবেন।
একজন যাত্রী অ্যাপের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট নিতে পারবেন। রেলসেবা অ্যাপটি বর্তমানে সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই আইফোন ভার্সন চালু করা হবে।
(jagonews24)

বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়ালের ইন্টেলিজেন্স) ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষায় এই দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব বলেন। ব্যবসা মধ্যাহ্নভোজন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করার জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে এবং জনগণ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং চেইন নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকছে। আমাদের সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ককে গ্রহণ এবং মডেল করা দরকার।’
আগামীতে বিশ্বে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জগুলো অত্যন্ত কঠিন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষায় এ ধরনের দক্ষতার শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আমির ফরিদ আবু হাসান বলেন, ‘আগামীতে আমাদের প্রথম কাজ হবে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা।’
তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশে শিল্প অটোমেশনয়ের কারণে, বর্তমানে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, পাশাপাশি ঐতিহ্যগত পেশাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।’ ইতোমধ্যে, আসিয়ান দেশগুলোতে অটোমেশনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে; ফলস্বরূপ, বিপুল সংখ্যক লোক বেকার হয়েছে। তিনি সমস্ত গবেষক, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক এবং নাগরিকদের সুস্পষ্টভাবে জ্ঞান অর্জন করার পরামর্শ দেন, যাতে আমরা একটি ভালো ভবিষ্যত তৈরি করতে পারি এবং তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষিত হতে পারি।’
বিএমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নতির যুগ চলছে। যা দ্রুত বিশ্বের ক্রম পরিবর্তন করবে। এগুলো সময় সংবেদনশীল এবং দ্রুতগতিতে বিকশিত হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাই বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে হলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দ্রুত কার্যকর করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন বেসিস-এর সভাপতি ও বিএমসি-এর সহ-সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। প্রতিবেদনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মানসিক দক্ষতা ও উন্নয়নের সময় এসেছে। চাকরিগুলো অটোমেশন ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৫ শতাংশ কাজের মূল দক্ষতা পরবর্তী ৫ বছরে পরিবর্তিত হবে।’ অনুষ্ঠানে বিএমসিসিআই সদস্য, দেশের বিভিন্ন চেম্বারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ব্যাংকারা অংশ নেন।
(jagonews24)

পুঁজিবাজার খারাপ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই- এমন ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, বিনিয়োগকারীরা কেন কোন বিবেচনায় শেয়ার বিক্রি করছে তা আমার মাথায় ঢোকে না।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতি ভালো হবে না। উন্নয়নকে ধরে রাখতে হলে পুঁজিবাজারকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। পুঁজিবাজার খারাপ হবে কীভাবে? আমার মাথায় ঢোকে না।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি কিছুদিন পর একটি বাজেট আসবে। প্রত্যেক দেশেই যখন বাজেট হয় সেই বাজেটে কিছু প্রাধিকার থাকে। পুঁজিবাজারের সঙ্গে লাখ লাখ পরিবার জড়িত। এই লাখ লাখ পরিবারকে বাদ দিয়ে সরকার কখনও এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে না। আপনারা সত্যিকারের যদি বিনিয়োগকারী হন তাহলে কিছু না কিছু ক্ষেত্র থাকবে যেখান থেকে আপনারা লাভবান হবেন।
‘কীভাবে কোন বিবেচনায় আপনারা এখন শেয়ার বিক্রি করছেন তা আমার মাথায় ঢোকে না। যখন শেয়ারের দাম বাড়বে তখন আপনাদের কাছে শেয়ার থাকবে না’ বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকারের যে অগ্রাধিকার জায়গাগুলো রয়েছে তার মধ্যে পুঁজিবাজার অবশ্যই রয়েছে। বাজেট থেকে পুঁজিবাজার অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবে। কিন্তু শেয়ার তো বিক্রি করে ফেলেছেন। আমি আপনার ভালো চাই, শেয়ারবাজারের ভালো চাই। আমি ফেল করার মানুষ না।

দেশের পুঁজিবাজার আরও শক্তিশালী অবস্থায় যাওয়ার দরকার ছিল- এমন মন্তব্য করে তিনি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের পুঁজিবাজার ফলো করেন। ভারতকে ফলো করেন। আমরা মালয়েশিয়াকে ফলো করি, সিঙ্গাপুরকে ফলো করি, তাহলে বিপর্যয় আসার সম্ভাবনা থাকবে না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী অবস্থায় আছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। ডিএসই চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এতে সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বক্তব্য রাখেন।
খায়রুল হোসেন বলেন, স্মল ক্যাপ মার্কেট শেয়ারবাজারের গভীরতা বাড়াতে সহায়তা করবে। আর শেয়ারবাজারে লেনদেন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এই মার্কেটের মাধ্যমে কোম্পানির আয় ও কর্মসংস্থান বাড়বে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে কাজ করবে এবং জিডিপিতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, যারা স্মল ক্যাপের আওতায় শেয়ারবাজারে আসতে চান, তারা এমন উদাহরণ নিয়ে আসবেন-যা পরবর্তীতে এই মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
খায়রুল বলেন, শেয়ারবাজারে কিছু সমস্যা আছে। যেগুলো নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। যিনি শেয়ারবাজার শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজার এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, শেয়ারবাজারের অব্যাহত পতনে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। কিন্তু কেন তাদেরকে রাস্তায় নামতে হলো। এর জন্য কারা দায়ী। তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এটা কোনো ছেলেখেলা না।
তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার আন্তর্জাতিক মানের হবে বলে সাবেক অর্থমন্ত্রী বলতেন। কিন্তু তার কতটা হয়েছে। আর সেই ডিমিউচ্যুয়ারাইজেশনের মাধ্যমে আমাদেরকে ২৫ শতাংশ শেয়ার বেচতে বাধ্য করা হলো। প্রতিটি ২২ টাকা করে বিক্রিতেও বাধ্য করা হলো। পৃথিবীর কোন দেশে এভাবে শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করা করা হয়। এছাড়া শেয়ার বিক্রির সেই টাকাও এখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করা হচ্ছে। বাজারের বর্তমানে অবস্থায় বিনিয়োগ করলে, সেটা আবার হারিয়ে যাবে। এমনিতেই ব্রোকারেজ হাউজ বন্ধ করার উপায়।
তিনি বলেন, গত ৭ বছরে দুর্বল ও পচা কোম্পানি আনা হয়েছে। সেগুলো আবার বিনিয়োগকারীদের খাওয়ানো হয়েছে। সেসব কোম্পানিতে পুঁজি হারিয়ে গেছে। কিন্তু কারা এইসব পচা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে এনেছে। কারা দায়ী। এদেরকে খুঁজে বের করার জন্য আপনি (অর্থমন্ত্রী) একটি কমিশন গঠন করুন। আর ভবিষ্যতে কোনো পচা কোম্পানি যাতে শেয়ারবাজারে না আসে, সেদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নজর দিন।
(jagonews24)

প্রাতিষ্ঠানিক চাপ আর প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থার কবলে পড়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার খবর রোজ আমাদের চোখে পড়ে। কিন্তু ভারতে গত এক সপ্তাহে একই প্রদেশের ২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে সামান্য প্রাযুক্তিক ভুলের কারণে পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আত্মহত্যাকারী সেই ২১ শিক্ষার্থী দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা প্রদেশের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন তরুণ চলন্ত ট্রেনের সামনে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অপর এক তরুণী নিজের শরীরে আগুন দিয়েছিলেন।
দেশটির মন্ত্রীরা স্বীকার করেছেন, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে তাদের কিছু বড় ভুল ছিল। সম্প্রতি প্রণীত নতুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিক্ষার খাতাগুলো মূল্যায়ন করা হয়। তাছাড়া এর পেছনে মানব সৃষ্ট কিছু ভুলও ছিল বলে জানান তারা।
যারা আত্মহত্যা করেছেন তারা সবাই ছিলেন ভালো ফল করা শিক্ষার্থী। কিন্তু এবারের পরীক্ষার পর তাদের প্রাপ্ত নাম্বার এত কমে যায় যে তারা পাস করতে ব্যর্থ হন। আর এমন হতাশা থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেন তারা।

এক সপ্তাহের মধ্যে ২১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার কারণ সবার সামনে উন্মোচিত হওয়ায় শত শত অভিভাবক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। রাজনৈতিক নেতারা অবশ্য সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যদি কারো মনে হয় তার পরীক্ষার খাতায় কোনো সমস্যা আছে তাহলে অভিযোগ জানাতে হবে।
বিক্ষোভরত এক অভিভাবক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম বছরের পরীক্ষায় আমার ছেলে প্রথম হয়েছিল কিন্তু এখন সে এত কম নাম্বার পেয়েছে যে পাস করতে পারেনি। আমি জানি না আমি এখন কি করবো।’
তেলেঙ্গানার সেই পাবলিক পরীক্ষায় আনুমানিক ১০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো যান্ত্রিক ত্রুটিতে ভুলভাবে খাতা মূল্যায়নের কারণে সেই ১০ লাখ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি পাস করতে পারেনি।
তেলেঙ্গানা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘পরীক্ষায় ফেল করা মানে জীবন থেকে সবকিছু হারিয়ে যাওয়া নয়। জীবন খুব সুন্দর। এমনকি যদি কেউ ফেলও করে তারও অনেক সুযোগ আসবে জীবনে।’
(jagonews24)

শীলঙ্কায় অবস্থানরত সৌদি নাগরিকদের দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলম্বোতে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস। শ্রীলঙ্কার চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার তার নাগরিকদের শ্রীলঙ্কা ছাড়ার এমন নির্দেশ দিল।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানলে আল আখবারিয়াকে উদ্ধৃত করে এবংকলম্বোয় সৌদি দূতাবাসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সৌদি দূতাবাস এই নির্দেশ দেন।
সৌদি দূতাবাসের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ‘শ্রীলঙ্কার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাই দূতাবাস থেকে নাগরিকদের দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আট স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ২৫৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪২ জন বিদেশি নাগরিক। হামলার পর থেকে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে বেশ কয়েকটি দেশ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) তিনদিন পর ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। স্থানীয় মুসলিম জঙ্গি দল ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত (এনটিজে) নেতা জাহরান হাশিম হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল বলে ধারণা তদন্ত কর্মকর্তাদের।
ইস্টার সানডের সেই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা দেশে প্রায় ১০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
(jagonews24)

কৃষক সেজে কৃষকদের সঙ্গে মাঠে নেমে ধান কেটেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটেন উপমন্ত্রী। এ সময় উপমন্ত্রীকে ধান কাটতে দেখে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। সেই সঙ্গে কৃষকদের মধ্যে উদ্দীপনা দেখা যায়।
পরে কৃষকদের উদ্দেশ্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, কৃষকের মুখে হাসি দেখলে হাসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কৃষকের চোখে কান্না দেখলে কান্না করেন শেখ হাসিনা। একদিন তিনি কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও স্লোগান দিয়ে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেটি আজ সফলতা পেয়েছে। তার হাত ধরে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক পরিশ্রম ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে হাওরের সুরক্ষিত বাঁধ নির্মাণ করে কৃষকের ফসল রক্ষা করে আসছেন। আপনারা নিশ্চিন্তে হাসিমুখে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেবেন।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিত ৫৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব এলাকায় ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং হাওরের কৃষকরা।
(jagonews24)

আইপিএল মানেই টাকার ঝনঝনানি। এই টুর্নামেন্টে এক একটা ম্যাচে কি পরিমাণ আয় হয়, শুনলে অনেকেরই বিশ্বাস হবে না। প্লে-অফের তিনটি ম্যাচের কথাই ধরুন না। এই তিন ম্যাচে শুধু গেট থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) আয় হবে প্রায় সাড়ে ২৪ কোটি টাকা!

আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপপর্বের ম্যাচে গেট থেকে যে আয় হয় সেটা চলে যায় বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজিতে। কিন্তু শেষ চারটি ম্যাচের (প্লে-অফের তিনটি ও ফাইনালের একটি) গেটের মূল্য পাবে বিসিসিআই।গত মৌসুমে এখান থেকে বিসিসিআইয়ের রোজগার হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ কোটি রুপি, বাংলাদেশের হিসেবে ২১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এবার সেটা হচ্ছে আরও দুই কোটি বেশি, ২০ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
এবারের আইপিএলের ফাইনাল হবে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১২ মে। প্রথমে চেন্নাইয়ে হওয়ার কথা থাকলেও তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের আই, জে ও কে ব্লক ব্যবহারের অনুমতি জোগাড় করতে পারেনি। এ কারণে ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চেন্নাই থেকে।
তবে চেন্নাই সুপার কিংসকে দেয়া হয়েছে প্রথম কোয়ালিফায়ার আয়োজনের দায়িত্ব। ৭ মে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর হবে বিশাখাপত্তমে।
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget